hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সূরা আত-তাওবার তাফসীর

লেখকঃ জাকেরুল্লাহ আবুল খায়ের

হুনাইনের যুদ্ধের ঘটনা:
মক্কা বিজয়ের পরে অষ্টম হিজরি সনের শাওয়াল মাসে হুনাইনের যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ঘটনা ছিল এরূপ: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা বিজয় সমাপ্ত করার পরে সবকিছু যখন স্থির হয়, এর অধিকাংশ লোক ইসলাম গ্রহণ করে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে ছেড়ে দেন (সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন) এরপর তিনি জানতে পারেন যে, হাওয়াযিন গোত্র তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য একত্রিত হয়েছে। তাদের নেতা হচ্ছে মালিক ইবনু আউফ আন-নাদরী। তার সাথে রয়েছে পুরো সাক্বীফ গোত্র, বানু জুশাম, বানু সা‘আদ ইবনু বকর, বানূ হিলালের কতিপয় ব্যক্তি, তারা সংখ্যায় অল্প, আমর ইবনু আমির এবং আউফ ইবনু আমিরের কিছু সংখ্যক লোক, তারা অগ্রসর হয়, তাদের সঙ্গি হয় নারী, শিশু, ভেড়া এবং উট, এগুলো ছিল তাদের সামরিক শক্তি এবং তাদের চাহিদা মেটানোর জন্য যোগান হিসেবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সেনাবাহিনী নিয়ে তাদের মোকাবিলা করার জন্য বের হন, যারা মক্কা বিজয়ের জন্য তাঁর সাথে এসেছিল। তাঁদের সংখ্যা হচ্ছে দশ হাজার, যাদের মধ্যে মুহাজির-আনসার এবং আরবের কিছু গোত্র রয়েছে। তাঁর সাথে ওরাও ছিল যারা মক্কা বিজয়ের পরে ইসলাম গ্রহণ করে, যাদেরকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছেড়ে দিয়েছিলেন, তাঁরা ছিল সংখ্যায় দু’হাজার।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁদেরকে সাথে করে শত্রুদের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন, উভয় বাহিনীর মাঝে মক্কা ও তায়েফের মধ্যবর্তী একটি উপত্যকায় দেখা হয়, যার নাম হুনাইন। প্রভাতের প্রথম ভাগে যুদ্ধ আরম্ভ হয়। হাওয়াযিন গোত্র অতর্কিতে আক্রমণ করার জন্য ওত পেতে থাকে। মুসলিমরা উপত্যকায় প্রবেশ করা মাত্রই তারা তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং মুসলিমরা অতর্কিত আক্রমণের সম্মুখীন হয়। তাদের প্রতি তীর নিক্ষিপ্ত হয় এবং তরবারির আঘাত আসতে থাকে। তারা যৌথভাবে একব্যক্তির হামলার মত করে হামলা চালায় যেভাবে তাদের বাদশাহ তাদেরকে নির্দেশ দিয়েছিল। সে সময় মুসলিমরা পৃষ্ঠ-প্রদর্শন করে পলায়ন করে। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেদিন দৃঢ় ছিলেন, তিনি তাঁর আশ-শাহবা নামক খচ্চরের পিঠে আরোহণ করে শত্রুদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁর চাচা আব্বাস খচ্চরটির ডান দিকের রশি ধরেছিলেন আর আবু সুফিয়ান ইবনুল হারিস ইবনু আব্দুল মুত্তালিব এর বাম পাশের রশি ধরেছিলেন। তাঁরা খচ্চরটির গতি মন্থর করতে চাইছিলেন যাতে করে সেটা দ্রুত শত্রুদের দিকে ধাবিত না হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উচ্চস্বরে নিজের নাম উচ্চারণ করে মুসলিমদেরকে ফিরে আসার আহ্বান জানাচ্ছিলেন। আর বলছিলেন: আমার নিকট ফিরে এসো আল্লাহর বান্দারা, আমার দিকে এসো, আমি আল্লাহর রাসূল। আর সে অবস্থায় তিনি বলছিলেন: আমি নবী, আমি মিথ্যা বলি না, আমি আব্দুল মুত্তালিবের সন্তান। তাঁর সঙ্গে প্রায় একশত জন সাহাবী দৃঢ় থাকেন। কেউ কেউ বলেন: তারা ছিলেন আশি জন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন আবু বকর, ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমা, আব্বাস, আলী, ফাদ্ল ইবনু আব্বাস, আবু সুফিয়ান ইবনুল হারিস, আইমান ইবনু উম্মু আইমান, উসামা ইবনু যাইদ এবং অন্যান্যরা রিদওয়ানুল্লাহি আলাইহিম আজমা‘ঈন। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর চাচাকে নির্দেশ দেন -তিনি ছিলেন উঁচু আওয়াজের অধিকারী। তিনি লোকদের মাঝে উচ্চস্বরে এ ঘোষণা দেন যে, হে বাবলা গাছের তলদেশের বায়’আতকারীগণ,-এর দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে মুহাজির ও আনসারবৃন্দ, যারা বৃক্ষের তলদেশে রিযওয়ানের অঙ্গিকার প্রদান করেছিল যে, তাঁরা তাঁর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে পলায়ন করবে না। তখন তিনি তাদেরকে উচ্চস্বরে ডাকতে থাকেন: হে সামুরাহ বৃক্ষের লোকেরা, তিনি আরেকবার বলেন: হে সূরা বাকারার লোকেরা, তাঁরা বলতে থাকেন: আমরা এখানে, আমরা এখানে। লোকেরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট ফিরে আসতে শুরু করে। তাদের কারও উট যদি তার আনুগত্য করতে অসম্মত হয় (ক্লান্ত হয়ে পড়ার কারণে) তখন সে তার বর্ম পরিধান করে তার উট থেকে নেমে পায়ে হেঁটে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট ছুটে আসে। যখন বিশাল সংখ্যক জনতা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চারিপাশে জড়ো হয় তখন তিনি তাদেরকে আন্তরিক হয়ে লড়াই করার নির্দেশ দেন। এরপর তিনি এক মুষ্টি বালু গ্রহণ করে তাঁর রবের নিকট দো‘আ করেন আর তাঁর সাহায্য কামনা করে বলেন: اللهم أنجز لي ما وعدتني “হে আল্লাহ আপনি আমাকে যে ওয়াদা দিয়েছিলেন তা পূর্ণ করুন” এরপর তা কাফেরদের মুখে ছুঁড়ে মারেন, ফলে তাদের প্রত্যেকের চোখে-মুখে তা লাগে আর তাদেরকে লড়াইয়ে বাধা প্রদান করে, এরপর তারা পরাজিত হয়। মুসলিমরা তাদের পশ্চাদ্ধাবন করে তাদের কতককে হত্যা করেন আর কতককে বন্দী করেন। আর বাকি মুসলিমরা ফিরে এসে দেখেন বন্দীরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সম্মুখে বাঁধা অবস্থায় উপস্থিত রয়েছে।

সহীহ বুখারী ও মুসলিমে এসেছে: শু‘বা বর্ণনা করেন, আবু ইসহাক রহ. বারা ইবনু আযিব রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণনা করে বলেন: জনৈক ব্যক্তি তাঁকে বলেন: হে আবু আমারাহ, আপনি কি হুনাইনের যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন? তিনি বলেন: (তা বটে) কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পলায়ন করেন নি, হাওয়াযিন গোত্র ছিল তীরন্দাজীতে পারদর্শী, তাদের সাথে আমাদের সাক্ষাত হলে আমরা তাদের উপরে হামলা করি। ফলে তারা পরাজিত হয়। এরপর লোকেরা গনিমতের মাল সংগ্রহ করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে; কিন্তু ক্রমাগতভাবে আমাদের প্রতি তীর নিক্ষিপ্ত হতে শুরু করে। লোকেরা (মুসলিমবৃন্দ) পরাজিত হয়। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে প্রত্যক্ষ করি এ সময় আবু সুফিয়ান তাঁর সাদা খচ্চরের লাগাম টেনে ধরেছিলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ সময় বলছিলেন: আমি হচ্ছি নবী, আমি মিথ্যা বলি না, আমি আব্দুল মুত্তালিবের পুত্র। আমি বলি: এতে তিনি দুর্দান্ত সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন, তিনি প্রচণ্ড যুদ্ধের মধ্যে অবস্থান করেন। তাঁর সৈন্যরা তাঁকে ছেড়ে পালিয়ে যায় অথচ তিনি তাঁর খচ্চরের উপরে ছিলেন আর এটা এত দ্রুতগতির কোনো বাহন ছিল না, যা দ্রুত চলতে পারে অথবা পালিয়ে যেতে পারে। তা সত্ত্বেও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেটাকে শত্রুদের দিকে ধাবিত হতে উৎসাহিত করছিলেন। আর তিনি নিজের পরিচয় দিচ্ছিলেন, ফলে তাদের মধ্যে যারা তাঁকে চিনত না তারও তাঁকে চিনতে পারে। (কিয়ামত দিবস পর্যন্ত তাঁর উপরে দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক।) আর এ সব কিছু কেবলমাত্র আল্লাহ তা‘আলার প্রতি তাঁর আস্থা ও ভরসার কারণে হয়েছিল আর তিনি জানতেনও যে, অচিরেই আল্লাহ তা‘আলা তাঁকে সাহায্য করবেন। আর যা সহকারে তিনি তাঁকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন তা পূর্ণ করবেন। আর সকল দ্বীনের উপরে তিনি তাঁর দ্বীনকে বিজয়ী করবেন। এ কারণে আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

ثُمَّ أَنزَلَ ٱللَّهُ سَكِينَتَهُۥ عَلَىٰ رَسُولِهِۦ “তারপর আল্লাহ প্রশান্তির অমিয়ধারা বর্ষণ করলেন তাঁর রসূলের উপর” অর্থাৎ, তাঁর রাসূলের উপরে তাঁর প্রশান্তি ও স্থিরতা। وَعَلَى ٱلۡمُؤۡمِنِينَ “আর মু’মিনদের উপর” অর্থাৎ যারা তাঁর সাথে রয়েছেন। وَأَنزَلَ جُنُودٗا لَّمۡ تَرَوۡهَا “আর পাঠালেন এমন এক সেনাবাহিনী যা তোমরা দেখতে পাও নি” তারা হচ্ছে ফেরেশতামণ্ডলী, ইমাম আবু জাফর ইবনু জারীর এ মত ব্যক্ত করেন: হাদিস বর্ণনা করেছেন আমাদের নিকট কাসিম (তিনি) বলেন: হাদিস বর্ণনা করেছেন আমার নিকট আল-হাসান ইবনু আরফাহ, (তিনি) বলেন: হাদিস বর্ণনা করেছেন আমার নিকট আল-মু‘তামির ইবনু সুলাইমান, (তিনি)) আউফ থেকে, তিনি হচ্ছেন ইবনু আবু জামীলাহ আল-আরাবী, (তিনি) বলেন: আমি ইবনু বারসানের আযাদকৃত গোলাম আব্দুর রহমানকে বলতে শুনেছি: আমার নিকট এমন এক ব্যক্তি বর্ণনা করেছেন, যে হুনাইনের যুদ্ধে মুশরিকদের সাথে ছিল। সে বলল: হুনাইনের যুদ্ধে আমরা এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবীগন যখন পরস্পরের মুখোমুখি হই, তখন তাঁরা যুদ্ধক্ষেত্রে ততক্ষণও টিকে ছিল না, যতক্ষণ সময়ে বকরীর দুধ দোহন করা হয়। সে আরও বলে: আমরা তাদেরকে পশ্চাদ্ধাবন করতে থাকি এমনকি আমরা সাদা খচ্চরের আরোহীর নিকট এসে থামি। তখন দেখি তিনি হচ্ছেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনি বলেন: (এ সময়) তাঁর নিকটে আমরা সুন্দর শুভ্র চেহারার কিছু লোকের দেখা পাই। তারা আমাদেরকে বলে: তোমাদের চেহারাগুলো ধ্বংস হোক, তোমরা ফিরে যাও। সে বলে: এরপর আমাদের পরাজয় ঘটে। এরপর তারা আমাদের কাঁধে চেপে বসে, এই ছিল আমাদের সমাপ্তি।

﴿ثُمَّ يَتُوبُ ٱللَّهُ مِنۢ بَعۡدِ ذَٰلِكَ عَلَىٰ مَن يَشَآءُۗ وَٱللَّهُ غَفُورٞ رَّحِيمٞ ٢٧﴾ [ التوبة : ٢٧ ]

“২৭. এরপরও আল্লাহ যার জন্য ইচ্ছে করবেন তাকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন, আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, বড়ই দয়ালু।” [সূরা আত-তাওবাহ: ২৭]

আল্লাহ তা‘আলার বাণী: ثُمَّ يَتُوبُ ٱللَّهُ مِنۢ بَعۡدِ ذَٰلِكَ عَلَىٰ مَن يَشَآءُۗ وَٱللَّهُ غَفُورٞ رَّحِيمٞ “এরপরও আল্লাহ যার জন্য ইচ্ছে করবেন তাকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন, আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, বড়ই দয়ালু” আল্লাহ তা‘আলা হাওয়াযিনে গোত্রের বাকি লোকদের তাওবাহ কবুল করেন, তাঁরা ইসলাম গ্রহণ করে এবং তাঁরা মুসলিম হয়ে তাঁর নিকট আগমন করে, তাঁর সাথে যোগ দেয়। এই ঘটনা ঘটে তাঁর মক্কায় পৌঁছানোর পূর্বে হুনাইন যুদ্ধের প্রায় বিশ দিন পরে জি‘রানা নামক স্থানে। সে সময় তাদেরকে দু’টি বিষয়ের একটি বেছে নেওয়ার ইখতিয়ার দেওয়া হয়, তাদেরকে বন্দীদের গ্রহণ করার অথবা তাদের সম্পদ। তারা তাদের বন্দীদের গ্রহণে সম্মত হয়, তারা ছিল ছয় হাজার বন্দী যাদের মধ্যে নারী ও শিশু ছিল। তিনি তাদেরকে তাদের নিকট ফিরিয়ে দেন, তবে তাদের সম্পত্তি বিজয়ীদের মাঝে বণ্টন করেন। তিনি সাধারণ ক্ষমা প্রাপ্ত লোকদেরকে অতিরিক্ত কিছু প্রদান করেন, যাতে করে ইসলামের প্রতি তাদের অন্তর আকৃষ্ট হয়। তাদেরকে প্রত্যেককে একশতটি করে উট দেন, তাদের মধ্যে মালিক ইবনু আউফ আন-নাদ্বরীও ছিল। তিনি তাঁকে তার কাওমের শাসক হিসেবে নিয়োগ দেন। যেমন সে ইতোপূর্বে ছিল।

﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ إِنَّمَا ٱلۡمُشۡرِكُونَ نَجَسٞ فَلَا يَقۡرَبُواْ ٱلۡمَسۡجِدَ ٱلۡحَرَامَ بَعۡدَ عَامِهِمۡ هَٰذَاۚ وَإِنۡ خِفۡتُمۡ عَيۡلَةٗ فَسَوۡفَ يُغۡنِيكُمُ ٱللَّهُ مِن فَضۡلِهِۦٓ إِن شَآءَۚ إِنَّ ٱللَّهَ عَلِيمٌ حَكِيمٞ ٢٨ قَٰتِلُواْ ٱلَّذِينَ لَا يُؤۡمِنُونَ بِٱللَّهِ وَلَا بِٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِ وَلَا يُحَرِّمُونَ مَا حَرَّمَ ٱللَّهُ وَرَسُولُهُۥ وَلَا يَدِينُونَ دِينَ ٱلۡحَقِّ مِنَ ٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡكِتَٰبَ حَتَّىٰ يُعۡطُواْ ٱلۡجِزۡيَةَ عَن يَدٖ وَهُمۡ صَٰغِرُونَ ٢٩﴾ [ التوبة : ٢٨، ٢٩ ]

“২৮. হে ঈমানদারগণ! মুশরিকরা অপবিত্র। কাজেই এ বছরের পর তারা যেন মসজিদে হারামের নিকট না আসে। তোমরা যদি দরিদ্রতার ভয় কর তবে আল্লাহ ইচ্ছে করলে অচিরেই তাঁর অনুগ্রহের মাধ্যমে তোমাদেরকে অভাব-মুক্ত করে দিবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ, মহা বিজ্ঞানী। ২৯. যাদেরকে কিতাব দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে যারা আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে না এবং শেষ দিনের প্রতিও না আর আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যা হারাম করেছেন তাকে হারাম গণ্য করে না আর সত্য দ্বীনকে নিজেদের দ্বীন হিসেবে গ্রহণ করে না তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর, যে পর্যন্ত না তারা বশ্যতা সহকারে স্বেচ্ছায় ট্যাক্স দেয়।” [সূরা আত-তাওবাহ: ২৮-২৯]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন