hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সূরা আত-তাওবার তাফসীর

লেখকঃ জাকেরুল্লাহ আবুল খায়ের

১৬
মতামত প্রদানের মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলার শরী‘আতে নাক-গলানোর নিন্দা:
এখানে আল্লাহ তা‘আলা মুশরিকদের নিন্দা জানিয়েছেন; কেননা তারা তাদের বাতিল মতের মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলার শরীয়তে নাক গলায়। আর তাদের অসার খেয়াল-খুশি দ্বারা আল্লাহ তা‘আলার বিধানাবলীকে পরিবর্তন করে। আল্লাহ তা‘আলা যা কিছু হারাম করেছেন সেগুলো তারা হালাল সাব্যস্ত করে। আর তিনি যা হালাল করেছেন সেগুলোকে তারা হারাম বানায়। তারা মনে করত শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিগ্রহ বাদ দিয়ে ধারাবাহিক এই তিনটি মাস বসে থাকা বড়ই দীর্ঘ সময়। কেননা, তারা ক্রোধ ও উন্মত্ততায় ফুঁসে থাকত। এ কারণে তারা ইসলামের পূর্বে মুহাররম মাসের পবিত্রতায় পরিবর্তন এনেছিল। একে তারা সফর মাসে বিলম্ব করেছিল। ফলে মুহাররম মাসে তারা যুদ্ধবিগ্রহ বৈধ করে নিয়েছিল। আর হালাল মাসে (যে মাসে যুদ্ধ বিগ্রহ বৈধ) সে মাসে যুদ্ধবিগ্রহকে হারাম করে নিয়েছিল। যাতে আল্লাহর হারাম করা মাসগুলোর সংখ্যা পূর্ণ করা যায়। তা হচ্ছে চারটি মাস।

আলী ইবনু আবু তালহা বর্ণনা করেন, আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা إِنَّمَا النَّسِيءُ زِيَادَةٌ فِي الْكُفْرِ “নিষিদ্ধ মাসকে পিছিয়ে দেওয়া কুফরির উপর আরেক কুফরী কাজ” এ আয়াত সম্পর্কে বলেন: নিষিদ্ধ মাসকে পিছিয়ে দেওয়া। জু-নাদা ইবনু আউফ ইবনু উমাইয়া আল-কিনানী যিনি আবু সুমামা নামে পরিচিত ছিল, সে প্রতি বৎসরের হজ মওসুমে আগমন করত আর ঘোষণা দিত আবু সুমামা পরিত্যক্তও হয় নি আর সে ভ্রান্ত হিসেবে গণ্য হয় নি। সে এক বৎসর লোকদের জন্য সফর মাসকে পবিত্র মাস হিসেবে আরোপ করত আর মুহাররম মাসকে যুদ্ধবিগ্রহ বৈধ বলে ঘোষণা দিত। আবার অন্য মাসে সে মুহাররম মাসকে পবিত্র মাস বলে ঘোষণা দিত আর সফরকে যুদ্ধবিগ্রহ বৈধ গণ্য করত। এ কথাই আল্লাহ তা‘আলা এ আয়াতে বলেছেন: إِنَّمَا النَّسِيءُ زِيَادَةٌ فِي الْكُفْرِ “নিষিদ্ধ মাসকে পিছিয়ে দেওয়া কুফুরির উপর আরেক কুফুরি কাজ” অর্থাৎ তারা এক বৎসর মুহাররম মাসে যুদ্ধবিগ্রহ বৈধ ঘোষণা দিত। আর আরেক মাসে তাকে পবিত্র ঘোষণা দিত।

আউফী বর্ণনা করেন, আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমাও অনুরূপ বলেছেন। লাইস ইবনু আবু সুলাইম মুজাহিদ থেকে বর্ণনা করেন, কিনানা গোত্রের জনৈক ব্যক্তি প্রতি বৎসর হজের মওসুমে তার গাধার পিঠে চড়ে আগমন করত। আর বলত: হে লোক সকল, আমি ভ্রান্ত বলে গণ্য নই, পরিত্যক্তও নই আর আমার কথা প্রত্যাখ্যাত নয়। আমরা আসন্ন মুহাররম মাসকে পবিত্র বলে ঘোষণা করেছি, সফরকে নয়। এরপর পরবর্তী বৎসর এসে সে তার প্রাথমিক কথাগুলো বলে বলত: আমরা (এ বৎসর) সফরকে পবিত্র মাস হিসেবে ঘোষণা দিয়েছি, মুহাররমকে নয়। এ কথা আল্লাহ তা‘আলা এখানে বলেন: لِيُوَاطِئُوا عِدَّةَ مَا حَرَّمَ اللَّه “যাতে আল্লাহর হারাম করা মাসগুলোর সংখ্যা পূর্ণ করা যায়” অর্থাৎ তা চারটি মাস, ফলে তারা এই পবিত্র মাসটিকে (মুহাররমকে) পিছিয়ে দিয়ে আল্লাহ তা‘আলা যাকে পবিত্র বলে ঘোষণা দিয়েছেন তাতে যুদ্ধবিগ্রহ হালাল করে নিত। তারা এক বৎসর পবিত্র মাসে যুদ্ধবিগ্রহ হালাল করত আর তার পরিবর্তে সফরকে পবিত্র বলে ঘোষণা দিত। এরপর রবীউল আউয়াল এভাবে তারা তাদের সাধারণ গণনা ও নাম অনুসারে বৎসরের বাকি মাসগুলোর ধারাবাহিকতা বজায় রাখত। পরবর্তী বৎসর তারা মুহাররামকে পবিত্র মাস বলে ঘোষণা করত এরপর পরের মাসগুলোর ধারাবাহিকতা বজায় রাখত। যেমন, মুহাররমের পরে সফর তারপর রবীউল আউয়াল এভাবে বৎসরের শেষ পর্যন্ত। يُحِلُّونَهُ عَامًا وَيُحَرِّمُونَهُ عَامًا لِيُوَاطِئُوا عِدَّةَ مَا حَرَّمَ اللَّهُ “এক বছর তারা একটি মাসকে হালাল করে, আরেক বছর ঐ মাসটিকে হারাম করে যাতে আল্লাহর হারাম করা মাসগুলোর সংখ্যা পূর্ণ করা যায়” অর্থাৎ বৎসরের চারটি মাসকে পবিত্রকরণে তবে ধারাবাহিক তিনটি পবিত্র মাসের তৃতীয় মাসটিকে এক বৎসর আগেই পবিত্র হিসেবে রাখত। আবার আরেক বৎসর সফর মাসে বিলম্বিত করত অর্থাৎ তৃতীয় পবিত্র মাসকে পিছিয়ে সফরে করত।

ইমাম মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাক এ ব্যাপারে তাঁর ‘সীরাহ’ নামক গ্রন্থে খুবই উপকারী ও সুন্দর কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন: আরবের যে ব্যক্তি মাসের পবিত্রতা পেছানোর রীতি শুরু করে: অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা যে মাস হারাম করেছেন তাকে হালাল ঘোষণা করে আর যাকে আল্লাহ তা‘আলা হালাল করেছেন তাকে হারাম বানিয়ে নেয়, সে হচ্ছে আল-কালাম্মাস’ সে হচ্ছে হুযাইফা ইবনু আব্দ্ ফুকাইম ইবনু ‘আদী ইবনু ‘আমির ইবনু সা‘লাবা ইবনুল হারিস ইবনু মালিক ইবনু কিনানা ইবনু খুযাইমা ইবনু মুদরিকাহ ইবনু ইলইয়াস ইবনু মুদার ইবনু নিযার ইবনু মা‘আদ ইবনু আদনান। তারপরে এ কাজে নিয়োজিত হয় তার ছেলে ‘আব্বাদ’। আব্বাদের পরে তার পুত্র কালা‘ ইবনু আব্বাদ, এরপর তার পুত্র উমাইইয়া ইবনু কালা‘, এরপর তার পুত্র আউফ ইবনু উমাইইয়া, এরপর তার পুত্র আবু সুমামাহ জুনাদাহ ইবনু আউফ। এই ব্যক্তি হচ্ছে এ কাজের সর্বশেষ ব্যক্তি আর তার সময় ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়। আরবরা যখন হজ সম্পন্ন করত তখন তারা তার নিকট একত্রিত হত। সে তাদের সম্মুখে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিয়ে রজব, যিলক্বদ এবং যিল হজ মাসকে পবিত্র বলে ঘোষণা করত। এরপর এক বৎসর সে মুহাররম মাসকে হালাল (যুদ্ধবিগ্রহ বৈধ) ঘোষণা দিত আর তার স্থলে সফরকে পবিত্র মাস গণ্য করত। আবার আরেক বৎসর মুহাররামকে পবিত্র মাস আখ্যায়িত করত যাতে করে আল্লাহ তা‘আলার হারাম করা মাসগুলোর সংখ্যা পূরণ করা যায়। ফলে তারা আল্লাহ তা‘আলা যা হারাম করেছেন তাকে হালাল সাব্যস্ত করত অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা যা বৈধ করেছেন তারা হারাম আখ্যায়িত করত। আল্লাহ ভালো জানেন।

﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ مَا لَكُمۡ إِذَا قِيلَ لَكُمُ ٱنفِرُواْ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ ٱثَّاقَلۡتُمۡ إِلَى ٱلۡأَرۡضِۚ أَرَضِيتُم بِٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَا مِنَ ٱلۡأٓخِرَةِۚ فَمَا مَتَٰعُ ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَا فِي ٱلۡأٓخِرَةِ إِلَّا قَلِيلٌ ٣٨ إِلَّا تَنفِرُواْ يُعَذِّبۡكُمۡ عَذَابًا أَلِيمٗا وَيَسۡتَبۡدِلۡ قَوۡمًا غَيۡرَكُمۡ وَلَا تَضُرُّوهُ شَيۡ‍ٔٗاۗ وَٱللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ قَدِيرٌ ٣٩﴾ [ التوبة : ٣٨، ٣٩ ]

“৩৮. হে ঈমানদারগণ! তোমাদের হয়েছে কী যে, যখন তোমাদেরকে আল্লাহর পথে বের হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় তখন তোমরা আরও জোরে মাটি কামড়ে ধর। তোমরা কি আখিরাতের স্থলে দুনিয়ার জীবনকেই বেশি পছন্দ কর? আখিরাতের তুলনায় পার্থিব জীবনের ভোগ সামগ্রী তো অতি সামান্য। ৩৯. তোমরা যদি যুদ্ধাভিযানে বের না হও, তাহলে তোমাদেরকে ভয়াবহ শাস্তি দেওয়া হবে, আর তোমাদের স্থলে অন্য সম্প্রদায়কে আনা হবে (অথচ) তোমরা তাঁর কোনই ক্ষতি করতে পারবে না। আল্লাহ সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান।” [সূরা আত-তাওবাহ্:৩৮-৩৯]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন