মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
আল্লাহ তা‘আলা বলেন: নির্দিষ্ট মেয়াদের উপরে যে সমস্ত মুশরিকদের সাথে তোমরা চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছ, তারা যদি তা أَيْمَانَهُمْ “তাদের শপথ” ভঙ্গ করে। অর্থাৎ তাদের অঙ্গিকার ও চুক্তিসমূহ وَطَعَنُوا فِي دِينِكُمْ “আর তোমাদের দীনের বিরুদ্ধে কটূক্তি করে” অর্থাৎ বৈরী ভাব প্রকাশ করে এবং খুঁত সন্ধান করে। এ আয়াত থেকে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে গালি প্রদানকারী ব্যক্তিকে হত্যা করার দলীল গৃহীত হয়েছে। অনুরূপভাবে যে ব্যক্তি দ্বীন ইসলামে আঘাত করে অথবা এর দোষত্রুটি রয়েছে বলে আলোচনা করে। এ কারণে আল্লাহ তা‘আলা বলেন: فَقَٰتِلُوٓاْ أَئِمَّةَ ٱلۡكُفۡرِ إِنَّهُمۡ لَآ أَيۡمَٰنَ لَهُمۡ لَعَلَّهُمۡ يَنتَهُونَ “তাহলে কাফিরদের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে লড়াই কর। শপথ বলে কোনো জিনিস তাদের কাছে নেই, (কাজেই শক্তি প্রয়োগ কর) যাতে তারা (শয়তানী কার্যকলাপ থেকে) নিবৃত্ত হয়। অর্থাৎ যাতে তারা যে কুফরি, একগুঁয়েমি এবং গোমরাহির মধ্যে লিপ্ত রয়েছে তা থেকে ফিরে আসে।
কাতাদা এবং অন্যান্যরা বলেন: কাফির নেতৃবৃন্দ হচ্ছে: আবু জাহাল, উৎবা, শায়বা, উমাইইয়া ইবনু খালফ। তিনি আরও কিছু লোকের নাম উল্লেখ করেন। আ‘মাশ বর্ণনা করেন, যাইদ ইবনু ওয়াহাব বলেন, হুযাইফা বলেছেন: এ আয়াতে উল্লেখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আর কখনই যুদ্ধ করা হয় নি। আলী ইবনু আবু তালিব থেকে অনুরূপ বর্ণনা বর্ণিত হয়েছে। তবে সঠিক কথা হচ্ছে: এই আয়াতটি সাধারণভাবে সকলকে শামিল করে; যদিও এই আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার প্রেক্ষাপট কুরাইশ কাফেররা। তবে সেটা তাদেরকে এবং অন্যান্যদেরকে শামিল করে। (আল্লাহ ভালো জানেন)। ওয়ালিদ ইবনু মুসলিম বলেন: হাদিস বর্ণনা করেছেন আমাদের নিকট সাফওয়ান ইবনু আমর, (তিনি) আব্দুর রহমান ইবনু জুবাইর ইবনু নুফাইর থেকে: আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু যখন সিরিয়ার দিকে একদল সৈন্য প্রেরণ করেন, তখন তিনি তাদেরকে উপদেশ দেন: অচিরেই তোমরা একদল নেড়া মাথার লোক পাবে, তাদের মধ্য হতে শয়তানের দ্বারা আক্রান্ত অংশটি তরবারি দ্বারা আঘাত কর। আল্লাহ তা‘আলার শপথ, তাদের একজনকে হত্যা করা আমার নিকট অন্যদের সত্তর জনকে হত্যা করার চেয়ে অধিক প্রিয়। কেননা আল্লাহ তা‘আলা বলেন: فَقَٰتِلُوٓاْ أَئِمَّةَ ٱلۡكُفۡرِ “কাফিরদের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে লড়াই কর” ইবনু আবু হাতিম এ হাদিস বর্ণনা করেছেন।
“১৩. তোমরা সেই সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে লড়াই কেন করবে না যারা তাদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে, যারা রাসূলকে দেশ থেকে বের করে দেয়ার ষড়যন্ত্র করেছিল?। প্রথমে তারাই তোমাদেরকে আক্রমণ করেছিল। তোমরা কি তাদেরকে ভয় কর? তোমরা যাকে ভয় করবে তার সবচেয়ে বেশি হকদার হলেন আল্লাহ, যদি তোমরা মু’মিন হয়ে থাক। ১৪. তাদের বিরুদ্ধে লড়াই কর, তোমাদের হাত দিয়েই আল্লাহ তাদেরকে শাস্তি দিবেন, তাদেরকে অপমানিত করবেন, তাদের বিরুদ্ধে তোমাদেরকে সাহায্য করবেন আর মু’মিনদের দিল ঠাণ্ডা করবেন। ১৫. তিনি তাদের মনের জ্বালা নিভিয়ে দিবেন, আল্লাহ যাকে চাইবেন তাওবাহ করার তাওফিক দিবেন, আর আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্বশ্রেষ্ঠ প্রজ্ঞাময়।” [সূরা আত-তাওবাহ্: ১৩-১৫]
তাদেরকে হত্যা করার ব্যাপারে উৎসাহ প্রদান এবং এর কতিপয় উপকারিতা:
এখানেও ঐ সমস্ত মুশরিকরদেরকে হত্যা করার ব্যাপারে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেওয়া হয়েছে যারা অঙ্গিকার ভঙ্গকারী যারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মক্কা থেকে বের করে দেওয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করেছিল। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন: ﴿وَإِذۡ يَمۡكُرُ بِكَ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ لِيُثۡبِتُوكَ أَوۡ يَقۡتُلُوكَ أَوۡ يُخۡرِجُوكَۚ وَيَمۡكُرُونَ وَيَمۡكُرُ ٱللَّهُۖ وَٱللَّهُ خَيۡرُ ٱلۡمَٰكِرِينَ ٣٠﴾ [ الانفال : ٣٠ ] “স্মরণ কর, সেই সময়ের কথা যখন কাফিরগণ তোমাকে বন্দী করার কিংবা হত্যা করার কিংবা দেশ থেকে বের করে দেয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করে। তারা চক্রান্ত করে আর আল্লাহও কৌশল করেন। আল্লাহই সর্বশ্রেষ্ঠ কৌশলী।” [সূরা আল-আনফাল:৩০] আল্লাহ তা‘আলা বলেন: ﴿يُخۡرِجُونَ ٱلرَّسُولَ وَإِيَّاكُمۡ أَن تُؤۡمِنُواْ بِٱللَّهِ رَبِّكُمۡ ١﴾ [ الممتحنة : ١ ] “তারা রাসূলকে আর তোমাদেরকে শুধু এ কারণে বের করে দিয়েছে যে, তোমরা তোমাদের রব আল্লাহকে বিশ্বাস কর।”(সূরা আল-মুতাহিনাহ: ১) আল্লাহ তা‘আলা বলেন: ﴿وَإِن كَادُواْ لَيَسۡتَفِزُّونَكَ مِنَ ٱلۡأَرۡضِ لِيُخۡرِجُوكَ مِنۡهَاۖ ٧٦ ﴾ [ الاسراء : ٧٦ ] “তারা তোমাকে জমিন থেকে উৎখাত করতে চেয়েছিল যাতে তারা তোমাকে তাত্থেকে বের করে দিতে পারে।” [সূরা আল-ইসরা: ৭৬] আল্লাহ তা‘আলার বাণী: وَهُمْ بَدَءُوكُمْ أَوَّلَ مَرَّةٍ “প্রথমে তারাই তোমাদেরকে আক্রমণ করেছিল” বলা হয়েছে এখানে উদ্দেশ্য হচ্ছে বদর যুদ্ধ। কুরাইশ কাফিররা তাদের বাণিজ্য কাফিলাকে সাহায্য করার জন্য বের হয়; কিন্তু যখন তারা জানতে পারে যে, বাণিজ্য কাফিলা (মুসলিমবৃন্দের হাত থেকে) বেঁচে গেছে, তার পরও তারা একগুঁয়েমিবশত মুসলিমবৃন্দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে সম্মুখে অগ্রসর হয়। এ সম্পর্কে ইতোপূর্বে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আবার কেউ কেউ বলেন: এর দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে কুরাইশদের অঙ্গিকার ভঙ্গ এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মিত্র খুঁজা‘আর বিরুদ্ধে তাদের মিত্র বানূ বাকরকে যুদ্ধে সহযোগিতা প্রদান। অবশেষে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা বিজয়ের বৎসর তাদের প্রতি অগ্রসর হন। আর যা হবার তাই হয়। (আল্লাহ তা‘আলার জন্য সকল প্রশংসা এবং তাঁরই অনুগ্রহ)। আল্লাহ তা‘আলার বাণী: أَتَخْشَوْنَهُمْ فَاللَّهُ أَحَقُّ أَنْ تَخْشَوْهُ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ “তোমরা কি তাদেরকে ভয় কর? তোমরা যাকে ভয় করবে তার সবচেয়ে বেশি হকদার হলেন, ‘আল্লাহ’ যদি তোমরা মু’মিন হয়ে থাক” আল্লাহ তা‘আলা বলেন: তাদেরকে ভয় করো না, কেবল আমাকে ভয় কর, আমার ক্ষমতা এবং আমার শাস্তির কারণে আমিই এর যোগ্য যে, বান্দারা আমাকে ভয় পাবে। সকল কিছু আমার হাতে। আমি যা ইচ্ছা করি তাই হয় আর যা ইচ্ছ করি না তা হয় না। এরপর আল্লাহ তা‘আলা মুমিনগণকে নির্দেশ প্রদান করেন এবং কাফিরদের বিরুদ্ধে জিহাদের নির্দেশের হিকমত ব্যাখ্যা করেন। অথচ তিনি নিজের পক্ষ হতে নির্দেশ প্রদানের মাধ্যমে আপন শক্তিতে শত্রুদেরকে ধ্বংস করে দিতে সক্ষম। قَٰتِلُوهُمۡ يُعَذِّبۡهُمُ ٱللَّهُ بِأَيۡدِيكُمۡ وَيُخۡزِهِمۡ وَيَنصُرۡكُمۡ عَلَيۡهِمۡ وَيَشۡفِ صُدُورَ قَوۡمٖ مُّؤۡمِنِينَ ١٤ “তাদের বিরুদ্ধে লড়াই কর, তোমাদের হাত দিয়েই আল্লাহ তাদেরকে শাস্তি দিবেন, তাদেরকে অপমানিত করবেন, তাদের বিরুদ্ধে তোমাদেরকে সাহায্য করবেন আর মু’মিনদের দিল ঠাণ্ডা করবেন” এ আয়াতটি সকল মুমিনগণের ক্ষেত্রে সার্বিকভাবে বলা হয়েছে। মুজাহিদ, ইকরিমা, সুদ্দী وَيَشۡفِ صُدُورَ قَوۡمٖ مُّؤۡمِنِينَ “আর মু’মিনদের দিল ঠাণ্ডা করবেন” এ আয়াত সম্পর্কে বলেন: অর্থাৎ খুঁজা‘আহর وَيُذْهِبْ غَيْظَ قُلُوبِهِمْ “তিনি তাদের মনের জ্বালা নিভিয়ে দিবেন” এখানেও খুঁজা‘আহর প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে وَيَتُوبُ اللَّهُ عَلَى مَنْ يَشَاءُ “আল্লাহ যাকে চাইবেন তাওবাহ করার তাওফিক দিবেন” অর্থাৎ তাঁর বান্দাদের মধ্য থেকে। وَاللَّهُ عَلِيمٌ “আর আল্লাহ সর্বজ্ঞ” অর্থাৎ সে সম্পর্কে কিসে তাঁর বান্দাদের কল্যান রয়েছে حَكِيمٌ “সর্বশ্রেষ্ঠ প্রজ্ঞাময়” তাঁর কর্মসমূহে এবং তার কথায়, চাই তা সৃষ্টিতত্বগত হোক অথবা আইন প্রণয়ন সম্বন্ধীয়, তিনি যা ইচ্ছা করেন তাই হয়। তিনি যেমন খুশী ফায়সালা প্রদান করেন। তিনি হচ্ছেন ন্যায়বিচারক যিনি কখনও যুলুম করেন না। তিনি কণা পরিমাণও ভালো এবং মন্দ বিষয় নষ্ট করেন না; বরং তিনি দুনিয়া ও আখিরাতে এরই ভিত্তিতে প্রতিদান দিবেন।
“১৬. তোমরা কি মনে কর যে, তোমাদেরকে এমনিই ছেড়ে দেওয়া হবে যে পর্যন্ত আল্লাহ জেনে না নেবেন তোমাদের মধ্যে কারা তাঁর পথে জিহাদ করেছে, আর আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও মু’মিনদের ছাড়া অন্য কাউকে বন্ধু ও অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করেন নি? তোমরা যা কর সে সম্পর্কে আল্লাহ বিশেষভাবে অবহিত।” [সূরা আত-তাওবাহ্: ১৬]
আল্লাহ তা‘আলা বলেন: أَمۡ حَسِبۡتُمۡ “তোমরা কি মনে কর” হে ঈমানদারগণ, যে, আমরা তোমাদেরকে অবহেলা করে ছেড়ে দিব আর এমন বিষয় দ্বারা তোমাদেরকে পরীক্ষা করব না যাতে প্রকাশিত হয় কে সত্যবাদী, দৃঢ় সঙ্কল্পের অধিকারী আর কে মিথ্যাবাদী? এ কারণে আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
وَلَمَّا يَعۡلَمِ ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ جَٰهَدُواْ مِنكُمۡ وَلَمۡ يَتَّخِذُواْ مِن دُونِ ٱللَّهِ وَلَا رَسُولِهِۦ وَلَا ٱلۡمُؤۡمِنِينَ وَلِيجَةٗۚ “যে পর্যন্ত আল্লাহ জেনে না নেবেন তোমাদের মধ্যে কারা তাঁর পথে জিহাদ করেছে, আর আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও মু’মিনদের ছাড়া অন্য কাউকে বন্ধু ও অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করেনি?” অর্থাৎ সমর্থক, বিশ্বস্ত বন্ধু (যার কাছে গোপন কথা বলা যায়); বরং তারা প্রকাশ্যে ও গোপনে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের জন্য আন্তরিক, আল্লাহ তা‘আলা উভয়দলের মধ্য হতে একদলের আলোচনাতেই সীমাবদ্ধ থেকেছেন (ফলে অন্য দলের আলোচনা করেননি)।
আল্লাহ তা‘আলা অপর এক আয়াতে বলেন: ﴿الٓمٓ ١ أَحَسِبَ ٱلنَّاسُ أَن يُتۡرَكُوٓاْ أَن يَقُولُوٓاْ ءَامَنَّا وَهُمۡ لَا يُفۡتَنُونَ ٢ وَلَقَدۡ فَتَنَّا ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِهِمۡۖ فَلَيَعۡلَمَنَّ ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ صَدَقُواْ وَلَيَعۡلَمَنَّ ٱلۡكَٰذِبِينَ ٣ ﴾ [ العنكبوت : ١، ٣ ] “আলিফ-লাম-মীম। লোকেরা কি মনে করে যে, ‘আমরা ঈমান এনেছি’ বললেই তাদেরকে অব্যাহতি দিয়ে দেওয়া হবে, আর তাদেরকে পরীক্ষা করা হবে না? তাদের পূর্বে যারা ছিল আমি তাদেরকে পরীক্ষা করেছিলাম। অতঃপর আল্লাহ অবশ্য অবশ্যই জেনে নেবেন কারা সত্যবাদী আর কারা মিথ্যেবাদী।” (সূরা আল-‘আনকাবুত: ১-৩) আল্লাহ তা‘আলা বলেন: ﴿ أَمۡ حَسِبۡتُمۡ أَن تَدۡخُلُواْ ٱلۡجَنَّةَ وَلَمَّا يَعۡلَمِ ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ جَٰهَدُواْ مِنكُمۡ وَيَعۡلَمَ ٱلصَّٰبِرِينَ ١٤٢﴾ [ ال عمران : ١٤٢ ] “তোমরা কি ভেবেছ যে, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে অথচ আল্লাহ এখনও পর্যন্ত পরখ করেন নি তোমাদের মধ্যে কে জিহাদ করেছে আর কারা ধৈর্যশীল।” [সূরা আলে ইমরান: ১৪২] আল্লাহ তা‘আলা বলেন: ﴿مَّا كَانَ ٱللَّهُ لِيَذَرَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ عَلَىٰ مَآ أَنتُمۡ عَلَيۡهِ حَتَّىٰ يَمِيزَ ٱلۡخَبِيثَ مِنَ ٱلطَّيِّبِۗ ١٧٩﴾ [ ال عمران : ١٧٩ ] “অসৎকে সৎ থেকে পৃথক না করা পর্যন্ত তোমরা যে অবস্থায় আছ, আল্লাহ মু’মিনদেরকে সে অবস্থায় ছেড়ে দিতে পারেন না।” [সূরা আলে ইমরান: ১৭৯] সারকথা হচ্ছে: আল্লাহ তা‘আলা যখন তাঁর বান্দাদের জন্য জিহাদকে ফরয করেন তখন তিনি এ কথা অবহিত করেন যে, এতে তাঁর প্রজ্ঞা রয়েছে আর তিনি এর দ্বারা তাঁর বান্দাদেরকে পরীক্ষা করেন যে, কে তাঁর আনুগত্য করে আর কে তাঁর নাফরমান হয়। আর যা কিছু ঘটেছে আর যা কিছু ঘটবে সে সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা অবহিত রয়েছেন, (তিনি আরও জানেন) যা এখনও হয় নি আর যদি তা হয় তবে তা কিরূপে হবে (সে জ্ঞানও তাঁর রয়েছে)। তিনি যে কোন বিষয় সংঘটিত হওয়ার পূর্বেই সে সম্পর্কে অবহিত রয়েছেন। আর কিরূপে তা ঘটবে তাও তিনি জানেন। তিনি ছাড়া প্রকৃত কোন উপাস্য নেই, তিনি ছাড়া কোনো রব নেই। এমন কেউ নেই যে আল্লাহ তা‘আলার ফায়সালা এবং তাঁর সিদ্ধান্তকে রোধ করতে পারে।
“১৭. মুশরিকদের এটা কাজ নয় যে, তারা আল্লাহর মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণকারী সেবক হবে, যখন তারা নিজেরাই নিজেদের কুফরির সাক্ষ্য দেয়। তাদের সমস্ত কাজ বরবাদ হয়ে গেছে, জাহান্নামেই তারা হবে চিরস্থায়ী। ১৮. আল্লাহর মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ তো তারাই করবে যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি ঈমান আনে, সালাত প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত আদায় করে আর আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ভয় করে না। আশা করা যায়, তারাই হবে সঠিক পথ প্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত।” [সূরা আত-তাওবাহ্: ১৭-১৮]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/344/4
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।