hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সূরা আত-তাওবার তাফসীর

লেখকঃ জাকেরুল্লাহ আবুল খায়ের

ভূমিকা
﴿بَرَآءَةٞ مِّنَ ٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦٓ إِلَى ٱلَّذِينَ عَٰهَدتُّم مِّنَ ٱلۡمُشۡرِكِينَ ١ فَسِيحُواْ فِي ٱلۡأَرۡضِ أَرۡبَعَةَ أَشۡهُرٖ وَٱعۡلَمُوٓاْ أَنَّكُمۡ غَيۡرُ مُعۡجِزِي ٱللَّهِ وَأَنَّ ٱللَّهَ مُخۡزِي ٱلۡكَٰفِرِينَ ٢﴾ ] التوبة : ١، ٢ [

“১. মুশরিকদের মধ্যে যাদের সঙ্গে তোমরা সন্ধিচুক্তি করেছিলে, তাদের সাথে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের পক্ষ হতে সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা দেওয়া হল। ২. অতঃপর (হে কাফিরগণ!) চার মাস তোমরা জমিনে (ইচ্ছেমত) চলাফেরা করে নাও; আর জেনে রেখ যে, তোমরা আল্লাহকে অপারগ করতে পারবে না। আর নিশ্চয় আল্লাহ কাফেরদের লাঞ্ছিতকারী।” [সূরা আত-তাওবাহ: ১-২]

এই সম্মানিত সূরাটি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওপর শেষ দিকে অবতীর্ণ হওয়া সূরাগুলোর অন্যতম একটি সূরা। ইমাম বুখারী বর্ণনা করেন, বারা‘ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন: সর্বশেষ যে আয়াত অবতীর্ণ হয় তা হচ্ছে:

﴿يَسۡتَفۡتُونَكَ قُلِ ٱللَّهُ يُفۡتِيكُمۡ فِي ٱلۡكَلَٰلَةِۚ ١٧٦﴾ ] النساء : ١٧٦ [

“লোকেরা তোমার কাছে ফতওয়া জিজ্ঞেস করছে; বল, আল্লাহ তোমাদেরকে পিতা-মাতাহীন নিঃসন্তান ব্যক্তি সম্পর্কে ফতওয়া দিচ্ছেন।” [সূরা আন-নিসা: ১৭৬]

আর সর্বশেষ যে সূরা অবতীর্ণ হয় তা হচ্ছে সূরাআল-বারা’আহ (অর্থাৎ সূরা তাওবাহ)। এ সূরার প্রথমে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রহীম’ বলা হয় নি। কেননা, সাহাবীগণ সংগৃহীত কুরআনের পূর্ণাঙ্গ কপিতে তাঁরা এটা লিপিবদ্ধ করেন নি। এক্ষেত্রে তাঁরা উসমান ইবনু আফ্ফান রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর অনুসরণ করেন। এই সম্মানিত সূরার প্রথম দিকের অংশ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওপরে এমন সময় অবতীর্ণ হয় যখন তিনি তাবুকের অভিযান থেকে ফিরছিলেন। আর তাঁরা হজের মওসুমে ছিলেন, যে হজ পালন করতে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মনস্থ হন। কিন্তু তাঁকে জানানো হয় যে, মুশরিকরা তাদের অভ্যাসবশত এই বছরও হজে হাজির হবে আর উলঙ্গ হয়ে বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করবে। ফলে তিনি তাদের সাথে মিশে যাওয়াকে অপছন্দ করেন। তাই এ বৎসর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে হজের নেতা নিযুক্ত করে মক্কায় প্রেরণ করেন। যাতে তিনি হজের আচারানুষ্ঠানগুলো লোকদেরকে দেখিয়ে দেন আর মুশরিদেরকে জানিয়ে দেন যে, তারা এ বৎসরের পরে আর হজ করবে না এবং লোকদের মাঝে এ কথার ঘোষণা দেন - بَرَاءَةٌ مِنَ اللَّهِ وَرَسُولِهِ “আল্লাহ ও তাঁর রসূলের পক্ষ হতে সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা দেওয়া হল।”

এরপর আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু যখন মক্কায় চলে আসেন তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে প্রেরণ করেন; যাতে করে তিনি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পক্ষ থেকে (আরেকবার এ ঘোষণা) প্রচার করে দেন। কেননা তিনি ছিলেন তাঁর চাচাত ভাই। এর বর্ণনা শীঘ্রই আসছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন