HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেভাবে পবিত্রতা অর্জন করতেন
লেখকঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইবন আব্দুল আযীয আল-মাদানী
আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর সুদৃঢ় বিশ্বাস স্থাপনের পরপরই ইসলামের দ্বিতীয় রুকন ও বিধান হচ্ছে সালাত। এটি ইসলামের বিশেষ স্তম্ভ। সালাত নবীদের ভূষণ ও নেককারদের অলঙ্কার, বান্দা ও প্রভুর মাঝে গভীর সংযোগ স্থাপনকারী, অপরাধ ও অপকর্ম থেকে হিফাযতকারী। তবে বাহ্যিক ও আভ্যন্তরীণ অপবিত্রতা থেকে যথাসাধ্য পবিত্রতা অর্জন ছাড়া কোনো সালাতই আল্লাহ তা‘আলার দরবারে গ্রহণযোগ্য নয়। এ কারণেই পবিত্রতার ব্যাপারটি ইসলামী শরী‘আতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অত্র গ্রন্থে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেভাবে পবিত্রতা অর্জন করতেন তার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।
الْـحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ، وَالصَّلاَةُ وَالسَّلاَمُ عَلَى نَبِيِّنَا مُحَمَّدٍ وَّعَلَى آلِهِ وَصَحَابَتِهِ وَالتَّابِعِيْنَ لـَهُمْ بِإِحْسَانٍ إِلَى يَوْمِ الدِّيْنِ .
সকল প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার জন্য যিনি সর্বজগতের রব। সালাত ও সালাম আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, তাঁর পরিবারবর্গ, সাহাবীগণ ও তা কিয়ামত আগত সকল অনুসারীদের ওপর।
মূলত ধর্মীয় জ্ঞানার্জন সর্বোৎকৃষ্ট কর্ম ও সর্বাধিক কল্যাণকর কাজ।
মু‘আবিয়া রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«مَنْ يُرِدِ اللهُ بِهِ خَيْرًا يُفَقِّهْهُ فِي الدِّيْنِ» .
“আল্লাহ তা‘আলা যার সাথে কল্যাণের ইচ্ছে করেন তাকেই তিনি ধর্মীয় জ্ঞান দান করেন। কারণ, সঠিক ধর্মীয় জ্ঞানের ওপরই একমাত্র পুণ্যময় কর্ম নির্ভরশীল”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৭১, ৩১১৬ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১০৩৭।]
আল্লাহ তা‘আলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কল্যাণকর জ্ঞান ও পুণ্যময় কর্মসহ দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। তিনি বলেন,
﴿هُوَ ٱلَّذِيٓ أَرۡسَلَ رَسُولَهُۥ بِٱلۡهُدَىٰ وَدِينِ ٱلۡحَقِّ﴾ [ التوبة : ٣٣ ]
“তিনিই আল্লাহ যিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কল্যাণকর জ্ঞান ও পুণ্যময় কর্মসহ দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন”। [সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ৩৩]
আল্লাহ তা‘আলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তাঁর নিকট জ্ঞান বর্ধনের প্রার্থনা করতে আদেশ করেন। তিনি বলেন,
﴿وَقُل رَّبِّ زِدۡنِي عِلۡمٗا﴾ [ طه : ١١٤ ]
“আপনি বলুন! হে আমার রব! আপনি আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন”। [সূরা ত্বা-হা, আয়াত: ১১৪]
উক্ত আয়াত ধর্মীয় জ্ঞানার্জন সর্বোৎকৃষ্ট কর্ম হওয়ার সুস্পষ্ট প্রমাণ। কারণ, আল্লাহ তা‘আলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে শুধু জ্ঞান বৃদ্ধির জন্যই দো‘আ করতে আদেশ করেন, অন্য কিছুর জন্যে নয়।
অন্য দিকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিক্ষার মজলিসকে জান্নাতের বাগান এবং আলিম সম্প্রদায়কে নবীগণের ওয়ারিশ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
এ কথা সবারই জানা যে, যে কোনো কাজ করার পূর্বে সর্বপ্রথম সে কাজটি বিশুদ্ধরূপে কীভাবে সম্পাদন করা সম্ভব সে পদ্ধতি অবশ্যই জেনে নিতে হয়। নতুবা সে কাজটি সঠিকভাবে আদায় করা তদুপরি অভীষ্ট লক্ষ্যে উপনীত হওয়া কখনোই সম্ভবপর হয় না। যদি এ হয় সাধারণ কাজের কথা তাহলে কোনো ইবাদাত যার ওপর জাহান্নাম থেকে নিষ্কৃতি ও জান্নাত লাভ নির্ভর করে তা কী করে ধর্মীয় জ্ঞান ছাড়া সঠিকভাবে সম্পাদন করা সম্ভবপর হবে। অবশ্যই তা অসম্ভব। অতএব, এ দৃষ্টিকোণ থেকে মানুষ তিন ভাগে বিভক্ত:
১. যারা লাভজনক শিক্ষা ও পুণ্যময় কর্মের মাঝে সমন্বয় সাধন করতে পেরেছে। এরাই সত্যিকারার্থে নবী, চির সত্যবাদী, শহীদ ও পুণ্যবান লোকদের পথে উপনীত।
২. যারা লাভজনক শিক্ষা গ্রহণ করেছে ঠিকই; অথচ তদনুযায়ী আমল করছে না। এরাই হচ্ছে আল্লাহ তা‘আলার রোষানলে পতিত ইয়াহূদীদের একান্ত সহচর।
৩. যারা সঠিক জ্ঞান বহির্ভূত আমল করে থাকে। এরাই হচ্ছে পথভ্রষ্ট খ্রিস্টানদের একান্ত অনুগামী।
উক্ত দলগুলোর কথা আল্লাহ তা‘আলা কুরআন মাজীদে উল্লেখ করেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ٱهۡدِنَا ٱلصِّرَٰطَ ٱلۡمُسۡتَقِيمَ ٦ صِرَٰطَ ٱلَّذِينَ أَنۡعَمۡتَ عَلَيۡهِمۡ غَيۡرِ ٱلۡمَغۡضُوبِ عَلَيۡهِمۡ وَلَا ٱلضَّآلِّينَ ٧﴾ [ الفاتحة : ٦، ٧ ]
“(হে আল্লাহ!) আপনি আমাদেরকে সঠিক পথ প্রদর্শন করুন। তাদের পথ যাদের প্রতি আপনি অনুগ্রহ করেছেন। ওদের পথ নয় যাদের ওপর আপনি রোষান্বিত ও যারা পথভ্রষ্ট”। [সূরা আল-ফাতিহা, আয়াত: ৬-৭]
সর্বজন শ্রদ্ধেয় যুগ সংস্কারক শাইখ মুহাম্মাদ ইবন আব্দুল ওয়াহ্হাব রহ. বলেন,
وَأَمَّا قَوْلُهُ تَعَالَى : ﴿غَيۡرِ ٱلۡمَغۡضُوبِ عَلَيۡهِمۡ وَلَا ٱلضَّآلِّينَ﴾ فَالْـمَغْضُوْبُ عَلَيْهِمْ هُمُ الْعُلَمَاءُ الَّذِيْنَ لَمْ يَعْمَلُوْا بِعِلْمِهِمْ، وَالضَّالُّوْنَ الْعَامِلُوْنَ بِلاَ عِلْمٍ ؛ فَالأَوَّلُ صِفَةُ الْيَهُوْدِ وَالثَّانِيْ صِفَةُ النَّصَارَى، وَكَثِيْرٌ مِنَ النَّاسِ إِذَا رَأَى فِيْ التَّفْسِيْرِ أَنَّ الْيَهُوْدَ مَغْضُوْبٌ عَلَيْهِمْ وَأَنَّ النَّصَارَى ضَالُّوْنَ ظَنَّ الْـجَاهِلُ أَنَّ ذَلِكَ مَخْصُوْصٌ بِهِمْ وَهُوَ يَقْرَأُ أَنَّ رَبَّهُ فَارِضٌ عَلَيْهِ أَنْ يَّدْعُوَ بِهَذَا الدُّعَاءِ وَيَتَعَوَّذَ مِنْ طَرِيْقِ أَهْلِ هَذِهِ الصِّفَاتِ !! فَيَا سُبْحَانَ اللهِ ! كَيْفَ يُعَلِّمُهُ اللهُ وَيَخْتَارُ لَهُ وَيَفْرِضُ عَلَيْهِ أَنْ يَّدْعُوَ رَبَّهُ دَائِمًا مَعَ أَنَّهُ لاَ حَذَرَ عَلَيْهِ مِنْهُ وَلاَ يَتَصَوَّرُ أَنَّ فِعْلَهُ هَذَا هُوَ ظَنُّ السُّوْءِ بِاللهِ !.
“উক্ত আয়াতে “মাগযুব ‘আলাইহিম” বলতে সে সকল আলিমদেরকে বুঝানো হচ্ছে যারা অর্জিত জ্ঞান মাফিক আমল করে না। আর “যাল্লীন” বলতে জ্ঞান বিহীন আমলকারীদেরকে বুঝানো হচ্ছে। প্রথম বৈশিষ্ট্য ইয়াহূদীদের আর দ্বিতীয় বৈশিষ্ট্য খ্রিস্টানদের। অনেকেই যখন তাফসীর পড়ে বুঝতে পারেন যে, ইয়াহূদীরাই হচ্ছে আল্লাহ তা‘আলার রোষানলে পতিত আর খ্রিস্টানরাই হচ্ছে পথভ্রষ্ট তখন তারা মূর্খতাবশতঃ এটাই ভাবেন যে, উক্ত বৈশিষ্ট্যদ্বয় শুধু ওদের মধ্যেই সীমিত; অথচ তাদের এতটুকুও বোধোদয় হয় না যে, তাই যদি হতো তা হলে আল্লাহ তা‘আলা কেন সালাতের প্রতিটি রাকাতে ওদের বৈশিষ্ট্যদ্বয় থেকে নিষ্কৃতি চাওয়া ফরয করে দিয়েছেন। সত্যিই তাদের এ রকম ধারণা আল্লাহ তা‘আলার প্রতি চরম কুধারণার শামিল”।
উক্ত আলোচনা থেকে যখন আমরা লাভজনক জ্ঞানের অপরিহার্যতা অনুধাবন করতে পেরেছি তখন আমাদের জানা উচিত যে, এ জাতীয় জ্ঞানের সঠিক সন্ধান কোথায় মেলা সম্ভব। সত্যিকারার্থে তা কুরআন ও হাদীসের পরতে পরতে লুক্কায়িত রয়েছে। তবে তা একমাত্র সহযোগী জ্ঞান ও হক্কানী আলিম সম্প্রদায়ের মাধ্যমেই অর্জন করতে হয়।
তবে একটি কথা বিশেষভাবে স্মরণ রাখতে হবে যে, আমলের ওপরই ইলমের প্রবৃদ্ধি নির্ভরশীল। যতই আমল করবে ততই জ্ঞান বাড়বে। বলা হয়, যে ব্যক্তি অর্জিত জ্ঞানানুযায়ী আমল করবে আল্লাহ তা‘আলা তাকে এমন কিছু জ্ঞান দান করবেন যা সে পূর্বে অর্জন করে নি।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَۖ وَيُعَلِّمُكُمُ ٱللَّهُۗ وَٱللَّهُ بِكُلِّ شَيۡءٍ عَلِيمٞ﴾ [ البقرة : ٢٨٢ ]
“তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। তিনি তোমাদেরকে জ্ঞান দান করবেন, তিনি সর্বজ্ঞ”। [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ২৮২]
আল্লাহ তা‘আলা আমলকারী আলিমদের মর্যাদা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন,
﴿يَرۡفَعِ ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ مِنكُمۡ وَٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡعِلۡمَ دَرَجَٰتٖۚ وَٱللَّهُ بِمَا تَعۡمَلُونَ خَبِيرٞ﴾ [ المجادلة : ١١ ]
“আল্লাহ তা‘আলা মুমিন ও জ্ঞানীদের মর্যাদা বাড়িয়ে দেন। তিনি তোমাদের কর্ম সম্পর্কে সবিশেষ অবহিত”। [সূরা আল-মুজাদালাহ, আয়াত: ১১]
আল্লাহ তা‘আলা জ্ঞানী মুমিনদের মর্যাদা বর্ণনা করে ক্ষান্ত হননি বরং তিনি আমাদের কর্ম সম্পর্কে তাঁর পূর্ণাবগতির সংবাদ দিয়ে এটাই বুঝাতে চাচ্ছেন যে, শুধু জ্ঞানই যথেষ্ট নয় বরং আমলও একান্ত প্রয়োজনীয়। আর তা জ্ঞান ও ঈমানের ঘনিষ্ঠ সংমিশ্রণের মাধ্যমেই একমাত্র সম্ভব।
বিশুদ্ধ জ্ঞান সঞ্চার ও গ্রহণযোগ্য আমলের পথ সুগম করার মানসেই এ পুস্তিকাটির সংকলন। সাধ্যমত নির্ভুলতার প্রতি লক্ষ্য রাখা হয়েছে। এরপরও সচেতন পাঠকের চোখে নিশ্চিত কোনো ভুল ধরা পড়লে সরাসরি লেখকের কর্ণগোচর করলে অধিক খুশি হবো। এ পুস্তক পাঠে কারোর সামান্যটুকুও উপকার হলে তখনই আমার শ্রম সার্থক হবে।
نَسْأَلُ اللهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى أَنْ يُّمِدَّنَا وَإِيَّاكَ بِالْعِلْمِ النَّافِعِ، وَيُوَفِّقَنَا لِلْعَمَلِ الصَّالِحِ، كَمَا نَسْأَلُهُ سُبْحَانَهُ أَنْ يُّرِيَنَا الْحَقَّ حَقًّا وَيَرْزُقَنَا اتِّبَاعَهُ، وَيُرِيَنَا الْبَاطِلَ بَاطِلًا وَيَرْزُقَنَا اجْتِنَابَهُ، إِنَّهُ سَمِيْعٌ مُجِيْبٌ، وَصَلَّى اللهُ عَلَى نَبِيِّنَا مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِهِ وَصَحْبِهِ أَجْمَعِيْنَ .
সকল প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার জন্য যিনি সর্বজগতের রব। সালাত ও সালাম আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, তাঁর পরিবারবর্গ, সাহাবীগণ ও তা কিয়ামত আগত সকল অনুসারীদের ওপর।
মূলত ধর্মীয় জ্ঞানার্জন সর্বোৎকৃষ্ট কর্ম ও সর্বাধিক কল্যাণকর কাজ।
মু‘আবিয়া রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«مَنْ يُرِدِ اللهُ بِهِ خَيْرًا يُفَقِّهْهُ فِي الدِّيْنِ» .
“আল্লাহ তা‘আলা যার সাথে কল্যাণের ইচ্ছে করেন তাকেই তিনি ধর্মীয় জ্ঞান দান করেন। কারণ, সঠিক ধর্মীয় জ্ঞানের ওপরই একমাত্র পুণ্যময় কর্ম নির্ভরশীল”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৭১, ৩১১৬ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১০৩৭।]
আল্লাহ তা‘আলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কল্যাণকর জ্ঞান ও পুণ্যময় কর্মসহ দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। তিনি বলেন,
﴿هُوَ ٱلَّذِيٓ أَرۡسَلَ رَسُولَهُۥ بِٱلۡهُدَىٰ وَدِينِ ٱلۡحَقِّ﴾ [ التوبة : ٣٣ ]
“তিনিই আল্লাহ যিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কল্যাণকর জ্ঞান ও পুণ্যময় কর্মসহ দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন”। [সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ৩৩]
আল্লাহ তা‘আলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তাঁর নিকট জ্ঞান বর্ধনের প্রার্থনা করতে আদেশ করেন। তিনি বলেন,
﴿وَقُل رَّبِّ زِدۡنِي عِلۡمٗا﴾ [ طه : ١١٤ ]
“আপনি বলুন! হে আমার রব! আপনি আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন”। [সূরা ত্বা-হা, আয়াত: ১১৪]
উক্ত আয়াত ধর্মীয় জ্ঞানার্জন সর্বোৎকৃষ্ট কর্ম হওয়ার সুস্পষ্ট প্রমাণ। কারণ, আল্লাহ তা‘আলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে শুধু জ্ঞান বৃদ্ধির জন্যই দো‘আ করতে আদেশ করেন, অন্য কিছুর জন্যে নয়।
অন্য দিকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিক্ষার মজলিসকে জান্নাতের বাগান এবং আলিম সম্প্রদায়কে নবীগণের ওয়ারিশ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
এ কথা সবারই জানা যে, যে কোনো কাজ করার পূর্বে সর্বপ্রথম সে কাজটি বিশুদ্ধরূপে কীভাবে সম্পাদন করা সম্ভব সে পদ্ধতি অবশ্যই জেনে নিতে হয়। নতুবা সে কাজটি সঠিকভাবে আদায় করা তদুপরি অভীষ্ট লক্ষ্যে উপনীত হওয়া কখনোই সম্ভবপর হয় না। যদি এ হয় সাধারণ কাজের কথা তাহলে কোনো ইবাদাত যার ওপর জাহান্নাম থেকে নিষ্কৃতি ও জান্নাত লাভ নির্ভর করে তা কী করে ধর্মীয় জ্ঞান ছাড়া সঠিকভাবে সম্পাদন করা সম্ভবপর হবে। অবশ্যই তা অসম্ভব। অতএব, এ দৃষ্টিকোণ থেকে মানুষ তিন ভাগে বিভক্ত:
১. যারা লাভজনক শিক্ষা ও পুণ্যময় কর্মের মাঝে সমন্বয় সাধন করতে পেরেছে। এরাই সত্যিকারার্থে নবী, চির সত্যবাদী, শহীদ ও পুণ্যবান লোকদের পথে উপনীত।
২. যারা লাভজনক শিক্ষা গ্রহণ করেছে ঠিকই; অথচ তদনুযায়ী আমল করছে না। এরাই হচ্ছে আল্লাহ তা‘আলার রোষানলে পতিত ইয়াহূদীদের একান্ত সহচর।
৩. যারা সঠিক জ্ঞান বহির্ভূত আমল করে থাকে। এরাই হচ্ছে পথভ্রষ্ট খ্রিস্টানদের একান্ত অনুগামী।
উক্ত দলগুলোর কথা আল্লাহ তা‘আলা কুরআন মাজীদে উল্লেখ করেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ٱهۡدِنَا ٱلصِّرَٰطَ ٱلۡمُسۡتَقِيمَ ٦ صِرَٰطَ ٱلَّذِينَ أَنۡعَمۡتَ عَلَيۡهِمۡ غَيۡرِ ٱلۡمَغۡضُوبِ عَلَيۡهِمۡ وَلَا ٱلضَّآلِّينَ ٧﴾ [ الفاتحة : ٦، ٧ ]
“(হে আল্লাহ!) আপনি আমাদেরকে সঠিক পথ প্রদর্শন করুন। তাদের পথ যাদের প্রতি আপনি অনুগ্রহ করেছেন। ওদের পথ নয় যাদের ওপর আপনি রোষান্বিত ও যারা পথভ্রষ্ট”। [সূরা আল-ফাতিহা, আয়াত: ৬-৭]
সর্বজন শ্রদ্ধেয় যুগ সংস্কারক শাইখ মুহাম্মাদ ইবন আব্দুল ওয়াহ্হাব রহ. বলেন,
وَأَمَّا قَوْلُهُ تَعَالَى : ﴿غَيۡرِ ٱلۡمَغۡضُوبِ عَلَيۡهِمۡ وَلَا ٱلضَّآلِّينَ﴾ فَالْـمَغْضُوْبُ عَلَيْهِمْ هُمُ الْعُلَمَاءُ الَّذِيْنَ لَمْ يَعْمَلُوْا بِعِلْمِهِمْ، وَالضَّالُّوْنَ الْعَامِلُوْنَ بِلاَ عِلْمٍ ؛ فَالأَوَّلُ صِفَةُ الْيَهُوْدِ وَالثَّانِيْ صِفَةُ النَّصَارَى، وَكَثِيْرٌ مِنَ النَّاسِ إِذَا رَأَى فِيْ التَّفْسِيْرِ أَنَّ الْيَهُوْدَ مَغْضُوْبٌ عَلَيْهِمْ وَأَنَّ النَّصَارَى ضَالُّوْنَ ظَنَّ الْـجَاهِلُ أَنَّ ذَلِكَ مَخْصُوْصٌ بِهِمْ وَهُوَ يَقْرَأُ أَنَّ رَبَّهُ فَارِضٌ عَلَيْهِ أَنْ يَّدْعُوَ بِهَذَا الدُّعَاءِ وَيَتَعَوَّذَ مِنْ طَرِيْقِ أَهْلِ هَذِهِ الصِّفَاتِ !! فَيَا سُبْحَانَ اللهِ ! كَيْفَ يُعَلِّمُهُ اللهُ وَيَخْتَارُ لَهُ وَيَفْرِضُ عَلَيْهِ أَنْ يَّدْعُوَ رَبَّهُ دَائِمًا مَعَ أَنَّهُ لاَ حَذَرَ عَلَيْهِ مِنْهُ وَلاَ يَتَصَوَّرُ أَنَّ فِعْلَهُ هَذَا هُوَ ظَنُّ السُّوْءِ بِاللهِ !.
“উক্ত আয়াতে “মাগযুব ‘আলাইহিম” বলতে সে সকল আলিমদেরকে বুঝানো হচ্ছে যারা অর্জিত জ্ঞান মাফিক আমল করে না। আর “যাল্লীন” বলতে জ্ঞান বিহীন আমলকারীদেরকে বুঝানো হচ্ছে। প্রথম বৈশিষ্ট্য ইয়াহূদীদের আর দ্বিতীয় বৈশিষ্ট্য খ্রিস্টানদের। অনেকেই যখন তাফসীর পড়ে বুঝতে পারেন যে, ইয়াহূদীরাই হচ্ছে আল্লাহ তা‘আলার রোষানলে পতিত আর খ্রিস্টানরাই হচ্ছে পথভ্রষ্ট তখন তারা মূর্খতাবশতঃ এটাই ভাবেন যে, উক্ত বৈশিষ্ট্যদ্বয় শুধু ওদের মধ্যেই সীমিত; অথচ তাদের এতটুকুও বোধোদয় হয় না যে, তাই যদি হতো তা হলে আল্লাহ তা‘আলা কেন সালাতের প্রতিটি রাকাতে ওদের বৈশিষ্ট্যদ্বয় থেকে নিষ্কৃতি চাওয়া ফরয করে দিয়েছেন। সত্যিই তাদের এ রকম ধারণা আল্লাহ তা‘আলার প্রতি চরম কুধারণার শামিল”।
উক্ত আলোচনা থেকে যখন আমরা লাভজনক জ্ঞানের অপরিহার্যতা অনুধাবন করতে পেরেছি তখন আমাদের জানা উচিত যে, এ জাতীয় জ্ঞানের সঠিক সন্ধান কোথায় মেলা সম্ভব। সত্যিকারার্থে তা কুরআন ও হাদীসের পরতে পরতে লুক্কায়িত রয়েছে। তবে তা একমাত্র সহযোগী জ্ঞান ও হক্কানী আলিম সম্প্রদায়ের মাধ্যমেই অর্জন করতে হয়।
তবে একটি কথা বিশেষভাবে স্মরণ রাখতে হবে যে, আমলের ওপরই ইলমের প্রবৃদ্ধি নির্ভরশীল। যতই আমল করবে ততই জ্ঞান বাড়বে। বলা হয়, যে ব্যক্তি অর্জিত জ্ঞানানুযায়ী আমল করবে আল্লাহ তা‘আলা তাকে এমন কিছু জ্ঞান দান করবেন যা সে পূর্বে অর্জন করে নি।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَۖ وَيُعَلِّمُكُمُ ٱللَّهُۗ وَٱللَّهُ بِكُلِّ شَيۡءٍ عَلِيمٞ﴾ [ البقرة : ٢٨٢ ]
“তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। তিনি তোমাদেরকে জ্ঞান দান করবেন, তিনি সর্বজ্ঞ”। [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ২৮২]
আল্লাহ তা‘আলা আমলকারী আলিমদের মর্যাদা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন,
﴿يَرۡفَعِ ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ مِنكُمۡ وَٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡعِلۡمَ دَرَجَٰتٖۚ وَٱللَّهُ بِمَا تَعۡمَلُونَ خَبِيرٞ﴾ [ المجادلة : ١١ ]
“আল্লাহ তা‘আলা মুমিন ও জ্ঞানীদের মর্যাদা বাড়িয়ে দেন। তিনি তোমাদের কর্ম সম্পর্কে সবিশেষ অবহিত”। [সূরা আল-মুজাদালাহ, আয়াত: ১১]
আল্লাহ তা‘আলা জ্ঞানী মুমিনদের মর্যাদা বর্ণনা করে ক্ষান্ত হননি বরং তিনি আমাদের কর্ম সম্পর্কে তাঁর পূর্ণাবগতির সংবাদ দিয়ে এটাই বুঝাতে চাচ্ছেন যে, শুধু জ্ঞানই যথেষ্ট নয় বরং আমলও একান্ত প্রয়োজনীয়। আর তা জ্ঞান ও ঈমানের ঘনিষ্ঠ সংমিশ্রণের মাধ্যমেই একমাত্র সম্ভব।
বিশুদ্ধ জ্ঞান সঞ্চার ও গ্রহণযোগ্য আমলের পথ সুগম করার মানসেই এ পুস্তিকাটির সংকলন। সাধ্যমত নির্ভুলতার প্রতি লক্ষ্য রাখা হয়েছে। এরপরও সচেতন পাঠকের চোখে নিশ্চিত কোনো ভুল ধরা পড়লে সরাসরি লেখকের কর্ণগোচর করলে অধিক খুশি হবো। এ পুস্তক পাঠে কারোর সামান্যটুকুও উপকার হলে তখনই আমার শ্রম সার্থক হবে।
نَسْأَلُ اللهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى أَنْ يُّمِدَّنَا وَإِيَّاكَ بِالْعِلْمِ النَّافِعِ، وَيُوَفِّقَنَا لِلْعَمَلِ الصَّالِحِ، كَمَا نَسْأَلُهُ سُبْحَانَهُ أَنْ يُّرِيَنَا الْحَقَّ حَقًّا وَيَرْزُقَنَا اتِّبَاعَهُ، وَيُرِيَنَا الْبَاطِلَ بَاطِلًا وَيَرْزُقَنَا اجْتِنَابَهُ، إِنَّهُ سَمِيْعٌ مُجِيْبٌ، وَصَلَّى اللهُ عَلَى نَبِيِّنَا مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِهِ وَصَحْبِهِ أَجْمَعِيْنَ .
আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর সুদৃঢ় বিশ্বাস স্থাপনের পরপরই ইসলামের দ্বিতীয় রুকন ও বিধান হচ্ছে সালাত। একমাত্র সালাতই হচ্ছে মুসলিম ও অমুসলিমের মাঝে সুস্পষ্ট পার্থক্য বিধানকারী। ইসলামের বিশেষ স্তম্ভ। সর্বপ্রথম বস্তু যা দিয়েই কিয়ামতের দিবসে বান্দার হিসাব-নিকাশ শুরু করা হবে। তা বিশুদ্ধ তথা গ্রহণযোগ্য প্রমাণিত হলে বান্দার সকল আমলই গ্রহণযোগ্য বলে প্রমাণিত হবে। নতুবা নয়। সালাতের বিষয়টি কুরআন মাজীদে অনেক জায়গায় অনেকভাবেই আলোচিত হয়েছে। কখনো সালাত প্রতিষ্ঠার আদেশ দেওয়া হয়েছে। আবার কখনো এর মর্যাদা বর্ণিত হয়েছে। তেমনিভাবে কখনো এটির সাওয়াব ও পুণ্যের বিবরণ দেওয়া হয়েছে। আবার কখনো মানুষের জীবনে আকস্মিকভাবে আগতসমূহ বিপদাপদ সহজভাবে মেনে নেওয়ার জন্য সালাত ও ধৈর্যের সহযোগিতা নেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে। এ জন্যই এ সালাত সর্বদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অন্তরাত্মাকে সম্পূর্ণভাবে শীতল করে দিতো। তাই বলতে হয়, সালাত নবীদের ভূষণ ও নেককারদের অলঙ্কার, বান্দা ও প্রভুর মাঝে গভীর সংযোগ স্থাপনকারী, অপরাধ ও অপকর্ম থেকে হিফাযতকারী।
তবে বাহ্যিক ও আভ্যন্তরীণ অপবিত্রতা থেকে যথাসাধ্য পবিত্রতা অর্জন ছাড়া কোনো সালাতই আল্লাহ তা‘আলার দরবারে গ্রহণযোগ্য নয়। এ কারণেই পবিত্রতার ব্যাপারটি ইসলামী শরী‘আতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তবে বাহ্যিক ও আভ্যন্তরীণ অপবিত্রতা থেকে যথাসাধ্য পবিত্রতা অর্জন ছাড়া কোনো সালাতই আল্লাহ তা‘আলার দরবারে গ্রহণযোগ্য নয়। এ কারণেই পবিত্রতার ব্যাপারটি ইসলামী শরী‘আতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আভিধানিক অর্থে পবিত্রতা বলতে দৃশ্য অদৃশ্য সকল ময়লা আবর্জনা থেকে পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন হওয়াকে বুঝানো হয়। শরী‘আতের পরিভাষায় পবিত্রতা বলতে যে কোনো ভাবে দৃশ্যমান ময়লা আবর্জনা সাফাই এবং মাটি বা পানি কর্তৃক বিধানগত অপবিত্রতা থেকে নিষ্কৃতি পাওয়াকে বুঝানো হয়। মূলকথা, শরী‘আতের পরিভাষায় পবিত্রতা বলতে সাধারণত সালাত, কুরআন তিলাওয়াত ইত্যাদি ইবাদতকর্ম সম্পাদনে প্রতিবন্ধক অপবিত্রতা থেকে নিষ্কৃতি পাওয়াকে বুঝানো হয়।
অদৃশ্য পবিত্রতা বলতে শির্ক ও সকল পাপ থেকে নিষ্কৃতি পাওয়াকে বুঝানো হয়। শির্ক থেকে মুক্তি তাওহীদ বাস্তবায়নের মাধ্যমে এবং পাপ থেকে মুক্তি পুণ্যময় কর্মসম্পাদনের মাধ্যমেই সম্ভব। মূলতঃ অদৃশ্য পবিত্রতা দৃশ্যময় পবিত্রতার চাইতে অনেক অনেক গুণ বেশী গুরুত্বপূর্ণ। বরং বলতে হয় : শির্ক বিদ্যমান থাকাবস্থায় কোনোভাবেই শারীরিক পবিত্রতার্জন সম্ভবপর নয়।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿إِنَّمَا ٱلۡمُشۡرِكُونَ نَجَسٞ﴾ [ التوبة : ٢٨ ]
“মুশরিকরা একেবারেই অপবিত্র”। [সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ২৮]
এর বিপরীতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِنَّ الْـمُؤْمِنَ لاَيَنْجُسُ»
“ঈমানদার ব্যক্তি সত্যিকারার্থে কখনোই একেবারে অপবিত্র হতে পারে না”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৮৩; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৭১।]
তাই প্রতিটি মুসলিমের কর্তব্য, নিজ অন্তরাত্মাকে শির্ক ও সন্দেহের পঙ্কিলতা থেকে মুক্ত করা। আর তা একমাত্র সম্ভব আল্লাহতে দৃঢ় বিশ্বাস, একনিষ্ঠতা ও তাওহীদ বাস্তবায়নের মাধ্যমে। তেমনিভাবে নিজ অন্তঃকরণকে হিংসা-বিদ্বেষ, শত্রুতা, ফাঁকি-ধাপ্পাবাজি, দেমাগ-আত্মগরিমা, আত্মশ্লাঘা তথা আত্মপ্রশংসা এবং যে কোনো পুণ্যময় কর্ম অন্যকে দেখিয়ে বা শুনিয়ে করার প্রবণতা জাতীয় পাপ-পঙ্কিলতা থেকে নিজকে পরিচ্ছন্নকরণ প্রতিটি মুসলমানের একান্ত কর্তব্য। আর তা একমাত্র সম্ভব সকল গুনাহ থেকে সত্যিকার তাওবার মাধ্যমে। ঈমানের দু’টি অঙ্গের এটিই হচ্ছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। আর অন্যটি হচ্ছে বাহ্যিক পবিত্রতা।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿إِنَّمَا ٱلۡمُشۡرِكُونَ نَجَسٞ﴾ [ التوبة : ٢٨ ]
“মুশরিকরা একেবারেই অপবিত্র”। [সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ২৮]
এর বিপরীতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِنَّ الْـمُؤْمِنَ لاَيَنْجُسُ»
“ঈমানদার ব্যক্তি সত্যিকারার্থে কখনোই একেবারে অপবিত্র হতে পারে না”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৮৩; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৭১।]
তাই প্রতিটি মুসলিমের কর্তব্য, নিজ অন্তরাত্মাকে শির্ক ও সন্দেহের পঙ্কিলতা থেকে মুক্ত করা। আর তা একমাত্র সম্ভব আল্লাহতে দৃঢ় বিশ্বাস, একনিষ্ঠতা ও তাওহীদ বাস্তবায়নের মাধ্যমে। তেমনিভাবে নিজ অন্তঃকরণকে হিংসা-বিদ্বেষ, শত্রুতা, ফাঁকি-ধাপ্পাবাজি, দেমাগ-আত্মগরিমা, আত্মশ্লাঘা তথা আত্মপ্রশংসা এবং যে কোনো পুণ্যময় কর্ম অন্যকে দেখিয়ে বা শুনিয়ে করার প্রবণতা জাতীয় পাপ-পঙ্কিলতা থেকে নিজকে পরিচ্ছন্নকরণ প্রতিটি মুসলমানের একান্ত কর্তব্য। আর তা একমাত্র সম্ভব সকল গুনাহ থেকে সত্যিকার তাওবার মাধ্যমে। ঈমানের দু’টি অঙ্গের এটিই হচ্ছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। আর অন্যটি হচ্ছে বাহ্যিক পবিত্রতা।
দৃশ্যমান পবিত্রতা বলতে বাহ্যিক এবং আভ্যন্তরীণ অপবিত্রতা থেকে পবিত্রতা অর্জনকে বুঝানো হয়। আর এটিই হচ্ছে ঈমানের দ্বিতীয় অঙ্গ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«الطُّهُوْرُ شَطْرُ الإِيْمَاْنِ»
“পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২২৩।]
আর তা অবাহ্য নাপাকী থেকে পবিত্রতা অর্জনের মানসে অযু, গোসল বা তায়াম্মুম এবং শরীর, পোষাক, সালাতের জায়গা ইত্যাদি থেকে বাহ্যিক নাপাকী দূরীকরণের মাধ্যমেই সংঘটিত হয়ে থাকে।
«الطُّهُوْرُ شَطْرُ الإِيْمَاْنِ»
“পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২২৩।]
আর তা অবাহ্য নাপাকী থেকে পবিত্রতা অর্জনের মানসে অযু, গোসল বা তায়াম্মুম এবং শরীর, পোষাক, সালাতের জায়গা ইত্যাদি থেকে বাহ্যিক নাপাকী দূরীকরণের মাধ্যমেই সংঘটিত হয়ে থাকে।
পানি কর্তৃক পবিত্রতা অর্জনই হচ্ছে মৌলিক তথা সর্বপ্রধান। সাধারণতঃ আকাশ থেকে অবতীর্ণ এবং ভূমি থেকে উদ্গত অবিমিশ্র সকল পানি পবিত্র। তা সব ধরনের বাহ্যিক এবং আভ্যন্তরীণ অপবিত্রতা দূরীকরণে সক্ষম। যদিও কোনো পবিত্র বস্তুর সংমিশ্রণে উহার রং, ঘ্রাণ বা স্বাদ বদলে যায়।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِنَّ الْـمَاءَ طَهُوْرٌ لاَيُنَجِّسُهُ شَيْءٌ» .
“নিশ্চয় পানি পবিত্র ও পবিত্রতা বিধানকারী। কোনো বস্তু উহাকে অপবিত্র করতে পারে না”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৬৭; তিরমিযী, হাদীস নং ৬৬; নাসাঈ, হাদীস নং ৩২৫।]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِنَّ الْـمَاءَ طَهُوْرٌ لاَيُنَجِّسُهُ شَيْءٌ» .
“নিশ্চয় পানি পবিত্র ও পবিত্রতা বিধানকারী। কোনো বস্তু উহাকে অপবিত্র করতে পারে না”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৬৭; তিরমিযী, হাদীস নং ৬৬; নাসাঈ, হাদীস নং ৩২৫।]
সালাতের জন্য পবিত্রতা অর্জন তথা অযু করা আবশ্যক। কারণ, অযু ব্যতীত সালাত আল্লাহর দরবারে কবুল হয় না।
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«لاَ تُقْبَلُ صَلاَةُ مَنْ أَحْدَثَ حَتَّى يَتَوَضَّأَ»
“অযু ভঙ্গকারীর সালাত গ্রহণযোগ্য হবে না যতক্ষণ না সে অযু করে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৩৫, ৬৯৫৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২২৫।]
আর অযুর জন্য পবিত্র পানির প্রয়োজন। তাই পানি সংক্রান্ত বিধানই আলোচনায় অগ্রাধিকার পায়।
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«لاَ تُقْبَلُ صَلاَةُ مَنْ أَحْدَثَ حَتَّى يَتَوَضَّأَ»
“অযু ভঙ্গকারীর সালাত গ্রহণযোগ্য হবে না যতক্ষণ না সে অযু করে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৩৫, ৬৯৫৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২২৫।]
আর অযুর জন্য পবিত্র পানির প্রয়োজন। তাই পানি সংক্রান্ত বিধানই আলোচনায় অগ্রাধিকার পায়।
পানির সাধারণ প্রকৃতি হচ্ছে পবিত্রতা। তাই পুকুর, নদী, খাল, বিল, কূপ, সাগর, বিগলিত বরফ, বৃষ্টি ইত্যাদির পানি পবিত্র।
আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হলো যে, আমরা বুযা‘আ কূপের পানি দ্বারা অযু করতে পারবো কি? তা এমন কূপ যাতে অপবিত্র বস্তু নিক্ষেপ করা হয়। তখন তিনি বললেন:
«الْـمَاءُ طَهُوْرٌ لاَ يُنَجِّسُهُ شَيْءٌ»
“পানি বলতেই তা পবিত্র ও পবিত্রতা বিধানকারী। কোনো বস্তু একে অপবিত্র করতে পারে না”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৬৬; তিরমিযী, হাদীস নং ৬৬।]
সমুদ্রের পানি সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«هُوَ الطَّهُوْرُ مَاؤُهُ، الْحِلُّ مَيْتَتُهُ»
“সমূদ্রের পানি পবিত্র ও পবিত্রতা বিধানকারী এবং উহার মৃত হালাল”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৮৩; তিরমিযী, হাদীস নং ৬৯; নাসাঈ, হাদীস নং ৩৩১; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৩৯২, ৩৯৩, ৩৯৪; আহমাদ ৭১৯২।]
তবে কোনো নাপাক বস্তু কর্তৃক পানির রং, ঘ্রাণ ও স্বাদের কোনো একটির পরিবর্তন ঘটলে তা নাপাক বলে পরিগণিত হবে। এ ব্যাপারে আলিমদের কোনো দ্বিমত নেই।
মূলতঃ কূপ, নদী ইত্যাদির পানি সর্বদা এজন্য পবিত্র কেননা উহার পানি দু’ ক্বুল্লা তথা ২২৭ লিটার থেকে ও বেশি। এজন্যই কোনো নাপাক বস্তু উহাকে অপবিত্র করতে পারে না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِذَا كَاْنَ الـْمَاْءُ قُلَّتَيْنِ لَمْ يَحْمِلِ الْـخَبَثَ»
“যদি পানি দু’ ক্বুল্লা তথা ২২৭ লিটার সমপরিমাণ হয় তাহলে উহা কোনো নাপাক বস্তু কর্তৃক অপবিত্র হবে না”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৬৩; তিরমিযী, হাদীস নং ৬৭; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৫২৩।]
তবে দু’ ক্বুল্লা থেকে কম হলে যে কোনো নাপাক বস্তু উহাকে অপবিত্র করে দেয়। এ জন্যই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«لاَ يَغْتَسِلْ أَحَدُكُمْ فِي الـْمَاْءِ الدَّائِمِ وَهُوَجُنُبٌ»
“তোমাদের কেউ জুনুবী অবস্থায় (অর্থাৎ যখন গোসল ফরয হয়) স্থির পানিতে গোসল করবে না”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৮৩।]
তিনি আরো বলেন,
«لاَ يَبُوْلَنَّ أَحَدُكُمْ فِي الـْمَاْءِ الدَّائِمِ الَّذِيْ لاَ يَجْرِيْ، ثُمَّ يَغْتَسِلُ فِيْهِ»
“তোমাদের কেউ স্থির পানিতে প্রস্রাব করবে না অতঃপর গোসল করবে না”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৩৯।]
তিনি আরো বলেন,
«لاَ يَبُوْلَنَّ أَحَدُكُمْ فِي الـْمَاءِ الدَّائِمِ، ثُمَّ يَتَوَضَّأُ مِنْهُ»
“তোমাদের কেউ স্থির পানিতে প্রস্রাব করবে না অতঃপর অযু করবে না”। [তিরমিযী, হাদীস নং ৬৮।]
আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হলো যে, আমরা বুযা‘আ কূপের পানি দ্বারা অযু করতে পারবো কি? তা এমন কূপ যাতে অপবিত্র বস্তু নিক্ষেপ করা হয়। তখন তিনি বললেন:
«الْـمَاءُ طَهُوْرٌ لاَ يُنَجِّسُهُ شَيْءٌ»
“পানি বলতেই তা পবিত্র ও পবিত্রতা বিধানকারী। কোনো বস্তু একে অপবিত্র করতে পারে না”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৬৬; তিরমিযী, হাদীস নং ৬৬।]
সমুদ্রের পানি সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«هُوَ الطَّهُوْرُ مَاؤُهُ، الْحِلُّ مَيْتَتُهُ»
“সমূদ্রের পানি পবিত্র ও পবিত্রতা বিধানকারী এবং উহার মৃত হালাল”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৮৩; তিরমিযী, হাদীস নং ৬৯; নাসাঈ, হাদীস নং ৩৩১; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৩৯২, ৩৯৩, ৩৯৪; আহমাদ ৭১৯২।]
তবে কোনো নাপাক বস্তু কর্তৃক পানির রং, ঘ্রাণ ও স্বাদের কোনো একটির পরিবর্তন ঘটলে তা নাপাক বলে পরিগণিত হবে। এ ব্যাপারে আলিমদের কোনো দ্বিমত নেই।
মূলতঃ কূপ, নদী ইত্যাদির পানি সর্বদা এজন্য পবিত্র কেননা উহার পানি দু’ ক্বুল্লা তথা ২২৭ লিটার থেকে ও বেশি। এজন্যই কোনো নাপাক বস্তু উহাকে অপবিত্র করতে পারে না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِذَا كَاْنَ الـْمَاْءُ قُلَّتَيْنِ لَمْ يَحْمِلِ الْـخَبَثَ»
“যদি পানি দু’ ক্বুল্লা তথা ২২৭ লিটার সমপরিমাণ হয় তাহলে উহা কোনো নাপাক বস্তু কর্তৃক অপবিত্র হবে না”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৬৩; তিরমিযী, হাদীস নং ৬৭; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৫২৩।]
তবে দু’ ক্বুল্লা থেকে কম হলে যে কোনো নাপাক বস্তু উহাকে অপবিত্র করে দেয়। এ জন্যই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«لاَ يَغْتَسِلْ أَحَدُكُمْ فِي الـْمَاْءِ الدَّائِمِ وَهُوَجُنُبٌ»
“তোমাদের কেউ জুনুবী অবস্থায় (অর্থাৎ যখন গোসল ফরয হয়) স্থির পানিতে গোসল করবে না”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৮৩।]
তিনি আরো বলেন,
«لاَ يَبُوْلَنَّ أَحَدُكُمْ فِي الـْمَاْءِ الدَّائِمِ الَّذِيْ لاَ يَجْرِيْ، ثُمَّ يَغْتَسِلُ فِيْهِ»
“তোমাদের কেউ স্থির পানিতে প্রস্রাব করবে না অতঃপর গোসল করবে না”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৩৯।]
তিনি আরো বলেন,
«لاَ يَبُوْلَنَّ أَحَدُكُمْ فِي الـْمَاءِ الدَّائِمِ، ثُمَّ يَتَوَضَّأُ مِنْهُ»
“তোমাদের কেউ স্থির পানিতে প্রস্রাব করবে না অতঃপর অযু করবে না”। [তিরমিযী, হাদীস নং ৬৮।]
যে পানি নিজ প্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্যের ওপর বহাল রয়েছে সে পানি পবিত্র ও পবিত্রতা বিধানকারী পানি। যেমন, বৃষ্টির পানি এবং ভূমি থেকে উদ্গত যে কোনো পানি। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَيُنَزِّلُ عَلَيۡكُم مِّنَ ٱلسَّمَآءِ مَآءٗ لِّيُطَهِّرَكُم بِهِ﴾ [ الانفال : ١١ ]
“তিনি (আল্লাহ তা‘আলা) তোমাদেরকে পবিত্র করার জন্য আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেন”। [সূরা আল-আনফাল, আয়াত: ১১]
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকবীরে তাহরীমা ও কিরাতের মধ্যবর্তী স্থানে অনুচ্চস্বরে বলতেন:
«اللَّهُمَّ اغْسِلْ خَطَايَايَ بِالْـمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ» .
“হে আল্লাহ! আপনি আমার গুনাহগুলো পানি, বরফ ও শিশির দিয়ে ধৌত করুন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৭৪৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৫৯৮।]
এ প্রকারের পানি আবার তিন ভাগে বিভক্ত :
ক. যা ব্যবহার করা হারাম। তবে তা বিধানগত নাপাকী (অযু, গোসল কিংবা তায়াম্মুমের মাধ্যমে যা দূর করা হয়) দূর করতে সক্ষম না হলেও বাহ্য নাপাকী (মল, মূত্র, ঋতুস্রাব ইত্যাদি) দূর করতে সক্ষম। এ পানি এমন যা জায়েয পন্থায় সংগৃহীত নয়। যেমন, আত্মসাৎ বা বলপ্রয়োগে ছিনিয়ে আনা পানি।
জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐতিহাসিক ‘আরাফা ময়দানে বিদায়ী ভাষণে বলেন,
«إِنَّ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ حَرَامٌ عَلَيْكُمْ كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا، فِيْ شَهْرِكُمْ هَذَا، فِيْ بَلَدِكُمْ هَذَا» .
“নিশ্চয় তোমাদের জান ও সম্পদ সংহার করা পরস্পরের ওপর হারাম যেমনিভাবে হারাম তোমাদের এ দিন, তোমাদের এ মাসে, তোমাদের এ শহরে”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১২১৮।]
খ. যা বিকল্প থাকাবস্থায় ব্যবহার করা মাকরূহ। এ পানি এমন যা নাপাক জ্বালানি কাঠ বা খড়কুটো দিয়ে উত্তপ্ত করা হয়েছে। কারণ, এ জাতীয় পানি নাপাকীর সূক্ষ্ম সংমিশ্রণ থেকে মুক্ত নয়।
হাসান ইবন ‘আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«دَعْ مَا يَرِيْبُكَ إِلَى مَا لاَ يَرِيْبُكَ» .
“সন্দেহজনক বস্তু পরিত্যাগ করে সংশয়হীন বস্তু অবলম্বন কর”। [তিরমিযী, হাদীস নং ২৫১৮।]
তেমনিভাবে স্বচ্ছ ও নির্মল পানি থাকাবস্থায় কর্পূর, তৈল, আলকাতরা ইত্যাদি মিশ্রিত পানি ব্যবহার করা মাকরূহ।
গ. যা ব্যবহার করা সম্পূর্ণরূপে জায়েয। যেমন, পুকুর, নদী, খাল, বিল, কূপ, সাগর, বিগলিত বরফ, বৃষ্টি ইত্যাদির পানি। এ সম্পর্কীয় প্রমাণ ইতোপূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে।
﴿وَيُنَزِّلُ عَلَيۡكُم مِّنَ ٱلسَّمَآءِ مَآءٗ لِّيُطَهِّرَكُم بِهِ﴾ [ الانفال : ١١ ]
“তিনি (আল্লাহ তা‘আলা) তোমাদেরকে পবিত্র করার জন্য আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেন”। [সূরা আল-আনফাল, আয়াত: ১১]
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকবীরে তাহরীমা ও কিরাতের মধ্যবর্তী স্থানে অনুচ্চস্বরে বলতেন:
«اللَّهُمَّ اغْسِلْ خَطَايَايَ بِالْـمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ» .
“হে আল্লাহ! আপনি আমার গুনাহগুলো পানি, বরফ ও শিশির দিয়ে ধৌত করুন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৭৪৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৫৯৮।]
এ প্রকারের পানি আবার তিন ভাগে বিভক্ত :
ক. যা ব্যবহার করা হারাম। তবে তা বিধানগত নাপাকী (অযু, গোসল কিংবা তায়াম্মুমের মাধ্যমে যা দূর করা হয়) দূর করতে সক্ষম না হলেও বাহ্য নাপাকী (মল, মূত্র, ঋতুস্রাব ইত্যাদি) দূর করতে সক্ষম। এ পানি এমন যা জায়েয পন্থায় সংগৃহীত নয়। যেমন, আত্মসাৎ বা বলপ্রয়োগে ছিনিয়ে আনা পানি।
জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐতিহাসিক ‘আরাফা ময়দানে বিদায়ী ভাষণে বলেন,
«إِنَّ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ حَرَامٌ عَلَيْكُمْ كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا، فِيْ شَهْرِكُمْ هَذَا، فِيْ بَلَدِكُمْ هَذَا» .
“নিশ্চয় তোমাদের জান ও সম্পদ সংহার করা পরস্পরের ওপর হারাম যেমনিভাবে হারাম তোমাদের এ দিন, তোমাদের এ মাসে, তোমাদের এ শহরে”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১২১৮।]
খ. যা বিকল্প থাকাবস্থায় ব্যবহার করা মাকরূহ। এ পানি এমন যা নাপাক জ্বালানি কাঠ বা খড়কুটো দিয়ে উত্তপ্ত করা হয়েছে। কারণ, এ জাতীয় পানি নাপাকীর সূক্ষ্ম সংমিশ্রণ থেকে মুক্ত নয়।
হাসান ইবন ‘আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«دَعْ مَا يَرِيْبُكَ إِلَى مَا لاَ يَرِيْبُكَ» .
“সন্দেহজনক বস্তু পরিত্যাগ করে সংশয়হীন বস্তু অবলম্বন কর”। [তিরমিযী, হাদীস নং ২৫১৮।]
তেমনিভাবে স্বচ্ছ ও নির্মল পানি থাকাবস্থায় কর্পূর, তৈল, আলকাতরা ইত্যাদি মিশ্রিত পানি ব্যবহার করা মাকরূহ।
গ. যা ব্যবহার করা সম্পূর্ণরূপে জায়েয। যেমন, পুকুর, নদী, খাল, বিল, কূপ, সাগর, বিগলিত বরফ, বৃষ্টি ইত্যাদির পানি। এ সম্পর্কীয় প্রমাণ ইতোপূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে।
পবিত্রতা অর্জনের ক্ষেত্রে পাক মাটি পানির স্থলাভিষিক্ত। পানি ব্যবহারে স্বাস্থ্যগত কোনো সমস্যার প্রবল সম্ভাবনা দেখা দিলে অথবা অযু-গোসলের পানি যোগানো অসম্ভব প্রমাণিত হলে পানির পরিবর্তে পবিত্র মাটি কর্তৃক পবিত্রতা অর্জন করার শরঈ বিধান রয়েছে।
আবু যর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِنَّ الصَّعِيْدَ الطَّيِّبَ طَهُوْرُ الـْمُسْلِمِ وَإِنْ لَمْ يَجِدِ الـْمَاءَ عَشْرَ سِنِيْنَ»
“নিশ্চয় পবিত্র মাটি মুসলিমদের জন্য পবিত্রতা অর্জনের এক বিকল্প মাধ্যম। যদিও সে দশ বছর নাগাদ পানি না পায়”। [তিরমিযী, হাদীস নং ১২৪; আবু দাউদ, হাদীস নং ৩৩২, ৩৩৩; নাসাঈ, হাদীস নং ৩২১।]
আবু যর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِنَّ الصَّعِيْدَ الطَّيِّبَ طَهُوْرُ الـْمُسْلِمِ وَإِنْ لَمْ يَجِدِ الـْمَاءَ عَشْرَ سِنِيْنَ»
“নিশ্চয় পবিত্র মাটি মুসলিমদের জন্য পবিত্রতা অর্জনের এক বিকল্প মাধ্যম। যদিও সে দশ বছর নাগাদ পানি না পায়”। [তিরমিযী, হাদীস নং ১২৪; আবু দাউদ, হাদীস নং ৩৩২, ৩৩৩; নাসাঈ, হাদীস নং ৩২১।]
শরী‘আতের পরিভাষায় নাপাকী বলতে দূরীকরণ আবশ্যক এমন সকল ময়লা-আবর্জনাকে বুঝানো হয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَثِيَابَكَ فَطَهِّرۡ ٤﴾ [ المدثر : ٤ ]
“তোমার পোষাক-পরিচ্ছদ পবিত্র রাখো”। [সূরা আল-মুদ্দাস্সির, আয়াত: ৪]
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,
﴿وَيَسَۡٔلُونَكَ عَنِ ٱلۡمَحِيضِۖ قُلۡ هُوَ أَذٗى فَٱعۡتَزِلُواْ ٱلنِّسَآءَ فِي ٱلۡمَحِيضِ وَلَا تَقۡرَبُوهُنَّ حَتَّىٰ يَطۡهُرۡنَۖ فَإِذَا تَطَهَّرۡنَ فَأۡتُوهُنَّ مِنۡ حَيۡثُ أَمَرَكُمُ ٱللَّهُۚ إِنَّ ٱللَّهَ يُحِبُّ ٱلتَّوَّٰبِينَ وَيُحِبُّ ٱلۡمُتَطَهِّرِينَ ٢٢٢﴾ [ البقرة : ٢٢٢ ]
“তারা (সাহাবীগণ) আপনাকে ঋতুস্রাব সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছে। আপনি বলুন! তা হচ্ছে অশুচিতা। অতএব, তোমরা ঋতুকালে স্ত্রীদের নিকট যাবে না ও তাদের সাথে সহবাসে লিপ্ত হবে না যতক্ষণ না তারা সম্পূর্ণরূপে পবিত্র হয়ে যায়। তবে যখন তারা (গোসল করে) ঋতুস্রাব থেকে পবিত্র হয়ে যাবে তখন তোমরা তাদের সাথে সে পথেই সহবাস করবে যে পথে সহবাস করা আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের জন্য হালাল করে দিয়েছেন অর্থাৎ সম্মুখ পথে। নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা তাওবাকারী ও পবিত্রতা অন্বেষণকারীদের ভালোবাসেন”। [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ২২২]
﴿وَثِيَابَكَ فَطَهِّرۡ ٤﴾ [ المدثر : ٤ ]
“তোমার পোষাক-পরিচ্ছদ পবিত্র রাখো”। [সূরা আল-মুদ্দাস্সির, আয়াত: ৪]
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,
﴿وَيَسَۡٔلُونَكَ عَنِ ٱلۡمَحِيضِۖ قُلۡ هُوَ أَذٗى فَٱعۡتَزِلُواْ ٱلنِّسَآءَ فِي ٱلۡمَحِيضِ وَلَا تَقۡرَبُوهُنَّ حَتَّىٰ يَطۡهُرۡنَۖ فَإِذَا تَطَهَّرۡنَ فَأۡتُوهُنَّ مِنۡ حَيۡثُ أَمَرَكُمُ ٱللَّهُۚ إِنَّ ٱللَّهَ يُحِبُّ ٱلتَّوَّٰبِينَ وَيُحِبُّ ٱلۡمُتَطَهِّرِينَ ٢٢٢﴾ [ البقرة : ٢٢٢ ]
“তারা (সাহাবীগণ) আপনাকে ঋতুস্রাব সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছে। আপনি বলুন! তা হচ্ছে অশুচিতা। অতএব, তোমরা ঋতুকালে স্ত্রীদের নিকট যাবে না ও তাদের সাথে সহবাসে লিপ্ত হবে না যতক্ষণ না তারা সম্পূর্ণরূপে পবিত্র হয়ে যায়। তবে যখন তারা (গোসল করে) ঋতুস্রাব থেকে পবিত্র হয়ে যাবে তখন তোমরা তাদের সাথে সে পথেই সহবাস করবে যে পথে সহবাস করা আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের জন্য হালাল করে দিয়েছেন অর্থাৎ সম্মুখ পথে। নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা তাওবাকারী ও পবিত্রতা অন্বেষণকারীদের ভালোবাসেন”। [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ২২২]
মানুষের মল-মূত্র নাপাক।
‘আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«مَرَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم بِقَبْرَيْنِ، فَقَالَ : إِنَّهُمَا لَيُعَذَّبَانِ، وَمَايُعَذَّبَانِ فِيْ كَبِيْرٍ، أَمَّا أَحَدُهُمَا فَكَانَ لاَ يَسْتَتِرُ مِنَ الْبَوْلِ، وَأَمَّا الآخَرُ فَكَانَ يَمْشِيْ بِالنَّمِيْمَةِ» .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’টি কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন তিনি বললেন: কবর দু’টিতে শায়িত ব্যক্তিদ্বয়কে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। তবে উভয়কে বড় কোনো গুনাহ’র কারণে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না। তাদের একজন প্রস্রাব থেকে সম্পূর্ণরূপে পবিত্রতা অর্জন করতো না। আর অপরজন চোগলখোরী করত (একজনের কথা আরেক জনকে বলে পরস্পরের মধ্যে দ্বন্দ্ব লাগিয়ে দিত)। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২১৬, ২১৮; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৯২।]
‘আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«مَرَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم بِقَبْرَيْنِ، فَقَالَ : إِنَّهُمَا لَيُعَذَّبَانِ، وَمَايُعَذَّبَانِ فِيْ كَبِيْرٍ، أَمَّا أَحَدُهُمَا فَكَانَ لاَ يَسْتَتِرُ مِنَ الْبَوْلِ، وَأَمَّا الآخَرُ فَكَانَ يَمْشِيْ بِالنَّمِيْمَةِ» .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’টি কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন তিনি বললেন: কবর দু’টিতে শায়িত ব্যক্তিদ্বয়কে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। তবে উভয়কে বড় কোনো গুনাহ’র কারণে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না। তাদের একজন প্রস্রাব থেকে সম্পূর্ণরূপে পবিত্রতা অর্জন করতো না। আর অপরজন চোগলখোরী করত (একজনের কথা আরেক জনকে বলে পরস্পরের মধ্যে দ্বন্দ্ব লাগিয়ে দিত)। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২১৬, ২১৮; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৯২।]
আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মল-মূত্র ত্যাগের জন্য শৌচাগারে প্রবেশের ইচ্ছে করতেন তখন বলতেন :
«اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُبِكَ مِنَ الْـخُبْثِ وَالْـخَبَائِثِ»
“হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনার নিকট অপবিত্র জিন্ন ও জিন্নীর (অনিষ্টতা) থেকে আশ্রয় চাচ্ছি”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৪২; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৭৫।]
তিনি আরো বলেন, শৌচাগার হচ্ছে জিন্ন ও শয়তানের অবস্থানক্ষেত্র। তাই যখন তোমরা সেখানে যাবে তখন বলবে :
«أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الْـخُبْثِ وَالْـخَبَائِثِ» .
“আমি আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাচ্ছি অপবিত্র জিন্ন ও জিন্নীর (অনিষ্ট) থেকে”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৬; ইবন খুযাইমা, হাদীস নং ৬৯।]
শৌচাগারে প্রবেশের পূর্বে بِسْمِ اللهِ টুকুও পড়ে নিবে।
‘আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«سَتْرُ مَا بَيْنَ أَعْيُنِ الْجِنِّ وَعَوْرَاتِ بَنِيْ آدَمَ، إِذَا دَخَلَ أَحَـدُهُمُ الـْخَلاَءَ؛ أَنْ يَقُوْلَ : بِسْمِ اللهِ» .
“মানুষের সতর (যা ঢেকে রাখা ফরয) ও জিন্নদের চোখের মাঝে আড় হচ্ছে যখন মানুষ শৌচাগারে প্রবেশ করবে তখন বলবে, বিসমিল্লাহ”। [তিরমিযী, হাদীস নং ৬০৬; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ২৯৭।]
«اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُبِكَ مِنَ الْـخُبْثِ وَالْـخَبَائِثِ»
“হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনার নিকট অপবিত্র জিন্ন ও জিন্নীর (অনিষ্টতা) থেকে আশ্রয় চাচ্ছি”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৪২; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৭৫।]
তিনি আরো বলেন, শৌচাগার হচ্ছে জিন্ন ও শয়তানের অবস্থানক্ষেত্র। তাই যখন তোমরা সেখানে যাবে তখন বলবে :
«أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الْـخُبْثِ وَالْـخَبَائِثِ» .
“আমি আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাচ্ছি অপবিত্র জিন্ন ও জিন্নীর (অনিষ্ট) থেকে”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৬; ইবন খুযাইমা, হাদীস নং ৬৯।]
শৌচাগারে প্রবেশের পূর্বে بِسْمِ اللهِ টুকুও পড়ে নিবে।
‘আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«سَتْرُ مَا بَيْنَ أَعْيُنِ الْجِنِّ وَعَوْرَاتِ بَنِيْ آدَمَ، إِذَا دَخَلَ أَحَـدُهُمُ الـْخَلاَءَ؛ أَنْ يَقُوْلَ : بِسْمِ اللهِ» .
“মানুষের সতর (যা ঢেকে রাখা ফরয) ও জিন্নদের চোখের মাঝে আড় হচ্ছে যখন মানুষ শৌচাগারে প্রবেশ করবে তখন বলবে, বিসমিল্লাহ”। [তিরমিযী, হাদীস নং ৬০৬; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ২৯৭।]
‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শৌচাগার থেকে বের হতেন তখন বলতেন:
«غُفْرَانَكَ»
“হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৩০; তিরমিযী, হাদীস নং ৭; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৩০০।]
«غُفْرَانَكَ»
“হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৩০; তিরমিযী, হাদীস নং ৭; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৩০০।]
২২
মল-মূত্র ত্যাগ সম্পর্কীত মাসআলাসমূহ:
১. মল-মূত্র ত্যাগের সময় কিবলামুখী হওয়া অথবা কিবলাকে পেছন দেওয়া জায়েয নয়।আবু আইয়ূব আনসারী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِذَا أَتَيْتُمُ الْغَائِطَ فَلاَ تَسْتَقْبِلُوْا الْقِبْلَةَ وَلاَ تَسْتَدْبِرُوْهَا بِبَوْلٍ وَلاَ غَائِطٍ»
“তোমরা যখন প্রস্রাব বা পায়খানার জন্য শৌচাগারে প্রবেশ করবে তখন কিবলামুখী হবে না এবং কিবলাকে পশ্চাতে ও দেবে না”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩৯৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৬৪।]
উক্ত হাদীস বর্ণনাকারী আবু আইয়ূব আনসারী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমরা সিরিয়ায় সফর করলে সেখানের শৌচাগারগুলো কিবলামুখী দেখতে পাই। তখন আমরা আল্লাহর দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করে কিবলা ছেড়ে অন্য দিকে ফিরে ইস্তিঞ্জাকর্ম সম্পাদন করি।
«إِذَا أَتَيْتُمُ الْغَائِطَ فَلاَ تَسْتَقْبِلُوْا الْقِبْلَةَ وَلاَ تَسْتَدْبِرُوْهَا بِبَوْلٍ وَلاَ غَائِطٍ»
“তোমরা যখন প্রস্রাব বা পায়খানার জন্য শৌচাগারে প্রবেশ করবে তখন কিবলামুখী হবে না এবং কিবলাকে পশ্চাতে ও দেবে না”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩৯৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৬৪।]
উক্ত হাদীস বর্ণনাকারী আবু আইয়ূব আনসারী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমরা সিরিয়ায় সফর করলে সেখানের শৌচাগারগুলো কিবলামুখী দেখতে পাই। তখন আমরা আল্লাহর দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করে কিবলা ছেড়ে অন্য দিকে ফিরে ইস্তিঞ্জাকর্ম সম্পাদন করি।
সালমান ফারসী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«لَقَدْ نَهَانَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم أَنْ نَسْتَقْبِلَ الْقِبْلَةَ لِغَائِطٍ أَوْ بَوْلٍ، أَوْ نَسْتَنْجِيَ بِالْيَمِيْنِ، أَوْ نَسْتَنْجِيَ بِأَقَلَّ مِنْ ثَلاَثَةِ أَحْجَارٍ، أَوْ نَسْتَنْجِيَ بِرَجِيْعٍ أَوْ بِعَظْمٍ» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে কিবলামুখী হয়ে মল-মূত্র ত্যাগ, ডান হাতে ইস্তিঞ্জা, তিনটি ঢিলার কমে ইস্তিঞ্জা এবং গোবর অথবা হাড় দিয়ে ইস্তিঞ্জা করতে নিষেধ করেছেন”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৬২।]
হাড় হচ্ছে জিন্নদের খাদ্য এবং মানবপালিত পশুর মল হচ্ছে জিন্নদের পশুর খাদ্য।
আব্দুল্লাহ ইবন মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: জিন্নরা যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তাদের খাদ্য সম্পর্কে প্রশ্ন করে তখন তিনি বলেন,
«لَكُمْ كُلُّ عَظْمٍ ذُكِرَ اسْمُ اللهِ عَلَيْهِ يَقَعُ فِيْ أَيْدِيْكُمْ أَوْفَرَ مَا يَكُوْنُ لَحْمًا، وَكُلُّ بَعْرَةٍ عَلَفٌ لِدَوَابِّكُمْ» .
“আল্লাহ তা‘আলার নাম উচ্চারিত হয়েছে এমন প্রতিটি হাড় তোমাদের খাদ্য। তা তোমরা গোশতে পরিপূর্ণ পাবে। তেমনিভাবে উটের প্রতিটি মলখণ্ড তোমাদের পশুর খাদ্য। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন,
«فَلاَ تَسْتَنْجُوْا بِهِمَا، فَإِنَّهُمَا طَعَامُ إِخْوَانِكُمْ» .
“অতএব তোমরা এ দু’টি বস্তু দিয়ে ইস্তিঞ্জা করবে না। কারণ, এগুলো তোমাদেরই ভাই জিন্নদের খাদ্য”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩৮৬০; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪৫০।]
«لَقَدْ نَهَانَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم أَنْ نَسْتَقْبِلَ الْقِبْلَةَ لِغَائِطٍ أَوْ بَوْلٍ، أَوْ نَسْتَنْجِيَ بِالْيَمِيْنِ، أَوْ نَسْتَنْجِيَ بِأَقَلَّ مِنْ ثَلاَثَةِ أَحْجَارٍ، أَوْ نَسْتَنْجِيَ بِرَجِيْعٍ أَوْ بِعَظْمٍ» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে কিবলামুখী হয়ে মল-মূত্র ত্যাগ, ডান হাতে ইস্তিঞ্জা, তিনটি ঢিলার কমে ইস্তিঞ্জা এবং গোবর অথবা হাড় দিয়ে ইস্তিঞ্জা করতে নিষেধ করেছেন”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৬২।]
হাড় হচ্ছে জিন্নদের খাদ্য এবং মানবপালিত পশুর মল হচ্ছে জিন্নদের পশুর খাদ্য।
আব্দুল্লাহ ইবন মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: জিন্নরা যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তাদের খাদ্য সম্পর্কে প্রশ্ন করে তখন তিনি বলেন,
«لَكُمْ كُلُّ عَظْمٍ ذُكِرَ اسْمُ اللهِ عَلَيْهِ يَقَعُ فِيْ أَيْدِيْكُمْ أَوْفَرَ مَا يَكُوْنُ لَحْمًا، وَكُلُّ بَعْرَةٍ عَلَفٌ لِدَوَابِّكُمْ» .
“আল্লাহ তা‘আলার নাম উচ্চারিত হয়েছে এমন প্রতিটি হাড় তোমাদের খাদ্য। তা তোমরা গোশতে পরিপূর্ণ পাবে। তেমনিভাবে উটের প্রতিটি মলখণ্ড তোমাদের পশুর খাদ্য। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন,
«فَلاَ تَسْتَنْجُوْا بِهِمَا، فَإِنَّهُمَا طَعَامُ إِخْوَانِكُمْ» .
“অতএব তোমরা এ দু’টি বস্তু দিয়ে ইস্তিঞ্জা করবে না। কারণ, এগুলো তোমাদেরই ভাই জিন্নদের খাদ্য”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩৮৬০; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪৫০।]
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«اِتَّقُوْا اللَّعَّانَيْنِ، قَالُوْا : وَمَا اللَّعَّانَانِ يَا رَسُوْلَ اللهِ؟ قَالَ : الَّذِيْ يَتَخَلَّى فِيْ طَرِيْقِ النَّاسِ أَوْ فِيْ ظِلِّهِمْ» .
“তোমরা অভিশাপের দু’টি কারণ হতে দূরে থাকো। সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু আনহুম বললেন: অভিশাপের কারণ দু’টি কী? তিনি বললেন: পথে-ঘাটে অথবা ছায়াবিশিষ্ট গাছের তলায় মল-মূত্র ত্যাগ করা”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৬৯।]
মু‘আয রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«اِتَّقُوْا الْـمَلاَعِنَ الثَّلاَثَةَ : اَلْبَرَازَ فِي الْمَوَارِدِ، وَقَارِعَةِ الطَّرِيْقِ، وَالظِّلِّ» .
“তোমরা তিনটি অভিশাপের কারণ থেকে দূরে থাকো: নদী বা পুকুর ঘাট, পথের মধ্যভাগ ও ছায়ায় মল ত্যাগ করা থেকে”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ২৬; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৩২৮।]
«اِتَّقُوْا اللَّعَّانَيْنِ، قَالُوْا : وَمَا اللَّعَّانَانِ يَا رَسُوْلَ اللهِ؟ قَالَ : الَّذِيْ يَتَخَلَّى فِيْ طَرِيْقِ النَّاسِ أَوْ فِيْ ظِلِّهِمْ» .
“তোমরা অভিশাপের দু’টি কারণ হতে দূরে থাকো। সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু আনহুম বললেন: অভিশাপের কারণ দু’টি কী? তিনি বললেন: পথে-ঘাটে অথবা ছায়াবিশিষ্ট গাছের তলায় মল-মূত্র ত্যাগ করা”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৬৯।]
মু‘আয রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«اِتَّقُوْا الْـمَلاَعِنَ الثَّلاَثَةَ : اَلْبَرَازَ فِي الْمَوَارِدِ، وَقَارِعَةِ الطَّرِيْقِ، وَالظِّلِّ» .
“তোমরা তিনটি অভিশাপের কারণ থেকে দূরে থাকো: নদী বা পুকুর ঘাট, পথের মধ্যভাগ ও ছায়ায় মল ত্যাগ করা থেকে”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ২৬; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৩২৮।]
আবু ক্বাতাদাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِذَا شَرِبَ أَحَدُكُمْ فَلاَ يَتَنَفَّسْ فِيْ الإِنَـاءِ، وَإِذَا أَتَى الـْخَلاَءَ فَلاَ يَمَسَّ ذَكَرَهُ بِيَمِيْنِهِ، وَلاَ يَتَمَسَّحْ بِيَمِيْنِهِ» .
“তোমাদের কেউ যেন পানি পান করার সময় পানপাত্রে নিশ্বাস ত্যাগ না করে। শৌচাগারে প্রবেশ করলে যেন ডান হাত দিয়ে নিজ লজ্জাস্থান স্পর্শ না করে। এমনকি ডান হাত দিয়ে যেন ঢিলা-কুলুপও না করে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৫৩; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৬৭।]
আবু ক্বাতাদাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে আরো বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«وَلاَ يَسْتَنْجِ بِيَمِيْنِهِ»
“এমনকি ডান হাত দিয়ে কেউ যেন ইস্তিঞ্জাও না করে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৫৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৬৭।]
«إِذَا شَرِبَ أَحَدُكُمْ فَلاَ يَتَنَفَّسْ فِيْ الإِنَـاءِ، وَإِذَا أَتَى الـْخَلاَءَ فَلاَ يَمَسَّ ذَكَرَهُ بِيَمِيْنِهِ، وَلاَ يَتَمَسَّحْ بِيَمِيْنِهِ» .
“তোমাদের কেউ যেন পানি পান করার সময় পানপাত্রে নিশ্বাস ত্যাগ না করে। শৌচাগারে প্রবেশ করলে যেন ডান হাত দিয়ে নিজ লজ্জাস্থান স্পর্শ না করে। এমনকি ডান হাত দিয়ে যেন ঢিলা-কুলুপও না করে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৫৩; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৬৭।]
আবু ক্বাতাদাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে আরো বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«وَلاَ يَسْتَنْجِ بِيَمِيْنِهِ»
“এমনকি ডান হাত দিয়ে কেউ যেন ইস্তিঞ্জাও না করে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৫৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৬৭।]
সালমান ফারসী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«لَقَدْ نَهَانَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم أَنْ لاَ يَسْتَنْجِيَ أَحَدُنَا بِأَقَلَّ مِنْ ثَلاَثَةِ أَحْجَارٍ» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে নিষেধ করেন, যেন আমাদের কেউ তিনটি ঢিলার কম ব্যবহার না করে”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৬২; আবু দাউদ, হাদীস নং ৭।]
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِذَا ذَهَبَ أَحَدُكُمْ إِلَى الْغَائِطِ فَلْيَذْهَبْ مَعَهُ بِثَلاَثَةِ أَحْجَارٍ يَسْتَطِيْبُ بِهِنَّ فَإِنَّهَا تُجْزِئُ عَنْهُ» .
“তোমাদের কেউ পায়খানা করতে গেলে সাথে তিনটি ঢিলা নিবে এবং তা দিয়ে ইস্তিঞ্জা করবে। কারণ, এ তিনটি ঢিলাই তার জন্য যথেষ্ট”। (আবু দাউদ ৪০)
এ হাদীসটি ইস্তিঞ্জার সময় শুধু ঢিলা ব্যবহার যথেষ্ট হওয়ার প্রমাণ।
«لَقَدْ نَهَانَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم أَنْ لاَ يَسْتَنْجِيَ أَحَدُنَا بِأَقَلَّ مِنْ ثَلاَثَةِ أَحْجَارٍ» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে নিষেধ করেন, যেন আমাদের কেউ তিনটি ঢিলার কম ব্যবহার না করে”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৬২; আবু দাউদ, হাদীস নং ৭।]
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِذَا ذَهَبَ أَحَدُكُمْ إِلَى الْغَائِطِ فَلْيَذْهَبْ مَعَهُ بِثَلاَثَةِ أَحْجَارٍ يَسْتَطِيْبُ بِهِنَّ فَإِنَّهَا تُجْزِئُ عَنْهُ» .
“তোমাদের কেউ পায়খানা করতে গেলে সাথে তিনটি ঢিলা নিবে এবং তা দিয়ে ইস্তিঞ্জা করবে। কারণ, এ তিনটি ঢিলাই তার জন্য যথেষ্ট”। (আবু দাউদ ৪০)
এ হাদীসটি ইস্তিঞ্জার সময় শুধু ঢিলা ব্যবহার যথেষ্ট হওয়ার প্রমাণ।
জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم إِذَا أَرَادَ الْبَرَازَ اِنْطَلَقَ حَتَّى لاَ يَرَاهُ أَحَدٌ» .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মল-মূত্র ত্যাগের ইচ্ছে করতেন তখন এতদূর যেতেন যাতে কেউ তাঁকে দেখতে না পায়”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ২।]
«كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم إِذَا أَرَادَ الْبَرَازَ اِنْطَلَقَ حَتَّى لاَ يَرَاهُ أَحَدٌ» .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মল-মূত্র ত্যাগের ইচ্ছে করতেন তখন এতদূর যেতেন যাতে কেউ তাঁকে দেখতে না পায়”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ২।]
২৯
৮. পানি, ঢিলা অথবা যে কোনো মর্যাদাহীন পবিত্র বস্তু দিয়ে ভালোভাবে ইস্তিঞ্জা করে নিবে যাতে উভয় দ্বার সম্পূর্ণরূপে পরিষ্কার হয়ে যায়।ইস্তিঞ্জা মূলতঃ তিন প্রকারের:
ক. প্রথমে ঢিলা অতঃপর পানি দিয়ে ইস্তিঞ্জা করা। প্রয়োজনে উভয়টি একসঙ্গে ব্যবহার করা যেতে পারে। কারণ, তাতে অধিক পরিচ্ছন্নতা অর্জিত হয়। তবে এ ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করা কখনোই ঠিক হবে না। যেমন, প্রস্রাবের পর ঢিলা হাতে নিয়ে শৌচাগারের বাইরে চল্লিশ কদম দেওয়া, লেফট-রাইট করা, বার বার উঠা-বসা করা, কেউ পানির পূর্বে ঢিলা ব্যবহার না করলে তাকে পশুর সাথে তুলনা ও ঘৃণা করা কিংবা কটু বাক্য বানে তাকে জর্জরিত করা ইত্যাদি ইত্যাদি। ব্যাপারটি এমন পর্যায়ে উপনীত হলে তা অবশ্যই বিদ‘আত বলে গণ্য হবে। কারণ, বিশুদ্ধ হাদীসে উভয়টি একসঙ্গে ব্যবহার করার কোনো প্রমাণ নেই।
খ. শুধু পানি দিয়ে ইস্তিঞ্জা করা।
গ. ইস্তিঞ্জার জন্য শুধু ঢিলা ব্যবহার করা।
শুধু ঢিলা দিয়ে ইস্তিঞ্জা করার প্রমাণ ইতিপূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে। শুধু পানি দিয়ে ইস্তিঞ্জা করার ব্যাপারে আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَدْخُلُ الْخَلاَءَ، فَأَحْمِلُ أَنَا وَغُلاَمٌ نَحْوِيْ إِدَاوَةً مِنْ مَاءٍ وَعَنَـزَةً، فَيَسْتَنْجِيْ بِالْمَاءِ» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পায়খানায় গেলে আমি এবং আমার সমবয়সী একটি ছেলে এক লোটা পানি ও একটি হাতের লাঠি নিয়ে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অপেক্ষায় থাকতাম। অতঃপর তিনি পানি দিয়ে ইস্তিঞ্জা করতেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৫০, ১৫১, ১৫২; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৭০, ২৭১।]
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ فِيْ أَهْلِ قُبَاءَ ﴿فِيهِ رِجَالٞ يُحِبُّونَ أَن يَتَطَهَّرُواْ﴾ [ التوبة : ١٠٨ ] قَالَ : كَانُوْا يَسْتَنْجُوْنَ بِالْـمَاءِ فَنَزَلَتْ فِيْهِمْ هَذِهِ الآيَةُ» .
“উক্ত আয়াতটি “তাতে এমন লোক রয়েছে যারা অধিক পবিত্রতাকে পছন্দ করে” [সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ১০৮] কুবাবাসীদের সম্পর্কেই অবতীর্ণ হয়েছে। তিনি বলেন: তারা পানি দিয়ে ইস্তিঞ্জা করতো। অতএব, তাদের সম্পর্কেই উক্ত আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৪৪; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৩৬৩।]
উক্ত হাদীস ইস্তিঞ্জার জন্য শুধু ঢিলা ব্যবহারের চাইতে কেবল পানি দিয়ে ইস্তিঞ্জা করা উত্তম হওয়ার প্রমাণ।
ক. প্রথমে ঢিলা অতঃপর পানি দিয়ে ইস্তিঞ্জা করা। প্রয়োজনে উভয়টি একসঙ্গে ব্যবহার করা যেতে পারে। কারণ, তাতে অধিক পরিচ্ছন্নতা অর্জিত হয়। তবে এ ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করা কখনোই ঠিক হবে না। যেমন, প্রস্রাবের পর ঢিলা হাতে নিয়ে শৌচাগারের বাইরে চল্লিশ কদম দেওয়া, লেফট-রাইট করা, বার বার উঠা-বসা করা, কেউ পানির পূর্বে ঢিলা ব্যবহার না করলে তাকে পশুর সাথে তুলনা ও ঘৃণা করা কিংবা কটু বাক্য বানে তাকে জর্জরিত করা ইত্যাদি ইত্যাদি। ব্যাপারটি এমন পর্যায়ে উপনীত হলে তা অবশ্যই বিদ‘আত বলে গণ্য হবে। কারণ, বিশুদ্ধ হাদীসে উভয়টি একসঙ্গে ব্যবহার করার কোনো প্রমাণ নেই।
খ. শুধু পানি দিয়ে ইস্তিঞ্জা করা।
গ. ইস্তিঞ্জার জন্য শুধু ঢিলা ব্যবহার করা।
শুধু ঢিলা দিয়ে ইস্তিঞ্জা করার প্রমাণ ইতিপূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে। শুধু পানি দিয়ে ইস্তিঞ্জা করার ব্যাপারে আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَدْخُلُ الْخَلاَءَ، فَأَحْمِلُ أَنَا وَغُلاَمٌ نَحْوِيْ إِدَاوَةً مِنْ مَاءٍ وَعَنَـزَةً، فَيَسْتَنْجِيْ بِالْمَاءِ» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পায়খানায় গেলে আমি এবং আমার সমবয়সী একটি ছেলে এক লোটা পানি ও একটি হাতের লাঠি নিয়ে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অপেক্ষায় থাকতাম। অতঃপর তিনি পানি দিয়ে ইস্তিঞ্জা করতেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৫০, ১৫১, ১৫২; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৭০, ২৭১।]
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ فِيْ أَهْلِ قُبَاءَ ﴿فِيهِ رِجَالٞ يُحِبُّونَ أَن يَتَطَهَّرُواْ﴾ [ التوبة : ١٠٨ ] قَالَ : كَانُوْا يَسْتَنْجُوْنَ بِالْـمَاءِ فَنَزَلَتْ فِيْهِمْ هَذِهِ الآيَةُ» .
“উক্ত আয়াতটি “তাতে এমন লোক রয়েছে যারা অধিক পবিত্রতাকে পছন্দ করে” [সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ১০৮] কুবাবাসীদের সম্পর্কেই অবতীর্ণ হয়েছে। তিনি বলেন: তারা পানি দিয়ে ইস্তিঞ্জা করতো। অতএব, তাদের সম্পর্কেই উক্ত আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৪৪; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৩৬৩।]
উক্ত হাদীস ইস্তিঞ্জার জন্য শুধু ঢিলা ব্যবহারের চাইতে কেবল পানি দিয়ে ইস্তিঞ্জা করা উত্তম হওয়ার প্রমাণ।
৩০
৯. প্রস্রাব করার সময় কোনো ব্যক্তি সালাম দিলে উত্তর দেওয়া যাবে না। এমতাবস্থায় কোনো কথা ও বলা যাবে না।আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«مَرَّ رَجُلٌ، وَرَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم يَبُوْلُ، فَسَلَّمَ، فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ» .
“জনৈক সাহাবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল যখন তিনি প্রস্রাব করছিলেন। তখন সে তাঁকে সালাম দিলে তিনি কোনো উত্তর দেন নি”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৭০।]
মুহাজির ইবন ক্বুনফুয রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রস্রাব করছিলেন এমতাবস্থায় তাঁর নিকট এসে তাঁকে সালাম করলে তিনি সালামের উত্তর দেন নি। তবে তিনি দ্রুত অযু সেরে তার নিকট এ বলে আপত্তি জানান :
«إِنِّيْ كَرِهْتُ أَنْ أَذْكُرَ اللهَ -عَزَّ وَ جَلَّ- إِلاَّ عَلَى طُهْرٍ أَوْ قَالَ : عَلَى طَهَارَةٍ» .
“আমি অপবিত্র থাকাবস্থায় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা অপছন্দ করি”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ১৭।]
«مَرَّ رَجُلٌ، وَرَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم يَبُوْلُ، فَسَلَّمَ، فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ» .
“জনৈক সাহাবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল যখন তিনি প্রস্রাব করছিলেন। তখন সে তাঁকে সালাম দিলে তিনি কোনো উত্তর দেন নি”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৭০।]
মুহাজির ইবন ক্বুনফুয রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রস্রাব করছিলেন এমতাবস্থায় তাঁর নিকট এসে তাঁকে সালাম করলে তিনি সালামের উত্তর দেন নি। তবে তিনি দ্রুত অযু সেরে তার নিকট এ বলে আপত্তি জানান :
«إِنِّيْ كَرِهْتُ أَنْ أَذْكُرَ اللهَ -عَزَّ وَ جَلَّ- إِلاَّ عَلَى طُهْرٍ أَوْ قَالَ : عَلَى طَهَارَةٍ» .
“আমি অপবিত্র থাকাবস্থায় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা অপছন্দ করি”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ১৭।]
আব্দুল্লাহ ইবন মুগাফ্ফাল রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«لاَ يَبُوْلَنَّ أَحَدُكُمْ فِيْ مُسْتَحَمِّهِ، ثُمَّ يَغْتَسِلُ فِيْهِ»
“তোমাদের কেউ গোসলখানায় প্রস্রাব অতঃপর গোসল করবে না”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ২৭।]
«لاَ يَبُوْلَنَّ أَحَدُكُمْ فِيْ مُسْتَحَمِّهِ، ثُمَّ يَغْتَسِلُ فِيْهِ»
“তোমাদের কেউ গোসলখানায় প্রস্রাব অতঃপর গোসল করবে না”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ২৭।]
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«كَاْنَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم إِذَا أَتَى الْخَلاَءَ، أَتَيْتُهُ بِمَاءٍ فِيْ تَوْرٍ أَوْ رَكْوَةٍ، فَاسْتَنْجَى، ثُمَّ مَسَحَ يَدَهُ عَلَى الأَرْضِ، ثُمَّ أَتَيْتُهُ بِإِنَاءٍ آخَرَ فَتَوَضَّأَ» .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন শৌচাগারে যেতেন তখন আমি জগ বা লোটায় পানি নিয়ে তাঁর জন্য অপেক্ষা করতাম। অতঃপর তিনি তা দিয়ে ইস্তিঞ্জা করতেন। এরপর তিনি জমিনে হাত ঘঁষে নিতেন। পুনরায় আমি আরেকটি লোটা পানি নিয়ে আসলে তিনি তা দিয়ে অযু করতেন”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৪৫।]
«كَاْنَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم إِذَا أَتَى الْخَلاَءَ، أَتَيْتُهُ بِمَاءٍ فِيْ تَوْرٍ أَوْ رَكْوَةٍ، فَاسْتَنْجَى، ثُمَّ مَسَحَ يَدَهُ عَلَى الأَرْضِ، ثُمَّ أَتَيْتُهُ بِإِنَاءٍ آخَرَ فَتَوَضَّأَ» .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন শৌচাগারে যেতেন তখন আমি জগ বা লোটায় পানি নিয়ে তাঁর জন্য অপেক্ষা করতাম। অতঃপর তিনি তা দিয়ে ইস্তিঞ্জা করতেন। এরপর তিনি জমিনে হাত ঘঁষে নিতেন। পুনরায় আমি আরেকটি লোটা পানি নিয়ে আসলে তিনি তা দিয়ে অযু করতেন”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৪৫।]
৩৩
১২. মল-মূত্র ত্যাগ বা ভোজনের বেশী প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে তা প্রথমে সেরে নিবে। অতঃপর সালাত আদায় করবে।কারণ, তা প্রথমে না সেরে সালাত আদায় করতে গেলে সালাতে মন স্থির হবে না বরং অস্থিরতায় ভুগতে হবে।
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«لاَ صَلاَةَ بِحَضْرَةِ الطَّعَامِ، وَلاَ هُوَ يُدَافِعُهُ الأَخْبَثَانِ»
“খাবার উপস্থিত (প্রয়োজনও রয়েছে) এবং মল-মূত্রের চাপও রয়েছে এমতাবস্থায় সালাত আদায় হবে না”। [সহীহ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৫৬০।]
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«لاَ صَلاَةَ بِحَضْرَةِ الطَّعَامِ، وَلاَ هُوَ يُدَافِعُهُ الأَخْبَثَانِ»
“খাবার উপস্থিত (প্রয়োজনও রয়েছে) এবং মল-মূত্রের চাপও রয়েছে এমতাবস্থায় সালাত আদায় হবে না”। [সহীহ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৫৬০।]
আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم إِذَا أَرَادَ الْحَاجَةَ، لَمْ يَرْفَعْ ثَوْبَهُ حَتَّى يَدْنُوَ مِنَ الأَرْضِ» .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মল-মূত্র ত্যাগের ইচ্ছে করলে ভূমির নিকটবর্তী হলেই কাপড় খুলতেন। নইলে নয়”। [তিরমিযী, হাদীস নং ১৪; আবু দাউদ, হাদীস নং ১৪।]
«كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم إِذَا أَرَادَ الْحَاجَةَ، لَمْ يَرْفَعْ ثَوْبَهُ حَتَّى يَدْنُوَ مِنَ الأَرْضِ» .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মল-মূত্র ত্যাগের ইচ্ছে করলে ভূমির নিকটবর্তী হলেই কাপড় খুলতেন। নইলে নয়”। [তিরমিযী, হাদীস নং ১৪; আবু দাউদ, হাদীস নং ১৪।]
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«لاَ يَبُوْلَنَّ أَحَدُكُمْ فِي الـْمَاءِ الدَّائِمِ الَّذِيْ لاَ يَجْرِيْ ثُمَّ يَغْتَسِلُ مِنْهُ» .
“তোমাদের কেউ স্থির পানিতে প্রস্রাব অতঃপর গোসল করবে না”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৩৯ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৮২।]
«لاَ يَبُوْلَنَّ أَحَدُكُمْ فِي الـْمَاءِ الدَّائِمِ الَّذِيْ لاَ يَجْرِيْ ثُمَّ يَغْتَسِلُ مِنْهُ» .
“তোমাদের কেউ স্থির পানিতে প্রস্রাব অতঃপর গোসল করবে না”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৩৯ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৮২।]
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«قَضَى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم حَاجَتَهُ ثُمَّ اسْتَنْجَى مِنْ تَوْرٍ، ثُمَّ دَلَكَ يَدَهُ بِالأَرْضِ» .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মল-মূত্র ত্যাগ করে এক লোটা পানি দিয়ে ইস্তিঞ্জা করেছেন। অতঃপর মাটি দিয়ে নিজের হাত খানা ঘঁষে নিয়েছেন”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৪৫; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৩৫৮।]
«قَضَى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم حَاجَتَهُ ثُمَّ اسْتَنْجَى مِنْ تَوْرٍ، ثُمَّ دَلَكَ يَدَهُ بِالأَرْضِ» .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মল-মূত্র ত্যাগ করে এক লোটা পানি দিয়ে ইস্তিঞ্জা করেছেন। অতঃপর মাটি দিয়ে নিজের হাত খানা ঘঁষে নিয়েছেন”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৪৫; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৩৫৮।]
‘আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«مَرَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم بِقَبْرَيْنِ، فَقَالَ : إِنَّهُمَا لَيُعَذَّبَانِ، وَمَايُعَذَّبَانِ فِيْ كَبِيْرٍ، أَمَّا أَحَدُهُمَا فَكَانَ لاَ يَسْتَتِرُ مِنَ الْبَوْلِ، وَأَمَّا الآخَرُ فَكَانَ يَمْشِيْ بِالنَّمِيْمَةِ» .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুটি কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন তিনি বললেন: কবর দু’টিতে শায়িত ব্যক্তিদ্বয়কে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। তবে উভয়কে বড় কোনো গুনাহ’র কারণে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না। তাদের একজন প্রস্রাব থেকে সম্পূর্ণরূপে পবিত্রতা অর্জন করতো না। আর অপরজন চোগলখোরী করতো (একজনের কথা আরেক জনকে বলে পরস্পরের মধ্যে দ্বন্দ্ব লাগিয়ে দিত)”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২১৬, ২১৮; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৯২।]
উক্ত হাদীস থেকে এটাই বুঝা গেলো যে, প্রস্রাবের ছিঁটা থেকে কঠিন সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তাই যারা প্রস্রাব করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করে না, নিজের পোষাক-পরিচ্ছদকে প্রস্রাবের ছিঁটা থেকে রক্ষা করে না, এমনকি প্রস্রাবের পর পানি না পেলে ডেলা-কুলুপ, টিসু ইত্যাদিও ব্যবহার করে না তাদের জানা উচিত, প্রস্রাবের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন না করা একদা কবরে শাস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
«مَرَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم بِقَبْرَيْنِ، فَقَالَ : إِنَّهُمَا لَيُعَذَّبَانِ، وَمَايُعَذَّبَانِ فِيْ كَبِيْرٍ، أَمَّا أَحَدُهُمَا فَكَانَ لاَ يَسْتَتِرُ مِنَ الْبَوْلِ، وَأَمَّا الآخَرُ فَكَانَ يَمْشِيْ بِالنَّمِيْمَةِ» .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুটি কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন তিনি বললেন: কবর দু’টিতে শায়িত ব্যক্তিদ্বয়কে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। তবে উভয়কে বড় কোনো গুনাহ’র কারণে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না। তাদের একজন প্রস্রাব থেকে সম্পূর্ণরূপে পবিত্রতা অর্জন করতো না। আর অপরজন চোগলখোরী করতো (একজনের কথা আরেক জনকে বলে পরস্পরের মধ্যে দ্বন্দ্ব লাগিয়ে দিত)”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২১৬, ২১৮; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৯২।]
উক্ত হাদীস থেকে এটাই বুঝা গেলো যে, প্রস্রাবের ছিঁটা থেকে কঠিন সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তাই যারা প্রস্রাব করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করে না, নিজের পোষাক-পরিচ্ছদকে প্রস্রাবের ছিঁটা থেকে রক্ষা করে না, এমনকি প্রস্রাবের পর পানি না পেলে ডেলা-কুলুপ, টিসু ইত্যাদিও ব্যবহার করে না তাদের জানা উচিত, প্রস্রাবের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন না করা একদা কবরে শাস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
তবে কোনো প্রয়োজন থাকলে তা করা যেতে পারে।
উমাইমাহ বিনতে রুক্বাইক্বা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«كَانَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَدَحٌ مِنْ عِيْدَانٍ تَحْتَ سَرِيْرِهِ، يَبُوْلُ فِيْهِ بِاللَّيْلِ» .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খাটের নিচে কাঠের একটি পেয়ালা ছিল যাতে তিনি রাত্রিবেলায় প্রস্রাব করতেন”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ২৪।]
উমাইমাহ বিনতে রুক্বাইক্বা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«كَانَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَدَحٌ مِنْ عِيْدَانٍ تَحْتَ سَرِيْرِهِ، يَبُوْلُ فِيْهِ بِاللَّيْلِ» .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খাটের নিচে কাঠের একটি পেয়ালা ছিল যাতে তিনি রাত্রিবেলায় প্রস্রাব করতেন”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ২৪।]
উক্ববাহ ইবন ‘আমির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«مَا أُبَالِيْ أَوَسَطَ الْقُبُوْرِ قَضَيْتُ حَاجَتِيْ أَوْ وَسَطَ السُّوْقِ» .
“আমার মতে কবরস্থানের মাঝখানে ও বাজারের মধ্যভাগে মল-মূত্র ত্যাগে কোনো পার্থক্য নেই। (মনুষ্যত্বের বিবেচনায় দু’টোই অপরাধ)”। [ইবন মাজাহ, হাদীস নং ১৫৮৯।]
«مَا أُبَالِيْ أَوَسَطَ الْقُبُوْرِ قَضَيْتُ حَاجَتِيْ أَوْ وَسَطَ السُّوْقِ» .
“আমার মতে কবরস্থানের মাঝখানে ও বাজারের মধ্যভাগে মল-মূত্র ত্যাগে কোনো পার্থক্য নেই। (মনুষ্যত্বের বিবেচনায় দু’টোই অপরাধ)”। [ইবন মাজাহ, হাদীস নং ১৫৮৯।]
বিছানা, ঘর বা মসজিদের কোনো অংশে প্রস্রাব অথবা অন্য কোনো নাপাক (যা দৃশ্যমান) দেখা গেলে প্রয়োজন পরিমাণ পানি ঢেলে তা দূরীভুত করবে। একদা জনৈক গ্রাম্য ব্যক্তি মসজিদে নববীতে প্রস্রাব করলে সাহাবারা তার উপর ক্ষেপে যায়। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদেরকে বললেন:
«دَعُوْهُ وَهَرِيْقُوْا عَلَى بَوْلِهِ سَجْلاً مِنْ مَاءٍ أَوْ ذَنُوْبًا مِنْ مَاءٍ فَإِنَّمَا بُعِثْتُمْ مُيَسِّرِيْنَ وَلَمْ تُبْعَثُوْا مُعَسِّرِيْنَ» .
“তোমরা তাকে ছেড়ে দাও, তাকে বাধা দিও না। তবে প্রস্রাবের উপর এক বালতি পানি ঢেলে দাও। কারণ, তোমাদেরকে সহজতার জন্যে পাঠানো হয়েছে কঠোরতার জন্যে নয়”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২২০, ৬১২৮ মুসলিম; ২৮৪, ২৮৫।]
তিনি ওকে ডেকে আরো বললেন:
«إِنَّ هَذِهِ الْـمَسَاجِدَ لاَ تَصْلُحُ لِشَيْءٍ مِنْ هَذَا الْبَوْلِ وَلاَ الْقَذَرِ، إِنَّمَا هِيَ لِذِكْرِ اللهِ عَزَّوَجَلَّ، وَالصَّلاَةِ، وَقِرَاءَ ةِ الْقُرْآنِ» .
“এ মসজিদগুলো প্রস্রাব ও ময়লা করার জন্যে নয়। তা হচ্ছে আল্লাহর যিকির, সালাত ও কুরআন পড়ার স্থান”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৮৫।]
«دَعُوْهُ وَهَرِيْقُوْا عَلَى بَوْلِهِ سَجْلاً مِنْ مَاءٍ أَوْ ذَنُوْبًا مِنْ مَاءٍ فَإِنَّمَا بُعِثْتُمْ مُيَسِّرِيْنَ وَلَمْ تُبْعَثُوْا مُعَسِّرِيْنَ» .
“তোমরা তাকে ছেড়ে দাও, তাকে বাধা দিও না। তবে প্রস্রাবের উপর এক বালতি পানি ঢেলে দাও। কারণ, তোমাদেরকে সহজতার জন্যে পাঠানো হয়েছে কঠোরতার জন্যে নয়”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২২০, ৬১২৮ মুসলিম; ২৮৪, ২৮৫।]
তিনি ওকে ডেকে আরো বললেন:
«إِنَّ هَذِهِ الْـمَسَاجِدَ لاَ تَصْلُحُ لِشَيْءٍ مِنْ هَذَا الْبَوْلِ وَلاَ الْقَذَرِ، إِنَّمَا هِيَ لِذِكْرِ اللهِ عَزَّوَجَلَّ، وَالصَّلاَةِ، وَقِرَاءَ ةِ الْقُرْآنِ» .
“এ মসজিদগুলো প্রস্রাব ও ময়লা করার জন্যে নয়। তা হচ্ছে আল্লাহর যিকির, সালাত ও কুরআন পড়ার স্থান”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৮৫।]
পোশাক-পরিচ্ছদে নাপাক লেগে গেলে তা যদি দৃশ্যমান হয় প্রথমে তা হাত দিয়ে ঘষে (শুষ্ক হলে) অথবা যে কোনো পন্থায় (শুষ্ক না হলে) পরিষ্কার করে নিবে। অতঃপর তা পানি দিয়ে ধুয়ে নিবে।
আসমা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, জনৈক মহিলা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ঋতুস্রাব দ্বারা কলুষিত পোষাকের পবিত্রতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন:
«إِذَا أَصَابَ ثَوْبَ إِحْدَاكُنَّ الدَّمُ مِنَ الْحَيْضَةِ فَلْتَقْرُصْهُ، ثُمَّ لْتَنْضَحْهُ بِمَاءٍ، ثُمَّ لْتُصَلِّيْ فِيْهِ» .
“তোমাদের কারোর পোষাক ঋতুস্রাব দ্বারা কলুষিত হলে প্রথমে তা হাত দিয়ে ঘষে নিবে। অতঃপর তা পানি দিয়ে ধুয়ে নিলেই তাতে সালাত পড়া যাবে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২২৭, ৩০৭; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৯১।]
আসমা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, জনৈক মহিলা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ঋতুস্রাব দ্বারা কলুষিত পোষাকের পবিত্রতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন:
«إِذَا أَصَابَ ثَوْبَ إِحْدَاكُنَّ الدَّمُ مِنَ الْحَيْضَةِ فَلْتَقْرُصْهُ، ثُمَّ لْتَنْضَحْهُ بِمَاءٍ، ثُمَّ لْتُصَلِّيْ فِيْهِ» .
“তোমাদের কারোর পোষাক ঋতুস্রাব দ্বারা কলুষিত হলে প্রথমে তা হাত দিয়ে ঘষে নিবে। অতঃপর তা পানি দিয়ে ধুয়ে নিলেই তাতে সালাত পড়া যাবে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২২৭, ৩০৭; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৯১।]
মহিলাদের বোরকা, পাজামা ও শাড়ীর নিম্নাংশে কোনো নাপাকী লেগে গেলে হাঁটার সময় পরবর্তী মাটির ঘর্ষণ তা পবিত্র করে দিবে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন,
«يُطَهِّرُهُ مَا بَعْدَهُ» .
“পরবর্তী ধুলোমাটির মিশ্রণ উহাকে পবিত্র করে দিবে”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৩৮৩; তিরমিযী, হাদীস নং ১৪৩।]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন,
«يُطَهِّرُهُ مَا بَعْدَهُ» .
“পরবর্তী ধুলোমাটির মিশ্রণ উহাকে পবিত্র করে দিবে”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৩৮৩; তিরমিযী, হাদীস নং ১৪৩।]
যে বাচ্চার খাদ্য শুধুমাত্র মায়ের দুধ সে ছেলে হলে এবং কোনো কাপড়ে প্রস্রাব করলে তার প্রস্রাবের উপর পানির ছিঁটা দিলেই কাপড়টি পাক হয়ে যাবে। আর সে মেয়ে হলে তা ধুয়ে নিতে হবে।
উম্মে ক্বাইস রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«أَتَيْتُ بِابْنٍ لِيْ صَغِيْرٍ لَمْ يَأْكُلِ الطَّعَامَ إِلَى رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم فَأَجْلَسَهُ فِيْ حِجْرِهِ فَبَالَ عَلَىْ ثَوْبِهِ فَدَعَا بِمَاءٍ فَنَضَحَهُ وَلَمْ يَغْسِلْهُ» .
“আমি আমার একটি দুগ্ধপোষ্য শিশু নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট উপস্থিত হলে তিনি তাকে কোলে উঠিয়ে নেন। অতঃপর শিশুটি তাঁর কোলে প্রস্রাব করে দেয়। তখন তিনি পানি আনতে বললেন। পানি আনা হলে তিনি তা কাপড়ে ছিঁটিয়ে দেন। তবে তিনি কাপড় ধোননি”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২২৩; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৮৭; আবু দাউদ, হাদীস নং ৩৭৪।]
লুবাবাহ বিনতে হারিস রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«بَالَ الْـحُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ فِيْ حِجْرِ النَّبِىِّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ : يَا رَسُوْلَ اللهِ ! أَعْطِنِيْ ثَوْبَكَ وَالْبَسْ ثَوْبًا غَيْرَهُ، فَقَالَ : إِنَّمَا يُنْضَحُ مِنْ بَوْلِ الذَّكَرِ وَيُغْسَلُ مِنْ بَوْلِ الأُنْثَى» .
“একদা হুসাইন ইবন ‘আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুমা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কোলে প্রস্রাব করে দিলে আমি তাঁকে বললাম: ময়লা (প্রস্রাবকৃত) কাপড়টি আমাকে দিন এবং আপনি অন্য একটি কাপড় পরে নিন। তখন তিনি বললেন: দুগ্ধপোষ্য ছেলের প্রস্রাব পানি ছিঁটিয়ে দিলেই পাক হয়ে যায়। আর মেয়েদের প্রস্রাব ধুয়ে নিতে হয়”। [ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৫২৮; আবু দাউদ, হাদীস নং ৩৭৫।]
‘আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,
«يُغْسَلُ مِنْ بَوْلِ الْـجَارِيَةِ، وَيُنْضَحُ مِنْ بَوْلِ الْغُلاَمِ مَا لَمْ يَطْعَمْ» .
“মেয়েদের প্রস্রাব ধুয়ে নিতে হবে। আর দুগ্ধপোষ্য ছেলের প্রস্রাব পানি ছিঁটিয়ে দিলেই চলবে”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৩৭৭।]
উম্মে ক্বাইস রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«أَتَيْتُ بِابْنٍ لِيْ صَغِيْرٍ لَمْ يَأْكُلِ الطَّعَامَ إِلَى رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم فَأَجْلَسَهُ فِيْ حِجْرِهِ فَبَالَ عَلَىْ ثَوْبِهِ فَدَعَا بِمَاءٍ فَنَضَحَهُ وَلَمْ يَغْسِلْهُ» .
“আমি আমার একটি দুগ্ধপোষ্য শিশু নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট উপস্থিত হলে তিনি তাকে কোলে উঠিয়ে নেন। অতঃপর শিশুটি তাঁর কোলে প্রস্রাব করে দেয়। তখন তিনি পানি আনতে বললেন। পানি আনা হলে তিনি তা কাপড়ে ছিঁটিয়ে দেন। তবে তিনি কাপড় ধোননি”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২২৩; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৮৭; আবু দাউদ, হাদীস নং ৩৭৪।]
লুবাবাহ বিনতে হারিস রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«بَالَ الْـحُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ فِيْ حِجْرِ النَّبِىِّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ : يَا رَسُوْلَ اللهِ ! أَعْطِنِيْ ثَوْبَكَ وَالْبَسْ ثَوْبًا غَيْرَهُ، فَقَالَ : إِنَّمَا يُنْضَحُ مِنْ بَوْلِ الذَّكَرِ وَيُغْسَلُ مِنْ بَوْلِ الأُنْثَى» .
“একদা হুসাইন ইবন ‘আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুমা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কোলে প্রস্রাব করে দিলে আমি তাঁকে বললাম: ময়লা (প্রস্রাবকৃত) কাপড়টি আমাকে দিন এবং আপনি অন্য একটি কাপড় পরে নিন। তখন তিনি বললেন: দুগ্ধপোষ্য ছেলের প্রস্রাব পানি ছিঁটিয়ে দিলেই পাক হয়ে যায়। আর মেয়েদের প্রস্রাব ধুয়ে নিতে হয়”। [ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৫২৮; আবু দাউদ, হাদীস নং ৩৭৫।]
‘আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,
«يُغْسَلُ مِنْ بَوْلِ الْـجَارِيَةِ، وَيُنْضَحُ مِنْ بَوْلِ الْغُلاَمِ مَا لَمْ يَطْعَمْ» .
“মেয়েদের প্রস্রাব ধুয়ে নিতে হবে। আর দুগ্ধপোষ্য ছেলের প্রস্রাব পানি ছিঁটিয়ে দিলেই চলবে”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৩৭৭।]
জুতো-সেন্ডেলে নাপাকী লেগে গেলে ওগুলোকে মাটিতে ভালোভাবে ঘষে নিলেই চলবে, যাতে নাপাক দূর হয়ে যায়।
আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِذَا جَاءَ أَحَدُكُمْ إِلَى الـْمَسْجِدِ فَلْيَنْظُـرْ، فَإِنْ رَأَى فِيْ نَعْلَيْهِ قَذَرًا أَوْ أَذًى فَلْيَمْسَحْهُ، وَلْيُصَلِّ فِيْهِمَا» .
“তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করতে চাইলে জুতায় ময়লা (নাপাকী) আছে কিনা তা সর্বপ্রথম দেখে নিবে। তাতে ময়লা পরিলক্ষিত হলে ঘষে-মুছে পরিষ্কার করে নিবে এবং উক্ত জুতা পরাবস্থায়ই সালাত আদায় করবে”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৬৫০।]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন,
«إِذَا وَطِئَ أَحَدُكُمْ بِنَعْلِهِ الأَذَى ؛ فَإِنَّ التُّرَابَ لَهُ طَهُوْرٌ» .
“তোমাদের কেউ নিজ জুতা দিয়ে ময়লা (নাপাকী) মাড়িয়ে গেলে পরবর্তী পবিত্র মাটির ঘর্ষণ উহাকে পবিত্র করে দিবে”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৩৮৫।]
আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِذَا جَاءَ أَحَدُكُمْ إِلَى الـْمَسْجِدِ فَلْيَنْظُـرْ، فَإِنْ رَأَى فِيْ نَعْلَيْهِ قَذَرًا أَوْ أَذًى فَلْيَمْسَحْهُ، وَلْيُصَلِّ فِيْهِمَا» .
“তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করতে চাইলে জুতায় ময়লা (নাপাকী) আছে কিনা তা সর্বপ্রথম দেখে নিবে। তাতে ময়লা পরিলক্ষিত হলে ঘষে-মুছে পরিষ্কার করে নিবে এবং উক্ত জুতা পরাবস্থায়ই সালাত আদায় করবে”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৬৫০।]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন,
«إِذَا وَطِئَ أَحَدُكُمْ بِنَعْلِهِ الأَذَى ؛ فَإِنَّ التُّرَابَ لَهُ طَهُوْرٌ» .
“তোমাদের কেউ নিজ জুতা দিয়ে ময়লা (নাপাকী) মাড়িয়ে গেলে পরবর্তী পবিত্র মাটির ঘর্ষণ উহাকে পবিত্র করে দিবে”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৩৮৫।]
কুকুর কোনো থালা-বাসনে মুখস্থাপন করলে ওগুলোকে সাত বার ধুয়ে নিবে এবং উহার প্রথম বার মাটি দিয়ে ঘঁষে নিবে।
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«طُهُوْرُ إِنَاء أَحَدِكُمْ إِذَا وَلَغَ فِيْهِ الْكَلْبُ أَنْ يَغْسِلَهُ سَبْعَ مَرَّاتٍ أُوْلاَهُنَّ بِالتُّرَابِ» .
“তোমাদের কারোর প্লেটে কুকুর মুখস্থাপন করলে উহাকে পবিত্র করতে হলে সাত বার পানি দিয়ে ধুয়ে নিবে এবং উহার প্রথম বার মাটি দিয়ে ঘষে নিবে”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৭৯।]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন,
«إِذَا وَلَغَ الْكَلْبُ فِيْ إِنَاءِ أَحَدِكُمْ فَلْيُرِقْهُ، ثُمَّ لْيَغْسِلْهُ سَبْعَ مِرَارٍ» .
“তোমাদের কারোর পানপাত্রে কুকুর মুখস্থাপন করলে তাতে খাদ্য পানীয় যা কিছু রয়েছে উহার সবটুকুই ঢেলে দিবে। অতঃপর উহাকে সাতবার ধুয়ে নিবে”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৭৯।]
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«طُهُوْرُ إِنَاء أَحَدِكُمْ إِذَا وَلَغَ فِيْهِ الْكَلْبُ أَنْ يَغْسِلَهُ سَبْعَ مَرَّاتٍ أُوْلاَهُنَّ بِالتُّرَابِ» .
“তোমাদের কারোর প্লেটে কুকুর মুখস্থাপন করলে উহাকে পবিত্র করতে হলে সাত বার পানি দিয়ে ধুয়ে নিবে এবং উহার প্রথম বার মাটি দিয়ে ঘষে নিবে”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৭৯।]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন,
«إِذَا وَلَغَ الْكَلْبُ فِيْ إِنَاءِ أَحَدِكُمْ فَلْيُرِقْهُ، ثُمَّ لْيَغْسِلْهُ سَبْعَ مِرَارٍ» .
“তোমাদের কারোর পানপাত্রে কুকুর মুখস্থাপন করলে তাতে খাদ্য পানীয় যা কিছু রয়েছে উহার সবটুকুই ঢেলে দিবে। অতঃপর উহাকে সাতবার ধুয়ে নিবে”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৭৯।]
উপরোক্ত বস্তুগুলো নাপাক। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿قُل لَّآ أَجِدُ فِي مَآ أُوحِيَ إِلَيَّ مُحَرَّمًا عَلَىٰ طَاعِمٖ يَطۡعَمُهُۥٓ إِلَّآ أَن يَكُونَ مَيۡتَةً أَوۡ دَمٗا مَّسۡفُوحًا أَوۡ لَحۡمَ خِنزِيرٖ فَإِنَّهُۥ رِجۡسٌ أَوۡ فِسۡقًا أُهِلَّ لِغَيۡرِ ٱللَّهِ بِهِ﴾ [ الانعام : ١٤٥ ]
“আপনি (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলে দিন! আমার নিকট অহীর মাধ্যমে প্রেরিত বিধানের মধ্যে আহারকারীর ওপর কোনো বস্তু হারাম করা হয়েছে এমন পাই নি। তবে শুধু মৃত জন্তু, প্রবাহিত রক্ত ও শূকরের গোশত যা হারাম করা হয়েছে। কেননা, তা নিশ্চিত নাপাক ও শরী‘আত গর্হিত বস্তু যা আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে উৎসর্গ করা হয়েছে”। [সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ১৪৫]
তবে মৃত মাছ ও পঙ্গপাল পবিত্র ও তা খাওয়া জায়েয।
‘আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«أُحِلَّتْ لَنَا مَيْتَتَانِ وَدَمَانِ ؛ فَأَمَّا الْـمَيْتَتَانِ فَالْحُوْتُ وَالْجَرَادُ، وَأَمَّا الدَّمَانِ فَالْكَبِدُ وَالطِّحَالُ» .
“আমাদের জন্য দু’টি মৃত জীব ও দু’ধরণের রক্ত হালাল করে দেওয়া হয়েছে। মৃত দু’টি হচ্ছে মাছ ও পঙ্গপাল এবং রক্তগুলো হচ্ছে কলিজা ও তিল্লী”। [ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৩২৭৮, ৩৩৭৭।]
এ ছাড়া সকল মৃত জীব নাপাক। তবে কোনো মুসলমান সে কখনোই এমনভাবে নাপাক হতে পারে না যে নাপাকী দূরীকরণ কোনোভাবেই সম্ভবপর নয়।
আবু হুরায়রা ও হুযাইফাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, তারা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِنَّ الْـمُسْلِمَ لاَ يَنْجُسُ» .
“প্রকৃতপক্ষে মুসলিম কখনোই নাপাক হয় না”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৮৩; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৭২।]
যে জীবের রক্ত বহমান নয় সে ধরনের জীব প্রাণত্যাগ করলে তা নাপাক হয় না।
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
» إِذَا وَقَعَ الذُّبَابُ فِيْ شَرَابِ أَحَدِكُمْ فَلْيَغْمِسْهُ ثُمَّ لْيَنْزِعْهُ، فَإِنَّ فِيْ إِحْدَى جَنَاحَيْهِ دَاءً وَالأُخْرَى شِفَاءً» .
“তোমাদের কারোর খাদ্যপানীয়তে মাছি বসলে ওকে তাতে ডুবিয়ে অতঃপর উঠিয়ে নিবে। কারণ, তার একটি ডানায় রয়েছে রোগ এবং অপরটিতে রয়েছে উপশম”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩৩২০।]
﴿قُل لَّآ أَجِدُ فِي مَآ أُوحِيَ إِلَيَّ مُحَرَّمًا عَلَىٰ طَاعِمٖ يَطۡعَمُهُۥٓ إِلَّآ أَن يَكُونَ مَيۡتَةً أَوۡ دَمٗا مَّسۡفُوحًا أَوۡ لَحۡمَ خِنزِيرٖ فَإِنَّهُۥ رِجۡسٌ أَوۡ فِسۡقًا أُهِلَّ لِغَيۡرِ ٱللَّهِ بِهِ﴾ [ الانعام : ١٤٥ ]
“আপনি (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলে দিন! আমার নিকট অহীর মাধ্যমে প্রেরিত বিধানের মধ্যে আহারকারীর ওপর কোনো বস্তু হারাম করা হয়েছে এমন পাই নি। তবে শুধু মৃত জন্তু, প্রবাহিত রক্ত ও শূকরের গোশত যা হারাম করা হয়েছে। কেননা, তা নিশ্চিত নাপাক ও শরী‘আত গর্হিত বস্তু যা আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে উৎসর্গ করা হয়েছে”। [সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ১৪৫]
তবে মৃত মাছ ও পঙ্গপাল পবিত্র ও তা খাওয়া জায়েয।
‘আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«أُحِلَّتْ لَنَا مَيْتَتَانِ وَدَمَانِ ؛ فَأَمَّا الْـمَيْتَتَانِ فَالْحُوْتُ وَالْجَرَادُ، وَأَمَّا الدَّمَانِ فَالْكَبِدُ وَالطِّحَالُ» .
“আমাদের জন্য দু’টি মৃত জীব ও দু’ধরণের রক্ত হালাল করে দেওয়া হয়েছে। মৃত দু’টি হচ্ছে মাছ ও পঙ্গপাল এবং রক্তগুলো হচ্ছে কলিজা ও তিল্লী”। [ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৩২৭৮, ৩৩৭৭।]
এ ছাড়া সকল মৃত জীব নাপাক। তবে কোনো মুসলমান সে কখনোই এমনভাবে নাপাক হতে পারে না যে নাপাকী দূরীকরণ কোনোভাবেই সম্ভবপর নয়।
আবু হুরায়রা ও হুযাইফাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, তারা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِنَّ الْـمُسْلِمَ لاَ يَنْجُسُ» .
“প্রকৃতপক্ষে মুসলিম কখনোই নাপাক হয় না”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৮৩; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৭২।]
যে জীবের রক্ত বহমান নয় সে ধরনের জীব প্রাণত্যাগ করলে তা নাপাক হয় না।
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
» إِذَا وَقَعَ الذُّبَابُ فِيْ شَرَابِ أَحَدِكُمْ فَلْيَغْمِسْهُ ثُمَّ لْيَنْزِعْهُ، فَإِنَّ فِيْ إِحْدَى جَنَاحَيْهِ دَاءً وَالأُخْرَى شِفَاءً» .
“তোমাদের কারোর খাদ্যপানীয়তে মাছি বসলে ওকে তাতে ডুবিয়ে অতঃপর উঠিয়ে নিবে। কারণ, তার একটি ডানায় রয়েছে রোগ এবং অপরটিতে রয়েছে উপশম”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩৩২০।]
যে কোনো মৃত পশুর চামড়া (যা জীবিতাবস্থায় যবাই করে খাওয়া হালাল) দাবাগত (শুকিয়ে বা কোনো মেডিসিন ব্যবহার করে দূর্গন্ধমু্ক্ত করে নেওয়া) করে নিলে তা পাক হয়ে যাবে।
আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«تُصُدِّقَ عَلَىْ مَوْلاَةٍ لـِمَيْمُوْنَةَ بِشَاةٍ فَمَاتَتْ، فَمَرَّ بِهَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم فَقَالَ : هَلاَّ أَخَذْتُمْ إِهَابَهَا فَدَبَغْتُمُوْهُ، فَانْتَفَعْتُمْ بِهِ ؟ فَقَالُوْا : إِنَّهَا مَيْتَةٌ فَقَالَ : إِنَّمَا حَرُمَ أَكْلُهَا» .
“মাইমুনা রাদিয়াল্লাহু আনহার জনৈকা আযাদকৃত বান্দীকে একটি ছাগল ছাদকা দেওয়া হলে তা মরে যায়। ইতোমধ্যে ছাগলটির পাশ দিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাচ্ছিলেন। তখন তিনি বললেন: তোমরা যদি এর চামড়া দাবাগত করে কাজে লাগাতে। সাহাবীগণ বললেন: ছাগলটি তো মৃত। তিনি বললেন: মৃত ছাগল খাওয়া হারাম। তবে তার চামড়া দাবাগত করে যে কোনো কাজে লাগানো জায়েয”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৬৩; সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৪৯২, ২২২১।]
উম্মুল মুমিনীন সাওদাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«مَاتَتْ لَنَا شَاةٌ فَدَبَغْنَا مَسْكَهَا ثُمَّ مَازِلْنَا نَنْبِذُ فِيْهِ حَتَّى صَارَ شَنًّا» .
“আমাদের একটি ছাগল মরে গেলে ওর চামড়া দাবাগত করে আমরা একটি মশক বানিয়ে নিয়েছিলাম। যাতে আমরা নাবীয (খেজুর পানিতে ভিজিয়ে যা তৈরি করা হয়) তৈরি করতাম। এমনকি মশকটি পুরাতন হয়ে যায়”। [বুখারী, হাদীস ৬৬৮৬।]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো ইরশাদ করেনঃ
«إِذَا دُبِغَ الإِهَابُ فَقَدْ طَهُرَ» .
“কোনো কাঁচা চামড়া দাবাগত করা হলে তা পবিত্র হয়ে যায়”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৬৬।]
উপরোক্ত হাদীসটি শূকর ব্যতীত যবেহ করে খাওয়া হালাল বা হারাম যে কোনো ধরণের পশুর চামড়া দাবাগত করলে পবিত্র হয়ে যায় তা প্রমাণ করে।
তবে যে পশুরা নিজ শিকারকে ছিঁড়ে-ফুঁড়ে খায় ওদের চামড়া কোনোভাবেই ব্যবহার করা যাবে না।
আবুল মালীহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«نَهَى رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم عَنْ جُلُوْدِ السِّبَاعِ» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিঁড়ে-ফুঁড়ে খায় এমন পশুদের চামড়া ব্যবহার করতে নিষেধ করেন”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৪১৩২; তিরমিযী, হাদীস নং ১৭৭১।]
মৃত পশুপাখির কেশর, পশম, পালক ইত্যাদি পবিত্র।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَمِنۡ أَصۡوَافِهَا وَأَوۡبَارِهَا وَأَشۡعَارِهَآ أَثَٰثٗا وَمَتَٰعًا إِلَىٰ حِينٖ﴾ [ النحل : ٨٠ ]
“তেমনিভাবে আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের জন্য ব্যবস্থা করেছেন পশুদের পশম, লোম ও কেশ হতে ক্ষণকালের গৃহসামগ্রী ও ব্যবহার উপকরণ”। [সূরা আন-নাহল, আয়াত: ৮০]
আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«تُصُدِّقَ عَلَىْ مَوْلاَةٍ لـِمَيْمُوْنَةَ بِشَاةٍ فَمَاتَتْ، فَمَرَّ بِهَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم فَقَالَ : هَلاَّ أَخَذْتُمْ إِهَابَهَا فَدَبَغْتُمُوْهُ، فَانْتَفَعْتُمْ بِهِ ؟ فَقَالُوْا : إِنَّهَا مَيْتَةٌ فَقَالَ : إِنَّمَا حَرُمَ أَكْلُهَا» .
“মাইমুনা রাদিয়াল্লাহু আনহার জনৈকা আযাদকৃত বান্দীকে একটি ছাগল ছাদকা দেওয়া হলে তা মরে যায়। ইতোমধ্যে ছাগলটির পাশ দিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাচ্ছিলেন। তখন তিনি বললেন: তোমরা যদি এর চামড়া দাবাগত করে কাজে লাগাতে। সাহাবীগণ বললেন: ছাগলটি তো মৃত। তিনি বললেন: মৃত ছাগল খাওয়া হারাম। তবে তার চামড়া দাবাগত করে যে কোনো কাজে লাগানো জায়েয”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৬৩; সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৪৯২, ২২২১।]
উম্মুল মুমিনীন সাওদাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«مَاتَتْ لَنَا شَاةٌ فَدَبَغْنَا مَسْكَهَا ثُمَّ مَازِلْنَا نَنْبِذُ فِيْهِ حَتَّى صَارَ شَنًّا» .
“আমাদের একটি ছাগল মরে গেলে ওর চামড়া দাবাগত করে আমরা একটি মশক বানিয়ে নিয়েছিলাম। যাতে আমরা নাবীয (খেজুর পানিতে ভিজিয়ে যা তৈরি করা হয়) তৈরি করতাম। এমনকি মশকটি পুরাতন হয়ে যায়”। [বুখারী, হাদীস ৬৬৮৬।]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো ইরশাদ করেনঃ
«إِذَا دُبِغَ الإِهَابُ فَقَدْ طَهُرَ» .
“কোনো কাঁচা চামড়া দাবাগত করা হলে তা পবিত্র হয়ে যায়”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৬৬।]
উপরোক্ত হাদীসটি শূকর ব্যতীত যবেহ করে খাওয়া হালাল বা হারাম যে কোনো ধরণের পশুর চামড়া দাবাগত করলে পবিত্র হয়ে যায় তা প্রমাণ করে।
তবে যে পশুরা নিজ শিকারকে ছিঁড়ে-ফুঁড়ে খায় ওদের চামড়া কোনোভাবেই ব্যবহার করা যাবে না।
আবুল মালীহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«نَهَى رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم عَنْ جُلُوْدِ السِّبَاعِ» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিঁড়ে-ফুঁড়ে খায় এমন পশুদের চামড়া ব্যবহার করতে নিষেধ করেন”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৪১৩২; তিরমিযী, হাদীস নং ১৭৭১।]
মৃত পশুপাখির কেশর, পশম, পালক ইত্যাদি পবিত্র।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَمِنۡ أَصۡوَافِهَا وَأَوۡبَارِهَا وَأَشۡعَارِهَآ أَثَٰثٗا وَمَتَٰعًا إِلَىٰ حِينٖ﴾ [ النحل : ٨٠ ]
“তেমনিভাবে আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের জন্য ব্যবস্থা করেছেন পশুদের পশম, লোম ও কেশ হতে ক্ষণকালের গৃহসামগ্রী ও ব্যবহার উপকরণ”। [সূরা আন-নাহল, আয়াত: ৮০]
বীর্য বলতে উত্তেজনাসহ লিঙ্গাগ্র দিয়ে লাফিয়ে পড়া শুভ্র বর্ণের গাঢ় পানিকে বুঝানো হয়। তা নির্গত হলে গোসল ফরয হয়ে যায়। বীর্য পবিত্র বা অপবিত্র হওয়ার ব্যাপারে আলিমদের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে। তবে বিশুদ্ধ মত হচ্ছে বীর্য পবিত্র। এতদসত্ত্বেও বীর্য ভেজা হলে তা ধোয়া এবং শুষ্ক হলে তা খুঁটিয়ে ফেলা মুস্তাহাব।
একদা আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার মেহমানখানায় জনৈক ব্যক্তি রাত্রিযাপন করলে তার স্বপ্নদোষ হয়ে যায়। অতঃপর সে নিজের বীর্যযুক্ত পোশাক ধুয়ে ফেলা লজ্জা ও ঝামেলাবোধ করছিল। এমতাবস্থায় ব্যাপারটি আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার কর্ণগত হলে তিনি তাকে বললেন:
«إِنَّمَا كَانَ يُجْزِئُكَ إِنْ رَأَيْتَهُ أَنْ تَغْسِلَ مَكَانَهُ، فَإِنْ لَمْ تَرَ نَضَحْتَ حَوْلَهُ، وَلَقَدْ رَأَيْتُنِيْ أَفْرُكُهُ مِنْ ثَوْبِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم فَرْكًا، فَيُصَلِّيْ فِيْهِ» .
“তোমার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, যেখানে বীর্য দেখবে সে জায়গাটুকু ধুয়ে ফেলবে। আর বীর্য দেখা না গেলে সন্দেহজনক জায়গার আশপাশে পানি ছিঁটিয়ে দিবে। নিশ্চয় আমি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাপড় থেকে বীর্য খুঁটে ফেলতাম। অতঃপর তিনি তা পরেই সালাত পড়তে যেতেন।” [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৮৮।]
অন্য একটি বর্ণনায় রয়েছেঃ
«لَقَدْ رَأَيْتُنِيْ وَإِنِّيْ لَأَحُكُّهُ مِنْ ثَوْبِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم يَابِسًا بِظُفُرِيْ» .
“নিশ্চয় আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাপড় থেকে নিজের নখ দিয়ে শুষ্ক বীর্য খুঁটে ফেলতাম”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৯০।]
তিনি আরো বলেন,
«كُنْتُ أَغْسِلُ الْجَنَابَةَ مِنْ ثَوْبِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم فَيَخْرُجُ إِلَى الصَّلاَةِ، وَإِنَّ بُقَعَ الْـمَاءِ فِيْ ثَوْبِهِ» .
“আমি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাপড় থেকে বীর্য ধুয়ে ফেলতাম। অতঃপর তিনি তা পরে সালাত পড়তে যেতেন; অথচ তাঁর কাপড়ে তখনো পানির দাগ পরিলক্ষিত হতো”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২২৯, ২৩০, ২৩১, ২৩২।]
একদা আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার মেহমানখানায় জনৈক ব্যক্তি রাত্রিযাপন করলে তার স্বপ্নদোষ হয়ে যায়। অতঃপর সে নিজের বীর্যযুক্ত পোশাক ধুয়ে ফেলা লজ্জা ও ঝামেলাবোধ করছিল। এমতাবস্থায় ব্যাপারটি আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার কর্ণগত হলে তিনি তাকে বললেন:
«إِنَّمَا كَانَ يُجْزِئُكَ إِنْ رَأَيْتَهُ أَنْ تَغْسِلَ مَكَانَهُ، فَإِنْ لَمْ تَرَ نَضَحْتَ حَوْلَهُ، وَلَقَدْ رَأَيْتُنِيْ أَفْرُكُهُ مِنْ ثَوْبِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم فَرْكًا، فَيُصَلِّيْ فِيْهِ» .
“তোমার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, যেখানে বীর্য দেখবে সে জায়গাটুকু ধুয়ে ফেলবে। আর বীর্য দেখা না গেলে সন্দেহজনক জায়গার আশপাশে পানি ছিঁটিয়ে দিবে। নিশ্চয় আমি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাপড় থেকে বীর্য খুঁটে ফেলতাম। অতঃপর তিনি তা পরেই সালাত পড়তে যেতেন।” [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৮৮।]
অন্য একটি বর্ণনায় রয়েছেঃ
«لَقَدْ رَأَيْتُنِيْ وَإِنِّيْ لَأَحُكُّهُ مِنْ ثَوْبِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم يَابِسًا بِظُفُرِيْ» .
“নিশ্চয় আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাপড় থেকে নিজের নখ দিয়ে শুষ্ক বীর্য খুঁটে ফেলতাম”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৯০।]
তিনি আরো বলেন,
«كُنْتُ أَغْسِلُ الْجَنَابَةَ مِنْ ثَوْبِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم فَيَخْرُجُ إِلَى الصَّلاَةِ، وَإِنَّ بُقَعَ الْـمَاءِ فِيْ ثَوْبِهِ» .
“আমি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাপড় থেকে বীর্য ধুয়ে ফেলতাম। অতঃপর তিনি তা পরে সালাত পড়তে যেতেন; অথচ তাঁর কাপড়ে তখনো পানির দাগ পরিলক্ষিত হতো”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২২৯, ২৩০, ২৩১, ২৩২।]
শরীরে কোনো ধরণের যৌন উত্তেজনা অনুভব করলে লিঙ্গাগ্র দিয়ে অল্পসামান্য আঠালো পানি বের হওয়া একেবারেই স্বাভাবিক। তা থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যে কোনো সুস্থ পুরুষের পক্ষেই অসম্ভব। তাই ইসলামী শরী‘আত তা থেকে পবিত্রতার ব্যাপারে তেমন কোনো কঠোরতা প্রদর্শন করে নি। সুতরাং কারোর মযী বের হলে শুধু লিঙ্গ ও অণ্ডকোষ ধুয়ে অযু করে নিলেই চলবে। তবে শরীরের কোথাও লেগে গেলে তা ধুয়ে নিতে হবে।
‘আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার খুব মযী বের হতো। তবে আমি এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করতে লজ্জাবোধ করতাম। কারণ, তাঁর কন্যা ফাতিমা আমার বিবাহ বন্ধনে ছিলেন। তাই আমি মিকদাদ ইবন আসওয়াদ রাদিয়াল্লাহু আনহুকে এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে জেনে নিতে অনুরোধ করলাম। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন:
«يَغْسِلُ ذَكَرَهُ وَيَتَوَضَّأُ»
“লিঙ্গ ধুয়ে অযু করে নিবে”। [বুখারী, হাদীস ১৩২, ১৭৮, ২৬৯ মুসলিম, হাদীস ৩০৩।]
অন্য আরেকটি বর্ণনায় রয়েছে:
«لِيَغْسِلْ ذَكَرَهُ وَأُنْثِيَيْهِ وَلْيَتَوَضَّأْ وُضُوْءَ هُ لِلصَّلاَةِ»
“লিঙ্গ ও অণ্ডকোষ ধুয়ে নিবে এবং সালাতের অযুর ন্যায় অযু করে নিবে”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ২০৬, ২০৭, ২০৮।]
লুঙ্গি, পাজামা ও প্যান্টের কোথাও মযী লেগে গেলে এক চিল্লু পানি হাতে নিয়ে সেখানে ছিঁটিয়ে দিলেই চলবে। তবে তা ধোয়াই সর্বোত্তম। কারণ, মযী তো নাপাকই। পাক তো আর নয়।
সাহল ইবন হুনাইফ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করেন:
«فَكَيْفَ بِمَا يُصِيْبُ ثَوْبِيْ مِنْهُ ؟ قَالَ : يَكْفِيْكَ بِأَنْ تَأْخُذَ كَفًّا مِنْ مَاءٍ، فَتَنْضَحَ بِهَا مِنْ ثَوْبِكَ حَيْثُ تَرَى أَنَّهُ أَصَابَهُ» .
“মযী কাপড়ে লেগে গেলে কি করতে হবে? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: এক কোষ বা চিল্লু পানি নিয়ে কাপড়ের যেখানে মযী লেগেছে ছিঁটিয়ে দিবে। তাতেই যথেষ্ট হয়ে যাবে”। [তিরমিযী, হাদীস নং ১১৫ আবু দাউদ, হাদীস নং ২১০।]
উক্ত হাদীসে “নাযহুন” শব্দটি হালকা ধোয়ার অর্থে ব্যবহৃত হওয়া অযৌক্তিক বা অস্বাভাবিক নয়। তাই ধোয়াই সর্বোত্তম।
‘আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার খুব মযী বের হতো। তবে আমি এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করতে লজ্জাবোধ করতাম। কারণ, তাঁর কন্যা ফাতিমা আমার বিবাহ বন্ধনে ছিলেন। তাই আমি মিকদাদ ইবন আসওয়াদ রাদিয়াল্লাহু আনহুকে এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে জেনে নিতে অনুরোধ করলাম। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন:
«يَغْسِلُ ذَكَرَهُ وَيَتَوَضَّأُ»
“লিঙ্গ ধুয়ে অযু করে নিবে”। [বুখারী, হাদীস ১৩২, ১৭৮, ২৬৯ মুসলিম, হাদীস ৩০৩।]
অন্য আরেকটি বর্ণনায় রয়েছে:
«لِيَغْسِلْ ذَكَرَهُ وَأُنْثِيَيْهِ وَلْيَتَوَضَّأْ وُضُوْءَ هُ لِلصَّلاَةِ»
“লিঙ্গ ও অণ্ডকোষ ধুয়ে নিবে এবং সালাতের অযুর ন্যায় অযু করে নিবে”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ২০৬, ২০৭, ২০৮।]
লুঙ্গি, পাজামা ও প্যান্টের কোথাও মযী লেগে গেলে এক চিল্লু পানি হাতে নিয়ে সেখানে ছিঁটিয়ে দিলেই চলবে। তবে তা ধোয়াই সর্বোত্তম। কারণ, মযী তো নাপাকই। পাক তো আর নয়।
সাহল ইবন হুনাইফ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করেন:
«فَكَيْفَ بِمَا يُصِيْبُ ثَوْبِيْ مِنْهُ ؟ قَالَ : يَكْفِيْكَ بِأَنْ تَأْخُذَ كَفًّا مِنْ مَاءٍ، فَتَنْضَحَ بِهَا مِنْ ثَوْبِكَ حَيْثُ تَرَى أَنَّهُ أَصَابَهُ» .
“মযী কাপড়ে লেগে গেলে কি করতে হবে? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: এক কোষ বা চিল্লু পানি নিয়ে কাপড়ের যেখানে মযী লেগেছে ছিঁটিয়ে দিবে। তাতেই যথেষ্ট হয়ে যাবে”। [তিরমিযী, হাদীস নং ১১৫ আবু দাউদ, হাদীস নং ২১০।]
উক্ত হাদীসে “নাযহুন” শব্দটি হালকা ধোয়ার অর্থে ব্যবহৃত হওয়া অযৌক্তিক বা অস্বাভাবিক নয়। তাই ধোয়াই সর্বোত্তম।
মযী হচ্ছে উত্তেজনার সময় লিঙ্গাগ্র দিয়ে নির্গত আঠালো পানি। আর মনী হচ্ছে; চরম উত্তেজনাসহ লিঙ্গাগ্র দিয়ে লাফিড়ে পড়া শুভ্র বর্ণের গাঢ় পানি, যা মানব সৃষ্টির মৌলিক পদার্থ। এতে গোসল ফরয হয়। তেমনিভাবে অদী হচ্ছে প্রস্রাবের আগে-পরে নির্গত শুভ্র বর্ণের ঘোলাটে পানি। এতে গোসল ফরয হয় না।
ঋতুস্রাব বলতে প্রতি মাসে মহিলাদের যোনিদ্বার দিয়ে নির্গত নিয়মিত স্বাভাবিক রক্তস্রাবকে বুঝানো হয়। তা কোনো পোশাকে লেগে গেলে ঘষে-মলে ধুয়ে নিলেই চলবে।
আসমা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা জনৈকা মহিলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ঋতুস্রাব মিশ্রিত পোশাকের পবিত্রতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন:
«إِحْدَانَا يُصِيْبُ ثَوْبَهَا مِنْ دَمِ الْـحَيْضَةِ، كَيْفَ تَصْنَعُ بِهِ ؟ قَالَ : تَحُتُّهُ، ثُمَّ تَقْرُصُهُ بِالْـمَاءِ، ثُمَّ تَنْضَحُهُ، ثُمَّ تُصَلِّيْ فِيْهِ» .
“আমাদের কারো কারোর কাপড়ে কখনো কখনো ঋতুস্রাব লেগে যায়, তখন আমাদের করণীয় কী? তিনি বললেন: বস্ত্রখণ্ডটি ঘষে-মলে পানি দিয়ে ধুয়ে নিবে। অতঃপর তা পরেই সালাত পড়তে পারবে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২২৭, ৩০৭ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৯১।]
তবে যৎসামান্য হলে তা না ধুলেও কোনো অসুবিধে নেই।
‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«مَا كَانَ لإِحْدَانَا إِلاَّ ثَوْبٌ وَاحِدٌ تَحِيْضُ فِيْهِ ؛ فَإِنْ أَصَابَهُ شَيْءٌ مِنْ دَمٍ بَلَّتْهُ بِرِيْقِهَا ثُمَّ قَصَعَتْهُ بِرِيْقِهَا» .
“আমাদের কারোর একটিমাত্র কাপড় ছিল যা সে ঋতুকালেও পরতো। অতএব, তাতে সামান্যটুকু রক্ত লেগে গেলে থুথু দিয়ে ভিজিয়ে নখ দিয়ে মলে নিতো”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৩৫৮।]
ঋতুবতী সংক্রান্ত কিছু মাসআলা:
ঋতুবতী মহিলার সাথে সহবাস করা নিষেধ:
ঋতুবতী মহিলার সাথে সহবাস করা মারাত্মক গুনাহ’র কাজ।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَيَسَۡٔلُونَكَ عَنِ ٱلۡمَحِيضِۖ قُلۡ هُوَ أَذٗى فَٱعۡتَزِلُواْ ٱلنِّسَآءَ فِي ٱلۡمَحِيضِ وَلَا تَقۡرَبُوهُنَّ حَتَّىٰ يَطۡهُرۡنَۖ﴾ [ البقرة : ٢٢٢ ]
“তারা আপনাকে নারীদের ঋতুস্রাব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করছে। আপনি বলে দিন, তা হচ্ছে অশুচিতা। অতএব, তোমরা ঋতুকালে স্ত্রীদের নিকট যাবে না। এমনকি তারা সম্পূর্ণরূপে পবিত্র হওয়া পর্যন্ত তাদের সাথে সহবাসেও লিপ্ত হবে না”। [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ২২২]
তবে ঘটনাচক্রে এমতাবস্থায় কেউ সহবাস করে ফেললে আল্লাহ তা‘আলার পাকড়াও থেকে বাঁচার জন্য তাঁর সন্তুষ্টির আশায় এক দিনার বা অর্ধ দিনার তাঁর রাস্তায় সদকা করে দিবে।
ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঋতুকালীন সহবাসকারী সম্পর্কে বলেন,
«يَتَصَدَّقُ بِدِيْنَارٍأَوْ نِصْفِ دِيْنَارٍ» .
“সে এক দিনার (সাড়ে চার মাশা পরিমাণ স্বর্ণ) বা অর্ধ দিনার সদকা করে দিবে”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ২৬৪।]
আসমা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা জনৈকা মহিলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ঋতুস্রাব মিশ্রিত পোশাকের পবিত্রতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন:
«إِحْدَانَا يُصِيْبُ ثَوْبَهَا مِنْ دَمِ الْـحَيْضَةِ، كَيْفَ تَصْنَعُ بِهِ ؟ قَالَ : تَحُتُّهُ، ثُمَّ تَقْرُصُهُ بِالْـمَاءِ، ثُمَّ تَنْضَحُهُ، ثُمَّ تُصَلِّيْ فِيْهِ» .
“আমাদের কারো কারোর কাপড়ে কখনো কখনো ঋতুস্রাব লেগে যায়, তখন আমাদের করণীয় কী? তিনি বললেন: বস্ত্রখণ্ডটি ঘষে-মলে পানি দিয়ে ধুয়ে নিবে। অতঃপর তা পরেই সালাত পড়তে পারবে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২২৭, ৩০৭ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৯১।]
তবে যৎসামান্য হলে তা না ধুলেও কোনো অসুবিধে নেই।
‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«مَا كَانَ لإِحْدَانَا إِلاَّ ثَوْبٌ وَاحِدٌ تَحِيْضُ فِيْهِ ؛ فَإِنْ أَصَابَهُ شَيْءٌ مِنْ دَمٍ بَلَّتْهُ بِرِيْقِهَا ثُمَّ قَصَعَتْهُ بِرِيْقِهَا» .
“আমাদের কারোর একটিমাত্র কাপড় ছিল যা সে ঋতুকালেও পরতো। অতএব, তাতে সামান্যটুকু রক্ত লেগে গেলে থুথু দিয়ে ভিজিয়ে নখ দিয়ে মলে নিতো”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৩৫৮।]
ঋতুবতী সংক্রান্ত কিছু মাসআলা:
ঋতুবতী মহিলার সাথে সহবাস করা নিষেধ:
ঋতুবতী মহিলার সাথে সহবাস করা মারাত্মক গুনাহ’র কাজ।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَيَسَۡٔلُونَكَ عَنِ ٱلۡمَحِيضِۖ قُلۡ هُوَ أَذٗى فَٱعۡتَزِلُواْ ٱلنِّسَآءَ فِي ٱلۡمَحِيضِ وَلَا تَقۡرَبُوهُنَّ حَتَّىٰ يَطۡهُرۡنَۖ﴾ [ البقرة : ٢٢٢ ]
“তারা আপনাকে নারীদের ঋতুস্রাব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করছে। আপনি বলে দিন, তা হচ্ছে অশুচিতা। অতএব, তোমরা ঋতুকালে স্ত্রীদের নিকট যাবে না। এমনকি তারা সম্পূর্ণরূপে পবিত্র হওয়া পর্যন্ত তাদের সাথে সহবাসেও লিপ্ত হবে না”। [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ২২২]
তবে ঘটনাচক্রে এমতাবস্থায় কেউ সহবাস করে ফেললে আল্লাহ তা‘আলার পাকড়াও থেকে বাঁচার জন্য তাঁর সন্তুষ্টির আশায় এক দিনার বা অর্ধ দিনার তাঁর রাস্তায় সদকা করে দিবে।
ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঋতুকালীন সহবাসকারী সম্পর্কে বলেন,
«يَتَصَدَّقُ بِدِيْنَارٍأَوْ نِصْفِ دِيْنَارٍ» .
“সে এক দিনার (সাড়ে চার মাশা পরিমাণ স্বর্ণ) বা অর্ধ দিনার সদকা করে দিবে”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ২৬৪।]
ঋতুবতী মহিলার সাথে খাওয়া-দাওয়া, উঠা-বসা, মেলামেশা, চুম্বন, উত্তেজনাকর স্পর্শ বা জড়াজড়ি ইত্যাদি জায়েয।
মোট কথা, সহবাস ছাড়া যে কোনো কাজ ঋতুবতী মহিলার সাথে জায়েয।
আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইয়াহূদী সম্প্রদায় তাদের মধ্যে কোনো মহিলা ঋতুবতী হলে তার সাথে খাওয়া-দাওয়া, মেলামেশা এমনকি একই ঘরে বসবাস করাও বন্ধ করে দিতো। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন:
«اِصْنَعُوْا كُلَّ شَيْءٍ إِلاَّ النِّكَاحَ»
“ঋতুবতীর সাথে সহবাস ছাড়া সব কাজই করতে পারো”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩০২।]
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«كَانَتْ إِحْدَانَا إِذَا كَانَتْ حَائِضًا، فَأَرَادَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم أَنْ يُبَاشِرَهَا، أَمَرَهَا أَنْ تَتَّزِرَ فِيْ فَوْرِ حَيْضَتِهَا ثُمَّ يُبَاشِرُهَا، قَالَتْ : وَأَيُّكُمْ يَمْلِكُ إِرْبَهُ كَمَا كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم يَمْلِكُ إِرْبَهُ» .
“আমাদের কেউ ঋতুবতী হলে এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাথে মেলামেশা করতে চাইলে ঋতুস্রাব চলমান থাকাবস্থায় তাকে মজবুত করে ইযার (নিম্নবসন) পরতে বলতেন। তখন তিনি তার সাথে মেলামেশা করতেন। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, তোমাদের কেউ কি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মতো নিজ যৌনতাড়নাকে সংবরণ করতে পারবে? অবশ্যই নয়”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩০২, ৩০৩; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৯৩, ২৯৪।]
এতদসত্ত্বেও যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এতো সতর্কতা অবলম্বন করেছিলেন। সরাসরি তিনি স্ত্রীদের সাথে মেলামেশা করতে যান নি। তাহলে আমরা নিজের ওপর কতটুকু ভরসা রাখতে পারবো তা আমরা ভালোভাবেই জানি।
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে আরো বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন:
«نَاوِلِيْنِيْ الْـخُمْرَةَ مِنَ الْـمَسْجِدِ، قَالَتْ : فَقُلْتُ : إِنِّيْ حَائِضٌ، فَقَالَ : إِنَّ حَيْضَتَكِ لَيْسَتْ فِيْ يَدِكِ» .
“আমাকে মসজিদ থেকে বিছানাটা দাওতো। তিনি বলেন: আমি বললম, আমি তো ঋতুবতী। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: স্রাব তো তোমার হাতে লেগে থাকে নি”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৯৮।]
‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা আরো বলেন,
«كَانَ رَسُوْلُ اللهِ-صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمَ- يَتَّكِئُ فِيْ حِجْرِيْ وَأَنَا حَائِضٌ، فَيَقْرَأُ الْقُرْآنَ» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কোলে ভর দিয়ে কুরআন শরীফ পড়তেন, অথচ আমি ঋতুবতী ছিলাম”। [সহীহ সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৯৭; সহীহ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩০১।]
মোট কথা, সহবাস ছাড়া যে কোনো কাজ ঋতুবতী মহিলার সাথে জায়েয।
আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইয়াহূদী সম্প্রদায় তাদের মধ্যে কোনো মহিলা ঋতুবতী হলে তার সাথে খাওয়া-দাওয়া, মেলামেশা এমনকি একই ঘরে বসবাস করাও বন্ধ করে দিতো। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন:
«اِصْنَعُوْا كُلَّ شَيْءٍ إِلاَّ النِّكَاحَ»
“ঋতুবতীর সাথে সহবাস ছাড়া সব কাজই করতে পারো”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩০২।]
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«كَانَتْ إِحْدَانَا إِذَا كَانَتْ حَائِضًا، فَأَرَادَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم أَنْ يُبَاشِرَهَا، أَمَرَهَا أَنْ تَتَّزِرَ فِيْ فَوْرِ حَيْضَتِهَا ثُمَّ يُبَاشِرُهَا، قَالَتْ : وَأَيُّكُمْ يَمْلِكُ إِرْبَهُ كَمَا كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم يَمْلِكُ إِرْبَهُ» .
“আমাদের কেউ ঋতুবতী হলে এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাথে মেলামেশা করতে চাইলে ঋতুস্রাব চলমান থাকাবস্থায় তাকে মজবুত করে ইযার (নিম্নবসন) পরতে বলতেন। তখন তিনি তার সাথে মেলামেশা করতেন। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, তোমাদের কেউ কি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মতো নিজ যৌনতাড়নাকে সংবরণ করতে পারবে? অবশ্যই নয়”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩০২, ৩০৩; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৯৩, ২৯৪।]
এতদসত্ত্বেও যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এতো সতর্কতা অবলম্বন করেছিলেন। সরাসরি তিনি স্ত্রীদের সাথে মেলামেশা করতে যান নি। তাহলে আমরা নিজের ওপর কতটুকু ভরসা রাখতে পারবো তা আমরা ভালোভাবেই জানি।
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে আরো বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন:
«نَاوِلِيْنِيْ الْـخُمْرَةَ مِنَ الْـمَسْجِدِ، قَالَتْ : فَقُلْتُ : إِنِّيْ حَائِضٌ، فَقَالَ : إِنَّ حَيْضَتَكِ لَيْسَتْ فِيْ يَدِكِ» .
“আমাকে মসজিদ থেকে বিছানাটা দাওতো। তিনি বলেন: আমি বললম, আমি তো ঋতুবতী। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: স্রাব তো তোমার হাতে লেগে থাকে নি”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৯৮।]
‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা আরো বলেন,
«كَانَ رَسُوْلُ اللهِ-صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمَ- يَتَّكِئُ فِيْ حِجْرِيْ وَأَنَا حَائِضٌ، فَيَقْرَأُ الْقُرْآنَ» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কোলে ভর দিয়ে কুরআন শরীফ পড়তেন, অথচ আমি ঋতুবতী ছিলাম”। [সহীহ সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৯৭; সহীহ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩০১।]
জুনুবী ব্যক্তি ও ঋতুবতী মহিলার জন্য কুরআন শরীফ মুখস্থ তিলাওয়াত করা হারাম হওয়ার ব্যাপারে বিশুদ্ধ কোনো হাদীস পাওয়া যায় না। তবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পেশাব করার সময় যখন জনৈক সাহাবি তাঁকে সালাম দেন তখন তিনি অযু না করে সালামের উত্তর দেওয়া অপছন্দ করেন। এ থেকে আমাদের বুঝতে অসুবিধে হয় না যে, জুনুবী ব্যক্তি ও ঋতুবতী মহিলার জন্য কুরআন তিলাওয়াত করা অবশ্যই অপছন্দনীয়।
মুহাজির ইবন ক্বুনফুয রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«أَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم وَهُـوَ يَبُوْلُ، فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ، فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيَّ حَتَّى تَوَضَّأَ، ثُمَّ اعْتَذَرَ إِلَيَّ فَقَالَ : إِنِّيْ كَرِهْتُ أَنْ أَذْكُرَ اللهَ -عَزَّ وَجَلَّ- إِلاَّ عَلَى طُهْرٍ» .
“আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট আসলাম যখন তিনি প্রস্রাব করছিলেন। অতঃপর আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সালাম দিলে তিনি অযু না করা পর্যন্ত অত্র সালামের উত্তর দেন নি। এতদ্ কারণে তিনি আমার নিকট এ বলে কৈফিয়ত দিয়েছেন যে, পবিত্র না হয়ে আল্লাহ তা‘আলার নাম উচ্চারণ করা আমার নিকট খুবই অপছন্দনীয়”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ১৭; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ২৮৫।]
তবে কুরআন তিলাওয়াত ছাড়া অন্য কোনো যিকির করায় কোনো অসুবিধে নেই। কেননা, ‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজ করতে গিয়ে আমি ঋতুবতী হয়ে গেলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন:
«اِفْعَلِيْ مَا يَفْعَلُ الْحَاجُّ غَيْرَ أَنْ لاَ تَطُوْفِيْ بِالْبَيْتِ حَتَّى تَطْهُرِيْ»
“তুমি বাইতুল্লাহ তাওয়াফ ব্যতীত সব কাজই করতে পার যা হাজী সাহেবগণ করে থাকেন। তবে তাওয়াফ করবে পবিত্র হয়ে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৯৪, ১৬৫০; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১২১১।]
উম্মে ‘আতিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«أَمَرَنَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم أَنْ نُخْرِجَهُنَّ فِي الْفِطْرِ وَالأَضْحَى، الْعَوَاتِقَ وَالْـحُيَّضَ وَذَوَاتِ الْـخُدُوْرِ، فَأَمَّا الْـحُيَّضُ فَيَعْتَزِلْنَ الصَّلاَةَ وَيَشْهَدْنَ الـْخَيْرَ وَدَعْوَةَ الْـمُسْلِمِيْنَ وَيُكَبِّرْنَ مَعَ النَّاسِ» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে আদেশ করেছেন যেন আমরা বয়স্কা, ঋতুবতী ও পর্দানশীন যুবতী মহিলারদেরকে নিয়ে দু’ ঈদের সালাতে উপস্থিত হই। তবে ঋতুবতীরা সালাতে উপস্থিত হবে না। শুধু তারা মুসলিমদের সাথে দো‘আয় ও কল্যাণকর কাজে অংশ নিবে এবং সবার সাথে তাকবীর বলবে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৯৭৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৮৯০।]
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم يَذْكُرُ اللهَ عَلَى كُلِّ أَحْيَانِهِ» .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বদা আল্লাহ্’র যিকিরে মগ্ন থাকতেন”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৭৩।]
উক্ত হাদীসগুলোর প্রতি গভীর দৃষ্টি দিলে এ ব্যাপারটি সহজে উদঘাটিত হয় যে, জুনুবী ও ঋতুবতী মহিলাদের জন্য সাধারণ যিকির করায় কোনো অসুবিধে নেই। তবে কোনো হাফিযা মহিলা যদি কুরআন শরীফ ভুলে যাওয়ার আশঙ্কা করে তা হলে সে মুখস্থ কুরআন পড়তে ও কাউকে শুনাতে পারে।
মুহাজির ইবন ক্বুনফুয রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«أَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم وَهُـوَ يَبُوْلُ، فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ، فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيَّ حَتَّى تَوَضَّأَ، ثُمَّ اعْتَذَرَ إِلَيَّ فَقَالَ : إِنِّيْ كَرِهْتُ أَنْ أَذْكُرَ اللهَ -عَزَّ وَجَلَّ- إِلاَّ عَلَى طُهْرٍ» .
“আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট আসলাম যখন তিনি প্রস্রাব করছিলেন। অতঃপর আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সালাম দিলে তিনি অযু না করা পর্যন্ত অত্র সালামের উত্তর দেন নি। এতদ্ কারণে তিনি আমার নিকট এ বলে কৈফিয়ত দিয়েছেন যে, পবিত্র না হয়ে আল্লাহ তা‘আলার নাম উচ্চারণ করা আমার নিকট খুবই অপছন্দনীয়”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ১৭; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ২৮৫।]
তবে কুরআন তিলাওয়াত ছাড়া অন্য কোনো যিকির করায় কোনো অসুবিধে নেই। কেননা, ‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজ করতে গিয়ে আমি ঋতুবতী হয়ে গেলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন:
«اِفْعَلِيْ مَا يَفْعَلُ الْحَاجُّ غَيْرَ أَنْ لاَ تَطُوْفِيْ بِالْبَيْتِ حَتَّى تَطْهُرِيْ»
“তুমি বাইতুল্লাহ তাওয়াফ ব্যতীত সব কাজই করতে পার যা হাজী সাহেবগণ করে থাকেন। তবে তাওয়াফ করবে পবিত্র হয়ে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৯৪, ১৬৫০; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১২১১।]
উম্মে ‘আতিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«أَمَرَنَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم أَنْ نُخْرِجَهُنَّ فِي الْفِطْرِ وَالأَضْحَى، الْعَوَاتِقَ وَالْـحُيَّضَ وَذَوَاتِ الْـخُدُوْرِ، فَأَمَّا الْـحُيَّضُ فَيَعْتَزِلْنَ الصَّلاَةَ وَيَشْهَدْنَ الـْخَيْرَ وَدَعْوَةَ الْـمُسْلِمِيْنَ وَيُكَبِّرْنَ مَعَ النَّاسِ» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে আদেশ করেছেন যেন আমরা বয়স্কা, ঋতুবতী ও পর্দানশীন যুবতী মহিলারদেরকে নিয়ে দু’ ঈদের সালাতে উপস্থিত হই। তবে ঋতুবতীরা সালাতে উপস্থিত হবে না। শুধু তারা মুসলিমদের সাথে দো‘আয় ও কল্যাণকর কাজে অংশ নিবে এবং সবার সাথে তাকবীর বলবে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৯৭৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৮৯০।]
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم يَذْكُرُ اللهَ عَلَى كُلِّ أَحْيَانِهِ» .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বদা আল্লাহ্’র যিকিরে মগ্ন থাকতেন”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৭৩।]
উক্ত হাদীসগুলোর প্রতি গভীর দৃষ্টি দিলে এ ব্যাপারটি সহজে উদঘাটিত হয় যে, জুনুবী ও ঋতুবতী মহিলাদের জন্য সাধারণ যিকির করায় কোনো অসুবিধে নেই। তবে কোনো হাফিযা মহিলা যদি কুরআন শরীফ ভুলে যাওয়ার আশঙ্কা করে তা হলে সে মুখস্থ কুরআন পড়তে ও কাউকে শুনাতে পারে।
ঋতুবতী মহিলা ঋতু চলাকালীন সময় সালাত-সাওম কিছুই আদায় করবে না। তবে যখন সে পবিত্র হবে তখন শুধু রোযাগুলো কাযা (নিদৃষ্ট সময়ে আদায় করতে না পারা কাজ পরবর্তী সময়ে হুবহু আদায় করা) করে নিবে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা মহিলাদের ধার্মিকতার ত্রুটি-বিচ্যুতি বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন,
«أَلَيْسَ إِذَا حَاضَتْ لَمْ تُصَلِّ وَلَمْ تَصُمْ»
“এমন নয় কি যে, মহিলাদের যখন ঋতুস্রাব হয় তখন তারা সালাত-সাওম কিছুই আদায় করতে পারে না”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩০৪ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৭৯।]
মু‘আযা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা কে জিজ্ঞাসা করলাম: ঋতুবতী মহিলারা শুধু সাওম কাযা করবে, সালাত কাযা করবে না এমন হবে কেন? তিনি বললেন: তুমি কি হারুরী তথা খারেজী মহিলা? (স্বভাবতঃ তারাই শরী‘আতের ব্যাপারে এমন উদ্ভট প্রশ্ন করে থাকে) আমি বললাম: আপনার ধারণা ঠিক নয়, তবে আমার শুধু জানার ইচ্ছে হচ্ছে। তিনি বলেন,
«كَانَ يُصِيْبُنَا ذَلِكَ فَنُؤْمَرُ بِقَضَاءِ الصَّوْمِ وَلاَ نُؤْمَرُ بِقَضَاءِ الصَّلاَةِ»
“আমাদের ও এমন হতো। তবে আমাদেরকে সাওম কাযা করতে বলা হতো; সালাত নয়”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৩৫।]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা মহিলাদের ধার্মিকতার ত্রুটি-বিচ্যুতি বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন,
«أَلَيْسَ إِذَا حَاضَتْ لَمْ تُصَلِّ وَلَمْ تَصُمْ»
“এমন নয় কি যে, মহিলাদের যখন ঋতুস্রাব হয় তখন তারা সালাত-সাওম কিছুই আদায় করতে পারে না”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩০৪ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৭৯।]
মু‘আযা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা কে জিজ্ঞাসা করলাম: ঋতুবতী মহিলারা শুধু সাওম কাযা করবে, সালাত কাযা করবে না এমন হবে কেন? তিনি বললেন: তুমি কি হারুরী তথা খারেজী মহিলা? (স্বভাবতঃ তারাই শরী‘আতের ব্যাপারে এমন উদ্ভট প্রশ্ন করে থাকে) আমি বললাম: আপনার ধারণা ঠিক নয়, তবে আমার শুধু জানার ইচ্ছে হচ্ছে। তিনি বলেন,
«كَانَ يُصِيْبُنَا ذَلِكَ فَنُؤْمَرُ بِقَضَاءِ الصَّوْمِ وَلاَ نُؤْمَرُ بِقَضَاءِ الصَّلاَةِ»
“আমাদের ও এমন হতো। তবে আমাদেরকে সাওম কাযা করতে বলা হতো; সালাত নয়”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৩৫।]
মূলতঃ ইস্তিহাযা এক প্রকার ব্যাধি। তা চলাকালীন সালাত বন্ধ রাখা যাবে না।
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ফাতিমা বিনতে আবু হুবাইশ রাদিয়াল্লাহু আনহা একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করেন:
«يَا رَسُوْلَ اللهِ ! إِنِّيْ اِمْرَأَةٌ أُسْتَحَاضُ فَلاَ أَطْهُرُ، أَفَأَدَعُ الصَّلاَةَ ؟ فَقَالَ : لاَ إِنَّمَا ذَلِكَ عِرْقٌ وَلَيْسَ بِالْحَيْضَةِ، فَإِذَا أَقْبَلَتِ الْـحَيْضَةُ فَدَعِـي الصَّلاَةَ، وَإِذَا أَدْبَرَتْ فَاغْسِلِيْ عَنْكِ الدَّمَ وَصَلِّيْ، ثُمَّ تَوَضَّئِيْ لِكُلِّ صَلاَةٍ، حَتَّى يَجِيْءَ ذَلِكَ الْوَقْتُ » .
“হে রাসুল! সর্বদা আমার স্রাব লেগেই আছে। কখনো পবিত্র হতে পারছি না। তাই বলে আমি সালাত পড়া বন্ধ রাখবো কি? তিনি বললেন: না, সালাত পড়া বন্ধ রাখবে না। এ হচ্ছে রোগ যা কোনো নাড়ি বা শিরা থেকে বের হচ্ছে। এটা ঋতুস্রাব নয়। তাই যখন ঋতুস্রাব শুরু হবে তখন সালাত পড়া বন্ধ রাখবে। আর যখন সাধারণ নিয়মানুযায়ী ঋতুস্রাব শেষ হয়ে যাবে তখন স্রাব পরিষ্কার করে সালাত পড়বে। তবে প্রতি ওয়াক্ত সালাতের জন্য নতুন অযু করবে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২২৮, ৩০৬, ৩২০, ৩২৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৩৩।]
উক্ত হাদীস থেকে এটাই বুঝা যাচ্ছে যে, মুস্তাহাযা মহিলা পবিত্র মহিলাদের ন্যায়। তবে মুস্তাহাযা মহিলা প্রতি বেলা সালাতের জন্য শুধু নতুন অযু করবে।
জানা থাকা প্রয়োজন যে, ঋতুস্রাবের রক্ত দুর্গন্ধময় গাঢ় কালো এবং ইস্তিহাযার রক্ত মাটিয়া হলদে।
ফাতিমা বিনতে আবু হুবাইশ রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি মুস্তাহাযা হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন:
«إِذَا كَانَ دَمُ الْـحَيْضَةِ ؛ فَإِنَّهُ أَسْوَدُ يُعْرَفُ، فَإِذَا كَانَ ذَلِكَ فَأَمْسِكِيْ عَنِ الصَّلاَةِ، فَإِذَا كَانَ الآخَرُ ؛ فَتَوَضَّئِيْ وَصَلِّيْ ؛ فَإِنَّمَا هُوَ عِرْقٌ» .
“ঋতুস্রাবের রং কালো পরিচিত। যখন তা দেখতে পাবে সালাত পড়া বন্ধ রাখবে। তবে অন্য কোনো রং দেখা গেলে অযু করে সালাত আদায় করবে। কারণ, তা হচ্ছে শিরাজনিত”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ২৮৬।]
উম্মে ‘আতিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«كُنَّا لاَ نَعُدُّ الْكُدْرَةَ وَالصُّفْرَةَ بَعْدَ الطُّهْرِ شَيْئًا»
“আমরা নবীযুগে পবিত্রতার পর হলদে বা মাটিয়া স্রাবকে ঋতুস্রাব মনে করতাম না”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৩০৭; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৬৫৩।]
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ফাতিমা বিনতে আবু হুবাইশ রাদিয়াল্লাহু আনহা একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করেন:
«يَا رَسُوْلَ اللهِ ! إِنِّيْ اِمْرَأَةٌ أُسْتَحَاضُ فَلاَ أَطْهُرُ، أَفَأَدَعُ الصَّلاَةَ ؟ فَقَالَ : لاَ إِنَّمَا ذَلِكَ عِرْقٌ وَلَيْسَ بِالْحَيْضَةِ، فَإِذَا أَقْبَلَتِ الْـحَيْضَةُ فَدَعِـي الصَّلاَةَ، وَإِذَا أَدْبَرَتْ فَاغْسِلِيْ عَنْكِ الدَّمَ وَصَلِّيْ، ثُمَّ تَوَضَّئِيْ لِكُلِّ صَلاَةٍ، حَتَّى يَجِيْءَ ذَلِكَ الْوَقْتُ » .
“হে রাসুল! সর্বদা আমার স্রাব লেগেই আছে। কখনো পবিত্র হতে পারছি না। তাই বলে আমি সালাত পড়া বন্ধ রাখবো কি? তিনি বললেন: না, সালাত পড়া বন্ধ রাখবে না। এ হচ্ছে রোগ যা কোনো নাড়ি বা শিরা থেকে বের হচ্ছে। এটা ঋতুস্রাব নয়। তাই যখন ঋতুস্রাব শুরু হবে তখন সালাত পড়া বন্ধ রাখবে। আর যখন সাধারণ নিয়মানুযায়ী ঋতুস্রাব শেষ হয়ে যাবে তখন স্রাব পরিষ্কার করে সালাত পড়বে। তবে প্রতি ওয়াক্ত সালাতের জন্য নতুন অযু করবে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২২৮, ৩০৬, ৩২০, ৩২৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৩৩।]
উক্ত হাদীস থেকে এটাই বুঝা যাচ্ছে যে, মুস্তাহাযা মহিলা পবিত্র মহিলাদের ন্যায়। তবে মুস্তাহাযা মহিলা প্রতি বেলা সালাতের জন্য শুধু নতুন অযু করবে।
জানা থাকা প্রয়োজন যে, ঋতুস্রাবের রক্ত দুর্গন্ধময় গাঢ় কালো এবং ইস্তিহাযার রক্ত মাটিয়া হলদে।
ফাতিমা বিনতে আবু হুবাইশ রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি মুস্তাহাযা হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন:
«إِذَا كَانَ دَمُ الْـحَيْضَةِ ؛ فَإِنَّهُ أَسْوَدُ يُعْرَفُ، فَإِذَا كَانَ ذَلِكَ فَأَمْسِكِيْ عَنِ الصَّلاَةِ، فَإِذَا كَانَ الآخَرُ ؛ فَتَوَضَّئِيْ وَصَلِّيْ ؛ فَإِنَّمَا هُوَ عِرْقٌ» .
“ঋতুস্রাবের রং কালো পরিচিত। যখন তা দেখতে পাবে সালাত পড়া বন্ধ রাখবে। তবে অন্য কোনো রং দেখা গেলে অযু করে সালাত আদায় করবে। কারণ, তা হচ্ছে শিরাজনিত”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ২৮৬।]
উম্মে ‘আতিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«كُنَّا لاَ نَعُدُّ الْكُدْرَةَ وَالصُّفْرَةَ بَعْدَ الطُّهْرِ شَيْئًا»
“আমরা নবীযুগে পবিত্রতার পর হলদে বা মাটিয়া স্রাবকে ঋতুস্রাব মনে করতাম না”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৩০৭; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৬৫৩।]
নিফাসের সর্বশেষ সময় চল্লিশ দিন। এর চাইতে কম ও হতে পারে। যখনই স্রাব বন্ধ হবে গোসল করে সালাত পড়া শুরু করবে। স্রাব নির্গমন চল্লিশ দিনের বেশি চালু থাকলে তা ইস্তিহাযা হিসেবে গণ্য করা হবে। তখন প্রতি ওয়াক্ত সালাতের জন্য নতুন অযু করে সালাত পড়বে।
উম্মে সালামা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«كَانَتِ النُّفَسَاءُ عَلَى عَهْدِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم تَقْعُدُ بَعْدَ نِفَاسِهَا أَرْبَعِيْنَ يَوْمًا» .
“নিফাসী মহিলারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে চল্লিশ দিন পর্যন্ত সালাত-সাওম বন্ধ রাখতো। এ ছাড়া অন্যান্য বিধি-বিধানে ঋতুবতী ও নিফাসীর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৩১১; তিরমিযী, হাদীস নং ১৩৯; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৬৫৪।]
উম্মে সালামা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«كَانَتِ النُّفَسَاءُ عَلَى عَهْدِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم تَقْعُدُ بَعْدَ نِفَاسِهَا أَرْبَعِيْنَ يَوْمًا» .
“নিফাসী মহিলারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে চল্লিশ দিন পর্যন্ত সালাত-সাওম বন্ধ রাখতো। এ ছাড়া অন্যান্য বিধি-বিধানে ঋতুবতী ও নিফাসীর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৩১১; তিরমিযী, হাদীস নং ১৩৯; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৬৫৪।]
জাল্লালা বলতে মানবমল ভক্ষণকারী সকল পশুকে বুঝানো হয়। এ জাতীয় পশু অপবিত্র। তবে এ জাতীয় পশুকে যখন অতটুকু সময় বেঁধে রাখা হবে যাতে ওদের মাংস ও দুধ থেকে নাপাকীর দুর্গন্ধ চলে যায় তখন ওদের মাংস ও দুধ খাওয়া যাবে। নতুবা নয়।
আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«نَهَى رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم عَنْ لُحُوْمِ الْـجَلاَّلَةِ وَأَلْبَانِهَا» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মল ভক্ষণকারী পশুর গোশত ও দুধ খেতে নিষেধ করেছেন”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৩৭৮৫, ৩৭৮৬; তিরমিযী, হাদীস নং ১৮২৪; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৩২৪৯।]
আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে আরো বর্ণিত, তিনি বলেন,
«نَهَى رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم عَنِ الْـجَلاَّلَةِ فِي الإِبِلِ أَنْ يُرْكَبَ عَلَيْهَا، أَوْ يُشْرَبَ مِنْ أَلْبَانِهَا» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মলভক্ষণকারী উটের পিঠে চড়তে ও উহার দুধ পান করতে নিষেধ করেছেন”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৩৭৮৭।]
আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে আরো বর্ণিত:
«كَانَ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم يَحْبِسُ الدَّجَاجَةَ الجَلاَّلَةَ ثَلاَثًا» .
“তিনি মলভক্ষণকারী মুরগীকে (গোশত খেতে ইচ্ছে করলে) তিনদিন বেঁধে রাখতেন”। [ইবন আবী শায়বাহ, হাদীস নং ২৫০৫।]
আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«نَهَى رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم عَنْ لُحُوْمِ الْـجَلاَّلَةِ وَأَلْبَانِهَا» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মল ভক্ষণকারী পশুর গোশত ও দুধ খেতে নিষেধ করেছেন”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৩৭৮৫, ৩৭৮৬; তিরমিযী, হাদীস নং ১৮২৪; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৩২৪৯।]
আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে আরো বর্ণিত, তিনি বলেন,
«نَهَى رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم عَنِ الْـجَلاَّلَةِ فِي الإِبِلِ أَنْ يُرْكَبَ عَلَيْهَا، أَوْ يُشْرَبَ مِنْ أَلْبَانِهَا» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মলভক্ষণকারী উটের পিঠে চড়তে ও উহার দুধ পান করতে নিষেধ করেছেন”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৩৭৮৭।]
আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে আরো বর্ণিত:
«كَانَ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم يَحْبِسُ الدَّجَاجَةَ الجَلاَّلَةَ ثَلاَثًا» .
“তিনি মলভক্ষণকারী মুরগীকে (গোশত খেতে ইচ্ছে করলে) তিনদিন বেঁধে রাখতেন”। [ইবন আবী শায়বাহ, হাদীস নং ২৫০৫।]
ইঁদুর অপবিত্র। অতএব, জমাট বাঁধা কোনো খাদ্যে ইঁদুর পতিত হলে ইঁদুর ও উহার পার্শ্ববর্তী খাদ্য ফেলে দিবে। অতঃপর অবশিষ্ট খাদ্য খাওয়া যাবে। মাইমূনা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ইঁদুর পড়া ঘিয়ের পবিত্রতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন,
«أَلْقُوْهَا وَمَاحَوْلَهَا فَاطْرَحُوْهُ وَكُلُوْا سَمْنَكُمْ» .
“ইঁদুর ও উহার পার্শ্ববর্তী ঘিটুকু ফেলে দিয়ে বাকি অংশটুকু খেতে পারবে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৩৫, ২৩৬, ৫৫৩৮, ৫৫৩৯, ৫৫৪০।]
অন্যদিকে ইঁদুর যদি তরল খাদ্য বা পানীয়তে পতিত হয় তা হলে দেখতে হবে; যদি পূর্বের ন্যায় ইঁদুর ও উহার পার্শ্ববর্তী খাদ্য ও পানীয়টুকু ফেলে দেওয়া সম্ভব হয় যাতে অন্য অংশটুকুর স্বাদে, গন্ধে বা রংয়ে ইঁদুরের কোনো আলামত অনুভূত না হয় তাহলে তা পাক হয়ে যাবে, অন্যথায় নয়। খাদ্য-পানীয়তে এ ছাড়া অন্য কোনো নাপাকী পড়লেও তাতে একই বিধান কার্যকর হবে।
«أَلْقُوْهَا وَمَاحَوْلَهَا فَاطْرَحُوْهُ وَكُلُوْا سَمْنَكُمْ» .
“ইঁদুর ও উহার পার্শ্ববর্তী ঘিটুকু ফেলে দিয়ে বাকি অংশটুকু খেতে পারবে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৩৫, ২৩৬, ৫৫৩৮, ৫৫৩৯, ৫৫৪০।]
অন্যদিকে ইঁদুর যদি তরল খাদ্য বা পানীয়তে পতিত হয় তা হলে দেখতে হবে; যদি পূর্বের ন্যায় ইঁদুর ও উহার পার্শ্ববর্তী খাদ্য ও পানীয়টুকু ফেলে দেওয়া সম্ভব হয় যাতে অন্য অংশটুকুর স্বাদে, গন্ধে বা রংয়ে ইঁদুরের কোনো আলামত অনুভূত না হয় তাহলে তা পাক হয়ে যাবে, অন্যথায় নয়। খাদ্য-পানীয়তে এ ছাড়া অন্য কোনো নাপাকী পড়লেও তাতে একই বিধান কার্যকর হবে।
গোশত খাওয়া হারাম এমন যে কোনো পশুর মল-মূত্র নাপাক।
আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«أَتَى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم الْغَائِطَ فَأَمَرَنِيْ أَنْ آتِيَهُ بِثَلاَثَةِ أَحْجَارٍ، فَوَجَدْتُ حَجَرَيْنِ وَالْتَمَسْتُ الثَّالِثَ فَلَمْ أَجِدْهُ، فَأَخَذْتُ رَوْثَةً فَأَتَيْتُهُ بِهَا، فَأَخَذَ الْحَجَرَيْنِ وَأَلْقَى الرَّوْثَةَ، وَقَالَ : هَذَا رِكْسٌ» .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শৌচাগারে প্রবেশের পূর্বে আমাকে তিনটি ঢিলা উপস্থিত করার আদেশ দেন। অতঃপর আমি দু’টি ঢিলার ব্যবস্থা করলাম এবং অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তৃতীয়টি জোটাতে পারি নি। অতএব, আমি একটি গাধার মল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সম্মুখে উপস্থিত করলে তিনি অপর দু’টি ঢিলা নিয়ে সেটি ফেলে দিলেন এবং বললেন: এটি অপবিত্র”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৫৬।]
তবে গোশত খাওয়া হালাল এমন সকল পশুর মল-মূত্র পবিত্র।
আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা উক্বল বা উরাইনাহ গোত্রের কিছু সংখ্যক লোক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট উপস্থিত হলে হঠাৎ তারা রোগাক্রান্ত হয়ে যায়। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে বললেন:
«إِنْ شِئْتُمْ أَنْ تَخْرُجُوْا إِلَى إِبِلِ الصَّدَقَةِ فَتَشْرَبُوْا مِنْ أَلْبَانِهَا وَأَبْوَالِهَا» .
“তোমাদের ইচ্ছে হলে তোমরা সাদাকার উটের দুধ ও প্রস্রাব পান করতে পার”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৩৩; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৬৭১।]
আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু আরো বলেন,
«كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم يُصَلِّيْ قَبْلَ أَنْ يُبْنَى الـْمَسْجِدُ فِيْ مَرَابِضِ الْغَنَمِ» .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদ নির্মাণের পূর্বে ছাগল রাখার জায়গায় সালাত পড়তেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৩৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৫২৪।]
আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«أَتَى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم الْغَائِطَ فَأَمَرَنِيْ أَنْ آتِيَهُ بِثَلاَثَةِ أَحْجَارٍ، فَوَجَدْتُ حَجَرَيْنِ وَالْتَمَسْتُ الثَّالِثَ فَلَمْ أَجِدْهُ، فَأَخَذْتُ رَوْثَةً فَأَتَيْتُهُ بِهَا، فَأَخَذَ الْحَجَرَيْنِ وَأَلْقَى الرَّوْثَةَ، وَقَالَ : هَذَا رِكْسٌ» .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শৌচাগারে প্রবেশের পূর্বে আমাকে তিনটি ঢিলা উপস্থিত করার আদেশ দেন। অতঃপর আমি দু’টি ঢিলার ব্যবস্থা করলাম এবং অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তৃতীয়টি জোটাতে পারি নি। অতএব, আমি একটি গাধার মল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সম্মুখে উপস্থিত করলে তিনি অপর দু’টি ঢিলা নিয়ে সেটি ফেলে দিলেন এবং বললেন: এটি অপবিত্র”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৫৬।]
তবে গোশত খাওয়া হালাল এমন সকল পশুর মল-মূত্র পবিত্র।
আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা উক্বল বা উরাইনাহ গোত্রের কিছু সংখ্যক লোক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট উপস্থিত হলে হঠাৎ তারা রোগাক্রান্ত হয়ে যায়। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে বললেন:
«إِنْ شِئْتُمْ أَنْ تَخْرُجُوْا إِلَى إِبِلِ الصَّدَقَةِ فَتَشْرَبُوْا مِنْ أَلْبَانِهَا وَأَبْوَالِهَا» .
“তোমাদের ইচ্ছে হলে তোমরা সাদাকার উটের দুধ ও প্রস্রাব পান করতে পার”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৩৩; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৬৭১।]
আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু আরো বলেন,
«كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم يُصَلِّيْ قَبْلَ أَنْ يُبْنَى الـْمَسْجِدُ فِيْ مَرَابِضِ الْغَنَمِ» .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদ নির্মাণের পূর্বে ছাগল রাখার জায়গায় সালাত পড়তেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৩৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৫২৪।]
বিশুদ্ধ মতানুযায়ী মদ অপবিত্র। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ إِنَّمَا ٱلۡخَمۡرُ وَٱلۡمَيۡسِرُ وَٱلۡأَنصَابُ وَٱلۡأَزۡلَٰمُ رِجۡسٞ مِّنۡ عَمَلِ ٱلشَّيۡطَٰنِ فَٱجۡتَنِبُوهُ لَعَلَّكُمۡ تُفۡلِحُونَ ٩٠﴾ [ المائدة : ٩٠ ]
“হে মুমিনগণ! নিশ্চয় মদ, জুয়া, মূর্তি এবং লটারীর তীর এসব অপবিত্র। শয়তানের কাজ ছাড়া আর কিছুই নয়। সুতরাং তোমরা এ থেকে সম্পূর্ণরূপে দূরে থাকবে। তা হলে তোমরা সফলকাম হবে”। [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৯০]
﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ إِنَّمَا ٱلۡخَمۡرُ وَٱلۡمَيۡسِرُ وَٱلۡأَنصَابُ وَٱلۡأَزۡلَٰمُ رِجۡسٞ مِّنۡ عَمَلِ ٱلشَّيۡطَٰنِ فَٱجۡتَنِبُوهُ لَعَلَّكُمۡ تُفۡلِحُونَ ٩٠﴾ [ المائدة : ٩٠ ]
“হে মুমিনগণ! নিশ্চয় মদ, জুয়া, মূর্তি এবং লটারীর তীর এসব অপবিত্র। শয়তানের কাজ ছাড়া আর কিছুই নয়। সুতরাং তোমরা এ থেকে সম্পূর্ণরূপে দূরে থাকবে। তা হলে তোমরা সফলকাম হবে”। [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৯০]
যদি কোনো সালাত আদায়কারী ব্যক্তি সালাতের মধ্যে বা পরে নিজ কাপড়ে, শরীরে বা সালাতের স্থানে নাপাকী আছে বলে অবগত হয় তখন তা তিনের এক অবস্থা থেকে খালি হবে না:
ক. সালাত আদায়কারী ব্যক্তি যদি সালাতের মধ্যেই নাপাকী সম্পর্কে অবগত হয় এবং তা তখনই দূরীকরণ সম্ভবপর হয়। যেমন, কোনো একটি কাপড়খণ্ডে নাপাকী রয়েছে এবং সতর খোলা ছাড়াই তা ফেলে দেওয়া সম্ভব তা হলে তখনই তা ফেলে দিবে। এতেই তার সালাত শুদ্ধ হয়ে যাবে।
খ. আর যদি সালাতের মধ্যেই তা দূরীকরণ সম্ভবপর না হয়। যেমন, কাপড়েই নাপাকী রয়েছে, তবে তা ফেলে দিলে সতর খুলে যাবে অথবা নাপাকী শরীরে রয়েছে যা দূর করতে গেলে সতর খুলতে হবে। এমতাবস্থায় সালাত ছেড়ে দিয়ে নাপাকী দূর করবে এবং পুনরায় সালাত আদায় করে নিবে।
গ. আর যদি সালাত শেষে অবগত হয় যে, সালাতরত অবস্থায় তার শরীরে, কাপড়ে বা সালাতের স্থানে নাপাকী ছিল তাহলে তার আদায়কৃত সালাত সম্পূর্ণরূপে বিশুদ্ধ।
আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে নিয়ে সালাত পড়ছিলেন। ইতোমধ্যে হঠাৎ তিনি নিজ জুতাদ্বয় পা থেকে খুলে নিজের বাম পার্শ্বে রাখলেন। তা দেখে সাহাবীগণও নিজ নিজ জুতাগুলো পা থেকে খুলে ফেললেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত শেষে সাহাবীগণকে বললেন:
«مَا بَالُكُمْ أَلْقَيْتُمْ نِعَالَكُمْ» .
“তোমাদের কী হলো? তোমরা জুতাগুলো খুলে ফেললে কেন? সাহাবীগণ বললেন: আপনাকে জুতা খুলতে দেখে আমরাও তা খুলে ফেললাম। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন:
«أَتَانِيْ جِبْرِيْلُ فَأَخْبَرَنِيْ أَنَّ فِيْهِمَا قَذَرًا أَوْ قَالَ : أَذًى، فَأَلْقَيْتُهُمَا، فَإِذَا جَاءَ أَحَدُكُمْ إِلَى الـْمَسْجِدِ فَلْيَنْظُرْ فِيْ نَعْلَيْهِ فَإِنْ رَأَى فِيْهِمَا قَذَرًا أَوْ أَذًى فَلْيَمْسَحْهُمَا وَلْيُصَلِّ فِيْهِمَا» .
“জিবরীল আলাইহিস সালাম আমার নিকট এসে সংবাদ দিলেন যে, জুতাদ্বয়ে নাপাকী রয়েছে। তাই আমি জুতাদ্বয় খুলে ফেললাম। অতএব, তোমাদের কেউ মসজিদে আসলে নিজ জুতাদ্বয় ভালোভাবে দেখে নিবে। যদি তাতে নাপাকী পরিলক্ষিত হয় তা হলে তা মুছে ফেলে তাতেই সালাত পড়বে”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৬৫০।]
তবে কোনো ব্যক্তি যদি সালাত শেষে জানতে পারে যে, সে অযু বা ফরয গোসল বিহীন সালাত পড়েছে তাহলে তার সালাত কখনো শুদ্ধ হবে না যতক্ষণ না সে অযু বা ফরয গোসল সেরে সালাত পড়ে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«لاَ تُقْبَلُ صَلاَةٌ بِغَيْرِطُهُوْرٍ» .
“পবিত্রতা বিহীন কোনো সালাতই কবুল করা হয় না”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২২৪।]
ক. সালাত আদায়কারী ব্যক্তি যদি সালাতের মধ্যেই নাপাকী সম্পর্কে অবগত হয় এবং তা তখনই দূরীকরণ সম্ভবপর হয়। যেমন, কোনো একটি কাপড়খণ্ডে নাপাকী রয়েছে এবং সতর খোলা ছাড়াই তা ফেলে দেওয়া সম্ভব তা হলে তখনই তা ফেলে দিবে। এতেই তার সালাত শুদ্ধ হয়ে যাবে।
খ. আর যদি সালাতের মধ্যেই তা দূরীকরণ সম্ভবপর না হয়। যেমন, কাপড়েই নাপাকী রয়েছে, তবে তা ফেলে দিলে সতর খুলে যাবে অথবা নাপাকী শরীরে রয়েছে যা দূর করতে গেলে সতর খুলতে হবে। এমতাবস্থায় সালাত ছেড়ে দিয়ে নাপাকী দূর করবে এবং পুনরায় সালাত আদায় করে নিবে।
গ. আর যদি সালাত শেষে অবগত হয় যে, সালাতরত অবস্থায় তার শরীরে, কাপড়ে বা সালাতের স্থানে নাপাকী ছিল তাহলে তার আদায়কৃত সালাত সম্পূর্ণরূপে বিশুদ্ধ।
আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে নিয়ে সালাত পড়ছিলেন। ইতোমধ্যে হঠাৎ তিনি নিজ জুতাদ্বয় পা থেকে খুলে নিজের বাম পার্শ্বে রাখলেন। তা দেখে সাহাবীগণও নিজ নিজ জুতাগুলো পা থেকে খুলে ফেললেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত শেষে সাহাবীগণকে বললেন:
«مَا بَالُكُمْ أَلْقَيْتُمْ نِعَالَكُمْ» .
“তোমাদের কী হলো? তোমরা জুতাগুলো খুলে ফেললে কেন? সাহাবীগণ বললেন: আপনাকে জুতা খুলতে দেখে আমরাও তা খুলে ফেললাম। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন:
«أَتَانِيْ جِبْرِيْلُ فَأَخْبَرَنِيْ أَنَّ فِيْهِمَا قَذَرًا أَوْ قَالَ : أَذًى، فَأَلْقَيْتُهُمَا، فَإِذَا جَاءَ أَحَدُكُمْ إِلَى الـْمَسْجِدِ فَلْيَنْظُرْ فِيْ نَعْلَيْهِ فَإِنْ رَأَى فِيْهِمَا قَذَرًا أَوْ أَذًى فَلْيَمْسَحْهُمَا وَلْيُصَلِّ فِيْهِمَا» .
“জিবরীল আলাইহিস সালাম আমার নিকট এসে সংবাদ দিলেন যে, জুতাদ্বয়ে নাপাকী রয়েছে। তাই আমি জুতাদ্বয় খুলে ফেললাম। অতএব, তোমাদের কেউ মসজিদে আসলে নিজ জুতাদ্বয় ভালোভাবে দেখে নিবে। যদি তাতে নাপাকী পরিলক্ষিত হয় তা হলে তা মুছে ফেলে তাতেই সালাত পড়বে”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৬৫০।]
তবে কোনো ব্যক্তি যদি সালাত শেষে জানতে পারে যে, সে অযু বা ফরয গোসল বিহীন সালাত পড়েছে তাহলে তার সালাত কখনো শুদ্ধ হবে না যতক্ষণ না সে অযু বা ফরয গোসল সেরে সালাত পড়ে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«لاَ تُقْبَلُ صَلاَةٌ بِغَيْرِطُهُوْرٍ» .
“পবিত্রতা বিহীন কোনো সালাতই কবুল করা হয় না”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২২৪।]
যে কোনো বস্তুর ক্ষেত্রে মূলনীতি হচ্ছে, এটি পবিত্র ও এর ভোজন-ব্যবহার জায়েয, যতক্ষণ না এর বিপরীত শরঈ কোনো সুস্পষ্ট প্রমাণ মিলে যায়। অতএব, উক্ত সূত্রানুসারে যদি কোনো মুসলিম কোনো কাপড়, পানি ও স্থানের পবিত্রতা-অপবিত্রতা নিয়ে সন্দেহ করে তা হলে তা পবিত্র বলেই গণ্য হবে। তেমনিভাবে উক্ত সূত্রানুযায়ী যে কোনো থালা-বাসনে পানাহার জায়েয। তবে স্বর্ণরৌপ্য দিয়ে তৈরি থালা-বাসনে পানাহার জায়েয নয়।
হুযাইফাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«لاَ تَشْرِبُوْا فِيْ آنِيَةِ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ وَلاَ تَأْكُلُوْا فِيْ صِحَافِهَا، فَإِنَّهَا لَهُمْ فِي الدُّنْيَا وَلَنَا فِي الآخِرَةِ» .
“তোমরা স্বর্ণরৌপ্য দিয়ে তৈরী থালা-বাসনে পানাহার করবে না। কারণ, সেগুলো দুনিয়াতে কাফিরদের জন্য আর পরকালে আমাদের জন্য”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫৪২৬, ৫৬৩২, ৫৬৩৩; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২০৬৭।]
হুযাইফাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«لاَ تَشْرِبُوْا فِيْ آنِيَةِ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ وَلاَ تَأْكُلُوْا فِيْ صِحَافِهَا، فَإِنَّهَا لَهُمْ فِي الدُّنْيَا وَلَنَا فِي الآخِرَةِ» .
“তোমরা স্বর্ণরৌপ্য দিয়ে তৈরী থালা-বাসনে পানাহার করবে না। কারণ, সেগুলো দুনিয়াতে কাফিরদের জন্য আর পরকালে আমাদের জন্য”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫৪২৬, ৫৬৩২, ৫৬৩৩; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২০৬৭।]
আরেকটি সূত্র হচ্ছে; সন্দেহ পরিত্যাগ করে নিশ্চিত অতীতাবস্থার দিকে ফিরে যাওয়া। যেমন, কেউ ইতিপূর্বে পবিত্রতা অর্জন করেছে বলে নিশ্চিত। তবে বর্তমানে সে পবিত্র কি না এ ব্যাপারে সন্দিহান তা হলে সে উক্ত সূত্রানুযায়ী পবিত্র বলেই গণ্য। তেমনিভাবে কেউ যদি নিজের অপবিত্রতার ব্যাপারে নিশ্চিত। তবে কিছুক্ষণ পর সে নিজকে পবিত্র বলে সন্দেহ করছে তা হলে সে উক্ত সূত্রানুসারে অপবিত্র বলেই গণ্য হবে।
একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে যিনি সর্বদা সালাতরত অবস্থায় অযু নষ্ট হয়েছে বলে সন্দেহ করে থাকে অভিযোগ করা হলে তিনি বলেন,
«لاَ يَنْصَرِفُ حَتَّى يَسْمَعَ صَوْتًا، أَوْ يَجِدَ رِيْحًا»
“সালাত ছেড়ে দিবে না যতক্ষণ না সে বায়ু নির্গমনধ্বনি শুনতে পায় অথবা দুর্গন্ধ অনুভব করে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৩৭ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৬১।]
কোনো জিনিসে নাপাকী লেগে গেলে নাপাকী দূর হয়েছে নিশ্চিত হওয়া পর্যন্ত ধুতে হবে। তবে নাপাকীর কোনো দাগ থেকে গেলে তাতে কোনো অসুবিধে নেই। খাওলা বিনতে ইয়াসার রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বললাম: হে রাসূল! ঋতুস্রাব মিশ্রিত কাপড় ধোয়ার পরও দাগ থেকে যায় তখন কি করতে হবে? তিনি বললেন:
«يَكْفِيْكِ غَسْلُ الدَّمِ، وَلاَ يَضُرُّكِ أَثَرُهُ» .
“ঋতুস্রাবের রক্ত ধুয়ে ফেলাই তোমার জন্য যথেষ্ট। দাগ থেকে গেলে তাতে কোনো অসুবিধে নেই”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৩৬৫।]
একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে যিনি সর্বদা সালাতরত অবস্থায় অযু নষ্ট হয়েছে বলে সন্দেহ করে থাকে অভিযোগ করা হলে তিনি বলেন,
«لاَ يَنْصَرِفُ حَتَّى يَسْمَعَ صَوْتًا، أَوْ يَجِدَ رِيْحًا»
“সালাত ছেড়ে দিবে না যতক্ষণ না সে বায়ু নির্গমনধ্বনি শুনতে পায় অথবা দুর্গন্ধ অনুভব করে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৩৭ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৬১।]
কোনো জিনিসে নাপাকী লেগে গেলে নাপাকী দূর হয়েছে নিশ্চিত হওয়া পর্যন্ত ধুতে হবে। তবে নাপাকীর কোনো দাগ থেকে গেলে তাতে কোনো অসুবিধে নেই। খাওলা বিনতে ইয়াসার রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বললাম: হে রাসূল! ঋতুস্রাব মিশ্রিত কাপড় ধোয়ার পরও দাগ থেকে যায় তখন কি করতে হবে? তিনি বললেন:
«يَكْفِيْكِ غَسْلُ الدَّمِ، وَلاَ يَضُرُّكِ أَثَرُهُ» .
“ঋতুস্রাবের রক্ত ধুয়ে ফেলাই তোমার জন্য যথেষ্ট। দাগ থেকে গেলে তাতে কোনো অসুবিধে নেই”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৩৬৫।]
বিড়াল কোনো থালা-বাসনে মুখ দিলে তা অপবিত্র হয় না।
আবু ক্বাতাদা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِنَّهَا لَيْسَتْ بِنَجَسٍ، إِنَّهَا مِنَ الطَّوَّافِيْنَ عَلَيْكُمْ وَالطَّوَّافَاتِ»
“বিড়াল নাপাক নয়। কারণ, বিড়াল-বিড়ালী তোমাদের আশেপাশেই থাকে। ওদের নাগাল থেকে বাঁচা তোমাদের পক্ষে সম্ভবপর নয়”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৭৫; তিরমিযী, হাদীস নং ৯২।]
আবু ক্বাতাদা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِنَّهَا لَيْسَتْ بِنَجَسٍ، إِنَّهَا مِنَ الطَّوَّافِيْنَ عَلَيْكُمْ وَالطَّوَّافَاتِ»
“বিড়াল নাপাক নয়। কারণ, বিড়াল-বিড়ালী তোমাদের আশেপাশেই থাকে। ওদের নাগাল থেকে বাঁচা তোমাদের পক্ষে সম্ভবপর নয়”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৭৫; তিরমিযী, হাদীস নং ৯২।]
খাৎনা বলতে পুরুষের লিঙ্গাগ্র ঢেকে রাখে এমন ত্বক ছেদনকেই বুঝানো হয়। তাতে পুরো লিঙ্গাগ্রটি উন্মুক্ত হয়ে যায়। তা পুরুষের জন্য ওয়াজিব।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনৈক নবমুসলিমকে উদ্দেশ্য করে বলেন,
«أَلْقِ عَنْكَ شَعْرَ الْكُفْرِ وَاخْتَتِنْ» .
“কুফুরীর কেশ ফেলে দিয়ে খাৎনা করে নাও”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৩৫৬।]
এ কারণেই ইবরাহীম আলাইহিস সালাম আশি বছর বয়সে নিজ খাৎনাকর্ম সম্পাদন করেন।
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«اِخْتَتَنَ إِبْرَاهِيْمُ وَهُوَ اِبْنُ ثَمَانِيْنَ سَنَةً بِالْقَدُّوْمِ» .
“ইবরাহীম আলাইহিস আশি বছর বয়সে কুড়াল দিয়ে নিজ খাৎনাকর্ম সম্পাদন করেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩৩৫৬, ৬২৯৮; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৩৭০।]
ইসলামী শরী‘আতে মহিলাদের খাৎনারও বিধান রয়েছে। তবে তা তাদের জন্য মুস্তাহাব। মহিলাদের খাৎনা বলতে ভগাঙ্কুরের উপরিভাগ একটুখানি কেটে দেওয়াকেই বুঝানো হয়।
উম্মে ‘আতিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, জনৈকা মহিলা মদীনা শহরে মেয়েদের খাৎনা করাতো। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন,
«لاَ تُنْهِكِيْ، فَإِنَّ ذَلِكَ أَحْظَى لِلْمَرْأَةِ، وَأَحَبُّ إِلَى الْبَعْلِ» .
“ভগাঙ্কুরাগ্র একটু করে কেটে দিবে, বেশি নয়। কারণ, ভগাঙ্কুরটি মহিলাদের জন্য আনন্দদায়ক ও সুখকর এবং স্বামীর নিকট অধিক পছন্দনীয়”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৫২৭১।]
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনৈক নবমুসলিমকে উদ্দেশ্য করে বলেন,
«أَلْقِ عَنْكَ شَعْرَ الْكُفْرِ وَاخْتَتِنْ» .
“কুফুরীর কেশ ফেলে দিয়ে খাৎনা করে নাও”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৩৫৬।]
এ কারণেই ইবরাহীম আলাইহিস সালাম আশি বছর বয়সে নিজ খাৎনাকর্ম সম্পাদন করেন।
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«اِخْتَتَنَ إِبْرَاهِيْمُ وَهُوَ اِبْنُ ثَمَانِيْنَ سَنَةً بِالْقَدُّوْمِ» .
“ইবরাহীম আলাইহিস আশি বছর বয়সে কুড়াল দিয়ে নিজ খাৎনাকর্ম সম্পাদন করেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩৩৫৬, ৬২৯৮; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৩৭০।]
ইসলামী শরী‘আতে মহিলাদের খাৎনারও বিধান রয়েছে। তবে তা তাদের জন্য মুস্তাহাব। মহিলাদের খাৎনা বলতে ভগাঙ্কুরের উপরিভাগ একটুখানি কেটে দেওয়াকেই বুঝানো হয়।
উম্মে ‘আতিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, জনৈকা মহিলা মদীনা শহরে মেয়েদের খাৎনা করাতো। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন,
«لاَ تُنْهِكِيْ، فَإِنَّ ذَلِكَ أَحْظَى لِلْمَرْأَةِ، وَأَحَبُّ إِلَى الْبَعْلِ» .
“ভগাঙ্কুরাগ্র একটু করে কেটে দিবে, বেশি নয়। কারণ, ভগাঙ্কুরটি মহিলাদের জন্য আনন্দদায়ক ও সুখকর এবং স্বামীর নিকট অধিক পছন্দনীয়”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৫২৭১।]
মোচ কাটা ওয়াজিব।
যায়েদ ইবন আরকাম রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«مَنْ لَمْ يَأْخُذْ مِنْ شَارِبِهِ فَلَيْسَ مِنَّا» .
“যে মোচ কাটবে না সে আমার উম্মত নয়”। [তিরমিযী, হাদীস নং ২৭৬১; নাসাঈ, হাদীস নং ১৩।]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন,
«اِنْهَكُوْا الشَّوَارِبَ، وَأَعْفُوْا اللِّحَى» .
“তোমরা মোচ এমনভাবে ছোট করবে যাতে ত্বকের রং পরিলক্ষিত হয় এবং দাড়ি লম্বা কর”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫৮৯৩।]
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«خَمْسٌ مِنَ الْفِطْرَةِ : الْخِتَانُ، وَالاِسْتِحْدَادُ، وَنَتْفُ الإِبِطِ، وَتَقْلِيْمُ الأَظْفَارِ، وَقَصُّ الشَّارِبِ» .
“পাঁচটি বস্তু প্রকৃতিসম্মত: খাৎনা করা, নাভির নিচের লোম মুণ্ডন, বগলের নিচের লোম ছেঁড়া, নখ ও মোচ কাটা”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫৮৮৯, ৫৮৯১, ৬২৯৭; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৫৭; তিরমিযী, হাদীস নং ২৭৫৬; নাসাঈ, হাদীস নং ৯, ১০, ১১; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ২৯৪।]
উক্ত কাজগুলো সর্বোচ্চ চল্লিশ দিনের মধ্যেই সম্পাদন করতে হবে।
আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«وُقِّتَ لَنَا فِيْ قَصِّ الشَّارِبِ، وَتَقْلِيْمِ الأَظْفَارِ، وَنَتْفِ الإِبِطِ، وَحَلْقِ الْعَانَةِ أَنْ لاَ نَتْرُكَ أَكْثَرَ مِنْ أَرْبَعِيْنَ لَيْلَةٍ» .
“মোচ কাটা, নখ কাটা, বগলের লোম ছেঁড়া ও নাভিনিম্ন লোম মুণ্ডনের ব্যাপারে আমাদেরকে সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, যেন আমরা চল্লিশ দিনের বেশি এ কর্মগুলো সম্পাদন থেকে বিরত না থাকি”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৫৮; তিরমিযী, হাদীস নং ২৭৫৮, ২৭৫৯; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ২৯৭।]
যায়েদ ইবন আরকাম রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«مَنْ لَمْ يَأْخُذْ مِنْ شَارِبِهِ فَلَيْسَ مِنَّا» .
“যে মোচ কাটবে না সে আমার উম্মত নয়”। [তিরমিযী, হাদীস নং ২৭৬১; নাসাঈ, হাদীস নং ১৩।]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন,
«اِنْهَكُوْا الشَّوَارِبَ، وَأَعْفُوْا اللِّحَى» .
“তোমরা মোচ এমনভাবে ছোট করবে যাতে ত্বকের রং পরিলক্ষিত হয় এবং দাড়ি লম্বা কর”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫৮৯৩।]
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«خَمْسٌ مِنَ الْفِطْرَةِ : الْخِتَانُ، وَالاِسْتِحْدَادُ، وَنَتْفُ الإِبِطِ، وَتَقْلِيْمُ الأَظْفَارِ، وَقَصُّ الشَّارِبِ» .
“পাঁচটি বস্তু প্রকৃতিসম্মত: খাৎনা করা, নাভির নিচের লোম মুণ্ডন, বগলের নিচের লোম ছেঁড়া, নখ ও মোচ কাটা”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫৮৮৯, ৫৮৯১, ৬২৯৭; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৫৭; তিরমিযী, হাদীস নং ২৭৫৬; নাসাঈ, হাদীস নং ৯, ১০, ১১; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ২৯৪।]
উক্ত কাজগুলো সর্বোচ্চ চল্লিশ দিনের মধ্যেই সম্পাদন করতে হবে।
আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«وُقِّتَ لَنَا فِيْ قَصِّ الشَّارِبِ، وَتَقْلِيْمِ الأَظْفَارِ، وَنَتْفِ الإِبِطِ، وَحَلْقِ الْعَانَةِ أَنْ لاَ نَتْرُكَ أَكْثَرَ مِنْ أَرْبَعِيْنَ لَيْلَةٍ» .
“মোচ কাটা, নখ কাটা, বগলের লোম ছেঁড়া ও নাভিনিম্ন লোম মুণ্ডনের ব্যাপারে আমাদেরকে সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, যেন আমরা চল্লিশ দিনের বেশি এ কর্মগুলো সম্পাদন থেকে বিরত না থাকি”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৫৮; তিরমিযী, হাদীস নং ২৭৫৮, ২৭৫৯; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ২৯৭।]
দাড়ি লম্বা করা ওয়াজিব।
আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«خَالِفُوْا الْـمُشْرِكِيْنَ : وَفِّرُوْا اللِّحَى، وَأَحْفُوْا الشَّوَارِبَ» .
“তোমরা আচার-আচরণে মুশরিকদের বিরোধিতা কর। অতএব, তোমরা দাড়ি লম্বা কর এবং মোচ এতটুকু ছোট কর যাতে ত্বকের রং পরিলক্ষিত হয়”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫৮৯২; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৫৯]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন,
«أَحْفُوْا الشَّوَارِبَ، وَأَعْفُوْا اللِّحَى» .
“তোমরা মোছকে গোড়া থেকেই কেটে ফেল এবং দাড়িকে নিজ অবস্থায় ছেড়ে দাও”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৫৯; তিরমিযী, হাদীস নং ২৭৬৩, ২৭৬৪।]
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«جُزُّوْا الشَّوَارِبَ وَأَرْخُوْا اللِّحَى، خَالِفُوْا الْمَجُوْسَ» .
“তোমরা মোচ কেটে ফেল এবং দাড়ি লম্বা কর। এভাবে অগ্নিপূজকদের সাথে বিরোধিতা কর”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৬০।]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন,
«خَالِفُوْا الْـمُشْرِكِيْنَ : أَحْفُوْا الشَّوَارِبَ وَأَوْفُوْا اللِّحَى» .
“তোমরা মুশরিকদের বিরোধিতা কর। অতএব, মোচ মূল থেকে কেটে ফেল এবং দাড়ি লম্বা কর”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৫৯।]
উক্ত হাদীসসমূহ থেকে আমরা জানতে পারলাম যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চার চার বার চার ধরনের শব্দ দিয়ে দাড়ি লম্বা করার আদেশ দিয়েছেন। এ থেকে ইসলামে দাড়ির কতটুকু গুরুত্ব তা সহজেই অনুধাবন করা যায়।
আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«خَالِفُوْا الْـمُشْرِكِيْنَ : وَفِّرُوْا اللِّحَى، وَأَحْفُوْا الشَّوَارِبَ» .
“তোমরা আচার-আচরণে মুশরিকদের বিরোধিতা কর। অতএব, তোমরা দাড়ি লম্বা কর এবং মোচ এতটুকু ছোট কর যাতে ত্বকের রং পরিলক্ষিত হয়”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫৮৯২; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৫৯]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন,
«أَحْفُوْا الشَّوَارِبَ، وَأَعْفُوْا اللِّحَى» .
“তোমরা মোছকে গোড়া থেকেই কেটে ফেল এবং দাড়িকে নিজ অবস্থায় ছেড়ে দাও”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৫৯; তিরমিযী, হাদীস নং ২৭৬৩, ২৭৬৪।]
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«جُزُّوْا الشَّوَارِبَ وَأَرْخُوْا اللِّحَى، خَالِفُوْا الْمَجُوْسَ» .
“তোমরা মোচ কেটে ফেল এবং দাড়ি লম্বা কর। এভাবে অগ্নিপূজকদের সাথে বিরোধিতা কর”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৬০।]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন,
«خَالِفُوْا الْـمُشْرِكِيْنَ : أَحْفُوْا الشَّوَارِبَ وَأَوْفُوْا اللِّحَى» .
“তোমরা মুশরিকদের বিরোধিতা কর। অতএব, মোচ মূল থেকে কেটে ফেল এবং দাড়ি লম্বা কর”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৫৯।]
উক্ত হাদীসসমূহ থেকে আমরা জানতে পারলাম যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চার চার বার চার ধরনের শব্দ দিয়ে দাড়ি লম্বা করার আদেশ দিয়েছেন। এ থেকে ইসলামে দাড়ির কতটুকু গুরুত্ব তা সহজেই অনুধাবন করা যায়।
ঘুম থেকে জেগে মিসওয়াক করা গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত।
হুযাইফাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم إِذَا قَامَ مِنَ اللَّيْلِ يَشُوْصُ فَاهُ بِالسِّوَاكِ» .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুম থেকে জেগে মিসওয়াক করতেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৪৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৫৫।]
হুযাইফাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم إِذَا قَامَ مِنَ اللَّيْلِ يَشُوْصُ فَاهُ بِالسِّوَاكِ» .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুম থেকে জেগে মিসওয়াক করতেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৪৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৫৫।]
প্রত্যেক অযুর সময় মিসওয়াক করা গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত।
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِيْ لأَمَرْتُهُمْ بِالسِّوَاكِ عِنْدَ كُلِّ وُضُوْءٍ» .
“আমার উম্মতের জন্য আদেশটি মানা যদি কষ্টকর না হতো তাহলে আমি ওদেরকে প্রত্যেক অযুর সময় মিসওয়াক করতে আদেশ করতাম”। [মালিক, হাদীস নং ১১৫; আহমাদ, হাদীস নং ৪০০, ৪৬০।]
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِيْ لأَمَرْتُهُمْ بِالسِّوَاكِ عِنْدَ كُلِّ وُضُوْءٍ» .
“আমার উম্মতের জন্য আদেশটি মানা যদি কষ্টকর না হতো তাহলে আমি ওদেরকে প্রত্যেক অযুর সময় মিসওয়াক করতে আদেশ করতাম”। [মালিক, হাদীস নং ১১৫; আহমাদ, হাদীস নং ৪০০, ৪৬০।]
প্রত্যেক সালাতের সময় মিসওয়াক করা গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত।
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِيْ أَوْ عَلَى النَّاسِ لأَمَرْتُهُمْ بِالسِّوَاكِ مَعَ كُلِّ صَلاَةٍ» .
“আমার উম্মত বা সকলের জন্য আদেশটি মানা যদি কষ্টকর না হতো তাহলে আমি ওদেরকে প্রত্যেক সালাতের সময় মিসওয়াক করতে আদেশ করতাম”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৮৮৭; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৫২; আবু দাউদ, হাদীস নং ৪৬, ৪৭।]
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِيْ أَوْ عَلَى النَّاسِ لأَمَرْتُهُمْ بِالسِّوَاكِ مَعَ كُلِّ صَلاَةٍ» .
“আমার উম্মত বা সকলের জন্য আদেশটি মানা যদি কষ্টকর না হতো তাহলে আমি ওদেরকে প্রত্যেক সালাতের সময় মিসওয়াক করতে আদেশ করতাম”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৮৮৭; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৫২; আবু দাউদ, হাদীস নং ৪৬, ৪৭।]
ঘরে বা মাসজিদে ঢুকার সময় মিসওয়াক করা গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত।
‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم إِذَا دَخَلَ بَيْتَهُ بَدَأَ بِالسِّوَاكِ» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে প্রবেশ করেই মিসওয়াক করা আরম্ভ করতেন”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৫৩; আবু দাউদ, হাদীস নং ৫১।]
‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم إِذَا دَخَلَ بَيْتَهُ بَدَأَ بِالسِّوَاكِ» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে প্রবেশ করেই মিসওয়াক করা আরম্ভ করতেন”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৫৩; আবু দাউদ, হাদীস নং ৫১।]
উক্ত মুহূর্তগুলোতে মিসওয়াক করা গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত। কারণ, মিসওয়াকের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে মুখগহবরকে পরিচ্ছন্ন ও দুর্গন্ধমুক্ত রাখা। তেমনিভাবে যদি ঘুম থেকে জাগার পর মিসওয়াক করতে হয় তাহলে এ মুহূর্তগুলোতেও মিসওয়াক করা অবশ্যই কর্তব্য।
কুরআন মাজীদ পড়ার সময়ও মিসওয়াক করা গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত।
‘আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِنَّ الْعَبْدَ إِذَا تَسَوَّكَ ثُمَّ قَامَ يُصَلِّيْ قَامَ الْـمَلَكُ خَلْفَهُ فَيَسْتَمِعُ لِقِرَاءَتِهِ فَيَدْنُوْ مِنْهُ – أَوْ كَلِمَةٌ نَحْوُهَا – حَتَّى يَضَعَ فَاهُ عَلَى فِيْهِ فَمَا يَخْرُجُ مِنْ فِيْهِ شَيْءٌ مِنَ الْقُرْآنِ إِلاَّ صَارَ فِيْ جَوْفِ الْـمَلَكِ، فَطَهِّرُوْا أَفْوَاهَكُمْ لِلْقُرْآنِ» .
“বান্দা যখন মিসওয়াক করে সালাতে দাঁড়ায় তখন একজন ফিরিস্তা তার পেছনে দাঁড়িয়ে কিরাআত শ্রবণ করতে থাকে। এমনকি ফিরিস্তা নামাযীর খুব নিকটে গিয়ে নিজ মুখ নামাযীর মুখে রাখে। তাতে করে নামাযীর মুখ থেকে কুর‘আনের কোনো অক্ষর বেরুতেই তা ফিরিস্তার পেটে চলে যায়। তাই তোমরা কুরআন পাঠের উদ্দেশ্যে নিজ মুখগহবর পরিচ্ছন্ন কর”। [সাহীহুত তারগীব, হাদীস নং ২১৫; সিলসিলা সাহীহা, হাদীস নং ১২১৩।]
জিহ্বার উপর মিসওয়াক করা মুস্তাহাব।
আবু মূসা আশ্‘আরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«أَتَيْنَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم نَسْتَحْمِلُهُ فَرَأَيْتُهُ يَسْتَاكُ عَلَى لِسَانِهِ» .
“আমরা কিছু সংখ্যক সাহাবা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট যুদ্ধারোহণ চাওয়ার জন্যে উপস্থিত হলাম। তখন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিহবার উপর মিসওয়াক করতে দেখেছি”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৫৪; আবু দাউদ, হাদীস নং ৪৯।]
মিসওয়াক ডান দিক থেকে করা মুস্তাহাব।
‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم يُعْجِبُهُ التَّيَمُّنُ فِيْ تَنَعُّلِهِ وَتَرَجُّلِهِ وَطُهُوْرِهِ وَفِيْ شَأْنِهِ كُلِّهِ» .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতিটি কাজই ডান দিক থেকে শুরু করা পছন্দ করতেন। এমনকি জুতা পরা, মাথা আঁচড়ানো, পবিত্রতার্জন তথা সর্ব ব্যাপারই”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৬৮; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৬৮।]
মিসওয়াক করার পর মিসওয়াকটি ধুয়ে নিতে হয়।
‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«كَانَ نَبِيُّ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم يَسْتَاكُ، فَيُعْطِيْنِي السِّـوَاكَ لأَغْسِلَهُ، فَأَبْدَأُ بِهِ فَأَسْتَاكُ، ثُمَّ أَغْسِلُهُ وَأَدْفَعُهُ إِلَيْهِ» .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিসওয়াক করে মিসওয়াকটি আমাকে ধোয়ার জন্য দিতেন। কিন্তু আমি মিসওয়াকটি না ধুয়ে বরং তা দিয়ে মিসওয়াক করতাম। পরিশেষে মিসওয়াকটি ধুয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ফেরত দিতাম”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৫।]
উপরন্তু এ হাদীস থেকে একে অপরের মিসওয়াক ধোয়া ছাড়াই ব্যবহার করতে পারে বুঝা যায়।
‘আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِنَّ الْعَبْدَ إِذَا تَسَوَّكَ ثُمَّ قَامَ يُصَلِّيْ قَامَ الْـمَلَكُ خَلْفَهُ فَيَسْتَمِعُ لِقِرَاءَتِهِ فَيَدْنُوْ مِنْهُ – أَوْ كَلِمَةٌ نَحْوُهَا – حَتَّى يَضَعَ فَاهُ عَلَى فِيْهِ فَمَا يَخْرُجُ مِنْ فِيْهِ شَيْءٌ مِنَ الْقُرْآنِ إِلاَّ صَارَ فِيْ جَوْفِ الْـمَلَكِ، فَطَهِّرُوْا أَفْوَاهَكُمْ لِلْقُرْآنِ» .
“বান্দা যখন মিসওয়াক করে সালাতে দাঁড়ায় তখন একজন ফিরিস্তা তার পেছনে দাঁড়িয়ে কিরাআত শ্রবণ করতে থাকে। এমনকি ফিরিস্তা নামাযীর খুব নিকটে গিয়ে নিজ মুখ নামাযীর মুখে রাখে। তাতে করে নামাযীর মুখ থেকে কুর‘আনের কোনো অক্ষর বেরুতেই তা ফিরিস্তার পেটে চলে যায়। তাই তোমরা কুরআন পাঠের উদ্দেশ্যে নিজ মুখগহবর পরিচ্ছন্ন কর”। [সাহীহুত তারগীব, হাদীস নং ২১৫; সিলসিলা সাহীহা, হাদীস নং ১২১৩।]
জিহ্বার উপর মিসওয়াক করা মুস্তাহাব।
আবু মূসা আশ্‘আরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«أَتَيْنَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم نَسْتَحْمِلُهُ فَرَأَيْتُهُ يَسْتَاكُ عَلَى لِسَانِهِ» .
“আমরা কিছু সংখ্যক সাহাবা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট যুদ্ধারোহণ চাওয়ার জন্যে উপস্থিত হলাম। তখন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিহবার উপর মিসওয়াক করতে দেখেছি”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৫৪; আবু দাউদ, হাদীস নং ৪৯।]
মিসওয়াক ডান দিক থেকে করা মুস্তাহাব।
‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم يُعْجِبُهُ التَّيَمُّنُ فِيْ تَنَعُّلِهِ وَتَرَجُّلِهِ وَطُهُوْرِهِ وَفِيْ شَأْنِهِ كُلِّهِ» .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতিটি কাজই ডান দিক থেকে শুরু করা পছন্দ করতেন। এমনকি জুতা পরা, মাথা আঁচড়ানো, পবিত্রতার্জন তথা সর্ব ব্যাপারই”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৬৮; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৬৮।]
মিসওয়াক করার পর মিসওয়াকটি ধুয়ে নিতে হয়।
‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«كَانَ نَبِيُّ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم يَسْتَاكُ، فَيُعْطِيْنِي السِّـوَاكَ لأَغْسِلَهُ، فَأَبْدَأُ بِهِ فَأَسْتَاكُ، ثُمَّ أَغْسِلُهُ وَأَدْفَعُهُ إِلَيْهِ» .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিসওয়াক করে মিসওয়াকটি আমাকে ধোয়ার জন্য দিতেন। কিন্তু আমি মিসওয়াকটি না ধুয়ে বরং তা দিয়ে মিসওয়াক করতাম। পরিশেষে মিসওয়াকটি ধুয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ফেরত দিতাম”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৫।]
উপরন্তু এ হাদীস থেকে একে অপরের মিসওয়াক ধোয়া ছাড়াই ব্যবহার করতে পারে বুঝা যায়।
উপরোক্ত সবগুলো বিষয় একই সাথে একই হাদীসে উল্লিখিত হয়েছে।
‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«عَشْرٌ مِنَ الْفِطْرَةِ : قَصُّ الشَّارِبِ، وَإِعْفَاءُ اللِّحْيَةِ، وَالسِّوَاكُ، وَاسْتِنْشَاقُ الْـمَاءِ، وَقَصُّ الأَظْفَارِ، وَغَسْلُ الْبَرَاجِمِ، وَنَتْفُ الإِبِطِ، وَحَلْقُ الْعَانَةِ، وَانْتِقَاصُ الْـمَاءِ، قَالَ زَكَرِيَّا : قَالَ مُصْعَبٌ : وَنَسِيْتُ الْعَاشِرَةَ ؛ إِلاَّ أَنْ تَكُوْنَ الْمَضْمَضَةَ» .
“দশটি কাজ স্বভাব ও প্রকৃতিসম্মত: মোচ কাটা, দাড়ি লম্বা করা, মিসওয়াক করা, অযুর সময় নাকে পানি দেওয়া, নখ কাটা, আঙ্গুলের সন্ধিস্থলগুলো ধৌত করা, বগলের লোম ছিঁড়ে ফেলা, নাভিনিম্ন লোম মুণ্ডন ও ইস্তিঞ্জা করা। হাদীস বর্ণনাকারী যাকারিয়া বলেন, ঊর্ধ্বতন হাদীস বর্ণনাকারী মুস‘আব বলেছেন: আমি দশম কর্মটি স্মরণ করতে পারছি না। সম্ভবতঃ দশম কর্মটি কুল্লি করা”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৬১; আবু দাউদ, হাদীস নং ৫৩; তিরমিযী, হাদীস নং ২৭৫৭; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ২৯৫।]
‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«عَشْرٌ مِنَ الْفِطْرَةِ : قَصُّ الشَّارِبِ، وَإِعْفَاءُ اللِّحْيَةِ، وَالسِّوَاكُ، وَاسْتِنْشَاقُ الْـمَاءِ، وَقَصُّ الأَظْفَارِ، وَغَسْلُ الْبَرَاجِمِ، وَنَتْفُ الإِبِطِ، وَحَلْقُ الْعَانَةِ، وَانْتِقَاصُ الْـمَاءِ، قَالَ زَكَرِيَّا : قَالَ مُصْعَبٌ : وَنَسِيْتُ الْعَاشِرَةَ ؛ إِلاَّ أَنْ تَكُوْنَ الْمَضْمَضَةَ» .
“দশটি কাজ স্বভাব ও প্রকৃতিসম্মত: মোচ কাটা, দাড়ি লম্বা করা, মিসওয়াক করা, অযুর সময় নাকে পানি দেওয়া, নখ কাটা, আঙ্গুলের সন্ধিস্থলগুলো ধৌত করা, বগলের লোম ছিঁড়ে ফেলা, নাভিনিম্ন লোম মুণ্ডন ও ইস্তিঞ্জা করা। হাদীস বর্ণনাকারী যাকারিয়া বলেন, ঊর্ধ্বতন হাদীস বর্ণনাকারী মুস‘আব বলেছেন: আমি দশম কর্মটি স্মরণ করতে পারছি না। সম্ভবতঃ দশম কর্মটি কুল্লি করা”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৬১; আবু দাউদ, হাদীস নং ৫৩; তিরমিযী, হাদীস নং ২৭৫৭; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ২৯৫।]
ফিতরাত দু’প্রকার:
১. হৃদয়গত: হৃদয়গত ফিতরাত বলতে আল্লাহ তা‘আলার পরিচয়, ভালোবাসা এবং তাঁকে তিনি ভিন্ন অন্য সকল বস্তুর উপর অগ্রাধিকার দেওয়াকে বুঝানো হয়। এ জাতীয় ফিতরাত অন্তরাত্মা ও রূহকে নির্মল এবং বিশুদ্ধ করে তোলে।
২. শরীরগত: শরীরগত ফিত্রাত বলতে উপরোক্ত দশটি বিষয় তথা এ জাতীয় সকল প্রকৃতিসম্মত কর্মকে বুঝানো হয়। এ জাতীয় ফিত্রাত শরীরকে পাক ও পরিচ্ছন্ন করে। তবে উভয় ফিতরাত একে অপরের সহযোগী ও পরিপূরক।
১. হৃদয়গত: হৃদয়গত ফিতরাত বলতে আল্লাহ তা‘আলার পরিচয়, ভালোবাসা এবং তাঁকে তিনি ভিন্ন অন্য সকল বস্তুর উপর অগ্রাধিকার দেওয়াকে বুঝানো হয়। এ জাতীয় ফিতরাত অন্তরাত্মা ও রূহকে নির্মল এবং বিশুদ্ধ করে তোলে।
২. শরীরগত: শরীরগত ফিত্রাত বলতে উপরোক্ত দশটি বিষয় তথা এ জাতীয় সকল প্রকৃতিসম্মত কর্মকে বুঝানো হয়। এ জাতীয় ফিত্রাত শরীরকে পাক ও পরিচ্ছন্ন করে। তবে উভয় ফিতরাত একে অপরের সহযোগী ও পরিপূরক।
ঘুম থেকে জেগেই প্রথমে উভয় হাত তিনবার ধুয়ে নিতে হয়।
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِذَا اسْتَيْقَظَ أَحَدُكُمْ مِنْ نَوْمِهِ فَلاَ يَغْمِسْ يَدَهُ فِي الإِنَاءِ حَتَّى يَغْسِلَهَا ثَلاَثًا، فَإِنَّهُ لاَ يَدْرِيْ أَيْنَ بَاتَتْ يَدُهُ» .
“তোমাদের কেউ যেন ঘুম থেকে জেগেই তার হাত খানা তিনবার না ধুয়ে কোনো পানি ভর্তি পাত্রে প্রবেশ না করায়। কারণ, সে তো আর জানে না রাত্রি বেলায় তার হাত খানা কোথায় ছিলো”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৬২; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৭৮।]
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِذَا اسْتَيْقَظَ أَحَدُكُمْ مِنْ نَوْمِهِ فَلاَ يَغْمِسْ يَدَهُ فِي الإِنَاءِ حَتَّى يَغْسِلَهَا ثَلاَثًا، فَإِنَّهُ لاَ يَدْرِيْ أَيْنَ بَاتَتْ يَدُهُ» .
“তোমাদের কেউ যেন ঘুম থেকে জেগেই তার হাত খানা তিনবার না ধুয়ে কোনো পানি ভর্তি পাত্রে প্রবেশ না করায়। কারণ, সে তো আর জানে না রাত্রি বেলায় তার হাত খানা কোথায় ছিলো”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৬২; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৭৮।]
ঘুম থেকে জেগে দ্বিতীয়তঃ যে কাজটি করতে হয় তা হচ্ছে তিনবার ভালোভাবে নাক ঝেড়ে পরিষ্কার করা।
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِذَا اسْتَيْقَظَ أَحَدُكُمْ مِنْ مَنَامِهِ فَلْيَسْتَنْثِرْ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ، فَإِنَّ الشَّيْطَانَ يَبِيْتُ عَلَى خَيَاشِيْمِهِ» .
“তোমাদের কেউ ঘুম থেকে জেগে যেন তিনবার নাক ঝেড়ে নেয়। কারণ, শয়তান নাকের বাঁশিতে রাত্রিযাপন করে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩২৯৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৩৮।]
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِذَا اسْتَيْقَظَ أَحَدُكُمْ مِنْ مَنَامِهِ فَلْيَسْتَنْثِرْ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ، فَإِنَّ الشَّيْطَانَ يَبِيْتُ عَلَى خَيَاشِيْمِهِ» .
“তোমাদের কেউ ঘুম থেকে জেগে যেন তিনবার নাক ঝেড়ে নেয়। কারণ, শয়তান নাকের বাঁশিতে রাত্রিযাপন করে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩২৯৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৩৮।]
ফরয, নফল তথা যে কোনো ধরনের সালাত আদায়ের জন্য অযু করতে হয়।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ إِذَا قُمۡتُمۡ إِلَى ٱلصَّلَوٰةِ فَٱغۡسِلُواْ وُجُوهَكُمۡ وَأَيۡدِيَكُمۡ إِلَى ٱلۡمَرَافِقِ وَٱمۡسَحُواْ بِرُءُوسِكُمۡ وَأَرۡجُلَكُمۡ إِلَى ٱلۡكَعۡبَيۡنِ﴾ [ المائدة : ٦ ]
“হে ঈমানদারগণ! যখন তোমরা সালাতের উদ্দেশ্যে দণ্ডায়মান হবে (অথচ তোমাদের অযু নেই) তখন তোমরা তোমাদের সমস্ত মুখমণ্ডল এবং হাতগুলো কনুই পর্যন্ত ধৌত করবে। আর মাথা মাসাহ করবে ও পাগুলো টাখনু পর্যন্ত ধৌত করবে”। [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৬]
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«لاَ تُقْبَلُ صَلاَةُ أَحَدِكُمْ إِذَا أَحْدَثَ حَتَّى يَتَوَضَّأَ»
“তোমাদের মধ্যকার কোনো অযুহীন ব্যক্তির সালাত গ্রহণ করা হবে না যতক্ষণ না সে অযু করে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৩৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২২৫; আবু দাউদ, হাদীস নং ৬০।]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন,
«لاَ تُقْبَلُ صَلاَةٌ بِغَيْرِ طُهُوْرٍ وَلاَ صَدَقَةٌ مِنْ غُلُوْلٍ» .
“পবিত্রতা ব্যতীত কোনো সালাত কবুল করা হবে না। তেমনিভাবে আত্মসাৎ করা গণিমতের মাল থেকে কোনো সদকা গ্রাহ্য হবে না”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২২৪; আবু দাউদ, হাদীস নং ৫৯; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ২৭১, ২৭৩, ২৭৪, ২৭৫।]
‘আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«مِفْتَاحُ الصَّلاَةِ الطُّهُوْرُ، وَتَحْرِيْمُهَا التَّكْبِيْرُ، وَتَحْلِيْلُهَا التَّسْلِيْمُ» .
“পবিত্রতা সালাতের চাবি তথা পূর্বশর্ত। তাকবীর সালাতের ভেতর সালাত ভিন্ন অন্য কর্ম হারামকারী এবং সালাম সালাত শেষে সালাত আদায়কারীর জন্য সকল হারামকৃত কর্ম হালালকারী”। [তিরমিযী, হাদীস নং ৩; আবু দাউদ, হাদীস নং ৬১; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ২৭৬, ২৭৭।]
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ إِذَا قُمۡتُمۡ إِلَى ٱلصَّلَوٰةِ فَٱغۡسِلُواْ وُجُوهَكُمۡ وَأَيۡدِيَكُمۡ إِلَى ٱلۡمَرَافِقِ وَٱمۡسَحُواْ بِرُءُوسِكُمۡ وَأَرۡجُلَكُمۡ إِلَى ٱلۡكَعۡبَيۡنِ﴾ [ المائدة : ٦ ]
“হে ঈমানদারগণ! যখন তোমরা সালাতের উদ্দেশ্যে দণ্ডায়মান হবে (অথচ তোমাদের অযু নেই) তখন তোমরা তোমাদের সমস্ত মুখমণ্ডল এবং হাতগুলো কনুই পর্যন্ত ধৌত করবে। আর মাথা মাসাহ করবে ও পাগুলো টাখনু পর্যন্ত ধৌত করবে”। [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৬]
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«لاَ تُقْبَلُ صَلاَةُ أَحَدِكُمْ إِذَا أَحْدَثَ حَتَّى يَتَوَضَّأَ»
“তোমাদের মধ্যকার কোনো অযুহীন ব্যক্তির সালাত গ্রহণ করা হবে না যতক্ষণ না সে অযু করে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৩৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২২৫; আবু দাউদ, হাদীস নং ৬০।]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন,
«لاَ تُقْبَلُ صَلاَةٌ بِغَيْرِ طُهُوْرٍ وَلاَ صَدَقَةٌ مِنْ غُلُوْلٍ» .
“পবিত্রতা ব্যতীত কোনো সালাত কবুল করা হবে না। তেমনিভাবে আত্মসাৎ করা গণিমতের মাল থেকে কোনো সদকা গ্রাহ্য হবে না”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২২৪; আবু দাউদ, হাদীস নং ৫৯; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ২৭১, ২৭৩, ২৭৪, ২৭৫।]
‘আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«مِفْتَاحُ الصَّلاَةِ الطُّهُوْرُ، وَتَحْرِيْمُهَا التَّكْبِيْرُ، وَتَحْلِيْلُهَا التَّسْلِيْمُ» .
“পবিত্রতা সালাতের চাবি তথা পূর্বশর্ত। তাকবীর সালাতের ভেতর সালাত ভিন্ন অন্য কর্ম হারামকারী এবং সালাম সালাত শেষে সালাত আদায়কারীর জন্য সকল হারামকৃত কর্ম হালালকারী”। [তিরমিযী, হাদীস নং ৩; আবু দাউদ, হাদীস নং ৬১; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ২৭৬, ২৭৭।]
কা‘বা শরীফ তাওয়াফ করার জন্য পবিত্রতা আবশ্যক।
আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«الطَّوَافُ حَوْلَ الْبَيْتِ مِثْلُ الصَّلاَةِ، إِلاَّ أَنَّكُمْ تَتَكَلَّمُوْنَ فِيْهِ، فَمَنْ تَكَلَّمَ فِيْهِ فَلاَ يَتَكَلَّمَنَّ إِلاَّ بِخَيْرٍ» .
“কা‘বা শরীফ তাওয়াফ করা সালাত পড়ার ন্যায়। তবে তাওয়াফের সময় কথা বলা যায়। সুতরাং তোমাদের কেউ এ সময় কথা বললে সে যেন কল্যাণমূলক কথাই বলে”। [তিরমিযী, হাদীস নং ৯৬০; নাসাঈ, হাদীস নং ২৯২৫, ২৯২৬।]
‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজের সময় আমার ঋতুস্রাব হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে উদ্দেশ্য করে বলেন,
«هَذَا شَيْءٌ كَتَبَهُ اللهُ عَلَى بَنَاتِ آدَمَ، فَافْعَلِيْ مَايَفْعَلُ الْحَاجُّ، غَيْرَ أَنْ لاَ تَطُوْفِيْ بِالْبَيْتِ حَتَّى تَطْهُرِيْ» .
“এটি তোমার হস্তার্জিত কিছু নয়। তা আল্লাহর পক্ষ থেকে মহিলাদের জন্য একান্ত অবধারিত। তাই হাজী সাহেবগণ যা করেন তুমিও তাই করবে। তবে তাওয়াফ করবে না যতক্ষণ না তুমি সম্পূর্ণরূপে পবিত্র হয়ে যাও”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩০৫ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১২১১।]
উক্ত হাদীস তাওয়াফের জন্য পবিত্রতা অনিবার্য হওয়াকে বুঝায়। বড় পবিত্রতার প্রয়োজন হলে তো তা অবশ্যই করতে হবে। নতুবা ছোট পবিত্রতাই তাওয়াফের জন্য যথেষ্ট।
আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«الطَّوَافُ حَوْلَ الْبَيْتِ مِثْلُ الصَّلاَةِ، إِلاَّ أَنَّكُمْ تَتَكَلَّمُوْنَ فِيْهِ، فَمَنْ تَكَلَّمَ فِيْهِ فَلاَ يَتَكَلَّمَنَّ إِلاَّ بِخَيْرٍ» .
“কা‘বা শরীফ তাওয়াফ করা সালাত পড়ার ন্যায়। তবে তাওয়াফের সময় কথা বলা যায়। সুতরাং তোমাদের কেউ এ সময় কথা বললে সে যেন কল্যাণমূলক কথাই বলে”। [তিরমিযী, হাদীস নং ৯৬০; নাসাঈ, হাদীস নং ২৯২৫, ২৯২৬।]
‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজের সময় আমার ঋতুস্রাব হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে উদ্দেশ্য করে বলেন,
«هَذَا شَيْءٌ كَتَبَهُ اللهُ عَلَى بَنَاتِ آدَمَ، فَافْعَلِيْ مَايَفْعَلُ الْحَاجُّ، غَيْرَ أَنْ لاَ تَطُوْفِيْ بِالْبَيْتِ حَتَّى تَطْهُرِيْ» .
“এটি তোমার হস্তার্জিত কিছু নয়। তা আল্লাহর পক্ষ থেকে মহিলাদের জন্য একান্ত অবধারিত। তাই হাজী সাহেবগণ যা করেন তুমিও তাই করবে। তবে তাওয়াফ করবে না যতক্ষণ না তুমি সম্পূর্ণরূপে পবিত্র হয়ে যাও”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩০৫ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১২১১।]
উক্ত হাদীস তাওয়াফের জন্য পবিত্রতা অনিবার্য হওয়াকে বুঝায়। বড় পবিত্রতার প্রয়োজন হলে তো তা অবশ্যই করতে হবে। নতুবা ছোট পবিত্রতাই তাওয়াফের জন্য যথেষ্ট।
কুরআন মাজীদ স্পর্শ করার জন্যও পবিত্রতা আবশ্যক।
‘আমর ইবন হাযম, হাকিম ইবন হিযাম ও আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকে বর্ণিত, তারা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«لاَ يَمَسَّ الْقُرْآنَ إِلاَّ طَاهِرٌ» .
“পবিত্র ব্যক্তি ছাড়া কেউ যেন কুরআন স্পর্শ না করে”। [মালিক, হাদীস নং ১; দারুকুতনী, হাদীস ৪৩১, ৪৩২, ৪৩৩।]
‘আমর ইবন হাযম, হাকিম ইবন হিযাম ও আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকে বর্ণিত, তারা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«لاَ يَمَسَّ الْقُرْآنَ إِلاَّ طَاهِرٌ» .
“পবিত্র ব্যক্তি ছাড়া কেউ যেন কুরআন স্পর্শ না করে”। [মালিক, হাদীস নং ১; দারুকুতনী, হাদীস ৪৩১, ৪৩২, ৪৩৩।]
অযুর ফযীলত সম্পর্কে অনেক হাদীস বর্ণিত হয়েছে উহার কিয়দংশ নিম্নরূপ:
ক. আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি:
«إِنَّ أُمَّتِيْ يَأْتُوْنَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ غُرًّا مُّحَجَّلِيْنَ مِنْ أَثَرِ الْوُضُوْءِ، فَمَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ أَنْ يُطِيْلَ غُرَّتَهُ فَلْيَفْعَلْ» .
“কিয়ামতের দিবসে আমার উম্মতের অযুর স্থানগুলো দীপ্তিমান ও শুভ্রোজ্জ্বল হয়ে দেখা দিবে। তাই তোমাদের কেউ নিজ ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে সক্ষম হলে সে যেন তা করে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৩৬; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৪৬।]
খ. উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি উপস্থিত সকলকে ভালোরূপে অযু দেখিয়ে বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এমনিভাবে অযু করতে দেখেছি। তিনি আরো বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
«مَنْ تَوَضَّأَ نَحْوَ وُضُوْئِيْ هَذَا ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ لاَ يُحْدِثُ فِيْهِمَا نَفْسَهُ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ» .
“যে ব্যক্তি আমার অযুর ন্যায় অযু করে কায়মনোবাক্যে দু’ রাকাত সালাত আদায় করবে আল্লাহ তা‘আলা তার সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৫৯, ১৬৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২২৬।]
গ. উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«لاَ يَتَوَضَّأُ رَجُلٌ مُسْلِمٌ فَيُحْسِنُ الْوُضُوْءَ، فَيُصَلِّيْ صَلاَةً إِلاَّ غَفَرَاللهُ لَهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الصَّلاَةِ الَّتِيْ تَلِيْهَا» .
“কোনো মুসলিম ব্যক্তি ভালোভাবে অযু করে সালাত আদায় করলে আল্লাহ তা‘আলা সে সালাত ও পরবর্তী সালাতের মধ্যকার সকল গুনাহ মাফ করে দিবেন”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২২৭।]
ঘ. উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে আরো বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি:
«مَا مِنِ امْرِئٍ مُسْلِمٍ تَحْضُرُهُ صَلاَةٌ مَكْتُوْبَةٌ، فَيُحْسِنُ وُضُوْءَ هَا وَخُشُوْعَهَا وَرُكُوْعَهَا إِلاَّ كَانَتْ كَفَّارَةً لِمَا قَبْلَهَا مِنَ الذُّنُوْبِ، مَا لَمْ يُؤْتِ كَبِيْرَةً، وَذَلِكَ الدَّهْرَ كُلَّهُ» .
“যখন কোনো মুসলিম ব্যক্তি যে কোনো ফরয সালাতের সময় ভালোভাবে অযু করে কায়মনোবাক্যে রুকু-সাজদাহ সঠিকভাবে আদায় করে সালাতটি সম্পন্ন করে তখন অত্র সালাতটি তার অতীত সকল গুনাহ’র কাফ্ফরা (ক্ষতিপূরণ) হয়ে যায়, যতক্ষণ সে কবীরা গুনাহ (বড় পাপ) না করে। আর এ নিয়মটি আজীবন কার্যকর হবে”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২২৮।]
ঙ. উক্ববা ইবন ‘আমির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«مَامِنْ مُسْلِمٍ يَتَوَضَّأُ فَيُحْسِنُ وُضُوْءَهُ، ثُمَّ يَقُوْمُ فَيُصَلِّيْ رَكْعَتَيْنِ، مُقْبِلٌ عَلَيْهِمَا بِقَلْبِهِ وَوَجْهِهِ إِلاَّ وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ» .
“যখন কোনো মুসলিম ভালোভাবে অযু করে কায়মনোবাক্যে দু’ রাকাত সালাত আদায় করে তখন তার জন্য জান্নাত অবধারিত হয়ে যায়”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৩৪।]
চ. আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِذَا تَوَضَّأَ الْعَبْدُ الْمُسْلِمُ أَوِالْمُؤْمِنُ فَغَسَلَ وَجْهَهُ خَرَجَ مِنْ وَجْهِهِ كُلُّ خَطِيْئَةٍ نَظَرَ إِلَيْهَا بِعَيْنَيْهِ مَعَ الْمَاءِ أَوْ مَعَ آخِرِقَطْرِ الْمَاءِ، فَإِذَا غَسَلَ يَدَيْهِ خَرَجَ مِنْ يَدَيْهِ كُلُّ خَطِيْئَةٍ كَانَ بَطَشَتْهَا يَدَاهُ مَعَ الْمَاءِ أَوْ مَعَ آخِرِ قَطْرِ الْمَاءِ، فَإِذَا غَسَلَ رِجْلَيْهِ خَرَجَتْ كُلُّ خَطِيْئَةٍ مَشَتْهَا رِجْلاَهُ مَعَ الْمَاءِ أَوْ مَعَ آخِرِ قَطْرِ الْمَاءِ حَتَّى يَخْرُجَ نَقِيًّا مِنَ الذُّنُوْبِ» .
“যখন কোনো মুসলিম বা মুমিন ব্যক্তি অযু করে তখন তার মুখমণ্ডল ধোয়ার সাথে সাথেই চোখ দ্বারা কৃত সকল গুনাহ পানি বা পানির শেষ ফোঁটার সাথে বের হয়ে যায়। আর যখন সে দু’হাত ধুয়ে ফেলে তখন উভয় হাত দ্বারা কৃত সকল গুনাহ পানি বা পানির শেষ ফোঁটার সাথে বের হয়ে যায়। আর যখন সে দু’পা ধুয়ে ফেলে তখন পা দ্বারা কৃত সকল গুনাহ পানি বা পানির শেষ ফোঁটার সাথে বের হয়ে যায়। অতএব, অযুশেষে সে ব্যক্তি সকল পাপপঙ্কিলতা থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্তি পেয়ে যায়”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৪৪, ৮৩২।]
ছ. উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«مَنْ تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ الْوُضُوْءَ خَرَجَتْ خَطَايَاهُ مِنْ جَسَدِهِ حَتَّى تَخْرُجَ مِنْ تَحْتِ أَظْفَارِهِ» .
“যে ব্যক্তি ভালোভাবে অযু করে তার সকল গুনাহ শরীর থেকে বের হয়ে যায় এমনকি তার নখের নীচ থেকেও”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৪৫।]
জ. ‘আমর ইবন আবাসা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«مَا مِنْكُمْ رَجُلٌ يُقَرِّبُ وَضُوْءَهُ فَيَتَمَضْمَضُ وَيَسْتَنْشِقُ فَيَنْتَثِرُ إِلاَّ خَرَّتْ خَطَايَا وَجْهِهِ وَفِيْهِ وَخَيَاشِيْمِهِ، ثُمَّ إِذَا غَسَلَ وَجْهَهَ كَمَا أَمَرَهُ اللهُ إِلاَّ خَرَّتْ خَطَايَا وَجْهِهِ مِنْ أَطْرَافِ لِحْيَتِهِ مَعَ الـْمَاءِ، ثُمَّ يَغْسِلُ يَدَيْهِ إِلَى الـْمِرْفَقَيْنِ إِلاَّ خَرَّتْ خَطَايَا يَدَيْهِ مِنْ أَنَامِلِهِ مَعَ الْـمَاءِ، ثُمَّ يَمْسَحُ رَأْسَهُ إِلاَّ خَرَّتْ خَطَايَا رَأْسِهِ مِنْ أَطْرَافِ شَعْرِهِ مَعَ الـْمَـاءِ، ثُمَّ يَغْسِلُ قَدَمَيْهِ إِلَى الْكَعْبَيْنِ إِلاَّ خَرَّتْ خَطَايَا رِجْلَيْهِ مِنْ أَنَامِلِهِ مَعَ الـْمَاءِ، فَإِنْ هُوَ قَامَ فَصَلَّى، فَحَمِدَ اللهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ وَمَجَّدَهُ بِالَّذِيْ هُوَ لَهُ أَهْلٌ، وَفَرَّغَ قَلْبَهُ للهِ، إِلاَّ انْصَرَفَ مِنْ خَطِيْئَتِهِ كَهَيْئَةِ يَوْمَ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ» .
“যখন তোমাদের কেউ অযুর পানি হাতে নিয়ে কুলি করে, নাকে পানি দেয় ও নাক ঝেড়ে নেয় তখন তার মুখমণ্ডল, মুখগহ্বর ও নাসিকাছিদ্র থেকে সকল গুনাহ ঝরে পড়ে। আর যখন সে নিয়মানুযায়ী মুখমণ্ডল ধৌত করে তখন তার মুখমণ্ডলের সকল গুনাহ দাড়ির অগ্রভাগ দিয়ে পানির সাথে ঝরে পড়ে। আর যখন সে কুনুই পর্যন্ত উভয় হাত ধৌত করে তখন তার উভয় হাতের গুনাহগুলো আঙ্গুলাগ্র দিয়ে পানির সাথে ঝরে পড়ে। আর যখন সে মাথা মাসাহ করে তখন তার মাথার গুনাহ্গুলো কেশাগ্র দিয়ে পানির সাথে ঝরে পড়ে। অনন্তর যখন সে পদযুগল উপরের গ্রন্থিসহ ধৌত করে তখন তার উভয় পায়ের গুনাহগুলো আঙ্গুলাগ্র দিয়ে পানির সাথে ঝরে পড়ে। এরপর সে যখন সালাত পড়ে আল্লাহর প্রশংসা, গুণাগুণ ও কায়মনোবাক্যে আল্লাহ তা‘আলার সম্মুখে দাঁড়িয়ে যথোপযুক্ত সম্মান প্রদর্শন করে তখন সে সম্পূর্ণরূপে পাপমুক্ত হয়ে যায় যেমনিভাবে সে পাপমুক্ত ছিল জন্মলগ্নে”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৮৩২।]
ঝ. আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«أَلاَ أَدُلُّكُمْ عَلَى مَا يَمْحُوْ اللهُ بِهِ الْـخَطَايَا وَيَرْفَعُ بِهِ الدَّرَجَاتِ؟ قَالُوْا : بَلَى، يَا رَسُوْلَ اللهِ ! قَالَ : إِسْبَاغُ الْوُضُوْءِ عَلَى الْمَكَارِهِ وَكَثْرَةُ الْـخُطَا إِلَى الْـمَسَاجِدِ، وَانْتِظَارُ الصَّلاَةِ بَعْدَ الصَّلاَةِ، فَذَلِكُمُ الرِّبَاطُ، فَذَلِكُمُ الرِّبَاطُ» .
“আমি তোমাদেরকে এমন কিছু ‘আমলের সংবাদ দেবো কি? যা সম্পাদন করলে আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন ও মর্যাদা বাড়িয়ে দিবেন। সাহাবীগণ বললেন: হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসুল! উত্তরে তিনি বললেন: কষ্টের সময় অযুর অঙ্গগুলো ভালোভাবে ধৌত করবে, মসজিদের প্রতি অধিক পদক্ষেপ দেবে এবং এক সালাত শেষে অন্য সালাতের জন্য অপেক্ষায় থাকবে। পরিশেষে তিনি বলেন, এগুলো (সাওয়াবে) সীমান্ত প্রহরার ন্যায়। এগুলো (সাওয়াবে) সীমান্ত প্রহরার ন্যায়”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৫১ তিরমিযী, হাদীস নং ৫১ ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৪৩৩।]
ক. আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি:
«إِنَّ أُمَّتِيْ يَأْتُوْنَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ غُرًّا مُّحَجَّلِيْنَ مِنْ أَثَرِ الْوُضُوْءِ، فَمَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ أَنْ يُطِيْلَ غُرَّتَهُ فَلْيَفْعَلْ» .
“কিয়ামতের দিবসে আমার উম্মতের অযুর স্থানগুলো দীপ্তিমান ও শুভ্রোজ্জ্বল হয়ে দেখা দিবে। তাই তোমাদের কেউ নিজ ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে সক্ষম হলে সে যেন তা করে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৩৬; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৪৬।]
খ. উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি উপস্থিত সকলকে ভালোরূপে অযু দেখিয়ে বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এমনিভাবে অযু করতে দেখেছি। তিনি আরো বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
«مَنْ تَوَضَّأَ نَحْوَ وُضُوْئِيْ هَذَا ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ لاَ يُحْدِثُ فِيْهِمَا نَفْسَهُ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ» .
“যে ব্যক্তি আমার অযুর ন্যায় অযু করে কায়মনোবাক্যে দু’ রাকাত সালাত আদায় করবে আল্লাহ তা‘আলা তার সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৫৯, ১৬৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২২৬।]
গ. উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«لاَ يَتَوَضَّأُ رَجُلٌ مُسْلِمٌ فَيُحْسِنُ الْوُضُوْءَ، فَيُصَلِّيْ صَلاَةً إِلاَّ غَفَرَاللهُ لَهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الصَّلاَةِ الَّتِيْ تَلِيْهَا» .
“কোনো মুসলিম ব্যক্তি ভালোভাবে অযু করে সালাত আদায় করলে আল্লাহ তা‘আলা সে সালাত ও পরবর্তী সালাতের মধ্যকার সকল গুনাহ মাফ করে দিবেন”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২২৭।]
ঘ. উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে আরো বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি:
«مَا مِنِ امْرِئٍ مُسْلِمٍ تَحْضُرُهُ صَلاَةٌ مَكْتُوْبَةٌ، فَيُحْسِنُ وُضُوْءَ هَا وَخُشُوْعَهَا وَرُكُوْعَهَا إِلاَّ كَانَتْ كَفَّارَةً لِمَا قَبْلَهَا مِنَ الذُّنُوْبِ، مَا لَمْ يُؤْتِ كَبِيْرَةً، وَذَلِكَ الدَّهْرَ كُلَّهُ» .
“যখন কোনো মুসলিম ব্যক্তি যে কোনো ফরয সালাতের সময় ভালোভাবে অযু করে কায়মনোবাক্যে রুকু-সাজদাহ সঠিকভাবে আদায় করে সালাতটি সম্পন্ন করে তখন অত্র সালাতটি তার অতীত সকল গুনাহ’র কাফ্ফরা (ক্ষতিপূরণ) হয়ে যায়, যতক্ষণ সে কবীরা গুনাহ (বড় পাপ) না করে। আর এ নিয়মটি আজীবন কার্যকর হবে”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২২৮।]
ঙ. উক্ববা ইবন ‘আমির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«مَامِنْ مُسْلِمٍ يَتَوَضَّأُ فَيُحْسِنُ وُضُوْءَهُ، ثُمَّ يَقُوْمُ فَيُصَلِّيْ رَكْعَتَيْنِ، مُقْبِلٌ عَلَيْهِمَا بِقَلْبِهِ وَوَجْهِهِ إِلاَّ وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ» .
“যখন কোনো মুসলিম ভালোভাবে অযু করে কায়মনোবাক্যে দু’ রাকাত সালাত আদায় করে তখন তার জন্য জান্নাত অবধারিত হয়ে যায়”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৩৪।]
চ. আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِذَا تَوَضَّأَ الْعَبْدُ الْمُسْلِمُ أَوِالْمُؤْمِنُ فَغَسَلَ وَجْهَهُ خَرَجَ مِنْ وَجْهِهِ كُلُّ خَطِيْئَةٍ نَظَرَ إِلَيْهَا بِعَيْنَيْهِ مَعَ الْمَاءِ أَوْ مَعَ آخِرِقَطْرِ الْمَاءِ، فَإِذَا غَسَلَ يَدَيْهِ خَرَجَ مِنْ يَدَيْهِ كُلُّ خَطِيْئَةٍ كَانَ بَطَشَتْهَا يَدَاهُ مَعَ الْمَاءِ أَوْ مَعَ آخِرِ قَطْرِ الْمَاءِ، فَإِذَا غَسَلَ رِجْلَيْهِ خَرَجَتْ كُلُّ خَطِيْئَةٍ مَشَتْهَا رِجْلاَهُ مَعَ الْمَاءِ أَوْ مَعَ آخِرِ قَطْرِ الْمَاءِ حَتَّى يَخْرُجَ نَقِيًّا مِنَ الذُّنُوْبِ» .
“যখন কোনো মুসলিম বা মুমিন ব্যক্তি অযু করে তখন তার মুখমণ্ডল ধোয়ার সাথে সাথেই চোখ দ্বারা কৃত সকল গুনাহ পানি বা পানির শেষ ফোঁটার সাথে বের হয়ে যায়। আর যখন সে দু’হাত ধুয়ে ফেলে তখন উভয় হাত দ্বারা কৃত সকল গুনাহ পানি বা পানির শেষ ফোঁটার সাথে বের হয়ে যায়। আর যখন সে দু’পা ধুয়ে ফেলে তখন পা দ্বারা কৃত সকল গুনাহ পানি বা পানির শেষ ফোঁটার সাথে বের হয়ে যায়। অতএব, অযুশেষে সে ব্যক্তি সকল পাপপঙ্কিলতা থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্তি পেয়ে যায়”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৪৪, ৮৩২।]
ছ. উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«مَنْ تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ الْوُضُوْءَ خَرَجَتْ خَطَايَاهُ مِنْ جَسَدِهِ حَتَّى تَخْرُجَ مِنْ تَحْتِ أَظْفَارِهِ» .
“যে ব্যক্তি ভালোভাবে অযু করে তার সকল গুনাহ শরীর থেকে বের হয়ে যায় এমনকি তার নখের নীচ থেকেও”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৪৫।]
জ. ‘আমর ইবন আবাসা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«مَا مِنْكُمْ رَجُلٌ يُقَرِّبُ وَضُوْءَهُ فَيَتَمَضْمَضُ وَيَسْتَنْشِقُ فَيَنْتَثِرُ إِلاَّ خَرَّتْ خَطَايَا وَجْهِهِ وَفِيْهِ وَخَيَاشِيْمِهِ، ثُمَّ إِذَا غَسَلَ وَجْهَهَ كَمَا أَمَرَهُ اللهُ إِلاَّ خَرَّتْ خَطَايَا وَجْهِهِ مِنْ أَطْرَافِ لِحْيَتِهِ مَعَ الـْمَاءِ، ثُمَّ يَغْسِلُ يَدَيْهِ إِلَى الـْمِرْفَقَيْنِ إِلاَّ خَرَّتْ خَطَايَا يَدَيْهِ مِنْ أَنَامِلِهِ مَعَ الْـمَاءِ، ثُمَّ يَمْسَحُ رَأْسَهُ إِلاَّ خَرَّتْ خَطَايَا رَأْسِهِ مِنْ أَطْرَافِ شَعْرِهِ مَعَ الـْمَـاءِ، ثُمَّ يَغْسِلُ قَدَمَيْهِ إِلَى الْكَعْبَيْنِ إِلاَّ خَرَّتْ خَطَايَا رِجْلَيْهِ مِنْ أَنَامِلِهِ مَعَ الـْمَاءِ، فَإِنْ هُوَ قَامَ فَصَلَّى، فَحَمِدَ اللهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ وَمَجَّدَهُ بِالَّذِيْ هُوَ لَهُ أَهْلٌ، وَفَرَّغَ قَلْبَهُ للهِ، إِلاَّ انْصَرَفَ مِنْ خَطِيْئَتِهِ كَهَيْئَةِ يَوْمَ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ» .
“যখন তোমাদের কেউ অযুর পানি হাতে নিয়ে কুলি করে, নাকে পানি দেয় ও নাক ঝেড়ে নেয় তখন তার মুখমণ্ডল, মুখগহ্বর ও নাসিকাছিদ্র থেকে সকল গুনাহ ঝরে পড়ে। আর যখন সে নিয়মানুযায়ী মুখমণ্ডল ধৌত করে তখন তার মুখমণ্ডলের সকল গুনাহ দাড়ির অগ্রভাগ দিয়ে পানির সাথে ঝরে পড়ে। আর যখন সে কুনুই পর্যন্ত উভয় হাত ধৌত করে তখন তার উভয় হাতের গুনাহগুলো আঙ্গুলাগ্র দিয়ে পানির সাথে ঝরে পড়ে। আর যখন সে মাথা মাসাহ করে তখন তার মাথার গুনাহ্গুলো কেশাগ্র দিয়ে পানির সাথে ঝরে পড়ে। অনন্তর যখন সে পদযুগল উপরের গ্রন্থিসহ ধৌত করে তখন তার উভয় পায়ের গুনাহগুলো আঙ্গুলাগ্র দিয়ে পানির সাথে ঝরে পড়ে। এরপর সে যখন সালাত পড়ে আল্লাহর প্রশংসা, গুণাগুণ ও কায়মনোবাক্যে আল্লাহ তা‘আলার সম্মুখে দাঁড়িয়ে যথোপযুক্ত সম্মান প্রদর্শন করে তখন সে সম্পূর্ণরূপে পাপমুক্ত হয়ে যায় যেমনিভাবে সে পাপমুক্ত ছিল জন্মলগ্নে”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৮৩২।]
ঝ. আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«أَلاَ أَدُلُّكُمْ عَلَى مَا يَمْحُوْ اللهُ بِهِ الْـخَطَايَا وَيَرْفَعُ بِهِ الدَّرَجَاتِ؟ قَالُوْا : بَلَى، يَا رَسُوْلَ اللهِ ! قَالَ : إِسْبَاغُ الْوُضُوْءِ عَلَى الْمَكَارِهِ وَكَثْرَةُ الْـخُطَا إِلَى الْـمَسَاجِدِ، وَانْتِظَارُ الصَّلاَةِ بَعْدَ الصَّلاَةِ، فَذَلِكُمُ الرِّبَاطُ، فَذَلِكُمُ الرِّبَاطُ» .
“আমি তোমাদেরকে এমন কিছু ‘আমলের সংবাদ দেবো কি? যা সম্পাদন করলে আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন ও মর্যাদা বাড়িয়ে দিবেন। সাহাবীগণ বললেন: হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসুল! উত্তরে তিনি বললেন: কষ্টের সময় অযুর অঙ্গগুলো ভালোভাবে ধৌত করবে, মসজিদের প্রতি অধিক পদক্ষেপ দেবে এবং এক সালাত শেষে অন্য সালাতের জন্য অপেক্ষায় থাকবে। পরিশেষে তিনি বলেন, এগুলো (সাওয়াবে) সীমান্ত প্রহরার ন্যায়। এগুলো (সাওয়াবে) সীমান্ত প্রহরার ন্যায়”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৫১ তিরমিযী, হাদীস নং ৫১ ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৪৩৩।]
নিয়্যাত বলতে কোনো কর্ম সম্পাদনের দৃঢ় মনোপ্রতিজ্ঞাকে বুঝানো হয়। তা মুখে উচ্চারণ করার কিছু নয়। যে কোনো পুণ্যময় কর্ম সম্পাদনের পূর্বে নিয়্যাত আবশ্যক। নিয়্যাত ব্যতীত কোনো পুণ্যময় কর্ম আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য হয় না এবং নিয়্যাতের উপরই প্রতিটি কর্মের ফলাফল নির্ভরশীল। ভালোয় ভালো মন্দে মন্দ।
উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি:
«إِنَّمَا الأَعْمَالُ بِالنيِّاَّتِ، وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى، فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ إِلَى دُنْيَا يُصِيْبُهَا أَوْ إِلَى اِمْرَأَةٍ يَنْكِحُهَا، فَهِجْرَتُهُ إِلَى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ» .
“প্রতিটি কর্ম নিয়্যাতের ওপর নির্ভরশীল। যেমন নিয়্যাত তেমনই ফল। যেমন, কেউ যদি দুনিয়ার্জন বা কোনো রমণীকে বিবাহ করার উদ্দেশ্যে হিজরত (নিজ আবাসভূমি ত্যাগ) করে সে তাই পাবে যে জন্য সে হিজরত করেছে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৯০৭।]
উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি:
«إِنَّمَا الأَعْمَالُ بِالنيِّاَّتِ، وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى، فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ إِلَى دُنْيَا يُصِيْبُهَا أَوْ إِلَى اِمْرَأَةٍ يَنْكِحُهَا، فَهِجْرَتُهُ إِلَى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ» .
“প্রতিটি কর্ম নিয়্যাতের ওপর নির্ভরশীল। যেমন নিয়্যাত তেমনই ফল। যেমন, কেউ যদি দুনিয়ার্জন বা কোনো রমণীকে বিবাহ করার উদ্দেশ্যে হিজরত (নিজ আবাসভূমি ত্যাগ) করে সে তাই পাবে যে জন্য সে হিজরত করেছে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৯০৭।]
আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«لاَ وَضُوْءَ لِمَنْ لَمْ يَذْكُرِ اسْمَ اللهِ عَلَيْهِ»
“আল্লাহর নাম উচ্চারণ তথা বিসমিল্লাহ পড়া ব্যতিরেকে অযু করা হলে তা আল্লাহ তা‘আলার নিকট গ্রহণযোগ্য হবে না”। [তিরমিযী, হাদীস নং ২৫; আবু দাউদ, হাদীস নং ১০১; নাসাঈ, হাদীস নং ৭৮; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৪০৩, ৪০৪, ৪০৫, ৪০৬।]
«لاَ وَضُوْءَ لِمَنْ لَمْ يَذْكُرِ اسْمَ اللهِ عَلَيْهِ»
“আল্লাহর নাম উচ্চারণ তথা বিসমিল্লাহ পড়া ব্যতিরেকে অযু করা হলে তা আল্লাহ তা‘আলার নিকট গ্রহণযোগ্য হবে না”। [তিরমিযী, হাদীস নং ২৫; আবু দাউদ, হাদীস নং ১০১; নাসাঈ, হাদীস নং ৭৮; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৪০৩, ৪০৪, ৪০৫, ৪০৬।]
‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم يُعْجِبُهُ التَّيَمُّنُ فِيْ تَنَعُّلِهِ وَتَرَجُّلِهِ وَطُهُوْرِهِ وَفِيْ شَأْنِهِ كُلِّهِ» .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্ব কাজই ডান দিক থেকে শুরু করা পছন্দ করতেন। এমনকি জুতা পরা, মাথা আঁচড়ানো, পবিত্রতা অর্জন তথা সর্ব ব্যাপারই”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৬৮ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৬৮।]
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِذَا تَوَضَّأْتُمْ فَابْدَؤُوا بِمَيَامِنِكُمْ»
“যখন তোমরা অযু করবে তখন তা ডান দিক থেকে শুরু করবে”। [ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৪০৮।]
«كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم يُعْجِبُهُ التَّيَمُّنُ فِيْ تَنَعُّلِهِ وَتَرَجُّلِهِ وَطُهُوْرِهِ وَفِيْ شَأْنِهِ كُلِّهِ» .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্ব কাজই ডান দিক থেকে শুরু করা পছন্দ করতেন। এমনকি জুতা পরা, মাথা আঁচড়ানো, পবিত্রতা অর্জন তথা সর্ব ব্যাপারই”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৬৮ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৬৮।]
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِذَا تَوَضَّأْتُمْ فَابْدَؤُوا بِمَيَامِنِكُمْ»
“যখন তোমরা অযু করবে তখন তা ডান দিক থেকে শুরু করবে”। [ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৪০৮।]
হুমরান থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«أَفْرَغَ عُثْمَانُ صلى الله عليه وسلم عَلَى كَفَّيْهِ ثَلاَثَ مِرَارٍ فَغَسَلَهُمَا» .
“উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অযু দেখাতে গিয়ে) হাতে পানি ঢেলে উভয় হাত কব্জি পর্যন্ত তিনবার ধুয়েছেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৫৯, ১৬৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২২৬।]
«أَفْرَغَ عُثْمَانُ صلى الله عليه وسلم عَلَى كَفَّيْهِ ثَلاَثَ مِرَارٍ فَغَسَلَهُمَا» .
“উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অযু দেখাতে গিয়ে) হাতে পানি ঢেলে উভয় হাত কব্জি পর্যন্ত তিনবার ধুয়েছেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৫৯, ১৬৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২২৬।]
৯৮
৫. হাত ও পদযুগল ধোয়ার সময় আঙ্গুলগুলোর মধ্যবর্তী ফাঁকা জায়গাগুলো কনিষ্ঠাঙ্গুলি দিয়ে খিলাল করে নিতেন।লাক্বীত ইবন সাবিরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«وَخَلِّلْ بَيْنَ الأَصَابِعِ»
“আঙ্গুলগুলোর মধ্যবর্তী ফাঁকা জায়গাগুলো মলে নাও”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ১৪২; তিরমিযী, হাদীস নং ৩৮; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৪৫৪।]
মুস্তাওরিদ ইবন শাদ্দাদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«رَأَيْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم تَوَضَّأَ فَخَلَّلَ أَصَابِعَ رِجْلَيْهِ بِخِنْصَرِهِ» .
“আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অযু করার সময় কনিষ্ঠাঙ্গুলি দিয়ে দু’পায়ের আঙ্গুলগুলো খিলাল করতে দেখেছি”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ১৪৮; তিরমিযী, হাদীস নং ৪০; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৪৫২।]
«وَخَلِّلْ بَيْنَ الأَصَابِعِ»
“আঙ্গুলগুলোর মধ্যবর্তী ফাঁকা জায়গাগুলো মলে নাও”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ১৪২; তিরমিযী, হাদীস নং ৩৮; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৪৫৪।]
মুস্তাওরিদ ইবন শাদ্দাদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«رَأَيْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم تَوَضَّأَ فَخَلَّلَ أَصَابِعَ رِجْلَيْهِ بِخِنْصَرِهِ» .
“আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অযু করার সময় কনিষ্ঠাঙ্গুলি দিয়ে দু’পায়ের আঙ্গুলগুলো খিলাল করতে দেখেছি”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ১৪৮; তিরমিযী, হাদীস নং ৪০; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৪৫২।]
৯৯
৬. এক বা তিন চিল্লু (করতলভর্তি পরিমাণ) পানি ডান হাতে নিয়ে তিন তিন বার একই সাথে কুল্লি করতেন ও নাকে পানি দিতেন এবং বাম হাত দিয়ে নাকের ছিদ্রদ্বয় ভালোভাবে ঝেড়ে নিতেন।‘আমর ইবন আবু হাসান থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«مَضْمَضَ عَبْدُ اللهِ بْنُ زَيْدٍ رضي الله عنه وَاسْتَنْثَرَ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ مِنْ غَرْفَةٍ وَاحِدَةٍ، وَفِيْ رِوَايَةٍ : مَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ مِنْ كَفَّةٍ وَاحِدَةٍ، فَفَعَلَ ذَلِكَ ثَلاَثًا، وَفِيْ رِوَايَةٍ : مَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ وَاسْتَنْثَرَ ثَلاَثَ غَرَفَاتٍ» .
“আব্দুল্লাহ ইবন যায়েদ রাদিয়াল্লাহু আনহু (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অযু দেখাতে গিয়ে) এক বা তিন করতলভর্তি পানি দিয়ে একই সাথে তিনবার কুল্লি ও নাক পরিষ্কার করেছেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৮৬, ১৯১, ১৯৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৩৫।]
‘আবদে খায়ের থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«مَضْمَضَ عَلِيٌّ رضي الله عنه وَنَثَرَ مِنَ الْكَفِّ الَّذِيْ يَأْخُذُ فِيْهِ، وَفِيْ رِوَايَةٍ : ثُمَّ تَمَضْمَضَ مَعَ الاِسْتِنْشَاقِ بِمَاءٍ وَاحِدٍ» .
“আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অযু দেখাতে গিয়ে) একই করতলভর্তি পানি দিয়ে একইসাথে কুল্লি করেছেন ও নাক ঝেড়ে নিয়েছেন”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ১১১, ১১৩।]
‘আবদে খায়ের থেকে আরো বর্ণিত, তিনি বলেন,
«دَعَا عَلِيٌّ رضي الله عنه بِوَضُوْءٍ فَتَمَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ وَنَثَرَ بِيَدِهِ الْيُسْرَى، فَفَعَلَ هَذَا ثَلاَثًا، ثُمَّ قَالَ : هَذَا طُهُوْرُ نَبِيِّ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم»
“আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু পানি চাইলে তা আনা হয়। অতঃপর তিনি তা দিয়ে কুল্লি করেন ও নাকে পানি দেন এবং বাম হাত দিয়ে নাক পরিষ্কার করেন। এ কাজগুলো তিনি তিন তিন বার করেন। অতঃপর তিনি বলেন, এ হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্রতা”। [নাসাঈ, হাদীস নং ৯১।]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভালোরূপে অযু করতেন ও নাকে পানি দিতেন। তবে সাওম পালনকারী হলে তিনি শুধু প্রয়োজন মাফিক কুল্লি করতেন ও নাকে পানি দিতেন- এর চেয়ে বেশি নয়।
লাক্বীত ইবন সাবিরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«أَسْبِغِ الْوُضُوْءَ، وَخَلِّلْ بَيْنَ الأَصَابِعِ، وَبَالِغْ فِي الاِسْتِنْشَاقِ إِلاَّ أَنْ تَكُوْنَ صَائِمًا» .
“ভালোভাবে অযু কর। আঙ্গুলগুলোর মধ্যবর্তী ফাঁকা জায়গাগুলো মলে নাও এবং ভালোভাবে নাকে পানি দাও। তবে সাওম পালনকারী হলে তখন তা করতে যাবে না”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ১৪২।]
«مَضْمَضَ عَبْدُ اللهِ بْنُ زَيْدٍ رضي الله عنه وَاسْتَنْثَرَ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ مِنْ غَرْفَةٍ وَاحِدَةٍ، وَفِيْ رِوَايَةٍ : مَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ مِنْ كَفَّةٍ وَاحِدَةٍ، فَفَعَلَ ذَلِكَ ثَلاَثًا، وَفِيْ رِوَايَةٍ : مَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ وَاسْتَنْثَرَ ثَلاَثَ غَرَفَاتٍ» .
“আব্দুল্লাহ ইবন যায়েদ রাদিয়াল্লাহু আনহু (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অযু দেখাতে গিয়ে) এক বা তিন করতলভর্তি পানি দিয়ে একই সাথে তিনবার কুল্লি ও নাক পরিষ্কার করেছেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৮৬, ১৯১, ১৯৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৩৫।]
‘আবদে খায়ের থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«مَضْمَضَ عَلِيٌّ رضي الله عنه وَنَثَرَ مِنَ الْكَفِّ الَّذِيْ يَأْخُذُ فِيْهِ، وَفِيْ رِوَايَةٍ : ثُمَّ تَمَضْمَضَ مَعَ الاِسْتِنْشَاقِ بِمَاءٍ وَاحِدٍ» .
“আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অযু দেখাতে গিয়ে) একই করতলভর্তি পানি দিয়ে একইসাথে কুল্লি করেছেন ও নাক ঝেড়ে নিয়েছেন”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ১১১, ১১৩।]
‘আবদে খায়ের থেকে আরো বর্ণিত, তিনি বলেন,
«دَعَا عَلِيٌّ رضي الله عنه بِوَضُوْءٍ فَتَمَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ وَنَثَرَ بِيَدِهِ الْيُسْرَى، فَفَعَلَ هَذَا ثَلاَثًا، ثُمَّ قَالَ : هَذَا طُهُوْرُ نَبِيِّ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم»
“আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু পানি চাইলে তা আনা হয়। অতঃপর তিনি তা দিয়ে কুল্লি করেন ও নাকে পানি দেন এবং বাম হাত দিয়ে নাক পরিষ্কার করেন। এ কাজগুলো তিনি তিন তিন বার করেন। অতঃপর তিনি বলেন, এ হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্রতা”। [নাসাঈ, হাদীস নং ৯১।]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভালোরূপে অযু করতেন ও নাকে পানি দিতেন। তবে সাওম পালনকারী হলে তিনি শুধু প্রয়োজন মাফিক কুল্লি করতেন ও নাকে পানি দিতেন- এর চেয়ে বেশি নয়।
লাক্বীত ইবন সাবিরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«أَسْبِغِ الْوُضُوْءَ، وَخَلِّلْ بَيْنَ الأَصَابِعِ، وَبَالِغْ فِي الاِسْتِنْشَاقِ إِلاَّ أَنْ تَكُوْنَ صَائِمًا» .
“ভালোভাবে অযু কর। আঙ্গুলগুলোর মধ্যবর্তী ফাঁকা জায়গাগুলো মলে নাও এবং ভালোভাবে নাকে পানি দাও। তবে সাওম পালনকারী হলে তখন তা করতে যাবে না”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ১৪২।]
১০০
৭. তিনবার সমস্ত মুখমণ্ডল (কান থেকে কান এবং মাথার সম্মুখবর্তী চুলের গোড়া থেকে চিবুক ও দাড়ির নীচ পর্যন্ত) ধুয়ে নিতেন‘আমর ইবন আবু হাসান থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«غَسَلَ عَبْدُ اللهِ بْنُ زَيْدٍ رضي الله عنه وَجْهَهُ ثَلاَثًا» .
“আব্দুল্লাহ ইবন যায়েদ রাদিয়াল্লাহু আনহু (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অযু দেখাতে গিয়ে) সমস্ত মুখমণ্ডল তিনবার ধুয়েছেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৮৫, ১৮৬, ১৯২; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৩৫।]
«غَسَلَ عَبْدُ اللهِ بْنُ زَيْدٍ رضي الله عنه وَجْهَهُ ثَلاَثًا» .
“আব্দুল্লাহ ইবন যায়েদ রাদিয়াল্লাহু আনহু (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অযু দেখাতে গিয়ে) সমস্ত মুখমণ্ডল তিনবার ধুয়েছেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৮৫, ১৮৬, ১৯২; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৩৫।]
উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«كَانَ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم يُخَلِّلُ لِحْيَتَهُ» .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাড়ি খেলাল করতেন”। [তিরমিযী, হাদীস নং ৩১ ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৪৩৬।]
আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم إِذَا تَوَضَّأَ أَخَذَ كَفًّا مِنْ مَاءٍ، فَأَدْخَلَهُ تَحْتَ حَنَكِهِ، فَخَلَّلَ بِهِ لِحْيَتَهُ وَقَالَ : هَكَذَا أَمَرَنِيْ رَبِّيْ عَزَّوَجَلَّ» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন অযু করতেন তখন এক চিল্লু পানি নিয়ে থুতনির নিচে প্রবাহিত করে দাড়ি খেলাল করতেন এবং বলতেন: আমার রব আমাকে এমনই করতে আদেশ করেছেন”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ১৪৫।]
«كَانَ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم يُخَلِّلُ لِحْيَتَهُ» .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাড়ি খেলাল করতেন”। [তিরমিযী, হাদীস নং ৩১ ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৪৩৬।]
আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم إِذَا تَوَضَّأَ أَخَذَ كَفًّا مِنْ مَاءٍ، فَأَدْخَلَهُ تَحْتَ حَنَكِهِ، فَخَلَّلَ بِهِ لِحْيَتَهُ وَقَالَ : هَكَذَا أَمَرَنِيْ رَبِّيْ عَزَّوَجَلَّ» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন অযু করতেন তখন এক চিল্লু পানি নিয়ে থুতনির নিচে প্রবাহিত করে দাড়ি খেলাল করতেন এবং বলতেন: আমার রব আমাকে এমনই করতে আদেশ করেছেন”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ১৪৫।]
হুমরান থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«غَسَلَ عُثْمَانُ رضي الله عنه يَدَيْهِ إِلَى الْـمِرْفَقَيْنِ ثَلاَثًا» .
“উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অযু দেখাতে গিয়ে) নিজ হস্তযুগল কনুইসহ তিনবার ধুয়েছেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৬৪ , ১৯৩৪ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২২৬।]
নু‘আইম ইবন আব্দুল্লাহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«غَسَلَ أَبُوْ هُرَيْرَةَ رضي الله عنه يَدَهُ الْيُمْنَى حَتَّى أَشْرَعَ فِي الْعَضُدِ، ثُمَّ يَدَهُ الْيُسْرى حَتَّى أَشْرَعَ فِي الْعَضُدِ» .
“আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অযু দেখাতে গিয়ে) ডান হাত ধুয়েছেন এমনকি তিনি বাহু ধোয়া শুরু করেছেন। তেমনিভাবে তিনি বাম হাত ধুয়েছেন এমনকি তিনি বাহু ধোয়া শুরু করেছেন”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৪৬।]
«غَسَلَ عُثْمَانُ رضي الله عنه يَدَيْهِ إِلَى الْـمِرْفَقَيْنِ ثَلاَثًا» .
“উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অযু দেখাতে গিয়ে) নিজ হস্তযুগল কনুইসহ তিনবার ধুয়েছেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৬৪ , ১৯৩৪ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২২৬।]
নু‘আইম ইবন আব্দুল্লাহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«غَسَلَ أَبُوْ هُرَيْرَةَ رضي الله عنه يَدَهُ الْيُمْنَى حَتَّى أَشْرَعَ فِي الْعَضُدِ، ثُمَّ يَدَهُ الْيُسْرى حَتَّى أَشْرَعَ فِي الْعَضُدِ» .
“আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অযু দেখাতে গিয়ে) ডান হাত ধুয়েছেন এমনকি তিনি বাহু ধোয়া শুরু করেছেন। তেমনিভাবে তিনি বাম হাত ধুয়েছেন এমনকি তিনি বাহু ধোয়া শুরু করেছেন”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৪৬।]
মাসাহের নিয়ম হচ্ছে উভয় হাত পানিতে ভিজিয়ে মাথার অগ্রভাগে স্থাপন করে তা ঘাড়ের দিকে টেনে নিবে। তেমনিভাবে পুনরায় উভয় হাত ঘাড় থেকে মাথার অগ্রভাগের দিকে টেনে আনবে। অতঃপর উভয় হাতের তর্জনী কর্ণযুগলে প্রবেশ করাবে এবং উভয় কর্ণের পৃষ্ঠদেশে বৃদ্ধাঙ্গুলি বুলিয়ে দিবে। ‘আমর ইবন আবু হাসান থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«مَسَحَ عَبْدُ اللهِ بْنُ زَيْدٍ رضي الله عنه رَأْسَهُ بِيَدَيْهِ، فَأَقْبَلَ بِهِمَا وَأَدْبَرَ، وَفِيْ رِوَايَةٍ : مَرَّةً وَاحِدَةً، بَدَأَ بِمُقَدَّمِ رَأْسِهِ حَتَّى ذَهَبَ بِهِمَا إِلَى قَفَاهُ ثُمَّ رَدَّهُمَا إِلَى الْـمَكَانِ الَّذِيْ بَدَأَ مِنْهُ» .
“আব্দুল্লাহ ইবন যায়েদ রাদিয়াল্লাহু আনহু উভয় হাত আগে পিছে টেনে একবার মাথা মাসাহ করেছেন। মাথার অগ্রভাগ থেকে শুরু করে উভয় হাত ঘাড়ের দিকে টেনে নিয়েছেন। পুনরায় উভয় হাত ঘাড় থেকে মাথার অগ্রভাগের দিকে টেনে এনেছেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৮৫, ১৮৬; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৩৫; আবু দাউদ, হাদীস নং ১১৮; তিরমিযী, হাদীস নং ৩২, ৩৪; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৪৪০, ৪৪১, ৪৪২, ৪৪৩।]
মিকদাম রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«مَسَحَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم بِرَأْسِهِ وَأُذُنَيْهِ ظَاهِرِهِمَا وَبَاطِنِهِمَا، وَفِيْ رِوَايَةٍ : وَأَدْخَلَ أَصَابِعَهُ فِيْ صِمَاخِ أُذُنَيْهِ» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাথা ও কর্ণদ্বয়ের ভেতর ও উপরিভাগ মাসাহ করেছেন। অন্য বর্ণনায় রয়েছেঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ অঙ্গুলীটি কর্ণগহবরে প্রবেশ করিয়েছেন”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ১২১, ১২২, ১২৩ তিরমিযী, হাদীস নং ৩৬ ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৪৪৫, ৪৪৬, ৪৪৭, ৪৪৮।]
«مَسَحَ عَبْدُ اللهِ بْنُ زَيْدٍ رضي الله عنه رَأْسَهُ بِيَدَيْهِ، فَأَقْبَلَ بِهِمَا وَأَدْبَرَ، وَفِيْ رِوَايَةٍ : مَرَّةً وَاحِدَةً، بَدَأَ بِمُقَدَّمِ رَأْسِهِ حَتَّى ذَهَبَ بِهِمَا إِلَى قَفَاهُ ثُمَّ رَدَّهُمَا إِلَى الْـمَكَانِ الَّذِيْ بَدَأَ مِنْهُ» .
“আব্দুল্লাহ ইবন যায়েদ রাদিয়াল্লাহু আনহু উভয় হাত আগে পিছে টেনে একবার মাথা মাসাহ করেছেন। মাথার অগ্রভাগ থেকে শুরু করে উভয় হাত ঘাড়ের দিকে টেনে নিয়েছেন। পুনরায় উভয় হাত ঘাড় থেকে মাথার অগ্রভাগের দিকে টেনে এনেছেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৮৫, ১৮৬; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৩৫; আবু দাউদ, হাদীস নং ১১৮; তিরমিযী, হাদীস নং ৩২, ৩৪; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৪৪০, ৪৪১, ৪৪২, ৪৪৩।]
মিকদাম রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«مَسَحَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم بِرَأْسِهِ وَأُذُنَيْهِ ظَاهِرِهِمَا وَبَاطِنِهِمَا، وَفِيْ رِوَايَةٍ : وَأَدْخَلَ أَصَابِعَهُ فِيْ صِمَاخِ أُذُنَيْهِ» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাথা ও কর্ণদ্বয়ের ভেতর ও উপরিভাগ মাসাহ করেছেন। অন্য বর্ণনায় রয়েছেঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ অঙ্গুলীটি কর্ণগহবরে প্রবেশ করিয়েছেন”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ১২১, ১২২, ১২৩ তিরমিযী, হাদীস নং ৩৬ ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৪৪৫, ৪৪৬, ৪৪৭, ৪৪৮।]
হুমরান থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«غَسَلَ عُثْمَانُ رضي الله عنه رِجْلَهُ الْيُمْنَى إِلَى الْكَعْبَيْنِ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ، ثُمَّ غَسَلَ الْيُسْرَى مِثْلَ ذَلِكَ» .
“উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অযু দেখাতে গিয়ে) ডান পা টাখনু পর্যন্ত তিনবার ধুয়েছেন। তেমনিভাবে বাম পাও”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৯৩৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২২৬।]
নু‘আইম ইবন ‘আব্দুল্লাহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«غَسَلَ أَبُوْ هُرَيْرةَ رضي الله عنه رِجْلَهُ الْيُمْنَى حَتَّى أَشْرَعَ فِي السَّاقِ، ثُمَّ غَسَلَ رِجْلَهُ الْيُسْرَى حَتَّى أَشْرَعَ فِي السَّاقِ» .
“আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অযু দেখাতে গিয়ে) ডান পা ধুয়েছেন। এমনকি তিনি তাঁর পায়ের জঙ্ঘাটুকুও ধোয়া শুরু করেছেন। তেমনিভাবে তিনি বাম পা ধুয়েছেন এমনকি তিনি তাঁর পায়ের জঙ্ঘাটুকুও ধোয়া শুরু করেছেন”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৪৬।]
«غَسَلَ عُثْمَانُ رضي الله عنه رِجْلَهُ الْيُمْنَى إِلَى الْكَعْبَيْنِ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ، ثُمَّ غَسَلَ الْيُسْرَى مِثْلَ ذَلِكَ» .
“উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অযু দেখাতে গিয়ে) ডান পা টাখনু পর্যন্ত তিনবার ধুয়েছেন। তেমনিভাবে বাম পাও”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৯৩৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২২৬।]
নু‘আইম ইবন ‘আব্দুল্লাহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«غَسَلَ أَبُوْ هُرَيْرةَ رضي الله عنه رِجْلَهُ الْيُمْنَى حَتَّى أَشْرَعَ فِي السَّاقِ، ثُمَّ غَسَلَ رِجْلَهُ الْيُسْرَى حَتَّى أَشْرَعَ فِي السَّاقِ» .
“আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অযু দেখাতে গিয়ে) ডান পা ধুয়েছেন। এমনকি তিনি তাঁর পায়ের জঙ্ঘাটুকুও ধোয়া শুরু করেছেন। তেমনিভাবে তিনি বাম পা ধুয়েছেন এমনকি তিনি তাঁর পায়ের জঙ্ঘাটুকুও ধোয়া শুরু করেছেন”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৪৬।]
তাতে করে পবিত্রতা সংক্রান্ত মনের সকল দ্বিধা-দ্বন্দ্ব দূর হয়ে যায়।
হাকাম ইবন সুফ্ইয়ান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم إِذَا بَالَ يَتَوَضَّأُ وَيَنْتَضِحُ» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রস্রাব করে অযু করতেন এবং নিচের পরিধেয় বস্ত্রে পানি ছিঁটিয়ে দিতেন”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ১৬৬।]
হাকাম ইবন সুফ্ইয়ান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم إِذَا بَالَ يَتَوَضَّأُ وَيَنْتَضِحُ» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রস্রাব করে অযু করতেন এবং নিচের পরিধেয় বস্ত্রে পানি ছিঁটিয়ে দিতেন”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ১৬৬।]
উক্বা ইবন ‘আমির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ يَتَوَضَّأُ فَيُبْلِغُ أَوْ فَيُسْبِغُ الْوُضُوْءَ ثُمَّ يَقُوْلُ : أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُ اللهِ وَرَسُوْلُهُ، إِلاَّ فُتِحَتْ لَهُ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ الثَّمَانِيَةُ، يَدْخُلُ مِنْ أَيِّهَا شَاءَ» .
“তোমাদের কেউ ভালোভাবে অযু করে যখন পড়বে: “আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াআন্না মুহাম্মাদান ‘আব্দুল্লাহি ওয়া রাসূলুহু” (আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া সত্যিকার কোনো উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল) তখন তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা উন্মুক্ত করা হবে। তখন তার ইচ্ছে সে যে কোনো দরজা দিয়েই প্রবেশ করুক না কেন”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৩৪; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৪৭৫।]
উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«مَنْ تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ الْوُضُوْءَ ثُمَّ قَالَ : أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ، اَللَّهُمَّ اجْعَلْنِيْ مِنَ التَّوَّابِيْنَ وَاجْعَلْنِيْ مِنَ الْـمُتَطَهِّرِيْنَ ؛ فُتِحَتْ لَهُ ثَمَانِيَةُ أَبْوَابِ الْجَنَّةِ، يَدْخُلُ مِنْ أَيِّهَا شَاءَ»
“যে ব্যক্তি অযু করে পড়বে : “আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান ‘আব্দুহু ওয়া রাসূলুহু। আল্লাহুম্মাজ ‘আলনী মিনাত তাওআবীনা ওয়াজ আলনী মিনাল মুতাতাহ্হিরীন (আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া সত্যিকার কোনো উপাস্য নেই। তিনি এক, তাঁর কোনো অংশীদার নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয় মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে তাওবাকারী ও পবিত্রতা অর্জনকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন) তখন তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা উন্মুক্ত করা হবে। তার ইচ্ছে সে যে কোনো দরজা দিয়েই প্রবেশ করুক না কেন”। [তিরমিযী, হাদীস নং ৫৫।]
এ ছাড়াও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিম্নোক্ত দো‘আটি পড়তেন।
«سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ، أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ، أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوْبُ إِلَيْكَ» .
উচ্চারণ: “সুবহানাকাল্লাহুম্মা ওয়াবিহামদিকা আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লা আন্তা আস্তাগফিরুকা ওয়া আতূবু ইলাইক।
“হে আল্লাহ! আপনি পাক-পবিত্র এবং সকল প্রশংসা আপনার জন্যই। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি ছাড়া সত্যিকার কোনো উপাস্য নেই। উপরন্তু আমি আপনার নিকট তাওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি”। [আমালুল ইয়াওমি ওয়াল্লাইলাহ ৮১।]
«مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ يَتَوَضَّأُ فَيُبْلِغُ أَوْ فَيُسْبِغُ الْوُضُوْءَ ثُمَّ يَقُوْلُ : أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُ اللهِ وَرَسُوْلُهُ، إِلاَّ فُتِحَتْ لَهُ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ الثَّمَانِيَةُ، يَدْخُلُ مِنْ أَيِّهَا شَاءَ» .
“তোমাদের কেউ ভালোভাবে অযু করে যখন পড়বে: “আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াআন্না মুহাম্মাদান ‘আব্দুল্লাহি ওয়া রাসূলুহু” (আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া সত্যিকার কোনো উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল) তখন তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা উন্মুক্ত করা হবে। তখন তার ইচ্ছে সে যে কোনো দরজা দিয়েই প্রবেশ করুক না কেন”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৩৪; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৪৭৫।]
উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«مَنْ تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ الْوُضُوْءَ ثُمَّ قَالَ : أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ، اَللَّهُمَّ اجْعَلْنِيْ مِنَ التَّوَّابِيْنَ وَاجْعَلْنِيْ مِنَ الْـمُتَطَهِّرِيْنَ ؛ فُتِحَتْ لَهُ ثَمَانِيَةُ أَبْوَابِ الْجَنَّةِ، يَدْخُلُ مِنْ أَيِّهَا شَاءَ»
“যে ব্যক্তি অযু করে পড়বে : “আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান ‘আব্দুহু ওয়া রাসূলুহু। আল্লাহুম্মাজ ‘আলনী মিনাত তাওআবীনা ওয়াজ আলনী মিনাল মুতাতাহ্হিরীন (আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া সত্যিকার কোনো উপাস্য নেই। তিনি এক, তাঁর কোনো অংশীদার নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয় মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে তাওবাকারী ও পবিত্রতা অর্জনকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন) তখন তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা উন্মুক্ত করা হবে। তার ইচ্ছে সে যে কোনো দরজা দিয়েই প্রবেশ করুক না কেন”। [তিরমিযী, হাদীস নং ৫৫।]
এ ছাড়াও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিম্নোক্ত দো‘আটি পড়তেন।
«سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ، أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ، أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوْبُ إِلَيْكَ» .
উচ্চারণ: “সুবহানাকাল্লাহুম্মা ওয়াবিহামদিকা আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লা আন্তা আস্তাগফিরুকা ওয়া আতূবু ইলাইক।
“হে আল্লাহ! আপনি পাক-পবিত্র এবং সকল প্রশংসা আপনার জন্যই। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি ছাড়া সত্যিকার কোনো উপাস্য নেই। উপরন্তু আমি আপনার নিকট তাওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি”। [আমালুল ইয়াওমি ওয়াল্লাইলাহ ৮১।]
যে ব্যক্তি অযু শেষে কায়মনোবাক্যে দু’ রাকাত সালাত আদায় করবে আল্লাহ তা‘আলা তার সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন এবং জান্নাত হবে তার জন্য অবধারিত।
উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«مَنْ تَوَضَّأَ نَحْوَ وُضُوْئِي هَذَا ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ لاَ يُحَدِّثُ فِيْهِمَا نَفْسَهُ غَفَرَ اللهُ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ» .
“যে ব্যক্তি আমার অযুর ন্যায় অযু করে কায়মনোবাক্যে দু’ রাকাত সালাত আদায় করবে আল্লাহ তা‘আলা তার অতীতের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৬৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২২৬।]
উক্বা ইবন ‘আমির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَتَوَضَّأُ فَيُحْسِنُ وُضُوْءَهُ، ثُمَّ يَقُوْمُ فَيُصَلِّيْ رَكْعَتَيْنِ، مُقْبِلٌ عَلَيْهِمَا بِقَلْبِهِ وَوَجْهِهِ إِلاَّ وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ» .
“যে কোনো মুসলিম যখন ভালোভাবে অযু করে কায়মনোবাক্যে দু’ রাকাত সালাত আদায় করে তখন তার জন্য জান্নাত অবধারিত হয়ে যায়”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৩৪।]
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিলাল রাদিয়াল্লাহু আনহু কে ফজরের সময় বললেন:
«يَابِلاَلُ ! حَدِّثْنِيْ بِأَرْجَى عَمَلٍ عَمِلْتَهُ فِي الإِسْلاَمِ، فَإِنِّيْ سَمِعْتُ دَفَّ نَعْلَيْكَ بَيْنَ يَدَيَّ فِي الْجَنَّةِ، قَالَ بِلاَلُ : مَاعَمِلْتُ عَمَلًا فِي الإِسْلاَمِ أَرْجَى عِنْدِيْ مَنْفَعَةً، مِنْ أَنِّيْ لاَ أَتَطَهَّرُ طُهُوْرًا تَامًّا فِيْ سَاعَةٍ مِنْ لَيْلٍ وَلاَ نَهَارٍ إِلاَّ صَلَّيْتُ بِذَالِكَ الطُّهُوْرِ مَا كَتَبَ اللهُ لِيْ أَنْ أُصَلِّيَ» .
“হে বিলাল! তুমি ইসলাম গ্রহণ করার পর সবচেয়ে বড় আশাব্যঞ্জক এমন কি আমল করলে তা আমাকে বল। কারণ, আমি জান্নাতের মধ্যে আমার সম্মুখ দিক থেকে তোমার জুতার আওয়াজ শুনতে পেয়েছি। বিলাল রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন: আমি ইসলাম গ্রহণ করার পর এমন কোনো অধিক আশাব্যঞ্জক ও লাভজনক কাজ করেছি বলে মনে হয় না। তবে একটি কাজ করেছি বলে মনে পড়ে তা হলো আমি দিবারাত্রি যখনই ভালোভাবে পবিত্রতা অর্জন করেছি তখনই সে পবিত্রতা দিয়ে যথাসাধ্য সালাত পড়েছি”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১১৪৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৪৫৮।]
উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«مَنْ تَوَضَّأَ نَحْوَ وُضُوْئِي هَذَا ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ لاَ يُحَدِّثُ فِيْهِمَا نَفْسَهُ غَفَرَ اللهُ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ» .
“যে ব্যক্তি আমার অযুর ন্যায় অযু করে কায়মনোবাক্যে দু’ রাকাত সালাত আদায় করবে আল্লাহ তা‘আলা তার অতীতের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৬৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২২৬।]
উক্বা ইবন ‘আমির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَتَوَضَّأُ فَيُحْسِنُ وُضُوْءَهُ، ثُمَّ يَقُوْمُ فَيُصَلِّيْ رَكْعَتَيْنِ، مُقْبِلٌ عَلَيْهِمَا بِقَلْبِهِ وَوَجْهِهِ إِلاَّ وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ» .
“যে কোনো মুসলিম যখন ভালোভাবে অযু করে কায়মনোবাক্যে দু’ রাকাত সালাত আদায় করে তখন তার জন্য জান্নাত অবধারিত হয়ে যায়”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৩৪।]
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিলাল রাদিয়াল্লাহু আনহু কে ফজরের সময় বললেন:
«يَابِلاَلُ ! حَدِّثْنِيْ بِأَرْجَى عَمَلٍ عَمِلْتَهُ فِي الإِسْلاَمِ، فَإِنِّيْ سَمِعْتُ دَفَّ نَعْلَيْكَ بَيْنَ يَدَيَّ فِي الْجَنَّةِ، قَالَ بِلاَلُ : مَاعَمِلْتُ عَمَلًا فِي الإِسْلاَمِ أَرْجَى عِنْدِيْ مَنْفَعَةً، مِنْ أَنِّيْ لاَ أَتَطَهَّرُ طُهُوْرًا تَامًّا فِيْ سَاعَةٍ مِنْ لَيْلٍ وَلاَ نَهَارٍ إِلاَّ صَلَّيْتُ بِذَالِكَ الطُّهُوْرِ مَا كَتَبَ اللهُ لِيْ أَنْ أُصَلِّيَ» .
“হে বিলাল! তুমি ইসলাম গ্রহণ করার পর সবচেয়ে বড় আশাব্যঞ্জক এমন কি আমল করলে তা আমাকে বল। কারণ, আমি জান্নাতের মধ্যে আমার সম্মুখ দিক থেকে তোমার জুতার আওয়াজ শুনতে পেয়েছি। বিলাল রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন: আমি ইসলাম গ্রহণ করার পর এমন কোনো অধিক আশাব্যঞ্জক ও লাভজনক কাজ করেছি বলে মনে হয় না। তবে একটি কাজ করেছি বলে মনে পড়ে তা হলো আমি দিবারাত্রি যখনই ভালোভাবে পবিত্রতা অর্জন করেছি তখনই সে পবিত্রতা দিয়ে যথাসাধ্য সালাত পড়েছি”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১১৪৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৪৫৮।]
অযুর অঙ্গগুলো তিন তিন বার ধোয়া পরিপূর্ণ অযুর নিয়ম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু আনহুম) সাধারণত প্রতিটি অঙ্গ তিন তিন বার ধুতেন। এ কারণেই অধিকাংশ অযুর বর্ণনায় তিন বারের কথাই উল্লিখিত হয়েছে। তবে কেউ প্রতিটি অঙ্গ এক এক বার বা দু’ দু’ বার অথবা কোনো অঙ্গ দু’বার আবার কোনো অঙ্গ তিনবার ধুলেও তার অযু হয়ে যাবে।
আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«تَوَضَّأَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم مَرَّةً مَرَّةً » .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতিটি অঙ্গ এক এক বার ধুয়ে অযু করেছেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৫৭; তিরমিযী, হাদীস নং ৪২; আবু দাউদ, হাদীস নং ১৩৮; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৪১৭।]
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«تَوَضَّأَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم مَرَّتَيْنِ مَرَّتَيْنِ» .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতিটি অঙ্গ দু’ দু’ বার ধুয়ে অযু করেছেন”। [তিরমিযী, হাদীস নং ৪৩; আবু দাউদ, হাদীস নং ১৩৬।]
আব্দুল্লাহ ইবন যায়েদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«تَوَضَّأَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم فَغَسَلَ وَجْهَهُ ثَلاَثًا، وَغَسَلَ يَدَيْهِ مَرَّتَيْنِ مَرَّتَيْنِ، وَمَسَحَ بِرَأْسِهِ، وَغَسَلَ رِجْلَيْهِ مَرَّتَيْنِ » .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এভাবে অযু করেছেন ; নিজ মুখমণ্ডল তিন বার ধুয়েছেন। উভয় হাত দু’ দু’ বার ধুয়েছেন। মাথা মাসাহ করেছেন এবং পদযুগল দু’ দু’ বার ধুয়েছেন”। [তিরমিযী, হাদীস নং ৪৭।]
তবে প্রতিটি অঙ্গ তিন তিন বার ধুলেই অযু পরিপূর্ণ হয়েছে বলে বিবেচিত হবে।
আব্দুল্লাহ ইবন ‘আমর ইবন ‘আস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«أَتَى رَجُلٌ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ : يَا رَسُوْلَ اللهِ ! كَيْفَ الطُّهُوْرُ؟ فَدَعَا بِمَاءٍ فِي إِنَاءٍ فَغَسَلَ كَفَّيْهِ ثَلاَثًا، ثُمَّ غَسَلَ وَجْهَهُ ثَلاَثًا، ثُمَّ غَسَلَ ذِرَاعَيْهِ ثَلاَثًا، ثُمَّ مَسَحَ بِرَأْسِهِ فَأَدْخَلَ إِصْبَعَيْهِ السَّبَّاحَتَيْنِ فِيْ أُذُنَيْهِ، وَمَسَحَ بِإِبْهَامَيْهِ عَلَى ظَاهِرِأُذُنَيْهِ وَبِالسَّبَّاحَتَيْنِ بَاطِنَ أُذُنَيْهِ، ثُمَّ غَسَلَ رِجْلَيْهِ ثَلاَثًا ثَلاَثًا، ثُمَّ قَالَ : هَكَذَا الْوُضُوْءُ، فَمَنْ زَادَ عَلَى هَذَا أَوْ نَقَصَ فَقَدْ أَسَاءَ وَظَلَمَ، أَوْ ظَلَمَ وَأَسَاءَ » .
“জনৈক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পবিত্রতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি পানি আনতে বলেন। পানি আনা হলে হস্তদ্বয় তিন তিন বার ধৌত করেন। অতঃপর মুখমণ্ডল তিন বার ও হস্তযুগল তিন তিন বার ধৌত করেন। এরপর মাথা মাসাহ করেন। পুনরায় শাহাদাত আঙ্গুল দু’টি উভয়কানে ঢুকিয়ে কান মাসাহ করেন। উভয় বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে দু’কানের উপরিভাগ ও দুই শাহাদাত আঙ্গুল দিয়ে দু’কানের ভেতরের অংশ মাসাহ করেন। তারপর দুই পা তিন তিন বার ধৌত করেন। অতঃপর তিনি বলেন, এভাবেই অযু করতে হয়। যে ব্যক্তি এর চেয়ে কম বা বেশি করল সে নিজের ওপর অত্যাচার ও অন্যায় করল”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ১৩৫।]
উল্লেখ্য যে, আমাদের দেশে রচিত কোনো কোনো বই-পুস্তকে অযুর প্রতিটি অঙ্গ ধোয়ার সময় নির্দিষ্টভাবে পাঠ্য কিছু দো‘আর উল্লেখ রয়েছে যা পাঠ করা কুরআন ও সহীহ হাদীসের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণরূপে বিদ‘আত। কারণ, তা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু আনহুম, তাবেঈন ও তাবে তাবেঈনের কোনো স্বর্ণ যুগে প্রচলিত ছিল না।
আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«تَوَضَّأَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم مَرَّةً مَرَّةً » .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতিটি অঙ্গ এক এক বার ধুয়ে অযু করেছেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৫৭; তিরমিযী, হাদীস নং ৪২; আবু দাউদ, হাদীস নং ১৩৮; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৪১৭।]
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«تَوَضَّأَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم مَرَّتَيْنِ مَرَّتَيْنِ» .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতিটি অঙ্গ দু’ দু’ বার ধুয়ে অযু করেছেন”। [তিরমিযী, হাদীস নং ৪৩; আবু দাউদ, হাদীস নং ১৩৬।]
আব্দুল্লাহ ইবন যায়েদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«تَوَضَّأَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم فَغَسَلَ وَجْهَهُ ثَلاَثًا، وَغَسَلَ يَدَيْهِ مَرَّتَيْنِ مَرَّتَيْنِ، وَمَسَحَ بِرَأْسِهِ، وَغَسَلَ رِجْلَيْهِ مَرَّتَيْنِ » .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এভাবে অযু করেছেন ; নিজ মুখমণ্ডল তিন বার ধুয়েছেন। উভয় হাত দু’ দু’ বার ধুয়েছেন। মাথা মাসাহ করেছেন এবং পদযুগল দু’ দু’ বার ধুয়েছেন”। [তিরমিযী, হাদীস নং ৪৭।]
তবে প্রতিটি অঙ্গ তিন তিন বার ধুলেই অযু পরিপূর্ণ হয়েছে বলে বিবেচিত হবে।
আব্দুল্লাহ ইবন ‘আমর ইবন ‘আস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«أَتَى رَجُلٌ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ : يَا رَسُوْلَ اللهِ ! كَيْفَ الطُّهُوْرُ؟ فَدَعَا بِمَاءٍ فِي إِنَاءٍ فَغَسَلَ كَفَّيْهِ ثَلاَثًا، ثُمَّ غَسَلَ وَجْهَهُ ثَلاَثًا، ثُمَّ غَسَلَ ذِرَاعَيْهِ ثَلاَثًا، ثُمَّ مَسَحَ بِرَأْسِهِ فَأَدْخَلَ إِصْبَعَيْهِ السَّبَّاحَتَيْنِ فِيْ أُذُنَيْهِ، وَمَسَحَ بِإِبْهَامَيْهِ عَلَى ظَاهِرِأُذُنَيْهِ وَبِالسَّبَّاحَتَيْنِ بَاطِنَ أُذُنَيْهِ، ثُمَّ غَسَلَ رِجْلَيْهِ ثَلاَثًا ثَلاَثًا، ثُمَّ قَالَ : هَكَذَا الْوُضُوْءُ، فَمَنْ زَادَ عَلَى هَذَا أَوْ نَقَصَ فَقَدْ أَسَاءَ وَظَلَمَ، أَوْ ظَلَمَ وَأَسَاءَ » .
“জনৈক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পবিত্রতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি পানি আনতে বলেন। পানি আনা হলে হস্তদ্বয় তিন তিন বার ধৌত করেন। অতঃপর মুখমণ্ডল তিন বার ও হস্তযুগল তিন তিন বার ধৌত করেন। এরপর মাথা মাসাহ করেন। পুনরায় শাহাদাত আঙ্গুল দু’টি উভয়কানে ঢুকিয়ে কান মাসাহ করেন। উভয় বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে দু’কানের উপরিভাগ ও দুই শাহাদাত আঙ্গুল দিয়ে দু’কানের ভেতরের অংশ মাসাহ করেন। তারপর দুই পা তিন তিন বার ধৌত করেন। অতঃপর তিনি বলেন, এভাবেই অযু করতে হয়। যে ব্যক্তি এর চেয়ে কম বা বেশি করল সে নিজের ওপর অত্যাচার ও অন্যায় করল”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ১৩৫।]
উল্লেখ্য যে, আমাদের দেশে রচিত কোনো কোনো বই-পুস্তকে অযুর প্রতিটি অঙ্গ ধোয়ার সময় নির্দিষ্টভাবে পাঠ্য কিছু দো‘আর উল্লেখ রয়েছে যা পাঠ করা কুরআন ও সহীহ হাদীসের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণরূপে বিদ‘আত। কারণ, তা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু আনহুম, তাবেঈন ও তাবে তাবেঈনের কোনো স্বর্ণ যুগে প্রচলিত ছিল না।
অযুর কোনো অঙ্গ ধোয়ার সময় চুল পরিমাণ জায়গাও যদি শুকনা থেকে যায় তাহলে অযু কোনোভাবেই শুদ্ধ হবে না।
আব্দুল্লাহ ইবন ‘আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে মক্কা থেকে মদিনা রওয়ানা করেছিলাম। পথিমধ্যে পানি মিলে গেলে কেউ কেউ তড়িঘড়ি আসরের সালাতের জন্য অযু সেরে নেয়। অথচ আমরা তাদের পায়ের কিছু অংশ শুকনা দেখতে পাচ্ছিলাম। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«وَيْلٌ لِلأَعْقَابِ مِنَ النَّارِ، أَسْبِغُوْا الْوُضُوْءَ» .
“ধ্বংস! এই গোড়ালিগুলোর জন্যে তা জাহান্নামের আগুনে দগ্ধ হবে। অতএব, তোমরা ভালোভাবে অযু কর”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬০, ৯৬, ১৬৩; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৪১; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৪৫৬।]
উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«تَوَضَّأَ رَجُلٌ فَتَرَكَ مَوْضِعَ ظُفُرٍ عَلَى قَدَمِهِ فَأَبْصَرَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم فَقَالَ : اِرْجِعْ فَأَحْسِنْ وُضُوْءَكَ، فَرَجَعَ ثُمَّ صَلَّى» .
“অযু করার সময় জনৈক ব্যক্তির পায়ে নখ পরিমাণ জায়গা শুকনা থেকে গেলে তা দেখে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: যাও ভালোভাবে অযু করে এসো। অতঃপর সে অযু করে এসে পুনরায় সালাত আদায় করল”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৪৩।]
আব্দুল্লাহ ইবন ‘আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে মক্কা থেকে মদিনা রওয়ানা করেছিলাম। পথিমধ্যে পানি মিলে গেলে কেউ কেউ তড়িঘড়ি আসরের সালাতের জন্য অযু সেরে নেয়। অথচ আমরা তাদের পায়ের কিছু অংশ শুকনা দেখতে পাচ্ছিলাম। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«وَيْلٌ لِلأَعْقَابِ مِنَ النَّارِ، أَسْبِغُوْا الْوُضُوْءَ» .
“ধ্বংস! এই গোড়ালিগুলোর জন্যে তা জাহান্নামের আগুনে দগ্ধ হবে। অতএব, তোমরা ভালোভাবে অযু কর”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬০, ৯৬, ১৬৩; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৪১; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৪৫৬।]
উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«تَوَضَّأَ رَجُلٌ فَتَرَكَ مَوْضِعَ ظُفُرٍ عَلَى قَدَمِهِ فَأَبْصَرَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم فَقَالَ : اِرْجِعْ فَأَحْسِنْ وُضُوْءَكَ، فَرَجَعَ ثُمَّ صَلَّى» .
“অযু করার সময় জনৈক ব্যক্তির পায়ে নখ পরিমাণ জায়গা শুকনা থেকে গেলে তা দেখে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: যাও ভালোভাবে অযু করে এসো। অতঃপর সে অযু করে এসে পুনরায় সালাত আদায় করল”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৪৩।]
এক অযু দিয়ে কয়েক ওয়াক্ত সালাত আদায় করা যায়।
বুরাইদা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«صَلَّى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم الصَّلَوَاتِ يَوْمَ الْفَتْحِ بِوُضُوْءٍ وَاحَدٍ وَمَسَحَ عَلَى خُفَّيْهِ، فَقَالَ لَهُ عُمَرُ : لَقَدْ صَنَعْتَ الْيَوْمَ شَيْئًا لَمْ تَكُنْ تَصْنَعُهُ، قَالَ : عَمْدًا صَنَعْتُهُ يَا عُمَرُ !» .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা বিজয়ের দিন একই অযু দিয়ে কয়েক ওয়াক্ত সালাত আদায় করেছেন এবং দুই মোজার উপর মাসাহ করেছেন। উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু তা দেখে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললেন: আজ আপনি এমন কাজ করেছেন যা ইতোপূর্বে কখনো করেন নি। তিনি বললেন: হে উমার! আমি তা ইচ্ছা করেই করেছি”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৭৭।]
বুরাইদা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«صَلَّى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم الصَّلَوَاتِ يَوْمَ الْفَتْحِ بِوُضُوْءٍ وَاحَدٍ وَمَسَحَ عَلَى خُفَّيْهِ، فَقَالَ لَهُ عُمَرُ : لَقَدْ صَنَعْتَ الْيَوْمَ شَيْئًا لَمْ تَكُنْ تَصْنَعُهُ، قَالَ : عَمْدًا صَنَعْتُهُ يَا عُمَرُ !» .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা বিজয়ের দিন একই অযু দিয়ে কয়েক ওয়াক্ত সালাত আদায় করেছেন এবং দুই মোজার উপর মাসাহ করেছেন। উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু তা দেখে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললেন: আজ আপনি এমন কাজ করেছেন যা ইতোপূর্বে কখনো করেন নি। তিনি বললেন: হে উমার! আমি তা ইচ্ছা করেই করেছি”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৭৭।]
কুলি করা, নাকে পানি দেওয়া এবং নাক ঝেড়ে পরিষ্কার করা এরই অন্তর্ভুক্ত।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿فَٱغۡسِلُواْ وُجُوهَكُمۡ﴾ [ المائدة : ٦ ]
“তোমরা নিজ মুখমণ্ডল ধৌত কর”। [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৬]
লাক্বীত ইবন সাবিরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«وَبَالِغْ فِي الاِسْتِنْشَاقِ إِلاَّ أَنْ تَكُوْنَ صَائِمًا» .
“খুব ভালোভাবে নাকে পানি দিবে। তবে সাওম পালনকারী হলে একটু কম করে দিবে”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ১৪২।]
অন্য বর্ণনায় রয়েছে:
«إِذَا تَوَضَّأْتَ فَمَضْمِضْ» .
“অযু করার সময় কুলি করবে”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ১৪৪।]
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«مَنْ تَوَضَّأَ فَلْيَسْتَنْثِرْ» .
“যে ব্যক্তি অযু করবে তার জন্য আবশ্যক সে যেন নাক ঝেড়ে নেয়”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৬১; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৩৭।]
অনুরূপভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বদা কুলি করতেন ও নাকে পানি দিতেন।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿فَٱغۡسِلُواْ وُجُوهَكُمۡ﴾ [ المائدة : ٦ ]
“তোমরা নিজ মুখমণ্ডল ধৌত কর”। [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৬]
লাক্বীত ইবন সাবিরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«وَبَالِغْ فِي الاِسْتِنْشَاقِ إِلاَّ أَنْ تَكُوْنَ صَائِمًا» .
“খুব ভালোভাবে নাকে পানি দিবে। তবে সাওম পালনকারী হলে একটু কম করে দিবে”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ১৪২।]
অন্য বর্ণনায় রয়েছে:
«إِذَا تَوَضَّأْتَ فَمَضْمِضْ» .
“অযু করার সময় কুলি করবে”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ১৪৪।]
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«مَنْ تَوَضَّأَ فَلْيَسْتَنْثِرْ» .
“যে ব্যক্তি অযু করবে তার জন্য আবশ্যক সে যেন নাক ঝেড়ে নেয়”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৬১; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৩৭।]
অনুরূপভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বদা কুলি করতেন ও নাকে পানি দিতেন।
প্রথমে ডান হাত অতঃপর বাম হাত ধৌত করবে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَأَيۡدِيَكُمۡ إِلَى ٱلۡمَرَافِقِ﴾ [ المائدة : ٦ ]
“তোমরা উভয় হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত কর”। [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৬]
হুম্রান থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«غَسَلَ عُثْمَانُ رضي الله عنه يَدَيْهِ إِلَى الْـمِرْفَقَيْنِ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ» .
“উস্মান রাদিয়াল্লাহু আনহু (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অযু দেখাতে গিয়ে) উভয় হাত কনুইসহ তিনবার ধৌত করেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৫৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২২৬।]
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِذَا تَوَضَّأْتُمْ فَابْدَؤُوْا بِمَيَامِنِكُمْ» .
“তোমরা ডান হাত ধোয়ার মাধ্যমে অযু শুরু করবে”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৪১৪১; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৪০৮।]
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَأَيۡدِيَكُمۡ إِلَى ٱلۡمَرَافِقِ﴾ [ المائدة : ٦ ]
“তোমরা উভয় হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত কর”। [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৬]
হুম্রান থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«غَسَلَ عُثْمَانُ رضي الله عنه يَدَيْهِ إِلَى الْـمِرْفَقَيْنِ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ» .
“উস্মান রাদিয়াল্লাহু আনহু (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অযু দেখাতে গিয়ে) উভয় হাত কনুইসহ তিনবার ধৌত করেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৫৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২২৬।]
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِذَا تَوَضَّأْتُمْ فَابْدَؤُوْا بِمَيَامِنِكُمْ» .
“তোমরা ডান হাত ধোয়ার মাধ্যমে অযু শুরু করবে”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৪১৪১; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৪০৮।]
সম্পূর্ণ মাথা একবার মাসাহ করা অযুর রুকন। এ ছাড়া মাথা মাসাহ করার ক্ষেত্রে কানদ্বয় মাথার অধীন হিসেবে গণ্য করা হয়।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَٱمۡسَحُواْ بِرُءُوسِكُمۡ﴾ [ المائدة : ٦ ]
“তোমরা মাথা মাসাহ কর”। [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৬]
আব্দুল্লাহ ইবন যায়েদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«الأُذُنَانِ مِنَ الرَّأْسِ» .
“উভয় কান (মাসাহ করার ক্ষেত্রে) মাথার অন্তর্ভুক্ত”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ১৩৪; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৪৪৯, ৪৫০, ৪৫১।]
অনুরূপভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বদা মাথা মাসাহ করার সাথে সাথে উভয় কানও মাসাহ করতেন।
হাদীসে মাথা মাসাহ করার তিনটি ধরণ উল্লেখ হয়েছে, তা নিম্নরূপ:
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَٱمۡسَحُواْ بِرُءُوسِكُمۡ﴾ [ المائدة : ٦ ]
“তোমরা মাথা মাসাহ কর”। [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৬]
আব্দুল্লাহ ইবন যায়েদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«الأُذُنَانِ مِنَ الرَّأْسِ» .
“উভয় কান (মাসাহ করার ক্ষেত্রে) মাথার অন্তর্ভুক্ত”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ১৩৪; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৪৪৯, ৪৫০, ৪৫১।]
অনুরূপভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বদা মাথা মাসাহ করার সাথে সাথে উভয় কানও মাসাহ করতেন।
হাদীসে মাথা মাসাহ করার তিনটি ধরণ উল্লেখ হয়েছে, তা নিম্নরূপ:
আব্দুল্লাহ ইবন যায়েদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«مَسَحَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم رَأْسَهُ بِيَدَيْهِ فَأَقْبَلَ بِهِمَا وَأَدْبَرَ، بَدَأَ بِمُقَدَّمِ رَأْسِهِ حَتَّى ذَهَبَ بِهِمَا إِلَى قَفَاهُ، ثُمَّ رَدَّهُمَا إِلَى الْمَكَانِ الَّذِيْ بَدَأَ مِنْهُ» .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উভয় হাত দিয়ে নিজ মাথা মাসাহ করেন। উভয় হাত মাথার উপর রেখে সামনে ও পেছনে টেনে নেন। অর্থাৎ মাসাহ এভাবে করেন; উভয় হাত মাথার অগ্রভাগে রেখে ঘাড়ের দিকে টেনে নিয়েছেন। পুনরায় হস্তদ্বয় পেছন দিক থেকে সামনের দিকে টেনে এনেছেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৮৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৩৫।]
«مَسَحَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم رَأْسَهُ بِيَدَيْهِ فَأَقْبَلَ بِهِمَا وَأَدْبَرَ، بَدَأَ بِمُقَدَّمِ رَأْسِهِ حَتَّى ذَهَبَ بِهِمَا إِلَى قَفَاهُ، ثُمَّ رَدَّهُمَا إِلَى الْمَكَانِ الَّذِيْ بَدَأَ مِنْهُ» .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উভয় হাত দিয়ে নিজ মাথা মাসাহ করেন। উভয় হাত মাথার উপর রেখে সামনে ও পেছনে টেনে নেন। অর্থাৎ মাসাহ এভাবে করেন; উভয় হাত মাথার অগ্রভাগে রেখে ঘাড়ের দিকে টেনে নিয়েছেন। পুনরায় হস্তদ্বয় পেছন দিক থেকে সামনের দিকে টেনে এনেছেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৮৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৩৫।]
‘আমর ইবন উমাইয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم يَمْسَحُ عَلَى عِمَامَتِهِ» .
“আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পাগড়ীর উপর মাসাহ করতে দেখেছি”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২০৫।]
তবে পাগড়ীর উপর মাসাহ করা শর্ত সাপেক্ষ যেমনিভাবে মোজা মাসাহ করা শর্ত সাপেক্ষ।
«رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم يَمْسَحُ عَلَى عِمَامَتِهِ» .
“আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পাগড়ীর উপর মাসাহ করতে দেখেছি”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২০৫।]
তবে পাগড়ীর উপর মাসাহ করা শর্ত সাপেক্ষ যেমনিভাবে মোজা মাসাহ করা শর্ত সাপেক্ষ।
মুগীরা ইবন শো‘বা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«تَوَضَّأَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم فَمَسَحَ بِنَاصِيَتِهِ وَعَلَى الْعِمَامَةِ وَعَلَى الْـخُفَّيْنِ» .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অযু করার সময় কপাল, পাগড়ি ও মোজা মাসাহ করেছেন”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৭৪।]
বিলাল রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«مَسَحَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم عَلَى الْـخُفَّيْنِ وَالْخِمَارِ» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর মোজাদ্বয় ও মস্তকাবরণ মাসাহ করেছেন”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৭৫।]
«تَوَضَّأَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم فَمَسَحَ بِنَاصِيَتِهِ وَعَلَى الْعِمَامَةِ وَعَلَى الْـخُفَّيْنِ» .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অযু করার সময় কপাল, পাগড়ি ও মোজা মাসাহ করেছেন”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৭৪।]
বিলাল রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«مَسَحَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم عَلَى الْـخُفَّيْنِ وَالْخِمَارِ» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর মোজাদ্বয় ও মস্তকাবরণ মাসাহ করেছেন”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৭৫।]
পদযুগল ধোয়ার সময় গোড়ালির প্রতি সযত্ন দৃষ্টি রাখবে। যেন তা ভালোভাবে ধোয়া হয়।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَأَرۡجُلَكُمۡ إِلَى ٱلۡكَعۡبَيۡنِ﴾ [ المائدة : ٦ ]
“তোমরা পদযুগল টাখনুসহ ধেŠত কর”। [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৬]
আবু হুরায়রা, আব্দুল্লাহ ইবন উমার এবং আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তারা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«وَيْلٌ لِلأَعْقَابِ مِنَ النَّارِ» .
“ধ্বংস! গোড়ালিগুলোর জন্যে তা জাহান্নামের আগুনে বিদগ্ধ হবে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬০, ৯৬, ১৬৩; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৪১; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৪৫৬।]
অনুরূপভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বদা পাযুগল গোড়ালি ও টাখনুসহ ধৌত করতেন।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَأَرۡجُلَكُمۡ إِلَى ٱلۡكَعۡبَيۡنِ﴾ [ المائدة : ٦ ]
“তোমরা পদযুগল টাখনুসহ ধেŠত কর”। [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৬]
আবু হুরায়রা, আব্দুল্লাহ ইবন উমার এবং আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তারা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«وَيْلٌ لِلأَعْقَابِ مِنَ النَّارِ» .
“ধ্বংস! গোড়ালিগুলোর জন্যে তা জাহান্নামের আগুনে বিদগ্ধ হবে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬০, ৯৬, ১৬৩; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৪১; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৪৫৬।]
অনুরূপভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বদা পাযুগল গোড়ালি ও টাখনুসহ ধৌত করতেন।
ধোয়ার সময় অঙ্গগুলোর মাঝে পর্যায়ক্রম বজায় রাখা অযুর রুকন। কারণ, আল্লাহ তা‘আলা কুরআন মাজীদের মধ্যে অযুর অঙ্গগুলো সারিবদ্ধভাবে উল্লেখ করেছেন এবং এ পর্যায়ক্রম বজায় রাখার জন্যই মাসাহ’র অঙ্গটি পরিশেষে উল্লেখ না করে ধোয়ার অঙ্গগুলোর মাঝেই উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ إِذَا قُمۡتُمۡ إِلَى ٱلصَّلَوٰةِ فَٱغۡسِلُواْ وُجُوهَكُمۡ وَأَيۡدِيَكُمۡ إِلَى ٱلۡمَرَافِقِ وَٱمۡسَحُواْ بِرُءُوسِكُمۡ وَأَرۡجُلَكُمۡ إِلَى ٱلۡكَعۡبَيۡنِ﴾ [ المائدة : ٦ ]
“হে ঈমানদারগণ! যখন তোমরা সালাতের উদ্দেশ্যে দন্ডায়মান হবে (অথচ তোমাদের অযু নেই) তখন সমস্ত মুখমণ্ডল ও উভয় হাত কনুইসহ ধৌত করবে এবং মাথা মাসাহ করবে ও পদযুগল টাখনু পর্যন্ত ধৌত করবে”। [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৬]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অঙ্গগুলোর পর্যায়ক্রম বজায় রেখে অযু করতেন।
তিনি বলতেন:
«أَبْدَأُ بِمَا بَدَأَ اللهُ بِهِ»
“আমি শুরু করছি যেভাবে আল্লাহ তা‘আলা শুরু করেছেন”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১২১৮]
﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ إِذَا قُمۡتُمۡ إِلَى ٱلصَّلَوٰةِ فَٱغۡسِلُواْ وُجُوهَكُمۡ وَأَيۡدِيَكُمۡ إِلَى ٱلۡمَرَافِقِ وَٱمۡسَحُواْ بِرُءُوسِكُمۡ وَأَرۡجُلَكُمۡ إِلَى ٱلۡكَعۡبَيۡنِ﴾ [ المائدة : ٦ ]
“হে ঈমানদারগণ! যখন তোমরা সালাতের উদ্দেশ্যে দন্ডায়মান হবে (অথচ তোমাদের অযু নেই) তখন সমস্ত মুখমণ্ডল ও উভয় হাত কনুইসহ ধৌত করবে এবং মাথা মাসাহ করবে ও পদযুগল টাখনু পর্যন্ত ধৌত করবে”। [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৬]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অঙ্গগুলোর পর্যায়ক্রম বজায় রেখে অযু করতেন।
তিনি বলতেন:
«أَبْدَأُ بِمَا بَدَأَ اللهُ بِهِ»
“আমি শুরু করছি যেভাবে আল্লাহ তা‘আলা শুরু করেছেন”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১২১৮]
অযুর সময় অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলোর মাঝে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা বলতে একটি অঙ্গ ধোয়ার পর অন্য অঙ্গ ধুতে এতটুকু দেরী না করাকে বুঝানো হয় যাতে করে প্রথম অঙ্গটি শুকিয়ে যায়। কোনো কারণে এতটুকু দেরী হয়ে গেলে আবার নতুনভাবে অযু করবে।
উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«تَوَضَّأَ رَجُلٌ فَتَرَكَ مَوْضِعَ ظُفُرٍعَلَى قَدَمِهِ، فَأَبْصَرَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم فَقَالَ : اِرْجِعْ فَأَحْسِنْ وُضُوْءَكَ، فَرَجَعَ ثُمَّ صَلَّى» .
“জনৈক ব্যক্তি অযু করেছে ঠিকই তবে তার পায়ে নখ সমপরিমাণ জায়গা শুষ্ক থেকে যায়। তা দেখে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: যাও ভালোভাবে অযু করে আসো। অতঃপর সে ভালোভাবে অযু করে পুনরায় সালাত আদায় করল”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৪৩।]
অন্য বর্ণনায় রয়েছে:
«رَأَى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم رَجُلًا يُصَلِّي، وَفِيْ ظَهْرِ قَدَمِهِ لُـمْعَةٌ قَدْرُ الدِّرْهَمِ لَمْ يُصِبْهَا الْـمَاءُ، فَأَمَرَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم أَنْ يُعِيْدَ الْوُضُوْءَ وَالصَّلاَةَ» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনৈক ব্যক্তিকে সালাত পড়তে দেখলেন, অথচ তার পায়ের উপরিভাগে এক দিরহাম সমপরিমাণ জায়গা শুষ্ক দেখা যাচ্ছিল। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে পুনরায় অযু করে সালাত আদায় করতে আদেশ করেন”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ১৭৫।]
যদি অযুর অঙ্গগুলোর মধ্যে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা ওয়াজিব না হতো তাহলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুধু শুষ্ক স্থানটি ধোয়ার আদেশ করতেন। সম্পূর্ণ অযু পুনরাবৃত্ত করার আদেশ করতেন না। তাহলে আমরা সহজেই বুঝতে পারলাম, অযুর অঙ্গগুলোর মাঝে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা ফরয বা রুকন।
উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«تَوَضَّأَ رَجُلٌ فَتَرَكَ مَوْضِعَ ظُفُرٍعَلَى قَدَمِهِ، فَأَبْصَرَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم فَقَالَ : اِرْجِعْ فَأَحْسِنْ وُضُوْءَكَ، فَرَجَعَ ثُمَّ صَلَّى» .
“জনৈক ব্যক্তি অযু করেছে ঠিকই তবে তার পায়ে নখ সমপরিমাণ জায়গা শুষ্ক থেকে যায়। তা দেখে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: যাও ভালোভাবে অযু করে আসো। অতঃপর সে ভালোভাবে অযু করে পুনরায় সালাত আদায় করল”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৪৩।]
অন্য বর্ণনায় রয়েছে:
«رَأَى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم رَجُلًا يُصَلِّي، وَفِيْ ظَهْرِ قَدَمِهِ لُـمْعَةٌ قَدْرُ الدِّرْهَمِ لَمْ يُصِبْهَا الْـمَاءُ، فَأَمَرَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم أَنْ يُعِيْدَ الْوُضُوْءَ وَالصَّلاَةَ» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনৈক ব্যক্তিকে সালাত পড়তে দেখলেন, অথচ তার পায়ের উপরিভাগে এক দিরহাম সমপরিমাণ জায়গা শুষ্ক দেখা যাচ্ছিল। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে পুনরায় অযু করে সালাত আদায় করতে আদেশ করেন”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ১৭৫।]
যদি অযুর অঙ্গগুলোর মধ্যে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা ওয়াজিব না হতো তাহলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুধু শুষ্ক স্থানটি ধোয়ার আদেশ করতেন। সম্পূর্ণ অযু পুনরাবৃত্ত করার আদেশ করতেন না। তাহলে আমরা সহজেই বুঝতে পারলাম, অযুর অঙ্গগুলোর মাঝে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা ফরয বা রুকন।
অযু শুদ্ধ হওয়ার জন্য দশটি শর্ত রয়েছে তা নিম্নরূপ:
১. অযুকারী মুসলিম হতে হবে। অতএব, কাফির বা মুশরিক অযু করলেও তার অযু শুদ্ধ হবে না। তাই সে অযু বা গোসল করে কখনোই পবিত্র হতে পারবে না।
২. অযুকারী জ্ঞানসম্পন্ন থাকতে হবে। অতএব, পাগল ও মাতালের অযু শুদ্ধ হবে না যতক্ষণনা তাদের চেতনা ফিরে আসে।
৩. অযুকারী ভালোমন্দ ভেদাভেদজ্ঞান রাখে এমন হতে হবে। অতএব, বাচ্চাদের অযু শরী‘আতে ধর্তব্য নয়। তাদের অযু করা না করা সমান।
৪. নিয়্যাত করতে হবে। অতএব, নিয়্যাত ব্যতীত অযু গ্রহণযোগ্য হবে না।
৫. অযু শেষ হওয়া পর্যন্ত পবিত্রতা অর্জনের নিয়্যাত বহাল থাকতে হবে। অতএব, অযু চলাকালীন নিয়্যাত ভঙ্গ করলে অযু শুদ্ধ হবে না।
৬. অযু চলাকালীন অযু ভঙ্গের কোনো কারণ যেন পাওয়া না যায়। তা না হলে অযু তৎক্ষণাৎই ভেঙ্গে যাবে।
৭. অযুর পূর্বে মলমূত্র ত্যাগ করে থাকলে ঢিলাকুলুপ বা পানি দিয়ে ইস্তিঞ্জা করতে হবে।
৮. অযুর পানি পবিত্র ও জায়েয পন্থায় সংগৃহীত হতে হবে।
৯. অযুর অঙ্গগুলোতে পানি পৌঁছুতে বাধা প্রদান করে এমন বস্তু অপসারণ করতে হবে।
১০. অযু ভঙ্গের কারণ সর্বদা পাওয়া যাচ্ছে এমন ব্যক্তির জন্য সালাতের ওয়াক্ত উপস্থিত হতে হবে।
“মূলতঃ সালাতের সময় হলেই কেবল এমন ব্যক্তিরা অযু করবে”
১. অযুকারী মুসলিম হতে হবে। অতএব, কাফির বা মুশরিক অযু করলেও তার অযু শুদ্ধ হবে না। তাই সে অযু বা গোসল করে কখনোই পবিত্র হতে পারবে না।
২. অযুকারী জ্ঞানসম্পন্ন থাকতে হবে। অতএব, পাগল ও মাতালের অযু শুদ্ধ হবে না যতক্ষণনা তাদের চেতনা ফিরে আসে।
৩. অযুকারী ভালোমন্দ ভেদাভেদজ্ঞান রাখে এমন হতে হবে। অতএব, বাচ্চাদের অযু শরী‘আতে ধর্তব্য নয়। তাদের অযু করা না করা সমান।
৪. নিয়্যাত করতে হবে। অতএব, নিয়্যাত ব্যতীত অযু গ্রহণযোগ্য হবে না।
৫. অযু শেষ হওয়া পর্যন্ত পবিত্রতা অর্জনের নিয়্যাত বহাল থাকতে হবে। অতএব, অযু চলাকালীন নিয়্যাত ভঙ্গ করলে অযু শুদ্ধ হবে না।
৬. অযু চলাকালীন অযু ভঙ্গের কোনো কারণ যেন পাওয়া না যায়। তা না হলে অযু তৎক্ষণাৎই ভেঙ্গে যাবে।
৭. অযুর পূর্বে মলমূত্র ত্যাগ করে থাকলে ঢিলাকুলুপ বা পানি দিয়ে ইস্তিঞ্জা করতে হবে।
৮. অযুর পানি পবিত্র ও জায়েয পন্থায় সংগৃহীত হতে হবে।
৯. অযুর অঙ্গগুলোতে পানি পৌঁছুতে বাধা প্রদান করে এমন বস্তু অপসারণ করতে হবে।
১০. অযু ভঙ্গের কারণ সর্বদা পাওয়া যাচ্ছে এমন ব্যক্তির জন্য সালাতের ওয়াক্ত উপস্থিত হতে হবে।
“মূলতঃ সালাতের সময় হলেই কেবল এমন ব্যক্তিরা অযু করবে”
অযু করার সময় মিসওয়াক করা সুন্নাত।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِيْ لأَمَرْتُهُمْ بِالسِّوَاكِ عِنْدَ كُلِّ وُضُوْءٍ» .
“আমার উম্মতের জন্য আদেশটি মানা যদি কষ্টকর না হতো তাহলে আমি ওদেরকে প্রত্যেক অযুর সময় মিসওয়াক করতে আদেশ করতাম”। [মালিক ১১৫।]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِيْ لأَمَرْتُهُمْ بِالسِّوَاكِ عِنْدَ كُلِّ وُضُوْءٍ» .
“আমার উম্মতের জন্য আদেশটি মানা যদি কষ্টকর না হতো তাহলে আমি ওদেরকে প্রত্যেক অযুর সময় মিসওয়াক করতে আদেশ করতাম”। [মালিক ১১৫।]
আব্দুল্লাহ ইবন যায়েদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«أُتِيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم بِثُلُثَيْ مُدٍّ فَجَعَلَ يَدْلُكُ ذِرَاعَهُ» .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এক মুদ (দু’ করতলভর্তি সমপরিমাণ) এর দু’ তৃতীয়াংশ পানি আনা হলে তিনি তা দিয়ে নিজ হস্ত মর্দন করেন”। [ইবন খুযাইমা, হাদীস নং ১১৮।]
«أُتِيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم بِثُلُثَيْ مُدٍّ فَجَعَلَ يَدْلُكُ ذِرَاعَهُ» .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এক মুদ (দু’ করতলভর্তি সমপরিমাণ) এর দু’ তৃতীয়াংশ পানি আনা হলে তিনি তা দিয়ে নিজ হস্ত মর্দন করেন”। [ইবন খুযাইমা, হাদীস নং ১১৮।]
১২৬
৪. অযুর প্রতিটি অঙ্গ তিন তিন বার ধোয়া। কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অযুর অঙ্গগুলো বেশির ভাগ সময় তিন তিন বার ধুয়েছেন। তেমনিভাবে তিনি কখনো অযুর অঙ্গগুলো দু’ দু’বার আবার কখনো এক একবার এবং কখনো কোনো অঙ্গ দু’বার আবার কোনো অঙ্গ তিনবার ধুয়েছেন। এ সম্পর্কীয় সকল হাদীস পূর্বে উল্লিখিত হয়েছে।
৫. অযুর শেষে দো‘আ পড়া।এ সম্পর্কীয় হাদীস পূর্বে উল্লিখিত হয়েছে।
অতএব, উত্তম পন্থা হচ্ছে ; বাড়াবাড়ি ছাড়া প্রতিটি অঙ্গ তিন তিনবার ধোয়া। চাই তা অযুর মধ্যে হোক বা গোসলে।
‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم يَغْتَسِلُ مِنْ إِنَاءٍ – هُوَالْفَرَقُ - مِنَ الْـجَنَابَةِ، قَالَ سُفْيَانُ : وَالْفَرَقُ ثَلاَثَةُ آصُعٍ» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন সা’ তথা সাড়ে সাথ লিটার সমপরিমাণ পানি দিয়ে ফরয গোসল করতেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৫০ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩১৯।]
আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم يَتَوَضَّأُ بِالْـمُدِّ وَيَغْتَسِلُ بِالصَّاعِ إِلَى خَمْسَةِ أَمْدَادٍ» .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক মুদ দিয়ে অযু এবং চার বা পাঁচ মুদ দিয়ে গোসল করতেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২০১ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩২৫।]
‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«كَانَتْ تَغْتَسِلُ هِيَ وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم فِيْ إِنَاءٍ وَاحِدٍ يَسَعُ ثَلاَثَةَ أَمْدَادٍ أَوْ قَرِيْبًا مِنْ ذَلِكَ» .
“তিনি ও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কমবেশি তিন মুদ পানি দিয়ে একত্রে গোসল করতেন”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩২১।]
উম্মে উমারাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«تَوَضَّأَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم فَأُتِيَ بِإِنَاءٍ فِيْهِ مَاءٌ قَدْرُ ثُلُثَيِ الْـمُدِّ» .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এক মুদের দু’ তৃতীয়াংশ পানি আনা হলে তিনি তা দিয়ে অযু করেন”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৯৪।]
এ হাদীসগুলো থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, ভালোভাবে অযু করতে হবে ঠিকই তবে পানি ব্যবহারে কোনো ধরণের বাড়াবাড়ি করা যাবে না।
আব্দুল্লাহ ইবন ‘আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«بِتُّ عِنْدَ خَالَتِيْ مَيْمُوْنَةَ لَيْلَةً، فَلَمَّا كَانَ فِيْ بَعْضِ اللَّيْلِ قَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم فَتَوَضَّأَ مِنْ شَنٍّ مُعَلَّقٍ وُضُوْءًا خَفِيْفًا وَقَامَ يُصَلَّيْ» .
“একদা আমি আমার খালা মাইমূনাহ্ রাদিয়াল্লাহু আনহার নিকট রাত্রিযাপন করেছিলাম। রাত্রের কিছু অংশ পেরিয়ে গেলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুম থেকে জেগে টাঙ্গানো এক পুরাতন মশক থেকে পানি নিয়ে হালকাভাবে অযু করে সালাতের জন্য দাঁড়িয়ে যান”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৩৮।]
‘আমর ইবন শু‘আইব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার দাদা বলেছেন:
«جَاءَ أَعْرَابِيٌّ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَسْأَلُهُ عَنِ الْوُضُوْءِ فَأَرَاهُ الْوُضُـوْءَ ثَلاَثًا ثَلاَثًا، ثُمَّ قَالَ : هَكَذَا الْوُضُوْءُ، فَمَنْ زَادَ عَلَى هَذَا فَقَدْ أَسَاءَ وَتَعَدَّى وَظَلَمَ» .
“জনৈক গ্রাম্য সাহাবী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অযু সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি তাকে প্রতিটি অঙ্গ তিন তিন বার ধুয়ে অযু করে দেখিয়েছেন। এর পর বললেন: এভাবেই অযু করতে হয়। যে ব্যক্তি এ ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করল সে যেন অন্যায়, সীমাতিক্রম ও নিজের উপর অত্যাচার করল”। [নাসাঈ, হাদীস নং ১৪০ ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৪২৮।]
আব্দুল্লাহ ইবন মুগাফ্ফাল রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি:
«إِنَّهُ سَيَكُوْنُ فِيْ هَذِهِ الأُمَّةِ قَوْمٌ يَعْتَدُوْنَ فِي الطُّهُوْرِ وَالدُّعَاءِ» .
“আমার উম্মতের মধ্যে এমন এক সম্প্রদায় জন্ম নিবে যারা পবিত্রতা ও দো‘আর ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করবে”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৯৬।]
‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم يَغْتَسِلُ مِنْ إِنَاءٍ – هُوَالْفَرَقُ - مِنَ الْـجَنَابَةِ، قَالَ سُفْيَانُ : وَالْفَرَقُ ثَلاَثَةُ آصُعٍ» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন সা’ তথা সাড়ে সাথ লিটার সমপরিমাণ পানি দিয়ে ফরয গোসল করতেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৫০ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩১৯।]
আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم يَتَوَضَّأُ بِالْـمُدِّ وَيَغْتَسِلُ بِالصَّاعِ إِلَى خَمْسَةِ أَمْدَادٍ» .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক মুদ দিয়ে অযু এবং চার বা পাঁচ মুদ দিয়ে গোসল করতেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২০১ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩২৫।]
‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«كَانَتْ تَغْتَسِلُ هِيَ وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم فِيْ إِنَاءٍ وَاحِدٍ يَسَعُ ثَلاَثَةَ أَمْدَادٍ أَوْ قَرِيْبًا مِنْ ذَلِكَ» .
“তিনি ও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কমবেশি তিন মুদ পানি দিয়ে একত্রে গোসল করতেন”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩২১।]
উম্মে উমারাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«تَوَضَّأَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم فَأُتِيَ بِإِنَاءٍ فِيْهِ مَاءٌ قَدْرُ ثُلُثَيِ الْـمُدِّ» .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এক মুদের দু’ তৃতীয়াংশ পানি আনা হলে তিনি তা দিয়ে অযু করেন”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৯৪।]
এ হাদীসগুলো থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, ভালোভাবে অযু করতে হবে ঠিকই তবে পানি ব্যবহারে কোনো ধরণের বাড়াবাড়ি করা যাবে না।
আব্দুল্লাহ ইবন ‘আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«بِتُّ عِنْدَ خَالَتِيْ مَيْمُوْنَةَ لَيْلَةً، فَلَمَّا كَانَ فِيْ بَعْضِ اللَّيْلِ قَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم فَتَوَضَّأَ مِنْ شَنٍّ مُعَلَّقٍ وُضُوْءًا خَفِيْفًا وَقَامَ يُصَلَّيْ» .
“একদা আমি আমার খালা মাইমূনাহ্ রাদিয়াল্লাহু আনহার নিকট রাত্রিযাপন করেছিলাম। রাত্রের কিছু অংশ পেরিয়ে গেলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুম থেকে জেগে টাঙ্গানো এক পুরাতন মশক থেকে পানি নিয়ে হালকাভাবে অযু করে সালাতের জন্য দাঁড়িয়ে যান”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৩৮।]
‘আমর ইবন শু‘আইব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার দাদা বলেছেন:
«جَاءَ أَعْرَابِيٌّ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَسْأَلُهُ عَنِ الْوُضُوْءِ فَأَرَاهُ الْوُضُـوْءَ ثَلاَثًا ثَلاَثًا، ثُمَّ قَالَ : هَكَذَا الْوُضُوْءُ، فَمَنْ زَادَ عَلَى هَذَا فَقَدْ أَسَاءَ وَتَعَدَّى وَظَلَمَ» .
“জনৈক গ্রাম্য সাহাবী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অযু সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি তাকে প্রতিটি অঙ্গ তিন তিন বার ধুয়ে অযু করে দেখিয়েছেন। এর পর বললেন: এভাবেই অযু করতে হয়। যে ব্যক্তি এ ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করল সে যেন অন্যায়, সীমাতিক্রম ও নিজের উপর অত্যাচার করল”। [নাসাঈ, হাদীস নং ১৪০ ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৪২৮।]
আব্দুল্লাহ ইবন মুগাফ্ফাল রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি:
«إِنَّهُ سَيَكُوْنُ فِيْ هَذِهِ الأُمَّةِ قَوْمٌ يَعْتَدُوْنَ فِي الطُّهُوْرِ وَالدُّعَاءِ» .
“আমার উম্মতের মধ্যে এমন এক সম্প্রদায় জন্ম নিবে যারা পবিত্রতা ও দো‘আর ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করবে”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৯৬।]
বায়ু, বীর্য, মযী, ওদী, ঋতুস্রাব, নিফাস ইত্যাদি এরই অন্তর্ভুক্ত। এ সকল বস্তু মল বা মূত্রদ্বার দিয়ে বের হলে অযু ইবনষ্ট হয়ে যায়।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿أَوۡ جَآءَ أَحَدٞ مِّنكُم مِّنَ ٱلۡغَآئِطِ أَوۡ لَٰمَسۡتُمُ ٱلنِّسَآءَ فَلَمۡ تَجِدُواْ مَآءٗ فَتَيَمَّمُواْ صَعِيدٗا طَيِّبٗا﴾ [ المائدة : ٦ ]
“তোমাদের কেউ শৌচাগার থেকে মলমূত্র ত্যাগ করে আসলে অথবা স্ত্রী সহবাস করলে (পানি পেলে অযু বা গোসল করে নিবে) অতঃপর পানি না পেলে পবিত্র মাটি দিয়ে তায়াম্মুম করবে”। [সূরা আল-মায়েদাহ, আায়াত: ৬]
সাফওয়ান ইবন ‘আস্সাল রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم يَأْمُرُنَا إِذَا كُنَّا سَفْرًا أَنْ لاَ نَنْزِعَ خِفَافَنَا ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ وَلَيَالِيْهِنَّ إِلاَّ مِنْ جَنَابَةٍ ؛ وَلَكِنْ مِنْ غَائِطٍ وَبَوْلٍ وَنَوْمٍ» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে সফরে রওয়ানা করলে তিনি আমাদেরকে তিন দিন তিন রাত পর্যন্ত মলমূত্র ত্যাগ বা ঘুম যাওয়ার কারণে মোজা না খুলতে আদেশ করতেন। বরং মোজার উপর মাসাহ করতে বলতেন। তবে শুধু জানাবাতের গোসলের জন্য মোজা খুলতে বলতেন”। [তিরমিযী, হাদীস নং ৯৬ ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৪৮৩।]
‘আববাদ ইবন তামীম রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার চাচা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট অভিযোগ করলেন যে, কারো কারোর ধারণা হয় সালাতের মধ্যে অযু নষ্ট হয়েছে বলে। তখন তাকে কি করতে হবে? তিনি বললেন:
«لاَ يَنْصَرِفُ حَتَّى يَسْمَعَ صَوْتًا أَوْ يَجِدَ رِيْحًا» .
“সে সালাত ছেড়ে দিবে না যতক্ষণ না সে বায়ু নির্গমনধ্বনি বা দুর্গন্ধ পায়”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৩৭ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৬১ ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৫১৯।]
মিকদাদ ইবন আসওয়াদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মযী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِذَا وَجَدَ أَحَدُكُمْ ذَلِكَ فَلْيَنْضَحْ فَرْجَهُ وَلْيَتَوَضَّأْ وُضُوْءَهُ لِلصَّلاَةِ، وَفِيْ رِوَايَةٍ : يَغْسِلُ ذَكَرَهُ وَيَتَوَضَّأُ» .
“তোমাদের কারোর এমন হলে সে তার লজ্জাস্থান ধুয়ে সালাতের অযুর ন্যায় অযু করে নিবে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৩২, ১৭৮, ২৬৯ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩০৩ আবু দাউদ, হাদীস নং ২০৬, ২০৭।]
ইস্তিহাযা হলেও অযু করতে হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফাতিমা বিনতে আবু হুবাইশ রাদিয়াল্লাহু আনহা কে তার ইস্তিহাযা হলে বলেন,
«ثُمَّ تَوَضَّئِيْ لِكُلِّ صَلاَةٍ» .
“অতঃপর প্রতি সালাতের জন্য অযু করবে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২২৮।]
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿أَوۡ جَآءَ أَحَدٞ مِّنكُم مِّنَ ٱلۡغَآئِطِ أَوۡ لَٰمَسۡتُمُ ٱلنِّسَآءَ فَلَمۡ تَجِدُواْ مَآءٗ فَتَيَمَّمُواْ صَعِيدٗا طَيِّبٗا﴾ [ المائدة : ٦ ]
“তোমাদের কেউ শৌচাগার থেকে মলমূত্র ত্যাগ করে আসলে অথবা স্ত্রী সহবাস করলে (পানি পেলে অযু বা গোসল করে নিবে) অতঃপর পানি না পেলে পবিত্র মাটি দিয়ে তায়াম্মুম করবে”। [সূরা আল-মায়েদাহ, আায়াত: ৬]
সাফওয়ান ইবন ‘আস্সাল রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم يَأْمُرُنَا إِذَا كُنَّا سَفْرًا أَنْ لاَ نَنْزِعَ خِفَافَنَا ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ وَلَيَالِيْهِنَّ إِلاَّ مِنْ جَنَابَةٍ ؛ وَلَكِنْ مِنْ غَائِطٍ وَبَوْلٍ وَنَوْمٍ» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে সফরে রওয়ানা করলে তিনি আমাদেরকে তিন দিন তিন রাত পর্যন্ত মলমূত্র ত্যাগ বা ঘুম যাওয়ার কারণে মোজা না খুলতে আদেশ করতেন। বরং মোজার উপর মাসাহ করতে বলতেন। তবে শুধু জানাবাতের গোসলের জন্য মোজা খুলতে বলতেন”। [তিরমিযী, হাদীস নং ৯৬ ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৪৮৩।]
‘আববাদ ইবন তামীম রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার চাচা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট অভিযোগ করলেন যে, কারো কারোর ধারণা হয় সালাতের মধ্যে অযু নষ্ট হয়েছে বলে। তখন তাকে কি করতে হবে? তিনি বললেন:
«لاَ يَنْصَرِفُ حَتَّى يَسْمَعَ صَوْتًا أَوْ يَجِدَ رِيْحًا» .
“সে সালাত ছেড়ে দিবে না যতক্ষণ না সে বায়ু নির্গমনধ্বনি বা দুর্গন্ধ পায়”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৩৭ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৬১ ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৫১৯।]
মিকদাদ ইবন আসওয়াদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মযী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِذَا وَجَدَ أَحَدُكُمْ ذَلِكَ فَلْيَنْضَحْ فَرْجَهُ وَلْيَتَوَضَّأْ وُضُوْءَهُ لِلصَّلاَةِ، وَفِيْ رِوَايَةٍ : يَغْسِلُ ذَكَرَهُ وَيَتَوَضَّأُ» .
“তোমাদের কারোর এমন হলে সে তার লজ্জাস্থান ধুয়ে সালাতের অযুর ন্যায় অযু করে নিবে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৩২, ১৭৮, ২৬৯ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩০৩ আবু দাউদ, হাদীস নং ২০৬, ২০৭।]
ইস্তিহাযা হলেও অযু করতে হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফাতিমা বিনতে আবু হুবাইশ রাদিয়াল্লাহু আনহা কে তার ইস্তিহাযা হলে বলেন,
«ثُمَّ تَوَضَّئِيْ لِكُلِّ صَلاَةٍ» .
“অতঃপর প্রতি সালাতের জন্য অযু করবে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২২৮।]
বিশুদ্ধ মতে গভীর নিদ্রায় অযু ভেঙ্গে যায়। এ ব্যাপারে সাফ্ওয়ান ইবন ‘আস্সালের হাদীস পূর্বে উল্লিখিত হয়েছে।
‘আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«وِكَاءُ السَّهِ الْعَيْنَانِ، فَمَنْ نَامَ فَلْيَتَوَضَّأْ» .
“চক্ষুদ্বয় গুহ্যদ্বারের পাহারাদার। অতএব, যে ব্যক্তি ঘুমাবে তাকে অবশ্যই অযু করতে হবে”। [আবু দাউদ ২০৩; ইবন মাজাহ ৪৮২।]
এ ছাড়া উন্মাদনা, সংজ্ঞাহীনতা ও মত্ততা ইত্যাদির কারণে চেতনাশূন্যতা দেখা দিলেও সকল আলেমের ঐকমত্যে অযু ভেঙ্গে যাবে।
‘আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«وِكَاءُ السَّهِ الْعَيْنَانِ، فَمَنْ نَامَ فَلْيَتَوَضَّأْ» .
“চক্ষুদ্বয় গুহ্যদ্বারের পাহারাদার। অতএব, যে ব্যক্তি ঘুমাবে তাকে অবশ্যই অযু করতে হবে”। [আবু দাউদ ২০৩; ইবন মাজাহ ৪৮২।]
এ ছাড়া উন্মাদনা, সংজ্ঞাহীনতা ও মত্ততা ইত্যাদির কারণে চেতনাশূন্যতা দেখা দিলেও সকল আলেমের ঐকমত্যে অযু ভেঙ্গে যাবে।
বুসরা বিনতে সাফওয়ান ও জাবির রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, তারা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«مَنْ مَسَّ ذَكَرَهُ فَلْيَتَوَضَّأْ» .
“যে ব্যক্তি নিজ লিঙ্গ স্পর্শ করল সে যেন অযু করে নেয়”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ১৮১ নাসাঈ, হাদীস নং ১৬৩ তিরমিযী, হাদীস নং ৮২ ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৪৮৪, ৪৮৫।]
উম্মে হাবিবা ও আবু আইয়ূব আনসারী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, তারা বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ
«مَنْ مَسَّ فَرْجَهُ فَلْيَتَوَضَّأْ» .
“যে ব্যক্তি নিজ লজ্জাস্থান স্পর্শ করল সে যেন অযু করে নেয়”। [ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৪৮৬, ৪৮৭ ইবন হিববান ১১১৪, ১১১৫, ১১১৭।]
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِذَا أَفْضَى أَحَدُكُمْ بِيَدِهِ إِلَى فَرْجِهِ وَلَيْسَ بَيْنَهُمَا سِتْرٌ وَلاَحِجَابٌ فَلْيَتَوَضَّأْ» .
“তোমাদের কেউ কোনো আবরণ ছাড়াই নিজ লজ্জাস্থান স্পর্শ করলে সে যেন অযু করে নেয়”।
আরবীতে গুহ্যদ্বারকেও ফার্জ বলা হয়। তাই লিঙ্গ ও গুহ্যদ্বারের বিধান একই। [ইব্নু হিববান ১১১৮ মাওয়ারিদ ২১০ দারাক্বুত্বনী ৬ বায়হাকী ৬৩০।]
«مَنْ مَسَّ ذَكَرَهُ فَلْيَتَوَضَّأْ» .
“যে ব্যক্তি নিজ লিঙ্গ স্পর্শ করল সে যেন অযু করে নেয়”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ১৮১ নাসাঈ, হাদীস নং ১৬৩ তিরমিযী, হাদীস নং ৮২ ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৪৮৪, ৪৮৫।]
উম্মে হাবিবা ও আবু আইয়ূব আনসারী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, তারা বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ
«مَنْ مَسَّ فَرْجَهُ فَلْيَتَوَضَّأْ» .
“যে ব্যক্তি নিজ লজ্জাস্থান স্পর্শ করল সে যেন অযু করে নেয়”। [ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৪৮৬, ৪৮৭ ইবন হিববান ১১১৪, ১১১৫, ১১১৭।]
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِذَا أَفْضَى أَحَدُكُمْ بِيَدِهِ إِلَى فَرْجِهِ وَلَيْسَ بَيْنَهُمَا سِتْرٌ وَلاَحِجَابٌ فَلْيَتَوَضَّأْ» .
“তোমাদের কেউ কোনো আবরণ ছাড়াই নিজ লজ্জাস্থান স্পর্শ করলে সে যেন অযু করে নেয়”।
আরবীতে গুহ্যদ্বারকেও ফার্জ বলা হয়। তাই লিঙ্গ ও গুহ্যদ্বারের বিধান একই। [ইব্নু হিববান ১১১৮ মাওয়ারিদ ২১০ দারাক্বুত্বনী ৬ বায়হাকী ৬৩০।]
বারা’ ইবন ‘আযিব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«سُئِلَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم عَنِ الْوُضُوْءِ مِنْ لُـحُـوْمِ الإِبِلِ؟ فَقَالَ : تَوَضَّؤُوْا مِنْهَا، وَسُئِلَ عَنْ لُحُوْمِ الْغَنَمِ؟ فَقَالَ : لاَ تَوَضَّؤُوْا مِنْهَا» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে উটের গোশত খেয়ে অযু করতে হবে কিনা এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, উটের গোশত খেলে অযু করতে হবে। তেমনিভাবে তাঁকে ছাগলের গোশত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ছাগলের গোশত খেলে অযু করতে হবে না”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ১৮৪ ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৪৯৯।]
«سُئِلَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم عَنِ الْوُضُوْءِ مِنْ لُـحُـوْمِ الإِبِلِ؟ فَقَالَ : تَوَضَّؤُوْا مِنْهَا، وَسُئِلَ عَنْ لُحُوْمِ الْغَنَمِ؟ فَقَالَ : لاَ تَوَضَّؤُوْا مِنْهَا» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে উটের গোশত খেয়ে অযু করতে হবে কিনা এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, উটের গোশত খেলে অযু করতে হবে। তেমনিভাবে তাঁকে ছাগলের গোশত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ছাগলের গোশত খেলে অযু করতে হবে না”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ১৮৪ ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৪৯৯।]
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَمَن يَكۡفُرۡ بِٱلۡإِيمَٰنِ فَقَدۡ حَبِطَ عَمَلُهُۥ وَهُوَ فِي ٱلۡأٓخِرَةِ مِنَ ٱلۡخَٰسِرِينَ﴾ [ المائدة : ٥ ]
“যে ব্যক্তি ঈমান আনার পর কুফরি করবে তার আমল নিষ্ফল হয়ে যাবে এবং সে পরকালে সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হবে”। [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৫]
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,
﴿لَئِنۡ أَشۡرَكۡتَ لَيَحۡبَطَنَّ عَمَلُكَ﴾ [ الزمر : ٦٥ ]
“আপনি যদি শির্ক করেন তাহলে আপনার সকল কর্ম নিষ্ফল হয়ে যাবে”। [সূরা আয-যুমার, আয়াত: ৬৫]
﴿وَمَن يَكۡفُرۡ بِٱلۡإِيمَٰنِ فَقَدۡ حَبِطَ عَمَلُهُۥ وَهُوَ فِي ٱلۡأٓخِرَةِ مِنَ ٱلۡخَٰسِرِينَ﴾ [ المائدة : ٥ ]
“যে ব্যক্তি ঈমান আনার পর কুফরি করবে তার আমল নিষ্ফল হয়ে যাবে এবং সে পরকালে সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হবে”। [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৫]
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,
﴿لَئِنۡ أَشۡرَكۡتَ لَيَحۡبَطَنَّ عَمَلُكَ﴾ [ الزمر : ٦٥ ]
“আপনি যদি শির্ক করেন তাহলে আপনার সকল কর্ম নিষ্ফল হয়ে যাবে”। [সূরা আয-যুমার, আয়াত: ৬৫]
শরীরের কোনো স্থান থেকে রক্ত বের হলে অযু নষ্ট হবে না।
জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«خَرَجْنَا مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم فِيْ غَزْوَةِ ذَاتِ الرِّقَاعِ، فَأَصَابَ رَجُلٌ اِمْرَأَةَ رَجُلٍ مِنَ الْـمُشْرِكِيْنَ، فَحَلَفَ أَنْ لاَ أَنْتَهِيَ حَتَّى أُهْرِيْقَ دَمًا فِيْ أَصْحَابِ مُحَمَّدٍ، فَخَرَجَ يَتْبَعُ أَثَرَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم فَنَزَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم مَنْزِلًا، فَقَالَ : مَنْ رَجُلٌ يَكْلَؤُنَا؟ فَانْتَدَبَ رَجُلٌ مِنَ الْـمُهَاجِرِيْنَ وَرَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ، فَقَالَ : كُوْنَا بِفَمِ الشِّعْبِ قَالَ : فَلَمَّا خَرَجَ الرَّجُلاَنِ إِلَى فَمِ الشِّعْبِ اِضْطَجَعَ الْـمُهَاجِرِيُّ، وَقَامَ الأَنْصَارِيُّ يُصَلِّي، وَأَتَى الرَّجُلُ، فَلَمَّا رَأَى شَخْصَهُ عَرَفَ أَنَّهُ رَبِيْئَةٌ لِلْقَوْمِ فَرَمَاهُ بِسَهْمٍ فَوَضَعَهُ فِيْهِ فَنَزَعَـهُ، حَتَّى رَمَاهُ بِثَلاَثَةِ أَسْهُمٍ، ثُمَّ رَكَعَ وَسَجَـدَ، ثُمَّ انْتَبَهَ صَاحِبُهُ، فَلَمَّا عَرَفَ أَنَّهُمْ قَدْ نَذِرُوْا بِهِ هَرَبَ، وَلَمَّا رَأَى الْـمُهَاجِرِيُّ مَا بِالأَنْصَارِيِّ مِنَ الدَّمِ قَالَ : سُبْحَانَ اللهِ ! أَلاَ أَنْبَهْتَنِيْ أَوَّلَ مَا رَمَى؟ قَالَ : كُنْتُ فِيْ سُوْرَةٍ أَقْرَأُهَا، فَلَمْ أُحِبَّ أَنْ أَقْطَعَهَا» .
“আমরা রাসূল এর সাথে যাতুর্ রিকা’ যুদ্ধে গিয়েছিলাম। অতঃপর জনৈক সাহাবী জনৈক মুশরিকের স্ত্রীকে আঘাত করলে মুশরিকটি কসম করে বসে এ কথা বলে যে, সাহাবীদের রক্ত প্রবাহিত না করা পর্যন্ত আমি কখনো ক্ষান্ত হবো না। এতটুকু বলেই সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পিছু নিয়েছে। ইতোমধ্যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনো এক গুহায় অবস্থান নিয়ে বললেন: তোমরা কে আছো আমাদের পাহারাদারী করবে? মুহূর্তেই জনৈক মুহাজির ও জনৈক আনসারী এ কাজের জন্য প্রস্ত্তত হয়ে গেল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: তোমরা উভয়ে গুহার মুখে অবস্থান কর। তারা উভয়ে গুহার মুখে পৌঁছলে মুহাজির সাহাবী ঘুমিয়ে পড়েন এবং আনসারী সাহাবী সালাত পড়তে শুরু করেন। ইতোমধ্যে মুশরিকটি পৌঁছল। সে আনসারী সাহাবীকে দেখেই বুঝতে পারল যে, সে পাহারাদার। তাই সে সাহাবীকে লক্ষ্য করে পাকা হাতে একটি তীর ছুঁড়তেই তা সাহাবীর শরীরে বিঁধে গেল। তবে বীর সাহাবী তীরটি হাতে টেনে খুলে ফেলতে সক্ষম হলেন। এমনকি মুশরিকটি তাকে তিনটি তীর মারতে সক্ষম হয়। অতঃপর তিনি দ্রুত রুকু সাজদাহ আদায় করেন। ইতোমধ্যে মুহাজির সাহাবী জেগে যান। মুশরিকটি সাহাবীদ্বয় তার অবস্থান সম্পর্কে অবগত হয়েছে বুঝতে পেরে দ্রুত পালিয়ে যায়। তখন মুহাজির সাহাবী আনসারী সাহাবীর গায়ে রক্ত দেখে বললেন: আশ্চর্য! প্রথম তীরের আঘাতের পরপরই আমাকে জাগালে না কেন? আনসারী বললেন: আমি একটি সূরাহ পড়ায় মগ্ন ছিলাম। তাই তা মাঝ পথে বন্ধ করে দেওয়া পছন্দ করি নি”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ১৯৮।]
এমন হতে পারে না যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ সম্পর্কে কিছুই জানেন নি অথবা জেনে থাকলেও রক্ত বের হলে যে অযু চলে যায় তা তাকে বলে দেন নি বা বলে থাকলেও তা আমাদের নিকট এখনো পৌঁছেনি। এ থেকে আমরা বুঝতে পারলাম যে, শরীর থেকে রক্ত নির্গমন অযু ভঙ্গ করে না।
জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«خَرَجْنَا مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم فِيْ غَزْوَةِ ذَاتِ الرِّقَاعِ، فَأَصَابَ رَجُلٌ اِمْرَأَةَ رَجُلٍ مِنَ الْـمُشْرِكِيْنَ، فَحَلَفَ أَنْ لاَ أَنْتَهِيَ حَتَّى أُهْرِيْقَ دَمًا فِيْ أَصْحَابِ مُحَمَّدٍ، فَخَرَجَ يَتْبَعُ أَثَرَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم فَنَزَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم مَنْزِلًا، فَقَالَ : مَنْ رَجُلٌ يَكْلَؤُنَا؟ فَانْتَدَبَ رَجُلٌ مِنَ الْـمُهَاجِرِيْنَ وَرَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ، فَقَالَ : كُوْنَا بِفَمِ الشِّعْبِ قَالَ : فَلَمَّا خَرَجَ الرَّجُلاَنِ إِلَى فَمِ الشِّعْبِ اِضْطَجَعَ الْـمُهَاجِرِيُّ، وَقَامَ الأَنْصَارِيُّ يُصَلِّي، وَأَتَى الرَّجُلُ، فَلَمَّا رَأَى شَخْصَهُ عَرَفَ أَنَّهُ رَبِيْئَةٌ لِلْقَوْمِ فَرَمَاهُ بِسَهْمٍ فَوَضَعَهُ فِيْهِ فَنَزَعَـهُ، حَتَّى رَمَاهُ بِثَلاَثَةِ أَسْهُمٍ، ثُمَّ رَكَعَ وَسَجَـدَ، ثُمَّ انْتَبَهَ صَاحِبُهُ، فَلَمَّا عَرَفَ أَنَّهُمْ قَدْ نَذِرُوْا بِهِ هَرَبَ، وَلَمَّا رَأَى الْـمُهَاجِرِيُّ مَا بِالأَنْصَارِيِّ مِنَ الدَّمِ قَالَ : سُبْحَانَ اللهِ ! أَلاَ أَنْبَهْتَنِيْ أَوَّلَ مَا رَمَى؟ قَالَ : كُنْتُ فِيْ سُوْرَةٍ أَقْرَأُهَا، فَلَمْ أُحِبَّ أَنْ أَقْطَعَهَا» .
“আমরা রাসূল এর সাথে যাতুর্ রিকা’ যুদ্ধে গিয়েছিলাম। অতঃপর জনৈক সাহাবী জনৈক মুশরিকের স্ত্রীকে আঘাত করলে মুশরিকটি কসম করে বসে এ কথা বলে যে, সাহাবীদের রক্ত প্রবাহিত না করা পর্যন্ত আমি কখনো ক্ষান্ত হবো না। এতটুকু বলেই সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পিছু নিয়েছে। ইতোমধ্যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনো এক গুহায় অবস্থান নিয়ে বললেন: তোমরা কে আছো আমাদের পাহারাদারী করবে? মুহূর্তেই জনৈক মুহাজির ও জনৈক আনসারী এ কাজের জন্য প্রস্ত্তত হয়ে গেল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: তোমরা উভয়ে গুহার মুখে অবস্থান কর। তারা উভয়ে গুহার মুখে পৌঁছলে মুহাজির সাহাবী ঘুমিয়ে পড়েন এবং আনসারী সাহাবী সালাত পড়তে শুরু করেন। ইতোমধ্যে মুশরিকটি পৌঁছল। সে আনসারী সাহাবীকে দেখেই বুঝতে পারল যে, সে পাহারাদার। তাই সে সাহাবীকে লক্ষ্য করে পাকা হাতে একটি তীর ছুঁড়তেই তা সাহাবীর শরীরে বিঁধে গেল। তবে বীর সাহাবী তীরটি হাতে টেনে খুলে ফেলতে সক্ষম হলেন। এমনকি মুশরিকটি তাকে তিনটি তীর মারতে সক্ষম হয়। অতঃপর তিনি দ্রুত রুকু সাজদাহ আদায় করেন। ইতোমধ্যে মুহাজির সাহাবী জেগে যান। মুশরিকটি সাহাবীদ্বয় তার অবস্থান সম্পর্কে অবগত হয়েছে বুঝতে পেরে দ্রুত পালিয়ে যায়। তখন মুহাজির সাহাবী আনসারী সাহাবীর গায়ে রক্ত দেখে বললেন: আশ্চর্য! প্রথম তীরের আঘাতের পরপরই আমাকে জাগালে না কেন? আনসারী বললেন: আমি একটি সূরাহ পড়ায় মগ্ন ছিলাম। তাই তা মাঝ পথে বন্ধ করে দেওয়া পছন্দ করি নি”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ১৯৮।]
এমন হতে পারে না যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ সম্পর্কে কিছুই জানেন নি অথবা জেনে থাকলেও রক্ত বের হলে যে অযু চলে যায় তা তাকে বলে দেন নি বা বলে থাকলেও তা আমাদের নিকট এখনো পৌঁছেনি। এ থেকে আমরা বুঝতে পারলাম যে, শরীর থেকে রক্ত নির্গমন অযু ভঙ্গ করে না।
সালাতে কারোর অযু ইবনষ্ট হলে সে নাকে হাত রেখে সালাতের কাতার থেকে বের হয়ে পুনরায় অযু করে সালাত আদায় করবে।
‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِذَا أَحْدَثَ أَحَدُكُمْ فِيْ صَلاَتِهِ ؛ فَلْيَأْخُذْ بِأَنْفِهِ ثُمَّ لِيَنْصَرِفْ» .
“সালাতে তোমাদের কারোর অযু বিনষ্ট হলে সে নিজের নাকের উপর হাত রেখে সালাত থেকে বের হয়ে যাবে”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ১১১৪।]
‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِذَا أَحْدَثَ أَحَدُكُمْ فِيْ صَلاَتِهِ ؛ فَلْيَأْخُذْ بِأَنْفِهِ ثُمَّ لِيَنْصَرِفْ» .
“সালাতে তোমাদের কারোর অযু বিনষ্ট হলে সে নিজের নাকের উপর হাত রেখে সালাত থেকে বের হয়ে যাবে”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ১১১৪।]
যিকির ও দো‘আর জন্য অযু করা মুস্তাহাব।
আবু মূসা ‘আশ‘আরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন আমি আবু ‘আমেরকে দেওয়া ওয়াদানুযায়ী তার পক্ষ থেকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট সালাম, আল্লাহর নিকট তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন ও তার শাহাদাত সংবাদ পৌঁছালাম তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পানি আনতে বললেন। পানি আনা হলে তিনি দু’হাত উঁচিয়ে বললেন:
«اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِعُبَيْدٍ أَبِيْ عَامِرٍ وَرَأَيْتُ بَيَاضَ إِبْطَيْهِ، ثُمَّ قَالَ : اللَّهُمَّ اجْعَلْهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَوْقَ كَثِيْرٍ مِنْ خَلْقِكَ مِنَ النَّاسِ» .
“হে আল্লাহ! আপনি উবাইদ আবু ‘আমেরকে ক্ষমা করে দিন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাত খানা খুব উচিয়ে দো‘আ করেন। এমনকি তার বগলের শুভ্রতাও তখন দেখা যাচ্ছিল। অতঃপর তিনি দো‘আয় আরো বললেন: হে আল্লাহ! আপনি তাকে কিয়ামতের দিবসে অনেক মানুষের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করুন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৪৩২৩; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৪৯৮।]
আবু মূসা ‘আশ‘আরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন আমি আবু ‘আমেরকে দেওয়া ওয়াদানুযায়ী তার পক্ষ থেকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট সালাম, আল্লাহর নিকট তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন ও তার শাহাদাত সংবাদ পৌঁছালাম তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পানি আনতে বললেন। পানি আনা হলে তিনি দু’হাত উঁচিয়ে বললেন:
«اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِعُبَيْدٍ أَبِيْ عَامِرٍ وَرَأَيْتُ بَيَاضَ إِبْطَيْهِ، ثُمَّ قَالَ : اللَّهُمَّ اجْعَلْهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَوْقَ كَثِيْرٍ مِنْ خَلْقِكَ مِنَ النَّاسِ» .
“হে আল্লাহ! আপনি উবাইদ আবু ‘আমেরকে ক্ষমা করে দিন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাত খানা খুব উচিয়ে দো‘আ করেন। এমনকি তার বগলের শুভ্রতাও তখন দেখা যাচ্ছিল। অতঃপর তিনি দো‘আয় আরো বললেন: হে আল্লাহ! আপনি তাকে কিয়ামতের দিবসে অনেক মানুষের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করুন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৪৩২৩; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৪৯৮।]
ঘুমানোর আগে অযু করা মুস্তাহাব।
বারা’ ইবন ‘আযিব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِذَا أَتَيْتَ مَضْجَعَكَ فَتَوَضَّأْ وُضُوْءَكَ لِلصَّلاَةِ، ثُمَّ اضْطَجِعْ عَلَى شِقِّكَ الأَيْمَنِ» .
“যখন তুমি শোয়ার ইচ্ছে করবে তখন সালাতের অযুর ন্যায় অযু করবে। অতঃপর ডান কাত হয়ে শয়ন করবে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬৩১১ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৭১০।]
বারা’ ইবন ‘আযিব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِذَا أَتَيْتَ مَضْجَعَكَ فَتَوَضَّأْ وُضُوْءَكَ لِلصَّلاَةِ، ثُمَّ اضْطَجِعْ عَلَى شِقِّكَ الأَيْمَنِ» .
“যখন তুমি শোয়ার ইচ্ছে করবে তখন সালাতের অযুর ন্যায় অযু করবে। অতঃপর ডান কাত হয়ে শয়ন করবে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬৩১১ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৭১০।]
অযু ভঙ্গ হলেই অযু করা মুস্তাহাব।
বুরাইদা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«أَصْبَحَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم يَوْمًا فَدَعَا بِلاَلًا فَقَالَ : يَابِلاَلُ ! بِمَ سَبَقْتَنِيْ إِلَى الْجَنَّةِ؟ إِنَّنِيْ دَخَلْتُ الْبَارِحَةَ الـْجَنَّةَ، فَسَمِعْتُ خَشْخَشَتَكَ أَمَامِيْ فَقَالَ بِلاَلُ : يَا رَسُوْلَ اللهِ ! مَا أَذَّنْتُ قَطُّ إِلاَّ صَلَّيْتُ رَكْعَتَيْنِ، وَلاَ أَصَابَنِيْ حَدَثٌ قَطُّ إِلاَّ تَوَضَّأْتُ عِنْدَهُ» .
“একদা ভোর বেলায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেলাল রাদিয়াল্লাহু আনহু কে ডেকে বললেন: হে বেলাল! কীভাবে তুমি আমার আগে জান্নাতে পদার্পণ করলে? গত রাত্রিতে আমি জান্নাতে প্রবেশ করে আমার সম্মুখ থেকে তোমার পদধ্বনি শুনেছি। বিলাল রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন: হে রাসুল! আমি যখনই আযান দিয়েছি তখনই দু’ রাকাত সালাত পড়েছি। আর যখনই অযু নষ্ট হয়েছে তখনই অযু করেছি”। [তিরমিযী, হাদীস নং ৩৬৮৯; তারগীব, হাদীস নং ২০১।]
বুরাইদা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«أَصْبَحَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم يَوْمًا فَدَعَا بِلاَلًا فَقَالَ : يَابِلاَلُ ! بِمَ سَبَقْتَنِيْ إِلَى الْجَنَّةِ؟ إِنَّنِيْ دَخَلْتُ الْبَارِحَةَ الـْجَنَّةَ، فَسَمِعْتُ خَشْخَشَتَكَ أَمَامِيْ فَقَالَ بِلاَلُ : يَا رَسُوْلَ اللهِ ! مَا أَذَّنْتُ قَطُّ إِلاَّ صَلَّيْتُ رَكْعَتَيْنِ، وَلاَ أَصَابَنِيْ حَدَثٌ قَطُّ إِلاَّ تَوَضَّأْتُ عِنْدَهُ» .
“একদা ভোর বেলায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেলাল রাদিয়াল্লাহু আনহু কে ডেকে বললেন: হে বেলাল! কীভাবে তুমি আমার আগে জান্নাতে পদার্পণ করলে? গত রাত্রিতে আমি জান্নাতে প্রবেশ করে আমার সম্মুখ থেকে তোমার পদধ্বনি শুনেছি। বিলাল রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন: হে রাসুল! আমি যখনই আযান দিয়েছি তখনই দু’ রাকাত সালাত পড়েছি। আর যখনই অযু নষ্ট হয়েছে তখনই অযু করেছি”। [তিরমিযী, হাদীস নং ৩৬৮৯; তারগীব, হাদীস নং ২০১।]
অযু থাকাবস্থায় প্রতি ওয়াক্ত সালাতের জন্য আবারো অযু করা মুস্তাহাব।
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِيْ لأَمَرْتُهُمْ عِنْدَ كُلِّ صَلاَةٍ بِوُضُوْءٍ، وَمَعَ كُلِّ وُضُوْءٍ بِسِوَاكٍ»
“আদেশটি মানা যদি আমার উম্মতের জন্য কষ্টকর না হতো তাহলে আমি ওদেরকে প্রতি ওয়াক্ত সালাতের জন্য অযু করতে আদেশ করতাম। তেমনিভাবে প্রত্যেক অযুর সঙ্গে মিসওয়াক”। [তারগীব, হাদীস নং ২০০।]
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِيْ لأَمَرْتُهُمْ عِنْدَ كُلِّ صَلاَةٍ بِوُضُوْءٍ، وَمَعَ كُلِّ وُضُوْءٍ بِسِوَاكٍ»
“আদেশটি মানা যদি আমার উম্মতের জন্য কষ্টকর না হতো তাহলে আমি ওদেরকে প্রতি ওয়াক্ত সালাতের জন্য অযু করতে আদেশ করতাম। তেমনিভাবে প্রত্যেক অযুর সঙ্গে মিসওয়াক”। [তারগীব, হাদীস নং ২০০।]
মৃত ব্যক্তিকে কবরমুখে বহন করার পর অযু করা মুস্তাহাব।
আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«مَنْ غَسَّلَ الْـمَيِّتَ فَلْيَغْتَسِلْ، وَمَنْ حَمَلَهُ فَلْيَتَوَضَّأْ» .
“যে ব্যক্তি মৃতকে গোসল দেয় তার জন্য উচিত এই যে, সে যেন গোসল করে। আর যে ব্যক্তি মৃতকে বহন করে তার উচিত সে যেন অযু করে”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৩১৬১; তিরমিযী, হাদীস নং ৯৯৩; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ১৪৮৫।]
আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«مَنْ غَسَّلَ الْـمَيِّتَ فَلْيَغْتَسِلْ، وَمَنْ حَمَلَهُ فَلْيَتَوَضَّأْ» .
“যে ব্যক্তি মৃতকে গোসল দেয় তার জন্য উচিত এই যে, সে যেন গোসল করে। আর যে ব্যক্তি মৃতকে বহন করে তার উচিত সে যেন অযু করে”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৩১৬১; তিরমিযী, হাদীস নং ৯৯৩; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ১৪৮৫।]
বমি হলে অযু করা মুস্তাহাব।
আবু দারদা’ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«قَاءَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم فَأَفْطَرَ، فَتَوَضَّأَ» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বমি করার পর সাওম ভেঙ্গে ফেলেন। অতঃপর অযু করেন”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ২৩৮১; তিরমিযী, হাদীস নং ৮৭।]
আবু দারদা’ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«قَاءَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم فَأَفْطَرَ، فَتَوَضَّأَ» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বমি করার পর সাওম ভেঙ্গে ফেলেন। অতঃপর অযু করেন”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ২৩৮১; তিরমিযী, হাদীস নং ৮৭।]
আগুনে পাকানো কোনো খাবার খেয়ে অযু করা মুস্তাহাব।
‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«تَوَضَّؤُوْا مِمَّا مَسَّتِ النَّارُ»
“তোমরা আগুনে পাকানো খাবার খেয়ে কিন্তু অযু করবে”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৫৩।]
এর বিপরীতে আব্দুল্লাহ ইবন ‘আব্বাস, ‘আমর ইবন উমাইয়া, মাইমূনা ও আবু রাফি’ থেকে বর্ণিত, তারা বলেন,
«أَكَلَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلمكَتِفَ شَاةٍ ثُمَّ صَلَّى وَلَمْ يَتَوَضَّأ» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছাগলের উপরিস্থ মাংসল বাহুমূল খেয়ে অযু না করে সালাত পড়েছেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২০৭, ২০৮, ২১০; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৫৪, ৩৫৫, ৩৫৬, ৩৫৭।]
উক্ত আলোচনা থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, আগুনে পাকানো কোনো খাবার খেয়ে অযু করা মুস্তাহাব; ওয়াজিব নয়।
‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«تَوَضَّؤُوْا مِمَّا مَسَّتِ النَّارُ»
“তোমরা আগুনে পাকানো খাবার খেয়ে কিন্তু অযু করবে”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৫৩।]
এর বিপরীতে আব্দুল্লাহ ইবন ‘আব্বাস, ‘আমর ইবন উমাইয়া, মাইমূনা ও আবু রাফি’ থেকে বর্ণিত, তারা বলেন,
«أَكَلَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلمكَتِفَ شَاةٍ ثُمَّ صَلَّى وَلَمْ يَتَوَضَّأ» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছাগলের উপরিস্থ মাংসল বাহুমূল খেয়ে অযু না করে সালাত পড়েছেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২০৭, ২০৮, ২১০; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৫৪, ৩৫৫, ৩৫৬, ৩৫৭।]
উক্ত আলোচনা থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, আগুনে পাকানো কোনো খাবার খেয়ে অযু করা মুস্তাহাব; ওয়াজিব নয়।
জুনুবী (সহবাসের কারণে অপবিত্র) ব্যক্তি কোনো খাদ্য গ্রহণের ইচ্ছে করলে তার জন্য অযু করা মুস্তাহাব।
‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم إِذَا كَانَ جُنُبًا فَأَرَادَ أَنْ يَأْكُلَ أَوْ يَنَامَ تَوَضَّأَ وُضُوْءَهُ لِلصَّلاَةِ» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুনুবী হলে এবং তিনি ঘুমানো বা খাদ্য গ্রহণের ইচ্ছে করলে সালাতের অযুর ন্যায় অযু করতেন”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩০৫।]
‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم إِذَا كَانَ جُنُبًا فَأَرَادَ أَنْ يَأْكُلَ أَوْ يَنَامَ تَوَضَّأَ وُضُوْءَهُ لِلصَّلاَةِ» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুনুবী হলে এবং তিনি ঘুমানো বা খাদ্য গ্রহণের ইচ্ছে করলে সালাতের অযুর ন্যায় অযু করতেন”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩০৫।]
একবার স্ত্রী সহবাস করে গোসল না সেরে দ্বিতীয়বার সহবাস করতে চাইলে অযু করে নেওয়া মুস্তাহাব।
আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِذَا أَتَى أَحَدُكُمْ أَهْلَهُ ثُمَّ أَرَادَ أَنْ يَعُوْدَ فَلْيَتَوَضَّأْ»
“তোমাদের কেউ স্ত্রী সহবাস করে পুনর্বার সহবাস করতে চাইলে অযু করে নিবে”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩০৮।]
উপরন্তু প্রতিবার সহবাসের জন্য গোসল করতে হয় না। পরিশেষে শুধু একবার গোসলই যথেষ্ট।
আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم يَطُوْفُ عَلَى نِسَائِهِ بِغُسْلٍ وَاحِدٍ» .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকল বিবিদের সাথে সহবাস করে একবারই গোসল করতেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৬৮, ২৮৪, ৫০৬৮, ৫২১৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩০৯।]
আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِذَا أَتَى أَحَدُكُمْ أَهْلَهُ ثُمَّ أَرَادَ أَنْ يَعُوْدَ فَلْيَتَوَضَّأْ»
“তোমাদের কেউ স্ত্রী সহবাস করে পুনর্বার সহবাস করতে চাইলে অযু করে নিবে”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩০৮।]
উপরন্তু প্রতিবার সহবাসের জন্য গোসল করতে হয় না। পরিশেষে শুধু একবার গোসলই যথেষ্ট।
আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم يَطُوْفُ عَلَى نِسَائِهِ بِغُسْلٍ وَاحِدٍ» .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকল বিবিদের সাথে সহবাস করে একবারই গোসল করতেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৬৮, ২৮৪, ৫০৬৮, ৫২১৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩০৯।]
জুনুবী ব্যক্তি গোসল না করে শোয়ার ইচ্ছে করলে তার জন্য অযু করা মুস্তাহাব।
আবু সালামা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম :
«أَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم يَرْقُدُ وَهُوَ جُنُبٌ؟ قَالَتْ : نَعَمْ، وَيَتَوَضَّأُ» .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি জুনুবী অবস্থায় ঘুমাতেন? তিনি বললেন: হাঁ, তবে অযু করে নিতেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৮৬; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩০৫।]
আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেনঃ
«أَيَرْقُدُ أَحَدُنَا وَهُوَ جُنُبٌ؟ قَالَ : نَعَمْ، لِيَتَوَضَّأْ ثُمَّ لِيَنَمْ حَتَّى يَغْتَسِلَ إِذَا شَاءَ» .
“আমাদের কেউ জুনুবী অবস্থায় ঘুমাতে পারবে কি? তিনি বললেন: হাঁ, তবে অযু করে ঘুমাবে। পরে যখন মন চায় গোসল করে নিবে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৮৭, ২৮৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩০৬।]
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো কখনো সহবাস করে ঘুমানোর পূর্বে গোসল করে নিতেন।
আব্দুল্লাহ ইবন আবু কাইস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে জিজ্ঞাসা করলাম:
«كَيْفَ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم يَصْنَعُ فِي الْـجَنَابَةِ؟ أَكَانَ يَغْتَسِلُ قَبْلَ أَنْ يَنَامَ أَمْ يَنَامُ قَبْلَ أَنْ يَغْتَسِلَ؟ قَالَتْ : كُلُّ ذَلِكَ قَدْ كَانَ يَفْعَلُ، رُبَّمَا اغْتَسَلَ فَنَامَ، وَرُبَّمَا تَوَضَّأَ فَنَامَ، قُلْتُ : اَلْـحَمْدُ لِلّهِ الَّذِيْ جَعَلَ فِي الأَمْرِسَعَةً» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুনুবী হলে কি করতেন? ঘুমানোর আগে গোসল করতেন নাকি গোসলের আগে ঘুমাতেন। ‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, উভয়টাই করতেন। কখনো গোসল করে ঘুমাতেন। আর কখনো অযু করে ঘুমাতেন। আমি বললাম: সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্যে যিনি দীন ইসলামে সহজতা রেখেছেন”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩০৭।]
উক্ত আলোচনা থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, ঘুমানোর পূর্বে জুনুবী ব্যক্তির তিনের এক অবস্থা :
ক. জুনুবী ব্যক্তি অযু-গোসল ছাড়াই ঘুমুবে। তা সুন্নাত বহির্ভূত ও মাকরূহ।
খ. ইস্তিঞ্জা ও সালাতের অযুর ন্যায় অযু করে ঘুমুবে। এটি সুন্নাত সম্মত।
গ. অযু ও গোসল করে ঘুমুবে। এটি সুন্নাত সম্মত ও সর্বোত্তম পন্থা।
আবু সালামা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম :
«أَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم يَرْقُدُ وَهُوَ جُنُبٌ؟ قَالَتْ : نَعَمْ، وَيَتَوَضَّأُ» .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি জুনুবী অবস্থায় ঘুমাতেন? তিনি বললেন: হাঁ, তবে অযু করে নিতেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৮৬; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩০৫।]
আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেনঃ
«أَيَرْقُدُ أَحَدُنَا وَهُوَ جُنُبٌ؟ قَالَ : نَعَمْ، لِيَتَوَضَّأْ ثُمَّ لِيَنَمْ حَتَّى يَغْتَسِلَ إِذَا شَاءَ» .
“আমাদের কেউ জুনুবী অবস্থায় ঘুমাতে পারবে কি? তিনি বললেন: হাঁ, তবে অযু করে ঘুমাবে। পরে যখন মন চায় গোসল করে নিবে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৮৭, ২৮৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩০৬।]
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো কখনো সহবাস করে ঘুমানোর পূর্বে গোসল করে নিতেন।
আব্দুল্লাহ ইবন আবু কাইস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে জিজ্ঞাসা করলাম:
«كَيْفَ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم يَصْنَعُ فِي الْـجَنَابَةِ؟ أَكَانَ يَغْتَسِلُ قَبْلَ أَنْ يَنَامَ أَمْ يَنَامُ قَبْلَ أَنْ يَغْتَسِلَ؟ قَالَتْ : كُلُّ ذَلِكَ قَدْ كَانَ يَفْعَلُ، رُبَّمَا اغْتَسَلَ فَنَامَ، وَرُبَّمَا تَوَضَّأَ فَنَامَ، قُلْتُ : اَلْـحَمْدُ لِلّهِ الَّذِيْ جَعَلَ فِي الأَمْرِسَعَةً» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুনুবী হলে কি করতেন? ঘুমানোর আগে গোসল করতেন নাকি গোসলের আগে ঘুমাতেন। ‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, উভয়টাই করতেন। কখনো গোসল করে ঘুমাতেন। আর কখনো অযু করে ঘুমাতেন। আমি বললাম: সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্যে যিনি দীন ইসলামে সহজতা রেখেছেন”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩০৭।]
উক্ত আলোচনা থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, ঘুমানোর পূর্বে জুনুবী ব্যক্তির তিনের এক অবস্থা :
ক. জুনুবী ব্যক্তি অযু-গোসল ছাড়াই ঘুমুবে। তা সুন্নাত বহির্ভূত ও মাকরূহ।
খ. ইস্তিঞ্জা ও সালাতের অযুর ন্যায় অযু করে ঘুমুবে। এটি সুন্নাত সম্মত।
গ. অযু ও গোসল করে ঘুমুবে। এটি সুন্নাত সম্মত ও সর্বোত্তম পন্থা।
মোজার উপর মাসাহ করা কুরআন, হাদীস ও ইজমা’ কর্তৃক প্রমাণিত। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَٱمۡسَحُواْ بِرُءُوسِكُمۡ وَأَرۡجُلَكُمۡ إِلَى ٱلۡكَعۡبَيۡنِ﴾ [ المائدة : ٦ ]
“তোমরা মাথা ও পদযুগল টাখনু পর্যন্ত মাসাহ কর”। [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৬, লামের নিচে যেরের ক্বিরাত অনুযায়ী]
সা‘দ ইবন আবু ওয়াক্কাস, মুগীরা ইবন শো‘বা, ‘আমর ইবন উমাইয়া, জারীর, হুযাইফা রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকে বর্ণিত, তারা বলেন,
«مَسَحَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم عَلَى الخُفَّيْنِ» .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মোজা জোড়ার উপর মাসাহ করেছেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২০২।]
এ ছাড়াও কমবেশি সত্তর জন সাহাবা মোজা মাসাহ সংক্রান্ত হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে যার জন্য যা সহজ তার জন্য তাই করা উত্তম। অতএব, যে ব্যক্তি মোজা পরিধান করাবস্থায় রয়েছে এবং তার মোজায় মোজা মাসাহ’র শর্তগুলোও পাওয়া যাচ্ছে তার জন্য উচিত মোজা জোড়া না খুলে মোজার উপর মাসাহ করা। কারণ, তাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবীদের অনুসরণ ও অনুকরণ পাওয়া যাচ্ছে। আর যে ব্যক্তির পা উন্মুক্ত মোজা পরিহিতাবস্থায় নয় তার জন্য উচিত পদযুগল ধুয়ে ফেলা।
আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِنَّ اللهَ يُحِبُّ أَنْ تُؤْتَى رُخَصُهُ كَمَا يَكْرَهُ أَنْ تُؤْتَى مَعْصِيَتُهُ» .
“আল্লাহ তা‘আলা পছন্দ করেন তাঁর দেওয়া সুবিধাদি গ্রহণ করা। যেমনিভাবে তিনি অপছন্দ করেন তাঁর শানে কোনো পাপ সংঘটন করা”। [ইবন খুযাইমাহ ৯৫০, ২০২৭।]
আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ ও ‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, তারা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِنَّ اللهَ يُحِبُّ أَنْ تُقْبَلَ رُخَصُهُ كَمَا يُحِبُّ أَنْ تُؤْتَى عَزَائِمُهُ» .
“আল্লাহ তা‘আলা পছন্দ করেন তাঁর দেওয়া সুবিধাদি গ্রহণ করা। যেমনিভাবে তিনি পছন্দ করেন তাঁর দেওয়া ফরযগুলো পালন করা”। [ইবন হিব্বান ৩৫৬৮।]
﴿وَٱمۡسَحُواْ بِرُءُوسِكُمۡ وَأَرۡجُلَكُمۡ إِلَى ٱلۡكَعۡبَيۡنِ﴾ [ المائدة : ٦ ]
“তোমরা মাথা ও পদযুগল টাখনু পর্যন্ত মাসাহ কর”। [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৬, লামের নিচে যেরের ক্বিরাত অনুযায়ী]
সা‘দ ইবন আবু ওয়াক্কাস, মুগীরা ইবন শো‘বা, ‘আমর ইবন উমাইয়া, জারীর, হুযাইফা রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকে বর্ণিত, তারা বলেন,
«مَسَحَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم عَلَى الخُفَّيْنِ» .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মোজা জোড়ার উপর মাসাহ করেছেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২০২।]
এ ছাড়াও কমবেশি সত্তর জন সাহাবা মোজা মাসাহ সংক্রান্ত হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে যার জন্য যা সহজ তার জন্য তাই করা উত্তম। অতএব, যে ব্যক্তি মোজা পরিধান করাবস্থায় রয়েছে এবং তার মোজায় মোজা মাসাহ’র শর্তগুলোও পাওয়া যাচ্ছে তার জন্য উচিত মোজা জোড়া না খুলে মোজার উপর মাসাহ করা। কারণ, তাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবীদের অনুসরণ ও অনুকরণ পাওয়া যাচ্ছে। আর যে ব্যক্তির পা উন্মুক্ত মোজা পরিহিতাবস্থায় নয় তার জন্য উচিত পদযুগল ধুয়ে ফেলা।
আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِنَّ اللهَ يُحِبُّ أَنْ تُؤْتَى رُخَصُهُ كَمَا يَكْرَهُ أَنْ تُؤْتَى مَعْصِيَتُهُ» .
“আল্লাহ তা‘আলা পছন্দ করেন তাঁর দেওয়া সুবিধাদি গ্রহণ করা। যেমনিভাবে তিনি অপছন্দ করেন তাঁর শানে কোনো পাপ সংঘটন করা”। [ইবন খুযাইমাহ ৯৫০, ২০২৭।]
আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ ও ‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, তারা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِنَّ اللهَ يُحِبُّ أَنْ تُقْبَلَ رُخَصُهُ كَمَا يُحِبُّ أَنْ تُؤْتَى عَزَائِمُهُ» .
“আল্লাহ তা‘আলা পছন্দ করেন তাঁর দেওয়া সুবিধাদি গ্রহণ করা। যেমনিভাবে তিনি পছন্দ করেন তাঁর দেওয়া ফরযগুলো পালন করা”। [ইবন হিব্বান ৩৫৬৮।]
মুগীরা ইবন শো‘বা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«كُنْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِيْ سَفَرٍ، فَأَهْوَيْتُ لأَنْزِعَ خُفَّيْهِ فَقَالَ : دَعْهُمَا، فَإِنِّيْ أَدْخَلْتُهُمَا طَاهِرَتَيْنِ . فَمَسَحَ عَلَيْهِمَا» .
“আমি কোনো এক সফরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে থাকাবস্থায় তিনি অযু করার সময় তাঁর মোজা জোড়া খুলতে চাইলে তিনি আমাকে বলেন, খুলো না। কারণ, আমি মোজাদ্বয় পবিত্রতাবস্থায়ই পরেছি। অতঃপর তিনি মোজা জোড়ার উপর মাসাহ করেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২০৬, ৫৭৯৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৭৪।]
«كُنْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِيْ سَفَرٍ، فَأَهْوَيْتُ لأَنْزِعَ خُفَّيْهِ فَقَالَ : دَعْهُمَا، فَإِنِّيْ أَدْخَلْتُهُمَا طَاهِرَتَيْنِ . فَمَسَحَ عَلَيْهِمَا» .
“আমি কোনো এক সফরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে থাকাবস্থায় তিনি অযু করার সময় তাঁর মোজা জোড়া খুলতে চাইলে তিনি আমাকে বলেন, খুলো না। কারণ, আমি মোজাদ্বয় পবিত্রতাবস্থায়ই পরেছি। অতঃপর তিনি মোজা জোড়ার উপর মাসাহ করেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২০৬, ৫৭৯৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৭৪।]
বড় অপবিত্রতার জন্যে নয়। অতএব, গোসল ফরয হলে মোজার উপর মাসাহ করা যাবে না। বরং মোজাদ্বয় খুলে পদযুগল ধুয়ে নিতে হবে।
সাফওয়ান ইবন ‘আসসাল রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم يَأْمُرُنَا إِذَا كُنَّا سَفْرًا أَنْ لاَ نَنْزِعَ خِفَافَنَا ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ وَلَيَالِيْهِنَّ إِلاَّ مِنْ جَنَابَةٍ وَلَكِنْ مِنْ غَائِطٍ وَبَوْلٍ وَنَوْمٍ» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে সফরে রওয়ানা করলে তিনি আমাদেরকে তিন দিন তিন রাত পর্যন্ত মলমূত্র ত্যাগ ও ঘুমের কারণে মোজা না খুলতে আদেশ করতেন। বরং মোজার উপর মাসাহ করতে বলতেন। তবে জুনুবী হলে মোজা খুলতে বলতেন”। [তিরমিযী, হাদীস নং ৯৬; নাসাঈ, হাদীস নং ১২৭; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৪৮৩।]
সাফওয়ান ইবন ‘আসসাল রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم يَأْمُرُنَا إِذَا كُنَّا سَفْرًا أَنْ لاَ نَنْزِعَ خِفَافَنَا ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ وَلَيَالِيْهِنَّ إِلاَّ مِنْ جَنَابَةٍ وَلَكِنْ مِنْ غَائِطٍ وَبَوْلٍ وَنَوْمٍ» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে সফরে রওয়ানা করলে তিনি আমাদেরকে তিন দিন তিন রাত পর্যন্ত মলমূত্র ত্যাগ ও ঘুমের কারণে মোজা না খুলতে আদেশ করতেন। বরং মোজার উপর মাসাহ করতে বলতেন। তবে জুনুবী হলে মোজা খুলতে বলতেন”। [তিরমিযী, হাদীস নং ৯৬; নাসাঈ, হাদীস নং ১২৭; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৪৮৩।]
তা হচ্ছে মুসাফিরের জন্য তিন দিন তিন রাত এবং মুক্বীমের (যিনি আশি বা ততোধিক কিলোমিটার পথ ভ্রমণের নিয়্যাত করে ঘর থেকে বের হন নি) জন্য এক দিন এক রাত।
‘আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«جَعَلَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ وَلَيَالِيْهِنَّ لِلْمُسَافِرِ، وَيَوْمًا وَلَيْلَةً لِلْمُقِيْمِ» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মোজা মাসাহ’র সময়সীমা মুসাফিরের জন্য তিন দিন তিন রাত এবং মুক্বীম বা গৃহবাসীর জন্য এক দিন এক রাত নির্ধারণ করেছেন”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৭৬।]
আবু বাকরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«رَخَّصَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم لِلْمُسَافِرِ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ وَلَيَالِيْـهِنَّ، وَلِلْمُقِيْمِ يَوْمًا وَلَيْلَةً، إِذَا تَطَهَّرَ فَلَبِسَ خُفَّيْهِ أَنْ يَمْسَحَ عَلَيْهِمَا» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুসাফিরকে তিন দিন তিন রাত এবং মুক্বীমকে এক দিন এক রাত মোজা মাসাহ করার অনুমতি দিয়েছেন যখন তা পবিত্রতাবস্থায় পরা হয়”। [ইবন খুযাইমা, হাদীস নং ১৯২; ইবন হিব্বান, হাদীস নং ১৩২৪।]
তবে এ সময়সীমা শুরু হবে মাসাহ’র পর অযু ভাঙলে পুনরায় অযু করার পর থেকে। তখন থেকে মুক্বীমের জন্য ২৪ ঘন্টা এবং মুসাফিরের জন্য ৭২ ঘন্টা মাসাহ’র জন্য নির্ধারিত।
‘আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«جَعَلَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ وَلَيَالِيْهِنَّ لِلْمُسَافِرِ، وَيَوْمًا وَلَيْلَةً لِلْمُقِيْمِ» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মোজা মাসাহ’র সময়সীমা মুসাফিরের জন্য তিন দিন তিন রাত এবং মুক্বীম বা গৃহবাসীর জন্য এক দিন এক রাত নির্ধারণ করেছেন”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৭৬।]
আবু বাকরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«رَخَّصَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم لِلْمُسَافِرِ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ وَلَيَالِيْـهِنَّ، وَلِلْمُقِيْمِ يَوْمًا وَلَيْلَةً، إِذَا تَطَهَّرَ فَلَبِسَ خُفَّيْهِ أَنْ يَمْسَحَ عَلَيْهِمَا» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুসাফিরকে তিন দিন তিন রাত এবং মুক্বীমকে এক দিন এক রাত মোজা মাসাহ করার অনুমতি দিয়েছেন যখন তা পবিত্রতাবস্থায় পরা হয়”। [ইবন খুযাইমা, হাদীস নং ১৯২; ইবন হিব্বান, হাদীস নং ১৩২৪।]
তবে এ সময়সীমা শুরু হবে মাসাহ’র পর অযু ভাঙলে পুনরায় অযু করার পর থেকে। তখন থেকে মুক্বীমের জন্য ২৪ ঘন্টা এবং মুসাফিরের জন্য ৭২ ঘন্টা মাসাহ’র জন্য নির্ধারিত।
অপবিত্র হলে তা যদি মূলগত হয় যেমন, মোজাগুলো গাধার চামড়া দিয়ে তৈরি, তাহলে এগুলোর উপর মাসাহ চলবে না। আর যদি মূলগত না হয় তাহলে নাপাকী দূরীকরণের পর এগুলোর উপর মাসাহ করা যাবে।
আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«بَيْنَمَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم يُصَلِّيْ بِأَصْحَابِهِ إِذْ خَلَعَ نَعْلَيْهِ فَوَضَعَهُمَا عَنْ يَسَارِهِ، فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ الْقَوْمُ أَلْقَوْا نِعَالَهُمْ، فَلَمَّا قَضَى رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم صَلاَتَهُ قَالَ : مَاحَمَلَكُمْ عَلَى إِلْقَاءِ نِعَالِكُمْ؟ قَالُوْا : رَأَيْنَاكَ أَلْقَيْتَ نَعْلَيْكَ فَأَلْقَيْنَا نِعَالَنَا، فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم : إِنَّ جِبْرِيْلَ أَتَانِيْ فَأَخْبَرَنِيْ أَنَّ فِيْهِمَا قَذَرًا أَوْ قَالَ : أَذىً، وَقَالَ : إِذَا جَاءَ أَحَدُكُمْ إِلَى الـْمَسْـجِدِ فَلْيَنْظُرْ، فَإِنْ رَأَى فِيْ نَعْلَيْهِ قَذَرًا أَوْ أَذَىً، فَلْيَمْسَحْهُ وَلْيُصَلِّ فِيْهِمَا» .
“একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদেরকে সঙ্গে নিয়ে সালাত পড়ছিলেন। হঠাৎ তিনি সালাতের মধ্যেই নিজ জুতা জোড়া পা থেকে খুলে নিজের বাঁ দিকে রাখলেন। তা দেখে সাহাবীগণও নিজ নিজ জুতাগুলো খুলে ফেলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত শেষে সাহাবীগণকে উদ্দেশ্য করে বললেন: তোমাদের কী হলো, জুতাগুলো খুলে ফেললে কেন? সাহাবীগণ বললেন: আপনাকে খুলতে দেখে আমরাও খুলে ফেলেছি। তা শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: জিবরীল ‘আলাইহিস সালাম আমাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, আমার জুতা জোড়ায় ময়লা (নাপাকী) রয়েছে। তাই আমি জুতা জোড়া খুলে ফেললাম। অতএব, তোমাদের কেউ মসজিদে আসলে প্রথমে নিজ জুতা জোড়া ভালোভাবে দেখে নিবে। অতঃপর তাতে কোনো ময়লা বা নাপাকী পরিলক্ষিত হলে তা জমিনে ঘষে নিবে এবং তা পরেই সালাত আদায় করবে”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৬৫০।]
উক্ত হাদীস থেকে আমরা এটাই বুঝতে পারলাম যে, অপবিত্র কোনো পোশাক-পরিচ্ছদ পরে সালাত আদায় করলে সালাত আদায় হবে না। বরং তা যে কোনো ভাবে পবিত্র করে নিতে হবে। আর মোজা মাসাহ কিন্তু বাহ্যিক নাপাকী দূরীকরণের জন্য কোনোমতেই যথেষ্ট নয়।
আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«بَيْنَمَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم يُصَلِّيْ بِأَصْحَابِهِ إِذْ خَلَعَ نَعْلَيْهِ فَوَضَعَهُمَا عَنْ يَسَارِهِ، فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ الْقَوْمُ أَلْقَوْا نِعَالَهُمْ، فَلَمَّا قَضَى رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم صَلاَتَهُ قَالَ : مَاحَمَلَكُمْ عَلَى إِلْقَاءِ نِعَالِكُمْ؟ قَالُوْا : رَأَيْنَاكَ أَلْقَيْتَ نَعْلَيْكَ فَأَلْقَيْنَا نِعَالَنَا، فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم : إِنَّ جِبْرِيْلَ أَتَانِيْ فَأَخْبَرَنِيْ أَنَّ فِيْهِمَا قَذَرًا أَوْ قَالَ : أَذىً، وَقَالَ : إِذَا جَاءَ أَحَدُكُمْ إِلَى الـْمَسْـجِدِ فَلْيَنْظُرْ، فَإِنْ رَأَى فِيْ نَعْلَيْهِ قَذَرًا أَوْ أَذَىً، فَلْيَمْسَحْهُ وَلْيُصَلِّ فِيْهِمَا» .
“একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদেরকে সঙ্গে নিয়ে সালাত পড়ছিলেন। হঠাৎ তিনি সালাতের মধ্যেই নিজ জুতা জোড়া পা থেকে খুলে নিজের বাঁ দিকে রাখলেন। তা দেখে সাহাবীগণও নিজ নিজ জুতাগুলো খুলে ফেলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত শেষে সাহাবীগণকে উদ্দেশ্য করে বললেন: তোমাদের কী হলো, জুতাগুলো খুলে ফেললে কেন? সাহাবীগণ বললেন: আপনাকে খুলতে দেখে আমরাও খুলে ফেলেছি। তা শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: জিবরীল ‘আলাইহিস সালাম আমাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, আমার জুতা জোড়ায় ময়লা (নাপাকী) রয়েছে। তাই আমি জুতা জোড়া খুলে ফেললাম। অতএব, তোমাদের কেউ মসজিদে আসলে প্রথমে নিজ জুতা জোড়া ভালোভাবে দেখে নিবে। অতঃপর তাতে কোনো ময়লা বা নাপাকী পরিলক্ষিত হলে তা জমিনে ঘষে নিবে এবং তা পরেই সালাত আদায় করবে”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৬৫০।]
উক্ত হাদীস থেকে আমরা এটাই বুঝতে পারলাম যে, অপবিত্র কোনো পোশাক-পরিচ্ছদ পরে সালাত আদায় করলে সালাত আদায় হবে না। বরং তা যে কোনো ভাবে পবিত্র করে নিতে হবে। আর মোজা মাসাহ কিন্তু বাহ্যিক নাপাকী দূরীকরণের জন্য কোনোমতেই যথেষ্ট নয়।
তেমনিভাবে ঘন সুতার হতে হবে যাতে পায়ের রং বুঝা না যায়। চামড়ার মোজা হলে তো আরো ভালো। কারণ, তাতে মাসাহ’র ব্যাপারে বিজ্ঞ আলিমদের মধ্যে কোনো দ্বিমত নেই। তবে তা শর্ত করা অমূলক। কারণ, মোজা মাসাহ শরী‘আতে যে সুবিধার জন্য চালু করা হয়েছে তা অন্য মোজার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তবে ঘন সুতার হওয়ার শর্ত এ জন্যই করা হয়েছে যে, যেন তা প্রয়োজনের কারণেই পরা হয়েছে তা বুঝা যায়। শুধু ফ্যাশনের জন্য শরী‘আত এ সুযোগ দিতে পারে না। মোজা সামান্য ছেঁড়া থাকলে তাতে কোনো অসুবিধে নেই। তবে বেশি ছেঁড়া হলে চলবে না।
এ জন্যেই চোরিত, অপহৃত, জীবন্ত পশুপাখির ছবি বিশিষ্ট ও পুরুষের জন্য রেশমি কাপড়ের তৈরি মোজার উপর মাসাহ করা যাবে না। কারণ, মোজার উপর মাসাহ করা শরী‘আত প্রদত্ত একটি সুবিধা। তাই এ সুবিধা গ্রহণের জন্য কোনো অবৈধ পন্থা অবলম্বন করা যাবে না। তেমনিভাবে হারাম মোজা খুলে ফেলা আবশ্যক। কারণ, উহার উপর মাসাহ করার সুবিধে দেওয়া মানে হারাম কাজে রত থাকায় সহযোগিতা করা। আর তা কখনোই ইসলামী শরী‘আত সমর্থন করে না।
মোজা বা জাওরাবের উপরিভাগ মাসাহ করবে। তলা নয়।
‘আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«لَوْ كَانَ الدِّيْنُ بِالرَّأْيِ لَكَانَ أَسْفَلُ الْـخُفِّ أَوْلَى بِالْـمَسْحِ مِنْ أَعْلاَهُ، وَقَدْ رَأَيْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم يَمْسَحُ عَلَى ظَاهِرِ خُفَّيْهِ» .
“যদি দীন ইসলাম মানব বুদ্ধিপ্রসূত হতো তাহলে মোজার উপরিভাগের চাইতে নিম্নভাগই মাসাহ’র জন্য উত্তম বিবেচিত হতো। কিন্তু আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মোজার উপরিভাগ মাসাহ করতে দেখেছি”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ১৬২।]
মুগীরা ইবন শো‘বা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم يَمْسَحُ عَلَى ظَهْرِالْـخُفَّيْنِ» .
“রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মোজার উপরিভাগ মাসাহ করতেন”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ১৬১।]
মোজা মাসাহ’র নিয়ম হচ্ছে: ডান হাত ডান পায়ের অগ্রভাগে এবং বাম হাত বাম পায়ের অগ্রভাগে রেখে উভয় হাত জঙ্ঘার দিকে একবার টেনে নিবে।
‘আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«لَوْ كَانَ الدِّيْنُ بِالرَّأْيِ لَكَانَ أَسْفَلُ الْـخُفِّ أَوْلَى بِالْـمَسْحِ مِنْ أَعْلاَهُ، وَقَدْ رَأَيْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم يَمْسَحُ عَلَى ظَاهِرِ خُفَّيْهِ» .
“যদি দীন ইসলাম মানব বুদ্ধিপ্রসূত হতো তাহলে মোজার উপরিভাগের চাইতে নিম্নভাগই মাসাহ’র জন্য উত্তম বিবেচিত হতো। কিন্তু আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মোজার উপরিভাগ মাসাহ করতে দেখেছি”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ১৬২।]
মুগীরা ইবন শো‘বা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم يَمْسَحُ عَلَى ظَهْرِالْـخُفَّيْنِ» .
“রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মোজার উপরিভাগ মাসাহ করতেন”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ১৬১।]
মোজা মাসাহ’র নিয়ম হচ্ছে: ডান হাত ডান পায়ের অগ্রভাগে এবং বাম হাত বাম পায়ের অগ্রভাগে রেখে উভয় হাত জঙ্ঘার দিকে একবার টেনে নিবে।
আরবী ভাষায় জাওরাব বলতে মোজার পরিবর্তে পায়ের উপর পরা বস্তুকে বুঝানো হয়। মোজা মাসাহ’র ন্যায় জাওরাবের উপরও মাসাহ করা যায়। মুগীরা ইবন শো‘বা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«تَوَضَّأَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم وَمَسَحَ عَلَى الْجَوْرَبَيْنِ وَالنَّعْلَيْنِ» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অযু করার সময় জাওরাব ও জুতার উপর মাসাহ করেছেন”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ১৫৯।]
«تَوَضَّأَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم وَمَسَحَ عَلَى الْجَوْرَبَيْنِ وَالنَّعْلَيْنِ» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অযু করার সময় জাওরাব ও জুতার উপর মাসাহ করেছেন”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ১৫৯।]
চিবুকের নিচ দিয়ে পেঁচিয়ে মজবুত করে মাথায় বাঁধা পাগড়ীর উপরও মাসাহ করা যায়।
‘আমর ইবন উমাইয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَمْسَحُ عَلَى عِمَامَتِهِ» .
“আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পাগড়ীর উপর মাসাহ করতে দেখেছি”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২০৫।]
বিলাল রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«مَسَحَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم عَلَى الْـخُفَّيْنِ وَالْخِمَارِ» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মোজা ও পাগড়ীর উপর মাসাহ করেছেন”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৭৫।]
সাউবান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«بَعَثَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم سَرِيَّةً فَأَصَابَهُمُ الْبَرْدُ، فَلَمَّا قَدِمُوْا عَلَى رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم أَمَرَهُمْ أَنْ يَسْمَحُوْا عَلَى الْعَصَائِبِ وَالتَّسَاخِيْنِ» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদল সেনাবাহিনীকে যুদ্ধে পাঠালে (মাথা ও পা উন্মুক্ত করে মাথা মাসাহ ও পা ধোয়ার কারণে) তাদের ঠাণ্ডা লেগে যায়। অতঃপর তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে আসলে তিনি তাদেরকে পাগড়ী ও জাওরাবের উপর মাসাহ করার আদেশ করেন”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ১৪৬।]
পাগড়ীর উপর মাসাহ করার নিয়ম হচ্ছে: পুরো পাগড়ীর উপর মাসাহ করবে অথবা কপাল ও পাগড়ী উভয়টাই মাসাহ করবে।
মুগীরা ইবন শো‘বা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«تَوَضَّأَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم فَمَسَحَ بِنَاصِيَتِهِ وَعَلَى الْعِمَامَةِ وَعَلَى الْـخُفَّيْنِ» .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অযু করার সময় কপাল, পাগড়ী ও মোজা মাসাহ করেছেন”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৭৪ আবু দাউদ, হাদীস নং ১৫০।]
জাওরাব ও পাগড়ী মাসাহ’র ক্ষেত্রে মোজা মাসাহ’র শর্তগুলো প্রযোজ্য।
‘আমর ইবন উমাইয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَمْسَحُ عَلَى عِمَامَتِهِ» .
“আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পাগড়ীর উপর মাসাহ করতে দেখেছি”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২০৫।]
বিলাল রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«مَسَحَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم عَلَى الْـخُفَّيْنِ وَالْخِمَارِ» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মোজা ও পাগড়ীর উপর মাসাহ করেছেন”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৭৫।]
সাউবান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«بَعَثَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم سَرِيَّةً فَأَصَابَهُمُ الْبَرْدُ، فَلَمَّا قَدِمُوْا عَلَى رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم أَمَرَهُمْ أَنْ يَسْمَحُوْا عَلَى الْعَصَائِبِ وَالتَّسَاخِيْنِ» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদল সেনাবাহিনীকে যুদ্ধে পাঠালে (মাথা ও পা উন্মুক্ত করে মাথা মাসাহ ও পা ধোয়ার কারণে) তাদের ঠাণ্ডা লেগে যায়। অতঃপর তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে আসলে তিনি তাদেরকে পাগড়ী ও জাওরাবের উপর মাসাহ করার আদেশ করেন”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ১৪৬।]
পাগড়ীর উপর মাসাহ করার নিয়ম হচ্ছে: পুরো পাগড়ীর উপর মাসাহ করবে অথবা কপাল ও পাগড়ী উভয়টাই মাসাহ করবে।
মুগীরা ইবন শো‘বা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«تَوَضَّأَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم فَمَسَحَ بِنَاصِيَتِهِ وَعَلَى الْعِمَامَةِ وَعَلَى الْـخُفَّيْنِ» .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অযু করার সময় কপাল, পাগড়ী ও মোজা মাসাহ করেছেন”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৭৪ আবু দাউদ, হাদীস নং ১৫০।]
জাওরাব ও পাগড়ী মাসাহ’র ক্ষেত্রে মোজা মাসাহ’র শর্তগুলো প্রযোজ্য।
ব্যান্ডেজের উপর মাসাহ করার হাদীসগুলো দুর্বল হলেও উহাকে মোজা মাসাহ’র সাথে তুলনামূলক বিবেচনা করলে ব্যান্ডেজের উপর মাসাহ করার যুক্তিযুক্ততা সুস্পষ্ট হয়ে যায়। কারণ, মোজা মাসাহ’র চাইতে ব্যান্ডেজের উপর মাসাহ করার প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। অতএব, সহজতার জন্য যদি শরী‘আতে মোজা মাস্হের বিধান থাকতে পারে তাহলে ব্যান্ডেজের উপর মাসাহ করার বিধানও শরী‘আতে অবশ্যই রয়েছে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মোজা ও ব্যান্ডেজের উপর মাসাহ করার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। তা নিম্নরূপ:
১. ব্যান্ডেজ খোলা ক্ষতিকর হলেই উহার উপর মাসাহ করা যায়। নতুবা নয়। মোজা মাসাহ’র ক্ষেত্রে এ শর্ত প্রযোজ্য নয়।
২. ব্যান্ডেজ পুরোটার উপরই মাসাহ করতে হয়। তবে ধোয়া আবশ্যক এমন স্থানে ব্যান্ডেজটি বাঁধা না হলে উহার উপর মাসাহ করতে হবে না। কারণ, ব্যান্ডেজ পুরোটা মাসাহ করতে কোনো অসুবিধে নেই। এর বিপরীতে মোজা পুরোটা মাসাহ করা কষ্টকর। এ জন্য সুন্নাত অনুযায়ী মোজার উপরিভাগ মাসাহ করলেই চলে।
৩. ব্যান্ডেজের উপর মাসাহ করার নির্ধারিত কোনো সময়সীমা নেই। কারণ, তা প্রয়োজন বলেই করতে হয়। সে জন্য প্রয়োজন যতক্ষণই থাকবে ততক্ষণই মাসাহ করবে।
৪. উভয় নাপাকীর সময় ব্যান্ডেজের উপর মাসাহ করা যায়। কিন্তু মোজা মাসাহ শুধু ছোট নাপাকীর জন্যে।
৫. পবিত্রতার বহুপূর্বে ব্যান্ডেজ বাঁধা হলেও উহার উপর মাসাহ করা যাবে। কিন্তু মোজা মাসাহ’র জন্য পবিত্রতার পরেই মোজা পরতে হয়।
৬. ব্যান্ডেজ প্রয়োজনানুসারে যে কোনো অঙ্গে বাঁধা যায়। কিন্তু মোজা শুধু পায়েই পরতে হয়। অন্য কোথাও নয়।
২. ব্যান্ডেজ পুরোটার উপরই মাসাহ করতে হয়। তবে ধোয়া আবশ্যক এমন স্থানে ব্যান্ডেজটি বাঁধা না হলে উহার উপর মাসাহ করতে হবে না। কারণ, ব্যান্ডেজ পুরোটা মাসাহ করতে কোনো অসুবিধে নেই। এর বিপরীতে মোজা পুরোটা মাসাহ করা কষ্টকর। এ জন্য সুন্নাত অনুযায়ী মোজার উপরিভাগ মাসাহ করলেই চলে।
৩. ব্যান্ডেজের উপর মাসাহ করার নির্ধারিত কোনো সময়সীমা নেই। কারণ, তা প্রয়োজন বলেই করতে হয়। সে জন্য প্রয়োজন যতক্ষণই থাকবে ততক্ষণই মাসাহ করবে।
৪. উভয় নাপাকীর সময় ব্যান্ডেজের উপর মাসাহ করা যায়। কিন্তু মোজা মাসাহ শুধু ছোট নাপাকীর জন্যে।
৫. পবিত্রতার বহুপূর্বে ব্যান্ডেজ বাঁধা হলেও উহার উপর মাসাহ করা যাবে। কিন্তু মোজা মাসাহ’র জন্য পবিত্রতার পরেই মোজা পরতে হয়।
৬. ব্যান্ডেজ প্রয়োজনানুসারে যে কোনো অঙ্গে বাঁধা যায়। কিন্তু মোজা শুধু পায়েই পরতে হয়। অন্য কোথাও নয়।
ধোয়া আবশ্যক এমন কোনো অঙ্গ ক্ষত বিক্ষত হলে তা চারের এক অবস্থা থেকে খালি হবে না। তা নিম্নরূপঃ
১. ক্ষত স্থানটি এখনো উন্মুক্ত এবং তা ধোয়া ক্ষতিকরও নয়। তা হলে অঙ্গটি ধুতে হবে।
২. ক্ষত স্থানটি এখনো উন্মুক্ত তবে তা ধোয়া ক্ষতিকর।
এমতাবস্থায় উহার উপর মাসাহ করতে হবে।
৩. ক্ষত স্থানটি এখনো উন্মুক্ত তবে উহা ধোয়া বা মাসাহ করা উভয়ই ক্ষতিকর।
এমতাবস্থায় উহার উপর ব্যান্ডেজ বেঁধে মাসাহ করতে হবে। তাও সম্ভবপর না হলে তায়াম্মুম করবে।
৪. ক্ষত স্থানটি ব্যান্ডেজ করা আছে।
এমতাবস্থায় উহার উপর মাসাহ করবে। ধুতে হবে না। তেমনিভাবে কোনো অঙ্গ মাসাহ করলে উহার বিকল্প তায়াম্মুমের কোনো প্রয়োজন থাকে না।
১. ক্ষত স্থানটি এখনো উন্মুক্ত এবং তা ধোয়া ক্ষতিকরও নয়। তা হলে অঙ্গটি ধুতে হবে।
২. ক্ষত স্থানটি এখনো উন্মুক্ত তবে তা ধোয়া ক্ষতিকর।
এমতাবস্থায় উহার উপর মাসাহ করতে হবে।
৩. ক্ষত স্থানটি এখনো উন্মুক্ত তবে উহা ধোয়া বা মাসাহ করা উভয়ই ক্ষতিকর।
এমতাবস্থায় উহার উপর ব্যান্ডেজ বেঁধে মাসাহ করতে হবে। তাও সম্ভবপর না হলে তায়াম্মুম করবে।
৪. ক্ষত স্থানটি ব্যান্ডেজ করা আছে।
এমতাবস্থায় উহার উপর মাসাহ করবে। ধুতে হবে না। তেমনিভাবে কোনো অঙ্গ মাসাহ করলে উহার বিকল্প তায়াম্মুমের কোনো প্রয়োজন থাকে না।
উত্তেজনাসহ বীর্যপাত হলে গোসল ফরয হয়ে যায়। তেমনিভাবে স্বপ্নদোষ হলেও। তবে তাতে উত্তেজনার শর্ত নেই।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَإِن كُنتُمۡ جُنُبٗا فَٱطَّهَّرُواْۚ﴾ [ المائدة : ٦ ]
“তোমরা জুনুবী হলে ভালোভাবে গোসল করে নিবে”। [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৬]
আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِنَّمَا الْـمَاءُ مِنَ الْـمَاءِ» .
“বীর্যপাত হলেই গোসল করতে হয়”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৪৩।]
‘আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِذَا رَأَيْتَ الْمَذْيَ فَاغْسِلْ ذَكَرَكَ، وَتَوَضَّأْ وُضُوْءَكَ لِلصَّلاَةِ، فَإِذَا فَضَخْتَ الْمَاءَ فَاغْتَسِلْ» .
“মযি দেখতে পেলে লিঙ্গটি ধুয়ে সালাতের অযুর ন্যায় অযু করবে। আর বীর্যপাত হলে গোসল করে নিবে”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ২০৬।]
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَإِن كُنتُمۡ جُنُبٗا فَٱطَّهَّرُواْۚ﴾ [ المائدة : ٦ ]
“তোমরা জুনুবী হলে ভালোভাবে গোসল করে নিবে”। [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৬]
আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِنَّمَا الْـمَاءُ مِنَ الْـمَاءِ» .
“বীর্যপাত হলেই গোসল করতে হয়”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৪৩।]
‘আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِذَا رَأَيْتَ الْمَذْيَ فَاغْسِلْ ذَكَرَكَ، وَتَوَضَّأْ وُضُوْءَكَ لِلصَّلاَةِ، فَإِذَا فَضَخْتَ الْمَاءَ فَاغْتَسِلْ» .
“মযি দেখতে পেলে লিঙ্গটি ধুয়ে সালাতের অযুর ন্যায় অযু করবে। আর বীর্যপাত হলে গোসল করে নিবে”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ২০৬।]
যে কোনো ব্যক্তির (পুরুষ হোক বা মহিলা) স্বপ্নদোষ হলে তদুপরি কাপড়ে বা শরীরে বীর্যের কোনো দাগ পরিলক্ষিত হলে তাকে গোসল করতে হবে। তবে কোনো দাগ পরিলক্ষিত না হলে তাকে গোসল করতে হবে না। যদিও স্বপ্নদোষের পুরো চিত্রটি তার মনে পড়ে। পুরুষের যেমন স্বপ্নদোষ হয় তেমনিভাবে মহিলাদেরও হয়।
উম্মুল মুমিনীন উম্মে সালামা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন একদা উম্মে সুলাইম রাদিয়াল্লাহু আনহা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেন: মহিলাদের স্বপ্নদোষ হলে গোসল করতে হবে কি? তিনি বললেন:
«نَعَمْ، إِذَا رَأَتِ الْـمَاءَ»
“হ্যাঁ, যদি সে (কাপড়ে বা শরীরে) বীর্য দেখতে পায়। উম্মে সালামা রাদিয়াল্লাহু আনহা এ কথা শুনে লজ্জায় মুখ ঢেকে নিলেন এবং বলেন, হে রাসুল! মেয়েদেরও কি স্বপ্নদোষ হয়? তখন তিনি বললেন”:
«نَعَمْ، تَرِبَتْ يَمِيْنُكِ، فَبِمَ يُشْبِهُهَا وَلَدُهَا»
“হ্যাঁ, তোমার হাত ধূলিধূসরিত হোক, (যদি তাদের স্বপ্নদোষ নাই হয়) তাহলে সন্তান কীভাবে তাদের রং ও রূপ ধারণ করে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৩০, ২৮২; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩১৩।]
অন্য বর্ণনায় রয়েছে:
«إِنَّ مَاءَ الرَّجُلِ غَلِيْظٌ أَبْيَضُ، وَمَاءُ الـْمَرْأَةِ رَقِيْقٌ أَصْفَرُ فَإِذَا عَلاَ مَاؤُهَا مَاءَ الرَّجُلِ أَشْبَهَ الْوَلَدُ أَخْوَالَهُ، وَإِذَا عَلاَ مَاءُ الرَّجُلِ مَاءَهَا أَشْبَهَ أَعْمَامَهُ» .
“পুরুষের বীর্য গাঢ় শুভ্র। আর মেয়েদের বীর্য পাতলা হলদে। যদি মহিলার বীর্য পুরুষের বীর্যের আগে ও অধিকহারে পতিত হয় তাহলে বাচ্চাটি মামাদের রং ও গঠন ধারণ করবে। আর যদি পুরুষের বীর্য মহিলার বীর্যের আগে ও অধিকহারে পতিত হয় তাহলে বাচ্চাটি চাচাদের রং ও গঠন ধারণ করবে”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩১১,৩১৪।]
উম্মুল মুমিনীন উম্মে সালামা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন একদা উম্মে সুলাইম রাদিয়াল্লাহু আনহা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেন: মহিলাদের স্বপ্নদোষ হলে গোসল করতে হবে কি? তিনি বললেন:
«نَعَمْ، إِذَا رَأَتِ الْـمَاءَ»
“হ্যাঁ, যদি সে (কাপড়ে বা শরীরে) বীর্য দেখতে পায়। উম্মে সালামা রাদিয়াল্লাহু আনহা এ কথা শুনে লজ্জায় মুখ ঢেকে নিলেন এবং বলেন, হে রাসুল! মেয়েদেরও কি স্বপ্নদোষ হয়? তখন তিনি বললেন”:
«نَعَمْ، تَرِبَتْ يَمِيْنُكِ، فَبِمَ يُشْبِهُهَا وَلَدُهَا»
“হ্যাঁ, তোমার হাত ধূলিধূসরিত হোক, (যদি তাদের স্বপ্নদোষ নাই হয়) তাহলে সন্তান কীভাবে তাদের রং ও রূপ ধারণ করে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৩০, ২৮২; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩১৩।]
অন্য বর্ণনায় রয়েছে:
«إِنَّ مَاءَ الرَّجُلِ غَلِيْظٌ أَبْيَضُ، وَمَاءُ الـْمَرْأَةِ رَقِيْقٌ أَصْفَرُ فَإِذَا عَلاَ مَاؤُهَا مَاءَ الرَّجُلِ أَشْبَهَ الْوَلَدُ أَخْوَالَهُ، وَإِذَا عَلاَ مَاءُ الرَّجُلِ مَاءَهَا أَشْبَهَ أَعْمَامَهُ» .
“পুরুষের বীর্য গাঢ় শুভ্র। আর মেয়েদের বীর্য পাতলা হলদে। যদি মহিলার বীর্য পুরুষের বীর্যের আগে ও অধিকহারে পতিত হয় তাহলে বাচ্চাটি মামাদের রং ও গঠন ধারণ করবে। আর যদি পুরুষের বীর্য মহিলার বীর্যের আগে ও অধিকহারে পতিত হয় তাহলে বাচ্চাটি চাচাদের রং ও গঠন ধারণ করবে”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩১১,৩১৪।]
এমতাবস্থায় তাকে গোসল করতে হবে। স্বপ্নদোষের কথা স্মরণে আসুক বা নাই আসুক।
যুবাইদ ইবন সাল্ত রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«خَرَجْتُ مَعَ عُمَرَ بْنِ الْـخَطَّابِ رضي الله عنهما إِلَى الْـجُـرُفِ، فَنَظَرَ فَإِذَا هُوَ قَدِ احْتَلَمَ، وَصَلَّى، وَلَمْ يَغْتَسِلْ فَقَالَ : وَاللهِ مَا أُرَانِيْ إِلاَّ قَدِ احْتَلَمْتُ وَمَا شَعَرْتُ، وَصَلَّيْتُ، وَمَا اغْتَسَلْتُ، فَاغْتَسَلَ، وَغَسَـلَ مَا رَأَى فِيْ ثَوْبِهِ، وَنَضَحَ مَا لَمْ يَرَ، وَأَذَّنَ، وَأَقَامَ، ثُمَّ صَلَّى بَعْدَ اِرْتِفَاعِ الضُّحَى» .
“উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুর সাথে জুরুফের দিকে রওয়ানা হলাম। হঠাৎ তিনি পোশাকের দিকে লক্ষ্য করে বুঝতে পারলেন যে, স্বপ্নদোষ হওয়ার পরও তিনি গোসল না করে সালাত পড়েছেন। অতঃপর তিনি বললেন: আল্লাহর কসম! আমার স্বপ্নদোষ হয়েছে; অথচ আমার খবর নেই। এমতাবস্থায় আমি গোসল না করে সালাত পড়েছি। এরপর তিনি গোসল করেন এবং কাপড়ের দৃষ্ট নাপাকীটুকু ধুয়ে ফেলেন ও অদৃষ্ট নাপাকীটুকুর জন্য পানি ছিঁটিয়ে দেন। পরিশেষে তিনি দ্বিপ্রহরের পূর্ব মুহূর্তে আযান-ইকামাত দিয়ে উক্ত সালাত আদায় করেন”। [বায়হাকী, হাদীস নং ৭৭২।]
যুবাইদ ইবন সাল্ত রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«خَرَجْتُ مَعَ عُمَرَ بْنِ الْـخَطَّابِ رضي الله عنهما إِلَى الْـجُـرُفِ، فَنَظَرَ فَإِذَا هُوَ قَدِ احْتَلَمَ، وَصَلَّى، وَلَمْ يَغْتَسِلْ فَقَالَ : وَاللهِ مَا أُرَانِيْ إِلاَّ قَدِ احْتَلَمْتُ وَمَا شَعَرْتُ، وَصَلَّيْتُ، وَمَا اغْتَسَلْتُ، فَاغْتَسَلَ، وَغَسَـلَ مَا رَأَى فِيْ ثَوْبِهِ، وَنَضَحَ مَا لَمْ يَرَ، وَأَذَّنَ، وَأَقَامَ، ثُمَّ صَلَّى بَعْدَ اِرْتِفَاعِ الضُّحَى» .
“উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুর সাথে জুরুফের দিকে রওয়ানা হলাম। হঠাৎ তিনি পোশাকের দিকে লক্ষ্য করে বুঝতে পারলেন যে, স্বপ্নদোষ হওয়ার পরও তিনি গোসল না করে সালাত পড়েছেন। অতঃপর তিনি বললেন: আল্লাহর কসম! আমার স্বপ্নদোষ হয়েছে; অথচ আমার খবর নেই। এমতাবস্থায় আমি গোসল না করে সালাত পড়েছি। এরপর তিনি গোসল করেন এবং কাপড়ের দৃষ্ট নাপাকীটুকু ধুয়ে ফেলেন ও অদৃষ্ট নাপাকীটুকুর জন্য পানি ছিঁটিয়ে দেন। পরিশেষে তিনি দ্বিপ্রহরের পূর্ব মুহূর্তে আযান-ইকামাত দিয়ে উক্ত সালাত আদায় করেন”। [বায়হাকী, হাদীস নং ৭৭২।]