hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেভাবে পবিত্রতা অর্জন করতেন

লেখকঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইবন আব্দুল আযীয আল-মাদানী

৯৩
অযুর ফযীলত:
অযুর ফযীলত সম্পর্কে অনেক হাদীস বর্ণিত হয়েছে উহার কিয়দংশ নিম্নরূপ:

ক. আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি:

«إِنَّ أُمَّتِيْ يَأْتُوْنَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ غُرًّا مُّحَجَّلِيْنَ مِنْ أَثَرِ الْوُضُوْءِ، فَمَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ أَنْ يُطِيْلَ غُرَّتَهُ فَلْيَفْعَلْ» .

“কিয়ামতের দিবসে আমার উম্মতের অযুর স্থানগুলো দীপ্তিমান ও শুভ্রোজ্জ্বল হয়ে দেখা দিবে। তাই তোমাদের কেউ নিজ ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে সক্ষম হলে সে যেন তা করে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৩৬; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৪৬।]

খ. উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি উপস্থিত সকলকে ভালোরূপে অযু দেখিয়ে বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এমনিভাবে অযু করতে দেখেছি। তিনি আরো বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

«مَنْ تَوَضَّأَ نَحْوَ وُضُوْئِيْ هَذَا ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ لاَ يُحْدِثُ فِيْهِمَا نَفْسَهُ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ» .

“যে ব্যক্তি আমার অযুর ন্যায় অযু করে কায়মনোবাক্যে দু’ রাকাত সালাত আদায় করবে আল্লাহ তা‘আলা তার সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৫৯, ১৬৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২২৬।]

গ. উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

«لاَ يَتَوَضَّأُ رَجُلٌ مُسْلِمٌ فَيُحْسِنُ الْوُضُوْءَ، فَيُصَلِّيْ صَلاَةً إِلاَّ غَفَرَاللهُ لَهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الصَّلاَةِ الَّتِيْ تَلِيْهَا» .

“কোনো মুসলিম ব্যক্তি ভালোভাবে অযু করে সালাত আদায় করলে আল্লাহ তা‘আলা সে সালাত ও পরবর্তী সালাতের মধ্যকার সকল গুনাহ মাফ করে দিবেন”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২২৭।]

ঘ. উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে আরো বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি:

«مَا مِنِ امْرِئٍ مُسْلِمٍ تَحْضُرُهُ صَلاَةٌ مَكْتُوْبَةٌ، فَيُحْسِنُ وُضُوْءَ هَا وَخُشُوْعَهَا وَرُكُوْعَهَا إِلاَّ كَانَتْ كَفَّارَةً لِمَا قَبْلَهَا مِنَ الذُّنُوْبِ، مَا لَمْ يُؤْتِ كَبِيْرَةً، وَذَلِكَ الدَّهْرَ كُلَّهُ» .

“যখন কোনো মুসলিম ব্যক্তি যে কোনো ফরয সালাতের সময় ভালোভাবে অযু করে কায়মনোবাক্যে রুকু-সাজদাহ সঠিকভাবে আদায় করে সালাতটি সম্পন্ন করে তখন অত্র সালাতটি তার অতীত সকল গুনাহ’র কাফ্‌ফরা (ক্ষতিপূরণ) হয়ে যায়, যতক্ষণ সে কবীরা গুনাহ (বড় পাপ) না করে। আর এ নিয়মটি আজীবন কার্যকর হবে”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২২৮।]

ঙ. উক্ববা ইবন ‘আমির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«مَامِنْ مُسْلِمٍ يَتَوَضَّأُ فَيُحْسِنُ وُضُوْءَهُ، ثُمَّ يَقُوْمُ فَيُصَلِّيْ رَكْعَتَيْنِ، مُقْبِلٌ عَلَيْهِمَا بِقَلْبِهِ وَوَجْهِهِ إِلاَّ وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ» .

“যখন কোনো মুসলিম ভালোভাবে অযু করে কায়মনোবাক্যে দু’ রাকাত সালাত আদায় করে তখন তার জন্য জান্নাত অবধারিত হয়ে যায়”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৩৪।]

চ. আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«إِذَا تَوَضَّأَ الْعَبْدُ الْمُسْلِمُ أَوِالْمُؤْمِنُ فَغَسَلَ وَجْهَهُ خَرَجَ مِنْ وَجْهِهِ كُلُّ خَطِيْئَةٍ نَظَرَ إِلَيْهَا بِعَيْنَيْهِ مَعَ الْمَاءِ أَوْ مَعَ آخِرِقَطْرِ الْمَاءِ، فَإِذَا غَسَلَ يَدَيْهِ خَرَجَ مِنْ يَدَيْهِ كُلُّ خَطِيْئَةٍ كَانَ بَطَشَتْهَا يَدَاهُ مَعَ الْمَاءِ أَوْ مَعَ آخِرِ قَطْرِ الْمَاءِ، فَإِذَا غَسَلَ رِجْلَيْهِ خَرَجَتْ كُلُّ خَطِيْئَةٍ مَشَتْهَا رِجْلاَهُ مَعَ الْمَاءِ أَوْ مَعَ آخِرِ قَطْرِ الْمَاءِ حَتَّى يَخْرُجَ نَقِيًّا مِنَ الذُّنُوْبِ» .

“যখন কোনো মুসলিম বা মুমিন ব্যক্তি অযু করে তখন তার মুখমণ্ডল ধোয়ার সাথে সাথেই চোখ দ্বারা কৃত সকল গুনাহ পানি বা পানির শেষ ফোঁটার সাথে বের হয়ে যায়। আর যখন সে দু’হাত ধুয়ে ফেলে তখন উভয় হাত দ্বারা কৃত সকল গুনাহ পানি বা পানির শেষ ফোঁটার সাথে বের হয়ে যায়। আর যখন সে দু’পা ধুয়ে ফেলে তখন পা দ্বারা কৃত সকল গুনাহ পানি বা পানির শেষ ফোঁটার সাথে বের হয়ে যায়। অতএব, অযুশেষে সে ব্যক্তি সকল পাপপঙ্কিলতা থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্তি পেয়ে যায়”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৪৪, ৮৩২।]

ছ. উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«مَنْ تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ الْوُضُوْءَ خَرَجَتْ خَطَايَاهُ مِنْ جَسَدِهِ حَتَّى تَخْرُجَ مِنْ تَحْتِ أَظْفَارِهِ» .

“যে ব্যক্তি ভালোভাবে অযু করে তার সকল গুনাহ শরীর থেকে বের হয়ে যায় এমনকি তার নখের নীচ থেকেও”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৪৫।]

জ. ‘আমর ইবন আবাসা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«مَا مِنْكُمْ رَجُلٌ يُقَرِّبُ وَضُوْءَهُ فَيَتَمَضْمَضُ وَيَسْتَنْشِقُ فَيَنْتَثِرُ إِلاَّ خَرَّتْ خَطَايَا وَجْهِهِ وَفِيْهِ وَخَيَاشِيْمِهِ، ثُمَّ إِذَا غَسَلَ وَجْهَهَ كَمَا أَمَرَهُ اللهُ إِلاَّ خَرَّتْ خَطَايَا وَجْهِهِ مِنْ أَطْرَافِ لِحْيَتِهِ مَعَ الـْمَاءِ، ثُمَّ يَغْسِلُ يَدَيْهِ إِلَى الـْمِرْفَقَيْنِ إِلاَّ خَرَّتْ خَطَايَا يَدَيْهِ مِنْ أَنَامِلِهِ مَعَ الْـمَاءِ، ثُمَّ يَمْسَحُ رَأْسَهُ إِلاَّ خَرَّتْ خَطَايَا رَأْسِهِ مِنْ أَطْرَافِ شَعْرِهِ مَعَ الـْمَـاءِ، ثُمَّ يَغْسِلُ قَدَمَيْهِ إِلَى الْكَعْبَيْنِ إِلاَّ خَرَّتْ خَطَايَا رِجْلَيْهِ مِنْ أَنَامِلِهِ مَعَ الـْمَاءِ، فَإِنْ هُوَ قَامَ فَصَلَّى، فَحَمِدَ اللهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ وَمَجَّدَهُ بِالَّذِيْ هُوَ لَهُ أَهْلٌ، وَفَرَّغَ قَلْبَهُ للهِ، إِلاَّ انْصَرَفَ مِنْ خَطِيْئَتِهِ كَهَيْئَةِ يَوْمَ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ» .

“যখন তোমাদের কেউ অযুর পানি হাতে নিয়ে কুলি করে, নাকে পানি দেয় ও নাক ঝেড়ে নেয় তখন তার মুখমণ্ডল, মুখগহ্বর ও নাসিকাছিদ্র থেকে সকল গুনাহ ঝরে পড়ে। আর যখন সে নিয়মানুযায়ী মুখমণ্ডল ধৌত করে তখন তার মুখমণ্ডলের সকল গুনাহ দাড়ির অগ্রভাগ দিয়ে পানির সাথে ঝরে পড়ে। আর যখন সে কুনুই পর্যন্ত উভয় হাত ধৌত করে তখন তার উভয় হাতের গুনাহগুলো আঙ্গুলাগ্র দিয়ে পানির সাথে ঝরে পড়ে। আর যখন সে মাথা মাসাহ করে তখন তার মাথার গুনাহ্গুলো কেশাগ্র দিয়ে পানির সাথে ঝরে পড়ে। অনন্তর যখন সে পদযুগল উপরের গ্রন্থিসহ ধৌত করে তখন তার উভয় পায়ের গুনাহগুলো আঙ্গুলাগ্র দিয়ে পানির সাথে ঝরে পড়ে। এরপর সে যখন সালাত পড়ে আল্লাহর প্রশংসা, গুণাগুণ ও কায়মনোবাক্যে আল্লাহ তা‘আলার সম্মুখে দাঁড়িয়ে যথোপযুক্ত সম্মান প্রদর্শন করে তখন সে সম্পূর্ণরূপে পাপমুক্ত হয়ে যায় যেমনিভাবে সে পাপমুক্ত ছিল জন্মলগ্নে”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৮৩২।]

ঝ. আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«أَلاَ أَدُلُّكُمْ عَلَى مَا يَمْحُوْ اللهُ بِهِ الْـخَطَايَا وَيَرْفَعُ بِهِ الدَّرَجَاتِ؟ قَالُوْا : بَلَى، يَا رَسُوْلَ اللهِ ! قَالَ : إِسْبَاغُ الْوُضُوْءِ عَلَى الْمَكَارِهِ وَكَثْرَةُ الْـخُطَا إِلَى الْـمَسَاجِدِ، وَانْتِظَارُ الصَّلاَةِ بَعْدَ الصَّلاَةِ، فَذَلِكُمُ الرِّبَاطُ، فَذَلِكُمُ الرِّبَاطُ» .

“আমি তোমাদেরকে এমন কিছু ‘আমলের সংবাদ দেবো কি? যা সম্পাদন করলে আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন ও মর্যাদা বাড়িয়ে দিবেন। সাহাবীগণ বললেন: হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসুল! উত্তরে তিনি বললেন: কষ্টের সময় অযুর অঙ্গগুলো ভালোভাবে ধৌত করবে, মসজিদের প্রতি অধিক পদক্ষেপ দেবে এবং এক সালাত শেষে অন্য সালাতের জন্য অপেক্ষায় থাকবে। পরিশেষে তিনি বলেন, এগুলো (সাওয়াবে) সীমান্ত প্রহরার ন্যায়। এগুলো (সাওয়াবে) সীমান্ত প্রহরার ন্যায়”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৫১ তিরমিযী, হাদীস নং ৫১ ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৪৩৩।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন