hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সহীহ হাদীসের আলোকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নবুওয়তের প্রমাণ

লেখকঃ শাইখ মুকবিল ইবন হাদী আল ওয়াদি‘য়ী

১৪
কতিপয় জিনের ইসলাম গ্রহণ
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿ وَإِذۡ صَرَفۡنَآ إِلَيۡكَ نَفَرٗا مِّنَ ٱلۡجِنِّ يَسۡتَمِعُونَ ٱلۡقُرۡءَانَ فَلَمَّا حَضَرُوهُ قَالُوٓاْ أَنصِتُواْۖ فَلَمَّا قُضِيَ وَلَّوۡاْ إِلَىٰ قَوۡمِهِم مُّنذِرِينَ ٢٩ قَالُواْ يَٰقَوۡمَنَآ إِنَّا سَمِعۡنَا كِتَٰبًا أُنزِلَ مِنۢ بَعۡدِ مُوسَىٰ مُصَدِّقٗا لِّمَا بَيۡنَ يَدَيۡهِ يَهۡدِيٓ إِلَى ٱلۡحَقِّ وَإِلَىٰ طَرِيقٖ مُّسۡتَقِيمٖ ٣٠ يَٰقَوۡمَنَآ أَجِيبُواْ دَاعِيَ ٱللَّهِ وَءَامِنُواْ بِهِۦ يَغۡفِرۡ لَكُم مِّن ذُنُوبِكُمۡ وَيُجِرۡكُم مِّنۡ عَذَابٍ أَلِيمٖ ٣١ وَمَن لَّا يُجِبۡ دَاعِيَ ٱللَّهِ فَلَيۡسَ بِمُعۡجِزٖ فِي ٱلۡأَرۡضِ وَلَيۡسَ لَهُۥ مِن دُونِهِۦٓ أَوۡلِيَآءُۚ أُوْلَٰٓئِكَ فِي ضَلَٰلٖ مُّبِينٍ ٣٢ ﴾ [ الاحقاف : ٢٩، ٣٢ ]

“আর স্মরণ কর, যখন আমি জিনদের একটি দলকে তোমার কাছে ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। তারা কুরআন পাঠ শুনছিল। যখন তারা তার কাছে উপস্থিত হল, তখণ তারা বলল, ‘চুপ করে শোন। তারপর যখন পাঠ শেষ হল তখন তারা তাদের কওমের কাছে সতর্ককারী হিসেবে ফিরে গেল। তারা বলল, ‘হে আমাদের কওম, আমরা তো এক কিতাবের বাণী শুনেছি, যা মূসার পরে নাযিল করা হয়েছে। যা পূর্ববর্তী কিতাবকে সত্যায়ন করে আর সত্য ও সরল পথের প্রতি হিদায়াত করে’। ‘হে আমাদের কওম, আল্লাহর দিকে আহবানকারীর প্রতি সাড়া দাও এবং তার প্রতি ঈমান আন, আল্লাহ তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করবেন। আর তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক আযাব থেকে রক্ষা করবেন’। আর যে আল্লাহর দিকে আহবানকারীর ডাকে সাড়া দেবে না সে যমীনে তাকে অপারগকারী নয়। আর আল্লাহ ছাড়া তার কোনো অভিভাবক নেই। এরাই স্পষ্ট বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে”। [সূরা আল্-আহকাফ: ২৯-৩২]

আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেছেন,

﴿ قُلۡ أُوحِيَ إِلَيَّ أَنَّهُ ٱسۡتَمَعَ نَفَرٞ مِّنَ ٱلۡجِنِّ فَقَالُوٓاْ إِنَّا سَمِعۡنَا قُرۡءَانًا عَجَبٗا ١ يَهۡدِيٓ إِلَى ٱلرُّشۡدِ فَ‍َٔامَنَّا بِهِۦۖ وَلَن نُّشۡرِكَ بِرَبِّنَآ أَحَدٗا ٢ ﴾ [ الجن : ١، ٢ ]

“বল, ‘আমার প্রতি ওহী করা হয়েছে যে, নিশ্চয় জিনদের একটি দল মনোযোগ সহকারে শুনেছে। অতঃপর বলেছে, ‘আমরা তো এক বিস্ময়কর কুরআন শুনেছি, যা সত্যের দিকে হিদায়াত করে; অতঃপর আমরা তাতে ঈমান এনেছি। আর আমরা কখনো আমাদের রবের সাথে কাউকে শরীক করব না”। [সূরা আল্-জিন: ১-২]

عَنْ عَبْدِ اللهِ، فِي قَوْلِهِ عَزَّ وَجَلَّ : ﴿ أُوْلَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ يَدۡعُونَ يَبۡتَغُونَ إِلَىٰ رَبِّهِمُ ٱلۡوَسِيلَةَ أَيُّهُمۡ أَقۡرَبُ ٥٧ ﴾ [ الاسراء : ٥٧ ] قَالَ : «كَانَ نَفَرٌ مِنَ الْجِنِّ أَسْلَمُوا، وَكَانُوا يُعْبَدُونَ، فَبَقِيَ الَّذِينَ كَانُوا يَعْبُدُونَ عَلَى عِبَادَتِهِمْ، وَقَدْ أَسْلَمَ النَّفَرُ مِنَ الْجِنِّ» .

আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি আল্লাহর নিন্মোক্ত বাণীর ব্যাখ্যায় বলেছেন,

﴿ أُوْلَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ يَدۡعُونَ يَبۡتَغُونَ إِلَىٰ رَبِّهِمُ ٱلۡوَسِيلَةَ أَيُّهُمۡ أَقۡرَبُ ٥٧ ﴾ [ الاسراء : ٥٧ ]

“তারা যাদেরকে ডাকে, তারা নিজেরাই তো তাদের রবের কাছে নৈকট্যের মাধ্যমে অনুসন্ধান করে যে, তাদের মধ্যে কে তাঁর নিকটতর? [সূরা আল-ইসরা: ৫৭] একদা একদল জ্বিন মুসলিম হলো। তাদের পূজা করা হতো। কিন্তু ইবাদতকারী এ লোকগুলো তাদের ইবাদতই আকড়ে থাকলো। অথচ জ্বিনেরা ইসলাম গ্রহণ করেছেন। [মুসলিম, হাদীস নং ৩০৩০।]

عَنْ عَبْدِ اللهِ، ﴿ أُوْلَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ يَدۡعُونَ يَبۡتَغُونَ إِلَىٰ رَبِّهِمُ ٱلۡوَسِيلَةَ ٥٧ ﴾ [ الاسراء : ٥٧ ] قَالَ : " كَانَ نَفَرٌ مِنَ الْإِنْسِ يَعْبُدُونَ نَفَرًا مِنَ الْجِنِّ، فَأَسْلَمَ النَّفَرُ مِنَ الْجِنِّ وَاسْتَمْسَكَ الْإِنْسُ بِعِبَادَتِهِمْ، فَنَزَلَتْ : ﴿ أُوْلَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ يَدۡعُونَ يَبۡتَغُونَ إِلَىٰ رَبِّهِمُ ٱلۡوَسِيلَةَ ٥٧ ﴾ [ الاسراء : ٥٧ ] "

আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি আল্লাহর নিন্মোক্ত বাণীর ব্যাখ্যায় বলেছেন,

﴿ أُوْلَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ يَدۡعُونَ يَبۡتَغُونَ إِلَىٰ رَبِّهِمُ ٱلۡوَسِيلَةَ ٥٧ ﴾ [ الاسراء : ٥٧ ]

“তারা যাদেরকে ডাকে, তারা নিজেরাই তো তাদের রবের কাছে নৈকট্যের মাধ্যমে অনুসন্ধান করে”। [সূরা আল-ইসরা: ৫৭] একদল মানুষ কতিপয় জিনের পূজা করতো। অতঃপর জিনের দলটি ইসলাম গ্রহণ করলো। কিন্তু এ লোকগুলো তাদের ইবাদতের উপর আকড়ে থাকে। তখন নাযিল হয়েছে:

﴿ أُوْلَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ يَدۡعُونَ يَبۡتَغُونَ إِلَىٰ رَبِّهِمُ ٱلۡوَسِيلَةَ ٥٧ ﴾ [ الاسراء : ٥٧ ]

“তারা যাদেরকে ডাকে, তারা নিজেরাই তো তাদের রবের কাছে নৈকট্যের মাধ্যমে অনুসন্ধান করে”। [সূরা আল-ইসরা: ৫৭] [মুসলিম, হাদীস নং ৩০৩০।]

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ، ﴿ أُوْلَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ يَدۡعُونَ يَبۡتَغُونَ إِلَىٰ رَبِّهِمُ ٱلۡوَسِيلَةَ ٥٧ ﴾ [ الاسراء : ٥٧ ] قَالَ : " نَزَلَتْ فِي نَفَرٍ مِنَ الْعَرَبِ كَانُوا يَعْبُدُونَ نَفَرًا مِنَ الْجِنِّ، فَأَسْلَمَ الْجِنِّيُّونَ وَالْإِنْسُ الَّذِينَ كَانُوا يَعْبُدُونَهُمْ لَا يَشْعُرُونَ، فَنَزَلَتْ : ﴿أُوْلَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ يَدۡعُونَ يَبۡتَغُونَ إِلَىٰ رَبِّهِمُ ٱلۡوَسِيلَةَ ٥٧ ﴾ [ الاسراء : ٥٧ ]"

আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি আল্লাহর নিন্মোক্ত বাণীর ব্যাখ্যায় বলেছেন,

﴿ أُوْلَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ يَدۡعُونَ يَبۡتَغُونَ إِلَىٰ رَبِّهِمُ ٱلۡوَسِيلَةَ أَيُّهُمۡ أَقۡرَبُ ٥٧ ﴾ [ الاسراء : ٥٧ ]

“তারা যাদেরকে ডাকে, তারা নিজেরাই তো তাদের রবের কাছে নৈকট্যের মাধ্যমে অনুসন্ধান করে যে, তাদের মধ্যে কে তাঁর নিকটতর? [সূরা আল-ইসরা: ৫৭] এ আয়াতটি আরবের এক দল লোক সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে। তারা কতিপয় জিনের পূজা করতো। অতঃপর জিনেরা তো মুসলিম হলো; কিন্তু তাদের ইবাদতকারী এ মানুষগুলো তা অনুধাবন করলো না। তখন নাযিল হলো,

﴿ أُوْلَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ يَدۡعُونَ يَبۡتَغُونَ إِلَىٰ رَبِّهِمُ ٱلۡوَسِيلَةَ ٥٧ ﴾ [ الاسراء : ٥٧ ]

“তারা যাদেরকে ডাকে, তারা নিজেরাই তো তাদের রবের কাছে নৈকট্যের মাধ্যমে অনুসন্ধান করে”। [সূরা আল-ইসরা: ৫৭] [মুসলিম, হাদীস নং ৩০৩০। হাদীসটি বুখারীতে সংক্ষেপে এসেছে, হাদীস নং ৪৭১৫।]

عَنْ صَيْفِيٍّ - وَهُوَ عِنْدَنَا مَوْلَى ابْنِ أَفْلَحَ - أَخْبَرَنِي أَبُو السَّائِبِ، مَوْلَى هِشَامِ بْنِ زُهْرَةَ أَنَّهُ دَخَلَ عَلَى أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ فِي بَيْتِهِ، قَالَ : فَوَجَدْتُهُ يُصَلِّي، فَجَلَسْتُ أَنْتَظِرُهُ حَتَّى يَقْضِيَ صَلَاتَهُ، فَسَمِعْتُ تَحْرِيكًا فِي عَرَاجِينَ فِي نَاحِيَةِ الْبَيْتِ، فَالْتَفَتُّ فَإِذَا حَيَّةٌ فَوَثَبْتُ لِأَقْتُلَهَا، فَأَشَارَ إِلَيَّ أَنِ اجْلِسْ فَجَلَسْتُ، فَلَمَّا انْصَرَفَ أَشَارَ إِلَى بَيْتٍ فِي الدَّارِ، فَقَالَ : أَتَرَى هَذَا الْبَيْتَ؟ فَقُلْتُ : نَعَمْ، قَالَ : كَانَ فِيهِ فَتًى مِنَّا حَدِيثُ عَهْدٍ بِعُرْسٍ، قَالَ : فَخَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْخَنْدَقِ فَكَانَ ذَلِكَ الْفَتَى يَسْتَأْذِنُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَنْصَافِ النَّهَارِ فَيَرْجِعُ إِلَى أَهْلِهِ، فَاسْتَأْذَنَهُ يَوْمًا، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خُذْ عَلَيْكَ سِلَاحَكَ، فَإِنِّي أَخْشَى عَلَيْكَ قُرَيْظَةَ، فَأَخَذَ الرَّجُلُ سِلَاحَهُ، ثُمَّ رَجَعَ فَإِذَا امْرَأَتُهُ بَيْنَ الْبَابَيْنِ قَائِمَةً فَأَهْوَى إِلَيْهَا الرُّمْحَ لِيَطْعُنَهَا بِهِ وَأَصَابَتْهُ غَيْرَةٌ، فَقَالَتْ لَهُ : اكْفُفْ عَلَيْكَ رُمْحَكَ وَادْخُلِ الْبَيْتَ حَتَّى تَنْظُرَ مَا الَّذِي أَخْرَجَنِي، فَدَخَلَ فَإِذَا بِحَيَّةٍ عَظِيمَةٍ مُنْطَوِيَةٍ عَلَى الْفِرَاشِ فَأَهْوَى إِلَيْهَا بِالرُّمْحِ فَانْتَظَمَهَا بِهِ، ثُمَّ خَرَجَ فَرَكَزَهُ فِي الدَّارِ فَاضْطَرَبَتْ عَلَيْهِ، فَمَا يُدْرَى أَيُّهُمَا كَانَ أَسْرَعَ مَوْتًا الْحَيَّةُ أَمِ الْفَتَى، قَالَ : فَجِئْنَا إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَذَكَرْنَا ذَلِكَ لَهُ وَقُلْنَا ادْعُ اللهَ يُحْيِيهِ لَنَا فَقَالَ : «اسْتَغْفِرُوا لِصَاحِبِكُمْ» ثُمَّ قَالَ : «إِنَّ بِالْمَدِينَةِ جِنًّا قَدْ أَسْلَمُوا، فَإِذَا رَأَيْتُمْ مِنْهُمْ شَيْئًا، فَآذِنُوهُ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ، فَإِنْ بَدَا لَكُمْ بَعْدَ ذَلِكَ، فَاقْتُلُوهُ، فَإِنَّمَا هُوَ شَيْطَانٌ» .

হিশাম ইবন যুহরা (রহ.) এর আযাদকৃত গোলাম আবু সাইব (রহ.) সাইফী (রহ.) থেকে বর্ণিত যে, তিনি (একদিন) আবু সাঈদ খূদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর কাছে তাঁর ঘরে প্রবেশ করলেন। তিনি বলেন, আমি তখন তাঁকে সালাতরত অবস্থায় পেলাম এবং তাঁর সালাত সমাপ্ত করা পর্যন্ত তাঁর অপেক্ষায় বসে রইলাম। তখন ঘরের কোণে রাখা খেজুর ডালের স্তূপের মাঝে কোনো নড়াচড়ার আওয়াজ শুনতে পেলাম। লক্ষ্য করে দেখতে পেলাম যে এটি একটি সাপ। আমি সেটিকে মেরে ফেলার জন্য লাফ দিতে উদ্যত হলাম। তখন তিনি (সালাতে থেকেই) ইশারা করলেন যে, বসে থাক। সালাত শেষে বাড়ির একটি ঘরের দিকে ইংগিত করে বললেন, তুমি কি এ ঘরটি দেখতে পাচ্ছ? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, সেখানে নতুন বিয়ে করা আমাদের এক তকণ থাকত। রাবী বলেন, এরপর আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে খন্দক যুদ্ধে বেরিয়ে গেলাম। ঐ তরুণ দুপুরের দিকে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে অনুমতি চেয়ে নিত এবং তার পরিবারের কাছে ফিরে যেত। একদিন সে (যথারীতি) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুমতি চাইলে তিনি তাকে বললেন, তোমার যুদ্ধাস্ত্র তোমার সাথে নিয়ে যাও। কেননা আমি তোমার উপরে বনূ কুরায়যা (ইয়াহুদীদের আক্রমণ)-এর আশংকা করছি। লোকটি তার হাতিয়ার নিয়ে (বাড়িতে) ফিরে গেল। সেখানে সে তার (নব পরিনীতা) স্ত্রীকে দু’দরজার মাঝে দাঁড়ানো অবস্থায় দেখতে পেল এবং (তার প্রতি সন্দিহান হয়ে) বল্লম দিয়ে তাকে যখম করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে তা তার দিকে তাক করে ধরল। মর্যাদাবোধ তাকে পেয়ে বসেছিল। তখন সে (স্ত্রী) বলল, তোমার বল্লমটি নিজের কাছে থামিয়ে রাখ এবং ঘরে প্রবেশ কর। যাতে তুমি তা দেখতে পার, যা আমাকে বের করে দিয়েছে সে ঘরে ঢুকেই দেখতে পেল যে, এক বিরাটকায় সাপ বিছানার উপরে কুণ্ডলী পাকিয়ে রয়েছে। সে এর দিকে বল্লম তাক করে তার দ্বারা এটিকে গেথে ফেলল। তারপর বের হয়ে তা (বল্লমটি) বাড়ির মধ্যে গেঁড়ে রাখল। তখন সেটি নড়ে চড়ে তার দিকে ধাবিত হল এবং (মুহূর্তের মধ্যে) সাপ কিংবা তরুণ এ দু’জনের কে অধিক দ্রুত মৃত্যুবরণকারী ছিল, তা টের পাওয়া গেল না। রাবী আবু সাঈদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট গিয়ে ব্যাপারটি বর্ণনা করলাম এবং তাঁকে বললাম, আপনি আল্লাহর দরবারে দো‘আ করুন, তিনি যেন আমাদের খাতিরে তাকে জীবিত করে দেন। তখন তিনি বললেন, তোমরা তোমাদের সাথীর জন্য ইসতিগফার কর। এরপর বললেন, মদীনায় কতক জিন রয়েছে, যারা ইসলাম কবুল করেছে, তাই (সাপ ইত্যাদি রূপে) তাদের কোনো কিছু তোমরা দেখতে পেলে তাকে তিন দিন সতর্ক সংকেত দিবে; এরপরেও তোমাদের সামনে (তা) প্রকাশ পেলে তাকে মেরে ফেলবে। কেননা সে একটি (অবাধ্য) শয়তান, (অর্থাৎ সে মুসলিম নয়)। [মুসলিম, হাদীস নং ২২৩৬।]

عَنْ رَجُلٍ يُقَالُ لَهُ السَّائِبُ وَهُوَ عِنْدَنَا أَبُو السَّائِبِ، قَالَ : دَخَلْنَا عَلَى أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، فَبَيْنَمَا نَحْنُ جُلُوسٌ إِذْ سَمِعْنَا تَحْتَ سَرِيرِهِ حَرَكَةً، فَنَظَرْنَا فَإِذَا حَيَّةٌ، وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِقِصَّتِهِ نَحْوَ حَدِيثِ مَالِكٍ عَنْ صَيْفِيٍّ، وَقَالَ فِيهِ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : «إِنَّ لِهَذِهِ الْبُيُوتِ عَوَامِرَ، فَإِذَا رَأَيْتُمْ شَيْئًا مِنْهَا فَحَرِّجُوا عَلَيْهَا ثَلَاثًا، فَإِنْ ذَهَبَ، وَإِلَّا فَاقْتُلُوهُ، فَإِنَّهُ كَافِرٌ» وَقَالَ لَهُمْ : «اذْهَبُوا فَادْفِنُوا صَاحِبَكُمْ» .

আবু সাইব (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর কাছে গেলাম। আমরা বসা ছিলাম, এমতাবস্থায় হঠাৎ তাঁর খাটের নীচে একটা নড়াচড়ার আওয়াজ শুনতে পেলাম। লক্ষ্য করে দেখি যে, সেটা একটা সাপ, কিসসাসহ হাদীসখানি পূর্বোল্লেখিত সায়ফী (রহ.) থেকে মালিক (রহ.) বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বিবৃত করেছেন। তবে এতে বলেছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “এ সব বাড়ি-ঘরে আরও কতক বসবাসকারী রয়েছে। অতএব সে ধরনের কোনো কিছু তোমরা দেখতে পেলে তাদের প্রতি তিনবার সতর্ক সংকেত উচ্চারণ করবে। এতে যদি (তারা) চলে যায় তো উত্তম, অন্যথায় তাকে তোমরা মেরে ফেলবে। কেননা সে কাফির (অবাধ্য)। আর তিনি তাদের (মৃত ব্যক্তির অভিভাবকদের) বললেন, তোমরা চলে যাও এবং তোমাদের সাথীকে দাফন কর। [মুসলিম, হাদীস নং ২২৩৬।]

عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ : سَمِعْتُهُ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : «إِنَّ بِالْمَدِينَةِ نَفَرًا مِنَ الْجِنِّ قَدْ أَسْلَمُوا، فَمَنْ رَأَى شَيْئًا مِنْ هَذِهِ الْعَوَامِرِ فَلْيُؤْذِنْهُ ثَلَاثًا، فَإِنْ بَدَا لَهُ بَعْدُ فَلْيَقْتُلْهُ، فَإِنَّهُ شَيْطَانٌ» .

আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মদীনায় জিনদের একটি দল রয়েছে, যারা ইসলাম কবুল করেছে। তাই যে ব্যক্তি এ সব বাড়ি-ঘরে বসবাসকারীদের (সাপ ইত্যাদির রূপধারী) কোন কিছু দেখতে পায়, সে যেন তাকে তিনবার সতর্ক সংকেত দেয়; এরপরও যদি তার সামনে তা প্রকাশ পায়, তবে সে যেন তাকে মেরে ফেলে, কেননা সে একটা (অবাধ্য) শয়তান। [মুসলিম, হাদীস নং ২২৩৬।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন