hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সহীহ হাদীসের আলোকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নবুওয়তের প্রমাণ

লেখকঃ শাইখ মুকবিল ইবন হাদী আল ওয়াদি‘য়ী

৬৭
আল্লাহর নবী সুলাইমান আলাইহিস সালাম
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿ وَلَقَدۡ فَتَنَّا سُلَيۡمَٰنَ وَأَلۡقَيۡنَا عَلَىٰ كُرۡسِيِّهِۦ جَسَدٗا ثُمَّ أَنَابَ ٣٤ قَالَ رَبِّ ٱغۡفِرۡ لِي وَهَبۡ لِي مُلۡكٗا لَّا يَنۢبَغِي لِأَحَدٖ مِّنۢ بَعۡدِيٓۖ إِنَّكَ أَنتَ ٱلۡوَهَّابُ ٣٥ فَسَخَّرۡنَا لَهُ ٱلرِّيحَ تَجۡرِي بِأَمۡرِهِۦ رُخَآءً حَيۡثُ أَصَابَ ٣٦ وَٱلشَّيَٰطِينَ كُلَّ بَنَّآءٖ وَغَوَّاصٖ ٣٧ وَءَاخَرِينَ مُقَرَّنِينَ فِي ٱلۡأَصۡفَادِ ٣٨ هَٰذَا عَطَآؤُنَا فَٱمۡنُنۡ أَوۡ أَمۡسِكۡ بِغَيۡرِ حِسَابٖ ٣٩ وَإِنَّ لَهُۥ عِندَنَا لَزُلۡفَىٰ وَحُسۡنَ مَ‍َٔابٖ ٤٠ ﴾ [ص: ٣٤، ٤٠ ]

“আর আমি তো সুলাইমানকে পরীক্ষা করেছিলাম এবং তার সিংহাসনের উপর রেখেছিলাম একটি দেহ [আবু হুরাইরা সূত্রে বুখারী শরীফের বর্ণনা মতে হযরত সুলাইমান একদা তাঁর সকল স্ত্রীর সাথে সহবাস করার দীপ্ত কামনা ব্যক্ত করে বলেন যে, এর ফলে তাদের গর্ভে যেসব সন্তান আসবে তারা সব আল্লাহর পথে লড়াকু মুজাহিদ হবে। তবে তিনি ইনশাআল্লাহ বলতে ভুলে যান। ফলে একমাত্র এক স্ত্রীর গর্ভেই একটি সন্তান হয়, যে ছিল বিকলাঙ্গ নিষ্প্রাণ প্রায়। ভূমিষ্ট হবার পর এ সন্তানকে সুলাইমানের দরবারে তার সিংহাসনে এনে রাখা হলে তিনি স্বীয় ভুল বুঝতে পেরে অনুতপ্ত হন এবং তওবা করেন।], অতঃপর সে আমার অভিমুখী হল। সুলাইমান বলল, ‘হে আমার রব, আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমাকে এমন এক রাজত্ব দান করুন যা আমার পর আর কারও জন্যই প্রযোজ্য হবে না। নিশ্চয়ই আপনি বড়ই দানশীল। ফলে আমি বায়ুকে তার অনুগত করে দিলাম যা তার আদেশে মৃদুমন্দভাবে প্রবাহিত হত, যেখানে সে পৌঁছতে চাইত। আর (অনুগত করে দিলাম) প্রত্যেক প্রাসাদ নির্মাণকারী ও ডুবুরী শয়তান [জিন]সমূহকেও আর শেকলে আবদ্ধ আরও অনেককে। এটি আমার অনুগ্রহ। অতএব তুমি এটি অন্যের জন্য খরচ কর অথবা নিজের জন্য রেখে দাও, এর কোনো হিসাব দিতে হবে না। আর আমার নিকট রয়েছে তার জন্য নৈকট্য ও শুভ পরিণাম”। [সূরা সোয়াদ: ৩৪-৪০]

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " أَنَّ سُلَيْمَانَ بْنَ دَاوُدَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا بَنَى بَيْتَ الْمَقْدِسِ سَأَلَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ خِلَالًا ثَلَاثَةً : سَأَلَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ حُكْمًا يُصَادِفُ حُكْمَهُ فَأُوتِيَهُ، وَسَأَلَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ مُلْكًا لَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ مِنْ بَعْدِهِ فَأُوتِيَهُ، وَسَأَلَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ حِينَ فَرَغَ مِنْ بِنَاءِ الْمَسْجِدِ أَنْ لَا يَأْتِيَهُ أَحَدٌ لَا يَنْهَزُهُ إِلَّا الصَّلَاةُ فِيهِ أَنْ يُخْرِجَهُ مِنْ خَطِيئَتِهِ كَيَوْمِ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ ".

আবদুল্লাহ ইবন ‘আমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন যে, সুলায়মান ইবন দাঊদ আলাইহিস সালাম যখন বায়তুল মুকাদ্দাস নির্মাণ করলেন, তখন তিনি আল্লাহ তা’আলার কাছে তিনটি বস্তু চাইলেন: তিনি আল্লাহ তা’আলার নিকট প্রার্থনা করলেন এমন ফয়সালা যা তাঁর ফয়সালার মত হয়। তা তাঁকে প্রদান করা হল। আর তিনি আল্লাহ তা’আলার নিকট চাইলেন এমন রাজ্য, যার অধিকারী তারপর আর কেউ হবে না। তাও তাঁকে দেওয়া হল। আর যখন তিনি মসজিদ নির্মাণের কাজ সমাপ্ত করলেন তখন তিনি আল্লাহ তা’আলার নিকট প্রার্থনা করলেন, যে ব্যক্তি তাতে সালাতের জন্য আগমন করবে, তাকে যেন পাপ থেকে ঐদিনের মত মু্ক্ত করে দেন যেদিন সে তার মাতৃগর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ হয়েছিল। [নাসায়ী, হাদীস নং ৬৯৩।]

عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، قَالَ : قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي فَسَمِعْنَاهُ يَقُولُ : «أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْكَ»، ثُمَّ قَالَ : «أَلْعَنُكَ بِلَعْنَةِ اللَّهِ ثَلَاثًا»، وَبَسَطَ يَدَهُ كَأَنَّهُ يَتَنَاوَلُ شَيْئًا، فَلَمَّا فَرَغَ مِنَ الصَّلَاةِ قُلْنَا : يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَدْ سَمِعْنَاكَ تَقُولُ فِي الصَّلَاةِ شَيْئًا لَمْ نَسْمَعْكَ تَقُولُهُ قَبْلَ ذَلِكَ، وَرَأَيْنَاكَ بَسَطْتَ يَدَكَ، قَالَ : " إِنَّ عَدُوَّ اللَّهِ إِبْلِيسَ جَاءَ بِشِهَابٍ مِنْ نَارٍ لِيَجْعَلَهُ فِي وَجْهِي، فَقُلْتُ : أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْكَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، ثُمَّ قُلْتُ : أَلْعَنُكَ بِلَعْنَةِ اللَّهِ، فَلَمْ يَسْتَأْخِرْ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، ثُمَّ أَرَدْتُ أَنْ آخُذَهُ، وَاللَّهِ لَوْلَا دَعْوَةُ أَخِينَا سُلَيْمَانَ لَأَصْبَحَ مُوثَقًا بِهَا يَلْعَبُ بِهِ وِلْدَانُ أَهْلِ الْمَدِينَةِ ".

আবু দারদা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (একবার) সালাতে দাঁড়ালে আমরা তাকে বলতে শুনলাম, আমি তোর (ইবলীস) থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাই। তারপর বললেন, আমি আল্লাহর লানত দ্বারা তোকে লানত দিচ্ছি। (এ বাক্যটি তিনি) তিনবার (বললেন) এবং হাত প্রসারিত করলেন যেন কোন কিছু ধরতে চাচ্ছেন। যখন তিনি সালাত শেষ করলেন, আমরা বললাম, ইয়া রাসুলল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! (আজ) আমরা সালাতে আপনাকে এমন কিছু বলতে শুনেছি যা ইতোপূর্বে আর কখনো বলতে শুনিনি, আর (আজ) আপনাকে হাত প্রসারিত করতে দেখেছি। তিনি বললেন, আল্লাহর দুশমন ইবলীস অগ্নিস্ফুলিংগ নিয়ে এসেছিল আমার চেহারায় নিক্ষেপ করার জন্য, তখন আমি তিনবার বললাম, আমি তোর থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাই। এরপর আমি তিনবার বললাম, আল্লাহর লানত দ্বারা আমি তোকে লানত দিচ্ছি। এতেও সে যখন পেছনে সরে গেল না তখন আমি তাকে ধরতে ইচ্ছা করেছিলাম। আল্লাহর শপথ! যদি আমার ভাই সুলায়মান আলাইহিস সালামের দো‘আ না থাকতো তা হলে সে ভোর পর্যন্ত খৃঁটির সাথে বাঁধা থাকতো। তার সাথে মদীনার শিশু?-কিশোররা খেলা করত। [নাসায়ী, হাদীস নং ১২১৫। হাদীসটি মুসলিমের শর্তে সহীহ।]

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : «إِنَّ عِفْرِيتًا مِنَ الجِنِّ تَفَلَّتَ البَارِحَةَ لِيَقْطَعَ عَلَيَّ صَلاَتِي، فَأَمْكَنَنِي اللَّهُ مِنْهُ فَأَخَذْتُهُ، فَأَرَدْتُ أَنْ أَرْبُطَهُ عَلَى سَارِيَةٍ مِنْ سَوَارِي المَسْجِدِ حَتَّى تَنْظُرُوا إِلَيْهِ كُلُّكُمْ، فَذَكَرْتُ دَعْوَةَ أَخِي سُلَيْمَانَ رَبِّ هَبْ لِي مُلْكًا لاَ يَنْبَغِي لِأَحَدٍ مِنْ بَعْدِي فَرَدَدْتُهُ خَاسِئًا» { عِفْرِيتٌ } [ النمل : 39] مُتَمَرِّدٌ مِنْ إِنْسٍ أَوْ جَانٍّ، مِثْلُ زِبْنِيَةٍ جَمَاعَتُهَا الزَّبَانِيَةُ ".

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, একটি অবাধ্য জ্বিন এক রাতে আমার সালাতে বিঘ্ন সৃষ্টির উদ্দেশ্যে আমার নিকট আসল। আল্লাহ্ আমাকে তাঁর উপর ক্ষমতা প্রদান করলেন। আমি তাঁকে পাকড়াও করলাম এবং মসজিদের একটি খুটির সঙ্গে বেঁধে রাখার মনস্থ করলাম, যাতে তোমরা সবাই সচক্ষে তাঁকে দেখতে পাও। তখনই আমার ভাই সুলায়মান আলাইহিস সালামের দু‘আটি আমার মনে পড়লো। “হে আমার রব! আমাকে ক্ষমা করুণ এবং আমাকে দান করুন এবং আমাকে দান করুন এমন এক রাজ্য যার অধিকারী আমার পরে আমি ছাড়া কেউ না হয়”। [সূরা নামল : ৩৯] এরপর আমি জ্বিনটিকে ব্যর্থ এবং অপমানিত করে ছেড়ে দিলাম। জিন অথবা ইনসানের অত্যন্ত পিশাচ ব্যক্তিকে ইফ্রীত বলা হয়। ইফ্রীত ও ইফ্রীয়াতুন যিব্নীয়াতুন-এর ন্যায় এক বচন, যার বহু বচন যাবানিয়াতুন। [বুখারী, হাদীস নং ৩৪২৩।]

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ : قَالَ : سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ لَأَطُوفَنَّ اللَّيْلَةَ عَلَى سَبْعِينَ امْرَأَةً، تَحْمِلُ كُلُّ امْرَأَةٍ فَارِسًا يُجَاهِدُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، فَقَالَ لَهُ صَاحِبُهُ : إِنْ شَاءَ اللَّهُ، فَلَمْ يَقُلْ، وَلَمْ تَحْمِلْ شَيْئًا إِلَّا وَاحِدًا، سَاقِطًا أَحَدُ شِقَّيْهِ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : لَوْ قَالَهَا لَجَاهَدُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ " قَالَ شُعَيْبٌ وَابْنُ أَبِي الزِّنَادِ : تِسْعِينَ وَهُوَ أَصَحُّ .

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সুলায়মান ইবন দাউদ আলাইহিস সালাম বলেছেন, আজ রাতে আমি আমার সত্তর জন্য স্ত্রীর নিকট যাব। প্রত্যেক স্ত্রী একজন করে আশারোহী যোদ্ধা গর্ভধারণ করবে। এরা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করবে। তখন তাঁর সাথী বললেন, ইনশাআল্লাহ্ (বলুন)। কিন্তু তিনি মুখে তা বলেন নি। এরপর একজন স্ত্রী ব্যতীত কেউ গর্ভধারণ করলেন, না। সে যাও এক (পুত্র) সন্তান প্রসব করলেন। তাও তার এক অঙ্গ ছিল না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তিনি যদি ‘ইনশাআল্লাহ্’ মুখে বলতেন, তা হলে (সবগুলো সন্তানই জন্ম নিত এবং) আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করতো। শু‘আয়ব এবং আবূ যিনাদ (রহ.) এখানে নব্বই জন্য স্ত্রীর কথা উল্লেখ করেছেন আর এটাই সঠিক বর্ণনা। [বুখারী, হাদীস নং ৩৪২৪।]

حَدَّثَهُ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ : " مَثَلِي وَمَثَلُ النَّاسِ، كَمَثَلِ رَجُلٍ اسْتَوْقَدَ نَارًا، فَجَعَلَ الفَرَاشُ وَهَذِهِ الدَّوَابُّ تَقَعُ فِي النَّارِ، وَقَالَ : كَانَتِ امْرَأَتَانِ مَعَهُمَا ابْنَاهُمَا، جَاءَ الذِّئْبُ فَذَهَبَ بِابْنِ إِحْدَاهُمَا، فَقَالَتْ صَاحِبَتُهَا : إِنَّمَا ذَهَبَ بِابْنِكِ، وَقَالَتِ الأُخْرَى : إِنَّمَا ذَهَبَ بِابْنِكِ، فَتَحَاكَمَتَا إِلَى دَاوُدَ، فَقَضَى بِهِ لِلْكُبْرَى، فَخَرَجَتَا عَلَى سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُدَ فَأَخْبَرَتَاهُ، فَقَالَ : ائْتُونِي بِالسِّكِّينِ أَشُقُّهُ بَيْنَهُمَا، فَقَالَتِ الصُّغْرَى : لاَ تَفْعَلْ يَرْحَمُكَ اللَّهُ، هُوَ ابْنُهَا، فَقَضَى بِهِ لِلصُّغْرَى " قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ : وَاللَّهِ إِنْ سَمِعْتُ بِالسِّكِّينِ إِلَّا يَوْمَئِذٍ، وَمَا كُنَّا نَقُولُ إِلَّا المُدْيَةُ .

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন যে, আমার ও অন্যান্য মানুষের উপমা হলো এমন যেমন কোনো এক ব্যক্তি আগুন জ্বালাল এবং তাতে পতঙ্গ এবং কীটগুলো ঝাঁকে ঝাঁকে পড়তে লাগল। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, দু’জন মহিলা ছিল। তাদের সঙ্গে দু’টি সন্তানও ছিল। হঠাৎ একটি বাঘ এসে তাদের একজনের ছেলে নিয়ে গেল। সাথের একজন মহিলা বললো, ‘‘না, বাঘে তোমার ছেলেটি নিয়ে গেছে।’’ তারপর উভয় মহিলাই দাউদ আলাইহিস সালামের নিকট এ বিরোধ মীমাংসার জন্য বিচারপ্রার্থী হলো। তখন তিনি ছেলেটির বিষয়ে বয়স্কা মহিলাটির পক্ষে রায় দিলেন। তারপর তারা উভয়ে (বিচারালয় থেকে) বেরিয়ে দাউদ আলাইহিস সালামের পুত্র সুলায়মান আলাইহিস সালামের কাছ দিয়ে যেতে লাগল এবং তারা উভয়ে তাঁকে ঘটনাটি জানালেন। তখন তিনি লোকদেরকে বললেন, তোমরা আমার কাছে ছোরা আনয়ন কর। আমি ছেলেটিকে দু’ টুক্রা করে তাদের উভয়ের মধ্যে ভাগ করে দেই। এ কথা শুনে অল্প বয়স্কা মহিলাটি বলে উঠলো, তা করবেন না, আল্লাহ্ আপনার উপর রহম করুন। ছেলেটি তারই। (এটা আমি মেনে নিচ্ছি) তখন তিনি ছেলেটির ব্যাপারে অল্প বয়স্কা মহিলাটির পক্ষেই রায় দিলেন। আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, আল্লাহর কসম! ছোরা অর্থে শব্দটি আমি ঐ দিনই শুনেছি। আর না হয় আমরা তো ছোরাকেই বলতাম। [বুখারী, হাদীস নং ৩৪২৬-৩৪২৭।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন