মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
তিনি মুসলিম লীগের রাজনীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন। পাকিস্তান দাবীর পক্ষে হাঁ-না ভোটে সাতক্ষীরা অঞ্চলে ১৯৪৬ সাথে তৎকালীন মুসলিম লীগের প্রতিনিধি ডাঃ আব্দুল আহাদের পক্ষে তাঁর অনুমতিক্রমে তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র আব্দুল্লাহ আল-বাকী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এই সময় তার পদ্যছন্দে লিখিত পুস্তিকা ‘পাকিস্তান গীতিকা’ খুবই জনপ্রিয় ছিল। যার প্রথম লাইন ছিল ‘লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান, কবুল মোদের জান-পরান’। তিনি বলেন, এ সময়কার প্রায় সকল জনসভায় আববা সভাপতিত্ব করতেন। ১৯৪৫-৪৬ সালের দিকে সাতক্ষীরার নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ছিলেন আববা, লাবসার আলম মাস্টার, ডাঃ মাহতাবুদ্দীন, রসূলপুরের আব্দুল বারী খাঁ, শ্রীঊলার জামালুদ্দীন, সুলতানপুরের আহমাদ মোক্তার প্রমুখ। শেষোক্ত জনের বাড়ীতে সাতক্ষীরা মুসলিম লীগের অফিস ছিল।’
১৯৪৭ সালের ১৪ই আগষ্ট দেশ স্বাধীন হ’ল। অথচ খুলনা ও সাতক্ষীরায় পাকিস্তানের পতাকা উড়লো না। তখন মূলতঃ সবুর খানের চেষ্টায় এবং আমাদের মিছিল-মিটিং ও আন্দোলনের ফলে ১৭ই আগষ্ট তারিখে এই সব শহরে ফ্লাগ ওঠে এবং আমিই প্রথম সাতক্ষীরা ডাক বাংলো (আই. বি) রেস্ট হাউসে পাকিস্তানের পতাকা উড়াই। আববা ছিলেন এসব আন্দোলনের প্রাণপুরুষ।
সেসময়কার কথা বলতে গিয়ে সাতক্ষীরার সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডাঃ আফতাবুজ্জামান (৭৩) (পিতা : ডাঃ মাহতাবুদ্দীন) বলেন, ঐ সময় আমি ছোট ছিলাম। আমি দেখেছি, বাকী ভাইয়ের নেতৃত্বে পাকিস্তানের পক্ষে বিরাট মিছিলের চেহারা। সাতক্ষীরার রাজনৈতিক নেতারা দু’দিনের মধ্যেই ১৪ হাযার টাকা কালেকশন করে কলিকাতায় যান ও সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ করে খুলনা ও সাতক্ষীরাকে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করাতে সক্ষম হন। সেদিন তাঁরা ব্যর্থ হ’লে আজ আমাদের ভারতের গোলামীর জিঞ্জিরে আবদ্ধ থাকতে হ’ত। তাই তাঁদের সেদিনকার অবদান কখনোই ভুলে যাওয়া উচিৎ নয়।[4]
জনাব আব্দুল্লাহ আল-বাকী বলেন, আববার রাজনৈতিক চিন্তাধারা ছিল অত্যন্ত স্বচ্ছ এবং তিনি ছিলেন তাঁর বিশ্বাসে অবিচল ও নিষ্ঠাবান। যখন পাকিস্তান-এর প্রস্তাবক শেরে বাংলা ফজলুল হক ‘মুসলিম লীগ’ থেকে বেরিয়ে গিয়ে ‘কৃষক-প্রজা পার্টি’ খাড়া করে পাকিস্তানের বিপক্ষে ‘কংগ্রেস’-এর পক্ষ নিলেন। মাওলানা মওদূদী ‘জামায়াতে ইসলামী’ বানিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গেলেন, তখন আববা সবসময় আমাদের উৎসাহ দিয়ে বলতেন, দেখ, পাকিস্তান না হ’লে চিরদিন তোমাদের হিন্দু নেতাদের গোলামী করতে হবে। তারা এখনকার মত আগামীতেও তোমাদের শোষণ করবে এবং জান-মাল ও ইযযতের উপর হামলা চালাবে। অতএব নেতারা যতই বেঈমানী করুক, তোমরা তোমাদের লক্ষ্যে অবিচল থাক। বস্ত্ততঃ আববার কারণে সাতক্ষীরা মুসলিম লীগে কোন ভাঙন ধরেনি।[5]
মাওলানার কনিষ্ঠ পুত্র বলেন, ১৯৬৩ সালের ৫ই ডিসেম্বর বৈরুতের এক হোটেলে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মারা গেলে আববা কাকডাঙ্গা মসজিদে আমাদের সামনে কেঁদে ফেলেছিলেন এবং তার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেছিলেন, ১৯৪৬ সালে কলিকাতার রায়টের সময় সোহরাওয়ার্দী যদি না থাকতেন, তাহ’লে কত মুসলমান যে ঐ সময় হিন্দুদের হাতে খুন হ’ত, তার হিসাব থাকত না। তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী (তৎকালীন বেসামরিক সরবরাহ মন্ত্রী) ঐ সময় নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে সশস্ত্র হিন্দু গুন্ডাদের সামনে দু’হাত উঁচু করে বুক ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, ‘এক মুসলিম কো মারনে সে পহেলে তোম মুঝে ক্বতল করো’ (একজন মুসলমানকে হত্যা করার আগে তোমরা আমাকে হত্যা কর)। তাঁর এই দুঃসাহসিক ভূমিকার ফলে হিন্দুরা পিছিয়ে যায়।
মাওলানা আহমাদ আলী সক্রিয় রাজনীতিতে কখনই জড়িত হননি। কিন্তু সাতক্ষীরা যেলা ও নিজ ইউনিয়ন ৭নং আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তাঁর নৈতিক সমর্থনের উপর অনেকের বিজয় নির্ভর করত। ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট পদ গ্রহণের জন্য ইউনিয়নবাসীর আন্তরিক আবেদন ও অবশেষে সম্মিলিত চাপের মুখে তিনি তাঁর ইলমী ও তাবলীগী তৎপরতা ব্যাহত হওয়ার অজুহাত দেখিয়ে উক্ত পদ গ্রহণে অসম্মতি জ্ঞাপন করেন।
এ বিষয়ে একটি সরস গল্প মাওলানা প্রায়ই শিষ্যদের সামনে বলতেন যে, একদিন আমি শনিবার ভোরে বাড়ী থেকে লাবসা মাদরাসার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে মসজিদের সামনে কদবেল তলায় এসে দেখি ইউনিয়নের নামকরা ‘কাদের ডাকাত’ তার দলবল নিয়ে রাস্তায় শুয়ে আছে। আমাকে দেখে ওরা শুয়ে থেকেই সালাম দিল। আমি বললাম, তোমরা এভাবে এখানে কেন? আব্দুল কাদের বলল, আমাদের দাবী আপনি এবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ‘প্রেসিডেন্ট’ পদে দাঁড়াবেন। তাহ’লে আর কেউ প্রার্থী হবে না। আপনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ‘প্রেসিডেন্ট’ হবেন। মাওলানা কিছুটা ভেবে নিয়ে বললেন, আচ্ছা আব্দুল কাদের! আমি যখন সাইকেলে যাই, তখন বুলারাটি থেকে লাবসা পর্যন্ত ৮ মাইল রাস্তার মধ্যে যত লোকের সাথে সাক্ষাত হয়, প্রায় সকলেই আমাকে সালাম করে। এমনকি দারোগা-পুলিশও আমাকে সালাম দেয়। এখন তুমিই বল, কাল যখন আমি ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট হব, আর যদি তোমাকে পুলিশে ধরে নিয়ে যায়, তখন আমাকে গিয়ে থানার দারোগাকে সালাম দিতে হবে তোমাকে ছাড়ানোর জন্য। বিষয়টি কি তুমি মেনে নিতে পারবে? এটুক কথাতেই কাজ হ’ল। আব্দুল কাদের তার বাহিনীসহ অবরোধ উঠিয়ে নিল এবং উস্তাদজীর কাছ থেকে দো‘আ নিয়ে বিদায় হ’ল এই বলে যে, ‘আমরা বেঁচে থাকতে আমাদের উস্তাদজীকে কারু কাছে নীচু হ’তে দেব না’।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/449/21
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।