hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সাহিত্যিক মাওলানা আহমাদ আলী

লেখকঃ হাদীছ ফাউণ্ডেশন বাংলাদেশ

২৮
বিবাহ ও সন্তান-সন্ততি :
১৩১৮ সাল মোতাবেক ১৯১১ খৃষ্টাব্দে ২৮ বছর বয়সে ফাযেল বা উলা জামা‘আতের ছাত্র থাকা অবস্থায় বৃদ্ধ মাতা-পিতার ঐকান্তিক আগ্রহে দেবহাটা উপযেলার ভাতশালা গ্রামের তরফাতুল্লাহ সরদারের কন্যা উম্মে কুলছূমের পাণি গ্রহণ করেন। দুই কন্যা ও দুই পুত্র সন্তান লাভের পর ১৩৩৫ সালের ২৩শে মাঘ প্রথমা স্ত্রীর মৃত্যু ঘটে। এই পক্ষে বর্তমানে (২০১১ ইং) এক পুত্র জীবিত আছেন। পুত্র জনাব আব্দুল্লাহ আল-বাকী ১৯৬২ সাল থেকে পরপর দু’বার এবং ১৯৮৫ সালে তৃতীয়বার আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ‘চেয়ারম্যান’ নির্বাচিত হন এবং শেষোক্ত বারে খুলনা যেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যানের ‘স্বর্ণপদক’ লাভ করেন। তিনি শুরু থেকেই ‘সমবায়’ আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিলেন এবং ১৯৭৬ সাল থেকে খুলনা যেলা সমবায় ইউনিয়নের পরপর দু’বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় পুত্র নূরুল্লাহ ছাত্রাবস্থায় কলিকাতার শিয়ালদহ রেলষ্টেশনে নামতে গিয়ে পা ফসকে ট্রেনের নীচে কাটা পড়ে মারা যান।

প্রথমা স্ত্রীর ইন্তেকালের পরে মাওলানা আহমাদ আলী বাংলা ১৩৩৮ সালে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমাধীন ঘোড়ারাস গ্রামের পন্ডিত বাহার আলী খানের (উস্তাদজী) দ্বিতীয়া কন্যা মুসাম্মাৎ বছীরুন্নেসার সাথে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হন। এই পক্ষে যমজসহ সর্বমোট ১১টি কন্যা ও ৫টি পুত্র সন্তানের মধ্যে দুই কন্যা ও এক পুত্র বেঁচে আছেন। পুত্র ডঃ মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের প্রফেসর এবং প্রকাশিত ও অপ্রকাশিত ছোট-বড় ৩৮-এর অধিক বইয়ের লেখক। তিনি ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘে’র প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি ও মাসিক ‘তাওহীদের ডাক’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক। বর্তমানে তিনি মাসিক ‘আত-তাহরীক’ গবেষণা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক ও সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি এবং ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর আমীরে জামা‘আত।

মাওলানা আহমাদ আলী মৃত্যুকালে বিধবা স্ত্রী, দুই পুত্র, চার কন্যা ও সর্বমোট ২৯ জন নাতি-নাতনী রেখে যান। তাঁর বিধবা স্ত্রী মুসাম্মাৎ বছীরুন্নেসা বিগত ২৬শে জুন ১৯৮৪ মোতাবেক ২৫শে রামাযান ১৪০৪ হিজরী, ১১ই আষাঢ় ১৩৯১ মঙ্গলবার সকাল ৯-২০ মিনিটে দুরারোগ্য ‘পার্কিনসন্স’ (Parkinsons) রোগে প্রায় আড়াই বৎসর শয্যাশায়ী থাকার পর ৭৪ বৎসর বয়সে স্বগৃহে ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজে‘ঊন।

স্ত্রী বছীরুন্নেসা তার পিতার কাছ থেকেই উর্দু, বাংলা শিখে এসেছিলেন। তিনি বাড়ীতে নিয়মিত উর্দু তাফসীর ‘মুযেহুল কুরআন’ পড়তেন। বাড়ীর বৌ ও মেয়েদের পয়ার ছন্দে ‘খায়রুল হাশর’ ও ‘মুনীরুল হুদা’ পড়ে শোনাতেন। বাড়ীতে নিয়মিত মেয়েদের পড়াতেন। বুলারাটি, তালবেড়ে, মাহমূদপুরের বহু মেয়ে ও বৌরা তাঁর নিয়মিত ছাত্রী ছিল। আমৃত্যু তিনি এ খিদমত করে গেছেন নিঃস্বার্থ ভাবে। তিনি কঠিন পর্দানশীন ছিলেন। তাঁর দো‘আ ও পানি পড়ার সুনাম ছিল সর্বত্র। ছোট ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। ছুটিতে বাড়ী এসেছে। কাছে বসিয়ে গায়ে হাত বুলিয়ে মা বলছেন, খোকা! প্রায় দু’সপ্তাহ আগে মঙ্গলবারে তোমার খুব জ্বর হয়েছিল, তাই-না? ছেলে হতবাক। দিনক্ষণ ঠিক করে কিভাবে বললেন? ঢাকায় ফিরে রুমমেট বামপন্থী ছাত্রটিকে মা ও সন্তানের মধ্যকার অদৃশ্য বন্ধনের এই অলৌকিক ঘটনা শুনালে তার বস্ত্তবাদী দর্শনে এর কোন জবাব নেই বলে স্বীকার করে। প্রতিদিন সকালে বিশেষ করে বর্ষাকালে শিউলী ফুলের পাতা, আনারসের পাতার মাজ, চটি-মকরধ্বজ বেটে রেখে দিতেন। পাড়ার কোন বাচ্চা এলে মধু খাওয়ার লোভ দেখিয়ে কাছে ডেকে এনে জিভে মধু মাখিয়ে দিয়ে ঐ প্রচন্ড তিতা রস ছোট্ট কাপে করে বাচ্চার নাক টিপে ধরে তার গালে ঢেলে দিতেন। এতে শিশুদের কৃমি দূর হ’ত।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন