hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সাহিত্যিক মাওলানা আহমাদ আলী

লেখকঃ হাদীছ ফাউণ্ডেশন বাংলাদেশ

২৭
ছাত্রবৃন্দ :
তাঁর অগণিত ছাত্রের মধ্যে বিশিষ্ট কয়েকজনের নাম এখানে প্রদত্ত হ’ল।-

যেলা সাতক্ষীরা : ১। মাওলানা আব্দুর রঊফ, পাথরঘাটা ২। মাওলানা আব্দুল করীম, ঐ, শিক্ষক ঝাউডাঙ্গা মাদরাসা ৩। মাওলানা সাখাউদ্দীন, সাতক্ষীরা পি. এন. হাইস্কুল ৪। মুহাম্মাদ সাঈদ (লাবসা) হেড পোষ্ট মাষ্টার, সাতক্ষীরা প্রধান ডাকঘর ৫। শেখ আব্দুল হক (লাবসা), সচিব, বাংলাদেশ সরকার ৬। শেখ আতাউর রহমান (লাবসা), সচিব, বাংলাদেশ সরকার ৭। শেখ মুশতাক আহমাদ, এডভোকেট, সাতক্ষীরা জজকোর্ট ৮। শামসুল হক- ১, এডভোকেট, ঐ ৯। মৌলবী এলাহী বখ্শ খানপুরী ১০। মৌলবী আব্দুল আযীয (মুরারীকাটি), প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, কলারোয়া মহাবিদ্যালয়, কলারোয়া ১১। মাওলানা কফীলুদ্দীন, নাকনা, আশাশুনি ১২। শেখ আশরাফুল হক, সাতক্ষীরা পৌর মেয়র।

যেলা যশোর : ১। মৌলবী শামসুদ্দীন, দিকদানা, উপযেলা ঝিকরগাছা ২। মৌলবী কফীলুদ্দীন, কেশবপুর ৩। মৌলবী সিরাজুল ইসলাম (জাহানপুর, কেশবপুর) ৪। মাওলানা আবূবকর, হলিধানী, ঝিনাইদহ, সুপার, হাড়াভাঙ্গা সিনিয়র মাদরাসা, মেহেরপুর।

যেলা খুলনা, বাগেরহাট ও ফরিদপুর : ১। মৌলবী আব্দুছ ছামাদ (কামালনগর, সাতক্ষীরা) ২। মাওলানা আব্দুর রহমান (কাকডাঙ্গা, সাতক্ষীরা) ৩। মাওলানা মুনীরুল হোদা (কাকডাঙ্গা, সাতক্ষীরা) ৪। ক্বারী আব্দুল মান্নান আরশাদ, ফারেগ, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, নাচুনিয়া, তেরখাদা উপযেলা, খুলনা ৫। মাওলানা আনোয়ার হোসাইন, পাইকগাছা, খুলনা সদর ৬। মাওলানা আযীযুর রহমান ছিদ্দীকী, নগরকান্দা, মোল্লাহাট, বাগেরহাট ৭। মাওলানা রফীকুল ইসলাম, কাহালপুর, ঐ ৮। মাওলানা মনীরুযযামান, রাজপাট, ঐ ৯। মাওলানা আব্দুল বারী, আড়ুয়াবর্ণি, চিতলমারী, বাগেরহাট ১০। মাওলানা ছিদ্দীকুর রহমান, শেখর, বোয়ালমারী, ফরিদপুর ১১। মাওলানা দীন মুহাম্মাদ, বহলতলী, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ।

উত্তর চবিবশ পরগণা, ভারত : ১। মৌলবী যমীরুদ্দীন, ঘোড়ারাস, বসিরহাট ২। মাওলানা ফযলুল হক, ঐ ৩। ইউসুফ শেখ, ঐ ৪। জামাত আলী শেখ, ঐ ৫। লুৎফর রহমান, ঐ এবং দক্ষিণ চবিবশ পরগণার আব্দুশ শুকুর, এনায়েতনগর।

সুদীর্ঘ অর্ধ শতাধিককাল শিক্ষকতার জীবনে তিনি হাযার হাযার ছাত্রের বরণীয় উস্তাদ হওয়ার দুর্লভ সম্মান অর্জন করেন। তাঁর আমলে বাগেরহাট, খুলনা, যশোর, ফরিদপুর ও বিশেষ করে সাতক্ষীরা এলাকার বড় বড় আলেম ও উচ্চশিক্ষিত গণ্যমান্য ব্যক্তিগণের মধ্যে স্বল্পসংখ্যক বাদে প্রায় সকলেই তাঁর ছাত্র হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেন। বর্তমানে সমাজে প্রতিষ্ঠিত ও উচ্চপদস্থ তাঁর বহু ছাত্রের মুখে ‘আদর্শ শিক্ষক’ হিসাবে মাওলানা আহমাদ আলীর উচ্চ মর্যাদার কথা সর্বদা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করতে দেখা যায়।

মাওলানার কনিষ্ঠপুত্র বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র থাকাকালীন সময়ে সম্ভবতঃ ১৯৭৮ সালের দিকে কোন এক প্রয়োজনে আমি বাংলাদেশ সরকারের তৎকালীন সচিব লাবসার সম্ভবতঃ জনাব আব্দুল হক-এর আজিমপুরের সরকারী বাসায় যাই। আমার নাম ও পিতার নাম লিখে ভিতরে একটা স্লিপ পাঠিয়ে দেই। আমাকে বসতে দেওয়া হয়। এমন সময় সচিব ছাহেব বাড়ীতে আসেন ও সোজা ভিতরে গেলে তাঁর হাতে আমার স্লিপ পৌঁছে যায়। তিনি ঐ অবস্থায় এসে আমার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন। পিছে পিছে তাঁর স্ত্রীও এলেন। তারা উভয়ে আববার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে এক পর্যায়ে কেঁদে ফেললেন। স্ত্রী বললেন, আমি প্রায়ই ওনার মুখে উস্তাদজীর প্রশংসা শুনি। আপনি তাঁর সন্তান। তাই আপনাকে দেখার আবেগ সামলাতে পারলাম না। এ সময় সচিব ছাহেব বললেন, উস্তাদজীর আদর-সোহাগ, বকাঝকা, চলাফেরা সবই আমি যেন চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি। কোন পড়া বেঁধে গেলে উস্তাদজীর সে কি আকুতি। পড়া না করা পর্যন্ত ছাড়তেন না। মাঝে-মধ্যে ছড়ি দিয়ে হালকা মার দিতেন। ওটা ছিল আমাদের জন্য আশীর্বাদ। বলেই তিনি পিঠে হাত দিয়ে বলেন, আমি এখনও তাঁর মারের স্পর্শ অনুভব করি। যদি তিনি সেদিন আমাদেরকে এভাবে কর্তব্য কর্মে দায়িত্বশীল করে গড়ে না তুলতেন, তাহ’লে আজ এই উঁচু পর্যায়ে আমরা আসতে পারতাম না। জীবনে বহু শিক্ষক দেখেছি। কিন্তু এমন আদর্শ শিক্ষক দেখিনি। তিনি আমার নিকটে ভক্তির সর্বোচ্চ আসনে ভাস্বর হয়ে আছেন। সর্বদা আমি তাঁর শিক্ষা অনুসরণ করি। এ পর্যায়ে এসে তিনি কেঁদে ফেলেন। আমি হতবাক বিস্ময়ে এই দু’জন প্রবীণ স্বামী-স্ত্রীর ভক্তি ও শ্রদ্ধার পরিমাপ করলাম এবং মনে মনে বললাম, হায়! আমরা আমাদের পিতাকে সত্যিকার অর্থে চিনতে পারিনি।

তিনি আরও বলেন, ২০০৯ সালের ৮ই মে শুক্রবার ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ সাতক্ষীরা সাংগঠনিক যেলা কর্তৃক শহরের প্রাণকেন্দ্র চিলড্রেন্স পার্কে আয়োজিত যেলা সম্মেলনের মঞ্চে বসে সে সময়ের পৌরসভা মেয়র জনাব শেখ আশরাফুল হক (৭৫) আমাকে বলেন, উস্তাদজীর ছেলের সম্মেলন বলেই আমি এসেছি ও সহযোগিতা করেছি। আপনাকে দেখে উস্তাদজীর স্মৃতি ভেসে উঠছে। তিনি বললেন, আমার হাতের লেখা ভাল ছিলনা। বারবার চেষ্টায়ও হয় না। একদিন উস্তাদজী আমাকে বললেন, কাল যদি তোমার লেখা ভাল না হয়, তাহ’লে দু’আঙ্গুলের মাঝখানে উডপেন্সিল দিয়ে চাপ দিয়ে আঙ্গুল ভেঙ্গে দেব। আমি ভয়ে তার পরদিন সুন্দর লেখা নিয়ে আসি। সেই থেকে এখনও আমার হাতের লেখা সুন্দর।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন