hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

নবী মুহাম্মদ সা. এর আগমনের প্রেক্ষাপট, উদ্দেশ্য, দা‘ওয়াতের পদ্ধতি ও কৌশল

লেখকঃ ড. মো: আবদুল কাদের

১৫
নবুওয়ত লাভ
সমাজের অন্যায়-অবিচার, জুলুম-নির্যাতন, মূর্তিপূজাসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিক কার্যাদি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মনে খুব নাড়া দিত এবং তিনি নিজের ভেতর এক ধরনের অদৃশ্য ও অনিশ্চিত অস্থিরতা অনুভব করতেন; মানসিক চিন্তায় বিভোর থাকতেন। এ অবস্থায় একাকীত্ব ও নির্জনতাপ্রিয়তা তাঁর নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল। নবুওয়ত প্রাপ্তির দিকে তিনি যতই অগ্রসর হচ্ছিলেন, ততই তাঁর চিন্তাশীলতা ও গাম্ভীর্যের গভীরতা বৃদ্ধি পাচ্ছিল। এ সময় তিনি প্রায়শঃ গৃহ ত্যাগ করে মক্কার অদুরে হেরা পাহাড়ের গুহায় [এটি মক্কা থেকে দুই মাইল দুরে অবস্থিত একটি ছোট গুহা। এর দৈর্ঘ্য চারগজ এবং প্রস্থ পৌনে দুই গজ। নীচের দিক গভীর নয়। ছোট একটা পথের পাশে ওপরের প্রান্তরে সঙ্গমস্থলে এ গুহা অবস্থিত। (আল্লামা ছফিউর রহমান মোবারকপূরী, প্রাগুক্ত, পৃ. ৮৪)।] নির্জনে চলে যেতেন। এমনকি কোন কোন সময় রাত্রেও বাড়ী ফিরতেন না। অনেক সময় এরূপ হত যে, বিবি খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহা বিচলিত হয়ে পড়তেন এবং তাঁকে খুঁজে বের করে খাবার ও পানীয় পৌঁছে দিয়ে আসতেন। [মাওলানা আজিজুল হক, প্রাগুক্ত, ৫ম খন্ড, পৃ. ৮২।] নির্জনবাসকালীন সময়ে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের পর রাত বিনিদ্র কাটিয়ে দিতেন, দিনের পর দিন রোযা রাখতেন। [ড. মুহাম্মদ হোসাইন হায়কল, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জীবন চরিত, বঙ্গানুবাদ : মাওলানা আব্দুল আউয়াল, (ঢাকা : ইসলামিক ফাইন্ডেশন বাংলাদেশ,১৯৯৮), পৃ. ৬৬।] এ সময় তাঁর কাছে যত দরিদ্র লোক আসতো তিনি তাদেরকে খাবার ও পানীয় দান করতেন। নির্জনবাস শেষে বাড়ী ফিরবার পূর্বে তিনি সর্বপ্রম কা‘বা শরীফে প্রবেশ করে সাতবার বা ততোধিকবার কা‘বা গৃহের তাওয়াফ করতেন। [ইবন হিশাম, প্রাগুক্ত, পৃ . ৫৬-৫৭।] মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপ নির্জনবাসের জন্য রমযান মাসকে বিশেষ করে বেছে নিতেন। এতে তাঁর আধ্যাত্মিক উৎকর্ষ প্রশান্তি ও চিন্তাশক্তির দৃঢ়তা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছিল। [মুহাম্মদ হোসাইন হায়কল, প্রাগুক্ত, পৃ.৬৫।]

অতঃপর তিনি যখন চল্লিশ বছর বয়সে পদার্পন করেন, তখন তাঁর উপর ওহী নাযিল হওয়া আরম্ভ হয়। [ইবন হাজর আসকালানী, প্রাগুক্ত, পৃ. ৫৩৪, ৭ম খন্ড, পৃ. ১৩২ও ২২৭ ; ইমাম নববী, শারহে মুসলিম, ৪ র্থ খন্ড, প্রাগুক্ত, পৃ. ১৮২৪ও ১৮২৭ , ইবন হিশাম, প্রাগুক্ত, ১ম খন্ড, পৃ. ২৫১-২৫২।] কেননা, চল্লিশ বছর বয়স হচ্ছে মানুষের পূর্ণতা ও পরিপক্কতার বয়স। এ সময় মানুষের শারিরীক ও আত্মিক শক্তির উৎকর্ষ চুড়ান্তরূপে পরিগ্রহ করে। পবিত্র কুরআন এ বিষয়ে ঘোষণা

﴿ حَتَّىٰٓ إِذَا بَلَغَ أَشُدَّهُۥ وَبَلَغَ أَرۡبَعِينَ سَنَةٗ ﴾ [ الاحقاف : ١٥ ]

‘‘অবশেষে সে যখন শক্তি সামর্থের রয়সে ও চল্লিশ বছরে পৌঁছেছে।’’ [আল-কুরআন, সূরা আল-আহকাফ : ১৫।]

সুতরাং নবুয়তের ন্যায় গুরু দায়িত্ব বহন ও যথাযথভাবে পালনের এটিই সবচেয়ে উপযুক্ত সময়কাল।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন