মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
নবী মুহাম্মদ সা. এর আগমনের প্রেক্ষাপট, উদ্দেশ্য, দা‘ওয়াতের পদ্ধতি ও কৌশল
লেখকঃ ড. মো: আবদুল কাদের
৭
মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আগমনের উদ্দেশ্য
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/470/7
মানুষ আশরাফুল মাখলূকাত বা সৃষ্টির সেরা জীব। ফেরেশ্তাদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়ে তিনি মানুষকে খলীফা হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। [ ﴿ وَإِذۡ قَالَ رَبُّكَ لِلۡمَلَٰٓئِكَةِ إِنِّي جَاعِلٞ فِي ٱلۡأَرۡضِ خَلِيفَةٗۖ قَالُوٓاْ أَتَجۡعَلُ فِيهَا مَن يُفۡسِدُ فِيهَا وَيَسۡفِكُ ٱلدِّمَآءَ وَنَحۡنُ نُسَبِّحُ بِحَمۡدِكَ وَنُقَدِّسُ لَكَۖ قَالَ إِنِّيٓ أَعۡلَمُ مَا لَا تَعۡلَمُونَ ٣٠ ﴾ [ البقرة : ٣٠ ] -কুরআন, সূরাআল-বাকারা : ৩০।] যাতে মানবজাতি তাঁর প্রশংসা, গুণগান, নি‘আমতরাজির কৃতজ্ঞতা ও ইবাদত-বন্দেগীতে রত থেকে জীবন অতিবাহিত করে। আর এ সকল কার্যাবলী কোন পন্থায় ও কি পদ্ধতিতে পালন করবে সে মর্মে সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা দেয়ার জন্য যুগে যুগে নবী-রাসূল প্রেরণ হয়েছে। মানব জাতির আদি পূরুষ আদম আলাইহিস সালাম-কে সৃষ্টির মাধ্যমেই এ পৃথিবীতে মানুষের পদচারণা শুরু হয়। তিনি শুধুমাত্র একজন মানবই ছিলেন না বরং তাঁকে নবী হিসেবে এ দুনিয়াতে পাঠানো হয়েছে। [নবী হিসেবে প্রত্যক্ষভাবে কুরআনুল কারীমে আদম আলাইহিস সালাম-এর উল্লেখ না থাকলেও পরোক্ষভাবে উল্লেখ আছে। যেমন : ﴿۞إِنَّ ٱللَّهَ ٱصۡطَفَىٰٓ ءَادَمَ وَنُوحٗا وَءَالَ إِبۡرَٰهِيمَ وَءَالَ عِمۡرَٰنَ عَلَى ٱلۡعَٰلَمِينَ ٣٣ ﴾ [ ال عمران : ٣٣ ] আল-কুরআন, সূরা আন নিসা : ৩৩ ; সূরা ত্বা-হা: ১২০-১২১। তবে রাসূলের হাদীসে তাঁকে স্পষ্ট ভাষায় নবী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, أَنَبِيٌّ كَانَ آدَمُ؟ قَالَ : «نَعَمْ، مُكَلَّمٌ» আদম কি নবী ছিলেন? জবাবে তিনি বলেন, “হ্যাঁ, তাঁর সাথে (আল্লাহর) কথাও হয়েছে।” [সহীহ ইবন হিব্বান, হাদীস নং ৬১৯০ (সম্পাদক)] নবী শব্দটি একবচন, বহুবচনে الأنبياء । যা আরবী نبا ধাতু হতে নির্গত। যার অর্থ হলো সংবাদ। নবীগণ যেহেতু আল্লাহর পক্ষ হতে সংবাদ বাহকের দায়িত্ব পালন করেন এ জন্য তাদেরকে নবী বলা হয়। মানুষের মধ্য হতে যাদের মর্যাদাকে সুউচ্চ ও সম্মানিত করার নিমিত্তে আল্লাহ ওহী দ্বারা বিভিন্ন বিষয়ের জ্ঞান প্রদানের জন্যে নির্বাচিত করেছেন তাঁরাই নবী। (আবু বকর যাবের, আকীদাতুল মু’মিন, (জিদ্দা : দারুশ শূরুক, ৫ম সংস্করণ-১৯৮৭), পৃ. ২৬৯। কারো কারো মতে, নবী শব্দটি ‘নাবয়াতুন’ হতে নির্গত। অর্থ উন্নত ও উচ্চ মর্যাদাবান বস্তু। নবী সাধারণ মানুষের তুলনায় উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন এ হিসেবে তাকে নবী বলা হয়। আন-নাবীয়্যুন শব্দের অর্থ সরল ও স্পষ্ট পথও হতে পারে। নবীগণ নিজেরা সরল ও স্পষ্ট পথে চলেন এবং মানুষকে সে পথে আহবান করেন, তাই তাদের নবী বলা হয়। (ইবন মানযূর, লিসানুল আরব, ১ম খন্ড, প্রাগুক্ত, পৃ. ১৬৪)] পৃথিবীর যাবতীয় বস্তুর বাহ্যিক পরিচয় ও লক্ষণ এবং সেগুলোর বৈশিষ্ট্যাবলী মহান আল্লাহ তাঁকে ব্যাপকভাবে শিক্ষা দিয়েছেন, [কুরআনের বাণী : ﴿ وَعَلَّمَ ءَادَمَ ٱلۡأَسۡمَآءَ كُلَّهَا ثُمَّ عَرَضَهُمۡ عَلَى ٱلۡمَلَٰٓئِكَةِ فَقَالَ أَنۢبُِٔونِي بِأَسۡمَآءِ هَٰٓؤُلَآءِ إِن كُنتُمۡ صَٰدِقِينَ ٣١ ﴾ [ البقرة : ٣١ ]‘‘আর তিনি আদম আলাইহিস সালাম-কে যাবতীয় বস্ত্তর নাম শিক্ষা দিলেন। অতঃপর সে সমুদয় ফেরেশ্তাদের সামনে প্রকাশ করলেন এবং বললেন, এ সকল নাম আমাকে বলে দাও, যদি তোমরা সত্যবাদী হও।’’ আল-কুরআন, সূরা আল-বাকারা : ৩১।] যেন তিনি এ সমুদয় বস্তুর পরিচিতি লাভের মাধ্যমে আল্লাহর নির্ধারিত পথে নিজকে পরিচালিত করতে পারেন এবং তাঁর সন্তানাদিও সে পথের অনুগামী হতে পারে। অতএব, জীবন চলার সঠিক দিক নির্দেশনা দেয়ার জন্য পৃথিবীতে নবী-রাসূলগণের আগমন হয়েছে। সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত পৃথিবীর এমন কোন সম্প্রদায় নেই যাদের নিকট সতর্ককারী প্রেরণ করা হয় নি। [ ﴿ إِنَّآ أَرۡسَلۡنَٰكَ بِٱلۡحَقِّ بَشِيرٗا وَنَذِيرٗاۚ وَإِن مِّنۡ أُمَّةٍ إِلَّا خَلَا فِيهَا نَذِيرٞ ٢٤ ﴾ [ فاطر : ٢٤ ] ‘‘এমন কোন সম্প্রদায় নেই, যার নিকট সতর্ককারী প্রেরণ করা হয়নি।’’ আল-কুরআন, সূরা ফাতির : ২৪।] আর এ সতর্ককারী হলেন নবী বা নবুয়তের আসনে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিবর্গ। [জালালূদ্দীন সূয়ূতী ও মাহাল্লী, তাফসীরে জালালাইন, (চীন: পিকিং প্রেস, ১৯৮২খৃ. ১৪০২ হি.), পৃ. ৫৭৭।] মানব জাতিকে স্রষ্টার পক্ষ থেকে সতর্ককারী ও পথপ্রদর্শকরূপে আগমনকারী মহামানবগণকে কুরআনুল কারীমে নবী ও রাসূল রূপে অভিহিত করা হয়েছে। মানুষ ও ফেরেশ্তা এ দু’শ্রেণীর মধ্য হতেই আল্লাহ তাদের মনোনীত করেন। [এ মর্মে পবিত্র কুরআনে এসেছে, ﴿ ٱللَّهُ يَصۡطَفِي مِنَ ٱلۡمَلَٰٓئِكَةِ رُسُلٗا وَمِنَ ٱلنَّاسِۚ إِنَّ ٱللَّهَ سَمِيعُۢ بَصِيرٞ ٧٥ ﴾ [ الحج : ٧٥ ] ‘আল্লাহ ফেরেশ্তাদের মধ্য হতে মনোনীত করে বাণী বাহক এবং মানুষর মধ্য হতেও ; আল্লাহ সর্বশ্রোতা ও সম্যকদ্রষ্টা।’’ আল-কুরআন, সূরা হজ্জ : ৭৪।]
আল্লাহ তা‘আলা সমগ্র সৃষ্টিকে তাঁর ইবাদত-বন্দেগী ও গুণাগুণ বর্ণনা করার জন্য সৃষ্টি করেছেন। [এ মর্মে তিনি বলেন, ﴿ وَمَا خَلَقۡتُ ٱلۡجِنَّ وَٱلۡإِنسَ إِلَّا لِيَعۡبُدُونِ ٥٦ ﴾ [ الذاريات : ٥٦ ] ‘‘আমি মানুষ এবং জ্বিন জাতিকে একমাত্র আমার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি।’’ আল-কুরআন, সূরা আয্ যারিয়াত : ৫৬।] কিন্তু এ ইবাদত কোন পদ্ধতিতে কি রূপে করতে হবে তা সম্পর্কে মানুষ জ্ঞাত নয়। ফলে তিনি নবী-রাসূলগণের মাধ্যমে ইবাদতের নিয়ম পদ্ধতি বাতলে দিয়েছেন, যাতে মানুষ যথাযথভাবে তা সম্পন্ন করতে পারে। আর এটি হল সৃষ্টির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য।
মানুষের দু’টি জীবন রয়েছে। একটি ইহলৌকিক অপরটি পরলৌকিক। এ উভয় জীবনের সফলতা ও ব্যর্থতা কিসের উপর নির্ভরশীল তা নির্ণয় করার জন্য এবং মানব জাতিকে সঠিক পথের দিশা দিতে নবী-রাসূলগণের আগমন একান্ত অপরিহার্য ছিল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/470/7
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।