hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

নবী মুহাম্মদ সা. এর আগমনের প্রেক্ষাপট, উদ্দেশ্য, দা‘ওয়াতের পদ্ধতি ও কৌশল

লেখকঃ ড. মো: আবদুল কাদের

২৭
সাত. গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ
ইসলামী দা‘ওয়াতকে মানুষের মাঝে সহজবোধ্য করে তোলার জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে সকল পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন তন্মধ্যে আলোচ্য পদ্ধতিটি অত্যন্ত গুরুত্বের দাবী রাখে। তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানুষের নিকট সর্বপ্রথম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের প্রতি আহবান জানাতেন। সেক্ষেত্রে ইসলামের মৌলিক আকীদা-বিশ্বাসের পাশাপাশি অত্যাবশ্যকীয় ইবাদত বন্দেগীর দিকে দা‘ওয়াত দিতেন। আল্লাহর পক্ষ থেকে ওহী প্রাপ্ত হবার পর তিনি নামাযের বিষয়ে খুব গুরুত্ব দেন। মি‘রাজ রজনীতে পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরয হওয়ার পূর্বেই তিনি সকাল এবং রাত্রে দু’রাকআত করে নামায আদায় করতেন। [ইব্ন হাজার আসকালানী, প্রাগুক্ত, ২য় খন্ড, পৃ. ৩৬৯।] নবুওয়তের সূচনাতেও আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু ও খাদীজা রাদিয়াল্লাহু আনহা-কে সাথে নিয়ে নামায আদায় করেছেন। [ইবন কাছীর, আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ৪র্থ খন্ড, প্রাগুক্ত, পৃ. ২৪।] পরিবার-পরিজনদের নামাযের ব্যাপারে খুব তাগিদ দিতেন। [ ﴿ وَأۡمُرۡ أَهۡلَكَ بِٱلصَّلَوٰةِ وَٱصۡطَبِرۡ عَلَيۡهَاۖ لَا نَسۡ‍َٔلُكَ رِزۡقٗاۖ نَّحۡنُ نَرۡزُقُكَۗ وَٱلۡعَٰقِبَةُ لِلتَّقۡوَىٰ ١٣٢ ﴾ [ طه : ١٣٢ ] আল-কুরআন, সূরা ত্বা-হা : ১৩২।] তাঁর মক্কী জীবনের দা‘ওয়াতী কার্যক্রম পর্যালোচনা করলে খুব সহজেই অনুমেয় হয় যে, তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন ইবাদত ও আখলাকের গুরুত্ব না দিয়ে আকীদা ও বিশ্বাসের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন এবং শির্কমুক্ত স্বচ্ছ আকীদার প্রতি মানুষকে আহবান করেছেন। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে ফরয ইবাদতসহ শরীয়তের আনুষাঙ্গিক আহকাম সমূহ পালনের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন এবং বিভিন্ন এলাকায় প্রেরিত দা‘ঈদের এ মর্মে নির্দেশ দিতেন। যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ ও প্রমাণ আমরা মু‘আয ইবন জাবালের বর্ণিত হাদীসে দেখতে পাই। আব্দুল্লাহ ইবন আববাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মু‘আয রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে ইয়ামেনের শাসনকর্তারূপে প্রেরণ করার সময় এ মর্মে উপদেশ দেন যে, ‘‘হে মু‘আয! তুমি এমন স্থানে যাচ্ছ, যার অধিবাসীরা হল আহলে কিতাব। (ইয়াহূদী ও খৃষ্টান)। সুতরাং তুমি তাদেরকে সর্বপ্রথম (আল্লাহর দীনের দিকে) এভাবে দা‘ওয়াত দিবে যে, তারা সাক্ষ্য দিবে, আল্লাহ ব্যতীত কোন হক মা‘বুদ নাই এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল। যদি তারা একথা মেনে নেয় তাহলে তাদেরকে বলবে যে, আল্লাহ তা‘আলা তাদের উপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরয করেছেন। যতি তারা এটাও মেনে নেয়, তাহলে তাদের জানিয়ে দিবে যে, আল্লাহ তাদের উপর যাকাত ফরয করেছেন, যা ধনীদের কাছ থেকে আদায় করে দরিদ্রদের মধ্যে বন্টন করা হবে। যদি তারা এটা মেনে নেয়, তাহলে সাবধান! তাদের সর্বোত্তম মাল (যাকাত হিসেবে) গ্রহণ করবে না। আর মজলুমের বদ দু‘আকে অবশ্যই ভয় করবে। কেননা, মজলুমের বা নিপীড়িত লোকের প্রার্থনা ও আল্লাহর মাঝে কোন পর্দা থাকে না। (অর্থাৎ মজলুমের দু‘আ আল্লাহ কবুল করেন)। [মুহাম্মদ ইবন ইসমাঈল, প্রাগুক্ত, ২য় খন্ড, কিতাবুয যাকাত, পৃ. ২৫৬।]

উক্ত হাদীসে দা‘ওয়াতের বিষয়গুলোকে গুরুত্বের দিক বিবেচনায় এনে পর্যায়ক্রমিক সাজানো হয়েছে। প্রথমতঃ তাওহীদ ও আকীদা, দ্বিতীয়তঃ ইবাদাত, তৃতীয়তঃ মানুষের পারস্পারিক হক চতুর্থতঃ পারস্পারিক মু‘আমেলাত।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন