মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
নবী মুহাম্মদ সা. এর আগমনের প্রেক্ষাপট, উদ্দেশ্য, দা‘ওয়াতের পদ্ধতি ও কৌশল
লেখকঃ ড. মো: আবদুল কাদের
১৬
রাসূলের দা‘ওয়াতের পদ্ধতি ও কৌশল
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/470/16
মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহ তা‘আলা সত্য দীন সহকারে মানবজাতির মুক্তি ও কল্যাণের পথ নির্দেশক হিসেবে সুসংবাদদাতা ও ভীতিপ্রদর্শক রূপে পাঠিয়েছেন। [আল্লাহর বাণী ﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّبِيُّ إِنَّآ أَرۡسَلۡنَٰكَ شَٰهِدٗا وَمُبَشِّرٗا وَنَذِيرٗا ٤٥ وَدَاعِيًا إِلَى ٱللَّهِ بِإِذۡنِهِۦ وَسِرَاجٗا مُّنِيرٗا ٤٦ ﴾ [ الاحزاب : ٤٥، ٤٦ ] ‘‘হে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমি আপনাকে সাক্ষ্যদাতা, সুসংবাদদাতা, ভীতিপ্রদর্শক, আল্লাহর দিকে আহবানকারী এবং জ্বলন্ত প্রদীপরূপে প্রেরণ করেছি।’’ আল-কুরআন, সূরা আহযাব : ৪৫।] বাল্যকাল থেকেই আল্লাহ তাঁকে সে কাজের জন্য প্রস্তুত করে নিতে থাকেন। জাহেলিয়াতের নাপাক ও খারাপ অভ্যাসসমূহ থেকে আল্লাহ তা‘আলা তাঁকে সর্বদাই দূরে ও মুক্ত রাখেন। [নবুয়তের পূর্বে আরবে যে শির্ক ও মূর্তিপূজার প্রচলন ছিল তা থেকে তিনি মুক্ত ছিলেন। তিনি কখনও কোন মূর্তির সামনে মাথা নত করেন নি। মূর্তির নামে পশু যবেহ করেননি এবং যবেহকৃত কোন প্রাণীর গোশতও ভক্ষন করেননি, তখন থেকেই তাঁর মনে তাওহীদের ধারণ বদ্ধমূল ছিল। (ড. আবুল কালাম পাটওয়ারী, প্রাগুক্ত, পৃ. ১৭) নবুয়তের পূর্বে মক্কায় কোন অশ্লীল কাজে তিনি কখনও অংশগ্রহণ করেন নি। এ মর্মে তিনি বলেন, ‘‘আমি একদা পারিবারের ছাগল চরাচ্ছিলাম। এক রাতে আমি আমার সঙ্গীকে বললাম, আমার ছাগলগুলো দেখশুনা কর। আমি মক্কা যাব এবং যুবকরা যেখানে কিচ্ছা-কাহিনী শুনে আমিও শুনব। সাথী বলল যাও। আমি মক্কায় আসলাম, সেখানে এক ঘরে কৌতুক ও ঢোল-বাজনার শব্দ পেয়ে জিজ্ঞেস করলাম, এখানে কি হচ্ছে? আমাকে বলা হলো: অমুক ব্যক্তি অমুক মহিলাকে বিবাহ করছে। আমি দেখার উদ্দেশ্যে বসে পড়লাম। তৎক্ষনাৎ আল্লাহ আমার চোখে নিদ্রা চেপে দিলেন। আল্লাহর কসম ! আমি রৌদ্রের খরতাপে জাগ্রত হলাম। কিছুই দেখতে পেলাম না। ( জালালুদ্দীন সুয়ূতী, প্রাগুক্ত, পৃ. ১৫৬) তবে বর্ণনাটি দুর্বল। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এ ধরনের কোন ইচ্ছাও সংঘটিত হয় নি।] চাল-চলন, আচার-ব্যবহার ও কথাবার্তায় তিনি ছিলেন এক অনন্য ও ব্যতিক্রমধর্মী আদর্শবান বালক। তৎকালীন সমাজ তাঁকে সবচেয়ে বেশী প্রশংসনীয় গুণাবলী, উন্নত মনোবল, উত্তম চরিত্রে বিভূষিত, লাজনম্র, সত্যবাদী, আমানতদার, কটুক্তি ও অশ্লীল বাক্য উচ্চরণ থেকে দূরে বলে ধারণা করত। এমনকি তাঁর জাতির লোকেরা তাঁকে ‘‘আল্ আমিন’’ (বিশ্বস্ত, আমানতদার) নামে আখ্যায়িত করে। [ইবন হিশাম, সীরাত, প্রাগুক্ত, ১ম খন্ড, পৃ. ১৮৩।] তাঁর দাদা আরবের কুরাইশ নেতৃবৃন্দের সামনে তাঁকে সাইয়্যেদ বা নেতা বলে ডাকতেন। [ইবন কাছীর, আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া, প্রাগুক্ত, ১ম খন্ড, পৃ. ২৫২।] আল্লাহ প্রথম থেকেই তাঁকে মহান দা‘ওয়াতের জন্য উত্তম চরিত্র গঠনের প্রশিক্ষন দিয়েছেন। সুতরাং নৈতিক দিক দিয়ে তিনি ছিলেন অত্যন্ত সুপ্রশিক্ষিত।
খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহা-এর ব্যবসা পরিচালনার মাধ্যমে দৈহিক কষ্ট সহিষ্ণুতা, ধৈর্য, পরিশ্রমপ্রিয়তা ও সততা প্রভৃতি বৈশিষ্ট্যের অধিকারী ছিলেন তিনি। আল্লাহর নৈকট্য লাভ ও আনুগত্য করার জন্য তিনি নিজেকে সম্পূর্ণরুপে সপে দেয়ার মাধ্যমে দা‘ওয়াতের জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। ইবাদাত করার মাধ্যমে তিনি আল্লাহর নৈকট্য লাভ করেন। স্বীয় আত্মাকে পবিত্র ও শক্তিশালী করেন এবং আধ্যাত্মিক শক্তিতে বলীয়ন হয়ে উঠেন। স্নেহ, মমতা ভালবাসা ধৈর্য, কষ্ট ও পরিশ্রমপ্রিয়তাসহ সকল গুণে গুণান্বিত হয়ে নিজেকে দৈহিক, মানসিক, আধ্যাত্মিক ও নৈতিক দিক দিয়ে প্রস্ত্তত করার পর ওহীর জ্ঞানে সমৃদ্ধ হন। অতএব দা‘ওয়াতের সূচনালগ্নে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ব্যক্তিগত প্রস্তুতির মাধ্যমে নিজকে দা‘ওয়াতের উপযোগী করে গড়ে তুলেছিলেন। কেননা ইসলামী দা‘ওয়াতের প্রভাব হলো, ব্যক্তি নিজে যে আদর্শের প্রতি ঈমান এনেছে, তা কতটুকু তার হৃদয়ে শিকড় স্থাপন করেছে এবং বাস্তবে প্রতিফলিত হয়েছে এর উপর ভিত্তি করেই স্বীয় পরিবার, পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীর উপর প্রভাব পরে। এজন্যে প্রয়োজন ব্যক্তির প্রাথমিকভাবে ব্যক্তিগত প্রস্তুতি গ্রহণ, যা তাকে সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিতে সক্ষম হবে। ইসলামের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, যুগে যুগে সকল নবী-রাসূল নিজেদেরকে প্রথমে এ কাজের জন্য উপযোগী করে গড়ে তুলেছেন ব্যক্তিগত প্রস্তুতির মাধ্যমে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/470/16
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।