মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
এই হাদিস দু’টিতে উল্লেখিত বিদ‘আত দ্বারা উদ্দেশ্য হল ‘মন্দ বিদ‘আত’ ( البدعة السيئة ), যার পক্ষে কুরআন ও সুন্নাহ’র মধ্যে কোন দলিল-প্রমাণ এবং স্পষ্ট বা অস্পষ্ট কোন সনদ, বক্তব্য অথবা উদ্ভাবিত কিছু নেই। এর দ্বারা ‘মন্দ বিদ‘আত’ ( البدعة السيئة ) ছাড়া অন্যান্য নতুন করে চালু হওয়া বিষয় রয়েছে এবং যেগুলোর পক্ষে দলিল-প্রমাণ ও স্পষ্ট বা অস্পষ্ট সনদ রয়েছে সে সব বিষয় উদ্দেশ্য নয়; সুতরাং তা ভ্রষ্টতা বা বিভ্রান্তিকর নয়, বরং তা কখনও কখনও তা বৈধ, যেমন আটার জন্য চালুনি ব্যবহার করা, সর্বদা উন্নতমানের আটা বা ময়দা ভক্ষণ করা। আবার কখনও কখনও তা মুস্তাহাব, যেমন মসজিদের মিনার বানানো ও বইপত্র রচনা করা। আবার কখনও কখনও তা ওয়াজিব, যেমন নাস্তিক ও বিভ্রান্ত দলসমূহ কর্তৃক সৃষ্ট সন্দেহ-সংশয়ের যথাযথ জওয়াব দেওয়ার জন্য দলিল-প্রমাণ গ্রন্থনা করা।
কারণ, ‘বিদ‘আত’ শব্দটির দু‘টি অর্থ রয়েছে;
একটি হল: সাধারণ ভাষাগত বা আভিধানিক দৃষ্টিকোণ থেকে, আর তখন তা সব ধরণের নতুন প্রবর্তিত বিয়ককেই অন্তর্ভুক্ত করে, চাই তা স্বভাবগত হউক, অথবা ইবাদতের ক্ষেত্রে হউক।
আর অপর অর্থটি হল: বিশেষভাবে শরী‘য়তের দৃষ্টিকোণ থেকে, আর তা হল সাহাবীগণের পরবর্তী সময়ে শরী‘য়ত প্রবর্তক (আল্লাহ) এর পক্ষ থেকে কথা, কাজ, স্পষ্ট ঘোষণা কিংবা ইশারা-ইঙ্গিত- ইত্যাদি যে কোনোভাবে কোনো প্রকার অনুমোদন ব্যতীত দীনের মধ্যে কম বা বেশি করা।
এ বর্ণনা থেকে স্পষ্ট হলো যে, উপরোক্ত হাদিস দু’টির মধ্যে আলোচিত বিদ‘আত যদিও ব্যাপকভাবে সকল প্রকার নতুন প্রবর্তিত বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করে, কিন্তু তার এই ব্যাপকতা আভিধানিক অর্থের দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, বরং তার এ ব্যাপকতা হল বিশেষভাবে শরী‘য়তের পারিভাষিক অর্থের দৃষ্টিকোণ থেকে; সুতরাং তা মৌলিকভাবে মানুষের স্বভাবগত ও অভ্যাসগত বিষয়গুলোকে মোটেই অন্তর্ভুক্ত করবে না; বরং তার ব্যাপকতা আকিদা-বিশ্বাস ও ইবাদতের ধরন ও প্রকৃতির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। কারণ, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দুনিয়াবী বিষয়ে শিক্ষা দেওয়ার জন্য প্রেরণ করা হয়নি, বরং তাঁকে শুধু দীনের বিষয়গুলো শিক্ষাদানের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে; আর এ কথার প্রমাণ বহন করে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী:
“তোমাদের দুনিয়ার বিষয়ে তোমরাই ভাল জান; তাই যখন আমি তোমাদেরকে তোমাদের দীনের কোনো বিষয়ে নির্দেশ দেব, তখন তোমরা তা অবশ্যই গ্রহণ করবে।” [মুসলিম (৪/১৮৩৬), হাদিস নং- ২৩৬৩, ফাযায়েল অধ্যায়, পরিচ্ছেদ: শরী‘য়ত হিসেবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা আদেশ করেছেন, তা পালন করা ওয়াজিব, আর পার্থিব বিষয়ে তিনি যে অভিমত ব্যক্ত করেছেন, তা পালন করা ওয়াজিব নয় ( باب وُجُوبِ امْتِثَالِ مَا قَالَهُ شَرْعًا دُونَ مَا ذَكَرَهُ صلى الله عليه وسلم مِنْ مَعَايِشِ الدُّنْيَا عَلَى سَبِيلِ الرَّأْىِ ), এই হাদিসটি তিনি হিশাম ইবন ‘উরওয়া থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি তার পিতা থেকে, তার পিতা আয়েশা রা. থেকে বর্ণনা করেছেন; আবার তিনি অন্য সনদে মারফু‘ হিসেবে আনাস রা. থেকে হাদিসটি বর্ণনা করেছেন, তার শব্দগুলো: «أَنْتُمْ أَعْلَمُ بِأَمْرِ دُنْيَاكُمْ » -এর মাঝে সীমাবদ্ধ।]
অতঃপর আকিদা-বিশ্বাসের ক্ষেত্রে কিছু কিছু বিদ‘আত কুফরী, আবার কিছু কিছু কুফরী নয়, কিন্তু তা প্রত্যেকটি কবীরা গুনাহের চেয়েও মারাত্মক ধরনের গুনাহ, এমনকি হত্যা ও যিনা-ব্যভিচারের চেয়েও মারাত্মক; আর এই ধরনের বিদ‘আতের উপরে কুফরী ছাড়া অন্য কোনো গুনাহ নেই। আর ইবাদতের ক্ষেত্রে বিদ‘আত যদিও কুফরীর চেয়ে নিম্ন পর্যায়ের, কিন্তু তা কাজে পরিণত করাটা শরী‘য়তের অবাধ্যতা ও ভ্রষ্টতা, বিশেষ করে তা যখন সুন্নাতে মুয়াক্কাদাকে আঘাত করবে। আর অভ্যাস-প্রথাজনিত বিষয়ের ক্ষেত্রে যেসব বিদ‘আত, তা (শরী‘য়তের) অবাধ্যতা ও ভ্রষ্টতার পর্যায়ে পড়ে না, তবে তা পরিত্যাগ করাটা উত্তম [মানুষের জীবনের সাথে সম্পর্কিত বিদ‘আতসমূহ যদিও আভিধানিক বা আক্ষরিক অর্থের বিদ‘আত, তবে তার ব্যাপারে হালাল বা হারামের সিদ্ধান্ত দেওয়ার পূর্বে মানুষের জন্য তার উপকারিতার পরিধি ও আল্লাহ তা‘আলার শরী‘য়তের সাথে তার বিরোধের মাত্রার প্রতি লক্ষ্য রাখা উচিত।]!
যখন এটা প্রতিষ্ঠিত হলো, তখন বুঝা গেল যে, মিনারায় আযান দেওয়া সালাতের সময় জানিয়ে দেওয়ার জন্য সহায়তা করে, বইপত্র রচনা করা শিক্ষাদান ও প্রচার কাজের সহায়ক, নাস্তিক ও বিভ্রান্ত দলসমূহ কর্তৃক সৃষ্ট সন্দেহ-সংশয়ের যথাযথ জওয়াব দেওয়া, অন্যায় কাজে বাধা প্রদান করা ও দীনকে রক্ষা করার জন্য দলিল-প্রমাণসহ গ্রন্থ রচনা করা ইত্যাদি প্রতিটি বিষয়ই অনুমোদিত, বরং তা নির্দেশিত; কারণ, মন্দ বিদ‘আত ( البدعة السيئة ) ভিন্ন যেসব (আভিধানিক) বিদ‘আত রয়েছে, (ইসলামের) প্রথম প্রজন্মের লোকজনের যদিও তার প্রয়োজন হয়নি, কিন্তু পরবর্তী প্রজন্মের লোকজনের জন্য তার প্রয়োজন দেখা দেয় এবং তারা কোনো প্রকার বিরোধ ছাড়াই ইজমা তথা ঐক্যমতের ভিত্তিতে তাকে উত্তম বলে বিবেচনা করেছন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/594/10
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।