মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
যদি বলা হয় যে, অনেক মানুষের অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে যে, তাদের মাঝে ব্যাপকভাবে প্রচলিত একটি হাদিসের দ্বারা তারা তাদের অভ্যাসে পরিণত হওয়া বিদ‘আতকে মাকরূহ না হওয়ার ব্যাপারে দলিল পেশ করে থাকে, সে হাদিসটি হল:
“মুমিনগণ যা উত্তম বলে মনে করেন, তা আল্লাহর নিকট উত্তম; আর মুসলিমগণ যা মন্দ বলে মনে করেন, তা আল্লাহর নিকট মন্দ”! এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তাদের পক্ষ থেকে এর দ্বারা যুক্তি প্রদর্শন শুদ্ধ হবে, নাকি অশুদ্ধ হবে?
[উত্তর] কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ যা আলোচনা করেছেন, তার উপর ভিত্তি করে এর জবাব হল: এই যুক্তি প্রদর্শন বিশুদ্ধ নয়, আর হাদিসটি তাদের বিপক্ষে দলিল, তাদের পক্ষে নয়; কারণ, তা ইবনু মাস‘উদ রা. থেকে বর্ণিত মাওকুফ [যে হাদিসের সনদ সাহাবী পর্যন্ত পৌঁছেছে, তাকে ‘মাওকুফ’ হাদিস বলে, অর্থাৎ সাহাবীদের কথা, কাজ ও অনুমোদনকে ‘মাওকুফ’ হাদিস বলা হয় । - অনুবাদক।] হাদিসের অংশবিশেষ, যা আহমদ, বায্যার. তাবারানী, তায়ালাসী ও আবূ নু‘আইম বর্ণনা করেছেন; হাদিসটি এই রকম:
« إن الله نظر في قلوب العباد فوجد قلب محمد صلى الله عليه و سلم خير قلوب العباد فاصطفاه لنفسه فابتعثه برسالته ثم نظر في قلوب العباد بعد قلب محمد فوجد قلوب أصحابه خير قلوب العباد فجعلهم وزراء نبيه يقاتلون على دينه فما رأى المسلمون حسنا فهو عند الله حسن وما رأوا سيئا فهو عند الله سيِّئ » . ( أخرجه أحمد ) .
“নিশ্চয়ই আল্লাহ বান্দাদের অন্তরসমূহের প্রতি দৃষ্টি দিয়েছেন, অতঃপর তিনি বান্দাদের অন্তরসমূহের মধ্যে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অন্তরকে সর্বোত্তম পেয়েছেন, অতঃপর তাঁকে তিনি তাঁর নিজের জন্য নির্বাচন করেছেন, অতঃপর তাঁকে তিনি তাঁর রিসালাতের দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করেছেন; অতঃপর তিনি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অন্তরের পর (বাকি) বান্দাদের অন্তরসমূহের প্রতি দৃষ্টি দিয়েছেন, তারপর তিনি বান্দাদের অন্তরসমূহের মধ্যে তাঁর সাহাবীদের অন্তরসমূহকে সর্বোত্তম পেয়েছেন, অতঃপর তিনি তাদেরকে তাঁর নবীর উজির বা সাহায্যকারী বানালেন, যারা তাঁর দীনের জন্য লড়াই করবে; সুতরাং মুসলিমগণ যা উত্তম বলে মনে করবে, তা আল্লাহর নিকট উত্তম; আর মুসলিমগণ যা মন্দ বলে মনে করবে, তা আল্লাহর নিকট মন্দ।” [আহমদ, মুসনাদ (মুসনাদে আবদুল্লাহ ইবন মাস‘উদ রা.), হাদিস নং- ৩৬০০; আবূ নু‘আইম, মা‘রেতুস সাহাবা [ معرفة الصحابة ], (১/১৪২), হাদিস নং- ৪৭, হাদিসটি ‘আসেমের সূত্রে আবূ ওয়ায়েল থেকে- আবদুল্লাহ ইবন মাস‘উদ রা. থেকে বর্ণিত এবং ‘আসেমের সূত্রে যার‘আ থেকে- আবদুল্লাহ ইবন মাস‘উদ রা. থেকে বর্ণিত, তার সনদটি হাসান।]
কোনো সন্দেহ নেই যে, " المسلمون "শব্দের মধ্যে " ال "টি সাধারণভাবে গোটা (মুসলিম) জাতিকে বুঝানোর জন্য নয়; কারণ, হাদিসটি তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণীর বিরোধী হয়ে যাবে, তিনি বলেছেন:
« سَتَفْتَرِقُ أمتي عَلَى ثَلاَثٍ وَسَبْعِينَ فرقة ثِنْتَانِ وَسَبْعُونَ فِى النَّارِ وَوَاحِدَةٌ فِى الْجَنَّةِ وَهِىَ الْجَمَاعَةُ » . ( أخرجه أبو داود ) .
“অচিরেই আমার উম্মত তিহাত্তর দলে বিভক্ত হয়ে যাবে, তাদের বাহাত্তর দল জাহান্নামে যাবে, আর একটি দল জান্নাতে যাবে, আর সে দলটি হল আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত।” [আবূ দাউদ (৫/৪), হাদিস নং- ৪৫৯৬, সুন্নাহ অধ্যায়, পরিচ্ছেদ: সুন্নাহ’র ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে ( باب شَرْحِ السُّنَّةِ ); তিরমিযী (৫/২৫), হাদিস নং- ২৬৪০, ঈমান অধ্যায়, পরিচ্ছেদ: এই উম্মতের বিভক্তি প্রসঙ্গে যেসব বর্ণনা এসেছে ( باب ما جاء في افتراق هذه الأمة ), আর তিনি বলেছেন: হাদিসটি হাসান, সহীহ; ইবনু মাজাহ (২/১৩২১), হাদিস নং- ২৩৯১, ফিতনা অধ্যায়, পরিচ্ছেদ: উম্মতের বিভক্ত হওয়া প্রসঙ্গে ( باب افتراق الأمم ); তাদের সকলেই আবূ সালমা’র সূত্রে আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফু‘ সনদে হাদিসটি বর্ণনা করেছেন; আর আলবানী ‘সহীহ আল-জামে‘ আস-সাগীর’ ( صحيح الجامع الصغير ) –এর মধ্যে (১/২৪৫) হাদিসটিকে বিশুদ্ধ বলেছেন, হাদিস নং- ১০৮৩] কেননা, উম্মতের প্রতিটি ফিরকা বা দলই মুসলিম, সে তার মাযহাবকে উত্তম মনে করে, সুতরাং যদি সবার ভালো মনে করা ও সবার কথাই গ্রহণযোগ্য হয় তবে তো কোনো দলই জাহান্নামী না হওয়া আবশ্যক হয়ে পড়ে। যা হাদীসের ভাষ্যের পরিপন্থী। অনুরূপভাবে মুসলিমদের কেউ কেউ কোনো জিনিসকে উত্তম মনে করে, আবার তাদের কেউ কেউ সেই জিনিসটিকেই মন্দ মনে করে, এমতাবস্থায় (যদি সবার কথাই গ্রহণযোগ্য হয়, তবে) তো উত্তম থেকে মন্দ আলাদা না করা আবশ্যক হয়ে পড়ে। যা হাদীসের ভাষ্যের পরিপন্থী। তাই বিশুদ্ধ কথা হচ্ছে,
হাদীসে বর্ণিত, " المسلمون "শব্দের মধ্যকার " ال "টি " عهد " বা পূর্বে বর্ণিত বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ত হবে। এখানে পূর্ববর্ণিত বিষয় হচ্ছে, “তারপর তিনি বান্দাদের অন্তরসমূহের মধ্যে তাঁর সাহাবীদের অন্তরসমূহকে সর্বোত্তম পেয়েছেন, অতঃপর তিনি তাদেরকে তাঁর নবীর উজির বা সাহায্যকারী বানালেন”। অর্থাৎ হাদীসে মুসলিমগণ বলে সাহাবীগণকেই উদ্দেশ্য নেওয়া হয়েছে।
অথবা " المسلمون "শব্দের মধ্যকার " ال "টি দ্বারা " خصائص الجنس " বা মুসলিম শব্দের মুসলিম জাতির অন্তর্নিহিত কোনো বৈশিষ্ট্যকে উদ্দেশ্য নেওয়া হয়েছে। তখন মুসলিম বলে বুঝানো হবে ইসলামের গুণে পরিপূর্ণ ব্যক্তিগণ, অর্থাৎ তাদের মধ্যে যারা ইজতেহাদ করত সক্ষম। এর মাধ্যমে সাধারণগুণ বিশিষ্টকে পূর্ণাঙ্গ গুণবিশিষ্টদের সম্পৃক্ত করা হবে। কারণ, ইঙ্গিত না পাওয়াকালীন সময়ে মুতলাক ( مطلق ) তথা সার্বজনীন বিষয়টি একটি পরিপূর্ণ শ্রেণীর দিকে স্থানান্তরিত হবে, আর সে শ্রেণি হলো মুজতাহিদ তথা গবেষক শ্রেণী; সুতরাং হাদীসের সঠিক অর্থ হবে: সাহাবীগণ অথবা মুসলিমদের মুজতাহিদগণ যা উত্তম মনে করবে, তা আল্লাহর নিকট উত্তম; আর সাহাবীগণ অথবা মুসলিমদের মুজতাহিদগণ যা মন্দ বলে মনে করবে, তা আল্লাহর নিকট মন্দ।
তাছাড়া " المسلمون "শব্দের মধ্যকার " ال "টিকে তার প্রকৃত " استغراق " বা এক জাতীয় সকল ব্যক্তি বা বস্তুর অর্থে ব্যবহার করাও বৈধ হবে, তখন তার অর্থ হবে: “যা সকল মুসলিম উত্তম মনে করবে, তা আল্লাহর নিকট উত্তম; আর যা সকল মুসলিম মন্দ মনে করবে, তা আল্লাহর নিকট মন্দ। আর যে ব্যাপারে মতবিরোধ হবে, সেক্ষেত্রে বিবেচনাযোগ্য বিষয় হবে সেসব যুগের ব্যক্তিবর্গের মন্তব্য, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণীর মধ্যে যাদের শ্রেষ্ঠত্বের ব্যাপারে সাক্ষ্য দেওয়া হয়েছে, ঐসব যুগের ব্যক্তিবর্গের মন্তব্য নয়, যাদের ব্যাপারে মিথ্যবাদিতা ও অনির্ভরযোগ্যতার সাক্ষ্য দেওয়া হয়েছে, তিনি বলেছেন:
«خَيْرُ القرون قَرْنِى الذي بعثتُ فيه ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ يفشو الكذب » .
“আমার যুগ সর্বশ্রেষ্ঠ যুগ, যাতে আমাকে প্রেরণ করা হয়েছে, অতঃপর তাদের সাথে যারা সম্পৃক্ত হবে, অতঃপর তাদের সাথে যারা সম্পৃক্ত হবে, অতঃপর মিথ্যা ছড়িয়ে পড়বে।” [বুখারী (৫/৩০৬), হাদিস নং- ২৬৫২, অধ্যায়: সাক্ষ্য ( كتاب الشهادات ), পরিচ্ছেদ: অন্যায়ের পক্ষ্যে সাক্ষী করা হলেও সাক্ষ্য দেবে না ( باب لا يشهد على شهادة جور إذا أشهد ); মুসলিম (৪/১৯৬৩), হাদিস নং- ২৫৩৩, অধ্যায়: সাহাবীদের ফাদায়েল প্রসঙ্গে ( فضائل الصحابة ), পরিচ্ছেদ: সাহাবীদের ফযীলত, অতঃপর তাদের সাথে যারা সম্পৃক্ত হবে, অতঃপর তাদের সাথে যারা সম্পৃক্ত হবে, তাদের ফযীলত বর্ণনা প্রসঙ্গে ( باب فَضْلِ الصَّحَابَةِ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ), হাদিসটি ‘উবায়দা সূত্রে আবদুল্লাহ ইবন মাস‘উদ রা. থেকে মারফু‘ সনদে বর্ণিত।] সুতরাং (যাদের মধ্যে মিথ্যা ছড়িয়ে পড়বে) তোমরা তাদের কথা ও কর্মকাণ্ডসমূহের উপর আস্থা স্থাপন বা নির্ভর করো না। আর কোন সন্দেহ নেই যে, সাহাবী, তাবে‘য়ী ও মুজতাহিদ ইমামগণ একান্ত অত্যাবশ্যকতার সীমা অতিক্রমকারী বিদ‘আতকে মন্দ ও ঘৃণিতই মনে করতেন, সুতরাং সে-সব বিদ‘আত আল্লাহ ত‘আলার নিকটও মন্দ।
বস্তত আমাদের উপরোক্ত ব্যাখ্যাটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অপর বাণীর মত, যেখানে তিনি বলেছেন:
« لا تجتمع أمتي على الضلالة » .
“আমার উম্মত ভ্রষ্টতার উপর ঐক্যবদ্ধ হবে না।” [ইবনু আবি ‘আসেম, আস-সুন্নাহ (১/৪১), হাদিস নং- ৮২, তিনি হাসানের সূত্রে কা‘ব ইবন ‘আসেম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফু‘ সনদে হাদিসটি বর্ণনা করেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: « إن الله تعالى قد أجار أمتي من أن تجتمع على الضلالة » (নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা আমার উম্মতকে ভ্রষ্টতার উপর ঐক্যবদ্ধ হওয়া থেকে রক্ষা করেছেন)। আর আলবানী হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলেছেন; আর হাদিস নং- ৮৩ কাতাদার সূত্রে আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফু‘ সনদে বর্ণিত; নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: « إن الله تعالى قد أجار أمتي من أن تجتمع على الضلالة » (নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা আমার উম্মতকে ভ্রষ্টতার উপর ঐক্যবদ্ধ হওয়া থেকে রক্ষা করেছেন)। আর হাদিস নং- ৮৪ আবূ খালফ আল-আ‘মা সূত্রে আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফু‘ সনদে বর্ণিত; নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: « إن أمتي لا تجتمع على الضلالة ... » (নিশ্চয়ই আমার উম্মত ভ্রষ্টতার উপর ঐক্যবদ্ধ হবে না ...)। এবং আলবানী তাকে দূর্বল বলেছেন। আর আলবানী ‘সহীহ আল-জামে‘’ ( صحيح الجامع ) –এর মধ্যে (১/৩৬৭) কা‘ব ইবন ‘আসেম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু কর্তৃক বর্ণিত হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলেছেন, হাদিস নং- ১৭৮৬।] এই হাদিসেও ‘উম্মত’ বলতে কেবল ‘আহলুল ইজমা’ (যাদের ইজমা বা ঐকমত্য গ্রহণযোগ্য এমন লোকগণ) উদ্দেশ্য, যিনি হবেন এমন মুজতাহিদ (দ্বীনী গবেষক), যার মধ্যে আসলেই কোনো প্রকার ফাসেকী (পাপাচারিতা) ও বিদ‘আত নেই; কারণ, ফিসক তথা পাপাচার যে তা করে সে ব্যক্তিকে অপবাদের অভিযোগে অভিযুক্ত করে এবং তা ন্যায়পরায়ণতাকে বিদূরিত করে, আর বিদ‘আতপন্থী ব্যক্তি মানুষকে বিদ‘আতের দিকে আহ্বান করে এবং সে সাধারণভাবে উম্মতের অন্তর্ভুক্ত হবে না; কেননা, সাধারণ উম্মত দ্বারা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতকে বুঝানো হয়, আর তারা হলেন এমন উম্মত, যাদের পথ হল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাহাবীদের পথ, বিদ‘আতপন্থী ও পথভ্রষ্টদের পথ নয়, যেমনটি বলেছেন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম:
« أمتي من استن بسنتي »
“আমার উম্মত হল সেই ব্যক্তি, যে আমার সুন্নাতকে অনুসরণ করে।” [এই হাদিসের (সনদ বা বিশুদ্ধতার) ব্যাপারে আমার জ্ঞান নেই। তবে সূয়ূতী তার দুররুল মানসূরে (৩/১৪৭) আবদুর রাযযাক তার মুসান্নাফ (৬/১৬৯) এর বরাতে আইয়ূব আস সাখতিয়ানী থেকে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, «من اسْتنَّ بِسنتي فَهُوَ مني» “যে আমার সুন্নাত অনুসারে চলে সে আমার দলভুক্ত”। তবে সেটি মুরসাল। তাছাড়া আবু আমর আল-আদনী তার কিতাবুল ঈমানে (হাদীস নং ৫০) একই বর্ণনা হাসান বসরী থেকে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন। তাও মুরসাল। [সম্পাদক]]
তবে (“আমার উম্মত ভ্রষ্টতার উপর ঐক্যবদ্ধ হবে না” হাদীসে) ‘আমার উম্মত’ ( أمتي ) দ্বারা সকল উম্মতকে উদ্দেশ্য করাও শুদ্ধ বলা যায়, কারণ কখনও কখনও " إضافة " বা সম্বন্ধ পদ " ال " এর মত " استغراق " তথা সমস্ত ব্যক্তি বা বস্তুকে বুঝানোর জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে; সুতরাং অর্থ হবে: “আমার সকল উম্মত মহাকালের কোনো এক কাল বা সময়ে ভ্রষ্টতার উপর ঐক্যবদ্ধ হবে না, যেমনভিাবে ইয়াহূদী ও খ্রিষ্টানগণ তাদের নবীদের পরে ভ্রষ্টতার উপর ঐক্যবদ্ধ হয়েছে”; তখন এই হাদিসটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এ বাণীর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হবে, যাতে তিনি বলেছেন:
“আমার উম্মতের একটি দল আল্লাহর বিধানের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে; যারা তাদের সঙ্গ ত্যাগ করবে বা বিরোধিতা করবে, তারা তাদের কোনো প্রকার অনিষ্ট সাধন করতে পারবে না। শেষ পর্যন্ত এভাবে আল্লাহর আদেশ তথা কিয়ামত এসে পড়বে, আর তারা তখনও লোকের উপর সুস্পষ্টরূপে প্রকাশমান থাকবে।” [বুখারী (২/২৫০), হাদিস নং- ৩১১৬; অধ্যায়: খুমুস বা এক পঞ্চমাংশ ( كتاب الخمس ), পরিচ্ছেদ: আল্লাহ তা‘আলার বাণী: فأن لله خمسه وللرسول " " (নিশ্চয়ই তার এক পঞ্চমাংশ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের জন্য) মুসলিম (৩/১৫২৪), হাদিস নং- ১০২৭, ইমারত অধ্যায়, পরিচ্ছেদ: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী: « لاَ تَزَالُ طَائِفَةٌ مِنْ أُمَّتِى ظَاهِرِينَ عَلَى الْحَقِّ لاَ يَضُرُّهُمْ مَنْ خَالَفَهُمْ » (আমার উম্মতের এক দল লোক হকের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে, বিরোধীরা তাঁদের কোন ক্ষতিসাধন করতে পারবে না); হাদিসটি মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফু‘ সনদে বর্ণিত।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/594/20
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।