hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সৎব্যক্তিদের আসরসমূহ থেকে চার আসর

লেখকঃ শাইখ আহমদ আর-রুমী আল-হানাফী রহ.

৩০
কবরস্থানে কুরআন পাঠ বিষয়ে একটি সংশয় ও তার উত্তর
যদি কেউ বলে যে, আমি এক সময় শিক্ষা গ্রহণ করব আর অন্য সময় কুরআন পাঠ করব; আর যখন কুরআন পাঠ করা হবে, তখন রহমত নাযিল হয়, সুতরাং আশা করা যায় যে, ঐ রহমত থেকে কবরবাসীদের সাথে কিছু রহমত সম্পৃক্ত হবে, যা তাদেরকে উপকৃত করবে।’ তাহলে এর কয়েকটি জবাব হতে পারে:

প্রথমত: কুরআন পাঠ করা যদিও ইবাদত, কিন্তু যিয়ারতকারীর জন্য মৃত্যু, ফেরেশতাদ্বয়ের প্রশ্ন ও অন্যান্য বিষয়ে চিন্তাভাবনা ও শিক্ষা গ্রহণ নিয়ে ব্যস্ত থাকাও এক প্রকারের ইবাদত, যা পূর্বে আলোচনা হয়েছে; আর সময়টি শুধু এই ইবাদতের জন্যই উপযুক্ত ক্ষেত্র, সুতরাং সে এক ইবাদত থেকে অন্য ইবাদতে যাবে না, বিশেষ করে (নিজের জন্য ইবাদত বাদ দিয়ে) অন্যের (উপকারের) জন্য নয়।

দ্বিতীয়ত: সে যদি তার ঘরের মধ্যে কুরআন পাঠ করে এবং তার সাওয়াব তাদের প্রতি হাদিয়া হিসেবে প্রেরণ করে এইভাবে যে, সে তিলাওয়াত থেকে অবসর নেয়ার পর তার ভাষায় বলবে: হে আল্লাহ! আমার তিলাওয়াতের সাওয়াব কবরবাসীদের জন্য কবুল করে নাও, তাহলে তা তাদের নিকট পৌঁছে যাবে [এ বিষয়ে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের সতনিষ্ঠ আলেমদের মধ্যেই মতভেদ রয়েছে। অনেকেই এ ধরনের ঈসালে সাওয়াবকে শরী‘আতসম্মত মনে করেন না। তাই উচিত হবে কুরআন তেলাওয়াত ইত্যাদি নেক আমলের পর সেটার উসিলা দিয়ে মৃত ব্যক্তির জন্য দো‘আ করা, সেটা পাঠিয়ে দেওয়া নয়। [সম্পাদক]]। নিশ্চয়ই এটি দো‘আ যা তাদের নিকট সাওয়াবকে পৌঁছিয়ে দেবে; আর দো‘আ সর্বসম্মতিক্রমে পৌঁছে যায়; সুতরাং তাদের কবরের পাশে গিয়ে কুরআন পাঠের প্রয়োজন নেই।

তৃতীয়ত: তাদের কবরের নিকট তার কুরআন পাঠ করাটা তাদের কারও কারও আযাবের (শাস্তির) কারণ হতে পারে, কেননা যখনই এমন আয়াত অতিক্রম করবে, যা সে আমল করেনি, তখনই তাকে বলা হবে: তুমি কি তা পাঠ করনি?! তুমি কি তা শ্রবণ করনি, তাহলে কিভাবে তার বিপরীত কাজ করলে এবং তার উপর আমল করলে না? ফলে তার (আয়তের) প্রতি তার বিরুদ্ধাচরণের কারণে তাকে শাস্তি দেওয়া হবে।

চতুর্থত: তার (কুরআন পাঠের) সমর্থনে কোনো সুন্নাহ বা হাদিস বর্ণিত হয়নি; আর তা নিষিদ্ধ হওয়ার জন্য এটাই যথেষ্ট। সুতরাং ব্যাপারটি যখন এ রকম, তখন যিয়ারতকারীদের জন্য উপযুক্ত কাজ হল, সুন্নাহ’র অনুসরণ করা এবং তাদের জন্য শরী‘আত যা অনুমোদন দিয়েছে, সেখানেই থেমে যাওয়া ও তার সীমা লঙ্ঘন না করা; যাতে তারা তাদের নিজেদের প্রতি এবং কবরবাসীদের প্রতি ইহসানকারী হতে পারে; কারণ-

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন