মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
কবরের উপর নির্মিত মসজিদসমূহের ব্যাপরে ইসলামের বিধান
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/594/7
কবরের উপর নির্মিত মসজিদসমূহের ব্যাপারে ইসলামের বিধান হল, এই ধরনের সব মসজিদকে ধ্বংস করে ফেলতে হবে, এমনকি তা মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে; আর অনুরূপভাবে ঐসব গম্বুজগুলোকেও ধ্বংস করা ফরয, যেগুলো কবরের উপর নির্মিত হয়েছে; কারণ, তা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের অবধ্যতা ও তাঁর বিরোধিতার উপর; আর এমন প্রত্যেক স্থাপত্য যা রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের অবধ্যতা ও তাঁর বিরোধিতার উপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তা ধ্বংস করা মসজিদে দিরার (ক্ষতির উদ্দেশ্যে নির্মিত মসজিদ) ধ্বংস করার চেয়ে উত্তম কাজ। কেননা, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবরের উপর স্থাপত্য নির্মাণ করতে নিষেধ করেছেন এবং তার উপর মসজিদ নির্মাণকারীদেরকে লা‘নত (অভিশাপ) করেছেন; সুতরাং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা থেকে নিষেধ করেছেন এবং যা বাস্তবায়নকারী ব্যক্তিকে লা‘নত করেছেন, তা দ্রুত ও তাড়াতাড়ি ধ্বংস করা ফরয। আর এ জন্যই কবরের উপর প্রজ্জ্বলিত প্রতিটি মোমবাতি ও প্রদীপ অপসারণ করা ফরয; কারণ, এ কাজ বাস্তবায়নকারী ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের অভিশাপ দ্বারা অভিশপ্ত; আর যে কাজের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম লা‘নত করেছেন, তা কবীরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত।
এ জন্যই আলেমগণ বলেছেন: কবরের উদ্দেশ্যে মোমবাতি, তেল ইত্যাদি কোনো কিছুই মানত করা জায়েয হবে না; কারণ, তা অবাধ্যতাপূর্ণ মানত, এটা পূর্ণ করা বৈধ নয়, বরং তাতে শপথের কাফফারার ন্যায় কাফফারা আবশ্যক হবে। অনুরূপভাবে কবরের জন্য কোনো কিছু ওয়াকফ করাও বৈধ নয়; কারণ, এই ওয়াকফ শুদ্ধ হবে না এবং তা বলবৎ রাখা ও বাস্তবায়ন করা বৈধ হবে না। ইমাম আবূ বকর আত-তারতূশী বলেন: আল্লাহ তা‘আলা আপনাদের উপর রহম করুন! আপনারা লক্ষ্য করুন, যেখানেই আপনারা এমন কোনো গাছ দেখতে পাবেন, যাকে জনগণ বিশেষ উপলক্ষ্য হিসেবে নির্ধারণ করে, তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে, তার কাছে তারা মুক্তি ও আরোগ্য কামনা করে এবং তাতে পেরেক ও কাপড় লটকায় তা-ই শরীয়ত নিষিদ্ধ লটকানোর স্থানে পরিণত হয়, সুতরাং তা আপনারা কেটে ফেলবেন। আর “লটকানোর স্থান” এর কাহিনী হচ্ছে, আরবের মুশরিকদের একটি লটকিয়ে রাখার গাছ ছিল, তারা তাতে তাদের অস্ত্রসস্ত্র ও রসদপত্র লটকিয়ে রাখত এবং তারা তার চতুষ্পার্শ ঘিরে বসত। যেমনটি ইমাম তিরমিযী র. তাঁর ‘আস-সুনান’ গ্রন্থে আবূ ওয়াকিদ আল-লাইসী রা. থেকে হাদিস বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন:
« خرجنا مع رسول الله صلى الله عليه و سلم قبل حنين و نحن حديثو عهد بالإسلام , و للمشركين سدرة يعكفون حولها و ينوطون بها أسلحتهم و أمتعتهم , يقال لها ذات أنواط , فقلنا يا رسول الله : اجعل لنا ذات أنواط كما لهم ذات أنواط . فقال النبي صلى الله عليه و سلم : الله أكبر إنها السنن قلتم و الذي نفسي بيده كما قالت بنو إسرائيل لموسى ﴿ ٱجۡعَل لَّنَآ إِلَٰهٗا كَمَا لَهُمۡ ءَالِهَةٞۚ قَالَ إِنَّكُمۡ قَوۡمٞ تَجۡهَلُونَ ١٣٨ ﴾ [ الاعراف : ١٣٨ ] إنكم لتركبن سنن من كان قبلكم » .
“আমরা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে হুনাইনের যুদ্ধের পূর্বে বের হলাম; তখন আমরা ছিলাম নওমুসলিম; আর মুশরিকদের একটা বরই গাছ ছিল, তারা তার চতুষ্পার্শ ঘিরে বসত এবং তারা তাদের হাতিয়ার ও রসদপত্র তাতে লটকিয়ে রাখত; তাকে “লটকানোর গাছ” বলা হত; অতঃপর আমরা বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের জন্যও “লটকানোর গাছ” নির্ধারিত করে দিন যেমনটি নির্ধারিত রয়েছে তাদের জন্য। তখন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ “আল্লাহু আকবার! নিশ্চয় এটা স্বীকৃত নিয়মনীতি; ঐ সত্বার কসম, যাঁর হাতে আমার জীবন! তোমরা তো এমন কথাই বলছ, যেমন বনী ইসরাইল মূসাকে বলেছিলঃ (তাদের যেমন অনেক উপাস্য রয়েছে আমাদের জন্যও তেমন উপাস্য নির্ধারিত করে দিন; তিনি বললেন: তোমরা তো এক জাহিল সম্প্রদায়।) [সূরা আল-‘আরাফ, আয়াত: ১৩৮] অবশ্যই তোমরা তোমাদের পূর্ববর্তীদের রীতিনীতির অনুসরণ করবে’।” [তিরমিযী (৪/৪৭৫), হাদিস নং- ২১৮০, অধ্যায়: ফিতনা ( كتاب الفتن ), পরিচ্ছেদ: অবশ্যই তোমরা তোমাদের পূর্ববর্তীদের রীতিনীতির অনুসরণ করবে ( باب ما جاء لتركبن سنن من كان قبلكم ); আর ইমাম তিরমিযী বলেন: হাদিসটি হাসান, সহীহ। আহমদ (৫/২১৮); আবদুর রায্যাক (১১/৩৬৯), হাদিস নং- ২০৭৬৩, পরিচ্ছেদ: তোমাদের পূর্ববর্তীদের রীতিনীতি প্রসঙ্গে ( باب سنن من كان قبلكم ); তাবারানী, আল-কাবীর (৩/৩২৯০, ৩২৯১, ৩২৯২, ৩২৯৩, ৩২৯৪); ইবনু হাব্বান, আস-সহীহ (৮/২৪৮), হাদিস নং- ৬৬৬৭, পরিচ্ছেদ: এই উম্মত কর্তৃক তাদের পূর্ববর্তী উম্মতদের রীতিনীতি অনুসরণ সম্পর্কিত হাদিসসমূহের আলোচনা প্রসঙ্গে ( باب ذكر الأخبار عن اتباع هذه الأمة سنن من قبلهم من الأمم ); আত-তায়ালাসী (১৩৪৬); আবূ ই‘য়ালা বর্ণনা করেন তার মুসনাদে (২/১৫৯), হাদিস নং- ১৪৩৭; হুমাইদী বর্ণনা করেন তার মুসনাদে (২/৩৭৫), হাদিস নং- ৮৪৮; ইবনু জারীর, আত-তাফসীর (৯/৪৫), নাসায়ী, আত-তাফসীর (পৃ. ৭৬); আলকায়ী, শরহু উসূললি ই‘তিকাদ [ شرح أصول الاعتقاد ] (১ /১২৪), হাদিস নং- ৫০৪, ২০৫; ইবনু আবি ‘আসেম, আস-সুন্নাহ (১/৩৭), হাদিস নং- ৭৬; ইবনু আবি শায়বা, ইবনুল মুনযের, ইবনু আবি হাতেম, আবু শাইখ ও ইবনু মারদুইয়াহ প্রমূখ বর্ণনা করেন, যেমনটি রয়েছে আদ-দুররুল মানছূর ( الدر المنثور ) গ্রন্থে (৩/১১৪)। তাঁদের সকলেই সিনান ইবন আবি সিনান থেকে সনদ পরস্পরায় আবূ ওয়াকিদ আল-লাইসী থেকে মারফু‘ সনদে বর্ণনা করেছেন; আর এই হাদিসটি বিশুদ্ধ।] দেখা যাচ্ছে যে, গাছটিকে হাতিয়ার লটকিয়ে রাখা ও তার চতুষ্পার্শ্ব ঘিরে বসার জন্য গ্রহণ করাকে আল্লাহ তা‘আলার সাথে অপর ইলাহ গ্রহণ করা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে, অথচ তারা এর উপাসনাও করে না এবং এর নিকট কোনো কিছু প্রার্থনাও করে না। তাহলে মানুষ যেসব গাছপালা, পাথর অথবা কবরকে উদ্দেশ্য করে, সম্মান করে, রোগমুক্তি কামনা করে, আর বলে যে এ গাছ-পাথর বা কবর মানত গ্রহণ করে (যে মানত মূলত একটি ইবাদত ও নৈকট্য), আর এসব বেদি মাসেহ করে এবং তা স্পর্শ করে— সেগুলোর ব্যাপারে কীরূপ ধারণা করা সঙ্গত! [অর্থাৎ তা অবশ্যই শির্ক হিসেবে গণ্য হবে এবং আল্লাহ ব্যতীত এগুলোর ইবাদাত হিসেবে ধর্তব্য হবে। [সম্পাদক]]
যে মাকামে ইবরাহীমকে আল্লাহ তা‘আলা মুসাল্লা বা সালাতের স্থানরূপে গ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন, সালাফে সালেহীন তথা পূর্ববর্তী সত্যনিষ্ঠ আলেমগণ সেটাকে স্পর্শ করতে নিষেধ করতেন, যেমনটি ইমাম আযরাকী আল্লাহ তা‘আলার বাণী:
[তোমরা মাকামে ইব্রাহীমকে সালাতের স্থানরূপে গ্রহণ কর] [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১২৫] এর তাফসীরে কাতাদা রহ. থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, মানুষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মাকামে ইবরাহীমের নিকট সালাত আদায় করতে, তাদেরকে তা স্পর্শ করার নির্দেশ দেওয়া হয়নি; বরং আলেমগণ একমত পোষণ করেছেন যে, তাকে স্পর্শ ও চুম্বন করা যাবে না, তবে হাজরে আসওয়াদের বিষয়টি ভিন্ন।
আর রুকনে ইয়ামানী’র ব্যাপারে বিশুদ্ধ মত হল, তাকে স্পর্শ করা যাবে, কিন্তু চুম্বন করা যাবে না। অথচ এ শয়তান সর্বকালে ও সর্বসময়ে সম্মানিত ব্যক্তির কবরকে বেদী হিসেবে পেশ করে, ফলে মানুষজন তাকে সম্মান করে; অতঃপর সে তাকে এমন প্রতিমা বা মূর্তিতে পরিণত করে, আল্লাহ তা‘আলাকে বাদ দিয়ে যার উপাসনা করা হয়; অতঃপর সে তার বন্ধু-বান্ধবদের নিকট নির্দেশনা প্রেরণ করে যে, যে ব্যক্তি তার উপাসনা থেকে নিষেধ করে, তাকে উৎসবের স্থলে পরিণত করতে বারণ করে এবং তাকে প্রতিমা হিসেবে নির্দিষ্টকরণে বাধা প্রদান করে, সে ব্যক্তি তো এর অসম্মান-অপমান করছে এবং তার অধিকার নষ্ট করছে— ফলে মূর্খ ব্যক্তিরা তাকে হত্যা করা ও শাস্তি দেওয়ার ব্যাপারে সর্বাত্মক চেষ্টাসাধনা করে এবং তারা তাকে কাফির বলে ফতোয়া দেয়। অথচ তার অপরাধ তো শুধু এই যে, সে তাদেরকে তাই আদেশ করে, যা আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর রাসূল আদেশ করেছেন এবং শুধু তা থেকে নিষেধ করে, যা থেকে আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর রাসূল নিষেধ করেছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/594/7
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।