hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুসলিম নারী এবং সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য

লেখকঃ অধ্যাপক ড. ফালেহ ইবন মুহাম্মাদ আস-সুগাইর

১৪
১. ঘরের মধ্যে তার দায়িত্ব ও কর্তব্যের শর‘ঈ ভিত্তি:
ঘরে নারীর দায়িত্ব ও কর্তব্যসমূহের ব্যাপারে শর‘ঈ ভিত্তি হচ্ছে, তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্যসমূহ ব্যাপক আমানতদারিতা হিসেবে নির্ধারিত হওয়ার ওপর। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَا تَخُونُواْ ٱللَّهَ وَٱلرَّسُولَ وَتَخُونُوٓاْ أَمَٰنَٰتِكُمۡ وَأَنتُمۡ تَعۡلَمُونَ ٢٧﴾ [ سُورَةُ الأَنفَالِ : 27]

“হে মুমিনগণ! জেনে শুনে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সাথে বিশ্বাস ভঙ্গ করবে না এবং তোমাদের পরস্পরের আমানত সম্পর্কেও বিশ্বাস ভঙ্গ করো না।” [সূরা আল-আনফাল, আয়াত: ২৭]

আর এই দায়িত্ব ও কর্তব্য প্রতিরক্ষামূলক দায়িত্বে পরিণত হয়ে যায়, যা পালন করা প্রত্যেক নারীর ওপর আবশ্যক, যেমনিভাবে তা পালন করা পুরুষের জন্যও আবশ্যক। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ قُوٓاْ أَنفُسَكُمۡ وَأَهۡلِيكُمۡ نَارٗا وَقُودُهَا ٱلنَّاسُ وَٱلۡحِجَارَةُ عَلَيۡهَا مَلَٰٓئِكَةٌ غِلَاظٞ شِدَادٞ لَّا يَعۡصُونَ ٱللَّهَ مَآ أَمَرَهُمۡ وَيَفۡعَلُونَ مَا يُؤۡمَرُونَ ٦﴾ [ سُورَةُ التَّحۡرِيمِ : 6]

“হে মুমিনগণ! তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে আগুন থেকে রক্ষা কর, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর, যাতে নিয়োজিত আছে নির্মমহৃদয়, কঠোরস্বভাব ফিরিশতাগণ, যারা অমান্য করে না তা, যা আল্লাহ তাদেরকে আদেশ করেন। আর তারা যা করতে আদিষ্ট হয়, তাই করে।” সূরা আত-তাহরীম: ৬

আর শরী‘আত এসব দায়িত্ব ও কর্তব্যের প্রতি নজর দেয়, যাতে উভয় গৃহকর্তা স্বামী ও স্ত্রীর কল্যাণকর সীমারেখার মধ্যে ব্যাপক দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে দায়বদ্ধ থাকে। কারণ, সহীহ বুখারী ও মুসলিমে আবদুল্লাহ ইবন ওমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত আছে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,

«كلكم راع وكلكم مسؤول عن رعيته الإمام راع ومسؤول عن رعيته والرجل راع في أهله وهو مسؤول عن رعيته والمرأة راعية في بيت زوجها ومسؤولة عن رعيتها و في رواية " والمرأة راعية في بيت بعلها و ولده و هي مسؤولة عنهم " والخادم راع في مال سيده ومسؤول عن رعيته . قال وحسبت أن قد قال : والرجل راع في مال أبيه ومسؤول عن رعيته وكلكم راع ومسؤول عن رعيته» .

“তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল (রক্ষণাবেক্ষণকারী), আর তোমাদের প্রত্যেককেই তার অধীনস্থদের রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ইমাম বা শাসক হলেন দায়িত্বশীল, আর তাকে তার অধীনস্থদের রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আর পুরুষ তার পরিবার ও সংসারের জন্য দায়িত্বশীল, আর তাকে তার পরিবারের রক্ষণাবেক্ষণ ও দায়িত্বপালন সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আর নারী তার স্বামীর ঘর রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে দায়িত্বশীল, আর তাকে তার দায়িত্বপালন সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অপর এক বর্ণনায় আছে: ‘নারী তার স্বামীর ঘর ও তার সন্তানের রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে দায়িত্বশীল, আর তাকে তাদের ব্যাপারে তার দায়িত্বপালন সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’ আর খাদেম (সেবক) তার মনিবের ধন-সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে দায়িত্বশীল, আর তাকে তার দায়িত্বপালন সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। বর্ণনাকারী বলেন, আমি ধারণা করি যে, তিনি (রাসূল) আরও বলেছেন: পুরুষ ব্যক্তি তার পিতার ধন-সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে দায়িত্বশীল, আর তাকে তার দায়িত্বপালন সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আর তোমাদের সকলেই দায়িত্বশীল, আর তোমাদের সকলকেই তার অধীনস্থদের রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।” [সহীহ বুখারী, কিতাবুল জুমু‘আ ( كتاب الجمعة ), পরিচ্ছেদ: গ্রাম ও শহরে জুমু‘আ প্রসঙ্গে ( باب الجمعة في القرى و المدن ), বাব নং ১০, হাদীস নং ৮৫৩; সহীহজ মুসলিম, ইমারত ( الإمارة ) অধ্যায়, বাব নং ৫, হাদীস নং ৪৮২৮।]

তেমনিভাবে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি এই দায়িত্ব ও কর্তব্যের ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের মধ্যে অধিকার ও দায়িত্ব-কর্তব্যের ভারসাম্য রক্ষার করার ওপর জোর দেয়।

সুনানের বর্ণনাকারীগণ আমর ইবনুল ‘আস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণনা করেন, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বিদায় হজে ভাষণ দিতে শুনেছেন। সুতরাং তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী থেকে যা শুনেছেন, তার অংশবিশেষ হলো:

« ألا إن لكم على نسائكم حقا ولنسائكم عليكم حقا فأما حقكم على نسائكم فلا يطئن فراشكم من تكرهون ولا يأذن في بيوتكم لمن تكرهون ألا وحقهن عليكم أن تحسنوا إليهن في كسوتهن وطعامهن» .

“জেনে রাখ! তোমাদের স্ত্রীদের ওপর তোমাদের যেমন অধিকার রয়েছে, অনুরূপভাবে তোমাদের ওপরও তোমাদের স্ত্রীদের অধিকার রয়েছে। সুতরাং তোমাদের স্ত্রীদের ওপর তোমাদের অধিকার হলো, তারা যেন তোমাদের বিছানায় এমন কাউকে যেতে না দেয়, যাকে তোমরা অপছন্দ কর এবং তারা যেন তোমাদের ঘরের মধ্যে এমন কাউকে অনুমতি না দেয়, যাকে তোমরা অপছন্দ কর। আরও জেনে রাখ! তোমাদের ওপর তাদের অধিকার হলো, তোমরা তাদের বস্ত্র ও অন্যের ব্যাপারে তাদের প্রতি উত্তম ব্যবহার করবে।” [তিরমিযী, অধ্যায়: দুগ্ধপান ( كتاب الرضاع ), পরিচ্ছেদ: স্বামীর ওপর তার স্ত্রীর অধিকারের ব্যাপারে যা এসেছে ( باب ما جاء في حق المرأة على زوجها ), বাব নং ১১, হাদীস নং ১১৬৩; ইবন মাজাহ, অধ্যায়: বিবাহ ( كتاب النكاح ),পরিচ্ছেদ: স্বামীর ওপর স্ত্রীর অধিকার ( باب حق المرأة على زوجها ), বাব নং ৩, হাদীস নং ১৪৫১; ইমাম তিরমিযী রহ. বলেন, এই হাদীসটি হাসান, সহীহ।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন