hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুসলিম নারী এবং সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য

লেখকঃ অধ্যাপক ড. ফালেহ ইবন মুহাম্মাদ আস-সুগাইর

দ্বিতীয়ত: তার নিজের ব্যাপারে দায়িত্ব ও কর্তব্যসমূহ থেকে অন্যতম হলো জ্ঞান অর্জন:
আর এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো শরী‘আতের জ্ঞান, যার দ্বারা তার দীন প্রতিষ্ঠিত হবে। কারণ, এই দীন জ্ঞান ব্যতীত প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না; আর তা হলো আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ব্যাপারে জ্ঞান এবং তাঁর দীন ও শরী‘আত সম্পর্কিত জ্ঞান। আর এই জ্ঞান দুইভাগে বিভক্ত:

(ক) ফরযে আইন: এই প্রকারের জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মুসলিম পুরুষ ও নারীর ওপর ফরযে আইন তথা আবশ্যকীয় কর্তব্য, আর তা এমন জ্ঞান, যার দ্বারা দীনের জরুরি বিষয়গুলো জানা ও বুঝা যায় অথবা অন্যভাবে বলা যায়: এটা এমন জ্ঞান, যা ব্যতীত দীন প্রতিষ্ঠিত হয় না। যেমন, সামগ্রিকভাবে আল্লাহর প্রতি ঈমান বা বিশ্বাস স্থাপন সম্পর্কিত বিধানসমূহ, পবিত্রতা অর্জন সম্পর্কিত বিধানসমূহ, সালাত (নামায) সম্পর্কিত বিধানসমূহ। সুতরাং মুসলিম নারী শিক্ষা লাভ করবে সে কীভাবে পবিত্রতা অর্জন করবে? কীভাবে সে সালাত (নামায) আদায় করবে? কীভাবে সাওম (রোযা) পালন করবে? কীভাবে সে তার স্বামীর হক আদায় করবে? আর কীভাবে সে তার সন্তানদেরকে লালনপালন করবে? এবং এমন প্রত্যেক জ্ঞান, যা তার ওপর বাধ্যতামূলক।

(খ) আরেক প্রকার জ্ঞান অর্জন করা ফরযে কিফায়া: আর তা এমন জ্ঞান, যা কিছুসংখ্যক ব্যক্তি অর্জন করলে বাকিরা অপরাধমুক্ত হয়ে যা, আর মুসলিম নারীর জন্য এই প্রকার জ্ঞান অর্জনের উদ্যোগ গ্রহণ করা এবং সেই জ্ঞান অর্জন করে পরিতৃপ্তি লাভ করাটা উত্তম বলে বিবেচিত হবে। কুরআন ও সুন্নাহ এই জ্ঞান অর্জনের প্রশংসায়, তার ফযীলত বা মর্যাদা বর্ণনায় এবং এ প্রকার জ্ঞান ও জ্ঞানীদের গুরুত্ব বর্ণনায় অনেক বক্তব্য নিয়ে এসেছে। আরও বক্তব্য নিয়ে এসেছে অন্যদের ওপর তাদের উচ্চমর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনায়। কারণ, তারা হলেন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উত্তরসুরী।

ইবন আবদিল বার আল-আন্দালুসী রহ. বলেন, “আলিমগণ এই ব্যাপারে একমত পোষণ করেছেন যে, ইলম বা জ্ঞানের মধ্যে এক প্রকার এমন রয়েছে, যা প্রত্যেক ব্যক্তির জীবনে ফরযে আইন; আরেক প্রকার হলো ফরযে কিফায়া ... অবশেষে তিনি বলেন, এর থেকে যতটুকু সকলের ওপর আবশ্যক তা হচ্ছে যে সকল বস্তু তার ওপর ফরয করা হয়েছে, যা না জেনে থাকার সুযোগ নেই সে ফরযটুকু জানা।”

মুসলিম নারীকে ইসলাম যে সম্মান দান করেছে, তন্মধ্যে অন্যতম হলো: ইসলাম নারীর জন্য শিক্ষা গ্রহণ করা ও শিক্ষা প্রদান করার মর্যাদা পুরুষের মর্যাদার মত করে সমানভাবে নির্ধারণ করেছে এবং নারীকে বাদ দিয়ে পুরুষের জন্য কোনো বিশেষ মর্যাদা নির্দিষ্ট করে নি। শিক্ষা এবং শিক্ষা গ্রহণের ফযীলত বা মর্যাদা বর্ণনায় বর্ণিত সকল আয়াত ও হাদীস পুরুষ ও নারীকে সমানভাবে মর্যাদাবান বলে অবহিত করে। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿يَرۡفَعِ ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ مِنكُمۡ وَٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡعِلۡمَ دَرَجَٰتٖۚ﴾ [ سُورَةُ المجادلة : 11]

“তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে এবং যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে আল্লাহ তাদেরকে মর্যাদায় উন্নত করবেন।” [সূরা আল-মুজাদালা: ১১]

তিনি আরও বলেন,

﴿قُلۡ هَلۡ يَسۡتَوِي ٱلَّذِينَ يَعۡلَمُونَ وَٱلَّذِينَ لَا يَعۡلَمُونَۗ ﴾ [ سُورَةُ الزُّمَرِ : 9]

“বল, যারা জানে এবং যারা জানে না, তারা কি সমান?” [সূরা আয-যুমার, আয়াত: ৯]

তিনি আরও বলেন,

﴿وَقُل رَّبِّ زِدۡنِي عِلۡمٗا ١١٤ ﴾ [ سُورَةُ طه : 114]

“বল, হে আমার রব! আমাকে জ্ঞানে সমৃদ্ধ কর।” [সূরা ত্বা-হা, আয়াত: ১১৪]

অনুরূপ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী:

«مَنْ سَلَكَ طَرِيقًا يَطْلُبُ فِيهِ عِلْمًا سَلَكَ اللَّهُ بِهِ طَرِيقًا مِنْ طُرُقِ الْجَنَّةِ وَإِنَّ الْمَلاَئِكَةَ لَتَضَعُ أَجْنِحَتَهَا رِضًا لِطَالِبِ الْعِلْمِ وَإِنَّ الْعَالِمَ لَيَسْتَغْفِرُ لَهُ مَنْ فِى السَّمَوَاتِ وَمَنْ فِى الأَرْضِ وَالْحِيتَانُ فِى جَوْفِ الْمَاءِ وَإِنَّ فَضْلَ الْعَالِمِ عَلَى الْعَابِدِ كَفَضْلِ الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ عَلَى سَائِرِ الْكَوَاكِبِ وَإِنَّ الْعُلَمَاءَ وَرَثَةُ الأَنْبِيَاءِ وَإِنَّ الأَنْبِيَاءَ لَمْ يُوَرِّثُوا دِينَارًا وَلاَ دِرْهَمًا وَرَّثُوا الْعِلْمَ فَمَنْ أَخَذَهُ أَخَذَ بِحَظٍّ وَافِرٍ» .

“যে ব্যক্তি জ্ঞান অর্জন করার জন্য কোনো পথ অবলম্বন করে, এর উসিলায় আল্লাহ তা‘আলা তাকে জান্নাতের পথসমূহ থেকে একটি পথে পরিচালিত করেন। নিশ্চয় ইলম (জ্ঞান) অন্বেষণকারীর সন্তুষ্টির জন্য ফিরিশতাগণ তাদের পাখাসমূহ বিছিয়ে দেন। আর আলেমের জন্য আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে সকলেই ক্ষমা প্রার্থনা করে। এমনকি গভীর পানির মাছও তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। সুতরাং একজন আবেদের (ইবাদতকারীর) ওপর আলেমের মর্যাদা তেমনি, যেমন পূর্ণিমার রাতে সকল তারকার ওপর চাঁদের মর্যাদা। নিশ্চয় আলিমগণ নবীগণের ওয়ারিস (উত্তরাধিকারী আর নবীগণ কোনো দিনার এবং দিরহামের উত্তরাধিকারী রেখে যাননি; বরং তাঁরা শুধুমাত্র ইলমকে উত্তরাধিকার হিসেবে রেখে গেছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি ইলম অর্জন করল, সে পরিপূর্ণ অংশ (উত্তরাধিকার) গ্রহণ করল। [আবূ দাউদ, ইলম অধ্যায়, পরিচ্ছেদ: ইলম অনুসন্ধানে উৎসাহদান প্রসঙ্গে ( باب الحث على طلب العلم ), বাব নং ১, হাদীস নং ৩৬৪৩; তিরমিযী, ইলম অধ্যায়, পরিচ্ছেদ: ইবাদতের ওপর জ্ঞানের মর্যাদা প্রসঙ্গে ( باب فضل الفقه على العبادة ), বাব নং ২০, হাদীস নং ২৬৮২; ইবন মাজাহ, কিতাবের ভূমিকা ( افتتاح الكتاب في الإيمان و فضائل الصحابة و العلم ), পরিচ্ছেদ: ইলম অনুসন্ধানে উৎসাহদান প্রসঙ্গে ( باب فضل العلماء و الحث على طلب العلم ), বাব নং ১৭, হাদীস নং ২২৩।]

এগুলো ছাড়াও কুরআন ও সুন্নাহর আরও অনেক বক্তব্য রয়েছে, যার প্রতিটি বক্তব্যই সমানভাবে পুরুষ ও নারীকে অন্তর্ভুক্ত করে; আর অনুরূপভাবে প্রথম প্রজন্মের নারীগণ জ্ঞান অর্জনের এই নীতি অবলম্বন করেছেন। মুমিন জননী আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা জ্ঞান অন্বেষণকারিনী এবং সে ক্ষেত্রে প্রতিযোগী নারীদের জন্য নিজেকে অত্যন্ত চৌকস ব্যক্তি হিসেবে দৃষ্টান্ত পেশ করেন;, এমনকি তিনি অধিক হাদীস বর্ণনাকারী সাহাবা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমের মধ্যে অন্যতমা ছিলেন এবং অনেক মাসআলার ক্ষেত্রে তিনি তাদের তথ্যসূত্র বা আশ্রয়স্থল হিসেবে বিদ্যমান ছিলেন। আর তিনি সাহাবীদের কারও কারও দেওয়া বিধিবিধানের ভুল সংশোধন করে দিতেন।

আর তিনি ছাড়াও আরও অনেক মহিলা সাহাবী জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। [দ্রষ্টব্য: লেখক কর্তৃক সম্পাদিত ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে করা নারীদের প্রশ্নসমূহ’ ( أسئلة النساء لرسول الله صلى الله عليه و سلم )। তাতে অনেক দৃষ্টান্ত রয়েছে, আর অচিরেই আল্লাহ তা‘আলার ইচ্ছায় তা প্রকাশিত হবে।]

আর অধ্যাপক ডক্টর আবদুর রহমান আয-যুনাইদী নারীর শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য পর্যালোচনা করেছেন, আর তা আলোচিত হয়েছে ‘নারীর সাংস্কৃতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য’ ( مسئولية المرأة الثقافية ) শিরোনামের একটি পুস্তিকায়। সেখানে তিনি প্রথমে কতগুলো চ্যালেঞ্জের চিত্র তুলে ধরেছেন, মুসলিম নারী এই যুগে যেগুলোর মুখোমুখি হয়। আর তা হলো:

প্রথম চিত্র: ইসলামী ধ্যানধারণার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা না থাকা; অন্যভাবে বলা যায়: তার ইসলামী আকীদা-বিশ্বাসকে বিশৃঙ্খলামুক্ত না করা; ফলে তার ইলাহ অথবা জীবন অথবা সৃষ্টি সম্পর্কিত বিশ্বাস ও ধ্যানধারণা থাকে বিকৃত; ফলে সে দুর্বল আকীদা-বিশ্বাস নিয়ে আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত করে।

দ্বিতীয় চিত্র: পুরুষের সাথে নারীর সম্পর্কের ক্ষেত্রে তার সামাজিক অবস্থান। অর্থাৎ কোনো কোনো পুরুষ কর্তৃক তার পরিবারের সাথে বিদ্যমান নেতিবাচক অবস্থান। আর এটাকেই মুসলিম নারী তার জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচনা করে, পরিবারে নারী ও পুরুষের সম্পর্কের ব্যাপারটি সে সার্বিকভাবে বিবেচনা করতে সক্ষম হয় না। যেখানে পরিবারে নারীর সাথে পুরুষের সম্পর্ক শক্তিশালী হওয়ার কথা, সেখানে পুরুষ লোকটি সে সম্পর্কে ছেদ ঘটায় এবং সেটাকে পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয় না।

তৃতীয় চিত্র: চিন্তাগত অস্থিরতা, যা নিয়ে এই যুগ উত্তাল হয়ে আছে; যেমন আমদানিকৃত সংস্কৃতি, যা মুসলিম নারীর ওপর সংকট সৃষ্টি করে এবং তাকে নিক্ষেপ করে ধ্বংস, অপ্রিয় ও ঘৃণ্য চরিত্রের পথে; এমনকি শিল্প, নৃত্য ইত্যাদি হয়ে যায় সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য ও অগ্রাধিকার পাওয়ার মত বস্তুর অন্তর্ভুক্ত, যাকে আজকের নারীসমাজ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। আর এটা বিপজ্জনক ও বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ।

চতুর্থ চিত্র: তথ্যপ্রযুক্তি বা মিডিয়া, আর কোনো সন্দেহ নেই যে, এটাও একটা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। কারণ, এতে ভালো ও মন্দ সবই একসাথে রয়েছে। যার দ্বারা ছড়িয়ে পড়ে এমন সংস্কৃতি, যা দীনের বিরুদ্ধে লড়াই করে, মুসলিম নারীর ব্যক্তিত্বের ওপর আক্রমন করে, শিশুদেরকে তাদের ব্যক্তিত্ব নষ্ট করার প্রশিক্ষণ দেয় এবং তাদের স্বভাব-প্রকৃতিকে সত্য পথ থেকে ভিন্নমুখী করে দেয়। আর মুসলিম নারী এই দূষিত পরিবেশের মধ্যে জীবনযাপন করে, যার কারণে এই জীবনে তার নির্মল জীবনধারা কলুষিত হয়।

পঞ্চম চিত্র: আর আমি এখানে পঞ্চম চিত্রটি বৃদ্ধি করেছি; আর তা হলো: নৈতিক বিপর্যয়, যা কোনো কোনো মুসলিম সমাজের গভীরে গিয়ে পৌঁছেছে এবং তা মুসলিম নারীসমাজের ওপর নগ্নভাবে আক্রমণ করেছে ও তার জন্য সমাজটিকে বাস্তবতার বিপরীতরূপে চিত্রিত করেছে। উদাহরণস্বরূপ শিল্পকলা একাডেমিগুলোতে যেসব অনৈতিক বিষয়াদি ও কর্মকাণ্ড পরিবেশিত হয় এবং তাতে দীনের কিছু কিছু শিক্ষা ও দর্শনকে যেভাবে সেকেলে ও পশ্চাৎপদতা দ্বারা চিত্রিত করা হয়, তাতে এর মধ্য দিয়ে পশ্চিমা জাতির অনুসরণ করে ব্যাপক অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে, যাতে বলা হয় বিয়ে-সাদী হলো বন্দী করা বা আটকিয়ে রাখা। আর তার সমাধান হলো ভোগবিলাসে মত্ত থাকা এবং এরূপ আরও অনেক শ্লোগান।

ষষ্ঠ চিত্র: নারী জাতির বিশ্বায়ন; আর তা হলো পশ্চিমা নাস্তিকগণ আহ্বান করে যে, আদর্শ নারী হলো পশ্চিমা নারী, যে অধিকারের ব্যাপারে পুরুষের সমান। শিল্প-কারখানায় পুরুষের মতো শ্রমিক, সৌন্দর্য প্রদর্শনকারিনী ইত্যাদি।

আর এই চ্যালেঞ্জের বিষয়গুলো প্রকাশ হতে শুরু করে তাদের ঐসব সম্মেলনে, যেগুলোতে তারা লোকদের আহ্বান করে, আর জাতিসংঘ যেগুলোর তত্ত্বাবধান করে এবং তার মূলনীতিমালা বাস্তবায়নের আহ্বান জানায়। যেমন, শ্রমজীবি নারীকেই একমাত্র গ্রহণযোগ্য বিবেচ্য নারী হিসেবে তাদের মূল্যায়ন, হোম মেকার বা গৃহিনীদেরকে বিভিন্নভাবে পশ্চাদপদ বলে অবমূল্যায়ন করে। আর এর মধ্যে আরও রয়েছে, কতগুলো পরিবর্তিত পরিভাষার অনুপ্রবেশ। যেমন, নারী ও পুরুষের বৈষম্য দূর করার তাৎপর্য ব্যাখ্যার জন্য তারা المساواة (সমতা) শব্দের ব্যবহার। আর যৌনস্বাধীনতা ও নৈতিকতা বর্জনের জন্য التنمية (প্রগতি) শব্দের ব্যবহার।

কিন্তু এসব চ্যালেঞ্জ সত্বেও আশার আলো তাদের মধ্যে তাদের মধ্যে থাকবে যারা তাদের দীনকে উপলব্ধি করেছে এবং তাদের শত্রুদের পাতানো পরিকল্পনার ফাঁদ সম্পর্কে সচেতন থেকেছে, তাদের ব্যাপারে আশার আলো সুস্পষ্টভাবে আলোকিত হয়ে আছে যা মনকে করে আনন্দিত এবং তাকে আস্থা, বিশ্বাস ও প্রশান্তিতে ভরে দেয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন