hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুসলিম নারী এবং সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য

লেখকঃ অধ্যাপক ড. ফালেহ ইবন মুহাম্মাদ আস-সুগাইর

১৬
(খ) মা হিসেবে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য:
মায়ের জন্য রয়েছে বড় রকমের অধিকার; বরং আল্লাহ তা‘আলার অধিকারের পরে সবচেয়ে বড় অধিকার হলো মায়ের। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَقَضَىٰ رَبُّكَ أَلَّا تَعۡبُدُوٓاْ إِلَّآ إِيَّاهُ وَبِٱلۡوَٰلِدَيۡنِ إِحۡسَٰنًاۚ إِمَّا يَبۡلُغَنَّ عِندَكَ ٱلۡكِبَرَ أَحَدُهُمَآ أَوۡ كِلَاهُمَا فَلَا تَقُل لَّهُمَآ أُفّٖ وَلَا تَنۡهَرۡهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوۡلٗا كَرِيمٗا ٢٣ وَٱخۡفِضۡ لَهُمَا جَنَاحَ ٱلذُّلِّ مِنَ ٱلرَّحۡمَةِ وَقُل رَّبِّ ٱرۡحَمۡهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرٗا ٢٤ ﴾ [ سُورَةُ الإِسۡرَاءِ : 23 – 24]

“তোমার রব আদেশ দিয়েছেন তিনি ব্যতীত অন্য কারও ইবাদত করতে এবং পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করতে। তাদের একজন অথবা উভয়েই তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হলে তাদেরকে ‘উফ’ বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না, তাদের সাথে সম্মানসূচক কথা বল। মমতাবেশে তাদের প্রতি নম্রতার পাখা অবনমিত করবে এবং বলবে, ‘হে আমার রব! তাদের প্রতি দয়া কর, যেভাবে শৈশবে তারা আমাকে প্রতিপালন করেছিলেন’।” [সূরা আল-ইসরা, আয়াত: ২৩-২৪] এই আয়াতের সাথে অর্থগতভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ আরও অনেক আয়াত রয়েছে।

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

«جاء رجل إلى رسول الله صلى الله عليه و سلم فقال يا رسول الله من أحق الناس بحسن صحابتي ؟ قال ( أمك ) . قال ثم من ؟ قال ( ثم أمك ) . قال ثم من ؟ قال ( ثم أمك ) . قال ثم من ؟ قال ( ثم أبوك» .

“এক লোক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে জিজ্ঞেস করল: হে আল্লাহর রাসূল! আমার কাছে কে উত্তম ব্যবহার পাওয়ার বেশি হকদার? তিনি বললেন: তোমার মা। লোকটি বলল: তারপর কে? তিনি বললেন: তোমার মা। লোকটি বলল: তারপর কে? তিনি বললেন: তোমার মা। লোকটি বলল: তারপর কে? তিনি বললেন: তোমার পিতা।” [সহীহ বুখারী, অধ্যায়: আচার-ব্যবহার ( كتاب الأدب ), পরিচ্ছেদ: মানুষের মধ্যে উত্তম ব্যবহার পাওয়ার কে বেশি হকদার? ( باب من أحق الناس بحسن الصحبة ), বাব নং ২, হাদীস নং ৫৬২৬; সহীহ মুসলিম, অধ্যায়: সদ্ব্যবহার, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা ও আচার-ব্যবহার ( البروالصلة والآدب ), পরিচ্ছেদ: পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার এবং তারা উভয়ে এর সবচেয়ে বেশি হকদার ( باب بِرِّ الْوَالِدَيْنِ وَأَنَّهُمَا أَحَقُّ بِهِ ), বাব নং ১, হাদীস নং ৬৬৬৪।]

আর এই অধিকারটি বাস্তবায়িত হয় কথা, কাজ ও সম্পদের মাধ্যমে ইহসানকে অন্তর্ভুক্ত করে। আর এই অধিকারের বিনিময়ে তার ওপর আবশ্যক হয়ে পড়ে গুরু দায়িত্ব পালন ও বড় রকমের আমানতের সংরক্ষণ করা। বরং তা এই জীবনে তার মহান দায়িত্ব ও কর্তব্যসমূহের অন্যতম। আর এই দায়িত্ব ও কর্তব্যের সূচনা হলো- আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ قُوٓاْ أَنفُسَكُمۡ وَأَهۡلِيكُمۡ نَارٗا وَقُودُهَا ٱلنَّاسُ وَٱلۡحِجَارَةُ عَلَيۡهَا مَلَٰٓئِكَةٌ غِلَاظٞ شِدَادٞ لَّا يَعۡصُونَ ٱللَّهَ مَآ أَمَرَهُمۡ وَيَفۡعَلُونَ مَا يُؤۡمَرُونَ ٦﴾ [ سُورَةُ التَّحۡرِيمِ : 6[

“হে মুমিনগণ! তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে আগুন থেকে রক্ষা কর, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর। যাতে নিয়োজিত আছে নির্মমহৃদয়, কঠোরস্বভাব ফিরিশতাগণ, যারা অমান্য করে না তা, যা আল্লাহ তাদেরকে আদেশ করেন। আর তারা যা করতে আদিষ্ট হয়, তাই করে।” [সূরা আত-তাহরীম, আয়াত: ৬]

হাসান রহ. বলেন, তোমরা তাদেরকে আল্লাহর আনুগত্যের নির্দেশ দাও এবং কল্যাণের প্রশিক্ষণ দাও।

বিশুদ্ধ হাদীসের মধ্যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«كلكم راع وكلكم مسؤول عن رعيته ... »

“তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল (রক্ষণাবেক্ষণকারী), আর তোমাদের প্রত্যেককেই তার অধীনস্থদের রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ...” [সহীহ বুখারী, কিতাবুল জুম‘আ ( كتاب الجمعة ), পরিচ্ছেদ: গ্রাম ও শহরে জুমু‘আ প্রসঙ্গে ( باب الجمعة في القرى و المدن ), বাব নং ১০, হাদীস নং ৮৫৩; সহীহ মুসলিম, ইমারত ( الإمارة ) অধ্যায়, বাব নং ৫, হাদীস নং ৪৮২৮।]

ইমাম ইবনুল কাইয়্যেম রহ. বলেন, “পিতা-মাতার প্রতি তাদের সন্তানদের ব্যাপারে আল্লাহর নির্দেশ সন্তানদের প্রতি তাদের পিতা-মাতার ব্যাপারে নির্দেশের ওপর অগ্রগামী। সুতরাং যে ব্যক্তি তার সন্তানকে প্রয়োজনীয় শিক্ষা দেওয়ার ব্যাপারে অবহেলা করে এবং তাকে অনর্থক ছেড়ে দেয়, তবে সে তার প্রতি চরম খারাপ আচরণ করল। আর অধিকাংশ সন্তানের জীবনে বিপর্যয় ও বিশৃঙ্খলা নেমে আসে তাদের পিতা-মাতার কারণে। কেননা তারা তাদের প্রতি অযত্ন ও অবহেলা করে এবং তাদেরকে দীনের ফরয ও সুন্নাতসমূহ শিক্ষা দেওয়া থেকে বিরত থাকে। তারা তাদেরকে ছোট অবস্থায় নষ্ট করেছে, ফলে বড় হয়ে তারা তাদের নিজেদের ও পিতা-মাতাদের উপকার করবে না। যেমনিভাবে এক ব্যক্তি তার সন্তানের অবাধ্যতার অভিযোগ করলে সন্তান বলে: হে আমার পিতা! আমার ছোট বেলায় তুমি আমার সাথে দুর্ব্যবহার করেছ, আর আমি তোমার বৃদ্ধ বয়সে তোমার সাথে দুর্ব্যবহার করেছি; তুমি আমাকে শিশু অবস্থায় নষ্ট করেছ, আর আমি তোমার বৃদ্ধ অবস্থায় তোমাকে কষ্ট দিচ্ছি।” [তুহফাতুল মাওদুদ ( تحفة المودود ), পৃ. ৩৮৭।]

পিতা-মাতার দায়িত্ব ও কর্তব্যের ব্যাপারে এটা একটা মোটামুটি বর্ণনা; তবে মায়ের দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো নিম্নরূপ:

প্রথমত: তার সন্তানের পিতা নির্বাচন করা:

নারীর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ও কর্তব্যের সূচনা হলো তার শিশু সন্তানদের পিতা গ্রহণের ক্ষেত্রে বর বাছাইয়ের জটিল ধাপ বা স্তরটি। যে কেউ তাকে বিয়ে করতে ইচ্ছা পোষণ করে বিয়ের প্রস্তাব পেশ করলেই সে তা গ্রহণ করবে না; বরং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গ্রহণযোগ্য স্বামী নির্বাচনের জন্য সুস্পষ্ট মানদণ্ড নির্ধারণ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন,

«إذا أتاكم من ترضون خلقه ودينه فزوجوه . إلا تفعلوا تكن فتنة في الأرض وفساد عريض»

“যখন তোমাদের নিকট এমন কোনো ব্যক্তি বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসে, যার চরিত্র ও দীনদারীতে তোমরা সন্তুষ্ট, তবে তোমরা তার বিয়ের ব্যবস্থা করে দাও। যদি তোমরা তা না কর, তবে তা পৃথিবীর মধ্যে বিপর্যয় ডেকে আনবে এবং ব্যাপক বিশৃঙ্খলার কারণ হবে।” [তিরমিযী, অধ্যায়: বিবাহ ( كتاب النكاح ), পরিচ্ছেদ: যখন তোমাদের নিকট এমন ব্যক্তি আসে যার দীনদারীতে তোমরা সন্তুষ্ট, তবে তোমরা তার বিয়ের ব্যবস্থা কর ( باب ما جاء إذا جاءكم من تضرون دينه فزوجوه ), বাব নং ৩, হাদীস নং ১০৮৪; ইবন মাজাহ, অধ্যায়: বিবাহ ( كتاب النكاح ),পরিচ্ছেদ: সমতা ( باب الأكفاء ), বাব নং ৪৬, হাদীস নং ১৯৬৭।]

মানদণ্ড হলো তিনটি বিষয়: দীন, চরিত্র ও আকল:

যখন এই তিনটি বিষয় ব্যক্তির মধ্যে পূর্ণতা লাভ করে, তখন সে তাকে স্বামী হিসেবে গ্রহণ করবে। বর্তমান দিনের অধিকাংশ মানুষ এর বিপরীতে তার ধন-সম্পদের আধিক্য অথবা শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ অথবা তার সরকারি চাকরি অথবা সামাজিক মর্যাদা অথবা তার চেহারা-ছবি অথবা তার যশ-খ্যাতিসহ ইত্যাদি বিচার করে। অথচ এ ধরনের সকল মানদণ্ড রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক নির্ধারিত মানদণ্ডের মোকবিলায় কিছুই নয়।

কেন? তার কারণ হলো, সৌভাগ্য, পবিত্র বা উত্তম জীবন এবং দুনিয়া ও আখিরাতে উত্তম পরিণতি এই মানদণ্ডের মধ্যেই নিহিত রয়েছে।

সুতরাং বেদীন স্বামীর কারণে স্ত্রী যুলুমের শিকার হবে, আর তার সন্তানগণ হবে ধ্বংস ও বিচ্যুতির শিকার।

আর স্বামীর নৈতিকতার অভাবে স্ত্রী তার দুর্ব্যবহারের শিকার হবে এবং তার সন্তানগণ ব্যক্তিত্বের ক্ষেত্রে ধ্বংসের শিকার হবে।

আর স্বামীর নির্বুদ্ধিতার কারণে স্ত্রী অশান্তি ও দুর্বিসহ জীবনের অধিকারী হবে; আর তার সন্তানগণ হবে অস্থিরতার শিকার। সুতরাং ধার্মিক, চরিত্রবান ও বুদ্ধিমান পিতা হলেন এমন, যিনি তার (স্ত্রীর) সন্তানদেরকে প্রতিপালন করবেন ও শিক্ষা দেবেন এবং তাদেরকে যথাযথভাবে লালন-পালন ও শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে তাকে সহযোগিতা করবেন, আর তাদেরকে উত্তম চরিত্র ও আচার-আচরণের ব্যাপারে উৎসাহিত করবেন।

দ্বিতীয়ত: ভ্রুণ অবস্থায় তার রক্ষণাবেক্ষণ করা:

তার জরায়ুর মধ্যে বীর্য প্রবেশের দিন থেকেই ভ্রণের প্রতি গুরুত্ব প্রদান করা। সুতরাং সে তার সুস্থতা এবং তার জন্য উপকারী বিষয়সমূহের প্রতি যত্নবান হবে; আর তা সম্ভব হবে তার খাওয়া-দাওয়া, পান করা ও নড়াচড়ার মধ্য দিয়ে। সুতরাং জেনে রাখা দরকার যে, গর্ভবতী তার দীর্ঘ গর্ভাকালীন সময়ের মধ্যে অনেকগুলো পরিস্থিতির শিকার হয়। ফলে সে এই দিকে মনোযোগ দেবে, যাতে তার গর্ভস্থিত সন্তান নিরাপদে বের হয়ে আসে, আর এটা তাকে সুস্থ, স্বাস্থ্যসম্মত ও বুদ্ধিমত্তার সাথে তাকে লালন-পালনে সহযোগিতা করবে।

তৃতীয়ত: প্রসূত সন্তানের রক্ষণাবেক্ষণ করা:

- তাকে প্রসব করার সময় তার অধিকারসমূহ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তার পিতার সাথে এই পর্যায়ে নিম্নলিখিতরূপে সহযোগিতা করা:

তার ডান কানে আযান দেওয়া, যাতে সে প্রথমেই তাওহীদ তথা আল্লাহর একত্ববাদের কথা শুনতে পায়।

সুন্দর নাম দ্বারা তার নাম রাখা। আর খারাপ নাম দ্বারা নাম রাখা থেকে অথবা খারাপ অর্থ বহন করে এমন নাম দ্বারা নামকরণ করা অথবা কাফিরদের নামে নাম রাখা অথবা শরী‘আত কর্তৃক নিষিদ্ধ নামে নামকরণ করা থেকে সতর্কতা অবলম্বন করা।

তার জন্মের সপ্তম দিনে তার নাম রাখার সাথে সাথে তার মাথার চুল মুণ্ডন করা।

তার মাথার চুলের ওজন পরিমাণ রৌপ্য দ্বারা সাদকা করা।

তার পক্ষ থেকে আকিকা করা; আর তা এইভাবে যে, ছেলের পক্ষ থেকে দু’টি ছাগল দ্বারা, আর মেয়ের পক্ষ থেকে একটি ছাগল দ্বারা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

« الغلام مرتهن بعقيقية يذبح عنه يوم السابع ويسمى ويحلق رأسه » . ( أخرجه الترمذي و أبوداود و النسائي و ابن ماجه ).

“প্রত্যেক প্রসূত সন্তান স্বীয় আকিকার সাথে আবদ্ধ। তার পক্ষ থেকে তা তার জন্মের সপ্তম দিনে যবাই করতে হবে। সেদিন তার নাম রাখতে হবে এবং তার মাথা মুণ্ডন করতে হবে।” [তিরমিযী, অধ্যায়: কুরবানী ( كتاب الأضاحي عن رسول الله صلى الله عليه و سلم ), পরিচ্ছেদ: আকীকা ( باب من العقيقة ), বাব নং ২৩, হাদীস নং ১৫২২; আবূ দাউদ, অধ্যায়: কুরবানী ( الضحايا ), পরিচ্ছেদ: আকীকা প্রসঙ্গে ( باب فِى الْعَقِيقَةِ ), বাব নং ২১, হাদীস নং ২৮৩৯; নাসাঈ, অধ্যায়: আকীকা ( كتاب العقيقة ), পরিচ্ছেদ: কখন আকীকা করা হবে? ( متى يعق ), বাব নং ৬, হাদীস নং ৪৫৪৬; ইবন মাজাহ, অধ্যায়: জবেহ ( كتاب الذبائح ), পরিচ্ছেদ: আকীকা ( باب العقيقة ), বাব নং ১, হাদীস নং ৩১৬৫।]

- তাওহীদ তথা একত্ববাদের ভিত্তিতে কথা বলার ওপর তাকে অভ্যস্ত করানো এবং তার প্রাণে উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন বিষয়াদির বীজ বপন করা। বিশেষ করে প্রথম পাঁচ বছরের মধ্যেই তা করতে হবে। সুতরাং গবেষকদের কেউ কেউ উল্লেখ করেন যে, শিশু তার প্রথম বছরগুলোতেই তার পূর্বপুরুষদের অধিকাংশ চিন্তাচেতনার আলোকে শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে; কারণ, ৯০% শিক্ষা-বিষয়ক কার্যক্রম তার প্রথম বছরগুলোতেই সম্পন্ন হয়। সুতরাং গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো এই সময়কালকে যথাযথভাবে কাজে লাগানো, যা কিছুক্ষণ পূর্বে আলোচিত হয়েছে এবং যার বিস্তারিত আলোচনা অচিরেই আসছে। ইবনুল জাউযী রহ. বলেন, ছোট বয়সে যা হয়, তাকেই আমি বেশি মূল্যায়ন করি। কেননা যখন সন্তানকে তার স্বভাবের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়, তখন সে তার ওপরই বেড়ে উঠে; আর স্বভাব একটি কঠিন বিষয়, কবি বলেন,

যখন তুমি গাছের ডালকে সোজা করতে চাইবে, তখন তা সোজা হয়ে যাবে,

আর যখন তুমি শুকনো কাঠকে সোজা করতে চাইবে, তখন তা নরম হবে না।

আদব-কায়দা তরুণ সমাজকে উপকার করে, যেমনটি ঘটে লোহার মধ্যে

আর বয়স্ক লোকের মধ্যে আদব-কায়দা তেমন কোনো উপকার করে না।

আর এখানে যা উল্লেখ করার মত, তা হলো,

শিশুকে নিম্নোল্লেখিত যিকিরসমূহ উচ্চারণে অভ্যস্ত করা: لا إله الا الله , محمد رسول الله (আল্লাহ ছাড়া কোনো প্রকৃত ইলাহ নেই, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল ), سبحان الله (আল্লাহ পবিত্র), الحمد لله (সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য), الله أكبر (আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ), لا حول و لا قوة إلا بالله (আল্লাহর সাহায্য ব্যতীত কোনো ক্ষমতা নেই এবং কোনো শক্তি নেই), ইত্যাদি।

শিশুর মনে আল্লাহর ভালোবাসার বীজ রোপন করা।

তার মনে আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ও তার ভয়ের অপরিহার্যতার বীজ বপন করা।

তার মনে মানুষের ওপর আল্লাহর নজরদারী ও খবরদারীর বীজ রোপন করা।

তাকে ভালো কথা বলার অভ্যাসে অভ্যস্ত করা, যেমন, أحسنت (তুমি সুন্দর করেছ), شكرا (ধন্যবাদ), جزاك الله خيرا (আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন।

তাকে গুরুত্বপূর্ণ দো‘আসমূহ, ঘুম, খাওয়ার (পূর্বাপর) এবং বিভিন্ন স্থানে প্রবেশের যিকির তথা দো‘আসমূহ পাঠ অভ্যস্ত করা।

শিশুদেরকে (আল্লাহর) আশ্রয়ে দেওয়া, যেমনটি করেছেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসান ও হোসাইনের সাথে [সহীহ বুখারী, অধ্যায়: নবীগণ ( كتاب الأنبياء ), বাব নং ১২, হাদীস নং ৩১৯১, আবদুল্লাহ ইবন ‘আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, «كان النبي صلى الله عليه و سلم يعوذ الحسن والحسين ويقول : إن أباكما كان يعوذ بها إسماعيل وإسحاق أعوذ بكلمات الله التامة من كل شيطان وهامة ومن كل عين لامة» “নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসান ও হোসাইনের জন্য আশ্রয় প্রার্থনা করতেন, তিনি বলতেন: নিশ্চয় তোমাদের পিতা ইসমাঈল ও ইসহাক ‘আলাইহিমাস সালাম তা দ্বারা প্রার্থনা করতেন: আমি আশ্রয় চাই আল্লাহর পরিপূর্ণ কালেমাসমূহ দ্বারা প্রত্যেক শয়তান, বিষাক্ত প্রাণী এবং প্রত্যেক কুদৃষ্টিসম্পন্ন চোখ থেকে।]। যেমন, অভিভাবক বলবে:

«أعيذك بكلمات الله التامة من كل شيطان وهامة ومن كل عين لامة»

“আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালেমাসমূহের অসীলায় প্রত্যেক শয়তান, বিষাক্ত প্রাণী এবং প্রত্যেক কুদৃষ্টিসম্পন্ন চোখ থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে দিচ্ছি।” যাতে শয়তান তাদেরকে শিকার করতে পারে না।

আরও বিশেষভাবে তিনি যা উল্লেখ্য, -যদিও তা পূর্বে উল্লেখিত বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছে: তা হলো, তাকে শুরুতে ঘরের মধ্যে আল্লাহ তা‘আলার কিতাব (আল-কুরআনুল কারীম) মুখস্থ করাবে এবং তাকে তা শুনাবে। আর অনুরূপভাবে সুন্নাতে নববী তথা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীস থেকে কিছু মুখস্থ করাবে, বিশেষ করে ছোট ছোট হাদীসসমূহ।

শিশুদের সাথে গুরুত্বপূর্ণ কিচ্ছা-কাহিনীসমূহ থেকে কিছু আলোচনা করা; বিশেষ করে সীরাতে নববী তথা নবীর জীবনী থেকে ঐ পর্যায়ের বিষয়গুলো থেকে আলোচনা করা, যা সে বয়সের যে স্তরে জীবনযাপন করছে, তার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। কারণ, ঐ কাহিনীসমূহ তার মধ্যে বড় রকমের শিক্ষামূলক প্রভাব ফেলবে এবং তার মনে উন্নত ও শক্তিশালী চরিত্রের বীজ বপন করবে, আর সে প্রত্যাশা করবে, সে যেন ঐসব ব্যক্তিবর্গের মত হতে পারে, যাদের কাহিনী সে শ্রবণ করেছে।

শিশুর মধ্যে তার ছোটকাল থেকেই উন্নত মানের ইচ্ছা বা অভিপ্রায়ের ব্যাপারে আশা-আকাঙ্খা জাগিয়ে তোলা এইভাবে যে, সে মনে মনে পরিকল্পনা স্থির করবে যে, সে অমুকের মত আলিম (বিদ্বান) হবে অথবা অমুকের মত ডাক্তার হবে, ইত্যাদি ইত্যাদি।

শিশুর আগ্রহ ও ইচ্ছাসমূহ প্রকাশ করতে এবং তার আল্লাহ প্রদত্ত মেধাসমূহের বিকাশে উদ্যোগ গ্রহণ করা। সুতরাং উদাহরণস্বরূপ বলা যায়: যখন দেখা যায় যে, সে পড়ার প্রতি আগ্রহী, তখন সে তাতেই তাকে নিয়োগ করে দেবে এবং তার জন্য সংশ্লিষ্ট বইপত্রের ব্যবস্থা করে দেবে, আর যখন সে খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী হবে, তখন তাকে ঐ খেলাধুলার ব্যবস্থা করে দেবে, যা তার শক্তি ও মেধা বিকাশে ভূমিকা রাখবে... অনুরূপভাবে আরও অন্যান্য বিষয়ও হতে পারে।

আর সাত বছর বয়সের সময় শিশুর সাথে আচার-আচরণের ক্ষেত্রে নতুন আরেক ধাপের সূচনা হয়; রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কতগুলো মৌলিক সাইনপোস্ট (Signpost) ঠিক করে দিয়েছেন তাঁর বাণীর মাধ্যমে, তিনি বলেছেন:

«مروا أبناءكم بالصلاة لسبع سنين واضربوهم عليها لعشر سنين وفرقوا بينهم في المضاجع » .

“তোমাদের সন্তানদেরকে তোমরা সালাতের নির্দেশ দাও, যখন তারা সাত বছর বয়সে উপনীত হয় এবং তার কারণে তাদেরকে প্রহার কর, যখন তারা দশ বছর বয়সে উপনীত হয়। আর তাদের শোয়ার স্থান পৃথক করে দাও।” [আহমদ, মুসানাদ, অধ্যায়: মুসনাদুল মুকছিরীন মিনাস সাহাবা ( مسند المكثرين من الصحابة ), পরিচ্ছেদ: মুসনাদে আবদুল্লাহ ইবন ‘আমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা ( مسند عبد الله بن عمرو رضى الله تعالى عنهما ), হাদীস নং ৬৭৫৬; আবূ দাউদ, অধ্যায়: সালাত ( الصلاة ), পরিচ্ছেদ: কখন সন্তানকে সালাতের নির্দেশ দেওয়া হবে ( باب مَتَى يُؤْمَرُ الْغُلاَمُ بِالصَّلاَةِ ), বাব নং ২৬, হাদীস নং ৪৯৫।] আর এই সাইনপোস্টগুলো হলো:

শিশুকে সালাতের নির্দেশের দ্বারা শুরু করা, যা ইবাদতসমূহের মধ্যে প্রধান এবং তাকে এই দিকে মনোযোগী করা ও তার প্রতি উৎসাহিত করা। আর এই নির্দেশের অন্তর্ভুক্ত হবে সাওমের (রোযার) মতো অপরাপর সকল ইবাদতও। আর তাকে এই কাজে অভ্যস্ত করে তোলা। আর সে উপলব্ধি করবে যে, তার সকল কার্যক্রমই ইবাদত, যার মাধ্যমে সে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলার নৈকট্য অর্জন করবে।

দশম বছরে উপনীত হওয়ার পর বার বার নির্দেশ লঙ্ঘন করলে মৃদু প্রহার করা।

ঘুমের সময় নারী-পুরুষদের পরস্পর থেকে দূরে রাখা।

পূর্ববর্তী ধাপগুলোতে যা সহযোগিতা করবে, তা হলো নিম্নোক্ত প্রশিক্ষণ পদ্ধতিসমূহ:

(ক) শারীরিক শাস্তি ছাড়া অপরাপর শাস্তি প্রদান:

আর এই শাস্তি তখন দেওয়া হবে, যখন তার পক্ষ থেকে বার বার সালাত তরক (পরিত্যাগ) করা হবে; যেমন, তাকে নির্ধারিত উপহার দেওয়া থেকে বঞ্চিত করা, প্রহারের হুমকি দেওয়া এবং তার চাহিদা পূরণের আহ্বানে সাড়া না দেওয়া ...ইত্যাদি ইত্যাদি।

আর শারীরিক শাস্তি হবে মৃদু শাস্তি, কঠোর নয়, আর এই ধরনের শাস্তি কেবল তখনই কার্যকর করা হবে, যখন তার দশ বছর পূর্ণ হবে এবং তার পক্ষ থেকে বার বার সালাত তরক (পরিত্যাগ) করা হবে; আর এই শাস্তিবিধানের সময় শরীরের স্পর্শকাতর স্থানসমূহ থেকে দূরে থাকতে হবে। যেমন, ঘাড়, পেট ও মাথা।

(খ) পুরুষ ও নারী জাতির জাতিগত বিশেষত্বের তাগিদ দেওয়া:

ছেলে ও মেয়ের প্রত্যেকের জন্য যে একে অপরের থেকে পৃথক বিশেষত্ব বা বৈশিষ্ট্য রয়েছে, সে বিষয়ে তাকে অবহিত করা; আর এই অবহিতকরণের কাজ শুরু হবে তাদের বয়স দশম বছর পূর্ণ হওয়ার সময় থেকে তাদের বিছানা আলাদা করার মাধ্যমে। আর এটা একে অপরের নিকটবর্তী হওয়ার ও অশ্লিলতার পথ বন্ধ করার জন্য এবং স্বাতন্ত্রবোধ ও একান্ত ব্যক্তিগত জীবনের অনুশীলনের জন্যও এই ব্যবস্থা।

(গ) নৈতিক চরিত্র ও শিষ্টাচারের ওপর ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ:

আর এই কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত- চারিত্রিক কর্মকাণ্ডের ওপর তাদের অনুশীলন এবং তার ওপর তাদেরকে অভ্যস্ত করানো। যেমন, আচার-আচরণে এবং কাজে ও কর্মে সত্যবাদিতার নীতি অবলম্বন করা, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ না করা।

(ঘ) কর্মকাণ্ডে উৎসাহ দান:

ছোট বয়সে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে যা সহায়ক শক্তি হিসেবে ভূমিকা রাখে, তা হলো শিশুদের কর্মকাণ্ডের সাথে সংগতিপূর্ণভাবে উৎসাহদান। তারা ছোট হলেও তাদের ওপর এর অনেক প্রভাব রয়েছে।

(ঙ) বন্ধু-বান্ধবকে পর্যবেক্ষণ ও অনুসরণ:

ছোটবেলা থেকেই বন্ধু-বান্ধব ও সঙ্গী-সাথীর কর্মকাণ্ডের প্রতি গুরুত্ব প্রদান করা এবং এ ব্যাপারটি উপেক্ষা না করা। কারণ, সে তার বন্ধুর কাছ থেকেই কথা বলা, স্বভাব-প্রকৃতি ও কর্মকাণ্ডের অভ্যাসে অভ্যস্ত হয়। অতএব তাকে এমন বন্ধুর নিকটবর্তী করাবে, যে উত্তম পরিবেশে জীবনযাপন করে এবং এমন সাথীর সঙ্গ থেকে দূরে থাকবে, যে মন্দ পরিবেশে জীবনযাপন করে।

চতুর্থত: তাকে প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় তত্ত্ববধান করা:

আর এই বয়সে এসে পিতা-মাতার দায়-দায়িত্ব বেড়ে যায়। এখানে কয়েকটি বিষয়ে মায়ের দায়-দায়িত্ব কেন্দ্রীভূত হয়:

দায়িত্ব পালন ও যত্ন নেয়ার ক্ষেত্রে তার পিতার সাথে সহযোগিতা করা।

গৃহে তত্ত্বাবধান। এই তত্ত্বাভধানের অন্তর্ভুক্ত: ভালো ও কল্যাণকর কাজে উৎসাহ প্রদান করা এবং এর ব্যতিক্রম করলে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও সাবধান করা।

ছেলে অথবা মেয়েকে তার মূল্য ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে অনুভূত করা। সে যদি ছেলে হয়, তবে অনুধাবন করাবে যে, সে পুরুষদের কাতারে পৌঁছেছে; তাকে পুরুষত্ব ও তার বৈশিষ্ট্যসমূহের ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দেবে। আর এই দায়িত্বটি যদি সম্ভব হয় তবে পিতার জন্যই বহন করা জরুরি। আর যদি সে কন্যা হয়, তবে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করাবে। যেমন, তার ভবিষ্যত দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে অনুশীলন করা, তাকে বিশেষ তত্ত্বাবধান করা, তার যত্ন নেওয়া, তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া, তার পড়াশুনা ও অধ্যাবসায়ের দিকে মনোযোগ দেওয়া এবং তারা পাঠসমূহ ও পোশাক-পরিচ্ছদের বিষয়টি তদারকি করা।

মেয়ের কাজে তার সাথে অংশ নেওয়া। এটি শুরু করতে হবে তার সাথে বন্ধুসুলভ ব্যবহারের মাধ্যমে। আর তাকে বোঝাতে হবে যে, সে তার মা হওয়ার সাথে সাথে একজন বান্ধবীও বটে। এতে করে পরবর্তীতে মেয়ে তার কাছ থেকে এমন কোনো কিছু গোপন করবে না, যা অনেক সময় তার ক্ষতির কারণ হতে পারে।

মেয়েকে ঘর-গৃহস্থালির কাজকর্মের কিছু দায়িত্ব প্রদান করা এবং তাকে সম্পূর্ণরূপে এমনভাবে উপেক্ষা না করা, যাতে কোনো দায়-দায়িত্ব বহন না করেই সে সকল জিনিস হাতের কাছে প্রস্তুত অবস্থায় পেয়ে যায়।

সকল সম্পাদিত কাজের ব্যাপারে পিতাকে অবহিত করা এবং বিশেষ করে এই স্তরের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে তাকে অংশগ্রহণ করানো, আর ছেলে হউক অথবা মেয়ে হউক সন্তানদের কোনো বিষয়ই তার নিকট গোপন না করা।

এসব দায়িত্ব ও কর্তব্যের গভীরতাই জোর দিয়ে থাকে যে, মা হলেন শিশুর পরিচর্যাকারিনী, লালনপালনকারিনী, তত্ত্বাবধায়ক, শিক্ষিকা, পরিচালিকা ও সম্পাদিকা। তিনি হলেন একাধারে জ্ঞানীদের জননী, কীর্তিমানদের লালনপালনকারিনী ও শিক্ষিকা, শ্রমিক ও কৃষকের প্রশিক্ষক, বীর পুরুষ তৈরির কারিগর এবং মহৎ গুণাবলি রোপণকারিনী। এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর ব্যবস্থাপনা মোটেই সহজ কাজ নয় (যেমনটি অনেক মায়েরা ভাবেন) বরং তিনি হলেন পৃথিবীর বুকে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এর কারণ হলো, মহৎ ব্যক্তি, আলিম-জ্ঞানী, মুজাহিদ (আল্লাহর পথে জিহাদকারী), দা‘ঈ (আল্লাহর পথে আহ্বানকারী) এবং সৎকর্মশীলদের কারও আবির্ভাব হত না, যদি না তার পিছনে প্রশিক্ষক জ্ঞানী মায়েরা না থাকতেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন