মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
মুসলিম নারী এবং সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য
লেখকঃ অধ্যাপক ড. ফালেহ ইবন মুহাম্মাদ আস-সুগাইর
৩
ভূমিকা
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/660/3
بسم الله الرحمن الرحيم
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, আমরা তাঁর প্রশংসা করি, তাঁর নিকট সাহায্য ও ক্ষমা প্রার্থনা করি, তাঁর নিকট তাওবা করি, আর আমাদের নফসের জন্য ক্ষতিকর এমন সকল খারাপি এবং আমাদের সকল প্রকার মন্দ আমল থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাই। আল্লাহ যাকে পথ প্রদর্শন করেন, তাকে পথভ্রষ্ট করার কেউ নেই, আর যাকে তিনি পথহারা করেন, তাকে পথ প্রদর্শনকারীও কেউ নেই। আর আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল।
﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱتَّقُواْ ٱللَّهَ حَقَّ تُقَاتِهِۦ وَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنتُم مُّسۡلِمُونَ ١٠٢﴾ [ سورة آل عمران : 102]
“হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে যথাযথভাবে ভয় কর এবং তোমরা আত্মসমর্পনকারী না হয়ে কোনো অবস্থাতেই মৃত্যুবরণ করো না।” [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১০২]
“হে মানব! তোমরা তোমাদের রবককে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে তার স্ত্রী সৃষ্টি করেন, আর যিনি তাদের দুইজন থেকে বহু নর-নারী ছড়িয়ে দিয়েছেন। আর আল্লাহকে ভয় কর, যাঁর নামে তোমরা একে অপরের নিকট নিজ নিজ হক দাবি করে থাক এবং আত্মীয়তার বন্ধন সম্পর্কে সতর্ক থাক। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের ওপর তীক্ষ্ন দৃষ্টি রাখেন।” [ সূরা আন-নিসা, আয়াত: ১]
“হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সঠিক কথা বল; তাহলে তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের কর্ম ত্রুটিমুক্ত করবেন এবং তোমাদের পাপ ক্ষমা করবেন। যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে, তারা অবশ্যই মহাসাফল্য অর্জন করবে।” [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ৭০-৭১]
অতঃপর...
নারীকে সমাজের অর্ধেক বলা হয়ে থাকে, আর নারী তিনি তো মাতা, স্ত্রী, কন্যা, বোন, নিকটাত্মীয়া...,আর তিনি তো লালনপালনকারিনী, শিক্ষিকা, শিশুদের পরিচর্যাকারিনী...। আর তিনি হলেন পুরুষদের জন্মদাত্রী, বীরপুরুষদের লালন-পালনকারিনী, মহিলাদের শিক্ষিকা ...। আবার তিনি হলেন নেতা, আলিম ও দাঈ তথা আল্লাহর পথে আহ্বানকারীদের গড়ে তোলার অন্যতমা কারিগর।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা তাকে আদম ‘আলাইহিস সালাম থেকে সৃষ্টি করেছেন। তিনি বলেন,
“হে মানব! তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে তার স্ত্রী সৃষ্টি করেন; আর যিনি তাদের দুইজন থেকে বহু নর-নারী ছড়িয়ে দিয়েছেন, আর আল্লাহকে ভয় কর, যাঁর নামে তোমরা একে অপরের নিকট নিজ নিজ হক দাবি করে থাক এবং আত্মীয়তার বন্ধন সম্পর্কে সতর্ক থাক। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের ওপর তীক্ষ্ন দৃষ্টি রাখেন।” [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ১]
আর সেখান থেকেই ইসলামী চিন্তবিদগণ নারীদের ব্যাপারটি নিশ্চিতভাবে আলোচনায় নিয়ে এসেছেন, যেভাবে আল-কুরআনুল কারীম সেটাকে গুরুত্ব দিয়ে নির্ধারণ করে দিয়েছে, একজন মা, বোন, স্ত্রী, কন্যা হিসেবে তার সাথে সংশ্লিষ্ট বিধিবিধানসমহ, সাথে সাথে বর্ণিত হয়েছে তার অধিকার এবং আবশ্যকীয় দায়িত্ব ও কর্তব্যসমূহ।
পরবর্তী যুগে নারীদের অন্যান্য দিকের আলোচনার ব্যাপক আকারে প্রসার লাভ করে, এমনি একটি দিক হচ্ছে, তার আকীদা-বিশ্বাস ও নীতি-নৈতিকতা বর্জনের ব্যাপার; আমরা শুনি ও পড়ি নারীকে তার প্রতিপালকের নির্দেশ ও তার ধর্মীয় শিক্ষাসমূহ থেকে মুক্ত করার দিকে স্পষ্ট আহ্বান সম্বলিত বক্তব্যগুলো। যার পরিপ্রেক্ষিতে নারীদের মধ্য থেকে অনেকেই ঐসব বিষয়কে স্বাধীনতা, প্রগতি, পশ্চাৎপশরতা থেকে বিমুক্তি, প্রাচীন রসম রেওয়াজ ও উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত পুরাতন জঞ্জাল, এ ধরনের বিভিন্ন ধুয়া তুলে আল্লাহর শরী‘আতকে প্রত্যাখ্যান করার মত দুঃসাহস দেখাতে আরম্ভ করে।
আর কোনো সন্দেহ নেই যে, এটা এমন একটি ভয়াবহ সমস্যা, যা জ্ঞানী ও চিন্তাবিদদের নিকট দাবি করে যে, তারা যেন এই বিষয়টির প্রতি মনোযোগ দেন এবং তার কারণ ও প্রভাব নিয়ে গবেষণা করেন, যার মাধ্যমে তারা এ ব্যাপারে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলার বিধান সুস্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করবেন, নারীর অধিকারসমূহ এবং তার দায়িত্ব ও কর্তব্যসমূহ সুস্পষ্ট করবেন, তার (নারীর) ব্যাপারে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গির ওপর যে অন্ধকারাচ্ছন্ন আবরণ পড়ে আছে, তা দূর করবেন; আল্লাহ নিঃস্বার্থভাবে তাকে যে বৈশিষ্ট্য ও সৌন্দর্য দান করেছেন, তা সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরবেন এবং ইসলামের শত্রুগণ তাকে ও তার সমাজকে নিয়ে যে ষড়যন্ত্রের জাল বা আবরণ বিস্তার করেছে ও তার সাথে তারা ইচ্ছায় অনিচ্ছায় যেসব সন্দেহ ও ত্রুটিপূর্ণ দর্শনকে সম্পৃক্ত করে দিয়েছে, তা উম্মোচন করবেন। আর এই কাজটি তাদের জন্য বাধ্যতামূলক, যাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা বর্ণনা, শিক্ষা ও দাওয়াতের দায়িত্ব প্রদান করেছেন।
আর এই সূত্র ধরেই এই কথাগুলো এসেছে, যাতে করে মুসলিম নারীর দায়িত্ব ও কর্তব্য, বিশেষ করে তার জ্ঞানগত, সামাজিক, প্রশিক্ষণগত ও দাওয়াতী দায়িত্বের সংক্ষিপ্ত বিবরণের একটি রূপরেখা পেশ করা যায়। সুতরাং এ কথাগুলো হে মুসলিম নারী তোমার প্রতি, যে তার ধর্মীয় বিষয় এবং দায়িত্ব ও কর্তব্যসমূহের ব্যাপারে সচেতন; আর সে নারীর প্রতি, যে জ্ঞান-বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে তার পথ উন্মুক্ত করল; সে দায়িত্ববান মায়ের প্রতি, যিনি জাতি বা প্রজন্মের শিক্ষক ও পুরুষজাতি গঠনের কারিগর, সে মমতাময়ী স্ত্রীর প্রতি! যে তার স্বামীর পাশে তাকে কল্যাণের পথে উৎসাহদানকারিনী, তার চলার পথে সাহায্যকারিনী এবং তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের পথে সে যে সমস্যার সম্মুখীন হয়, তার দায়িত্ব বহনকারিনীর ভূমিকায় অবস্থানকারী, সে দা‘ঈ বা আল্লাহর পথে আহ্বানকারিনীর প্রতি! যে নিজেকে এমন মহান পথের প্রতিনিধি নিয়োগ করেছে, যে পথ জান্নাত ও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে পৌঁছিয়ে দেয়; সে নারীর প্রতি যে এসব গুণাবলীর দ্বারা গুণান্বিতা; আমি এই গুণবাচক কথাগুলো বিশেষভাবে তোমাকে উদ্দেশ্য করে লিখছি; আশা করা যায় যে, তা পথ আলোকিত করবে, রাস্তা খোলাসা করবে, অন্ধকার দূর করবে, জ্ঞানকে বর্ধিত করবে, পরস্পরকে শক্তিশালী করবে এবং শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও দাওয়াতী কার্যক্রমের পথে কল্যাণকর ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে।
হে অভিভাবক! আপনাকে অনুরোধ করছি, যাতে আপনি দৃষ্টি দিতে পারেন আপনার স্ত্রী, বোন ও কন্যার দায়িত্ব ও কর্তব্যের প্রতি, যাতে আপনি তাকে এর জন্য প্রস্তুত করে নিতে পারেন, অতঃপর তার পৃষ্ঠপোষকতা করবেন এবং তার হাত ধরে এ কাজে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
অতঃপর আমি যে কথাগুলো বলতে চেয়েছি সেগুলোর দিকেই অগ্রসর হচ্ছি, আল্লাহ তা‘আলার নিকট আবেদন করছি, তিনি যেন এর মাধ্যমে উপকৃত করেন এবং এগুলোকে জীবদ্দশায় ও মৃত্যুর পরবর্তী সময়ের জন্য সঞ্চিত সম্পদে পরিণত করেন, তিনি সবকিছুর শ্রবণকারী এবং আবেদন ও নিবেদনে সাড়াদানকারী।
و صلى الله و سلم و بارك على عبده و رسوله محمد و آله و صحبه أجمعين .
(আল্লাহ তাঁর বান্দা ও রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, তার পরিবার-পরিজন ও সকল সাহাবীর প্রতি রহমত, শান্তি ও বরকত বর্ষণ করুন
লেখক:
ফালেহ ইবন মুহাম্মাদ আস-সুগাইর
অধ্যাপক, ইমাম মুহাম্মাদ ইবন সা‘উদ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, রিয়াদ
পোঃ বক্স: ৪১৯৬১, রিয়াদ, ১১৫৩১।
ই-মেইল: falehmalsgair@yahoo.com
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/660/3
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।