hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুসলিম নারী এবং সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য

লেখকঃ অধ্যাপক ড. ফালেহ ইবন মুহাম্মাদ আস-সুগাইর

২২
প্রথম অনুচ্ছেদ: নারী কর্তৃক নিজেকে ঐ দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত করা:
কোনো সন্দেহ নেই যে, এই দায়িত্বটি খুবই বড় ও মহান এবং গৌরবময় কাজ। ঐসব সৌভাগ্যবান নারীগণ ব্যতীত কেউ তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করে না এবং তা কাজে পরিণত করে না, যারা সুউচ্চ পাহাড়ের শীর্ষে পৌঁছার জন্য প্রতিযোগিতামূলক কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করেছে। আর এই মহান কাজটির পূর্বপ্রস্তুতির প্রয়োজন রয়েছে, আর এই প্রয়োজনসমূহের সারসংক্ষেপ নিম্নরূপ হতে পারে:

জ্ঞানগত প্রস্তুতি: এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো শর‘ঈ জ্ঞান, যে জ্ঞান লাভ প্রতিটি বিবেকবান সুস্থ মানুষের ওপর কর্তব্য, বিভিন্ন ধর্মীয় বিষয় যেমন, আকীদা-বিশ্বাস, ইবাদাত, লেনদেন ও চাল-চলন সম্পর্কে [নারীর জ্ঞানগত দায়িত্ব ও কর্তব্য এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট কিছু বিষয়ের বর্ণনা প্রসঙ্গে পূর্বে আলোচনা হয়েছে।]। সুতরাং নারীর ওপর কর্তব্য হচ্ছে, বিভিন্ন বিষয়ের ওপর একটা পরিপূর্ণ ধারণা রাখা; যেমন, আকীদা, ইবাদত, লেনদেন, নৈতিক চরিত্র, শিষ্টাচার, আচার-আচরণ, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সীরাত তথা জীবনবৃত্তান্ত এবং সৎ পূর্বপুরুষ তথা সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুম ও তাঁদের পরবর্তীদের জীবনী।

সামাজিক প্রস্তুতি: অর্থাৎ সে তার নিজের জন্য একটি ছোট্ট সমাজ প্রস্তুত করবে, তার মধ্য দিয়ে সে যথাযথভাবে দাওয়াতের কাজ আঞ্জাম দিতে সক্ষম হবে, আর এই কাজে তাকে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করবে তা হলো, বিয়ের সময় সে অবশ্যই একজন ভালো মানুষকে স্বামী হিসেবে মনোনীত করবে, যিনি তার মিশনকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তার জন্য একটি যথাযথ পরিবেশ সৃষ্টি করবে; আর নারীর উচিৎ নিজেকে প্রতিটি উৎকৃষ্ট ময়দানে নিয়োজিত করার কাজে ন্যস্ত করবে এবং এই কাজে নিজেকে অভ্যস্ত করবে, যেমন, নসিহত বা উপদেশ দান, দিকনির্দেশনা প্রদান, বক্তব্য প্রদান এবং আলোচনা পেশ করতে অভ্যস্ত হওয়া; আর উত্তম হয় যদি এর ওপর সে তার ছোটকাল থেকে অভ্যাস গড়ে তুলে; বিশেষ করে ছাত্রী জীবনের প্রথম থেকে সে তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে, এতে করে সে অত্যন্ত মহৎ ও উৎকৃষ্টভাবে তার ভূমিকা পেশ করতে পারবে। আর সে সামাজিক পরিবেশ ও নারী সমাজের অভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে পড়বে।

মানসিক প্রস্তুতি: আর এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, সে তার নিজের মন-মানসকে গঠন করবে, যাতে এই ময়দানে প্রবেশ করার জন্য শক্তিশালী প্রস্তুতি তার থাকে। যে এ ময়দানে প্রবেশ করবে পূর্ণ নির্ভরযোগ্যতা, স্থিরতা, দৃঢ় সিদ্ধান্ত এবং কোনো প্রকার দ্বিধাদ্বন্দ্ব ও দুর্বলতা ছাড়াই সাহসিকতাসহ। সে ব্যক্তিগত সংঘাত, ঠাট্টা-বিদ্রূপ ও উপহাসের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত থাকবে, যা কখনও কখনও তার সাথে সাক্ষাতকারিনী অথবা পাপাচারিণী অথবা চিন্তায় বা কখনও কখনও ধর্মীয়ভাবে তার বিরোধিতাকারিনীর পক্ষ থেকে সে শুনতে পাবে। আর এই ব্যাপারে তাকে যেসব বিষয় সহযোগিতা করবে, তা হলো আল্লাহ তা‘আলার প্রতি মজবুত ঈমান, এই মিশন পালনের ক্ষেত্রে তার প্রতি ইখলাস তথা একনিষ্ঠতা। এর বিনিময়ে দুনিয়ার সুনাম কুড়ানো অথবা প্রদর্শনেচ্ছা অথবা দুনিয়াবী কোনো ক্ষেত্রে উন্নতি চাওয়ার মত কোনো জিনিস না চাওয়া। আর ইখলাসের সাথে সাথে তার কাছে থাকবে এই দীনকে নিয়ে আত্মমর্যাদাবোধ। আল-কুরআনের ভাষায়:

﴿وَلِلَّهِ ٱلۡعِزَّةُ وَلِرَسُولِهِۦ وَلِلۡمُؤۡمِنِينَ وَلَٰكِنَّ ٱلۡمُنَٰفِقِينَ لَا يَعۡلَمُونَ ٨﴾ [ سُورَةُ المُنَافِقُونَ : 8[

“কিন্তু শক্তি তো আল্লাহরই, আর তাঁর রাসূল ও মুমিনদের। তবে মুনাফিকগণ তা জানে না।” [সূরা আল-মুনাফিকুন, আয়াত: ৮]

আর অনুরূপভাবে সত্যের ব্যাপারে সাহসিকতার পরিচয় দেওয়া; দুর্বলতা, দ্বিধাদ্বন্দ্ব ও অলসতার পরিচয় না দেওয়া এবং আন্দাজ-অনুমান ও সন্দেহ-সংশয় পুঞ্জিভূত না করা। আর (দাওয়াত) গ্রহণ না করার এবং শয়তানের ধোঁকার আশঙ্কা না করা। সুতরাং সে কামনা করবে যে, সে তার নিকটস্থ সত্যের ব্যাপারে হবে আপোষহীন নারী, আর এই কারণেই সে জেনে রাখবে যে, এই পথে প্রতিবন্ধকতা থাকাটা খুবই স্বাভাবিক। কেননা তার আদর্শ হলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম; তিনি এই পথে অনেক কষ্ট, ক্লান্তি, উপেক্ষা ও প্রতিবন্ধকতার শিকার হয়েছেন এবং তিনি ও তাঁর সাহাবীগণ শাস্তির সম্মুখীন হয়েছেন। আর এত সব সত্ত্বেও তিনি এসব প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করেছেন, শেষ পর্যন্ত জনগণ আল্লাহর দীনের মধ্যে দলে দলে শামিল হয়েছে, আল্লাহ তাঁর জন্য দীনকে পরিপূর্ণ করে দিলেন এবং তাঁর ওপর নি‘আমতের ষোলকলা পূর্ণ করলেন।

পরিকল্পনাগত এবং দাওয়াতের লক্ষ্য ও পদ্ধতির পরিচয়গত প্রস্তুতি: ইসলামী দাওয়াত হলো জানা ও মানার সমন্বয়ে একটি আন্তর্জাতিক দাওয়াতী কাজ, যা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন হলো তার প্রকৃতরূপ, উপায়-উপকরণ ও লক্ষ্য-উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানা। আর নারী কর্তৃক এই দাওয়াতী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আবশ্যক হলো, তা সুস্পষ্ট পরিকল্পনা ও নীতিমালার আলোকে পরিচালিত হবে; সে নিজের জন্য তার একটা পরিকল্পনা গ্রহণ করবে অথবা এই কাজে তার সহযোগীর সাথে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করবে। সুতরাং সে কাকে দাওয়াত দিতে চায়? এবং তার নিকটবর্তী ও দূরবর্তী লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসমূহ কী? আর এই লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য সফল পদ্ধতিসমূহ কী কী? নারীর জন্য আবশ্যক হলো (দাওয়াতের) ময়দানে প্রবেশের পূর্বে নিজেকে এসব সম্পূর্ণ প্রস্তুত করে নেয়া, যাতে সে ব্যর্থ না হয়; নতুবা তার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। ফলে সে তার দায়িত্ব পালন থেকে বসে পড়বে, আর এর ওপর ভিত্তি করে তার প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজন হলো:

তার দাওয়াতী পথের জন্য একটি পরিকল্পনা চিত্রায়ন করা: দূরবর্তী লক্ষ্যের পরিকল্পনা এবং নিকটবর্তী লক্ষ্যের পরিকল্পনা।

অনুরূপভাবে দাওয়াতী কাজের জন্য সহজলভ্য উপায়-উপকরণের প্রতি নজর দেওয়া, যা নারী সহজে ব্যবহার করতে পারে। কারণ, উপায়-উপকরণের বেলায় কিছু আছে পুরুষের পক্ষে ব্যবহার করা সহজ, যা নারীর জন্য সহজ নয়। আবার কিছু আছে নারীর পক্ষে ব্যবহার করা সহজ, যা পুরুষের জন্য সহজ নয়।

দাওয়াত দেওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে জানা, যার মাধ্যমে সে তার দাওয়াতী দায়িত্ব পালন করবে এবং তা জনগণের নিকট প্রচার করবে।

প্রতিবন্ধকতাসমূহের ব্যাপারে জ্ঞান রাখা, যা তার সামনে আসতে পারে, যাতে সে এর সাহায্য নিয়ে প্রতিবন্ধকতার সময় তা অতিক্রম করতে পারে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন