hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুসলিম নারী এবং সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য

লেখকঃ অধ্যাপক ড. ফালেহ ইবন মুহাম্মাদ আস-সুগাইর

২৮
সপ্তম অনুচ্ছেদ: দায়িত্ব পালনের সহযোগী উপায়-উপকরণ:
আর আমরা এই নগণ্য আলোচনাটির প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে উপনীত হয়েছি, এখন আমি সামগ্রিকভাবে এমন উপায়-উপকরণ বা উপাদানের উল্লেখ করব, যা একজন মহিলা দা‘ঈকে যথাযথভাবে শর‘ঈ নির্দেশনার ভিত্তিতেই তার দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে সহযোগিতা করবে; যেমন,

আমল বা কর্মকাণ্ডের ইখলাস তথা একনিষ্ঠতাকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলার জন্য নির্দিষ্ট করা এবং এই ইখলাস তথা একনিষ্ঠতাকে সংস্কার করা, আর এর ওপর প্রতিষ্ঠিত রাখার জন্য আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলার নিকট প্রার্থনা করা; কারণ, তা হলো প্রত্যেক সফলতার মূল এবং প্রত্যেক কামিয়াবীর পরিচালক, আর তা হলো সকল আমল বা কর্মকাণ্ডের নির্ভেজাল উৎস এবং আল্লাহ তা‘আলার নিকট গ্রহণযোগ্য হওয়ার মূলভিত্তি, আর এই ব্যাপারে কিছু বর্ণনা পূর্বে অতিবাহিত হয়েছে।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলার নিকট নিয়মিত দো‘আ বা প্রার্থনা করা, যাতে তিনি এই নারীকে তার ঐ পথে টিকে থাকার তাওফীক দান করেন, যে পথের পথিক সে হয়েছে এবং আরও তাওফীক দান করেন, যাতে সে তার নিজের, তার ঘরের, তার সমাজের ও তার জাতির সাথে সম্পৃক্ত তার দায়িত্ব ও কর্তব্য যথাযথভাবে পালন করতে পারে; আর সে এই দো‘আ বা প্রার্থনা করার ব্যাপারে কখনও গাফেল হবে না; বরং সে এ ব্যাপারে বারবার দো‘আ করতে থাকবে। কারণ, যখনই কোনো বান্দা তার প্রতিপালকের নিকট এভাবে দো‘আ করে তখনই তা প্রাপ্ত হওয়া ও কবুল হওয়ার বেশি উপযোগী। আর এই অধ্যায়ে কুরআন ও হাদীসের এমন অনেক বক্তব্য রয়েছে, যা গণনার বাইরে। [দ্রষ্টব্য: আমার তাহকীক করা হাফেয আবদুল গনী আল-মাকদেসী’র লিখিত গ্রন্থ, ‘আত-তারগীব ফীদ দো‘আ’। তা ইনশাআল্লাহ যথেষ্ট হবে।]

ইবাদতগত এমন কিছু কর্মসূচী গ্রহণ করা, যার মাধ্যমে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলার সাথে সম্পর্ক শক্তিশালী হবে। যেমন, সে তার জন্য মুস্তাহাব তথা নফল সালাতের একটা অংশ বরাদ্ধ করবে; অনুরূপভাবে সাওম, দান-সাদকা, কুরআন তিলাওয়াত, যিকির-আযকার, পিতা-মাতার আনুগত্য করা, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা ইত্যাদি। সুতরাং এটা মহান সঞ্চয়, যা একজন বিজ্ঞ মহিলা দা‘ঈ তার এই জীবন চলার পথের পাথেয় হিসেবে বহন করবে।

তার এমন আকাঙ্খা থাকা যে, তার নির্ভেজাল আমলসমূহ থেকে এমন কিছু আমল থাকবে, যার ব্যাপারে এক আল্লাহ ব্যতীত অপর কেউ অবগত নয়, যদিও সে নিকটবর্তীর চেয়েও আরও নিকটবর্তী হউক। যেমন, স্বামী অথবা পিতা-মাতা অথবা সন্তান অথবা অনুরূপ অন্য কেউ, যাতে তা ইখলাস তথা একনিষ্ঠতার ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ প্রমাণ, অন্তরের নির্মলতার জন্য শ্রেষ্ঠ দলীল এবং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলার সাথে সম্পর্কের ব্যাপারে সবচেয়ে শক্তিশালী প্রমাণ হতে পারে।

তার নিজের আত্মিক উন্নতি ও অগ্রগতির ব্যাপারে সদা সচেতন থাকা। সুতরাং সে এমন কোনো একটা নির্দিষ্ট সীমায় দাঁড়িয়ে থেকে মনে করবে না যে সে কামিল বা পূর্ণতা লাভ করেছে। আর এটা হলো শয়তান অনুপ্রবেশের প্রশস্ত দরজা, ফলে সে তার আমলসমূহ বিনষ্ট করবে এবং তার হৃদয়কে রোগগ্রস্থ করে দেবে।

কাজ ও সময়কে ভাগ করে একটি কার্যকরী কর্মসূচী বা রুটিন তৈরি করা এবং তার যথাযথ অনুসরণ করা, যদিও তা পুরাপুরিভাবে শৃঙ্খলা ও নিয়মের মধ্যে আবদ্ধ করা যাবে না; কিন্তু পুরাপুরিভাবে আয়ত্ব করা না গেলেও, পুরাপুরি পরিত্যক্ত হবে না। আর অল্প অল্প করেই অধিক হয়। যেমন, ফজরের পরে কিছু সময় কুরআন অধ্যয়ন ও যিকির-আযকারের জন্য নির্দিষ্ট করা, আর দুপর বেলায় যদি সে কাজ করে, তবে সে সময়টি তার কাজের জন্য বরাদ্ধ করা এবং সে সময়ে সে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করবে, আর যদি ঐ সময়ে সে কাজ না করে, তবে সে ঐ সময়টিকে তার ঘর-গৃহস্থালির কাজ ও বিভিন্ন বিষয়ে অধ্যয়নের জন্য নির্দিষ্ট করবে; আর যোহরের পর: হালকা কর্মকাণ্ডের জন্য, যেমন, কিছুটা বিশ্রাম নেয়ার সাথে সাথে প্রবন্ধ লেখা অথবা পিতা-মাতা ও সন্তানের সাথে আলাপ করা এবং অনুরূপ অন্য কিছু একটা করা। আর আসরের পর: অধ্যয়নকৃত বিষয় পুনরায় দেখা, আলোচনা প্রস্তুত করা, গবেষণা ও গভীরভাবে অধ্যয়ন করা। আর মাগরিবের পর: এই সময়টি বরাদ্ধ হবে কিছু কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য, যেমন, বক্তৃতা বা আলোচনা পেশ করা অথবা সন্তানদের সাথে সম্মিলন করা এবং তাদের সাথে কিছু কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা অথবা তাদের পাঠ পর্যালোচনা করা। আর এশার পর: বাকি কাজগুলো সেরে নেওয়া এবং ঘুমানোর প্রস্তুতি নেওয়া... ইত্যদি। আর সবকিছুই তার হিসাব অনুযায়ী হবে, হবে তার সময়, স্থান ও মেজায অনুযায়ী।

এমন সৎকর্মশীল নারীদের সাথে উঠাবসা করা, যারা তাকে স্মরণ করিয়ে দেবে, যখন সে ভুলে যাবে, তাকে শিক্ষা দেবে, সে যা জানবে না এবং স্মরণ হওয়া বিষয়ে তারা তাকে সহযোগিতা করবে। সুতরাং সে তাদের নিকট থেকে শুধু ভালো কথাই শুনবে অথবা প্রসিদ্ধ সৎকর্মশীল নারীর ব্যাপারে শুনবে অথবা উপকারী গল্প শুনবে অথবা উপকারী ইলম তথা জ্ঞানের কথা শুনবে। সুতরাং ভালো বন্ধুর একটা ভালো প্রভাব রয়েছে।

সময়ে সময়ে নিজকে নিজে তথা আত্মসমালোচনা করা, চাই তা সাপ্তাহিক হউক অথবা মাসিক অথবা বার্ষিক হউক।

তার নারীগৃহে যোগদান করা অথবা ভালো দিক-নির্দেশনাসম্পন্না নারীদের সাথে মিলিত হওয়া; কারণ, পরস্পরিক সহযোগিতা প্রেরণা ও উৎসাহ যোগায় এবং শয়তানকে তাড়িয়ে দেয়, আর আল্লাহর অনুমতিক্রমে অধিক ফল ও উৎকৃষ্ট লাভ বয়ে আনার ক্ষেত্রে সহযোগী। আর তার কর্মকাণ্ড সব সময় এককভাবে হবে না, এমন হলে সে বিরক্ত ও ক্লান্ত হয়ে পড়বে; কিন্তু পারস্পরিক সহযোগিতার দ্বারা মানুষ আল্লাহর অনুমোদনক্রমে কল্যাণজনক অবস্থায় পৌঁছাতে পারে।

নারী তার সর্বশক্তি ও অনুদান বিনিয়োগ করবে দাওয়াতের ক্ষেত্রে। অতঃপর সে লক্ষ্য করবে তার শক্তি-সামর্থ্য ও বিষয়ভিত্তিক দক্ষতার দিকে, অতঃপর সে উভয়টিকে নিয়ে নিকটতম ও দূরতম সমাজে তার দাওয়াতী তৎপরতা চালু করবে। উদাহরণস্বরূপঃ বিভিন্ন শ্রেণির লেখালেখি, বক্তৃতা প্রদান, সেমিনার পরিচালনা, নারী কল্যাণ সমিতি পরিচালনা, বিদ্যালয় পরিচালনা, দাওয়াতী কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা, নারীদেরকে প্রাণবন্তকরণের ব্যবস্থা করা ... ইত্যাদি।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন