মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
মুসলিম নারী এবং সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য
লেখকঃ অধ্যাপক ড. ফালেহ ইবন মুহাম্মাদ আস-সুগাইর
১৫
২. ঐসব দায়িত্ব ও কর্তব্যের বিস্তারিত বিবরণ:
(ক) আদর্শ স্ত্রী হিসেবে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য:
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/660/15
আর এই কর্তব্যের মূল হলো স্বামীর প্রতি তার দায়িত্ব। তার ওপর তার স্বামীর অধিকার অনেক বড়, যা তার পিতা-মাতার অধিকারের চেয়েও বেশি। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলার অধিকারের (হকের) পরেই তার অধিকারের শ্রেষ্ঠত্বের অবস্থান। আর এই অধিকারের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে এসেছে আল্লাহ তা‘আলার বাণী:
“পুরুষ নারীর কর্তা, কারণ আল্লাহ তাদের এককে অপরের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন...” [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৩৪] সুতরাং সে তার (স্ত্রীর) ব্যাপারে দায়বদ্ধ ও তার পরিচালক এবং তার সকল বিষয়ের তত্ত্বাবধায়ক। আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«لا يصلح لبشر ان يسجد لبشر ولو صلح لبشر ان يسجد لبشر لأمرت المرأة ان تسجد لزوجها من عظم حقه عليها » .
“কোন মানুষের জন্য কোনো মানুষকে সাজদাহ করা সঠিক নয়; আর কোনো মানুষের জন্য কোনো মানুষকে সাজদাহ করা যদি সঠিক হত, তবে আমি নারীকে নির্দেশ দিতাম তার স্বামীকে সাজদাহ করার জন্য। কেননা তার ওপর তার স্বামীর বিরাট অধিকার (হক) রয়েছে।” [আহমদ, মুসানাদ, অধ্যায়: মুসনাদুল মুকছিরীন মিনাস সাহাবা ( مسند المكثرين من الصحابة ), পরিচ্ছেদ: মুসনাদে আনাস ইবন মালেক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু ( مسند أنس ابن مالك رضي الله عنه ), হাদীস নং ১২৬৩৫।]
উম্মে সালমা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«أيما امرأة ماتت وزوجها عنها راض دخلت الجنة» .
“নারীদের যে কেউ মারা যাবে এমতাবস্থায় যে তার স্বামী তার ওপর সন্তুষ্ট, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।” [তিরমিযী, অধ্যায়: দুগ্ধপান ( كتاب الرضاع ), পরিচ্ছেদ: স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকারের ব্যাপারে যা এসেছে ( باب ما جاء في حق الزوج على المرأة ), বাব নং ১০, হাদীস নং ১১৬১; ইবন মাজাহ, অধ্যায়: বিবাহ ( كتاب النكاح ),পরিচ্ছেদ: স্ত্রীর ওপর স্বামীর অধিকার ( باب حق الزوج على المرأة ), বাব নং ৪, হাদীস নং ১৪৫৪। ইমাম তিরমিযী রহ. বলেন, এই হাদীসটি হাসান, গরীব।]
আর এই হক বা অধিকারের বিবরণ হচ্ছে:
- আল্লাহ তা‘আলার অবাধ্যতা নেই এমন সকল কাজে সাধারণভাবে তার আনুগত্য করা। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إذا صلت المرأة خمسها وصامت شهرها وحفظت فرجها وأطاعت زوجها قيل لها : أدخلي الجنة من أي أبواب الجنة شئت» .
“যখন নারী তার পাঁচ ওয়াক্তের সালাত আদায় করবে; তার (রমযান) মাসের সাওম পালন করবে; তার লজ্জাস্থানের হিফাযত করবে এবং তার স্বামীর আনুগত্য করবে, তখন তাকে বলা হবে: তুমি জান্নাতের যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা কর, সে দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবশে কর।” [আহমদ, মুসানাদ, অধ্যায়: মুসনাদুল ‘আশরাতিল মুবাশশিরীনা বিল জান্নাহ ( مسند العشرة المبشرين بالجنة ), পরিচ্ছেদ: আবদুর রহমান ইবন ‘আউফ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বর্ণিত হাদীস ( حديث عبد الرحمن بن عوف الزهري رضي الله عنه ), হাদীস নং ১৬৬১।]
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«قيل لرسول الله صلى الله عليه و سلم أي النساء خير قال : التي تسره إذا نظر وتطيعه إذا أمر ولا تخالفه في نفسها ومالها بما يكره»
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করা হলো: কোনো নারী সবচেয়ে উত্তম? জবাবে তিনি বললেন: ঐ নারীই উত্তম, যে নারী তার স্বামীকে আনন্দ দেয় যখন সে তার দিকে তাকায়, তার আনুগত্য করে, যখন সে নির্দেশ দেয় এবং তার নিজের ও সম্পদের ব্যাপারে সে যা অপছন্দ করে তার বিরুদ্ধাচরণ করে না।” [নাসায়ী, বিবাহ অধ্যায় ( كتاب النكاح ), পরিচ্ছেদ: কোনো নারী সবচেয়ে উত্তম? ( أي النساء خير ), বাব নং ১৫, হাদীস নং ৫৩৪৩।]
- তার সাথে উত্তম আচরণ করা এবং তার কষ্ট লাঘব করা; আর এর ওপরই নির্ভর করে তাকে সন্তুষ্ট করা এবং তার ব্যক্তিত্বকে রক্ষা করা। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
« لا تؤذي امرأة زوجها في الدنيا إلا قالت زوجته من الحور العين لا تؤذيه قاتلك الله فإنما هو عندك دخيل يوشك أن يفارقك إلينا»
“দুনিয়াতে কোনো স্ত্রী তার স্বামীকে কষ্ট দিলেই তার ডাগড় চক্ষুবিশিষ্ট হুরী স্ত্রী বলে উঠে: তুমি তাকে কষ্ট দেবে না। আল্লাহ তোকে ধ্বংস করুক! কারণ, সে তোর নিকট আগন্তুক, অচিরেই সে তোকে ছেড়ে আমাদের নিকট চলে আসবে।” [তিরমিযী, অধ্যায়: দুগ্ধপান ( كتاب الرضاع ), পরিচ্ছেদ: ... ( باب ...), বাব নং ১৯, হাদীস নং ১১৭৪; ইবন মাজাহ, অধ্যায়: বিবাহ ( كتاب النكاح ),পরিচ্ছেদ: যে স্ত্রী তার স্বামীকে কষ্ট দেয়, তার প্রসঙ্গে ( باب في المرأة تؤذي زوجه ), বাব নং ৬২, হাদীস নং ২০১৪। ইমাম তিরমিযী রহ. বলেন, এই হাদীসটি হাসান, গরীব। আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।]
- তাকে ভালোবাসা এবং তার বন্ধুর মতো হওয়া যে, সে তাকে দেখে হাসবে এবং তাকে সম্বোধন করার ক্ষেত্রে নম্রতা প্রদর্শন করবে। আর আল্লাহ তা‘আলা জান্নাতের নারীদের প্রশংসা করেছেন এইভাবে:
“সোহাগিনী ও সমবয়স্কা।” [সূরা আল-ওয়াকিয়া, আয়াত: ৩৭] العروب মানে- তার স্বামীর নিকট সে সোহাগিনী।
- সে তার (স্বামীর) অনুপস্থিতিতে নিজেকে ও তার ধন-সম্পদকে রক্ষণাবেক্ষণ করবে। এই ব্যাপারে পূর্বে আলোচনা হয়েছে।
- সে তার স্বামীর উপস্থিতিতে তার অনুমতি ব্যতীত নফল সাওম (রোযা) পালন করবে না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«لا يحل للمرأة أن تصوم وزوجها شاهد إلا بأذنه ولا تأذن في بيته إلا بأذنه ... » .
“স্বামীর উপস্থিতিতে তার অনুমতি ব্যতীত স্ত্রীর জন্য সাওম (নফল রোযা) পালন করা বৈধ নয়, আর স্বামীর অনুমতি ছাড়া অন্য কাউকে তার গৃহে প্রবেশ করতে দেবে না ...।” [সহীহ বুখারী, অধ্যায়: বিবাহ ( كتاب النكاح ), পরিচ্ছেদ: স্ত্রী কর্তৃক তার ঘরে স্বামীর অনুমতি ব্যতীত কাউকে প্রবেশের অনুমতি না দেওয়া প্রসঙ্গে ( باب لا تأذن المرأة في بيتها لأحد إلا بإذنه .), বাব নং ৮৬, হাদীস নং ৪৮৯৯; সহীহ মুসলিম, অধ্যায়: যাকাত ( الزكاة ), পরিচ্ছেদ: গোলাম তার মনিবের মাল থেকে যা দান করবে, সে প্রসঙ্গে ( باب مَا أَنْفَقَ الْعَبْدُ مِنْ مَالِ مَوْلاَهُ ), বাব নং ২৭, হাদীস নং ২৪১৭।]
- স্ত্রী কর্তৃক তার স্বামীর ঘরকে সংরক্ষিত রাখা। সুতরাং সে তার ঘরে কোনো অপরিচিত পুরুষ অথবা এমন কোনো ব্যক্তির অনুপ্রবেশ ঘটাবে না, যার অনুপ্রবেশকে তার স্বামী অপছন্দ করে, যদিও সেই ব্যক্তিটি তার ভাই হয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«ألا إن لكم على نسائكم حقا ولنسائكم عليكم حقا فأما حقكم على نسائكم فلا يطئن فراشكم من تكرهون ولا يأذن في بيوتكم لمن تكرهون ألا وحقهن عليكم أن تحسنوا إليهن في كسوتهن وطعامهن»
“জেনে রাখ! তোমাদের স্ত্রীদের ওপর তোমাদের যেমন অধিকার রয়েছে, অনুরূপভাবে তোমাদের ওপরও তোমাদের স্ত্রীদের অধিকার রয়েছে। সুতরাং তোমাদের স্ত্রীদের ওপর তোমাদের অধিকার হলো, তারা যেন তোমাদের বিছানায় এমন কাউকে যেতে না দেয়, যাকে তোমরা অপছন্দ কর এবং তারা যেন তোমাদের ঘরের মধ্যে এমন কাউকে অনুমতি না দেয়, যাকে তোমরা অপছন্দ কর। আরও জেনে রাখ! তোমাদের ওপর তাদের অধিকার হলো, তোমরা তাদের বস্ত্র ও অন্যের ব্যাপারে তাদের প্রতি উত্তম ব্যবহার করবে।” [তিরমিযী, অধ্যায়: দুগ্ধপান ( كتاب الرضاع ), পরিচ্ছেদ: স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকারের ব্যাপারে যা এসেছে ( باب ما جاء في حق الزوج على المرأة ), বাব নং ১০, হাদীস নং ১১৬১; ইবন মাজাহ, অধ্যায়: বিবাহ ( كتاب النكاح ),পরিচ্ছেদ: স্ত্রীর ওপর স্বামীর অধিকার ( باب حق الزوج على المرأة ), বাব নং ৪, হাদীস নং ১৪৫৪; ইমাম তিরমিযী র. বলেন, এই হাদীসটি হাসান, গরীব।]
- সে তার ওপর অন্ন ও বস্ত্রসহ এমন ব্যয়ের বোঝা চাপিয়ে দেবে না, যার সামর্থ্য তার নেই। কারণ, আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“বিত্তবান নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী ব্যয় করবে এবং যার জীবনোপকরণ সীমিত, সে আল্লাহ যা দান করেছেন তা থেকে ব্যয় করবে।” [সূরা আত-তালাক, আয়াত: ৭]
- বিশেষ প্রয়োজনের মুহূর্তে তার চাহিদা পূরণ করা এবং কোনো নির্ভরযোগ্য কারণ ছাড়া তাকে নিষেধ না করা। বিশুদ্ধ হাদীসের মধ্যে এসেছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إذا دعا الرجل امرأته إلى فراشه فأبت أن تجيء لعنتها الملائكة حتى تصبح »
“যখন কোনো পুরুষ তার স্ত্রীকে তার সাথে একই বিছানায় শোয়ার জন্য আহ্বান করে, আর তার স্ত্রী সেই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে, তবে সকাল পর্যন্ত ফিরিশতারা ঐ মহিলার ওপর লা‘নত (অভিশাপ) বর্ষণ করতে থাকে।” [সহীহ বুখারী, অধ্যায়: বিবাহ ( كتاب النكاح ), পরিচ্ছেদ: যদি কোনো মহিলা তার স্বামীর বিছানা বাদ দিয়ে আলাদা বিছানায় রাত কাটায় ( باب إذا باتت المرأة مهاجرة فراش زوجها ), বাব নং ৮৫, হাদীস নং ৪৮৯৭; সহীহ মুসলিম, অধ্যায়: বিবাহ ( النكاح ), পরিচ্ছেদ: স্ত্রী কর্তৃক স্বামীর বিছানায় যেতে বারণ করা হারাম ( باب تَحْرِيمِ امْتِنَاعِهَا مِنْ فِرَاشِ زَوْجِهَا ), বাব নং ২০, হাদীস নং ৩৬১১।]
- স্বামীর জন্য সাজগোছ করা, যাতে নিজের প্রতি তাকে আকৃষ্ট করা যায়। এর ফলে স্বামী তার দৃষ্টিকে অবনমিত রাখবে এবং তাকে হারামের মধ্যে ছেড়ে দেবে না। স্ত্রীর তাই উচিৎ নিজেকে এমন বস্তুর দ্বারা সুসজ্জিত করার চেষ্টা করা, যাতে স্বামী আকৃষ্ট হয়; ফলে তার চোখ সুন্দরের প্রতি পড়বে এবং তার নাক দ্বারা সে সুন্দর ঘ্রাণই পাবে; যেমনিভাবে সে তাকে কোমল কথা ও উত্তম বক্তব্য ব্যতীত অন্য কোনো মন্দ কথা শুনাবে না।
- তার অনুগ্রহের স্বীকৃতি প্রদান এবং তার নি‘আমতের অকৃতজ্ঞ না হওয়া, আর তার ভালো আচরণকে অস্বীকার করবে না। বিশেষ করে যখন সে তার কাছ থেকে ব্যয় ও দানশীলতার মানসিকতা লক্ষ্য করবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
“তোমরা সাদকা কর। কারণ, তোমাদের অধিকাংশ হবে জাহান্নামের ইন্ধন। অতঃপর মহিলাদের মধ্য থেকে একজন মহিলা দাঁড়াল, যার উভয় গালে কাল দাগ ছিল; সে বলল: হে আল্লাহর রাসূল! তা কেন? তিনি বললেন: তোমরা বেশি অভিযোগ করে থাক এবং উপকারকারীর উপকার অস্বীকার কর।” [সহীহ মুসলিম, অধ্যায়: দুই ঈদের সালাত ( صلاة العيدين ), হাদীস নং ২০৮৫।] অপর এক হাদীসে আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
“তুমি যদি দীর্ঘকাল তাদের কারও প্রতি ইহসান করতে থাক, অতঃপর সে তোমার সামান্য অবহেলা দেখলেই বলে, ‘আমি কখনও তোমার কাছ থেকে ভালো ব্যবহার পাই নি’।” [সহীহ বুখারী, অধ্যায়: ঈমান ( كتاب الإيمان ), পরিচ্ছেদ: স্বামীর প্রতি অকৃতজ্ঞতা এবং এক কুফুর অন্য কুফুর থেকে ছোট ( باب كفران العشير وكفر دون كفر ), বাব নং ১৯, হাদীস নং ২৯; সহীহ মুসলিম, অধ্যায়: কুসূফ ( الكسوف ), পরিচ্ছেদ: সালাতুল কুসূফের মধ্যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট জান্নাত ও জাহান্নামের বিষয় থেকে যা কিছু পেশ করা হয় ( باب مَا عُرِضَ عَلَى النَّبِىِّ صلى الله عليه وسلم فِى صَلاَةِ الْكُسُوفِ مِنْ أَمْرِ الْجَنَّةِ وَالنَّارِ ), বাব নং ৩, হাদীস নং ২১৪৭।]
- স্বামীর অনুমতি ব্যতীত তার ঘর থেকে বের না হওয়া, যদিও পিতা-মাতার সাথে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে বের হোক না কেন। আর এই ব্যাপারে অনেক হাদীস রয়েছে।
- খাওয়া-দাওয়া, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইত্যাদির মত স্বামীর ঘর-গৃহস্থালির কাজসমূহ সে সম্পাদন করবে। অনুরূপভাবে তার স্বামীর বিশেষ কাজগুলো সম্পাদন করবে; যেমন, তার পোষাক-পরিচ্ছদ প্রস্তুত করা ও তা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে দেওয়া; তার খাবার প্রস্তুত করা ইত্যাদি। ইমাম বুখারী ও মুসলিম রহ. আসমা বিনতে আবি বকর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা’র হাদীস থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,
«تزوجني الزبير وما له في الأرض من مال ولا مملوك ولا شي غير ناضح وغير فرسه فكنت أعلف فرسه وأستقي الماء وأخرز غربه وأعجن ... » .
“যখন যুবায়ের রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু আমাকে বিয়ে করলেন, তখন তার কাছে কোনো ধন-সম্পদ ছিল না, এমনকি কোনো স্থাবর জমি-জমা, দাস-দাসীও ছিল না, শুধু কুয়ো থেকে পানি উত্তোলনকারী একটি উট ও একটি ঘোড়া ছিল। আমি তাঁর উট ও ঘোড়া চরাতাম, পানি পান করাতাম এবং পানি উত্তোলনকারী মশক ছিঁড়ে গেলে সেলাই করতাম, আটা পিষতাম; ...।” [সহীহ বুখারী, অধ্যায়: বিবাহ ( كتاب النكاح ), পরিচ্ছেদ: আত্মমর্যাদাবোধ ( باب الغيرة ), বাব নং ১০৬, হাদীস নং ৪৯২৬; মুসলিম, অধ্যায়: সালাম ( السلام ), পরিচ্ছেদ: অপরিচিত নারী পথ-শ্রান্ত হলে তাকে আরোহণে সঙ্গী করার বৈধতা ( باب جَوَازِ إِرْدَافِ الْمَرْأَةِ الأَجْنَبِيَّةِ إِذَا أَعْيَتْ فِى الطَّرِيقِِ ), বাব নং ১৪, হাদীস নং ৫৮২১]
আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কন্য ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা গম পেষার চাক্কি ঘুরানোর কারণে ফোস্কা পড়া হাত নিয়ে তার কষ্টের কথা ব্যক্ত করলেন এবং একজন খাদেম দাবি করলেন, যে এসব কাজে তাঁকে সহযোগিতা করবে, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীয় কন্যাকে উদ্দেশ্য করে বললেন:
«ألا أدلكما على ما هو خير لكما من خادم ؟ إذا أويتما إلى فراشكما أو أخذتما مضاجعكما فكبرا ثلاثا وثلاثين وسبحا ثلاثا وثلاثين واحمدا ثلاثا وثلاثين فهذا خير لكما من خادم»
“আমি তোমাদেরকে এমন একটি আমলের কথা বলে দেবনা, যা তোমাদের জন্য একটি খাদেমের চেয়েও অনেক বেশি উত্তম? যখন তোমরা শয্যা গ্রহণ করতে যাবে, তখন তোমরা “আল্লাহু আকবার” তেত্রিশ বার, “সুবহানাল্লাহ” তেত্রিশ বার এবং “আলহামদু লিল্লাহ” তেত্রিশ বার পড়বে। এটা তোমাদের জন্য একটি খাদেমের চেয়েও অনেক বেশি উত্তম।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/660/15
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।