hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুসলিম নারী এবং সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য

লেখকঃ অধ্যাপক ড. ফালেহ ইবন মুহাম্মাদ আস-সুগাইর

২৪
তৃতীয় অনুচ্ছেদ: নারীর দা‘ওয়াতের নীতিমালা:
মুসলিম নারী কর্তৃক আল্লাহ তা‘আলার দিকে দাওয়াতী কাজ পরিচালনার ক্ষেত্রে উচিৎ কাজ হলো, সে নিজেকে তার স্বভাব-প্রকৃতি ও নারীত্ব থেকে বের করবে না। এখানে এই বিষয়ে কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ নিয়মনীতি রয়েছে, যেগুলো সংক্ষেপে নিম্নরূপে উল্লেখ করা যায়:

১. মৌলিকভাবে নারীর অবস্থান ঘরের মধ্যে; আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَقَرۡنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجۡنَ تَبَرُّجَ ٱلۡجَٰهِلِيَّةِ ٱلۡأُولَىٰۖ ﴾ [ سورة الأحزاب : 32-33]

“আর তোমরা স্বগৃহে অবস্থান করবে এবং প্রচীন (জাহেলী) যুগের মতো নিজেদেরকে প্রদর্শন করে বেড়াবে না।” [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ৩৩] রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«المرأة عورة فإذا خرجت استشرفها الشيطان»

“নারী হলো গোপনীয় (তথা লজ্জার) বস্তু। সুতরাং সে যখন বের হয়, তখন শয়তান তার দিকে উঁকি দেয়।” [তিরমিযী, তিনি আবদুল্লাহ ইবন মাস‘উদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণনা করেন, অধ্যায়: দুগ্ধপান ( كتاب الرضاع ), পরিচ্ছেদ: শয়তান কর্তৃক নারীর দিকে উঁকি দেওয়া যখন সে বের হয় ( باب استشراف الشيطان المرأة إذا خرجت ), বাব নং ১৮, হাদীস নং ১১৭৩; ইমাম তিরমিযী বলেন, এই হাদীসটি হাসান, গরীব।]

২. নারীর জন্য কিছু বিশেষ নিয়মনীতি রয়েছে, সে যেখানেই তার দাওয়াতী কর্মতৎপরতা পরিচালনা করুক না কেন, তাকে অবশ্যই সেসব নিয়মনীতির প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে; তন্মধ্য থেকে কিছু বিষয় হলো:

(ক) চেহারা ও দুই হাতের তালু ঢেকে রাখার শর্তসহ শর‘ঈ পর্দার প্রয়োজনীয়তা ও বাধ্যবাধকতা; আর চেহারা হলো সৌন্দর্যের স্থান এবং পরিচয় লাভের জায়গা, আর তা ঢেকে রাখার বাধ্যবাধকতার ওপর অনেক দলীল-প্রমাণ রয়েছে।

(খ) মাহরাম পুরুষ ব্যতীত তার ভ্রমণ করা হারাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«لا تسافر المرأة إلا مع ذي محرم»

“মাহরম পুরুষের সঙ্গে ছাড়া নারী যেন ভ্রমণ না করে।” [সহীহ বুখারী, অধ্যায়: হজ ( كتاب الحج ), পরিচ্ছেদ: নারীদের হাজ্জ ( باب حج النساء ), বাব নং ৩৭, হাদীস নং ১৭৬৩; সহীহ মুসলিম, অধ্যায়: হজ ( الحج ), পরিচ্ছেদ: হাজ্জ ও অন্যান্য কাজে মুহাররম পুরুষের সাথে নারীর ভ্রমণ করা ( باب سَفَرِ الْمَرْأَةِ مَعَ مَحْرَمٍ إِلَى حَجٍّ وَغَيْرِهِ ), বাব নং ৭৪, হাদীস নং ৩৩২২।]

(গ) অপরিচিত পুরুষের সাথে একাকী নির্জনে অবস্থান করা হারাম। কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

« لاَ يَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِامْرَأَةٍ إِلاَّ وَمَعَهَا ذُو مَحْرَمٍ » . و في رواية : «لا يخلون رجل بامرأة إلا كان ثالثهما الشيطان»

“মাহরমের উপস্থিতি ব্যতীত কোনো পুরুষ কোনো নারীর সাথে নির্জনে সাক্ষাত করবে না।” [সহীহ বুখারী, অধ্যায়: বিবাহ ( كتاب النكاح ), পরিচ্ছেদ: মাহরমের উপস্থিতি ব্যতীত কোন পুরুষ কোনো নারীর সাথে নির্জনে সাক্ষাত করবে না এবং স্বামীর অনুপস্থিতিতে কোন নারীর কাছে কোন পুরুষের গমন (হারাম) ( باب لا يخلون رجل بامرأة إلا ذو محرم والدخول على المغيبة ), বাব নং ১১০, হাদীস নং ৪৯৩৫; সহীহ মুসলিম, অধ্যায়: হজ ( الحج ), পরিচ্ছেদ: হজ ও অন্যান্য কাজে মুহাররম পুরুষের সাথে নারীর ভ্রমণ করা ( باب سَفَرِ الْمَرْأَةِ مَعَ مَحْرَمٍ إِلَى حَجٍّ وَغَيْرِهِ ), বাব নং ৭৪, হাদীস নং ৩৩৩৬।] অপর এক বর্ণনায় আছে: “কোনো পুরুষ কোনো নারীর সাথে নির্জনে সাক্ষাত করবে না। কিন্তু এমনটি করলে, তাদের তৃতীয় জন হবে শয়তান।” [তিরমিযী, অধ্যায়: দুগ্ধপান ( كتاب الرضاع ), পরিচ্ছেদ: স্বামীর অনুপস্থিতিতে কোনো নারীর কাছে কোনো পুরুষের গমন অপছন্দ হওয়ার ব্যাপারে যা এসেছে ( باب ما جاء في كراهية الدخول على المغيبات ), বাব নং ১৬, হাদীস নং ১১৭১।]

(ঘ) অপরিচিত পুরুষদের সাথে তারা মেলামেশা হারাম। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারীদেরকে লক্ষ্য করে বলেছেন:

«اسْتَأْخِرْنَ فَإِنَّهُ لَيْسَ لَكُنَّ أَنْ تَحْقُقْنَ الطَّرِيقَ عَلَيْكُنَّ بِحَافَاتِ الطَّرِيقِ» . فَكَانَتِ الْمَرْأَةُ تَلْتَصِقُ بِالْجِدَارِ حَتَّى إِنَّ ثَوْبَهَا لَيَتَعَلَّقُ بِالْجِدَارِ مِنْ لُصُوقِهَا بِهِ .».

“তোমরা (রাস্তায় চলার সময়) পিছে পিছে চল, কেননা তোমাদের জন্য রাস্তার মাঝখান দিয়ে হাঁটার সুযোগ নেই। তোমাদের দায়িত্ব হলো রাস্তার পাশ দিয়ে পথ চলা। অতঃপর নারী প্রচীরের সাথে মিশে পথ চলত, এমনকি সে প্রাচীরের সাথে মিশে চলার কারণে তার কাপড় প্রাচীরের সাথে ঝুলে যেত।” [আবূ দাউদ, অধ্যায়: শিষ্টাচার ( الأدب ), পরিচ্ছেদ: রাস্তার মধ্যে পুরুষদের সাথে নারীদের পথ চলা প্রসঙ্গে ( باب فِى مَشْىِ النِّسَاءِ مَعَ الرِّجَالِ فِى الطَّرِيقِ ), বাব নং ১৮১, হাদীস নং ৫২৭৪।]

(ঙ) অভিভাবকের অনুমতি ব্যতীত নারী কর্তৃক তার ঘর থেকে বের হওয়া হারাম।... এগুলো ছাড়াও শরী‘আতের আরও নিয়ম-কানূন রয়েছে, যাতে ক্রটিবিচ্যুতি করা বৈধ নয়।

৩. ইসলামের শত্রুগণ এই অধিক সংবেদনশীল শিরায় আঘাত করে, আর তারা এই ধরনের বিধিবিধানগুলোকে ইসলাম নারীকে অপমানিত ও লাঞ্ছিত করেছে বলে চিত্রিত করার প্রবেশদ্বার হিসেবে ব্যবহার করে এবং ইসলামের দা‘ঈদের কেউ কেউ এর দ্বারা প্রভাবিত হয়। ফলে এই বিষয়ে তারা ইসলামের গণ্ডি থেকে বেরিয়ে পড়ে। সুতরাং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘য়াতের দা‘ঈদের নিকট জোর তাগিদ হলো: এই ব্যাপারে জরুরি ভিত্তিতে শৃঙ্খলা রক্ষা করা এবং সমাজের খেয়ালখুশি ও কামনা-বাসনা দ্বারা প্রভাবিত না হওয়া।

৪. দাওয়াত ও সাধারণ ময়দানের শীর্ষস্থানীয় নেতা হওয়ার ক্ষেত্রে মূলনীতি হলো, তা পুরুষদের জন্য নির্ধারিত, যেমন অবস্থা ছিল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে এবং পরবর্তী শ্রেষ্ঠ যুগসমূহে। আর ইতিহাসে নারীদের দাওয়াত সংক্রান্ত স্বতন্ত্র যে সকল নমুনা বর্ণিত হয়েছে, তার সাথে পুরুষদের ব্যাপারে যা বর্ণিত হয়েছে, তার কখনও তুলনা হয় না, আর এটা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণীরই প্রতিপাদন। তিনি বলেন,

«كمل من الرجال كثير ولم يكمل من النساء إلا آسية امرأة فرعون ومريم بنت عمران وإن فضل عائشة على النساء كفضل الثريد على سائر الطعام» .

“পুরুষদের মধ্যে অনেকেই পূর্ণতা লাভ করেছেন, কিন্তু মহিলাদের মধ্যে ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া ও মারইয়াম বিনত ইমরান ‘আলাইহিস সালাম ছাড়া আর কেউ পূর্ণতা লাভ করতে পারেন নি। আর নিঃসন্দেহে অপরাপর নারীদের ওপর আয়েশার ফযীলত অন্যান্য খাদ্যের ওপর ‘সারীদ [গোশত ও রুটি দিয়ে তৈরি খাদ্য বিশেষ। যা আরবে খুব বেশি জনপ্রিয়। [সম্পাদক]]’ এর ফযীলতের মতো।” [সহীহ বুখারী, অধ্যায়: নবীগণ ( كتاب الأنبياء ), পরিচ্ছেদ: আল্লাহ তা‘আলার বাণী: আর আল্লাহ ঈমানদারদের জন্য দৃষ্টান্ত পেশ করেছেন ফিরআউনের স্ত্রীকে ... আর তিনি ছিলেন অনুগত বান্দা-বান্দীদের মধ্যে অন্যতমা ( باب قول الله تعالى { وضرب الله مثلا للذين آمنوا امرأة فرعون-إلى قوله-وكانت من القانتين }), বাব নং ৩৩, হাদীস নং ৩২৩০; সহীহ মুসলিম, অধ্যায়: সাহাবীদের ফযীলত ( فضائل الصحابة ), পরিচ্ছেদ: উম্মুল মুমিনীন খাদিজা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা’র ফযীলত ( باب فَضَائِلِ خَدِيجَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ رضى الله تعالى عنها ), বাব নং ১২, হাদীস নং ৬৪২৫।]

৫. আর এই কথার অর্থ নারীর ভূমিকাকে রহিত করা বা উপেক্ষা করা নয়; বরং তার ভূমিকা অস্বীকার করা যায় না এবং তার শান ও মর্যাদার অনেক গুরুত্ব রয়েছে, এমনকি এই আলোচনাটি লিপিবদ্ধ করা হয়েছে শুধু তার এই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে বর্ণনা করার জন্য; কিন্তু পূর্বে আলোচিত নিয়ম-কানূনের প্রয়োজনীয়তা ও বাধ্যবাধকতাসহ।

৬. আসল নিয়ম হলো, নারী দাওয়াতী কাজ করবে তার শ্রেণীভূক্ত মেয়েদের মধ্যে। সুতরাং সে এই ক্ষেত্রে যথাযথ পদ্ধতি ও উপায়-উপকরণসমূহ ব্যবহার করবে, আর শর‘ঈ নিয়ম-কানূন ব্যতীত সে এই নীতির বাইরে যাবে না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন