hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ঈমানের রুকনসমূহ

লেখকঃ ইলমী গবেষণা ডীনশীপ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, মদিনা মুনাওয়ারা

৩২
(৪) তাকদীরের ব্যাপারে সালাফদের আকীদা বা বিশ্বাস হলো:
নিশ্চয় আল্লাহ সকল বস্তুর সৃষ্টিকর্তা, প্রভু, তার মালিক বা অধিকারী। নিশ্চয় আল্লাহ সকল সৃষ্টিজীবকে সৃষ্টির পূর্বে সেগুলোর তাকদীর লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন। তাদের বয়স, রুযী, কর্মসমূহ নির্ধারণ করে রেখেছেন। আরো লিখে রেখেছেন যে সৌভাগ্যশালী অথবা দুর্ভাগ্যবান হওয়ার দিকে তারা ধাবিত হবে।

প্রত্যেক জিনিসই স্পষ্ট কিতাবে হিসাব করে রেখেছেন। অতঃপর আল্লাহ যা চান তা হয়, আর যা চান না তা হয় না। আর যা হয়েছে ও হবে তা সবই জানেন। আর যা হয় নি যদি তা হতো কীভাবে হতো তাও জানেন। আর তিনি প্রত্যেক বস্তুর ওপর ক্ষমতাশীল। যাকে ইচ্ছা হিদায়াত দান করেন, আর যাকে ইচ্ছা তাকে পথভ্রষ্ট করেন।

আর নিশ্চয় বান্দার ইচ্ছা ও শক্তি রয়েছে, যা দ্বারা তাদেরকে যে সকল কাজের সমর্থ্যবান করেছেন তা সম্পাদন করে এই বিশ্বাস রেখে যে আল্লাহ যা চান শুধুমাত্র তাই হয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَٱلَّذِينَ جَٰهَدُواْ فِينَا لَنَهۡدِيَنَّهُمۡ سُبُلَنَاۚ﴾ [ العنكبوت : ٦٩ ]

“আর যারা আমাদের পথে সংগ্রাম করে আমরা অবশ্যই তাদেরকে আমাদের পথসমূহে পরিচালিত করি।” [সূরা আল-‘আনকাবূত, আয়াত: ৬৯]

আর নিশ্চয় আল্লাহ বান্দার ও তার কর্মের সৃষ্টিকর্তা, আর তারাই এই কর্মগুলো প্রকৃতপক্ষে সম্পাদনকারী। ওয়াজেব ছেড়ে দেওয়া কিংবা হারাম কাজ করাতে আল্লাহর বিরুদ্ধে কারো কোনো হুজ্জাত বা দলীল দাঁড় করানোর সুযোগ নেই, বরং বান্দাদের বিরুদ্ধে আল্লাহর পূর্ণ দলীল রয়েছে। বিপদ-আপদে তাকদীরকে কারণ হিসেবে গ্রহণ করা বৈধ হলেও নিন্দনীয় ও পাপের কাজে তাকদীরের অযুহাত দেওয়া বৈধ নয়। যেমন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আদম ও মূসা আলাইহিমাস সালামের পরস্পর বিতর্কের ব্যাপারে বলেন,

«تحاج آدم وموسى، فقال موسى : أنت آدم الذي أخرجتك خطيئتك من الجنة، فقال له آدم : أنت موسى الذي اصتفاك الله برسالاته وبكلامه ثم تلومني على أمر قد قدّر عليّ قبل أن أخلق فحج آدم موسى» .

“আদম ও মূসা বিতর্কে লিপ্ত হয়েছিলেন, অতঃপর মূসা বললেন, হে আদম তোমাকেই তো তোমার পাপ জান্নাত থেকে বহিষ্কার করেছিল। তারপর আদম তাঁকে বললেন, হে মূসা! তোমাকেই তো আল্লাহ তাঁর রিসালাত ও কথাপকোথনের জন্য নির্বাচন করে নিয়েছিলেন? তারপরও তুমি আমাকে এমন বিষয়ের ওপর দোষারোপ করছ যা আল্লাহ আমার সৃষ্টির পূর্বেই আমার ওপর নির্ধারণ করে রেখেছেন। এভাবে আদম মূসার ওপর জয়ী হলেন [এখানে অবশ্যই এটা বুঝা উচিৎ যে, আদম আলাইহিস সালাম এখানে বুঝাতে চেয়েছেন, জান্নাত থেকে বের করে দেওয়া বিপদ ও মুসীবত। যা আমার ওপর পূর্ব নির্ধারিত। জান্নাত থেকে বের করে দেওয়া পাপ ও অপরাধ নয়, যদি তা হতো তবে আদম আলাইহিস সালাম পূর্ব নির্ধারিত তাকদীর দিয়ে দলীল পেশ করতেন না। সুতরাং এটা প্রমাণিত হলো যে বিপদাপদে পূর্ব নির্ধারিত তাকদীরের দোহাই দেওয়া যাবে, কিন্তু পাপ ও অপরাধমূলক কাজে তাকদীরের দোহাই দেওয়া যাবে না। [সম্পাদক]]। (সহীহ মুসলিম)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন