hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ঈমানের রুকনসমূহ

লেখকঃ ইলমী গবেষণা ডীনশীপ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, মদিনা মুনাওয়ারা

(২) ইবাদতের সংজ্ঞা
ইবাদত হচ্ছে, ঐ সব আকীদা-বিশ্বাস, অন্তর ও অঙ্গ-প্রতঙ্গের কর্ম যা আল্লাহ তা‘আলা ভালোবাসেন ও পছন্দ করেন। অনুরূপভাবে কোনো কিছু সম্পাদন করা বা বর্জন করা যা আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করায় তাও ইবাদত।

অনুরূপভাবে কুরআন ও হাদীসে বিধিবদ্ধ প্রতিটি কর্ম ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত।

ইবাদত বিভিন্ন প্রকার রয়েছে:

অন্তরের ইবাদত: যেমন, ঈমানের ছয়টি রুকন, ভয়, আশা, ভরসা, আগ্রহ ও ভীতি ইত্যাদি।

প্রকাশ্য ইবাদত: যেমন, সালাত, যাকাত, সাওম ও হজ।

ইবাদত ততক্ষণ পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য হবে না যতক্ষণ না তা দু’টি মূলনীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়।

প্রথম: সকল ইবাদত একমাত্র আল্লাহর জন্য খালেস করা এবং তার সাথে শির্ক না করা। আর তাই ( شهادة أن لا إله إلا الله ) ‘‘আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য মা‘বুদ নেই’’ এ সাক্ষ্য প্রদানের অর্থ।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿أَلَا لِلَّهِ ٱلدِّينُ ٱلۡخَالِصُۚ وَٱلَّذِينَ ٱتَّخَذُواْ مِن دُونِهِۦٓ أَوۡلِيَآءَ مَا نَعۡبُدُهُمۡ إِلَّا لِيُقَرِّبُونَآ إِلَى ٱللَّهِ زُلۡفَىٰٓ إِنَّ ٱللَّهَ يَحۡكُمُ بَيۡنَهُمۡ فِي مَا هُمۡ فِيهِ يَخۡتَلِفُونَۗ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَهۡدِي مَنۡ هُوَ كَٰذِبٞ كَفَّارٞ ٣﴾ [ الزمر : ٣ ]

“জেনে রাখুন, নিষ্ঠাপূর্ণ ইবাদত আল্লাহরই নিমিত্তে। যারা আল্লাহ ব্যতীত অপরকে উপাস্য রূপে গ্রহণ করে রেখেছে এবং বলে যে, আমরা তাদের ইবাদত এজন্যই করি, যেন তারা আমাদেরকে আল্লাহর নিকটবর্তী করে দেয়। নিশ্চয় আল্লাহ তাদের মধ্যে তাদের পারস্পরিক বিরোধপূর্ণ বিষয়ের ফায়সালা করে দেবেন। আল্লাহ মিথ্যাবাদী কাফিরকে সৎপথে পরিচালিত করেন না।” [সূরা আয-যুমার, আয়াত: ২-৩]

তিনি আরো বলেন,

﴿وَمَآ أُمِرُوٓاْ إِلَّا لِيَعۡبُدُواْ ٱللَّهَ مُخۡلِصِينَ لَهُ ٱلدِّينَ حُنَفَآءَ﴾ [ البينة : ٥ ]

“আর তাদেরকে এছাড়া কোনো নির্দেশ করা হয় নি যে, তারা খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে (শির্কমুক্ত থেকে) একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করবে।” [সূরা আল-বাইয়্যেনাহ, আয়াত: ৫]

দ্বিতীয়: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে শরী‘আত নিয়ে এসেছেন তার অনুসরণ করা।

এর অর্থ, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যে কাজ যেভাবে করেছেন সে কাজ সেই নিয়মে করা, কোনো প্রকার কম বেশি না করা।

আর তাই ( شهادة أن محمدًا رسول الله ) ‘‘মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর প্রেরিত রাসূল’’ এ সাক্ষ্য প্রদানের অর্থ।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿قُلۡ إِن كُنتُمۡ تُحِبُّونَ ٱللَّهَ فَٱتَّبِعُونِي يُحۡبِبۡكُمُ ٱللَّهُ وَيَغۡفِرۡ لَكُمۡ ذُنُوبَكُمۡۚ وَٱللَّهُ غَفُورٞ رَّحِيمٞ ٣١﴾ [ ال عمران : ٣١ ]

“বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহও তোমাদিগকে ভালোবাসবেন এবং তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন, আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু।” [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ৩১]

তিনি আরো বলেন,

﴿وَمَآ ءَاتَىٰكُمُ ٱلرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَىٰكُمۡ عَنۡهُ فَٱنتَهُواْۚ﴾ [ الحشر : ٧ ]

“আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাদেরকে যা দিয়েছেন তা গ্রহণ কর এবং যা থেকে বারণ করেছেন তা থেকে বিরত থাক।” [সূরা আল-হাশর, আয়াত: ৭]

তিনি আরো বলেন,

﴿فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤۡمِنُونَ حَتَّىٰ يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيۡنَهُمۡ ثُمَّ لَا يَجِدُواْ فِيٓ أَنفُسِهِمۡ حَرَجٗا مِّمَّا قَضَيۡتَ وَيُسَلِّمُواْ تَسۡلِيمٗا ٦٥﴾ [ النساء : ٦٥ ]

“অতএব, তোমার রবের কসম, তারা ঈমানদার হবে না, যতক্ষণ পযর্ন্ত তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে আপনাকে বিচারক বলে গ্রহণ না করে। অতঃপর আপনার মীমাংসার ব্যাপারে নিজের মনে কোনোরকম সংকীর্ণতা পাবে না এবং হৃষ্টচিত্তে কবুল করে নিবে।” [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৬৫]

দু’টি বিষয় ছাড়া ইবাদত (দাসত্ব) পরিপূর্ণতা লাভ করে না:

প্রথম: আল্লাহকে পূর্ণ ভালোবাসা, অর্থাৎ আল্লাহর ভালোবাসা ও আল্লাহ যা ভালোবাসেন তাঁর ভালোবাসাকে অন্য সকল বস্তুর ভালোবাসার ওপর প্রাধান্য দেওয়া।

দ্বিতীয়: আল্লাহর নিকট পূর্ণ বিনয়-নম্রতা ও আনুগত্য প্রকাশ করা। অর্থাৎ বান্দা আল্লাহ তা‘আলার আদেশসমূহ পালনের ও নিষেধাজ্ঞা থেকে বেঁচে থাকার মাধ্যমে বিনয়-নম্রতা প্রকাশ করবে।

সুতরাং পূর্ণ বশ্যতা, বিনয়-নম্রতা, আশা-আকাঙ্খা ও ভয়-ভীতির সাথে পূর্ণ ভালোবাসাকে ইবাদত বলা হয়। এর মাধ্যমেই বান্দার ইবাদত স্বীয় প্রভু সৃষ্টিকর্তার জন্য বাস্তবায়িত হয়। আল্লাহর জন্য ইবাদত প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর ভালোবাসা ও সন্তুষ্টি অর্জন করতে সক্ষম হয়।

অতএব, বান্দার ফরয বিধান পালন করার মাধ্যমে তাঁর (আল্লাহর) নৈকট্য অর্জন করাকে আল্লাহ ভালোবাসেন।

বান্দার নফল ইবাদত যতই বৃদ্ধি পাবে ততই তাঁর নৈকট্য ও মর্যাদা আল্লাহর নিকট বৃদ্ধি পাবে। আর আল্লাহর অনুগ্রহ ও করুণায় তা জান্নাতে প্রবেশ করার উপায় হবে।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿ٱدۡعُواْ رَبَّكُمۡ تَضَرُّعٗا وَخُفۡيَةًۚ إِنَّهُۥ لَا يُحِبُّ ٱلۡمُعۡتَدِينَ ٥٥﴾ [ الاعراف : ٥٥ ]

“তোমরা স্বীয় রককে ডাক, কাকুতি-মিনতি করে এবং সংগোপনে। তিনি সীমা অতিক্রমকারীদেরকে পছন্দ করেন না।” [সূরা আল-আ‘রাফ, আয়াত: ৫৫]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন