hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ঈমানের রুকনসমূহ

লেখকঃ ইলমী গবেষণা ডীনশীপ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, মদিনা মুনাওয়ারা

৩৮
(১০) (আল্লাহর) কুরআনে বর্ণিত ইরাদা দু’ প্রকার:
প্রথম: ইরাদা কাউনিয়া ক্বাদারিয়া বা সৃষ্টিগত ও প্রাকৃতিক ইচ্ছা, আর তা হচ্ছে, সকল সৃষ্টিকূলের জন্য নির্ধারিত ইচ্ছা। সুতরাং আল্লাহ যা চান তা হয়, আর যা চান না তা হয় না। এ সৃষ্টিগত ও প্রাকৃতিক ইচ্ছা বা ইরাদা (কাউনিয়া ও ক্বাদারিয়া) অবশ্যই সংঘটিত হবে; কিন্তু শরী‘আতগত ইচ্ছা বা ইরাদা শর‘ঈয়াহ’র সাথে মিলিত না হওয়া পর্যন্ত সেটাকে তার পক্ষ থেকে ভালোবাসা কিংবা সেটার প্রতি তাঁর সন্তুষ্ট হওয়া জরুরি নয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿فَمَن يُرِدِ ٱللَّهُ أَن يَهۡدِيَهُۥ يَشۡرَحۡ صَدۡرَهُۥ لِلۡإِسۡلَٰمِۖ ﴾ [ الانعام : ١٢٥ ]

“আল্লাহ যাকে হিদায়াত করার ইচ্ছা করেন, তার বক্ষকে ইসলামের জন্য উন্মুক্ত করে দেন।” [সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ১২৫]

দ্বিতীয়: ইরাদা দীনিয়া শর‘ঈয়াহ, (দীন হিসেবে আল্লাহর ইচ্ছা) তা হল, দীনী নির্দেশ বা উদ্দেশ্য, আর তার সাথে সংশ্লিষ্ট রয়েছে সেটার অনুসারীকে ভালোবাসা ও তাদের প্রতি সন্তুষ্ট থাকা। তবে ইরাদা দীনিয়া শর‘ঈয়াহ ততক্ষণ বাস্তবায়িত হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত তার সাথে ইরাদা কাউনিয়া (সৃষ্টিগত ইচ্ছা) সংযুক্ত না হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿يُرِيدُ ٱللَّهُ بِكُمُ ٱلۡيُسۡرَ وَلَا يُرِيدُ بِكُمُ ٱلۡعُسۡرَ﴾ [ البقرة : ١٨٥ ]

“আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ চান, তোমাদের জন্য কঠিনতা চান না।” [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৮৫]

আর ‘ইরাদা কাউনিয়া’ অধিক ব্যাপক, কারণ সকল ‘শারয়ী ইরাদা’ যা বাস্তবায়িত হয় তা সৃষ্টিগত দিক হতেও বাস্তবায়িত হওয়ার জন্য উদ্দেশ্য। পক্ষান্তরে ঘটে যাওয়া সকল ‘ইরাদা কাওনীয়া’ (সৃষ্টিগত ইচ্ছা) তা শরী‘আতে উদ্দেশ্য নয়।

সুতরাং কখনও আল্লাহর সৃষ্টিগত ইচ্ছা ও শর‘ঈ উভয়টিই বাস্তবায়িত হয়। যেমন, আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুর ঈমানের মাঝে উভয় প্রকার ইরাদা বা ইচ্ছা বাস্তবায়িত হয়েছিল।

আবার কখনও কখনও কেবল আল্লাহর সৃষ্টিগত ইচ্ছা বাস্তবায়িত হয়, সেখানে শরী‘আতগত ইচ্ছা থাকে না। যেমন, আবু জাহল এর কুফুরী। তাতে শুধুমাত্র আল্লাহর ইরাদা কাওনিয়া বা সৃষ্টিগত ইচ্ছা ছিল।

আবার কখনও কখনও কোনো কিছুতে আল্লাহর ইরাদা কাউনিয়া বা সৃষ্টিগত ইচ্ছা থাকে না, যদিও তা ইরাদা শর‘ইয়াহ বা শারী‘আতের দিক থেকে প্রত্যাশিত ছিল। যেমন, আবু জাহেলের ঈমান।

সুতরাং যদিও আল্লাহ নাফরমানী সংঘটিত হওয়ার ইচ্ছা করেন ঘটে যাওয়ার দিক থেকে এবং সৃষ্টিগত দিক থেকে তা চান কিন্তু তিনি তা দীন হিসাবে পছন্দ করেন না, ভালোবাসেন না ও তার প্রতি নির্দেশও দেন না। বরং তার প্রতি বিদ্বেষ রাখেন, অপছন্দ করেন, তা থেকে বান্দাদেরকে নিষেধ করেন ও তা সম্পাদনকারীকে সাবধান করেন। যদিও আর এসব কিছু তাঁরই নির্ধারণ। পক্ষান্তরে আনুগত্যপূর্ণ কর্ম ও ঈমান আনয়ন করাকে আল্লাহ তা‘আলা ভালোবাসেন, সেটার নির্দেশ দিয়েছেন, তার সম্পাদনকারীকে নেকী ও সুন্দর প্রতিদানের ওয়াদা দিয়েছেন। যদিও তাঁর ইরাদা ছাড়া তাঁর নাফরমানী করা যায় না। আর আল্লাহ তা‘আলা যা চান শুধু তাই সংঘটিত হয়।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَلَا يَرۡضَىٰ لِعِبَادِهِ ٱلۡكُفۡرَۖ ﴾ [ الزمر : ٧ ]

“আর (আল্লাহ) তাঁর বান্দাদের কুফুরী পছন্দ করেন না।” [সূরা আয-যুমার, আয়াত: ৬]

তিনি আরো বলেন,

﴿وَٱللَّهُ لَا يُحِبُّ ٱلۡفَسَادَ ٢٠٥﴾ [ البقرة : ٢٠٥ ]

“আল্লাহ ফাসাদ (অশান্তি) পছন্দ করেন না।” [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২০৫]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন