hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আল্লাহর দিকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দাওয়াতের বাস্তব কিছু নমুনা

লেখকঃ সাঈদ ইবন আলী ইবন ওহাফ আল-কাহতানী

১০
দুই. পাহাড়ের ফিরিশতাকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হিকমতপূর্ণ ও জ্ঞানগর্ভ উত্তর
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি একদিন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করেন,

«يا رسول الله هل أتى عليك يوم أشد من يوم أحد؟ فقال : «لقد لقيت من قومك [ ما لقيت ] ، وكان أشد ما لقيت منهم يوم العقبة، إذ عرضت نفسي على ابن عبد ياليل بن عبد كلال، فلم يجبني إلى ما أردت، فانطلقت وأنا مهموم على وجهي، فلم أسْتَفِق إلا بقرن الثعالب، فرفعت رأسي، فإذا أنا بسحابة قد أظلتني، فنظرت فإذا فيها جبريل، فناداني : فقال : إن اللَّه قد سمع قول قومك لك، وما ردوا عليك، وقد بعث إليك ملك الجبال لتأمره بما شئت فيهم، قال : فناداني ملك الجبال وسلم عليّ، ثم قال : يا محمد ! إن اللَّه قد سمع قول قومك لك، وأنا ملك الجبال، وقد بعثني ربي إليك لتأمرني بأمرك فما شئت؟ إن شئت أن أُطْبِق عليهم الأخشبين» فقال لـه رسول اللَّه صلى الله عليه وسلم : «بل أرجو أن يخرج اللَّه من أصلابهم من يعبد اللَّه وحده لا يشرك به شيئاً» .

“হে আল্লাহর রাসূল! উহুদের যুদ্ধের দিন আপনার ওপর যে বিপর্যয় নেমে আসে, তার চেয়ে কঠিন আর কোনো বিপদ বা বিপর্যয় আপনার ওপর নেমে আসছিল কি? তিনি বলেন, আমার ওপর এর চেয়ে আরও অধিক কঠিন বিপদ ও বিপর্যয় নেমে আসে আকাবার দিন। সে দিন আমি একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সম্মুখীন হই। যখন আমি আমাকে ইসলামের দা‘ওয়াতের জন্য আবদে ইয়ালিল ইবন আবদে কালাল [আবদে ইয়ালাল ইবন কালাল হল, সাকীফ গোত্রের বড় বড় সরদারগণ।] এর সম্মুখে পেশ করি, তখন তারা আমার ডাকে সাড়াতো দেয় নি, বরং আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করে এবং আমাকে অপমান করে। আর যখন আমি তাদের থেকে হতাশ হয়ে দুঃখ-ভারাক্রান্ত হৃদয় মক্কার দিকে ফিরে আসি, তখন আমার কোনো হুশ ছিল না, যখন কারনুস সায়ালেব [এটি একটি স্থানের নাম। আহলে নাজদের লোকদের হজের মিকাতের স্থান। এ জায়গাটিকে কারনুল মানাযেল ও বলা হয়ে থাকে। বর্তমানে তাকে সাইলুল কবীর নামে আখ্যায়িত করা হয়। আরো বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন: ফতহুল কাদির: ১১৫/৬।] এসে পৌঁছি, তখন আমার হুশ হয়। তখন আমি আকাশের দিকে মাথা উঁচু করে দেখি একটি কালো মেঘ এসে আমাকে ছায়া দেয়। তাতে তাকিয়ে দেখি তাতে জিবরীল আলাইহিস সালাম অবস্থান করছে। সে আমাকে ডেকে বলে, আল্লাহ তা‘আলা আপনার কাওমের কথা এবং আপনার সাথে তারা যে ব্যবহার করছে তা শুনেছেন। আল্লাহ তা‘আলা পাহাড়ের ফিরিশতাকে আপনার নিকট পাঠিয়েছেন, যাতে আপনি তাদের বিষয়ে যা সিদ্ধান্ত দেন, তারা তাই করবে। তারপর পাহাড়ের ফিরিশতা আমাকে সালাম দেয় এবং বলে, হে মুহাম্মাদ! আল্লাহ তা‘আলা আপনার ও আপনার কাওমের কথা খুব ভালোভাবেই শোনেন। আমি হলাম পাহাড় নিয়ন্ত্রণকারী ফিরিশতা! আমাকে আমার রব আপনার নিকট পাঠিয়েছেন, আপনি আমাকে যা আদেশ করেন তাই আমি বাস্তবায়ন করব। আপনি যদি চান আমি তাদেরকে উভয় পাহাড় দ্বারা চাপা দিয়ে তাদের নিষ্পেষিত করে দিই। এ প্রস্তাবের উত্তরে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, না, তুমি তাদরে ধ্বংস করো না! কারণ, হতে পারে আল্লাহ তা‘আলা তাদের বংশধর থেকে এমন লোকদের সৃষ্টি করবেন, যারা এক আল্লাহর ইবাদত করবে তার সাথে কাউকে শরীক করবে না।” [সহীহ বুখারী, অধ্যায়: মাখলুকের সৃষ্টির সূচনা, পরিচ্ছেদ: তোমাদের কেউ যখন বলে আমীন, আসমানের ফিরিশতাও আমীন বলে। যখন তোমাদের আমীন ফিরিশতাদের আমীন বলার সাথে মিলে যায় তখন তার অতীতের সমস্ত গোনাহ মাফ হয়ে যায়: ৩১২/৬। সহীহ মুসলিম, একই শব্দে কিতাবুল জিহাদে। পরিচ্ছেদ: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুনাফিক ও মুশরিকদের পক্ষ থেকে যেসব নির্যাতনের স্বীকার হন তার বর্ণনা প্রসংঙ্গে: ৩২১/৬, হাদীস নং ৩২৩১।]

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের যে উত্তর দেন, তাতে তিনি যে কত বড় ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন তা স্পষ্ট হয়, তার মহান ব্যক্তিত্বের পরিচয় ফুটে উঠে এবং আল্লাহ তা‘আলা যে তাকে মহা চরিত্রের অধিকারী করেন, এ উত্তর ছিল তার একটি জ্বলন্ত প্রমাণ। এছাড়া এখানে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার স্বজাতিদের প্রতি কতটা আন্তরিক, ধৈর্যশীল ও সহমর্মী তার বাস্তবতা উজ্জ্বল হয়ে উঠে। আল্লাহ তা‘আলা তার সমর্থনে বলেন,

﴿فَبِمَا رَحۡمَةٖ مِّنَ ٱللَّهِ لِنتَ لَهُمۡۖ﴾ [ آل عمران :159]

“আল্লাহর অপার অনুগ্রহে তুমি তাদের সাথে নমনীয়তা প্রদর্শন কর”। [সূরা আলে ইমরান, আয়াত ১৫৯]

আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন,

﴿وَمَآ أَرۡسَلۡنَٰكَ إِلَّا رَحۡمَةٗ لِّلۡعَٰلَمِينَ﴾ [ الأنباء :107]

“আমি তোমাকে জগতের জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছি।” [সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত: ১০৭]

আল্লাহ তা‘আলার রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক তার ওপর। [দেখুন: ইবনুল কাইয়্যেম রহ.-এর যাদুল মা‘আদ ৩৩/৩।]

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নখলাতে কয়েকদিন অপেক্ষা করেন। তারপর তিনি পুনরায় মক্কায় ফিরে আসার প্রতিজ্ঞা করেন। মক্কায় তিনি নতুনভাবে মানুষকে ইসলামের দা‘ওয়াত এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে অর্পিত রিসালাতের গুরু দায়িত্ব পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে নতুন আঙ্গিকে কাজ করা প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তার এ সংকল্পেরে কথা ব্যক্ত করার পর যায়েদ ইবন হারেসা তাকে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আবার কীভাবে মক্কায় প্রবেশ করবেন? অথচ তারা আপনাকে মক্কা থেকে বের করে দিয়েছে। তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেন [দেখুন: ইবনুল কাইয়্যেম রহ.-এর যাদুল মা‘আদ ৩৩/৩।] ,

«يا زيد، إن الله جاعل لما ترى فرجاً ومخرجاً، وإن اللَّه ناصر دينه، ومظهر نبيه» .

“হে যায়েদ! আল্লাহ তা‘আলা অবশ্যই তুমি যে অবস্থা দেখছ, তার একটি সমাধান এবং উপায় বের করবে। আল্লাহ তা‘আলা তার দীনকে অবশ্যই সাহায্য করবে এবং তার নবীকে বিজয়ী করবে।”

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন