hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আল্লাহর দিকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দাওয়াতের বাস্তব কিছু নমুনা

লেখকঃ সাঈদ ইবন আলী ইবন ওহাফ আল-কাহতানী

২২
তিন. হুনাইনের যুদ্ধে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হিকমত ও সাহসিকতা
হুনাইনের যুদ্ধ ছিল মুসলিমদের জন্য একটি ঐতিহাসিক যুদ্ধ। এ যুদ্ধে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বীরত্ব ও সাহসিকতা ছিল বিশেষ উল্লেখযোগ্য। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বীরত্ব ও সাহসিকতার বদৌলতে এ যুদ্ধে মুসলিমদের বিজয় নিশ্চিত হয়। অন্যথায় মুসলিমগণ এ যুদ্ধে পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে ফিরে আসতে হত।

হুনাইনের যুদ্ধে মুসলিম ও কাফিরদের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ আরম্ভ হলে মুসলিমগণ প্রথম অবস্থায় পিছু হটে পড়ে এবং দুর্বল ও কতক নতুন ইসলাম গ্রহণকারী কিছু নও মুসলিম পলায়ন করতে শুরু করে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ মুহূর্তে কোনো প্রকার ভয় না করে তিনি তার গাধাটিকে নিয়ে কাফিরদের মোকাবেলায় সামনের দিক অগ্রসর হতে থাকে। তারপর তিনি তার চাচা আব্বাসকে বলেন,

«أي عباس، ناد أصحاب السمرة فقال عباس : - وكان رجلاً صيتاً فقلت بأعلى صوتي : أين أصحاب السمرة؟ قال : فواللَّه لكأن عَطْفَتهم حين سمعوا صوتي عَطْفَة البقر على أولادها، فقالوا : يا لبيك، يا لبيك، قال : فاقتتلوا والكفار ... فنظر رسول اللَّه صلى الله عليه وسلم وهو على بغلته كالمتطاول عليها إلى قتالهم، فقال صلى الله عليه وسلم : الآن حمي الوطيس» ( [সহীহ মুসলিম, কিতাবুল জিহাদ, হাদীস নং ১৭৭৫।]).

“হে আব্বাস! তুমি সামুরাবাসীদের উচ্চস্বরে ডাক দাও! আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু ঐ যুগে সবচেয়ে অধিক কন্ঠস্বরী ছিলেন। আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশ মোতাবেক উচ্চ আওয়াজে বললাম, হে আসহাবে সামুরা! তোমরা কোথায়? আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি আল্লাহর শপথ করে বলছি, আমার আওয়াজ শোনার পর গরুর বাছুর যেমন দড়ি ছেড়ে দিলে তার মায়ের নিকট দৌড়ে আসে ঠিক অনুরূপ يا لبيك، يا لبيك বলে সমগ্র সাহাবী রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দিকে দৌড়ে আসে। তারপর তারা কাফিরদের সাথে যুদ্ধ করতে থাকে। আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার স্বীয় গাধায় আরোহণ অবস্থায় একজন বীর পুরুষের মতো তাদের যুদ্ধ প্রত্যক্ষ করেন। তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, الآن حمي الوطيس হুনাইনের যুদ্ধের নাজুক পরিস্থিতিতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে সাহসিকতা ও বীরত্বের পরিচয় দেন, পৃথিবীর ইতিহাসে এর দৃষ্টান্ত বিরল। আজ পর্যন্ত এ ধরনের বীরত্ব ও সাহসিকতা কোনো সেনাপতি, নেতা ও বীর বাহাদুর দেখাতে পারে নি। [দেখুন: আর-রাহীকুল মাখতুম, ৪০১; হাযাল হাবীবু ইয়া মুহিব্ব, ৪০৮।]

বারা ইবন আযেব রাদিয়াল্লাহু আনহুকে এক লোক জিজ্ঞাসা করে বলল, হে আবূ উমারা তুমি হুনাইনের যুদ্ধের দিন পলায়ন করেছিলে? উত্তরে তিনি বলেন, না, আমি আল্লাহর শপথ করে বলছি! আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেদিন পিছু হটেন নি এবং কোনো মুসলিম সেদিন পলায়ন করেন নি। তবে যুবক ও তাড়াহুড়াকারী কিছু মুসলিম তাদের নিকট কোনো অস্ত্র না থাকাতে বা অস্ত্রের পরিমাণ কম হওয়াতে তারা কিছুটা পিছু হটে। তারপর তারা একটি তীরন্দাজ সম্প্রদায়ের লোকদের সাথে মোকাবেলা করে, তারা তাদের তীর নিক্ষেপ করতে থাকলে অবস্থা এমন দাঁড়ালো তাদের তীর যেন নিশানা ভুল করছিল না। পরে তাদের নিকট অবস্থা প্রকাশ পেলে সবাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে জড়ো হয়ে থাকে। তখন আবূ সুফিয়ান ইবনুল হারেস রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের গাধার রশি টেনে ধরে থাকে, আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতে থাকেন,

أنا النبي لا كذب

أنا ابن عبد المطلب

اللَّهم نزِّل نصرك

“আমি সত্যিকার নবী তাতে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। আমি আব্দুল মুত্তালিবের উত্তরসূরী। হে আল্লাহ! তুমি তোমার সাহায্য নাযিল কর”। [সহীহ মুসলিম, কিতাবুল জিহাদ, হাদীস নং ১৭৭৬; সহীহ বুখারী, কিতাবুল জিহাদ, হাদীস নং ২৯৩০।]

সহীহ মুসলিমে সালামা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,

«مررت على رسول اللَّه صلى الله عليه وسلم منهزماً، وهو على بغلته الشهباء، فقال رسول اللَّه صلى الله عليه وسلم : لقد رأى ابن الأكوع فزعاً . فلما غشوا رسول اللَّه صلى الله عليه وسلم نزل عن البغلة، ثم قبض قبضة من تراب من الأرض، ثم استقبل به وجوههم، فقال : شاهت الوجوه، فما خلق اللَّه منهم إنساناً إلا ملأ عينيه تراباً بتلك القبضة، فولوا مدبرين، فهزمهم اللَّه، وقسم رسول اللَّه صلى الله عليه وسلم غنائمهم بين المسلمين»

“আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পরাভূত অবস্থায় অতিক্রম করি। তখন তিনি তার ‘শাহবাহ‘ গাধাটির উপর ছিল। আমাকে দেখে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলল, আজ ইবনুল আকওয়া ভয়াবহতা প্রত্যক্ষ করেছে। তারপর যখন সাহাবীগণ তাকে ঘেরাও করে ফেলল, তখন তিনি তার গাধা থেকে নেমে যমীন থেকে এক মুষ্টি মাটি নিলো। তারপর তা কাফিরদের দিকে নিক্ষেপ করে বলে, তোমাদের চেহারা আক্রান্ত হোক। তারপর আল্লাহ এমন কোনো চেহারা সৃষ্টি করেন নি যার চেহারা মাটির কারণে আক্রান্ত হয় নি। তারপর কাফিররা গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে পরাজিত হয়ে পলায়ন করল। এরপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুসলিমদের মধ্যে গণিমতের মালামাল বণ্টন করেন”। [সহীহ মুসলিম, কিতাবুল জিহাদ, হাদীস নং ১৭৭৭।]

উলামাগণ বলেন, যুদ্ধের ময়দানে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লামের গাধার উপর আরোহণ করা ছিল তাঁর বীরত্ব ও সাহসিকতার বহিঃপ্রকাশ। এ ছাড়াও তিনি ঐ সময় মানুষের জন্য আশ্রয়স্থল ছিলেন। যার কারণে সবাই দৌড়ে তার দিকেই ছুটে আসে। তার সাহসিকতা ও বীরত্বের আরও প্রমাণ হলো, তিনি এ নাজুক পরিস্থিতিতে শত্রুদের দিকে অগ্রসর হচ্ছিলেন। অথচ তখন লোকেরা তাকে ছেড়ে পলায়ন করতেছিল। আর যখন তারা তাকে বেষ্টন করে ফেলল, তখন তিনি তার আরোহণ থেকে নেমে আসা তার অধিক সাহসিকতারই দৃষ্টান্ত। কেউ কেউ বলেন, তিনি তখন যমীনে নেমে আসে যে মুসলিম যমীনে ছিল তাদের সাথে একাত্বতা ঘোষণা করার জন্য ছিল। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতিটি ক্ষেত্রে যে সাহসিকতা ও বীরত্বের প্রমাণ রেখেছেন; ইতিহাসে এর আর কোনো দৃষ্টান্ত খুঁজে পাওয়া কঠিন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীগণ তার বীরত্বের বিভিন্ন বর্ণনা তুলে ধরেন। [দেখুন: নববীর শরহে মুসলিম ১১৪/১২।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন