মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
সহীহ বুখারী ও মুসলিমে আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«بعث رسول اللَّه صلى الله عليه وسلم خيلاً قِبَلَ نجد، فجاءت برجل من بني حنيفة، يقال لـه ثمامة بن أُثال، سيد أهل اليمامة، فربطوه بسارية من سواري المسجد، فخرج إليه رسول اللَّه صلى الله عليه وسلم فقال : [ ماذا عندك يا ثمامة؟ فقال : عندي يا محمد خير، إن تقتل تقتل ذا دم ، وإن تنعم تنعم على شاكر، وإن كنت تريد المال فسل تعط منه ما شئت، فتركه رسول اللَّه صلى الله عليه وسلم حتى كان بعد الغد، فقال : [ ما عندك يا ثمامة؟ فقال : ما قلت لك، إن تنعم تنعم على شاكر، وإن تقتل تقتل ذا دم، وإن كنت تريد المال فسل تعط منه ما شئت، فتركه رسول اللَّه صلى الله عليه وسلم حتى كان من الغد، فقال : [ ماذا عندك يا ثمامة؟ [ فقال : عندي ما قلت لك، إن تنعم تنعم على شاكر، وإن تقتل تقتل ذا دم، وإن كنت تريد المال فسل تعط منه ما شئت، فقال رسول اللَّه صلى الله عليه وسلم : [ أطلقوا ثمامة [, فانطلق إلى نخل قريب من المسجد، فاغتسل، ثم دخل المسجد فقال : < أشهد أن لا إله إلا اللَّه وأشهد أن محمداً عبده ورسوله، يا محمد ! واللَّه ما كان على الأرض وجه أبغض إليَّ من وجهك، فقد أصبح وجهك أحبَّ الوجوه كلها إليَّ، واللَّه ما كان من دين أبغض إليَّ من دينك، فأصبح دينك أحبَّ الدين كله إليَّ، واللَّه ما كان من بلد أبغض إليَّ من بلدك، فأصبح بلدك أحب البلاد كلها إليَّ، وإن خيلك أخذتني وأنا أريد العمرة فماذا ترى؟ فبشره رسول اللَّه صلى الله عليه وسلم، وأمره أن يعتمر، فلما قدم مكة قال لـه قائل : أصبوت؟ فقال : [ لا واللَّه ] ، ولكني أسلمت مع رسول اللَّه صلى الله عليه وسلم، ولا واللَّه لا يأتيكم من اليمامة حبة حنطة حتى يأذن فيها رسول اللَّه صلى الله عليه وسلم» .
“রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নজদের দিকে একটি জামা‘আত পাঠালে তারা ইয়ামামার অধিবাসীদের সরদার ছুমামা ইবন আছাল নামে এক ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে আসে এবং মসজিদের খুঁটির সাথে বেধে রাখে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বের হয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করল, হে ছুমামা তোমার কী বলার আছে? তখন সে বলল, হে মুহাম্মাদ! আমার নিকট কল্যাণ রয়েছে। যদি তুমি হত্যা কর তাহলে এমন এক ব্যক্তিকে হত্যা করবে যে হত্যাযোগ্য। আর যদি পুরস্কৃত কর তাহলে এমন এক ব্যক্তিকে পুরস্কৃত করবে, যে তোমার পুরস্কারের প্রতিদান দিবে। আর যদি তুমি সম্পদ চাও তাহলে বল, তোমাকে তা দেওয়া হবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কথার কোনো প্রতি উত্তর না করে আগামী দিন পর্যন্ত তাকে সুযোগ দেন। পরের দিন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, হে ছুমামা তোমার কী বলার আছে? তখন সে বলল, আমি তোমাকে যা বলছি! যদি তুমি হত্যা কর, তাহলে এমন এক ব্যক্তিকে হত্যা করবে, যে হত্যাযোগ্য। আর যদি পুরস্কৃত কর তাহলে এমন এক ব্যক্তিকে পুরস্কৃত করবে, যে তোমার পুরস্কারের প্রতিদান দিবে। আর যদি তুমি সম্পদ চাও তাহলে বল, তোমাকে তা দেওয়া হবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কথার কোনো প্রতি উত্তর না করে আবারো তাকে পরের দিন পর্যন্ত সুযোগ দেন। পরের দিন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, হে ছুমামা তোমার কী বলার আছে? সে বলল, আমি যা বলছি! যদি তুমি হত্যা কর, তাহলে এমন এক ব্যক্তিকে হত্যা করবে, যে হত্যাযোগ্য। আর যদি পুরস্কৃত কর, তাহলে এমন এক ব্যক্তিকে পুরস্কৃত করবে, যে তোমার পুরস্কারের প্রতিদান দিবে। আর যদি তুমি সম্পদ চাও তাহলে বল, তোমাকে তা দেওয়া হবে।
তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা ছুমামাকে ছেড়ে দাও। ছুমামাকে ছেড়ে দিলে সে মসজিদের নিকটে একটি বাগানে গিয়ে গোসল করে, তারপর মসজিদে প্রবেশ করে এবং বলে, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোনো সত্যিকার ইলাহ নেই, আর আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও তার রাসূল। হে মুহাম্মাদ! আমার নিকট তোমার চেহারার চেয়ে নিকৃষ্ট কোনো চেহারা যমীনে ছিল না, আর এখন আমার নিকট তোমার চেহারা সমগ্র চেহারার চেয়ে প্রিয় চেহারায় পরিণত হয়েছে। আমি আল্লাহর শপথ করে বলছি, তোমার দীনের চেয়ে ঘৃণিত আর কোনো দীন ছিল না। আর এখন আমার নিকট তোমার দীন সবচেয়ে বেশি প্রিয় দীনে পরিণত হয়েছে। আল্লাহর শপথ করে বলছি! আমার নিকট তোমার শহর ছিল সবচেয়ে ঘৃণিত, আর এখন আমার তোমার এ শহর সবচেয়ে প্রিয় শহরে পরিণত হয়েছে। আর তোমার জামা‘আত আমাকে পাকড়াও করে নিয়ে এসেছে, আমি ওমরা করতে চাই তুমি আমাকে কি পরামর্শ দাও। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে সু-সংবাদ দেন এবং উমরা করার আদেশ দেন। সে যখন মক্কায় গমন করে, একজন তাকে বলল, তুমি দীনছুট হলে? সে বলল, না আল্লাহর শপথ আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ইসলাম গ্রহণ করেছি। আর আমি আল্লাহর শপথ করে বলছি, ইয়ামামার একটি গমের বীজও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুমতি ছাড়া এদিক সেদিক করা হবে না”। [সহীহ বুখারী, কিতাবুল মাগাযী, হাদীস নং ৪৩৭২; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৭৬৪।]
তারপর সে ইয়ামামার দিকে চলে যায় এবং সেখান থেকে তিনি মক্কার দিকে কোনো কিছু বহন করতে নিষেধ করেন। তারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট চিঠি লিখেন তুমি আমাদের আত্মীয়তা সম্পর্ক ঠিক রাখার নির্দেশ দাও, অথচ তুমি নিজে আমাদের আত্মীয়তার সম্পর্ক বিচ্ছেদ কর। তুমি আমাদের বাপ-দাদাদের তলোয়ার দ্বারা হত্যা করছ! আর আমাদের ছেলে সন্তানদের ক্ষুধা দিয়ে হত্যা করছ! এরপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছুমামার নিকট লিখেন যে, সে যেন তাদের আপন অবস্থায় ছেড়ে দেয়। [সীরাতে ইবন হিশাম ৩১৭/৪; ফাতহুল বারী ৮৮/৮।] আল্লামা ইবন হাজার রহ. উল্লেখ করেন যে, ইবন মান্দাহ স্বীয় সনদে ছুমামা ইবনুল আসালের ইসলাম গ্রহণ, তারপর ইয়ামামার দিকে ফিরে যাওয়া, কুরাইশদের প্রতিহত করা ইত্যাদি দীর্ঘ ঘটনা ও আল্লাহ তা‘আলার বাণী
“আর অবশ্যই আমরা তাদেরকে আযাব দ্ধারা পাকড়াও করলাম, তবুও তারা তাদের রবের কাছে নত হয় নি এবং বিনীত প্রার্থনাও করে না”। [সুরা আল-মুমিনূন, আয়াত: ৭৬] নাযিল হওয়ার ঘটনা আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস থেকে বর্ণনা করেন, আহলে ইয়ামামা যখন মুরতাদ হয়ে যায় তখন ছুমামা মুরতাদ হয় নি। সে ইসলামের ওপর অটল অবিচল থাকে। তিনি তার অনুসারীদের নিয়ে ‘আলা ইবন হাযরামীর দলভুক্ত হন এবং তাদের সাথে একত্র হয়ে বাহরাইনের অধিবাসীদের যারা মুরতাদ হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন এবং তাদের হত্যা করেন। [দেখুন: আল-ইসাবাহ ২০৩/১।]
আল্লাহু আকবর! রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হিকমত কতই না মহান ছিল! এবং তিনি কতই না মহত্বের অধিকারী ছিলেন! রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ব্যবহার ও আখলাক দ্বারা মানুষের অন্তরকে আকৃষ্ট করত। যাদের থেকে ইসলামের আশা করত, তাদের সাথে বিনম্র ব্যবহার করত। বিশেষ করে যারা কোনো গোত্রের সরদার, যাদের আওতায় অনেক লোক রয়েছে, তাদের ইসলাম গ্রহণ করার দ্বারা আরও অনেক লোক ইসলাম কবুল করবে, তাদের সাথে তিনি অত্যন্ত সর্তকতার সাথে কাজ চালিয়ে যেতেন।
একজন দা‘ঈর জন্য উচিৎ হলো, সে অপরাধীর ক্ষমা করার বিষয়টি প্রতিশোধ নেওয়া হতে বড় করে দেখবে। কারণ, এখানে আমরা দেখতে পাই যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন তার দিকে দয়া ও ক্ষমার হাত প্রসার করল, মুহূর্তের মধ্যে ছুমামা যে জিনিসটিকে ঘৃণা করত, তা তার নিকট সর্বাধিক প্রিয় বস্তুতে পরিণত হলো। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ক্ষমা ছুমামার জীবনে অসাধারণ পরিবর্তন আনল। তিনি শুধু ইসলামই গ্রহণ করেন নি, তবে তিনি নিজে ইসলামের ওপর আমরণ অটল অবিচল থাকলেন এবং ইসলামের একজন দা‘ঈতে পরিণত হলেন। [ফাতহুল বারী ৮৮/৮; শরহে নববী লিল মুসলিম, ৮৯/১২।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/454/25
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।