hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আল্লাহর দিকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দাওয়াতের বাস্তব কিছু নমুনা

লেখকঃ সাঈদ ইবন আলী ইবন ওহাফ আল-কাহতানী

২৭
তিন. ইয়াহূদীদের একজন বড় জ্ঞানী যায়েদ ইবন সায়ানার সাথে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আচরণ
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্বভাব হলো, প্রতিশোধ নেওয়ার ক্ষমতা থাকলে তিনি প্রতিশোধ না নিয়ে ক্ষমা করে দিতেন, ক্রোধের সময় তিনি ধৈর্যশীল ও সহনশীল থাকতেন। কেউ অপরাধ করলে তার প্রতি ভালো ব্যবহার করতেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দা‘ওয়াতে সাড়া দেওয়া, তার রিসালাতের প্রতি ঈমান আনা এবং তার নেতৃত্বে একত্র হওয়ার অন্যতম কারণ হলো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মহান ও উন্নত চরিত্র। ইয়াহূদীদের বড় আলেম এবং একজন বিশিষ্ট পাদ্রী যায়েদ ইবন সায়ানার সাথে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আচরণের একটি ঘটনা: [দেখুন: হাযাল হাবীবু ইয়া মুহিব্ব ৫২৮; হিদায়াতুল মুরশিদীন ৩৮৪।]

«جاء زيد بن سعنة إلى رسول اللَّه صلى الله عليه وسلم يطلبه ديناً لـه، فأخذ بمجامع قميصه وردائه وجذبه، وأغلظ لـه القول، ونظر إلى النبي صلى الله عليه وسلم بوجه غليظ وقال : يا محمد، ألا تقضيني حقي، إنكم يا بني عبد المطلب قوم مُطْلٌ، وشدّد لـه في القول، فنظر إليه عمر وعنياه تدوران في رأسه كالفلك المستدير، ثم قال : يا عدو اللَّه، أتقول لرسول اللَّه صلى الله عليه وسلم ما أسمع، وتفعل ما أرى، فوالذي بعثه بالحق لولا ما أحاذر لومه لضربت بسيفي رأسك، ورسول اللَّه صلى الله عليه وسلم ينظر إلى عمر في سكون وتُؤَدَةٍ وتَبَسُّمٍ، ثم قال : [ أنا وهو يا عمر كنا أحوج إلى غير هذا منك يا عمر، أن تأمرني بحسن الأداء، وتأمره بحسن التقاضي، اذهب به يا عمر فاقضه حقه، وزده عشرين صاعاً من تمرٍ [ ، فكان هذا سبباً لإسلامه، فقال : أشهد أن لا إله إلا اللَّه، وأشهد أن محمداً عبده ورسوله»

“যায়েদ ইবন সায়ানা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট ঋণ বাবদ তার পাওনা চাইতে আসে। সে এসেই তার জামার কলার ও চাদরের একত্রস্থান টেনে ধরে এবং অত্যন্ত কঠোর ভাষায় বলে। তারপর সে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দিকে চোখ রাঙিয়ে তাকিয়ে বলে, হে মুহাম্মাদ! তুমি কি আমার পাওনা আদায় করবে না? তোমরা বনী মুত্তালিবরা অবশ্যই টাল-বাহানাকারী সম্প্রদায়! সে এ ছাড়াও আরও কঠিন কথা বলে। উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু তার দিক তাকিয়ে দেখল, তার দুই চোখ মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিল। তারপর সে বলল, হে আল্লাহর শত্রু! তুমি আমার চোখের সামনে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এসব কথা বলছ! রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে এ ধরনের ব্যবহার করছ! আমি ঐ আল্লাহর শপথ করে বলছি, যিনি তাকে সত্যের পয়গাম নিয়ে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন, যদি আমি তার ভর্ৎসনাকে ভয় না করতাম, তবে আমি আমার তলোয়ার দিয়ে তোমার মাথাকে উড়িয়ে দিতাম। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নীরবে ও মুচকি হেসে উমারের কথার দিকে লক্ষ্য করেন। তারপর তিনি বলেন, হে উমার বিষয়টি আমার ও তার ব্যাপার। আমরা তোমার চেয়ে অন্য কিছু আশা করছিলাম। (এ ধরনের আচরণ তোমার থেকে আমরা আশা করি নি) তুমি আমাকে আদেশ করতে পারতে তার পাওনা পরিশোধ করতে, আর তাকে নির্দেশ দিতে পারতে নম্রভাবে তার পাওনা আমার নিকট চাইতে। হে উমার! তুমি তাকে নিয়ে যাও এবং তার পাওনা তাকে দিয়ে দাও। আর (যেহেতু তুমি তার সাথে ভালো ব্যবহার কর নি তার বিনিময়ে) তাকে তুমি বিশ সা‘ বেশি দাও। এ ঘটনাটিই ছিল লোকটির ইসলাম গ্রহণের কারণ। তারপর সে বলে, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল।

এ ঘটনার পূর্বে যায়েদ বলত, আমি শেষ নবীর সব আলামতই মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চেহারায় দেখতে পাই। কিন্তু দু’টি বিষয় আমার অজানা ছিল, যেগুলো আমাকে জানানো হয় নি। এক- তার ধৈর্য তার জাহালাতের ওপর প্রাধান্য পায়। দুই- অজ্ঞতা যত বাড়তে থাকে তার ধৈর্যও তত বেশি বাড়তে থাকে।

তিনি এ ঘটনার মাধ্যমে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরীক্ষা করেন, তারপর সে যেভাবে বর্ণনা করেন সেভাবেই তাকে পান। ফলে ঈমান আনেন এবং ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে বিভিন্ন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং তাবুকের যুদ্ধে শত্রুর মোকাবেলা করতে করতে যখন সামনের দিকে অগ্রসর হন, তখন তিনি শাহাদাত বরণ করেন। [আল-ইসাবাহ ফি তামীযিয সাহাবাহ ৫৬৬/১।]

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনীতে এ ধরনের আরও অসংখ্য প্রমাণাদি রয়েছে, যেগুলো প্রমাণ করে তার নবুওয়াতের সত্যতা ও যথার্থতা ওপর। আর তিনি আল্লাহর দীনের যে দা‘ওয়াত নিয়ে এসেছেন তা হলো, পরম সত্য তার মধ্যে মিথ্যার কোনো অবকাশ নেই।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন