মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
আল্লাহর দিকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দাওয়াতের বাস্তব কিছু নমুনা
লেখকঃ সাঈদ ইবন আলী ইবন ওহাফ আল-কাহতানী
৩১
সাত. একজন যুবক রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট ব্যভিচার করার অনুমতি চাইলে তার সাথে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আচরণ
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/454/31
আবি উমামা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«إن فتىً شاباً أتى النبي صلى الله عليه وسلم فقال : يا رسول اللَّه، ائذن لي بالزنا، فأقبل القوم عليه فزجروه، وقالوا لـه : مه مه ! فقال لـه : ادنه، فدنا منه قريباً، قال : [ أتحبه لأمك؟ [ قال : لا واللَّه، جعلني اللَّه فداءك، قال : [ ولا الناس يحبونه لأمهاتهم [. قال : [ أفتحبه لابنتك؟ [ قال : لا واللَّه يا رسول اللَّه، جعلني اللَّه فداءك . قال : [ ولا الناس يحبونه لبناتهم [. قال : [ أفتحبه لأختك؟ [ قال : لا واللَّه جعلني اللَّه فداءك . قال : [ ولا الناس يحبونه لأخواتهم [. قال : [ أفتحبه لعمتك؟ [ قال : لا واللَّه، جعلني اللَّه فداءك . قال : ولا الناس يحبونه لعماتهم . قال : [ أفتحبه لخالتك؟ [ قال : لا واللَّه جعلني اللَّه فداءك . قال : [ ولا الناس يحبونه لخالاتهم قال : فوضع يده عليه، وقال : [ اللَّهم اغفر ذنبه، وطهر قلبه، وحصّن فرجه [ ، فلم يكن بعد ذلك الفتى يلتفت إلى شيء»
“একজন যুবক রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আমাকে যিনা করার অনুমতি দিন। তার কথা শুনে সবাই তাকে ধমক দিতে শুরু করে এবং তাকে থাম থাম! বলতে থাকে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, তুমি কাছে আস! যখন কাছে আসল, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, তুমি তোমার মায়ের সাথে যিনা করতে পছন্দ কর? সে বলল, না আল্লাহর শপথ করে বলছি। আল্লাহ তা‘আলা আমাকে আপনার জন্য কুরবান করুক। কোনো মানুষই তার মায়ের সাথে ব্যভিচার করতে পছন্দ করে না। তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, তুমি তোমার মেয়ের সাথে যিনা করতে পছন্দ কর? সে বলল, না আল্লাহর শপথ করে বলছি। আল্লাহ তা‘আলা আমাকে আপনার জন্য কুরবান করুক। কোনো মানুষই তার মেয়ের সাথে ব্যভিচার করতে পছন্দ করে না। তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, তুমি তোমার ফুফুর সাথে যিনা করতে পছন্দ কর? সে বলল, না আল্লাহর শপথ করে বলছি। আল্লাহ তা‘আলা আমাকে আপনার জন্য কুরবান করুক! কোনো মানুষই তার ফুফুর সাথে ব্যভিচার করতে পছন্দ করে না। তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম তাকে বললেন, তুমি তোমার খালার সাথে যিনা করতে পছন্দ কর? সে বলল, না আল্লাহর শপথ করে বলছি। আল্লাহ তা‘আলা আমাকে আপনার জন্য কুরবান করুক। কোনো মানুষই তার খালার সাথে ব্যভিচার করতে পছন্দ করে না। তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার হাত তার উপর রাখেন এবং বললেন, হে আল্লাহ! তুমি তার গোনাহ মাপ কর, তার অন্তর পরিষ্কার কর এবং লজ্জাস্থানের হিফাযত কর। তারপর থেকে যুবকটি কখনোই এদিক সেদিক তাকায় নি”। [আহমদ তার মুসনাদে ২৫৭/২।]
লক্ষণীয় বিষয় হলো, যারা আল্লাহর দিকে মানুষদের দা‘ওয়াত দেয় তাদের জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এ আদর্শে রয়েছে উত্তম চরিত্র। তাদের উচিৎ তারা যেন মানুষের সাথে বিনম্র আচরণ করে তাদের প্রতি দয়ার্দ্র থাকে। বিশেষ করে ইসলামে প্রবেশের জন্য যাদের অনুকূলতার প্রয়োজন হয় অথবা যাদের ঈমানের মজবুতি ও ইসলামের ওপর অবিচলতা একান্ত কাম্য হয়।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেভাবে মানুষের সাথে বাস্তবিক উত্তম নম্র ও ভদ্র ব্যবহার করতেন অনুরূপভাবে তিনি আমাদেরকে সব সময় উত্তম নম্র ও ভদ্র ব্যবহারের জন্য আদেশ দেন। এ বিষয়ে কয়েকটি হাদীস নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
এক. আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«دخل رهط من اليهود على رسول اللَّه صلى الله عليه وسلم فقالوا : السامُ عليكم . قالت عائشة : ففهمتها فقلت : وعليكم السامُ واللعنة . قالت : فقال رسول اللَّه صلى الله عليه وسلم : [ مهلاً يا عائشة إن اللَّه يحب الرفق في الأمر كله، [ فقلت : يا رسول اللَّه أولم تسمع ما قالوا؟ قال رسول اللَّه صلى الله عليه وسلم : [ قد قلت : وعليكم» .
“ইয়াহূদীদের একটি জামা‘আত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট প্রবেশ করে বলে, আসসামু আলাইকুম, আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, আমি তাদের কথা বুঝতে পেরে বলি এবং তোমাদের ওপর সাম ও অভিশাপ। তিনি বলেন, তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, হে আয়েশা তুমি থাম! আল্লাহ তা‘আলা প্রতিটি ক্ষেত্রে নম্রতাকে পছন্দ করে। আমি বললাম হে আল্লাহর রাসূল! তারা কি বলছে আপনি শোনে নি? তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তুমিতো ওয়াআলাইকুম বলছ”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬০২৪।]
তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন,
«يا عائشة إن اللَّه رفيق يحب الرفق، ويعطي على الرفق ما لا يُعطي على العُنْف، وما لا يُعطي على ما سواه»
“হে আয়েশা! আল্লাহ তা‘আলা রফীক, তিনি প্রতিটি কাজে নম্রতাকে পছন্দ করেন। নমনীয়তার ওপর তিনি যা দেন কঠোরতার ওপর তিনি তা দেন না এবং তা ছাড়া অন্য কিছুর ওপর তিনি তা দেন না”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৫৯৩।]
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন,
«إن الرفق لا يكون في شيء إلا زانه، ولا يُنْزع من شيء إلا شانه» .
“যে কোনো জিনিসের মধ্যে নমনীয়তা তার সৌন্দর্যকে বৃদ্ধি করে আর যে কোনো কাজে নমনীয়তা থাকবে না, তা তাকে ত্রুটিযুক্ত করবে”। [পূর্বের রেফারেন্স ২৫৯৪।]
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্ণনা করেন, أن من حُرِمَ الرفق فقد حرم الخير، যে ব্যক্তি নম্রতা থেকে বঞ্চিত, সে যাবতীয় কল্যাণ থেকে বঞ্চিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, من يحرم الرفق يحرم الخير যে ব্যক্তি নম্রতা থেকে বঞ্চিত, সে অবশ্যই যাবতীয় কল্যাণ থেকে বঞ্চিত। [পূর্বের রেফারেন্স ২৫৯২।] আবু দারদা থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«من أٌعطيَ حظه من الرفق فقد أعطي حظه من الخير، ومن حُرِمَ حظه من الرفق فقد حرم حظه من الخير»
“যাকে নম্রতা থেকে কিছু অংশ দেওয়া হয়েছে, তাকে কল্যাণ থেকে একটি অংশ দেওয়া হয়েছে। আর যাকে নম্রতা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে তাকে যাবতীয় কল্যাণের থেকে আংশিক বঞ্চিত করা হয়েছে”। [তিরমিযী, হাদীস নং ২০১৩।]
তার থেকে আরও বর্ণিত তিনি বলেন,
«من أعطي حظه من الرفق أعطي حظه من الخير، وليس شيء أثقل في الميزان من الخُلُق الحسن»
“যাকে নম্রতা থেকে কিছু অংশ দেওয়া হয়েছে, তাকে কল্যাণ থেকে একটি অংশ দেওয়া হয়েছে। উত্তম চরিত্র থেকে আর কোনো কিছুই কিয়ামতের দিন পাল্লায় এর চেয়ে বেশি ভারি হবে না”। [মুসানাদে আহমদ ৪৫১/৬।]
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إنه من أعطي حظه من الرفق فقد أعطي حظه من خير الدنيا والآخرة، وصلة الرحم، وحسن الخلق، وحسن الجوار يعمران الديار ويزيدان في الأعمار»
“যাকে রিফক থেকে কিছু অংশ দেওয়া হয়ে থাকে, তাকে দুনিয়া ও আখিরাতের যাবতীয় কল্যাণ থেকে একটি অংশ দেওয়া হয়ে থাকে। আত্মীয়দের সাথে সুসম্পর্ক, উত্তম চরিত্র, প্রতিবেশীদের সাথে সু-ব্যবহার ইহকালকে সুন্দর করে এবং বয়সকে বাড়িয়ে দেয়”। [মুসনাদে আহমদ ১৫৯/৬।]
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাবতীয় সমস্ত কাজে নম্রতাকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকেন এবং রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কথা, কাজ ও বর্ণনার দ্বারা এর গুরুত্ব পরিপূর্ণভাবে তুলে ধরেন, যাতে তার উম্মতগণ তাদের যাবতীয় কাজে নমনীয়তা প্রদর্শন করেন। বিশেষ করে যারা আল্লাহর দিকে মানুষকে আহ্বান করেন, তাদের জন্য মানুষের সাথে দা‘ওয়াতী ময়দানে, যাবতীয় লেনদেন ও কর্মে নমনীয়তা প্রদর্শন সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। উল্লিখিত হাদীসগুলো নম্রতার ফযীলত বর্ণনা করে এবং নম্রতার গুণে গুণান্বিত হওয়ার প্রতি উৎসাহ দেয়। এ ছাড়াও হাদীসে উত্তম চরিত্রে চরিত্রবান হওয়ার প্রতি বিশেষ উৎসাহ দেওয়া হয়। কঠোরতা ও যারা কঠোরতা করে তাদের দুর্নাম করা হয়ে এবং খারাব চরিত্র থেকে দূরে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
মনে রাখতে হবে, নম্রতা যাবতীয় কল্যাণ লাভের কারণ। নম্রতা দ্বারা মানুষ তার অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে এবং তার উদ্দেশ্য হাসিল করা সম্ভব হয়। আল্লাহ তা‘আলা নম্রতার ওপর এত বেশি সাওয়াব দান করেন, যা অন্য কোনো নেক আমল বা নম্রতার বিপরীত কঠোরতা দ্বারা লাভ করা সম্ভব হয় না।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার উম্মতের ওপর কঠোরতা করতে নিষেধ করেন। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আমার ঘরে বলতে শুনেছি। তিনি বলেন,
«اللَّهم من ولي من أمر أمتي شيئاً فشقّ عليهم، فاشقق عليه، ومن ولي من أمر أمتي شيئاً فرفق بهم فارفق به»
“হে আল্লাহ যদি কোনো ব্যক্তি আমার উম্মতের দায়িত্বশীল হয়, তারপর তাদের ওপর কঠোরতা করে, তুমিও তার ওপর কঠোরতা করবে। আর যে ব্যক্তি আমার উম্মতের ওপর দায়িত্বশীল হওয়ার পর তাদের নম্রতা দেখায়। হে আল্লাহ তাদের সাথে তুমি নমনীয় আচরণ কর”। [সহীহ মুসলিম, কিতাবুল জিহাদ, হাদীস নং ১৮২৮।]
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোনো সাহাবীকে কোনো কাজে বাহিরে পাঠান, তাদের তিনি সহজ করতে নির্দেশ দেন এবং তাদের তিনি কঠোরতা করতে না করেন।
আবূ মূসা আশ‘আরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«كان رسول اللَّه صلى الله عليه وسلم : إذا بعث أحداً من أصحابه في بعض أموره قال : «بشِّرُوا ولا تُنفِّرُوا، ويسِّرُوا ولا تُعسِّرُوا»
“রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোনো ব্যক্তিকে কোনো বিষয়ে কোথাও পাঠাতেন তখন তাদের তিনি বলতেন, তোমরা তাদের সু-সংবাদ দাও, তাদের তোমরা দূরে সরাবে না। তোমরা তাদের জন্য সহজ করে দাও তাদের ওপর কঠোরতা করো না”। [সহীহ মুসলিম, কিতাবুল জিহাদ ১৩৫৮/৩, ১৭৩২।]
«وقال صلى الله عليه وسلم لأبي موسى الأشعري ومعاذ حينما بعثهما إلى اليمن : «يسَّرا ولا تعسِّرا، وبشِّرا ولا تنفِّرا، وتطاوَعَا ولا تختلِفَا»
“রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ মূসা আশ‘আরী রাদিয়াল্লাহু আনহু ও মুয়ায ইবন জাবাল রাদিয়াল্লাহু আনহু যখন ইয়ামনের দিকে পাঠান তখন তিনি বলেন, তোমরা উভয় সহজ করো কঠিন করো না, তোমরা সু-সংবাদ দাও দূরে সরাবে না। তোমরা একমত থাকবে মতবিরোধ করবে না”। [সহীহ বুখারী, কিতাবুল মাগাযী, হাদীস নং ৪৩৫৪, ৭৪৩৪৪; সহীহ মুসলিম, কিতাবুল জিহাদ, হাদীস নং ১৭৩৩।]
আনাস ইবন মালেক থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
وعن أنس بن مالك قال : قال رسول اللَّه صلى الله عليه وسلم : « [ يسِّرُوا ولا تعسِّرُوا، وبشِّرُوا ولا تنفِّرُوا»
“তোমরা সহজ কর কঠিন করো না তোমরা তাদের সুসংবাদ দাও তাদের দূরে সরাবে না”। [সহীহ বুখারী, কিতাবুল ইলম, হাদীস নং ৬৯; সহীহ মুসলিম, কিতাবুল জিহাদ, হাদীস নং ১৭৩২।]
উল্লিখিত হাদীসসমূহে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা উম্মতদের সহজ করতে নির্দেশ এবং এমন কোনো নির্দেশ দিতে না করেন, যা তাদেরকে তোমাদের থেকে দূরে সরাবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উল্লিখিত হাদীসগুলোতে দু’টি বিষয় নরম তার বিপরীতে গরম উভয়টি একত্র করে আলোচনা করেন। কারণ একজন মানুষ এক সময় নরম দেখাবে আবার অন্য সময় গরম দেখাবে। কখনো সময় সুসংবাদ দিবে আর কখনো সময় ভয় দেখাবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উভয় দিকটিকে একত্র করেন। কারণ, তিনি যদি শুধু তোমরা কঠোরতা করো না এ কথা বলতেন অথবা তোমরা সুসংবাদ দাও শুধু এ কথা বলতেন তাহলে মানুষ তার বিপরীত কাজ করা হতে একদম বিরত থাকত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসব হাদীসে আল্লাহ তা‘আলার অশেষ রহমত, মহান সাওয়াব, তার নি‘আমত ও ব্যাপক রহমতের প্রতি মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেন। অপর দিকে তিনি ভয় দেখানোর মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলার ‘আযাব থেকে মানুষকে সতর্ক করেন। এখানে যারা নতুন ইসলাম গ্রহণ করেছে তাদের ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট করা হয়ে থাকে। কারণ, তাদের প্রতি কোনো প্রকার কঠোরতা করা হয় নি। এতে এ কথা স্পষ্ট হয় আরও যেসব বাচ্চারা নিকটে বালেগ হয়েছে বা কোনো গোনাহগার নতুন তাওবা করেছে তাদের সাথে নমনীয় দেখানো ভালো। তাদের সাথে কোনো প্রকার কঠোরতা দেখানো উচিৎ নয়। ইসলামের কোনো বিধানই এ সাথে নাযিল হয়ে যায় নি; বরং সব বিধানই আস্তে আস্তে নাযিল হয়েছে যাতে উম্মতের ওপর কঠিন না হয়, বরং উম্মতের জন্য সহজ হয়। কারণ, একজন ব্যক্তি যখন দেখতে পাবে ইসলাম পালন করা সহজ, তখন সে ইসলামে প্রবেশে আগ্রহী হবে। আর যখন দেখতে পাবে ইসলাম পালন করা এতটা সহজ নয় তখন সে ইসলামে প্রবেশ হতে দূরে থাকবে। সুতরাং মনে রাখতে হবে যে কোনো তা‘লীম তরবিয়ত ধীরে ধীরে হওয়া চাই। এক সাথে সব কিছু তা‘লীম দেওয়া যায় না। এ কারণে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাহাবীদের তা‘লীমের ব্যাপারে মাঝে মাঝে বিরতি দিতেন যাতে তারা বিরক্ত না হয়ে যায়। [দেখুন: ফতহুল বারী ১৬৩, ১৬২/১।]
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার উম্মতকে সব ভালো কাজের দিকে পথ দেখান, আর তাদেরকে সব ধরনের মন্দ ও খারাব কাজ থেকে ভয় দেখান ও সতর্ক করেন। আর যারা তার উম্মতের ওপর কঠোরতা করে তাদের জন্য তিনি অভিশাপ করেন। আর যারা তার উম্মতের জন্য সহজ করেন এবং নম্রতা প্রদর্শন করেন তাদের জন্য তিনি দো‘আ করেন। যেমনটি আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার হাদীসে অতিবাহিত হয়েছে। এ ছিল যারা উম্মতের ওপর কঠোরতা আরোপ করে তাদের জন্য কঠিন হুমকি আর যারা উম্মতের জন্য সহজ করে তাদের জন্য চূড়ান্ত উৎসাহ। [দেখুন: শরহে নববী ২১৩/২।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/454/31
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।