hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আল্লাহর দিকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দাওয়াতের বাস্তব কিছু নমুনা

লেখকঃ সাঈদ ইবন আলী ইবন ওহাফ আল-কাহতানী

১১
তিন. মক্কায় প্রবেশে হিকমত অবলম্বন
তায়েফ থেকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কার দিকে রওয়ানা দেন এবং মক্কার নিকটে এসে তিনি মুত‘ঈম ইবন ‘আদির নিকট তাকে আশ্রয় দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে একজন লোক পাঠান। মুত‘ঈম প্রস্তাব পেয়ে বলল, ঠিক আছে, আমি তাকে আশ্রয় দিব। সে তার ছেলে-সন্তান ও কাওমের লোকদের ডেকে বলল, তোমরা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে বায়তুল্লাহর নিকট অবস্থান নাও; আমি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আশ্রয় দিয়েছি। তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যায়েদ ইবন হারেসাকে সঙ্গে নিয়ে মক্কায় প্রবেশ করেন, মসজিদে হারামের নিকট পৌছলে মুত‘ঈম ইবন ‘আদি তার আরোহণের উপর দাঁড়িয়ে ঘোষণা দেন, হে কুরাইশ সম্প্রদায়! আমি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আশ্রয় দিয়েছি। সুতরাং তোমরা কেউ তাকে অপমান করতে পারবে না কোনো প্রকার মারধর করতে পারবে না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কায় প্রবেশ করার পর রোকনে ইয়ামনিকে স্পর্শ করেন এবং দুই রাকাত সালাত আদায় করেন। তারপর মুত‘ঈম ইবন ‘আদি ও তার ছেলেদের নিরাপত্তা বেষ্টনীতে তার ঘরে ফিরে যান। [যাদুল মা‘আদ: ৩৩/৩; আর-রাহীকুল মাখতুম, পৃ. ১২৫; বিদায়া ওয়ান নিহায়া ১৩৭/৩; আর-রাহীকুল মাখতুম, পৃ. ১২২।]

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তায়েফ থেকে ফিরে এসে মক্কায় দ্বিতীয়বার প্রবেশ, তাদের ইসলামের দিকে দা‘ওয়াত দেওয়ার বিষয়ে তার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করা এবং মানুষ তার ডাকে সাড়া না দেওয়াতে তার নৈরাশ না হওয়া স্পষ্ট প্রমাণ করে, তিনি যে কত বড় প্রত্যয়ী, মহান ও সাহসী ছিলেন। তায়েফের অধিবাসীদের দা‘ওয়াত দিতে গিয়ে তার সব কৌশল ফেল হওয়ার পরও, তিনি দা‘ওয়াতের জন্য আবারো নতুন কৌশলের সন্ধান করতে থাকে। কীভাবে মানুষকে আল্লাহর সাথে সম্পৃক্ত করা যায় এ চিন্তায় তিনি ছিলে সব সময় বিভোর।

এতে এ কথা দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দা‘ওয়াতের ক্ষেত্রে যত রকম কৌশল অবলম্বন করেন, একজন দা‘ঈর জন্য এগুলোই হলো, অনুকরণীয় আদর্শ। কারণ, তিনি হলেন, সব কিছুর উস্তাদ; তার চেয়ে বড় দা‘ঈ আর কেউ কোনো দিন হতে পারবে না। তিনি যখন তায়েফে গমন করেন, প্রথমে তিনি তায়েফের বড় বড় নেতাদের ইসলামের দা‘ওয়াত দেন। কারণ, তিনি জানতেন বড় বড় নেতারা যখন ইসলামে প্রবেশ করবে, তখন অবশিষ্ট গোত্রের লোকেরা তাদের দেখে দেখে অতি সহজেই ইসলাম গ্রহণ করবে।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রক্তাক্ত হওয়া প্রমাণ করে যারাই মানুষকে আল্লাহর পথের দা‘ওয়াত দিবে, তাদের অবশ্যই বিপদের সম্মুখীন এবং নির্যাতনের স্বীকার হতে হবে। যত বড় হিকমতই অবলম্বন করুক না কেন, তাদেরকে অবশ্যই ঈমানের পরীক্ষা দিতে হবে।

আল্লাহ তা‘আলা তার নবীকে জগত বাসীর জন্য রহমত হিসেবেই পাঠান। এ কারণেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর কাফিরদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের অমানবিক ও অমানুষিক নির্যাতন সত্বেও তার কাওমের লোকের বিরুদ্ধে তিনি কোনো প্রকার বদ-দো‘আ করে নি ও তাদের অভিশাপ করেন নি। পাহাড়ের নিয়ন্ত্রক ফিরিশতা যখন তাদের নিষ্পেষিত বা ধ্বংস করে দিতে চাইল, তাতেও তিনি রাজি হন নি। একজন দা‘ঈর জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ থেকে অনেক কিছুই শেখার আছে। দেখুন! যারা তার দা‘ওয়াতকে প্রত্যাখ্যান করল, তাদের হেদায়েতের ব্যাপারে তিনি কখনোই হতাশ হন নি, বরং তিনি আশা করেন, তারা যদিও আমার দা‘ওয়াত গ্রহণ করে নি; কিন্তু হতে পারে তাদের বংশের মধ্যে এমন এক প্রজন্মের আভির্ভাব হবে, যারা আমার এ দা‘ওয়াতের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করবে, আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে এবংআল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করবে না।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তায়েফ হতে মক্কায় ফিরে আসার ঘটনায় আমরা আরও অনেক বুদ্ধিমত্তা ও হিকমত দেখতে পাই, তা হলো, তিনি মুত‘ঈম ইবন ‘আদির নিরাপত্তা নিয়েই মক্কায় প্রবেশ করেন; একা একা প্রবেশ করেন নি। তিনি ইচ্ছা করলে হঠকারিতা অবলম্বন করতে পারত। দুঃসাহস দেখিয়ে হুট করে প্রবেশ করতে পারত; কিন্তু তিনি তা করেন নি, বরং তিনি একটি নিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন। সুতরাং একজন দা‘ঈর জন্য জরুরী হলো, সে তার দা‘ওয়াতী ময়দানে এমন লোককে খুঁজবে, যে তাকে তার দুশমনদের আক্রমণ ও ষড়যন্ত্র হতে রক্ষা করবে এবং কোনো প্রকার হঠকারিতা দেখাবে না। কারণ, হৎকারী সিদ্ধান্তের কারণে একজন দা‘ঈ তার অভিষ্ট লক্ষে পৌঁছতে পারে না। অভিষ্ট লক্ষে পৌঁছতে হলে, তাকে অবশ্যই নিয়মের আওতায় আসতে হবে। [দেখুন: মুস্তফা আস সাবায়ীর সীরাতে নববী দুরুস ও উপদেশ, পৃ. ৫৮; যাদুল মা‘আদ ৩১/৩; আর-রাহীকুলা মাখতুম, পৃ. ১২২; বিদায়া ওয়ান নিহায়া ১৩৫/৩; হাযাল হাবীবু ইয়া মুহিব্ব, পৃ. ১৩২; আর-রাহীকুল মাখতুম, পৃ. ১২২।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন