hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আল্লাহর দিকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দাওয়াতের বাস্তব কিছু নমুনা

লেখকঃ সাঈদ ইবন আলী ইবন ওহাফ আল-কাহতানী

৩৯
ঙ. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাথে যারা ইসলাম গ্রহণ করছে, তাদের সাথে মুরাইসী-এর যুদ্ধে গাদ্দারী ও তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র
এ যুদ্ধে আব্দুল্লাহ ইবন উবাই ইবন সলুল কয়েকটি নির্লজ্জ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়, যেগুলো তার শাস্তি ও হত্যাকে ওয়াজিব করে। কিন্তু তা সত্ত্বেও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কমবখত মুনাফিকটিকে কোনো প্রকার শাস্তি দেন নি বা হত্যা করেন নি।

এক. মুনাফিকরা এ যুদ্ধে ইফকের ঘটনা আবিষ্কার করে এবং তারাই এর পিছনে পড়ে। তাদের মধ্যে যে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে সে হলো, আব্দুল্লাহ ইবন উবাই ইবন সলুল। [দেখুন: ইফকের ঘটনা। সহীহ বুখারী, কিতাবুল মাগাযী, পরিচ্ছেদ: হাদীসুল ইফক, হাদীস নং ৪১৪১; কিতাবুত তাফসীর, সুরা আন-নূর: আল্লাহর বানী -وَلَوْلا إِذْ سَمِعْتُمُوهُ قُلْتُم مَّا يَكُونُ لَنَا أَن نَّتَكَلَّمَ بِهَذَا سُبْحَانَكَ هَذَا بُهْتَانٌ عَظِيمٌ ৪৫২/২; সহীহ মুসলিম, কিতাবুত তাওবাহ ২১২৯/৪।]

দুই. এ যুদ্ধে আব্দুল্লাহ ইবন উবাই ইবন সলুল বলেছিল,

﴿لَئِن رَّجَعۡنَآ إِلَى ٱلۡمَدِينَةِ لَيُخۡرِجَنَّ ٱلۡأَعَزُّ مِنۡهَا ٱلۡأَذَلَّۚ وَلِلَّهِ ٱلۡعِزَّةُ وَلِرَسُولِهِۦ وَلِلۡمُؤۡمِنِينَ وَلَٰكِنَّ ٱلۡمُنَٰفِقِينَ لَا يَعۡلَمُونَ﴾المنافقون :8

“যদি আমরা মদীনায় ফিরে যাই, তাহলে অবশ্যই সেখান থেকে প্রবলরা দুর্বলদেরকে বহিষ্কার করবে। কিন্তু সকল মর্যাদাতো আল্লাহর, তার রাসূলের ও মুমিনদের, কিন্তু মুনাফিকরা তা জানে না”। [সুরা আল-মুনাফিকূন, আয়াত: ৮] [আরো দেখুন: সহীহ বুখারী, কিতাবুত তাফসীর, আল্লাহ তা‘আলার বাণী - سَوَاءٌ عَلَيْهِمْ أَسْتَغْفَرْتَ لَهُمْ أَمْ لَمْ تَسْتَغْفِرْ لَهُمْ لَن يَغْفِرَ اللَّهُ لَهُمْ إِنَّ اللَّهَ لا يَهْدِي الْقَوْمَ الْفَاسِقِينَ , হাদীস নং ৪৯০৫; সহীহ মুসলিম, কিতাবল বির ওয়াস সিলাহ, পরিচ্ছেদ: তোমার ভাই যালিম ও মযলুমকে সাহায্য করা বিষয় ১৯৯৮/৪; সীরাতে ইবন হিশাম ৩৩৪/৩।]

তিন. আল্লাহর শত্রু আব্দুল্লাহ ইবন উবাই বলেছিল, তোমরা তাদের জন্য তোমাদের ধন সম্পদ থেকে খরচ করো না। আল্লাহ তা‘আলা তার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন,

﴿هُمُ ٱلَّذِينَ يَقُولُونَ لَا تُنفِقُواْ عَلَىٰ مَنۡ عِندَ رَسُولِ ٱللَّهِ حَتَّىٰ يَنفَضُّواْۗ وَلِلَّهِ خَزَآئِنُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ وَلَٰكِنَّ ٱلۡمُنَٰفِقِينَ لَا يَفۡقَهُونَ﴾ [ المنافقون :7]

“তারাই বলে, যারা আল্লাহর রাসূলের কাছে আছে তোমরা তাদের জন্য খরচ করো না, যতক্ষণ না তারা সরে যায়। আর আসমানসমূহ ও যমীনের ধন-ভাণ্ডার তো আল্লাহরই, কিন্তু মুনাফিকরা তা বুঝে না”। [সুরা আল-মুনাফিকূন, আয়াত: ৭]

ফিতনার আগুন নিবানো ও আব্দুল্লাহ ইবন উবাইয়ের খারাবী থেকে আত্মরক্ষার জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এ হিকমত বা কৌশল স্পষ্ট। তিনি আল্লাহর অনুগ্রহ, তারপর ধৈর্য ও সহনশীলতার মাধ্যমে তার সকল ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করেন। তার নির্যাতন অন্যায় অনাচারের কোনো রকম প্রতিবাদ না করে তাকে ক্ষমা ও তার প্রতি উদারতা দেখানোর মাধ্যমে তিনি সব কিছু সমাধান করেন। কারণ, সে মুখে ইসলাম প্রকাশ করত, তার সাথে যদি কোনো সংঘর্ষে যাওয়া হতো, ইসলামের দা‘ওয়াত বাধাগ্রস্ত হবে এ আশংকায় উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি অনুমতি দেন আমি তাকে হত্যা করে ফেলি, তখন তিনি বলেন,

«دعه حتى لا يتحدث الناس أن محمداً يقتل أصحابه»

“তাকে তার আপন অবস্থার ওপর ছেড়ে দাও। কারণ, লোকেরা বলবে মুহাম্মাদ তার সাথীদের হত্যা করা আরম্ভ করছে”। [সহীহ বুখারী, কিতাবুত-তাফসীর, সূরা আল-মুনাফিকূন, পরিচ্ছেদ: আল্লাহ তা‘আলার বাণি - ﴿وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ تَعَالَوْا يَسْتَغْفِرْ لَكُمْ رَسُولُ اللَّهِ﴾ হাদীস নং ৪৯০৫; সহীহ মুসালিম, কিতাব: মুনাফিকদের বর্ণনা ও তাদের বিধান ৬৩/২৫৮৪।] যদি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে হত্যা করতেন, তাহলে তা মানুষের জন্য ইসলামে প্রবেশের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করত। কারণ, তারা জানে আব্দুল্লাহ ইবন উবাই ইবন সলুল একজন মুসলিম। তারা ভাবতো মুসলিমগণ মুসলিমদের হত্যা করছে।

এ সব ঘটনা দ্বারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিভিন্ন ফিতনা-ফাসাদের ওপর ধৈর্যধারণ করার কারণটি স্পষ্ট হয়। তিনি যখন দেখতে পেতেন এ ফিতনার প্রতিবাদ করতে গেলে আরও বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে, তখন তিনি ধৈর্যধারণ করতেন। ফিতনার প্রতিবাদ করতেন না। উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু যখন মুনাফিক সরদারকে হত্যা করতে চাইলেন তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনুমতি দেন নি। উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু পরবর্তীতে এর হিকমত বুঝতে পারেন। এ কারণেই তিনি বলেন,

قد واللَّه علمت، لأمر رسول اللَّه صلى الله عليه وسلم أعظم بركة من أمري»

“আল্লাহর শপথ করে বলছি, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদেশ ও সিদ্ধান্ত আমার মতামত এ সিদ্ধান্ত থেকে অধিক বরকতপূর্ণ”। [আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ১৮৫/২; শরহে নববী ১৩৯/১৬; হাযাল হাবীবু ইয়া মুহিব্ব ৩৩৬।]

দা‘ঈদের জন্য উচিৎ হলো, তারা তাদের দা‘ওয়াতী ময়দানে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাতের অনুকরণ করবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেভাবে হিকমতের পথ অবলম্বন করেছেন, তারাও তা আবিষ্কার করবে।

وآخر دعوانا أن الحمد الله رب العالمين، وصلى الله وسلم وبارك على نبينا محمد وعلى آله وأصحابه ومن تبعهم بإحسان إلى يوم الدين .

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন