মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
‘তোমাদের মধ্যে এমন একটা দল থাকতে হবে, যারা মানুষকে কল্যাণের দিকে ডাকবে এবং ন্যায়ের আদেশ ও অন্যায় থেকে নিষেধ করবে। তারাই হবে সফলকাম’। [. সুরা আলে-ইমরান ১০৪]
“মু’মিন পুরুষ ও নারী তারা পরস্পরের বন্ধু শুভাকাঙ্খী। তারা ভালকাজের আদশে করে এবং মন্দকাজের নিষেধ করে। তারা আল্লাহকে মান্য করে, তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে। তারা এমন মানুষ যাদের প্রতি আল্লাহ দয়া করেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরা.মশালী প্রজ্ঞাময়’। [. সুরা আত তওবা ৭১]
“তারা এমন মু’মিন পুরুষ ও মু’মিন নারী যাদেরকে আল্লাহ এমন জান্নাত দেওয়ার ওয়াদা করেছেন, যার নীচ দিয়ে ঝর্ণাধারা প্রবাহমান রয়েছে। সেখানে তারা চিরদিন থাকবে। তাদের জন্য আদন নামক জান্নাতে পবিত্র পরিচ্ছন্ন বসবাসের স্থান থাকবে। আল্লাহর সন্তুষ্টি তাদের জন্য সবচেয়ে বড় প্রতিদান। আর এটাই হল সবচেয়ে বড় সফলতা’। [. সূরা আলে ইমরান: ৭২]
‘হে আমার পুত্র! ছালাত কায়েম কর, ভালকাজের আদেশ দাও, মন্দকাজের নিষেধ কর। আর যে বিপদই আসুক না কেন তাতে ধৈর্য ধারণ কর। এ কাজগুলি এমন যাতে খুব বেশী বেশী তাকীদ করা হয়েছে’। [. সূরা লোকমান: ১৭]
আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন: নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: ‘সবচেয়ে উত্তম জিহাদ হচ্ছে যালিম শাসকের নিকটে হক কথার দাওয়াত দেয়া’। [. তারগীব, হাদীস নং-৩২৯৯] জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন: নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: ‘শহীদদের সর্দার হচ্ছেন হামযা ইবনু আবদুল মুত্তালিব এবং সেই ব্যক্তিও শহীদদে সর্দার যে অত্যাচারী নেতার নিকটে গেল এবং তাকে ভাল কাজের আদেশ করল এবং মন্দ কাজের নিষেধ করল। তখন সে তাকে হত্যা করল’। [. তিরমিযী, হাদীস নং-৩৩০২]
এ হাদীস দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, অত্যাচারী শাসকের নিকট হকের দাওয়াত দেয়া খুবই কঠিন কাজ। এমন স্থানে দাওয়াত দেওয়ার পরিণতি জীবন বিসর্জনও হতে পারে। তবে তার বিনিময় হবে জান্নাত। আর তার মর্যাদা হবে শহীদদের মর্যাদার সমান। অত্যাচারী শাসকের ভয়ে দাওয়াতের কাজ থেমে থাকতে পারে না, স্তিমিত বা শিথিল হতে পারে না। বরং যালিমের মোকাবিলায় আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে জোরে শোরে দাওয়াতের কাজ অব্যাহত রাখতে হবে।
উসামা ইবনু যায়েদ বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: ক্বিয়ামতের দিন এক ব্যক্তিকে আনা হবে। অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। তখন আগুনে পুড়ে তার নাড়িভুড়ি বের হয়ে যাবে। এসময় সে ঘুরতে থাকবে, যেমন গাধা তার চাকা নিয়ে তার চার পার্শ্বে ঘুরতে থাকে। তখন জাহান্নামবাসীরা তার নিকট একত্রিত হয়ে তাকে বলবে হে অমুক ব্যক্তি! তোমার এ অবস্থা কেন? তুমি না আমাদেরকে ভালকাজের আদেশ করতে আর অন্যায় কাজ হতে নিষেধ করতে? সে বলবে, আমি তোমাদেরকে ভালকাজের আদেশ করতাম বটে, কিন্তু আমি তা করতাম না। আর আমি তোমাদেরকে অন্যায় কাজ হতে নিষেধ করতাম অথচ আমিই তা করতাম’। [. বুখারী, হাদীস নং-৫১৩৯]
আনাস ইবনু মালিক বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যে রাতে আমাকে মি‘রাজে নিয়ে যাওয়া হল, সে রাতে কতগুলি লোককে দেখলাম, যাদের ঠোঁট আগুনের কাঁচি দ্বারা কেটে দেয়া হচ্ছে। আমি বললাম, হে জিবরাঈল! এরা কারা? তিনি বললেন: এরা আপনার উম্মতের বক্তা, যারা মানুষকে ভাল কাজের আদেশ করত, কিন্তু নিজেরা আমল করত না’। [. তারগীব, হাদীস নং-৩৩২৮]
জুনদুব ইবনু আব্দুল্লাহ আযদী বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: সে ব্যক্তির উদাহরণ যে ব্যক্তি মানুষকে কল্যাণের দাওয়াত দেয়, নিজে আমল করে না। সে সেই মোমবাতির মত, যে মোমবাতির মত। যে মোমবাতি মানুষকে আলো দেয় এবং নিজেকে জ্বালিয়ে দেয়’। [. তাবারানী, তারগীব, হাদীস নং-৩৩৩১]
ইমরান ইবনু হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: ‘আমার অবর্তমানে তোমাদের উপর যেটা সবচেয়ে বেশী ভয় করি তারা হচ্ছে সেই সব লোক যারা মুখে জ্ঞানী, মুনাফেক’। [. তাবারানী, তারগীব, হাদীস নং-৩৩৩২]
কাজেই যারা মুখে ধর্মের কথা বলে, নিজে আমল করে না। এদের বিষয়টি সবচেয়ে ভয়াবহ।এরা মুখে জ্ঞানী, কর্মে মুনাফিক।
আবু হুরায়রাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: ‘তোমাদের কোন ব্যক্তি অন্যের চোখে ক্ষুদ্র-কুটা দেখতে পায়, কিন্তু নিজের চোখে গাছের শিকড়, বড় কাঠ খন্ড দেখতে পায় না। [. তাবারানী, তারগীব, হাদীস নং-৩৩৩৬]
এ হাদীস দ্বারা বুঝা যায় যে, মানুষ অপরের ক্ষুদ্র দোষ দেখতে পায় কিন্তু নিজের বড় দোষ দেখতে পায় না। ভাল কাজের আদেশ দেয়া আর নিজের বড় দোষ দেখতে পায় না। ভাল কাজের আদেশ দেয়া আর নিজে না করা সবচেয়ে বড় দোষ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/463/38
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।