hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কুরআন ও সুন্নাহের ওপর আরোপিত বিভিন্ন প্রশ্নের জাওয়াব

লেখকঃ শাইখ: আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায রহ., শাইখ: মুহাম্মাদ বিন সালেহ বিন উসাইমীন রহ., শাইখ: আব্দুর রায্‌যাক আফীফি রহ., শাইখ: আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান আল-জাবরীন রহ., শাইখ: সালেহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান

১২
আত্মা সম্পর্কে কয়েকটি আয়াতের বিরোধ প্রসঙ্গে আলোচনা
আল্লাহ তা‘আলার তিনটি বাণী: ﴿فَمِنۡهُمۡ ظَالِمٞ لِّنَفۡسِهِ ... ٣٢﴾ [ فاطر : ٣٢ ] “তারপর তাদের কেউ কেউ নিজের প্রতি যুলুমকারী...” ﴿وَمَن يَعۡمَلۡ سُوٓءًا أَوۡ يَظۡلِمۡ نَفۡسَهُ ... ١١٠﴾ [ النساء : ١١٠ ] “আর যে ব্যক্তি মন্দ কাজ করবে কিংবা নিজের প্রতি যুলম করবে...” এবং ﴿وَمَآ أُبَرِّئُ نَفۡسِيٓۚ إِنَّ ٱلنَّفۡسَ لَأَمَّارَةُۢ ... ٥٣﴾ [ يوسف : ٥٢ ] ‘‘আর আমি আমার নাফ্সকে পবিত্র মনে করি না...” সম্পর্কে আলোচন।

প্রশ্ন: আল্লাহ তা‘আল বলেন, ﴿ثُمَّ أَوۡرَثۡنَا ٱلۡكِتَٰبَ ٱلَّذِينَ ٱصۡطَفَيۡنَا مِنۡ عِبَادِنَاۖ فَمِنۡهُمۡ ظَالِمٞ لِّنَفۡسِهِۦ وَمِنۡهُم مُّقۡتَصِدٞ وَمِنۡهُمۡ سَابِقُۢ بِٱلۡخَيۡرَٰتِ بِإِذۡنِ ٱللَّهِۚ ذَٰلِكَ هُوَ ٱلۡفَضۡلُ ٱلۡكَبِيرُ ٣٢﴾ [ فاطر : ٣٢ ] “অতঃপর আমি এ কিতাবটির উত্তরাধীকারী করেছি আমার বান্দাদের মধ্যে তাদেরকে, যাদেরকে আমি মনোনীত করেছি। তারপর তাদের কেউ কেউ নিজের প্রতি যুলুমকারী এবং কেউ কেউ মধ্যপন্থা অবলম্বনকারী।” [সূরা ফাতির, আয়াত: ৩২] আবার তাদের কেউ কেউ আল্লাহর অনুমতি সাপেক্ষে কল্যাণকর কাজে অগ্রগামী। এটাই হলো মহাঅনুগ্রহ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ﴿وَمَن يَعۡمَلۡ سُوٓءًا أَوۡ يَظۡلِمۡ نَفۡسَهُۥ ثُمَّ يَسۡتَغۡفِرِ ٱللَّهَ يَجِدِ ٱللَّهَ غَفُورٗا رَّحِيمٗا ١١٠﴾ [ النساء : ١١٠ ] “আর যে ব্যক্তি মন্দ কাজ করবে কিংবা নিজের প্রতি যুলম করবে তারপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবে, সে আল্লাহকে পাবে ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” [সূরা নিসা, আয়াত: ১১০] আল্লাহ তা‘আলা সূরা ইউসুফে আযীযে মিসরের স্ত্রী ভাষায় বলেন, ﴿وَمَآ أُبَرِّئُ نَفۡسِيٓۚ إِنَّ ٱلنَّفۡسَ لَأَمَّارَةُۢ بِٱلسُّوٓءِ إِلَّا مَا رَحِمَ رَبِّيٓۚ إِنَّ رَبِّي غَفُورٞ رَّحِيمٞ ٥٣﴾ [ يوسف : ٥٢ ] ‘‘আর আমি আমার নাফ্সকে পবিত্র মনে করি না, নিশ্চয় নাফ্স মন্দ কজের নির্দেশ দিয়ে থাকে, আমার রব যাকে দয়া করেন সে ছাড়া। নিশ্চয় আমার রব ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’’। [সূরা ইউসুফ, আয়াত: ৫২] আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন, ﴿مَّآ أَصَابَكَ مِنۡ حَسَنَةٖ فَمِنَ ٱللَّهِۖ وَمَآ أَصَابَكَ مِن سَيِّئَةٖ فَمِن نَّفۡسِكَۚ وَأَرۡسَلۡنَٰكَ لِلنَّاسِ رَسُولٗاۚ وَكَفَىٰ بِٱللَّهِ شَهِيدٗا ٧٩﴾ [ النساء : ٧٩ ] “তোমার কাছে যে কল্যাণ পৌঁছে তা আল্লাহর পক্ষ থেকে, আর যে অকল্যাণ তোমার কাছে পৌঁছে তা তোমার নিজের পক্ষ থেকে। আর আমি তোমাকে মানুষের জন্য রাসূলরূপে প্রেরণ করেছি এবং সাক্ষী হিসেবে আল্লাহ যথেষ্ট।” [সূরা নিসা, আয়াত: ৭৯]

প্রথম দু’টি আয়াত প্রমাণ করে যে, মানুষ নিজেই তার নিজের ওপর অত্যাচারী। কারণ, সে নিজেই আল্লাহর আদেশসমূহ অমান্য করে। আর পরবর্তী আয়াত দু’টি বর্ণনা দেয়া হয় যে, মানবাত্মাই মানুষের জন্য অন্যায়কারী। কারণ, প্রবৃত্তি মানুষকে অন্যায় কাজের আদেশ দেয়, অশ্লীল কর্মের প্রতি মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে। উভয় প্রকার আয়াতসমূহের মধ্যে সামঞ্জস্যতা কীভাবে সাধন করা হবে। আমি এ কথা অবশ্যই বিশ্বাস করি যে, কুরআনের মধ্যে কোন বিরোধ বা অসঙ্গতি নেই। তবে আমি শুধু আয়াতসমূহের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান ও বিরোধ নিরসন চাচ্ছি। আল্লাহ আপনাকে উত্তম বিনিময় দান করুন।

উত্তর: প্রশ্নকারী যে আয়াতগুলো উল্লেখ করেছেন তার মধ্যে এবং পরবর্তী আয়াতসমূহের মধ্যে কোন বিরোধ নেই। কারণ, প্রথম আয়াতগুলোতে বলা হয়েছে আল্লাহর আযাবের সামনে নিজেকে পেশ করে মানুষ তার নিজের ওপর যুলম অত্যাচার করে। আর পরবর্তী আয়াতসমূহে বলা হয়েছে নিশ্চয় প্রবৃত্তি মানুষকে অন্যায় কর্মের আদেশ দেয়। নিষিদ্ধ প্রবৃত্তির টানে মানবাত্মা খারাপ কর্মের দিকে টেনে নেয়। ফলে মানুষ চাহিদা স্বত্বেও যখন তা ছেড়ে দেয় এবং নিষিদ্ধ বিষয়সমূহ গ্রহণ করার সুযোগ থাকা স্বত্বেও তা গ্রহণ না করে তখন সে তার ওপর যুলুম করে।

কারণ, আল্লাহ তা‘আলা তার ওপর পাহারাদারি করে তার লাগাম টেনে ধরার, সংরক্ষণ করার এবং তা ছেড়ে না দেয়ার নির্দেশ দেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ﴿وَنَفۡسٖ وَمَا سَوَّىٰهَا ٧ فَأَلۡهَمَهَا فُجُورَهَا وَتَقۡوَىٰهَا ٨ قَدۡ أَفۡلَحَ مَن زَكَّىٰهَا ٩ وَقَدۡ خَابَ مَن دَسَّىٰهَا ١٠﴾ [ الشمس : ٧، ١٠ ] “কসম নাফ্সের এবং যিনি তা সুসম করেছেন। অতঃপর তিনি তাকে অবহিত করেছেন তার পাপসমূহ ও তার তাকওয়া সম্পর্কে। নিঃসন্দেহে সে সফলকাম হয়েছে, যে তকে পরিশুদ্ধ করেছে। এবং সে ব্যর্থ হয়েছে, যে তা (নাফ্স)-কে কলুষিত করেছে।” [সূরা আশ-শাম্‌স, আয়াত: ৭-১০]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন