hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কুরআন ও সুন্নাহের ওপর আরোপিত বিভিন্ন প্রশ্নের জাওয়াব

লেখকঃ শাইখ: আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায রহ., শাইখ: মুহাম্মাদ বিন সালেহ বিন উসাইমীন রহ., শাইখ: আব্দুর রায্‌যাক আফীফি রহ., শাইখ: আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান আল-জাবরীন রহ., শাইখ: সালেহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান

১৯
কুরআনের আয়াতে এ উম্মতকে নিরক্ষর বলে সম্বোধন করা
আল্লাহর তা‘আলার বাণী: ﴿هُوَ ٱلَّذِي بَعَثَ فِي ٱلۡأُمِّيِّ‍ۧنَ رَسُولٗا مِّنۡهُمۡ ٢﴾ [ الجمعة : ٢ ] “তিনিই উম্মীদের [উম্মী দ্বারা আরবের লোকদেরকে বুঝানো হয়েছে।] মাঝে একজন রাসূল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য থেকে” [সূরা আল-জুমু‘আ, আয়াত: ২] আয়াতে নিরক্ষর বলা হয়েছে। অথচ নিরক্ষর হওয়া অনগ্রসর ও অনুন্নত জাতির নিদর্শন।

প্রশ্ন: আমরা বিভিন্ন পেপার পত্রিকা অধিকাংশ সময় পড়ি এবং রাস্তায় বিল বোর্ডে নিরক্ষরতার প্রতি ভৎসনা ও তিরস্কার দেখতে পাই এবং নিরক্ষরতাকে পশ্চাদপদতার আলামত বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। অথচ আল্লাহ তা‘আলা এ উম্মাতকে নিরক্ষর উম্মাত বলে আখ্যায়িত করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ﴿هُوَ ٱلَّذِي بَعَثَ فِي ٱلۡأُمِّيِّ‍ۧنَ رَسُولٗا مِّنۡهُمۡ ٢﴾ [ الجمعة : ٢ ] “তিনিই উম্মীদের মাঝে একজন রাসূল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য থেকে।” [সূরা আল-জুমু‘আ, আয়াত: ২] আশা করি বিষয়টি স্পষ্ট করবেন।

উত্তর: আরব ও আজম থেকে নিয়ে সারা বিশ্বের মানুষ জানে যে, উম্মতে মুহাম্মদী লেখা-পড়া জানত না। এ কারণে তাদের নাম করণ করা হয়েছে উম্ম-নিরক্ষর উম্মত। তাদের মধ্যে যারা পড়া লেখা জানত অন্য জাতীদের তুলনায় তাদের সংখ্যা ছিল খুবই নগণ্য। আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লেখা-পড়া জানতেন না। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ﴿وَمَا كُنتَ تَتۡلُواْ مِن قَبۡلِهِۦ مِن كِتَٰبٖ وَلَا تَخُطُّهُۥ بِيَمِينِكَۖ إِذٗا لَّٱرۡتَابَ ٱلۡمُبۡطِلُونَ ٤٨﴾ [ العنكبوت : ٤٨ ] “আর তুমি তো এর পূর্বে কোন কিতাব তিলাওয়াত করনি এবং তোমার নিজের হাতে তা লিখনি যে, বাতিলপন্থীরা এতে সন্দেহ পোষণ করবে।” [সূরা আল-আনকাবূত, আয়াত: ৪৮] আর এটি ছিল তার নবুওয়াত ও রিসালাতের সত্য হওয়ার অপর একটি অকাট্য প্রমাণ। কারণ, তিনি এমন একটি কিতাব তাদের কাছে নিয়ে আসেন যে কিতাবটি আরব অনারব—সমগ্র বিশ্বকে অক্ষম ও স্তম্বিত করে দিয়েছে। আল্লাহ তা’আল এ কিতাবকে ওহী হিসেবে প্রেরণ করেন। জিবরীল আমীন কুরআন নিয়ে তার কাছে অবতরণ করেন। আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র সুন্নাত এবং পূর্বের লোকদের বিষয়ে অনেক জ্ঞানকে তার নিকট অহী হিসেবে প্রেরণ করেন। পূর্বে লোকদের অনেক অজানা ঘটনা এবং ভবিষ্যতে যা ঘটবে এ ধরনের অনেক জ্ঞানই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানুষকে জানিয়ে দেন। তিনি মানুষকে কিয়ামত সম্পর্কে অবহিত করেন জান্নাত জাহান্নাম যারা জান্নাতী হবে এবং যারা জাহান্নামী হবে তাদের সম্পর্কে জানিয়ে দেন। এ গুলো সবই ছিল এমন বিষয় যার দ্বারা আল্লাহ তা‘আলা তাকে অন্যদের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদা দান করেন। আর তিনি এ দ্বারা মানুষকে উচ্চ মান-মর্যাদার প্রতি দিক নির্দেশনা দেন এবং তার রিসালাতের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেন। এ উম্মতকে নিরক্ষর আখ্যায়িত করা দ্বারা উদ্দেশ্য এ নয় যে, তাদেরকে নিরক্ষর থাকতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। বরং উদ্দেশ্য হল, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আগমনের সময়ের অবস্থা তুলে ধরা এবং তখনকার সময়ের বাস্তবতা সম্পর্কে অবগত করা। অন্যথায় নিরক্ষরতা থেকে বের হয়ে লেখা-পড়া করা ও জ্ঞান অর্জন করা বিষয়ে কুরআন ও হাদীসে অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে যাতে নিরক্ষরতা থেকে বের হয়ে জ্ঞান অর্জনের প্রতি উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ﴿قُلۡ هَلۡ يَسۡتَوِي ٱلَّذِينَ يَعۡلَمُونَ وَٱلَّذِينَ لَا يَعۡلَمُونَۗ ٩﴾ [ الزمر : ٩ ] “বল, ‘যারা জানে আর যারা জানে না তারা কি সমান?’।” [সূরা আয-যুমার, আয়াত: ৯] আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ إِذَا قِيلَ لَكُمۡ تَفَسَّحُواْ فِي ٱلۡمَجَٰلِسِ فَٱفۡسَحُواْ يَفۡسَحِ ٱللَّهُ لَكُمۡۖ وَإِذَا قِيلَ ٱنشُزُواْ فَٱنشُزُواْ يَرۡفَعِ ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ مِنكُمۡ وَٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡعِلۡمَ دَرَجَٰتٖۚ وَٱللَّهُ بِمَا تَعۡمَلُونَ خَبِيرٞ ١١﴾ [ المجادلة : ١١ ] “হে মুমিনগণ, তোমাদেরকে যখন বলা হয়, ‘মজলিসে স্থান করে দাও’, তখন তোমরা স্থান করে দেবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য স্থান করে দেবেন। আর যখন তোমাদেরকে বলা হয়, ‘তোমরা উঠে যাও’, তখন তোমরা উঠে যাবে। তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে এবং যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে আল্লাহ তাদেরকে মর্যাদায় সমুন্নত করবেন। আর তোমরা যা কর আল্লাহ সে সম্পর্কে সম্যক অবহিত।” [সূরা আল-মুজাদালাহ, আয়াত: ১১] আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ﴿إِنَّمَا يَخۡشَى ٱللَّهَ مِنۡ عِبَادِهِ ٱلۡعُلَمَٰٓؤُاْۗ ٢٨﴾ [ فاطر : ٢٨ ] “বান্দাদের মধ্যে কেবল জ্ঞানীরাই আল্লাহকে ভয় করে।” [সূরা ফাতির, আয়াত: ২৮] রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, من سلك طريقا يلتمس فيه علما سهل الله له طريقا إلى الجنة “যে ব্যক্তি জ্ঞান অর্জন করার উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হয়, আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য জান্নাতের পথকে সহজ করে দেয়।” [বর্ণনায় আবূ দাউদ, হাদীস নং ৩৬৪৩; তিরমিযি, হাদীস নং ২৬৪৬] রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, مَنْ يُرِدْ اللَّهُ بِهِ خَيْرًا يُفَقِّهُّ فِي الدِّين “আল্লাহ তা‘আলা যখন কারো প্রতি কল্যাণ কামনা করেন তাকে তিনি দীনের জ্ঞান দান করেন।” [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৭১; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৪৩৯।] এ বিষয়ে কুরআন ও হাদীসের অসংখ্য বর্ণনা বিদ্যমান। আল্লাহ তা‘আলাই তাওফীক দাতা।

শাই আব্দুল আযীয বিন বায রহ.।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন