hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কুরআন ও সুন্নাহের ওপর আরোপিত বিভিন্ন প্রশ্নের জাওয়াব

লেখকঃ শাইখ: আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায রহ., শাইখ: মুহাম্মাদ বিন সালেহ বিন উসাইমীন রহ., শাইখ: আব্দুর রায্‌যাক আফীফি রহ., শাইখ: আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান আল-জাবরীন রহ., শাইখ: সালেহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান

৬০
সাইয়্যেদ বলার বিধান
রাসূলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণী: «السَّيِّدُ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى» “আল্লাহ তা‘আলা সাইয়্যেদ [আবূ দাউদ, হাদীস নং ৪৮০৮]।” তাশাহুদ পাঠে এসেছে - ‌ “হে আল্লাহ তুমি রহমত বর্ষণ করা আমাদের সরদার মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর।”

প্রশ্ন: আব্দুল্লাহ বিন শিখ্খির রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি বনী আমেরের লোকদের সাথে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট যাই এবং আমি বলি হে রাসূল আপনি আমাদের সরদার। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সাইয়্যেদ কেবল আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা‘আলা। অথচ তাশাহুদ বিষয়ে হাদীসে এসেছে- “হে আল্লাহ তুমি রহমত বর্ষণ করা আমাদের সাইয়্যেদ-সরদার মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর এবং আমাদের সাইয়্যেদ মুহাম্মা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরিবার পরিজনের ওপর।” এবং অপর হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,“আমি আদম সন্তানের সাইয়্যেদ।” উভয় হাদীসের মধ্যে সামঞ্জস্যতা কীভাবে নিরসন হবে?।

উত্তর: এতে কোন সন্দেহ নেই যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বানী আদমের সরদার। প্রতিটি জ্ঞানী মু’মিন বলতেই এ কথা বিশ্বাস করেন যে, তিনি আমাদের সরদার। আর সরদার অর্থ হলো, সম্মানী, আনুগত্যশীল এবং ক্ষমতাবান। আল্লাহর রাসূলের অনুসরণ করা আল্লাহরই অনুসরণ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ﴿مَّن يُطِعِ ٱلرَّسُولَ فَقَدۡ أَطَاعَ ٱللَّهَۖ ٨٠﴾ [ النساء : ٨٠ ] “যে রাসূলের আনুগত্য করল, সে আল্লাহরই আনুগত্য করল।” [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৮০] আমরা মু’মিনগণ এ কথা বিশ্বাস করি যে, আমাদের নবীই আমাদের সরদার, সবার চেয়ে উত্তম মানব, সর্বচ্চো মার্যাদার অধিকারী এবং তিনিই একমাত্র অনুকরনীয় মহা মানব। তার প্রতি আমাদের বিশ্বাসের দাবি হলো, তিনি আমাদের জন্য কথা, কর্ম ও বিশ্বাসের বিষয়ে যে দীন বা শরীআত নিয়ে এসেছেন তার প্রতি পূর্ণাঙ্গ অনুকরণ ও বিশ্বাস করা। তিনি আমাদের সালাত আদায়ের প্রদ্ধতিতে তাশাহুদে এ কথা اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ اللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ গুলো বা এ ধরনের বিভিন্ন গুনাবলী যেগুলো হাদীসে বর্ণিত রয়েছে তা বলতে বলেছেন। তবে প্রশ্নকারীর প্রশ্নে বর্ণিত গুনটি উল্লিখিত শব্দে বর্ণিত হয়েছে বলে আমার জানা নেই। অর্থাৎ السَّيِّدُ । যদি এ শব্দাবলী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত হয়েছে বলে প্রমাণিত না হয়, তবে উত্তম হলো আমরা উল্লিখিত শব্দাবলী দ্বারা সালাতে দুরূদ পড়ব না। আমরা ঐ সব শব্দ দ্বারা দরূদ পড়বো যে শব্দগুলো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত হয়েছে এবং তিনি আমাদের শিখিয়েছেন।

এরই ধারাবাহিকতায় একটি বিষয়ে সতর্ক করাকে পছন্দ করি, আর তা হলো, যে কোন ঈমানদার লোক এ কথা বিশ্বাস করে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সরদার, তার এ বিশ্বাস ও ঈমানের দাবি হলো, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে দীন বা শরী‌আতের প্রচলন করেছেন তা অতিক্রম না করা, তাতে কোন প্রকার বাড়ানো ও কমানো থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকা। সুতরাং সে আল্লাহর দীনের মধ্যে এমন কিছু বাড়াবে না যা দীনের বিষয় নয় এবং কোন কিছুকে কমাবে না যা দীনের অংশ। কারণ, এটিই হলো কাউকে সরদার হিসেবে মানার প্রকৃত বাস্তবায়ন যা কেবল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এবং এটি তাঁরই হক।

এরই ভিত্তিতে বলা যায় যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জবানে যে সব দুরূদ বা যিকির শরীআত হিসেবে আল্লাহ তা‘আলা তার নবীর ওপর নাযিল করেননি সে সব দরূদ বা যিকিকের আবিষ্কার করা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সরদার বলে বিশ্বাস করার দাবির সম্পূর্ণ বিপরীত ও পরিপন্থী। কারণ, এ বিশ্বাসের দাবি হলো শরীআতের অতিক্রম না করা এবং তার থেকে কোন কিছু বাদ না দেয়া। সুতরাং একজন মানুষকে অবশ্যই এ বিষয়ে চিন্ত ফিকির করতে হবে যাতে তার কাছে বিষয়টি স্পষ্ট হয় যে, সে একজন অনুসারী মাত্র সে কোন শরীআতের প্রবর্তক নয়।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রমাণিত তিনি বলেন, ....তার এ বাণী এবং অপর বাণী...এর মধ্যে নিষ্পত্তি হলো, সামগ্রীক ক্ষমতাধর হওয়া বা সরদারী করা একমাত্র আল্লাহর জন্যই প্রযোজ্য। কারণ, যাবতীয় বিষয় সমূহ কেবল আল্লাহর। তিনি হুকুমদাতা, বাকীরা সবাই তার হুকুমের গোলাম। তিনি হাকিম বাকীরা মাহকুম। আল্লাহর ছাড়া অন্যদের ক্ষমতা আপেক্ষিক। নির্দিষ্ট বস্তুর মধ্যে, নির্দিষ্ট সময়ে জন্য, নির্দিষ্ট স্থানে, নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে এবং সৃষ্টি কোন শ্রেণির ক্ষেত্রে তা সীমাবদ্ধ।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন