hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কুরআন ও সুন্নাহের ওপর আরোপিত বিভিন্ন প্রশ্নের জাওয়াব

লেখকঃ শাইখ: আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায রহ., শাইখ: মুহাম্মাদ বিন সালেহ বিন উসাইমীন রহ., শাইখ: আব্দুর রায্‌যাক আফীফি রহ., শাইখ: আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান আল-জাবরীন রহ., শাইখ: সালেহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান

৩৫
তা‘বীয কবয সম্পর্কে ইসলামের বিধান
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী: «إِنَّ الرُّقَى وَالتَّمَائِمَ وَالتِّوَلَةَ شِرْكٌ » “নিশ্চয় ঝাড়-ফুঁক, তাবীয কবয শির্ক।” ঝাড়-ফুঁক সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অপর বাণী: من استطاع منكم أن ينفع أخاه فليفعل “তোমাদের কেউ যদি উপকার করতে সক্ষম হয়, সে যেন তা করে...।”

প্রশ্ন: আব্দুল্লাহ ইবন মাস‘উদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি তিনি বলেন, নিশ্চয় ঝাড়-ফুঁক, তাবীয, কবয শির্ক। কিন্তু জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে অপর একটি হাদীস বর্ণিত তিনি বলেন, كان لي خال يرقي من العقرب فنهى رسول الله صلى الله عليه و سلم عن الرقى قال فأتاه فقال يا رسول الله إنك نهيت عن الرقى وأنا أرقي من العقرب فقال من استطاع منكم أن ينفع أخاه فليفعل “আমার একজন সাপের কামড়ের জন্য ঝাড়-ফুক করত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঝাড়-ফুক থেকে নিষেধ করলে তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল আপনি ঝাড়-ফুঁক থেকে নিষেধ করেছেন। আর আমি সাপের কামড়ের থেকে ঝাড়-ফুঁক করি। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “তোমাদের কেউ তার ভাইয়ের উপকার করতে সক্ষম হয় তবে সে যেন তা করে।” ঝাড়-ফুঁক সম্পর্কে এক হাদীসে নিষেধ করা এবং অপর হাদীসে অনুমতি দেওয়া উভয়ের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তি কীভাবে? কুরআন ও হাদীস দ্বারা অসুস্থ ব্যক্তি গলায় তাবীয ঝুলানোর বিধান কি?

উত্তর: নিষিদ্ধ ঝাড়-ফুঁক হলো, যে ঝাড়-ফুঁকের মধ্যে শির্ক অথবা গাইরুল্লাহর মাধ্যম চাওয়া হয়েছে অথবা এমন কোন শব্দ রয়েছে যেগুলোর অর্থ জানা যায় না। কিন্তু যে সব ঝাড়-ফুঁক এ সব থেকে মুক্ত তা বৈধ। কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন—. « اعْرِضُوا عَلَىَّ رُقَاكُمْ لاَ بَأْسَ بِالرُّقَى مَا لَمْ يَكُنْ فِيهِ شِرْكٌ » . “তোমরা তোমাদের মন্ত্রককে আমার সামনে তুলে ধর। যতক্ষণ পর্যন্ত তা শির্ক না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত ঝাড়-ফুঁক করাতে কোন ক্ষতি নেই।” [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৫৮৬২] রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেছেন— من استطاع منكم أن ينفع أخاه فليفعل “তোমাদের কেউ যদি তার ভাইয়ের উপকার করতে সক্ষম হয় তবে সে যেন তা করে।” হাদীস দু’টি ইমাম মুসলিম স্বীয় সহীহতে উল্লেখ করেছেন। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৫৮৬২] রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, لَا رُقْيَةَ إِلَّا مِنْ عَيْنٍ أَوْ حُمَةٍ “বদ নযর ও বিষধর সাপের আক্রমণ ছাড়া অন্য কিছুতে ঝাড়-ফুঁক নেই।” [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫৭০৫] অর্থাৎ এ দু’টি রোগের মধ্যে ঝাড়-ফুঁক যতটা কার্যকর অন্য কোন রোগে এতটা কার্যকর নয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে ঝাড়-ফুঁক দিয়েছেন এবং নিয়েছেন। কিন্তু অসুস্থ ব্যক্তি বা বাচ্চাদের গলায় তা‘বীয ঝুলানো সম্পূর্ণ অবৈধ। ঝাড়-ফুঁককে গলায় ঝুলানো হলে তাকে তাবীয বলা হয়। এ সম্পর্কে বিশুদ্ধ কথা হলো এটি হারাম এবং শির্কের বিভিন্ন প্রকারের এটিও একটি প্রকার। কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, من تعلق تميمة فلا أتم الله له ومن تعلق ودعة فلا ودع الله له “যে ব্যক্তি তাবীয ঝুলায় আল্লাহ তা‘আলা তাকে পূর্ণতা দান করবে না আর যে ব্যক্তি..”। [মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং ১৭৪৪০] রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, وقال من علق تميمة فقد اشرك “যে ব্যক্তি তাবীয ঝুলায় সে শির্ক করল।” [মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং ১৭৪৫৮] রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেছেন, « إِنَّ الرُّقَى وَالتَّمَائِمَ وَالتِّوَلَةَ شِرْكٌ » . “নিশ্চয় ঝাড়-ফুঁক, তাবীয-কবজ এবং যাদু শির্ক।” [আবু দাউদ, হাদীস নং ৩৮৮৫]

কুরআনের আয়াত হাদীসের বর্ণিত দো‘য়া দ্বারা লিখিত তাবীয নিষিদ্ধ না বৈধ? এ ব্যাপারে আলেমদের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে। বিশুদ্ধ হলো দু’টি কারণে তা অবৈধ বা হারাম:

এক— উল্লিখিত হাদীসসমূহের ব্যাপকতা। কারণ, হাদীসসমূহ কুরআন ও অন্যান্য সবকিছুকেই সামিল করে।

দুই— শির্কে পথ বন্ধ করা। কারণ, কুরআন দ্বারা তা‘বীয দেওয়া বৈধ করা হলে তাতে অন্যান্য বস্তু দ্বারা তা‘বীয দেওয়ার পথ খুলে যাবে। একটি সাথে অপরটির সংমিশ্রণ হয়ে যাবে। তখন সবকিছু দিয়ে তা‘বীয দেওয়ার পথ খুলবে এবং সমাজে শির্কের প্রচলন ঘটবে। শির্ক ও গুনাহের সব ধরনের পথ বন্ধ করা শরী‘আতের অন্যতম মূলনীতি। আল্লাহ তা‘আলা তাওফীক দাতা।

শাইখ আব্দুল আযীয বিন বায রহ.

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন