hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কুরআন ও সুন্নাহের ওপর আরোপিত বিভিন্ন প্রশ্নের জাওয়াব

লেখকঃ শাইখ: আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায রহ., শাইখ: মুহাম্মাদ বিন সালেহ বিন উসাইমীন রহ., শাইখ: আব্দুর রায্‌যাক আফীফি রহ., শাইখ: আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান আল-জাবরীন রহ., শাইখ: সালেহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান

৩৩
মৃত বাচ্চাদের জান্নাতী হওয়া বিষয়ে আলোচনা
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী: رُفِعَ الْقَلَمُ عَنْ ثَلَاثَةٍ عَنْ النَّائِمِ “তিন ব্যক্তি থেকে আল্লাহ তা‘আলা কলম উঠিয়ে নিয়েছেন” রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী— وما يدريك يا عائشة أنه في الجنة، لعل الله اطلع على ما كان يفعل؟ “হে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহু! তোমাকে কে জানিয়েছে যে, সে জান্নাতী? হতে পারে লোকটি ভবিষ্যতে কি করত সে বিষয়ে আল্লাহ অবগত রয়েছেন!।”

প্রশ্ন: প্রশ্নকারী বলেন, ‘শিফায়ুল আলীল’ নামক কিতাবে উম্মুল মু‘মিনীন আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত একটি হাদীস পড়েছি। যখন একজন বাচ্চা মারা গেল তখন তিনি বললেন, طوبى لك طيور من طيور الجنة فقال وما يدريك يا عائشة أنه في الجنة، لعل الله اطلع على ما كان يفعل؟ “সু-সংবাদ গ্রহণ কর, এ বাচ্চাটি তোমার জন্য জান্নাতের পাখিসমূহ থেকে একটি পাখি। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে আয়েশা তোমাকে কে অবগত করছে যে, সে জান্নাতী? হতে পারে আল্লাহ তা‘আলা অবগত রয়েছেন সে ভবিষ্যতে কি করত?।” অপর একটি হাদীসে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, رُفِعَ الْقَلَمُ عَنْ ثَلَاثَةٍ عَنْ النَّائِمِ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ وَعَنْ الطِّفْلِ حَتَّى يَحْتَلِمَ وَعَنْ الْمَجْنُونِ حَتَّى يَبْرَأَ “তিন ব্যক্তি থেকে কলম তুলে নেওয়া হয়েছে। তাদের একজন হলো অপ্রাপ্ত বয়স্ক বাচ্চা প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার আগ পর্যন্ত।” উভয় বর্ণনাই বিশুদ্ধ জানি না উভয়ের বিরোধ নিরসন কীভাবে হবে?।

উত্তর: ইমাম বুখারী ও মুসলিমের নিকট উল্লিখিত হাদীসটি বিশুদ্ধ। যাতে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, عُصْفُورٌ مِنْ عَصَافِيرِ الْجَنَّةِ لَمْ يَعْمَلِ السُّوءَ وَلَمْ يُدْرِكْهُ قَالَ « أَوَغَيْرَ ذَلِكَ يَا عَائِشَةُ إِنَّ اللَّهَ خَلَقَ لِلْجَنَّةِ أَهْلاً خَلَقَهُمْ لَهَا وَهُمْ فِى أَصْلاَبِ آبَائِهِمْ وَخَلَقَ لِلنَّارِ أَهْلاً خَلَقَهُمْ لَهَا وَهُمْ فِى أَصْلاَبِ آبَائِهِمْ » . “জান্নাতের চড়ই পাখিদের একটি চড়ই পাখি।” রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, না হে আয়েশা! বিষয়টি অন্য রকম, “আল্লাহ তা‘আলা জান্নাতের জন্য অধিবাসী সৃষ্টি করেছেন। তাদের সৃষ্টি করেছেন যখন তারা তাদের মাতা-পিতার বংশে। আল্লাহ তা‘আলা জাহান্নামের জন্য কিছু অধিবাসী সৃষ্টি করেছেন। তাদের সৃষ্টি করেছেন যখন তারা তাদের মাতা-পিতার বংশে।” [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৬৯৩৯]

হাদীস দ্বারা উদ্দেশ্য, কাউকে নির্দিষ্টভাবে জান্নাতী বা জাহান্নামী বলে আখ্যায়িত করা নিষিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট করা। যদিও সে একজন নিষ্পাপ বাচ্চা হোক। কারণ, সে অনেক সময় তার মাতা-পিতার অনুসারী হয় আর পিতা-মুসলিম নয় যদিও বাহ্যিক-ভাবে ইসলাম প্রকাশ করে। মানুষ অনেক সময় মুনাফেক হয়ে থাকে। অনেক সময় মা মুনাফেক হয়ে থাকে। এ কারণে বাচ্চারা যেহেতু তার মাতা-পিতার অনুগত তাই যতক্ষণ পর্যন্ত তার মাতা-পিতার অবস্থা জানা না যাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত কাউকে নির্দিষ্টভাবে জান্নাতী বলা যাবে না।

যখন কোন অমুসলিমের বাচ্চা মারা যাবে বিশুদ্ধ মত হলো তাকে কিয়ামতের দিন পরীক্ষা করা হবে। যখন সে পরীক্ষায় পাশ করবে তাকে জান্নাতে দেওয়া হবে আর যদি পরীক্ষায় ফেল করে তবে তাকে জাহান্নামে দেওয়া হবে। এ কারণেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে যখন মুশরিকদের বাচ্চাদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো তিনি বললেন, « اللَّهُ أَعْلَمُ بِمَا كَانُوا عَامِلِينَ» “ভবিষ্যতে তারা কি করত আল্লাহ তা‘আলা সে সম্পর্কে ভালো জানেন।” [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৬৯৩৩] হাদীস দ্বারা প্রমাণিত যে, তাদের কিয়ামতের কোন একটি বিষয়ে আদেশ করা হবে তারা যদি আদেশটি মানে জান্নাতে প্রবেশ করবেন আর যদি আদেশটি অমান্য করেন তবে জাহান্নামে প্রবেশ করবেন। সুতরাং, কাউকে সুনির্দিষ্টভাবে জান্নাতী বা জাহান্নামী বলা যাবে না। তবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাদের জান্নাতী বলে ঘোষণা দিয়েছেন তাদের কথা ভিন্ন। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের মূলনীতিসমূহ থেকে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মূলনীতি। উল্লিখিত হাদীসে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার কথায় আপত্তি জানানোর কারণ, তিনি একজনকে নির্দিষ্টভাবে জান্নাতী বলে ঘোষণা দিয়েছেন। কারণ, তিনি বলেন, عُصْفُورٌ مِنْ عَصَافِيرِ الْجَنَّةِ এ কারণেই এ ধরনের কথা বলতে তাকে না করা হয়েছে। কারণ, বিষয়টির পিছনে আরও একটি বিষয় রয়েছে যা তার জান্নাতে প্রবেশ না করার কারণ হতে পারে। তাকে কিয়ামতের দিন পরীক্ষা করা হবে। কারণ, তারা মাতা-পিতা মুসলিম নয়। মুসলিমদের বাচ্চারা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের মত অনুসারে তারা তাদের মাতা-পিতার সাথে জান্নাতে যাবে। আর কাফেরদের বাচ্চাদের কিয়ামতের দিন পরীক্ষা করা হবে। এ মতটিই সত্য বা হক। মুশরিকদের বাচ্চাদের যারা কিয়ামতের দিন আল্লাহর নির্দেশ মানবে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে আর যারা মানবে না তারা জান্নামে প্রবেশ করবে। যেমনটি যাদের কাছে আদৌ কোন নবী রাসূল পৌঁছেনি। এটিই সঠিক উত্তর এবং হাদীসের ভাষ্য। আল্লাহ তা‘আলাই তাওফীক দাতা।

শাইখ আব্দুল আযীয বিন বায রহ.

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন