hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কুরআন ও সুন্নাহের ওপর আরোপিত বিভিন্ন প্রশ্নের জাওয়াব

লেখকঃ শাইখ: আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায রহ., শাইখ: মুহাম্মাদ বিন সালেহ বিন উসাইমীন রহ., শাইখ: আব্দুর রায্‌যাক আফীফি রহ., শাইখ: আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান আল-জাবরীন রহ., শাইখ: সালেহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান

২৪
ইসলামে প্রবেশের স্বাধীনতা বলতে কি বুঝায়?
আল্লাহ তা‘আলার বাণী: ﴿أَفَأَنتَ تُكۡرِهُ ٱلنَّاسَ حَتَّىٰ يَكُونُواْ مُؤۡمِنِينَ ٩٩﴾ [ يونس : ٩٩ ] তবে কি তুমি মানুষকে বাধ্য করবে, যাতে তারা মুমিন হয় ? আল্লাহ তা‘আলা বাণী. ﴿لَآ إِكۡرَاهَ فِي ٱلدِّينِۖ٢٥٦﴾ [ البقرة : ٢٥٦ ]

প্রশ্ন: অনেক সাথীরা বলে, যে ব্যক্তি ইসলামে প্রবেশ করেনি সে স্বাধীন। তাকে ইসলাম গ্রহণে বাধ্য করা যাবে না। তারা তাদের পক্ষে আল্লাহর কথা দ্বারা প্রমাণ দেয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ﴿أَفَأَنتَ تُكۡرِهُ ٱلنَّاسَ حَتَّىٰ يَكُونُواْ مُؤۡمِنِينَ ٩٩﴾ [ يونس : ٩٩ ] “তবে কি তুমি মানুষকে বাধ্য করবে, যাতে তারা মুমিন হয়?” [সূরা-ইউনুস, আয়াত: ৯৯] আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন, ﴿لَآ إِكۡرَاهَ فِي ٱلدِّينِۖ٢٥٦﴾ [ البقرة : ٢٥٦ ]। এ বিষয়ে আপনার মতামত কি?

উত্তর: উলামাগণ বলেন, এ দু’টি আয়াত এবং একই অর্থে আরো যে সব আয়াত রয়েছে এ গুলো ইয়াহুদী, নাসারা ও অগ্নিপূজক যাদের থেকে ট্যাক্স গ্রহণ করা হবে তাদের সম্পর্কে। তাদেরকে ইসলাম গ্রহণ করার জন্য বাধ্য করা হবে না। তারা ইসলাম গ্রহণ ও ট্যাক্স পরিশোধ করা বিষয়ে স্বাধীন।

আবার কোন কোন আলেম বলেন, এ বিধানটি ইসলামের প্রাথমিক যুগে ছিল। পরবর্তীতে যুদ্ধ ও জিহাদের বিধানের কারণে তা রহিত হয়ে যায়। সুতরাং যে ইসলামে প্রবেশ করতে অস্বীকার করবে তার সাথে সামর্থ্য অনুযায়ী জিহাদ করা ওয়াজিব। যাতে সে হয় ইসলামে প্রবেশ করবে না হয় ট্যাক্স দেবে— যদি তা প্রযোজ্য হয়।

সুতরাং, কাফেরদের থেকে যদি ট্যাক্স গ্রহণ করার সুযোগ না থাকে তাহলে ইসলামে প্রবেশে বাধ্য করতে হবে। কারণ, ইসলামের প্রবেশ করার মধ্যে তাদের জন্য রয়েছে দুনিয়া ও আখিরাতের সফলতা, মুক্তি ও যাবতীয় কল্যাণ। একজন মানুষের জন্য হক বা সত্য গ্রহণ করা যাতে তার হিদায়াত ও কল্যাণ রয়েছে, তা তার জন্য বাতিলের ওপর থাকা থেকে উত্তম। যেমনি ভাবে আদম সন্তানকে সত্য মানতে বাধ্য করা হবে চাই তা বন্দি করে হোক বা শাস্তি দিয়ে হোক অনুরূপভাবে কাফেরদের আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাস করা এবং ইসলামে প্রবেশে বাধ্য করা হবে। যাতে তার কল্যাণ নিশ্চিত হয়। কারণ, দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ ইসলাম গ্রহণ করার মধ্যেই নিহিত। তবে আহলে কিতাব—ইয়াহুদী, খৃষ্টান ও অগ্নিপূজক এ তিনটি সম্প্রদায়ের লোকদের ইসলাম স্বাধীনতা দিয়েছেন। তারা চাইলে ইসলামে প্রবেশ করতে পারবে অন্যথায় তারা অপমান-অপদস্থ হয়ে নিজ হাতে ট্যাক্স প্রদান করবে।

কোন আলেম ট্যাক্স দেওয়া বা ইসলাম গ্রহণ করা উভয়ের যে কোন একটি গ্রহণ করার ব্যাপারে অন্যদেরও তাদের সাথে সম্পৃক্ত করেছেন। তবে গ্রহণযোগ্য কথা হলো, অন্যদের তাদের সাথে সম্পৃক্ত করা যাবে না। শুধু এ তিন জাতিকেই স্বাধীনতা দেওয়া হবে। কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জাযীরা এলাকায় ট্যাক্স গ্রহণ করেননি। বরং তাদের ইসলামে প্রবেশে বাধ্য করেছেন এবং ইসলাম ছাড়া অন্য কিছু তিনি গ্রহণ করেননি। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, فَإِن تَابُواْ وَأَقَامُواْ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتَوُاْ ٱلزَّكَوٰةَ فَخَلُّواْ سَبِيلَهُمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٞ رَّحِيمٞ ٥ “তবে যদি তারা তাওবা করে এবং সালাত কায়েম করে, আর যাকাত দেয়, তাহলে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল অতিশয় দয়ালু।” [সূরা তাওবাহ, আয়াত: ৫] এখানে এ কথা বলা হয়নি যে, অথবা তোমরা ট্যাক্স আদায় কর। ইয়াহুদী, খৃষ্টান ও অগ্নিপূজকদের ইসলাম গ্রহণ করতে বলা হবে। তবে যদি তারা ইসলাম গ্রহণ না করে কর আদায় করবে। আর যদি তারা কর আদায় করতে অস্বীকার করে তবে মুসলিমদের ওপর ফরয হলো তাদের বিরুদ্ধে সামর্থ্য অনুযায়ী যুদ্ধ করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ٢٨ قَٰتِلُواْ ٱلَّذِينَ لَا يُؤۡمِنُونَ بِٱللَّهِ وَلَا بِٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِ وَلَا يُحَرِّمُونَ مَا حَرَّمَ ٱللَّهُ وَرَسُولُهُۥ وَلَا يَدِينُونَ دِينَ ٱلۡحَقِّ مِنَ ٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡكِتَٰبَ حَتَّىٰ يُعۡطُواْ ٱلۡجِزۡيَةَ عَن يَدٖوَهُمۡ صَٰغِرُونَ ٢٩ “তোমরা লড়াই কর আহলে কিতাবের সে সব লোকের সাথে যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসে ঈমান রাখে না এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যা হারাম করেছেন তা হারাম মনে করে না, আর সত্য দীন গ্রহণ করে না, যতক্ষণ না তারা স্বহস্তে নত হয়ে জিয্য়া দেয়।” [সূরা তাওবাহ, আয়াত: ২৯] এ ছাড়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রমাণিত যে, তিনি মুজুসদের থেকে কর গ্রহণ করেছেন। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার সাহাবীদের কারো থেকে প্রমাণিত নয় যে, তারা উল্লিখিত তিন সম্প্রদায় ছাড়া অন্য কারো থেকে কখনো কর গ্রহণ করেছেন। এ ক্ষেত্রে মূলনীতি হলো, আল্লাহ তা‘আলার বাণী, তিনি বলেন, ﴿وَقَٰتِلُوهُمۡ حَتَّىٰ لَا تَكُونَ فِتۡنَةٞ وَيَكُونَ ٱلدِّينُ لِلَّهِۖ ١٩٣﴾ [ البقرة : ١٩٣ ] “আর তাদের বিরুদ্ধে লড়াই কর যে পর্যন্ত না ফিতনা খতম হয়ে যায় এবং দীন আল্লাহর জন্য হয়ে যায়।” [সূরা বাকারাহ, আয়াত: ১৯৩] আল্লাহ তা‘আলা বলেন, فَإِذَا ٱنسَلَخَ ٱلۡأَشۡهُرُ ٱلۡحُرُمُ فَٱقۡتُلُواْ ٱلۡمُشۡرِكِينَ حَيۡثُ وَجَدتُّمُوهُمۡ وَخُذُوهُمۡ وَٱحۡصُرُوهُمۡ وَٱقۡعُدُواْ لَهُمۡ كُلَّ مَرۡصَدٖۚ فَإِن تَابُواْ وَأَقَامُواْ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتَوُاْ ٱلزَّكَوٰةَ فَخَلُّواْ سَبِيلَهُمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٞ رَّحِيمٞ ٥ “অতঃপর যখন নিষিদ্ধ মাসগুলো অতিবাহিত হয়ে যাবে, তখন তোমরা মুশরিকদেরকে যেখানেই পাও হত্যা কর এবং তাদেরকে পাকড়াও কর, তাদেরকে অবরোধ কর এবং তাদের জন্য প্রতিটি ঘাঁটিতে বসে থাক। তবে যদি তারা তাওবা করে এবং সালাত কায়েম করে, আর যাকাত দেয়, তাহলে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। [সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ৫] এ আয়াতটিকে তরবারির আয়াত বলা হয়। এ আয়াত এবং এ ধরনের আরো যে সব আয়াত রয়েছে তা ঐ সব আয়াতের জন্য রহিতকারী যেগুলোতে ইসলাম গ্রহণে বাধ্য না করার কথা বলা হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলাই তাওফীক দাতা।

শাইখ আব্দুল্লাহ বিন বায রহ.

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন