hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

দ্বাদশ-ইমামী শী‘আ ধর্মের মূলনীতিসমূহের সুস্পষ্ট রূপরেখা

লেখকঃ মুহিব্বুদ্দীন আল-খতিব

১০
ধ্বংসযজ্ঞ ও প্রতিশোধস্পৃহা
আবূ আবদিল্লাহ (অর্থাৎ জাফর সাদিক) বলেন: কায়েম বা ধারক-বাহকের নাম ধরে ডাকা হবে (এখানে ‘কায়েম’ দ্বারা তাদের ১২তম ইমাম উদ্দেশ্য; যার ব্যাপারে তারা ধারণা পোষণ করে যে, তিনি এগারো শতাব্দীরও বেশি সময় পূর্ব থেকে জন্ম গ্রহণ করেছেন এবং এর পরও তিনি মৃত্যুবরণ করেন নি; কারণ, তিনি অচিরেই জেগে উঠবেন এবং বিচার-ফয়সালা করবেন); তেইশ রজনীতে তার নাম ধরে ডাকা হবে এবং তিনি আশুরার দিন দাঁড়াবেন; মনে হচ্ছে যেন আমি তার সাথে মহররমের দশম দিনে রুকনে ইয়ামানী ও মাকামে ইবরাহীমের মাঝখানে দাঁড়ানো, আর জিবরাইল তার ডান পাশে ডেকে বলছেন: “আল্লাহর জন্য বায়‘আত কর”, তখন শী‘আদের জন্য যমীন সংকুচিত হয়ে যাবে, তারা চতুর্দিক থেকে তার নিকট দৌড়ে আসবে এবং তার নিকট বায়‘আত গ্রহণ করবে। কেননা বর্ণনায় এসেছে যে, তিনি মক্কা থেকে ভ্রমণ শুরু করে শেষ পর্যন্ত কুফায় এসে হাযির হবেন; অতঃপর নাজাফে অবতরণ করবেন এবং সেখান থেকে সৈন্যদেরকে বিভিন্ন দলে বিভিক্ত করে বিভিন্ন শহর-নগরে পাঠাবেন।

আর হাজ্জাল বর্ণনা করেন সা‘আলাবা থেকে। তিনি বর্ণনা করেন আবূ বকর আল-হাদরামী থেকে। তিনি বর্ণনা করেন আবূ জাফর আ. (অর্থাৎ মুহাম্মদ আল-বাকের) থেকে। তিনি বলেন: আমি যেন দ্বাদশ ইমাম আ.-কে নিয়ে কুফার নাজাফে দণ্ডায়মান; আর নাজাফে মক্কা থেকে পাঁচ হাজার ফেরেশতা আগমন করেছে; তার ডান পাশে জিবরাইল; বাম পাশে মিকাইল; আর তার সামনে মুমিনগণ এবং তিনি সৈন্যদেরকে বিভিন্ন দলে বিভক্ত করে বিভিন্ন দেশে পাঠাচ্ছেন।

আর আবদুল করীম আল-জু‘ফী থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: আমি আবূ আবদিল্লাহ (অর্থাৎ জাফর সাদিক)-কে বললাম, দ্বাদশ ইমাম আ. কত সময় রাজত্ব পরিচালনায় সক্ষম হবেন? তিনি বললেন: সাত বছর; দিনগুলো এত লম্বা হবে যে, এক একটি বছরের পরিমাণ হবে তোমাদের দশ বছরের সমান। সুতরাং রাজত্বের মেয়াদকাল হবে তোমাদের বছরের হিসাবে সত্তুর বছর। আবূ বসীর তাকে বললেন: আমি আপনার জন্য উৎসর্গ; বলুনতো কিভাবে বছরগুলোকে দীর্ঘায়িত করবেন? তিনি বললেন: আল্লাহ আকাশ বা কক্ষপথকে স্বীয় অবস্থানে অবস্থান করতে এবং কম নড়াচড়া করতে আদেশ করবেন। এর ফলে দিন ও বছরসমূহ দীর্ঘায়িত হবে। আর যখন তার আগমনের সময় হবে, তখন জমাদিউল আখের ও রজব মাসের দশ দিন এত বেশি বৃষ্টি হবে, যা মানুষ কোন দিন প্রত্যক্ষ করে নি। অতঃপর আল্লাহ মুমিনদের দেহে মাংস উৎপাদনের মাধ্যমে তাদের কবরের মধ্যে তাদের শরীর পূনর্গঠন করবেন; সুতরাং আমি যেন তাদের আগমন লক্ষ্য করছি এবং এও লক্ষ্য করছি যে, তারা তাদের পশমগুলো থেকে বালি ঝেড়ে ফেলছে।

আর আবদুল্লাহ ইবন মুগীরা থেকে বর্ণিত। তিনি আবূ আবদিল্লাহ (জাফর সাদিক) আ. থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন: যখন আলে মুহাম্মদের প্রতিনিধি (দ্বাদশ ইমাম)-র আগমন ঘটবে, তখন তিনি কুরাইশদের পাঁচশ জনকে দাঁড় করাবেন; অতঃপর তাদেরকে গর্দান কেটে হত্যা করবেন। অতঃপর আরও পাঁচশ জনকে দাঁড় করাবেন এবং তাদেরকেও গর্দান কেটে হত্যা করবেন। অতঃপর আরও পাঁচশ জনকে হত্যা করবেন; এমনকি এই কাজটি তিনি ছয়বার করবেন। আমি বললাম: তাদের সংখ্যা এই পরিমাণে পৌঁছাবে?! (এটা বড়ই অদ্ভুত মনে হয়েছিল, কারণ, খোলাফায়ে রাশেদীন, বনী উমাইয়া, বনী আব্বাস এবং জাফর সাদিক পর্যন্ত সকল মুসলিম শাসক মিলেও তাদের সংখ্যা উল্লেখিত এই সংখ্যার দশ ভাগের একভাগ পরিমাণও হবে না।) জাফর সাদিক বললেন: হ্যাঁ, তারা এবং তাদের দাসরা মিলে এমন সংখ্যা হবে। অপর এক বর্ণনায় আছে: আমাদের রাষ্ট্রটি হবে অপরাপর রাষ্ট্রের চেয়ে স্বতন্ত্র। আমাদের পূর্বে প্রত্যেক বিখ্যাত বংশেরই রাষ্ট্র হবে, যাতে তারা যখন আমাদের শাসনকার্য দেখতে পাবে, তখন বলতে না পারে যে, আমরা যখন শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হব, তখন আমরাও তাদের মত শাসনকার্য পরিচালনা করব।

[মাহদী’র আগমনের সাথে সাথে মূল মুসহাফ নাযিলকৃত অবস্থায় ফিরে আসবে]

জাবের আল-জু‘ফী আবূ আবদিল্লাহ থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন: যখন আলে মুহাম্মদের প্রতিনিধি (দ্বাদশ ইমাম)-র আগমন ঘটবে, তখন তিনি এমন বহু তাঁবু স্থাপন করবেন; সেখানে আল-কুরআন যেভাবে নাযিল হয়েছে সেভাবে শিখানো হবে। [কেন তার দাদা আলী ইবন আবি তালিব রা. তাঁর খিলাফতকালীন সময়ে এই কাজটি করেন নি? তাঁর দ্বাদশ নাতি কি কুরআন ও ইসলামের জন্য তাঁর চেয়ে বেশি কামিল?!] ফলে তা পূর্বেকার হাফেযদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে (অর্থাৎ ঐ ব্যক্তির জন্য কঠিন হয়ে যাবে, যে মুসহাফে ওসমানী থেকে হিফয (মুখস্থ) করেছে, যেমনটি জা‘ফর সাদিকের যামানায় বিদ্যমান আছে)। কারণ, সংকলনের ক্ষেত্রে তার মধ্যে বৈপরীত্য রয়েছে।

আর আবদুল্লাহ ইবন ‘আজলান বর্ণনা করেন আবূ আবদিল্লাহ (আ.) থেকে। তিনি বলেন: যখন আলে মুহাম্মদের প্রতিনিধি (দ্বাদশ ইমাম)-র আগমন ঘটবে, তখন তিনি মানুষের মধ্যে বিচার-ফয়সালা করবেন দাঊদ নবীর বিধান দ্বারা?!

আর মুফাদ্দাল ইবন ওমর বর্ণনা করেন আবূ আবদিল্লাহ (আ.) থেকে। তিনি বলেন: কুফা থেকে দ্বাদশ ইমামের সাথে মূসার সম্প্রদায় (!?!?) থেকে সাতাশ ব্যক্তি, আহলে কাহাফ থেকে সাত ব্যক্তি, ইউশা‘ ইবন নূন, সুলাইমান, আবূ দুজানা আল-আনসারী, মিকদাদ এবং মালিক আল-আশতার বের হয়ে আসবে এবং তারা তার সামনে আনসার ও বিচারকের ভূমিকা পালন করবে!

আর এই ভাষ্যগুলো অক্ষরে অক্ষরে ও পরিপূর্ণ আমানত সহকারে তাদের প্রখ্যাত আলেমদের অন্যতম বিশিষ্ট আলেমের কিতাব থেকে উদ্ধৃত; আর তিনি হলেন আল-শাইখ আল-মুফিদ ( الشيخ المفيد )। এই ভাষ্যগুলো সন্দেহাতীতভাবে আলে বাইতের উপর তাদের মিথ্যা ও বানোয়াট সনদের দ্বারা বর্ণিত। যারা ছিল তাদের বিপদ-মুসিবতের অন্যতম কারণ। কেননা, ঐসব মিথ্যাবাদীরাই তাদের দলের বিশেষ ব্যক্তিবর্গ। আর আল-শাইখ আল-মুফিদ ( الشيخ المفيد )-এর কিতাবটি ইরানে প্রকাশিত হয়; আর তার ঐতিহাসিক কপিটি আমাদের নিকট সংরক্ষিত ও মওজুদ আছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন