hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

দ্বাদশ-ইমামী শী‘আ ধর্মের মূলনীতিসমূহের সুস্পষ্ট রূপরেখা

লেখকঃ মুহিব্বুদ্দীন আল-খতিব

১৬
আল-আলকামী ও ইবন আবিল হাদীদের খিয়ানত বা বিশ্বাসঘাতকতা
আর শী‘আদের গুরু নাসির আল-তুসী’র সাথে লুটপাটের এই মহোৎসবে অংশগ্রহণ করেছিল তার দুই বন্ধু; তাদের একজন হল শী‘আ উযির মুহাম্মদ ইবন আহমদ আল-‘আলকামী, আর অপরজন হল মু‘তাযেলী লেখক (প্রায় শী‘আ) আবদুল হামিদ ইবন আবিল হাদীদ, সে ছিল ইবনুল ‘আলকামী’র ডান হাত। সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীদের শত্রু হিসেবে তার জীবনপাত করেছে; যার প্রমাণ হল ‘নাহজুল-বালাগাহ’ ( نهج البلاغة ) নামক কিতাবটি। সে তার কদর্যপূর্ণ ও মিথ্যা-বানোয়াট ব্যাখ্যা দ্বারা সেটাকে পরিপূর্ণ করেছে, যার মাধ্যমে সে ইসলামের ইতিহাসকে বিকৃত করেছে। আর সে অনবরত তার দ্বারা যারা ইসলামের গৌরবোজ্জ্বল অতীত বাস্তবতা সম্পর্কে অজ্ঞ, তারা প্রতারিত হয়েছে, এমনকি আমাদের বুদ্ধিমান লেখকবৃন্দও অনেক সময় প্রতারিত হয়েছে!! [নাজাফ সম্মেলনের সদস্য আল্লামা আল-সুওয়াইদী যার আলোচনা এই ভূমিকার পরে আসবে; তার পক্ষ থেকে এই ইবন আবিল হাদীদের জওয়াব দেয়া হয়েছে। এই জন্য তিনি তার প্রায় এক হাজার পাতার “আল-সারেম আল-হাদীদ ফি আল-রদ ‘আলা ইবন আবি আল-হাদীদ” ( الصارم الحديد في الرد ابن أبي الحديد ) নামক কিতাবটি লিপিবদ্ধ করেছেন; যাকে সম্মানিত ইমাম আল্লামা মুহাম্মদ যাহিদ আল-কাউসারী তার প্রবন্ধমালার ১৫৫ পৃষ্ঠায় একটি উপকারী গ্রন্থ বলে মন্তব্য করেছেন।]

বস্তুত ইবনুল ‘আলকামী এমন ব্যক্তি, যে খেয়ানত ও বিশ্বাসঘাতকতা নিয়ে খলিফা আল-মুসতা‘সিমের উদারতার সম্মুখীন হল; আর তিনি (খলিফা) তাকে তার উযিররূপে গ্রহণ করে পুরস্কৃত করলেন। ফলে যার প্রতি তিনি ইহসান করলেন, ইহসানের প্রতিদান স্বরূপ সে খেয়ানত ও হীন মানসিকতার শিকড় গেড়ে বসল এবং তাকে উচ্ছেদ করে ছাড়ল।

আর শী‘আগণ প্রথম থেকে এই পরবর্তী যুগ পর্যন্ত একাধারে অন্যের কষ্টে আনন্দ উপভোগ করে আসছে এবং তারা ইসলামের সাথে শত্রুতা করে তাকে (ইসলামকে) হালাকু খানের ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যে ফেলে দিয়ে মজা উপভোগ করে। কোন ব্যক্তি চাইলে তাদের লিখিত সকল জীবনীগ্রন্থের মধ্যে নাসির আল-তুসী’র জীবনী পাঠ করতে পারে। সবশেষে আল-খূওয়ানসারী রচিত ‘রওযাতুল জান্নাত’ ( روضات الجنات ) নামক অপর আরও একটি জীবনীগ্রন্থ আছে, যা রক্তপাতকারী ও বিশ্বাসঘাতকদের প্রশংসায় ভরপুর; ইসলামের উপর আপতিত ঐ দিনকার বিদ্বেষপূর্ণ আচরণ বা অন্যের কষ্টে আনন্দ উপভোগ; বিশেষ ও ব্যাপক এই ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে ক্রোধ প্রশমিত করা এবং মুসলিম নর-নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের উপর যে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ পরিচালিত হয়েছে, যা বর্ণনা করে আনন্দ অনুভব করতে সবচেয়ে বড় শত্রু ও পশুর চেয়েও কঠোর পাষণ্ড অন্তরও সায় দেয় না; সে ঘটনাগুলো বর্ণনা করে সে গ্রন্থে পৈশাচিক আনন্দ প্রকাশ করা হয়েছে।

আলোচনা সংক্ষিপ্ত করার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও এই বিষয়টি বিস্তারিত ও ব্যাপক হয়ে গেল; তবে তাতে শী‘আদের নির্ভরযোগ্য কিতাবসমূহ থেকে গৃহীত ভাষ্যসমূহ সংক্ষেপ করা হয়েছে। আর আলোচনাটি শেষ করব অপর একটি নস বা ভাষ্য দ্বারা যা (শী‘আ-সুন্নী) ঐক্যের বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত; যাতে প্রত্যেক মুসলিম জানতে পারে, বিভিন্ন দল ও অপরাপর মাযহাবসমূহের অনুসারীদের মধ্যে ঐক্য সম্পর্কে, বিশেষ করে শী‘আদের সাথে তার অসাধ্যতা সম্পর্কে; আর এটাই তাদের স্পষ্ট স্বীকারোক্তি; যার বর্ণনা নিম্নরূপ:

শী‘আদের অভিজ্ঞ ঐতিহাসিক আল-খুওয়ানসারী ১৩৬৭ হিজরিতে তেহরান থেকে প্রকাশিত তার ‘রওযাতুল জান্নাত’ ( روضات الجنات ) নামক কিতাবের দ্বিতীয় সংস্করণের ৫৭৯ পৃষ্ঠায় নাসির আত-তুসী’র দীর্ঘ জীবনী বর্ণনার সময় উল্লেখ করেন যে, তার “বাস্তব সুগঠিত এবং সত্য ও বাস্তবতার আলোকে প্রকাশিত” বক্তব্যগুলোর একটি হলো “তিহাত্তরটি ফিরকার মধ্য থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত দল বা ‘ফিরকাতুন নাজিয়া’ ( الفرقة الناجية ) সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণের কথা, আর তা যে ইমামীয়া তা বর্ণনা করা।” সে বলে:

[ফিরকা নাজিয়া ( الفرقة الناجية ) হল ইমামীয়া!]

“নিশ্চয় আমি সকল মাযহাবকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি এবং সেগুলোর নিয়ম-নীতি ও শাখা-প্রশাখার ব্যাপারে অবগত হয়েছি। অতঃপর আমি ইমামীয়া ছাড়া বাকি সকল মাযহাবকে ঈমানের নীতিমালার ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে মিল পেয়েছি; যদিও তারা কিছু কিছু বিষয়ে মতবিরোধ করে থাকে; যেগুলো সাব্যস্ত করা আর না করা ঈমানের ব্যাপারে সমান কথা। অতঃপর আমি ইমামীয়া সম্প্রদায়কে তাদের সবার নীতিমালার সম্পূর্ণ বিরোধী হিসেবে পেয়েছি। সুতরাং ইমামীয়াদের নীতিমালার বিপরীত কোন একটি ফিরকা যদি মুক্তি বা নাজাতপ্রাপ্ত ধর্তব্য হয়, তবে সকল ফিরকা বা দলই মুক্তিপ্রাপ্ত হয়ে যাবে; আর [যেহেতু তা তার নিকট সম্ভব নয়; সেহেতু] তা এ কথাই প্রমাণ করে যে, মুক্তিপ্রাপ্ত দল মানেই ইমামীয়া সম্প্রদায়, অন্য কেউ নয়”!

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন