hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

দ্বাদশ-ইমামী শী‘আ ধর্মের মূলনীতিসমূহের সুস্পষ্ট রূপরেখা

লেখকঃ মুহিব্বুদ্দীন আল-খতিব

১৮
শী‘আরা মুসলিমদের সাথে মূলনীতিতেই বিরোধী, শুধু শাখা-প্রশাখাজনিত মাসআলায় নয়
আল-তুসী, আল-মূসাওয়ী ও আল-খূওয়ানসারী সত্য বলেছে! আবার তারা মিথ্যাও বলেছে!!

তারা সত্য বলেছে যে, মুসলিম সম্প্রদায়গুলো মূলনীতিমালার ক্ষেত্রে একে অপরের কাছাকাছি এবং গৌণ বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে ভিন্ন রকম; এই জন্য মূলনীতিমালার ক্ষেত্রে কাছাকাছি অবস্থানে অবস্থিত সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে আপোষ-মীমাংসা ও সমন্বয় সাধন সম্ভব। কিন্তু এই আপোষ-মীমাংসা ইমামীয়া শী‘আ সম্প্রদায়ের সাথে অসম্ভব। কারণ, তারা তাদের মূলনীতিমালার ক্ষেত্রে সকল মুসলিমের বিরোধী; আর তারা মুসলিম সম্প্রদায়ের কাউকে পছন্দ করে না, যতক্ষণ না তারা (জিবত ও তাগুত) আবূ বকর ও ওমর রা. এবং কিয়ামত পর্যন্ত তাদের অধস্তনদেরকে লা‘নত বা অভিশাপ দেবে; আর যতক্ষণ না তারা শী‘আ নয় এমন প্রত্যেক ব্যক্তির সাথে সম্পর্কচ্ছেদ ঘোষণা করবে, এমনকি যদিও সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কন্যাদের মধ্য থেকে ‘আলে বাইত’ (নবী পরিবার) হয়, তবুও!! যে কন্যাদেরকে বিয়ে করে তাঁর (রাসূলের) সাথে আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন যুন নূরাইন ওসমান ইবন আফফান রাদিয়াল্লাহু আনহু এবং উমাইয়া বংশের বিচক্ষণ ব্যক্তি ‘আস ইবন রবী‘ যার প্রশংসা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববীতে ভর্তি সকল মুসলিমকে সামনে নিয়ে মিম্বরে বসে করেছেন, যখন আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু আবূ জাহেলের কন্যাকে বিয়ে করে তাকে তাঁর চাচার কন্যা ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু আনহা [ভাইয়ের কন্যাকে ব্যক্তির বাপ-চাচাদের দিকে সম্পর্কিত করে বলা হয়, সে তার চাচার কন্য; এই জন্য লেখক বলেছেন: ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু আনহা আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু’র চাচার কন্যা, অথচ তিনি হলেন তার চাচার ছেলের কন্যা।]-এর সতীন বানানোর ইচ্ছা পোষণ করেন এবং তিনি (ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু আনহা) তাঁর পিতার নিকট এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।

আর শী‘আরা কোন মুসলিমের উপর ঐ পর্যন্ত সন্তুষ্ট হয় না, যতক্ষণ না তারা আরও সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা দেয় ইমাম যায়েদ ইবন আলী যাইনুল ‘আবেদীন ইবন হোসাইন ইবন আলী ইবন আবি তালিব ও আলে বাইতের সকল সদস্যের সাথে, যারা তাদের বদ্ধ আকিদার ক্ষেত্রে রাফেযী পতাকা তলে ঐক্যবদ্ধ হয় নি, যার উল্লেখযোগ্য একটি আকিদা হচ্ছে এই কথা দাবি করা যে, আল-কুরআন বিকৃত।

বস্তুত শী‘আরা তাদের সকল যুগে ও সকল স্তরেই এই (কুরআন বিকৃতির) আকীদা পোষণ করে থাকে; যা তাদের থেকে বর্ণনা করেছেন এবং তাদের তরেই লিপিবদ্ধ করেছেন তাদেরই একান্ত প্রিয় ও আন্তরিক প্রতিভাবান ব্যক্তি আলহাজ্জ মির্জা হোসাইন ইবন মুহাম্মদ তকী আল-নূরী আল-তাবারসী তার ‘ফাসলুল খিতাব ফি ইসবাতে তাহরীফে কিতাবে রাব্বিল আরবাব’ নামক কিতাবে; যিনি এই কিতাবের প্রতিটি ছত্র লেখার মত ন্যক্কারজনক অপকর্মটি সম্পন্ন করেছেন এমন একজন সম্মানিত সাহাবী কুফার আমীর মুগীরা ইবন শু‘বা রাদিয়াল্লাহু আনহু কবরের পাশে অবস্থান করে; যে কবরকে শী‘আরা মনে করে যে, এটাই আলী ইবন আবি তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু’র কবর।

শী‘আরা তাদের সাথে ঐক্য, আপোষ-মীমাংসা ও সমন্বয় সাধনের জন্য আমাদের উপর শর্তারোপ করেছে যে, তাদের সাথে আমরাও যেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীদেরকে অভিশাপ দেই এবং যারা তাদের মতাদর্শের অনুসারী নয় এমন প্রত্যেক ব্যক্তির সাথে সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা করি; এমনকি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কন্যাদের ও তাঁর শ্রেষ্ঠ বংশধরদের সাথেও সম্পর্কচ্ছেদ করি, যার শীর্ষে রয়েছেন যায়েদ ইবন যাইনুল ‘আবেদীন; এবং তাদেরকেও যেন অভিশাপ দেই, যারা রাফেযীদের অপকর্মের প্রতিবাদ ও নিন্দাজ্ঞাপনে তাঁর (যায়েদ ইবন যাইনুল ‘আবেদীনের) পদাঙ্ক অনুসরণ করেছে। আর এটাই নাসির আল-তুসী থেকে বর্ণিত ভাষ্যের বাস্তব সত্য দিক। এ ক্ষেত্রে তার অনুসরণ করেছে সাইয়্যেদ নিয়ামতুল্লাহ আল-মূসাওয়ী ও মির্জা মুহাম্মদ বাকের আল-মূসাওয়ী আল-খূওয়ানসারী আল-ইস্পাহানী। আর এ ক্ষেত্রে ‘তাকিয়্যা’ নীতির প্রকাশকারী অথবা গোপনকারী কোন শী‘আ-ই তাদের বিরুদ্ধাচরণ করে না।

আর যে বিষয়টিতে তারা (আল-তুসী, আল-মূসাবী ও আল-খূওয়ানসারী) মিথ্যা বলেছে, তা হল তাদের দাবি যে, শী‘আগণ ব্যতীত সকল মুসলিমের মতে, দুই সাক্ষ্য ( الشهادتين ) উচ্চারণের দ্বারাই আখেরাতে পরিপূর্ণ মুক্তি পাওয়া যাবে। অথচ যদি তাদের জ্ঞান-বুদ্ধি থাকত, তবে তারা জানতে পারত যে, আমাদের মতে, দুই সাক্ষ্য ( الشهادتين ) হল ইসলামের মধ্যে প্রবেশের ঠিকানা বা শিরোনাম। আর এই শাহাদাতাইনের ( الشهادتين ) স্বীকৃতিদাতা যদি (বিপক্ষের) যোদ্ধাও হয়ে থাকে, তবে দুনিয়াতে তার জান ও মালের নিরাপত্তা পাবে। কিন্তু আখেরাতে তার নাজাত হবে ঈমানের বিশুদ্ধতার দ্বারা। আর এটা জানা আবশ্যক যে, ঈমানের কতগুলো ফরয, শরয়ী বিধান, হদ ও সুন্নাত রয়েছে; যেমনটি আমীরুল মুমিনীন ওমর ইবন আবদুল আযীয র. বলেছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি এগুলো পূরণ করবে, তার ঈমান পরিপূর্ণ হবে; আর যে ব্যক্তি এগুলো পূরণ করবে না, তার ঈমান পরিপূর্ণ হবে না। এমনকি তাদের দ্বাদশ ইমামের অস্তিত্বে বিশ্বাস করাও সেগুলোর অন্তর্ভুক্ত কোন কাজ নয়। কারণ, সে হল এক কল্পিত ব্যক্তি, বানোয়াট প্রক্রিয়ায় হাসান আল-‘আসকারীর মত নিঃসন্তান অবস্থায় মৃত ব্যক্তির প্রতি সম্পর্কযুক্ত করা হয়েছে। কারণ, তার সহোদর ভাই জাফর [তিনি হলেন জাফর ইবন আলী আল-‘আসকারী, হাসান আল-‘আসকারী’র সহোদর ভাই।] তার রেখে যাওয়া যাবতীয় সম্পত্তি ওয়ারিশ হিসেবে গ্রহণ করেছেন, কেননা, হাসান আল-আসকারীর কোন সন্তান ছিল না।

আর আলাওয়ী বা আলীবংশীয়দের জন্য জন্মনিবন্ধন খাতা ছিল, যার দেখাশুনা করতেন ঐ যামানার নকীব বা প্রধান ব্যক্তি; তাদের কোন সন্তান জন্ম গ্রহণ করলেই তাতে তার নাম লিপিবদ্ধ করা হয়ে যেত। আর তাতে হাসান আল-‘আসকারী’র কোন সন্তানের জন্ম নাম লিপিবদ্ধ করা হয় নি। আর তৎকালীন সময়ের অভিজাত ব্যক্তিবর্গ জানেন না যে, হাসান আল-‘আসকারী কোন পুত্র সন্তান রেখে মারা গেছেন। কিন্তু যখন হাসান আল-‘আসকারী নিঃসন্তান অবস্থায় মারা গেল, তখন তাদের ইমামের অনুসারীদের মতে, ইমামতের ধারাবাহিকতা বন্ধ হয়ে গেল এবং তারা দেখল যে, তার মৃত্যুর কারণে মাযহাবের মৃত্যু ঘটছে; আর তারা হয়ে গেলেন ইমামীই রইলো না; কারণ, এখন আর তাদের কোন ইমাম নেই।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন