hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

দ্বাদশ-ইমামী শী‘আ ধর্মের মূলনীতিসমূহের সুস্পষ্ট রূপরেখা

লেখকঃ মুহিব্বুদ্দীন আল-খতিব

শাসনের অধিকার
আবূ বকর, ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমা, সালাহউদ্দীন আল-আইয়ুবী র.সহ যাঁরা ইসলামের জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্র জয় করেছেন এবং সেগুলোকে আল্লাহর দ্বীনের অধীনে নিয়ে এসেছেন; আর যাঁরা আমাদের এই দিন পর্যন্ত ইসলামের নামে ঐসব দেশ শাসন করে আল্লাহর দরবারে হাযির হয়েছেন, শী‘আদের আকিদা অনুযায়ী তাঁরা সকলেই যালিম শাসক এবং জাহান্নামের অধিবাসী। কারণ, তারা অবৈধ এবং তারা শী‘আদের কাছ থেকে বন্ধুত্ব, সত্যিকার আনুগত্য ও কল্যাণকর কাজে সহযোগিতা পাওয়ার উপযুক্ত নয়; তবে শী‘আদের তাকিয়্যা আকিদা তাদেরকে যতটুকুর অনুমতি দেয় কেবল ততটুকু সাহায্য-সহযোগিতা তারা করতে পারবে, অনুরূপভাবে সে সমস্ত শাসকদের কাছ থেকে কোন কিছু গ্রহণ করার সুযোগ থাকলে, অথবা তাদের সাথে মুনাফেকী করার ইচ্ছা থাকলে সেটা ভিন্ন কথা। [না‘উযুবিল্লাহ]

[শী‘আরা এমন এক মাহদীর আগমনের অপেক্ষায় রয়েছে, যে মাহদী তাদের দ্বীন ও নেতৃত্ব জবরদখলকারীদেকে শাস্তি প্রদান করবে ও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করবে]

তাদের মৌলিক আকিদার মধ্যে অন্যতম একটি আকিদা হল, যখনই মাহদী’র আগমন ঘটবে তিনি হবেন তাদের দ্বাদশ ইমাম, যিনি এখনও জীবিত এবং তারা তার আগমনের অপেক্ষায় রয়েছে। অর্থাৎ তারা হবে তার বিপ্লবের সহযোগী সৈনিক। আর তারা যখন তাদের কিতাবে তার আলোচনা দেখতে পায়, তখন তারা তার নাম অথবা লকব অথবা উপনামের পাশে লিখে রাখে: দু’টি হরফ “ عج ” অর্থাৎ “ عجّل الله فَرَجه ” (আল্লাহ তার মুক্তি বা আগমনকে তরান্বিত করুন)। যখনই এই মাহদী জেগে উঠবে তার দীর্ঘ ঘুম থেকে যার পরিমাণ হবে এক হাজার একশত বছরেরও বেশি এবং আল্লাহ শীঘ্রই তার ও তার বাপ-দাদাদের জন্য সমকালীন শাসকদের সাথে পূর্ববর্তী সকল মুসলিম শাসককে বিচার-ফয়সালার জন্য জীবিত করবেন; আর সকলের শীর্ষে থাকবে ‘জিবত’ ( الجبت ) ও ‘তাগুত’ ( الطاغوت ) আবূ বকর ও ওমর। অতঃপর তাদের পরবর্তীগণও!!, তখনই তিনি তার নিকট থেকে এবং তার বাপ-দাদাদের এগারো ইমামের নিকট থেকে শাসন ক্ষমতা জবরদখলের অপরাধে তাদেরকে বিচারের সম্মুখীন করবেন। কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইন্তিকালের পর থেকে কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ইসলামে শাসন ক্ষমতার একমাত্র হকদার তারাই; এর মধ্যে অন্য কারও কোন অধিকার নেই।

আর ঐসব জবরদখলকারী বিচারের পর তিনি তাদের নিকট থেকে প্রতিশোধ নিবেন, হত্যার নির্দেশ দিবেন এবং প্রতি পাঁচশতজনকে এক সাথে মৃত্যুদণ্ড দিবেন; এমনকি ইসলামের সকল যুগের শাসকদের মধ্য থেকে তিন হাজারের হত্যা সম্পন্ন করবেন। আর এটা হবে কিয়ামতের দিন শেষ পুনরুত্থানের পূর্বে। অতঃপর যে মৃত্যুবরণ করবে তার মৃত্যুর পর এবং যার মৃত্যুদণ্ড হবে তার মৃত্যুদণ্ডের পর, হাশরের জন্য মহা পুনরুত্থান সম্পন্ন হবে; অতঃপর জান্নাত অথবা জাহান্নামের দিকে পাঠানো হবে। জান্নাত হবে আহলে বাইতের জন্য এবং যারা তাদের ব্যাপারে এই আকিদায় বিশ্বাস করে তাদের জন্য। আর জাহান্নাম হবে এমন প্রত্যেকের জন্য, যারা শী‘আ সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত নয়।

[‘রাজ‘আ’ ( الرجعة ) আকিদা এবং কুরাইশ গোত্রের তিন হাজার ব্যক্তিকে হত্যা]

এই জীবিতকরণ, বিচার-ফয়সালা ও কিসাস বা শাস্তিবিধানকে শী‘আগণ ‘রাজ‘আ’ ( الرجعة ) নামে অভিহিত করে থাকে। আর এটা তাদের মূল আকিদাসমূহের মধ্যে অন্যতম একটি যার ব্যাপারে কোন শী‘আ সন্দেহ পোষণ করে না।

আমি লক্ষ্য করেছি, অনেক ভালো মনের মানুষ ধারণা করে থাকে যে, শী‘আগণ পরবর্তী যুগে এই ধরণের আকিদা পরিবর্তন করেছে, বস্তুত এটি একটি বড় ভুল ধারণা ও বাস্তবতার বিপরীত। কারণ, শী‘আগণ সাফাভী শাসকদের সময় থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত এই আকিদা-বিশ্বাসকেই আঁকড়ে ধরে রেখেছে। আর তারা এখন হয় এসবের প্রতি বিশ্বাসী, অথবা তারা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে এসব নোংরা চিন্তাধারা বাদ দিয়ে সমাজতন্ত্রী চিন্তাধারা গ্রহণ করেছে। বস্তুত সমাজতন্ত্র বা কমিউনিজম ইরাকে আছে; ইরানেও তা পছন্দনীয় দল, যা শী‘আপন্থী যুবকদের দ্বারা ঘটিত হয়েছে, যারা তাদের ধর্মীয় কুসংস্কারে বীতশ্রদ্ধ হয়ে শী‘আ থেকে সমাজতন্ত্রের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। ফলে তারা শী‘আ মতবাদে বিশ্বাসী হওয়ার পর সাম্যবাদী হয়ে গেছে! আর তাদের মধ্যে মধ্যমপন্থী কোন দল নেই। তবে কেউ কেউ মাযহাবী, কূটনৈতিক, দলীয়, অথবা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে তাকিয়্যার মিথ্যা দাবি করে এবং সে যা দাবি করে, তার বিপরীত বিষয়টি লুকিয়ে রাখে।

আর আপনাকে তাদের নির্ভরযোগ্য কিতাবসমূহ থেকে ‘রাজ‘আ’ ( الرجعة ) আকিদা সম্পর্কে জানতে শী‘আদের শাইখ আবূ আবদিল্লাহ মুহাম্মদ ইবন মুহাম্মদ ইবন নুমান; যিনি তাদের নিকট ‘আশ-শাইখ আল-মুফিদ’ ( الشيخ المفيد ) নামে পরিচিত; তিনি তার “আল-ইরশাদ ফি তারিখে হুজাজিল্লাহ ‘আলাল-‘ইবাদ” ( الإرشاد في تاريخ حجج الله على العباد ) নামক কিতাবের ৩৯৮-৪০২ পৃষ্ঠায় যা বলেছেন, আমি তা আপনাকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি; এই গ্রন্থটি ইরানে মুদ্রিত এক প্রাচীন প্রকাশনা যাতে কোন তারিখ উল্লেখ নেই; কিন্তু তা মুহাম্মদ আলী মুহাম্মদ হাসান [মূল কিতাবে এমনই আছে; সম্ভবত তা হবে: মুহাম্মদ আলী ইবন মুহাম্মদ হাসান।] আল-কালবাবেকাতী লিপিতে মুদ্রিত; তাতে এসেছে, ফযল ইবন শাযান বর্ণনা করেন মুহাম্মদ ইবন আলী আল-কুফী থেকে। তিনি বর্ণনা করেন ওহাব ইবন হাফস থেকে। তিনি বর্ণনা করেন আবূ বসীর থেকে। তিনি বলেন,

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন