hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

দ্বাদশ-ইমামী শী‘আ ধর্মের মূলনীতিসমূহের সুস্পষ্ট রূপরেখা

লেখকঃ মুহিব্বুদ্দীন আল-খতিব

২৪
তাদের থেকেই ইসমাঈলীয়া শী‘আদের উদ্ভব
কারণ ইসমাঈলীয়ারা [ইসামাঈলীরা বর্তমানে দু’ভাগে বিভক্ত; সুলাইমানিয়া ও দাউদিয়া; তাদের আরেক নাম হচ্ছে, আগাখানিয়া। তারা তাদের আকীদা বিশ্বাস নিয়ে সম্পূর্ণরূপে ইসলাম থেকে বের হয়ে গেছে। বাংলাদেশে কোথাও কোথাও তাদেরকে তাহেরীয়া নামেও ডাকা হয়। [সম্পাদক]]ও তো তাদের মতই; তারাও শী‘আ ইমামীয়াদের মত করে মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরোধিতা করে। [সুতরাং সম্পূর্ণ ভিন্নমত থাকার কারণে কেউ সঠিক পথে আছে সেটা বলার অবকাশ কোথায়?] যদিও শী‘আ ইসমাঈলীয়া ও শী‘আ ইমামীয়াদের মধ্যে আলে বাইতের (নবী পরিবারের) মধ্য থেকে কাদের আনুগত্য করা হবে, সে বিষয়ে কিছুটা মত-পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। ইমামীয়া শী‘আরা জাফর সাদিক পর্যন্ত প্রত্যেককেই মান্য করে; যাদেরকে ইসমাঈলীয়ারাও মান্যবর হিসেবে গ্রহণ করে। কিন্তু তারা জাফর সাদিকের পরবর্তীদের নিয়ে মতবিরোধ করে। তন্মধ্যে ইমামীয়ারা মূসা ইবন জাফর ও তার ধারাবাহিকতায় পরবর্তীদেরকে ইমাম হিসেবে মান্য। পক্ষান্তরে ইসমাঈলীয়ারা ইসমাঈল ইবন জাফর ও তার ধারাবাহিকতায় পরবর্তীদেরকে ইমাম হিসেবে গ্রহণ করে। আর ইসমাঈলীয়া সম্প্রদায়ের লোকেরা ইসমাঈল ও তার পরবর্তী ইমামদের নিয়ে যে বাড়াবাড়ি ও অতিরঞ্জনে লিপ্ত হয়েছে, তা দেখে হিংসায় সাফাওয়ী রাজবংশের লোকেরাও তাদের ইমামদের নিয়ে বাড়াবাড়ির দিকে ঝুঁকে পড়েছে। ফলে তারা আল-মাজলিসী, তার সহযোগী ও অন্যায় বাড়াবাড়ি শোভিতকারী দলের হাতে শী‘আ ইমামীয়ারাও পতনের অতল গহবরে নিমজ্জিত হয়। যদিও ইমামীয়াদের মধ্যে অতিরঞ্জন ও বাড়াবাড়িকারীর সংখ্যা এর পূর্ব যুগে কম ছিল। কিন্তু তৎপরবর্তী সময় থেকে আজ পর্যন্ত তারা সবাই বাড়াবাড়িকারী ও অতিরঞ্জনকারীতেই পরিণত হল। রাবী বা বর্ণনাকারীদের বিশুদ্ধতা যাছাইয়ের বিষয়ে পারদর্শী তাদের অভিজ্ঞ বড় আলেম আয়াতুল্লাহ আল-মামেকানী তার গ্রন্থে পূর্ববর্তী যুগের অতিরঞ্জনকারী প্রতিটি লোকের জীবনী রচনার সময় এ কথার স্বীকৃতি দিয়েছেন। তিনি তার সেই বিরাট কিতাবের ঐসব স্থানে বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন, যে স্থানে এই আলোচনাটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তিনি বলেছেন, “যে কারণে পূর্ববর্তী লোকেরা অতিরঞ্জনকারী হিসেবে স্বীকৃত হলো, সেগুলো বর্তমান ইমামীয়া’ শী‘আদের নিকট তাদের মতাদর্শের অত্যাবশ্যক বিষয় হিসেবে পরিগণিত হলো।”

সুতরাং যে বাড়াবাড়ির কারণে ইসমাঈলীয়ারা ইমামীয়া শী‘আদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল, ঠিক একই কারণে তারা সকলেই আবার সমান হয়ে গেল; তাদের মধ্যে কোন পার্থক্য রইল না, তবে পার্থক্য রইল শুধু এটাতে যে তাদের এক শাখা যাদেরকে ইলাহ বা মা‘বুদ বানিয়েছে অপর শাখা অন্যদেরকে ইলাহ বা মা‘বুদ বানিয়েছে। তাদের এক শাখা যে বিশেষ ব্যক্তিদেরকে নবীর উপরে স্থান দিয়েছে, অপর শাখা অন্য লোকদেরকে নবীর উপর স্থান দিয়েছে। যার জন্য ইমামীয়া শী‘আরা তাদের মুখপাত্র মুহাম্মদ ইবন হাসান আল-আশতিয়ানী’র ভাষায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে যেসব গায়েবী বিষয়ের সংবাদ; যেমন, আসমান ও যমিনের সৃষ্টি এবং জান্নাত ও জাহান্নামের গুণাগুণের বর্ণনা সম্বলিত গায়েবী বিষয় বিশুদ্ধভাবে বর্ণিত হয়েছে; তারা সেগুলোকে বিশ্বাস না করার বিষয় খুঁজে বেড়ায়। অথচ তারা তাদের ইমামদের সাথে এমন কিছু সম্পর্কিত করে, বিশেষ করে কথিত ‘দ্বাদশ ইমাম’-এর দিকে এমন কিছু ক্ষমতা সম্পর্কযুক্ত করে যা তাদেরকে গ্রীক মা‘বুদদের পর্যায়ে উন্নীত করে।

মুসলিম সম্প্রদায়সমূহ ও শী‘আ উপদলসমূহের মধ্যে ঐক্য সাধনের অসাধ্যতার অন্যতম কারণ হচ্ছে মূলনীতির ক্ষেত্রে তাদের পক্ষ থেকে সকল মুসলিমের বিরোধী হওয়া; যেমন নাসির আত-তুসী তা স্বীকার করেছে এবং তা প্রচার করেছে; আর এই ব্যাপারে তাকে সমর্থন দিয়েছে নিয়ামত উল্লাহ আল-মুসাওয়ী, আল-খুওয়ানসারী ও প্রত্যেক শী‘আপন্থী। আর যখন (বিরোধিতার) এই অবস্থা ছিল নাসির আল-তুসী’র যামানায়, তখন আল-মাজলিসী’র যুগ থেকে এখনকার সময় পর্যন্ত নিঃসন্দেহে তার (বিরোধিতার) অবস্থা আরও কঠিন ও ভয়াবহরূপ ধারণ করেছে!!

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন