hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সালাত আদায়ের পদ্ধতি

লেখকঃ ড. সায়িদ ইবন আলী ইবন ওহাফ আল-কাহতানী

১০
৬. সালাত শুরু করার দো‘আ দ্বারা সালাত আরম্ভ করা। সালাত শুরু করার অনেক দো‘আ রয়েছে, সেখান থেকে যে কোনো একটি দো‘আ পড়া, তবে একাধিক দো‘আ একসাথে না পড়া, বরং এক এক সময় এক এক দো‘আ পড়া। সালাত আরম্ভ করার কতক দো‘আ:
এক. আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকবীর বলে কিরাত আরম্ভ করার আগে কিছু সময় চুপ থাকতেন। আমি বললাম: হে আল্লাহর রাসূল! আমার পিতা-মাতা আপনার ওপর উৎসর্গ! আপনি তাকবীর ও কিরাতের মধ্যবর্তী সময়ে চুপ থেকে কী বলেন? তিনি বললেন: “আমি বলি:

«اللهم باعِدْ بيني وبين خَطايايَ كما باعَدْتَ بين المشرق والمغرب، اللهم نَقِّني من خَطايايَ كما يُنقَّى الثوبُ الأبيضُ من الدَّنس، اللهم اغْسلْني من خَطايايَ بالثلج والماء والبَرَدِ» .

“হে আল্লাহ তুমি আমার ও আমার পাপের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি কর, যেমন দূরত্ব সৃষ্টি করে দিয়েছ পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে। হে আল্লাহ! তুমি আমাকে আমার পাপ থেকে পবিত্র কর, যেমন পবিত্র করা হয় সাদা কাপড় ময়লা থেকে। হে আল্লাহ আমাকে আমার পাপ থেকে ধৌত কর বরফ, পানি ও ডাণ্ডা দ্বারা”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৭৪৩; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৫৯৮।]

দুই. সালাত আদায়কারী ইচ্ছা করলে নিম্নের দো‘আও পড়তে পারে:

«سبحانك اللهم وبحمدك، وتبارك اسمك، وتعالى جدُّك، ولا إلهَ غيرُك» .

“হে আল্লাহ তোমার পবিত্রতা ও প্রশংসার মাধ্যমে তোমার তাসবীহ পাঠ করছি, তোমার নাম বরকতময়, তোমার সম্মান সুমহান, তুমি ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৯৯; মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং ২৫৫৫-২৫৫৭; ইবন আবি শায়বাহ: (১/২৩০), (২/৫৩৬); ইবন খুজাইমাহ: (৪৭১); হাকেম: (১/২৩৫), হাকেম হাদীসটি সহীহ বলেছেন এবং ইমাম যাহাবী তার সমর্থন করেছেন। ইবন তাইমিয়া বলেন: “উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু এ দো‘আটি উচ্চস্বরে পড়ে মানুষদের শিক্ষা দিতেন। যদি এটা স্বীকৃত সুন্নত না হত, তিনি তা করতেন না, অন্যান্য মুসলিমরাও তা মেনে নিতেন না”। দেখুন: কায়েদা ফিল ইস্তেফতাহ: (পৃ. ৩১), যাদুল মায়াদ লি ইবন কাইয়্যেম: (১/২০২-২০৬), ইমাম আহমদ দশটি কারণে সালাতের শুরুতে উমার থেকে বর্ণিত হাদীসটি গ্রহণ করেছেন। দেখুন: যাদুল মা‘য়াদ: (১/২০৫), লেখক বলেন: আমি ইমাম আব্দুল আযীয ইবন বায রহ.-কে “রাওজুল মুরবি” (২/২৩) গ্রন্থের ব্যাখ্যায় বলতে শোনেছি: “এ হাদীসটি এক দল সাহাবী থেকে বর্ণিত”। আমি (লেখক) বলছি: এ হাদীসটি আবু বকর, উমার, উসমান, আয়েশা, আনাস, আবু সাঈদ ও আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ বর্ণনা করেছেন, এ দো‘আর মাধ্যমে ওমর, আবু বকর ও উসমান তাদের সালাত আরম্ভ করতেন। দেখুন: আল-মুনতাকা মা‘আ নাইলুল আওতার”: (১/৭৫৬)।]

তিন. সালাত আদায়কারী ইচ্ছা করলে আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত দো‘আও পড়তে পারে, আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাতে দাঁড়াতেন, বলতেন:

«وجهت وجهي للذي فطر السموات والأرض حنيفًا مسلمًا وما أنا من المشركين، إن صلاتي ونُسُكي، ومحياي، ومماتي لله رب العالمين، لا شريك له وبذلك أمرت وأنا من المسلمين، اللهم أنت الملك لا إله إلا أنت، أنت ربي وأنا عبدك، ظلمت نفسي واعترفت بذنبي فاغفر لي ذنوبي جميعًا، إنه لا يغفر الذنوب إلا أنت، واهدني لأحسن الأخلاق لا يهدي لأحسنها إلا أنت، واصرف عني سيئها لا يصرف عني سيئها إلا أنت، لبيك، وسعديك، والخير كله بيديك، والشر ليس إليك، أنا بك وإليك، تباركت وتعاليت، أستغفرك وأتوب إليك» .

“আমি একনিষ্ঠভাবে আত্মসমর্পণ করলাম মহান আল্লাহর পানে, যিনি আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন, আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নয়। নিশ্চয় আমার সালাত, আমার কুরবানি, আমার জীবন ও আমার মরণ একমাত্র দু’জাহানের রব আল্লাহ তা‘আলার জন্য নিবেদিত, তার কোনো শরীক নেই, আমাকে এরই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আমি মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত। হে আল্লাহ তুমিই মালিক, তুমি ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই, তুমি আমার রব, আমি তোমার বান্দা, আমি আমার নফসের ওপর যুলুম করেছি, আমি আমার অপরাধ স্বীকার করছি। অতএব, আমার সকল পাপ মোচন কর। নিশ্চয় তুমি ব্যতীত কেউ পাপ মোচন করতে সক্ষম নয়। আমাকে উত্তম আদর্শের দীক্ষা দান কর, যার দীক্ষা একমাত্র তুমি ব্যতীত কেউ দিতে সক্ষম নয়। তুমি আমার নিকট থেকে বদ আখলাক দূরীভূত কর, তুমি ব্যতীত কেউ তা দূরীভূত করতে সক্ষম নয়। আমি তোমার দরবারে হাযির, তুমি কল্যাণময়, সকল কল্যাণ তোমার হাতে, অকল্যাণ তোমার পক্ষ থেকে নয়, আমি তোমার ওপর সোপর্দ এবং তোমার নিকটই প্রত্যাবর্তন করব। তুমি বরকতময় ও মহান। আমি তোমার নিকট ইস্তেগফার করছি এবং তোমার নিকটই তাওবা করছি”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৭৭১।] সালাত আদায়কারী এ ছাড়া আরো অন্যান্য দো‘আ পড়তে পারেন, যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। [ইবন তাইমিয়া রহ. “কায়েদাহ ফি আনওয়ায়িল ইস্তেফতাহ” (পৃ. ৩১) গ্রন্থে উল্লেখ করেন: সালাত আরম্ভ করার দো‘আ «سبحانك اللهم বা «وجهت وجهي বা এ ধরণের অন্য কোনো দো‘আর সাথে খাস নয়, বরং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্নিত যে কোন দো‘আর মাধ্যমেই সালাত আরম্ভ করা যায়, তবে কোনটি পড়া বেশি উত্তম এটা প্রমাণিত হয় অন্য দলিলের ভিত্তিতে। আমি (লেখক) আল্লামা আব্দুল আযীয ইবন বায রহ.-কে “বুলুগুল মারাম” এর (২৮৭) নং হাদীসের ব্যাখ্যায় বলতে শোনেছি: “সালাত আরম্ভ করার একটি দো‘আই যথেষ্ট, একাধিক দো‘আ এক সাথে পড়বে না, নফল সালাতে যে দো‘আ পড়া বৈধ, ফরয সালাতেও তা পড়া বৈধ, তবে যেসব দো‘আ লম্বা তা রাতের সালাতে পড়াই উত্তম”। আমরা এখানে সালাত আরম্ভ করার আরো কিছু দো‘আ উল্লেখ করছি:চার. আব্দুর রহমান ইবন আউফ বলেন, আমি আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে জিজ্ঞাসা করি, কোন দো‘আর মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের সালাত আরম্ভ করতেন? তিনি বলেন: তিনি যখন রাতে সালাতের জন্য উঠতেন, তখন তিনি নিম্নের দো‘আ দ্বারা সালাত আরম্ভ করতেন: «اللهم ربَّ جبرائيل وميكائيل وإسرافيل،فاطر السموات والأرض، عالم الغيب والشهادة، أنت تحكم بين عبادك فيما كانوا فيه يختلفون، اهدني لما اختلف فيه من الحق بإذنك إنك تهدي من تشاء إلى صراط مستقيم» .“হে আল্লাহ তুমি জিবরাঈল, মিকাঈল ও ইসলাফিলের রব, আসমান ও যমীন সৃষ্টিকারী, দৃশ্য ও অদৃশ্যের জ্ঞানের অধিকারী, তুমিই বান্দাদের বিতর্কিত বিষয়ে ফয়সালা প্রদানকারী। মানুষের বিতর্কিত বিষয়ে তুমি আমাকে সঠিক পথের দিশা দান করুন, নিশ্চয় তুমি যাকে ইচ্ছা কর সঠিক পথের দিশা প্রদান কর”। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৭৭১)।পাঁচ. আনাস সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি সালাতের কাতারে অনুপ্রবেশ করে, যখন নিশ্বাস তাকে কাবু করে ফেলেছিল, সে বলে: «الحمد لله حمدًا كثيرًا طيبًا مباركًا فيه» “আল্লাহর জন্য অধিক, পবিত্র ও বরকতময় প্রশংসা”। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “আমি দেখেছি বারো জন ফেরেশতা এর সাওয়াব উঠিয়ে নেওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা করছে”। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৬০০)।ছয়. ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাথে সালাত আদায় করতেছিলাম, আমাদের থেকে একজন বলল: «الله أكبر كبيرًا، والحمد لله كثيرًا، وسبحان الله بكرة وأصيلاً» “আল্লাহ মহান, তার জন্য অগণিত প্রশংসা এবং সকাল-সন্ধ্যায় তারই পবিত্রতা”। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন “এ দো‘আ শোনে আমি আশ্চর্য হলাম, এর জন্য আসমানের দ্বার খুলে দেওয়া হয়েছে”।সাত. আসেম ইবন হুমাইদ বলেন, আমি আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে জিজ্ঞাসা করেছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের সালাত কিসের মাধ্যমে আরম্ভ করতেন? তিনি বলেন: তুমি আমাকে এমন একটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছ, যার সম্পর্কে তোমার পূর্বে কেউ আমাকে জিজ্ঞাসা করে নি, তার অভ্যাস ছিল দাঁড়িয়ে, “দশবার তাকবীর বলতেন, দশবার তাহমীদ তথা আল-হাদুল্লিাহ বলতেন, দশবার তাসবহ তথা সুবহানাল্লাহ বলতেন, দশবার তাহলীল তথা লাইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার বলতেন, দশবার ইস্তেগফার বলতেন, অতঃপর বলতেন: اللهم اغفر لي، واهدني، وارزقني، وعافني، أعوذ بالله من ضيق المقام يوم القيامة» .“হে আল্লাহ তুমি আমাকে ক্ষমা কর, আমাকে হিদায়াত কর, আমাকে রিযিক দান কর, আমাকে আফিয়াত তথা নিরাপত্তা দান কর, আমি আল্লাহর নিকট কিয়ামতের দিন সংকীর্ণতা থেকে পানাহ চাচ্ছি”। (আবু দাউদ, হাদীস নং ৭৬৬; নাসাঈ, হাদীস নং ১৬১৭; আহমদ: (৬/১৪৩)। এ হাদীসটি আলবানী “সিফাতুস সালাত” (৮৯) ও “সহীহ আবু দাউদে” (১/১৪৬) সহীহ বলেছেন।আট. ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে তাহাজ্জুতের জন্য উঠে বলতেন: «اللهم لك الحمد، أنت نور السموات والأرض ومن فيهن، ولك الحمد أنت قيِّم السموات والأرض ومن فيهن [ ولك الحمد أنت رب السموات والأرض ومن فيهن ] [ ولك الحمد لك ملك السموات والأرض ومن فيهن ] [ ولك الحمد أنت ملك السموات والأرض ] [ ولك الحمد ] [ أنت الحقُّ، ووعدك الحق، وقولك الحق، ولقاؤك الحق، والجنة حق، والنار حق، والنبيون حق، ومحمد حق، والساعة حق ] [ اللهم لك أسلمت، وعليك توكلت، وبك آمنت، وإليك أنبت، وبك خاصمت، وإليك حاكمت، فاغفر لي ما قدَّمتُ، وما أخَّرْتُ، وما أسررْتُ، وما أعلنتُ ] [ أنت المقدِّم، وأنت المؤخِّر، لا إله إلا أنت ] [ أنت إلهي لا إله إلا أنت ]،“হে আল্লাহ সকল প্রশংসা তোমার জন্য, তুমি আসমান-যমীন ও উভয়ের মধ্যবর্তী নূর, তোমার জন্যই সকল প্রশংসা, তুমি আসমান-যমীন ও উভয়ের মধ্যে বিদ্যমান সকল বস্তুর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণকারী, তোমার জন্য সকল প্রশংসা, তুমি আসমান-যমীন ও উভয়ের মধ্যবর্তী সব কিছুর মালিক, তোমার জন্য সকল প্রশংসা, তুমি আসমান ও যমীনের রব, তোমার জন্য সকল প্রশংসা, তুমিই সত্য, তোমার ওয়াদা সত্য, তোমার কথা সত্য, তোমার সাক্ষাত সত্য, জান্নাত সত্য, জাহান্নাম সত্য, নবীগণ সত্য, মুহাম্মাদ সত্য, কিয়ামত সত্য, হে আল্লাহ তোমার নিকট আত্ম সমর্পণ করলাম, তোমার উপর তাওয়াক্কুল করলাম, তোমার ওপরই ঈমান আনয়ন করলাম, তোমার দিকেই মনোনিবেশ করলাম, তোমার মাধ্যমেই আমি তর্ক করি এবং তোমার নিকটই আমি ফয়সালা চাই। অতএব, তুমি আমার অগ্র-পশ্চাৎ, দৃশ্য ও অদৃশ্য সকল পাপ মোচন কর, তুমিই আদি এবং তুমিই অন্ত। তুমি আমার ইলাহ, তুমি ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই”। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬৩১৭, ৭৩৮৫, ৭৪৪২, ৭৪৯৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৭৬৯। আরো দো‘আর জন্য দেখুন: “যাদুল মা‘য়াদ”: (১/২০২-২০৭)।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন